মৃগতৃষ্ণা #পর্ব:১১

0
305

#মৃগতৃষ্ণা
#পর্ব:১১

সুলায়মানের মনে ভয়ের জন্ম হয় সে ভাবতে থাকে হয়তো কবিরাজ মশাই কাউকে এই চিকিৎসার কথা জানিয়েছেন তাই তার জন্য প্রয়োজন হচ্ছে বাচ্চা।কিন্তু এমন হওয়ার কথা তো ছিলো না। কবিরাজ মশাইকে দিয়ে সুলায়মান ওয়াদা করিয়ে নেয় যে এই চিকিৎসার কথা যেন পৃথিবীর কেউ জানতে না পারে তবে পৃথিবী তার নিয়মে চলবে না, কোনো মানুষই চায় না তার অকাল মৃত্যু হোক তাই যে কোনো মূল্যেই পেতে চাইবে প্রান।
সুলায়মান কবিরাজকে আবার রাজবাড়ীতে ডেকে পাঠালেন। কবিরাজ রাজবাড়ী এলেন, সুলায়মানের প্রশ্নে কিছুটা থতমত খেয়ে যান তিনি।

– কবিরাজ মশাই আপনি তো আমাকে ওয়াদা করেছিলেন এই চিকিৎসা আপনি আর কাউকে করাবেন না। সে যেই হোকনা কেন। আপনি আমি আর জুলেখা ছাড়া পৃথিবীর কোনো প্রানীই যাতে না জানতে পারে এই চিকিৎসার কথা। কথার বরখেলাপ আমি কিন্তু বরদাস্ত করবো না বলে দিলাম।

কবিরাজের কপালে চিন্তার ভাজ সে মুখ ফুটে কিছু বলতে চাইছে কিন্তু সুলায়মান একের পর এক প্রশ্ন করেই যাচ্ছেন। অবশেষে সুলায়মান কবিরাজকে কথা বলার সুযোগ দিলেন।

– বড় বাবু আপনি বিশ্বাস করেন আমি এই চিকিৎসা সাধনার কথা কাউকেই বলিনাই এমনকি আমার নিজের স্ত্রীকেও না। আপনার মতো কে আছে এমন ক্ষমতাবান লোক যারা কিনা এই চিকিৎসা করাতে পারবেন কোনো ঝামেলা ছাড়াই। কারো এত বড় বুকের পাটা নেই এখন। ক্ষমতা থাকলেও এখন আবার আইন জন্মাইছে যে তার ভয়ে থাকে মানুষ।

সুলায়মান কেনো যানি হিসেব মেলাতে পারছেনা। এবার বাচ্চাদের নিখোঁজ হওয়ার কোনো কারণই তিনি খুজে পাচ্ছেন না।
____________
স্নাতক ডিগ্রীর পরীক্ষা চলছে ওরা সবাই সেটা নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। পরীক্ষা শেষ হতে আরও এক মাসের মতো সময় লাগবে। কিন্তু পরীক্ষা চলাকালীন সময়েই একটা কথা দিগন্ত জানতে পারলো সোফিয়ার বাবা তার বন্ধুর ছেলের সাথে মেয়ের বিয়ে ঠিক করেছেন। তবে সোফিয়ার বিবাহ দিবেন আরও কয়েকমাস পরে, এখন এঙ্গেজমেন্ট সেরে ফেলবেন।
আগামী কাল কোনো পরীক্ষা নেই তাই সেইদিনেই সোফিয়ার এঙ্গেজমেন্ট।
দিগন্তের বুকটা কেঁপে উঠল, এইসব জানার পর থেকেই অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে ও।
সোফিয়ার হোস্টেলে থাকে না, তার নিজের বাড়িতেই থাকে সে। বাসা থেকে ভার্সিটিতে আসে আজ, কারন তাদের পরীক্ষা রয়েছে। অডিটোরিয়ামে দিগন্তকে দেখেই পাশ কাটিয়ে চলে যেতে নেয় সোফিয়া কিন্তু দিগন্ত আঁটকায় – কি মিস.সোফিয়া এখন থেকেই দূরে সরে যাচ্ছেন, বিয়ে তো এখনো হয়ে যায়নি তার আগেই পর করে দিচ্ছেন?
– দেখো দিগন্ত মায়া বাড়াইয়া কি কোনো লাভ হইবে আর, তোমার থেকে অনেক দূরে সরিয়া যাইতে হবে তাই আমি চাইছি এখন থেকেই দূরে থাকিতে।

