প্রেমময়নেশা (The story of a psycho lover) #পর্ব-14 #Jannatul_ferdosi_rimi(লেখিকা)

0
609

#প্রেমময়নেশা (The story of a psycho lover)
#পর্ব-14
#Jannatul_ferdosi_rimi(লেখিকা)

অয়ন গাড়িটা পার্কিং জোন এ রাখে। গাড়ির চাবিটা হাতে নিয়ে ঘুড়াতে ঘুড়াতে বাড়ির গেটে প্রবেশ করে দাঁড়োয়ান অয়নকে দেখে তাড়াতাড়ি সড়ে দাঁড়ায়–অয়নও হাঁসিমুখে বাড়িতে ঢুকে ড্রইং রুমে সানা টিভি দেখছিলো অয়নকে দেখে তাড়াতাড়ি টিভি অফ করে দেয় ভয়ে তার গলা শুকিয়ে যাচ্ছে এখন কী হবে কে জানে??সানাকে ভয় পেতে দেখে অয়ন সানার কাছে গেলো অয়ন অবাক হয়ে বলল– এই তোর কি হয়েছে?মনে হচ্ছে আমি বাঘ নাহ ভাল্লুক।।
সানা ঃ একটু পর এর থেকেও ভয়ংকর রুপ ধারন করবে তুমি(মনে মনে)
কোনোরকম নিজেকে সামলে নিয়ে বলে– আসলে ভাইয়া–হয়েছে কি এখন আমাকে পড়তে যেতে হবে
অয়নঃ তো যাহ না টিভি দেখছিস কেন??
সানাঃ হ্যা হ্যা যাচ্ছি যাচ্ছি এই বলে সানা যেতে লাগলে অয়ন পুনরায় তাকে ডেকে উঠে–
সানাঃ জ্বী ভাইয়া বলো!!
অয়ন ঃ আচ্ছা রিমিপরী কোথায়? ওকে একটু ডেকে দেনা
সানা একটা ঢুক গিলল–
সানাঃ এইরে এইবার আমি শেষ আমি কি উত্তর দিবো(মনে মনে)
সানাকে এই বিপদ থেকে বাঁচালো মিসেস কলি তিনি দ্রুত পায়ে হাটতে হাটতে অয়নের কাছে আসেন এবং বলে উঠে–আমি বলছি!! অয়ন ছোট ছোট চোখ করে বলে উঠে–
এতো বলাবলির কি আছে আমিই গেলাম রিমিপরীর ঘরে
এই বলে অয়ন রিমির ঘরের দিকে যেতে নিলে মিসেস কলি বাধা দেন–
অয়নঃ কি হলো মা??
মিসেস কলি কোনোরকম সংকোচ ছাড়াই বলে উঠলেন–
রিমি বাসায় নেই—
।।।।।।।।।
আমি বাসায় আসার সাথে সাথেই বাবা মা দৌড়ে আমাকে জড়িয়ে ধরলো। মা আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করছে বাবা আমার মাথায় হাত-বুলিয়ে দিচ্ছে মা আর আমি কেঁদেই যাচ্ছি বাবার চোখ ও পানি এই পানি যে অনেকদিন পর নিজের সন্তান কে কাছে পাওয়ার সুখের কান্না এদিকে আমিও মা-বাবাকে এতোদিন পরে দেখে
নিজের ইমোশন সাম্লাতে পারছিনা। সুমুর চোখে ও জল এসে পড়লো। সুমু পরিবেশটা সুন্দর করার জন্য বলে উঠলো-
ছোট মেয়েকে পেয়ে সবাই বড় মেয়েকে ভুলেই গেলো বুঝেছি বুঝেছি এখন বড় মেয়ের কোনো কদর নেই..
আমরা হেঁসে ফেললাম।বাবা গিয়ে সুমুকে নিয়ে আসলো আর বলল-
আমরা আমাদের বড় মেয়েকেও অনেক ভালোবাসি।।
আমি ঠাট্টার সুরে বলে উঠলাম–
সুমু সত্যিই তুই অনেক হিংসুটে
এতোদিন যে নিজে অনেক আদর পেয়েছিস তার বেলায়।
সুমুঃ তোহ? বড় মেয়েকে বেশিই আদর দিতে হয় বুঝেছিস
রিমিঃ ইসস এইসব একদম হবেনা সুমুর আর আমার কথার শুনে আম্মু-আব্বু হেঁসে দিলো!!
বাবাঃ এতোদিন পর আমার বাড়িটা ভরে উঠলো!
মাঃ হ্যা গো তা যা বলেছো আজ বাড়িটা পুরিপুর্ন লাগছে
বাবাঃ আরে মা অই বাড়িতে তোকে জোড় করে আটকে রেখেছে তাইনা?
আমি কিছু বললাম নাহ
বাবা এইবার খানিক্টা গম্ভীর হয়ে বলে উঠেন–এইবার তোকে আর অই বাড়িতে যেতে দিবো নাহ ওই ছেলের কাছে তো নাহ ই
বাবার কথা শুনে চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়লো!!
মাঃ হ্যা ঠিক বলেছো!!
আমাদের মেয়েকে আমরা আর কোথাও যেতে দিবো নাহ
বাবা এইবার আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বলে উঠলো–হ্যা রে মা অই বাড়িতে তোকে অনেক অত্যাচার করেছে তাইনা