দিগন্ত হাসলো আর বললো মিস.সোফিয়া আপনিতো দেখছি আমাকে চিনতেই পারেননি এতদিনে, আমি আপনার পথের কাঁটা হবো না কোনোদিনই। নিশ্চিন্ত থাকুন, দিগন্ত মায়া বাড়াবে না আপনার।

পরীক্ষা শেষে সবাই ভার্সিটির বার্ষিকীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেয়, এটা প্রতিবছরই হয়ে থাকে। কিছুক্ষণ পর স্টেজে দিগন্তকে ডাকা হলো ও মাইক হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ নিরবতা পালন করে রবীন্দ্র সংগীত গাইতে শুরু করলো-

“দূর হতে আমি তারে সাধিবো গোপনে বিরহ ডোরে বাধিবো!!”

বাঁধন-বিহীন সেই, সে বাঁধন অকারন।

মায়াবন বিহারিণী
মায়াবন বিহারিণী হরিণী!
গহন -স্বপন- সঞ্চারীনি
থাক থাক নিজমনে দূরেতে
আমি শুধু বাঁশরীর সুরেতে!!

পরশ করিব ওর প্রানমন অকারন
মায়াবন বিহারিণী।

চমকিবে ফাগুনেরও পবনে
পাশিবে আকাশবাণী শ্রবনে……..

দিগন্তের গান এর আগে সোফিয়া কখনো শোনেনি।আজ শোনার ভাগ্য হলেও সে সহ্য করতে পারছেনা এই গান। কানে বিঁধছে খুব করে সাথে মনটাও ছটফট করছে সোফিয়া আর বসে থাকতে পারছেনা ও ছুটে চলে যেতে লাগলো।
সিরাজ আর হেমন্তি কিঞ্চিৎ বিস্মিত হলো দিগন্তের গাওয়া শুনে ওকে এত আবেগ দিয়ে কখনো গাইতে শোনেনি ওরা, মনে হচ্ছে যেন দিগন্ত তার মনের কথা সব গান গেয়ে বলে দিচ্ছে।
সোফিয়া এখন দৌড়ে ভার্সিটির বাইরে এসে পড়েছে আর শোনা যাচ্ছে না গান তবে করতালির শব্দ এখান থেকেই পাচ্ছে ও। বাসায় গিয়েও ওর ভালো লাগছে না অস্থির হয়ে এলোমেলো পা ফেলে কক্ষে ঢুকলো কিন্তু কানে সেই দুটো লাইন যেনো এখনো বেজে যাচ্ছে
“দূর হতে আমি তারে সাঁধিব
গোপনে বিরহ ডোরে বাঁধিবো!!”
সোফিয়া গুন গুন করে গাইলো এই দুই লাইন, চোখ থেকে দু ফোঁটা অশ্রু ও গড়িয়ে পড়লো মেঝেতে।

এরপর কেটে গেলো আরও কয়েক মাস। ওদের পরীক্ষা অবশেষে শেষ হলো তবে ডায়েরিটার কথা সিরাজ প্রায় ভুলেই গিয়েছিলো। একদিন হঠাৎ করে বই গোছাতে গিয়ে সিরাজ রফিকের ডায়েরিটা দেখতে পায়।এটা ওর বাবা-মায়ের কাছে দিয়ে আসতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে সিরাজ।হেমন্তিকেও বলবে ওর সাথে যাওয়ার জন্য কিন্তু হেমন্তি তো কয়েকমাস হলো সিরাজের সাথে রাগ করে কথা বলেনা।তবুও সিরাজ বলে দেখবে যায় কিনা রফিকের আম্মার সাথে দেখা করতে। ডায়েরিটা সিরাজ হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ তাতে হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো বন্ধুর শেষ স্মৃতি বলে কথা।
ডায়েরি পাতাগুলো সিরাজ উল্টে- পাল্টে দেখতে লাগলো ডায়েরির প্রথমভাগে রাজবাড়ীর করা এসাইনমেন্ট। সমাপ্ত লেখা আছে কিন্তু শেষভাগেও আরও কিছু লেখা চোখে পড়লো সিরাজের। সিরাজ রফিকের ডায়েরির পাতাগুলো ঝড়ের গতিতে ওল্টাতে লাগলো এটা আগে কেন দেখেনি ও সেটা ভাবতে থাকে তবে তো এতদিনে অনেক রহস্যের জট খোলা যেতো।সিরাজ লক্ষ করে রফিক একটা নকশা তৈরি করেছে রাজবাড়ীর। কিছুক্ষণের জন্য থমকে গেলো ও এ নকশায় রাজবাড়ীর পেছন দরজায় টিক দিয়ে রফিক লিখেছে এই পেছনের দরজা দিয়ে প্রবেশ করলো একটি বৃদ্ধ লোক যার হাতে একটি পুঁটলি।
কিন্তু কে সে? নিচে আরও লেখা ছিলো ভুল মানুষকে সহযোগিতা করার কথা বলেছি।×
জটিল হয়ে গেলো রহস্য ভেদ করা।

এরপর নকশাটা ভালো করে খেয়াল করলে দেখা যায় পেছনের দরজাটা সুলায়মান -জুলেখার কক্ষ দিয়ে পার হতে হয় তাই ওদের মধ্যে কেউ হতে পারে। জুলেখা সারাদিন বাড়িতেই থাকে আর সুলায়মান থাকে বাইরে তাই বেশি সন্দেহ হচ্ছে সুলায়মানকে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো কোথায় রাখা হয় বাচ্চাগুলো?
কেনই বা মে*রে ফেলা হয় নিষ্পাপ বাচ্চাদের।
কি লাভ হয় ওদের??
এই পাতায় আর কিছু লেখা নেই। সিরাজ পরের পাতাটি উল্টে নিলো কাঁপা কাঁপা হাতে।সেখানে আবার রাজবাড়ীর একটা নকশা তৈরি করেছে ও লাল দাগ কেঁ*টে চিহ্নিত করেছে জুলেখা – সুলায়মানের কক্ষের বাইরের মেঝেটা।খেয়াল করলেই দেখা যাচ্ছে সেখানে রফিক লিখে রেখেছে এখানে আমি কাউকে প্রবেশ করতে দেখেছি নিশ্চয়ই এর নিচে কোনো পাতালপুরী রয়েছে যার রহস্য উন্মোচন হবে আজকে রাতের মধ্যেই।
এবার সিরাজ রফিকের দেওয়া সব ক্লু গুলো একে একে মিলিয়ে দেখলো সব প্রশ্নের উত্তর এখানেই আছে শুধুমাত্র কোনো প্রমান নেই। এই সত্যিটা প্রমান করতে গিয়েই নিরুদ্দেশ হয়েছিল রফিক শেষে প্রানটায় দিতে হলো ওর।
সিরাজ এবার ভাবতে থাকে কি করে সে এগুলো প্রমাণ করবে। সিরাজ ভাবে কোনো একটা গোয়েন্দা টিমের সাথে সে যোগাযোগ করবে আর রহস্যউন্মোচন ও প্রমানও ঠিক করতে পারবে।
সিরাজ কয়েকদিন যাবৎ পত্রিকায় ইসলামাবাদের খবরগুলোর পাতা কে*টে কে*টে আঠা দিয়ে তার দেয়ালের সাথে লাগাচ্ছে। একটা খবরে তার মনে প্রশ্ন জাগে মাঝের এক মাসে কোনো বাচ্চাই চুরি যায়নি কিন্তু আবার সেই উপদ্রব বেড়েছে এখন প্রায় ৫০ টা বাচ্চা চুরি গেছে যার প্রবনতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। পুরো শহর জুড়ে আতঙ্কের ছড়াছড়ি। বাচ্চাদের এখন পাঠশালায়ও পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে বাবা-মায়েরা।
আতঙ্কিত হওয়ার কারনও আছে বটে কিছুদিন হলো ইসলামাবাদ জেলার বাইরের জেলাগুলোতেও এই বাচ্চা চুরির প্রকোপটি হানা দিয়েছে।
সিরাজ মনে মনে ভেবে নেয় এবার আর কোনো ভুল পদক্ষেপ সে গ্রহন করবে না। বরং যেভাবেই হোক এই রহস্য ভেদ করে অপরাধীকে শাস্তি দিতে হবে নয়তো বা এই মৃত্যু তান্ডব থামবে না একবার শুধু পেয়ে যাই এমন শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে ভুলেও অন্যকেউ এমন পাপকার্য করার দু:সাহসিক স্পর্ধা দেখানোর কথা কল্পনাতেও আনতে না পারে।