আমি কাঁপাকাঁপা কন্ঠে বলে উঠলাম–নাহ নাহ এইসব কি বলছো?? অইখানে আমাকে কেউ কিচ্ছু করতো নাহ ভালোমা
আমাকে অনেক ভালোবাসতো।।
।।।।।।।।।।।।।।।
অয়ন পুরো ড্রইংরুম ভাজ্ঞচুড় করছে কারো কথা শুনছেনা
তার মাথা এখন রক্ত চরে বসেছে
মিসেস কলি বার বার আটকানোর চেস্টা করছেন কিন্তু তিনি ব্যার্থ। পায়েলও অবাক।।
পায়েলঃ এইসব কি হচ্ছে??
অয়নকে এতোটা রেগে যেতে আমি কখনোও দেখিনি
রুশনিঃ এইটা শুধু ট্রেইলার এই ছেলে অই মেয়ের জন্য কতটা ডেস্পারেট হতে পারে তা শুধু আমরাই দেখিছি
পায়েল শকড হয়ে গেছে সে কখনো ভাবি নি রিমির জন্য অয়ন এতোটা পাগল..
মিসেস কলিঃ তুই শান্ত হো
অয়নঃ কি শান্ত হবো মা??
বলো তুমি আমাকে??আমি জাস্ট অবাক হয়ে যাচ্ছি আমার পারমিশন ছাড়া রিমিকে এই বাড়ি থেকে বের হওয়ার পারমিশন কে দিয়েছে??এন্সার মি(চিল্লিয়ে)
অয়নের চিৎকারে পুরো চৌধুরী বাড়ি কেঁপে উঠে–
অয়ন জোড়ে জোড়ে চিল্লিয়ে গার্ডসদের ডাকতে থাকে–
সবাই অয়নের চিৎকার শুনে এসে পড়ে–
অয়নঃ আমার পারমিশন ছাড়া রিমিকে এই বাড়ি থেকে যেতে দিয়েছো কেন??(চিৎকার করে)
সব গার্ডসরা মাথা নিচু করে উত্তর দেয়–আসলে বড় ম্যাডাম আমাদের পার‍মিশন দিয়েছিলো
অয়নঃ মাহ তুমি??
মিসেস কলিঃ দেখ বাবাহ আসলে ওর বাবা-মা ওকে দেখতে চেয়েছিলো। তাই আর কি
অয়নঃ তাই বলে তুমি ওকে যেতে দিবে বাহ( হাতে তালি দিয়ে)
পায়েল এইবার বলে উঠে–
আচ্ছা অয়ন তুমি এতো হাইপ্যার হচ্ছো কেন?
অয়নঃ প্লিয পায়েল তুমি বাইরের লোক বাইরের লোকের মতোও থাকো এই ব্যাপারে তোমাকে কথা বলতে হবেনা।।
পায়েলঃ আমি বাইরের লোক?(কাঁদু কাঁদু সুরে)
অয়ন আর কিছু না বলে দৌড়ে নিজের ঘরে চলে গেলো সবাই বুঝতে পারছেনা আসলে অয়ন চাইছে টা কি??
সবাই কে অবাক করে দিয়ে অয়ন নিজের রিভলবার বের করে নিচে নেমে আসলো। সবাই হতভম্ব।। মিসেস কলি অয়নের কাছে গিয়ে বলে উঠে–
তুই রিভলবার বের করেছিস কেন??
অয়নঃ মাহ এখন আমাকে আটকিয়ো নাহ আমাকে যেতে দাও বয়েস ফলো মি!!
মিসেস কলিকে কিছু বলতে না দিয়ে অয়ন গার্ডসদের নিয়ে চলে যায়।।।
।।।।।।।।।।।।
নিজের ঘরে বসে আছি
তখনি বাইরে ফায়ার শব্দে আমি জানালা দিয়ে তাঁকায়–!!এই আলাহ এ আমি কাকে দেখছি উনি এসেছেন তাও রিভলবার নিয়ে অনেক গার্ডসও আছে।।
ফায়ার এর শব্দে বাবা-মা ও সুমুও চলে আসে
বাবাঃ তুই দেখেছিস?
মাঃ অই অয়ন ছেলেটা এসেছে
বাবাঃ সত্যি ছেলেটা একেবারে গুন্ডা অই ছেলের কাছে কিছুতেই আমি আমার মেয়েকে দিবো নাহ(রেগে)
তখনি মাইকের শব্দ আসে অয়ন মাইক নিয়ে এসেছে অয়ন মাইকের মাধ্যমে বলে উঠে–
আমি আর ৩ গুনবো এর মধ্যে
রিমিপরী তুমি আমার সাথে যাবে নাহলে কি হবে আমি নিজেও জানিনা
আমি ভয়ে জড়োসরো হয়ে আছি আমি কিছু বলবো তার আগেই বাবা জানালা দিয়ে বলে উঠে–তুমি যা ইচ্ছে করো কিন্তু রিমি যাবেনা!! অন্তত তোমার মতো গুন্ডার সাথে তো নাহ ই
অয়ন বাঁকা হেঁসে বলে উঠলো–
রিমি আমার সাথে যাবেই নাহলে
বাবাঃ নাহলে কী?
অয়ন নিজের রিভলবার বের করে নিজের মাথায় ঠেকালো!!
সবাই অবাক। আমি উদ্নীগ্ন হয়ে বললাম–
এইসব কি করছেন কি?
অয়নঃ আমার রিমিপরী আজ যদি তুমি আমার সাথে না যাও তাহলে আমি নিজেকেই শুট করবো।।(বাঁকা হেঁসে)

সুমুঃ সত্যিই উনি সাইকো লাভার…

চলবে কি?
(পরের পর্বে সারপ্রাইজ আছে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here