সিরাজ গোয়েন্দা বিভাগের সাথে যোগাযোগ করতে সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছে, এখন শুধু হেমন্তি আর দিগন্ত ও সোফিয়াকে বলার পালা।ওদেরকে প্রয়োজন পরবে তথ্য দেওয়ার জন্য।

কিন্তু সিরাজ দিগন্তের কোনো খোঁজই পাচ্ছেনা। সোফিয়ার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলে সে অনেক চিন্তিত স্বরে জানায় তার ডেড নাকি দিগন্তকে আটকে রেখেছে।আর যতদিন না সে বিয়ের জন্য রাজি না হবে ততদিন পর্যন্ত দিগন্তকে আটকে রাখবে।

– সিরাজ জানো আমি ডেড কে বলিয়াছিলাম যে আমি এই বিবাহে রাজি কিন্তু ডেড আমার কথা বিশ্বাস করিতেছে না। আগামীকাল আমার বিবাহ সম্পন্ন হইলেই নাকি দিগন্তকে ছাড়িবে এর আগে নয়।

সিরাজ বলে উঠলো একবার যদি ভালোবাসার মানুষটাকে হারিয়ে ফেলো না, সারাজীবন কাঁদলেও আর তুমি তাকে পাবে না।দিগন্ত যে তোমায় খুব ভালোবাসে ও তোমাকে পৃথিবীতেই স্বর্গের সুখ দিবে।
হারাতে দিও না ওকে।

একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে সোফিয়া বলা শুরু করলো-
দিগন্তকে পাইবো না আমি সেটা ভালো করিয়াই জানিতাম তাই ওর থেকে দূরে সরিয়া যাইবার হাজারবার চেষ্টা করিয়াছি কিন্তু পারিনাই। আমার আমার ডেড কে খুব ভালো করিয়াই জানিতাম তিনি আমায় কোনো ভিন্নধর্মী কারো সাথে বিবাহ দিবেন না।
সেদিন দিগন্তের গাওয়া রবীন্দ্র সংগীত আমায় ক্ষতবিক্ষত করিয়াছে। আমি বাংলা ভাষা রপ্ত করিতে পারিলেও রবীন্দ্র সংগীত এর সংজ্ঞা বুঝিয়া উঠতে পারিতাম না। তবে এখন দেখো প্রতিটা রবীন্দ্র সংগীতের বাক্য আমার আর দিগন্তের হৃদয়ের ক্ষত।বলেই গান ধরলো সোফিয়া, একজন বিদেশীনির মুখে রবীন্দ্র সংগীত কি অপরূপ সুন্দর লাগছে –

“আমার হিয়ার লুকিয়ে ছিলেম
দেখতে আমি পাইনি
তোমায় দেখতে আমি পাইনি ”

দিগন্তের ভালোবাসা পাওয়ার লোভ আমাকে বশ করিয়াছে যদি আরও আগে বুঝতাম তবে জীবনের আরও কিছুটা দিন প্রেমময় সুখের জীবন অতিবাহিত করিতে পারিতাম।সেদিন আমি বাসায় ফিরিয়া জীবনে প্রথমবার ডেড এর স্বিদ্ধান্তে অমত পোষণ করিলাম কিন্তু তাতে কোনো লাভ হইলো না। আমার বিবাহের দিনও ধার্য করা হইয়া গেলো।আমি নিজেকে আর সামলাইতে পারিলাম না চলিয়া গিয়াছিলাম দিগন্তের কাছে কিন্তু ডেড আমাদের খুঁজিয়া পায় আর দিগন্তকে অনেক অত্যাচারও করিতে থাকে আমি তা সহ্য করিতে না পারিয়া এই বিবাহে রাজি হইয়া গেলাম।
কিন্তু আমার মন বলিতেছে ডেড দিগন্তকে ছাড়িবে না।

সিরাজ সব কিছু শুনে বলে উঠল এত কিছু হয়ে গেলো কিন্তু আমাদের কোনো কিছু জানানোর প্রয়োজন মনে করলে না তোমরা। রফিক যখন ছিল আমরা কি সুন্দর করে সবাই সবার সবটা জানাতাম, একসাথে সবকিছু করতাম। কিন্তু ও চলে যাওয়ার পর কেমন যেন হয়ে গেলাম আমরা, কারো সাথেই কেউ মন খুলে সবটা বলিনা। বন্ধুত্বে মরিচা পড়ে গেছে হয়তো।
সোফিয়া চুপ করে আছে।

সিরাজ বললো এখন তবে কি করবে??

– আমি এই বিবাহ করিবো তবে আমার বিবাহ শেষ হইবা মাত্রই তুমি দিগন্তকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাইবা। আর আমি জানি দিগন্ত অনেক কষ্ট পাবে কিন্তু এছাড়া আমার যে আর কোনো উপায় নাই।

সিরাজ সোফিয়ার কথামতো ওর ডেডের সঙ্গে কথা বলেন তিনি সিরাজকে আস্বস্ত করেন বিবাহ হইয়া যাওয়া মাত্রই দিগন্তকে ছাড়িয়া দিবে।
………..
সুলায়মান বেগম জুলেখার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে লাগলেন। তার মাঝে এখন ঘোর পরিবর্তন, তবে সুলায়মান কখনো নিজের বেগমকে সন্দেহ করেনি এই প্রথমবার তিনি তার বেগমকে সন্দেহ করছেন আর এতে তার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে।
আজকে সুলায়মান জুলেখাকে প্রশ্ন করলেন-
ক*লিজা পেয়েছেন??
জুলেখা সুলায়মানের এমন প্রশ্নে আকস্মিক বিস্মিত হলেন আর ভড়কে গিয়ে বললো- ক ক ক*লিজা পেয়েছেন মানে? কথা শেষ না হতেই গলা শুকিয়ে এলো জুলোখার।
সুলায়মান হেসে উত্তর দিলো অনেক দিনে হলো বেগম তোমার মুখে এই প্রশ্নটি শুনিনা, তাই বললাম আরকি!

জুলেখার মাঝে অস্থিরতা বিরাজ করছে সে কোনোমতে বললো এখন তো আর ক*লিজা খা*ওয়ার কোনো প্রয়োজন দেখছি না, আমরা তো আমাদের সাধনায় সফল হয়েছি তাই নয় কি?

সুলায়মান খেয়াল করলো তার বেগমের কথা এলোমেলো, শব্দচয়ন কাঁপা কাঁপা বাক্যও অমিল।
তিনি বুঝলেন কিছু একটা লুকোচ্ছে বেগম জুলেখা।
তবে সেটা বুঝতে দিলেন না বেগমকে।
সুলায়মানের মনে তীব্র কৌতুহলের সৃষ্টি হচ্ছে যা সে মোটেও পছন্দ করছেনা। নিজের প্রতি নিজেই বিরক্ত হচ্ছেন…….

চলবে,,,,
#লেখা: মুন্নি ইসলাম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here