নিশীভাতি #২৮তম_পর্ব

0
747

#নিশীভাতি
#২৮তম_পর্ব

টুকটাক খাওয়া দাওয়া শেষে গাড়িতে উঠতে যাবে ঠিক তখন ই কোথা থেকে একটি ভারী ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আঘাত করলো গাড়িটিকে। মূহুর্তেই পরিত্যাক্ত মুড়ির টিনের মতো দুমড়ে মুচড়ে গেলো গাড়িটি। ঘটনার আকস্মিকতায় আশেপাশের মানুষ জড়ো হলো। ভাগ্য খুব বেশি দয়ালু বিধায়-ই সবক’টা মানুষ এমন কি ড্রাইভারও একেবারে অক্ষত আছে। ভাগ্যিস হুমায়রা তাকে জোর করে বলেছিলো,
“ভাই আপনি ভারী কিছু না খেলেও চা খান। শীতের দিন আরাম পাবেন”

তবে বেঁচারার গাড়িটা আর আস্তো নেই। বাম্পার বেড়িয়ে আছে। কাচগুলো চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে পড়ে আছে রাস্তায়। এটা তার জীবিকা ছিলো। এদিকে ঘটনার পর মুহূর্তেই আতংকিত আর্তনাদ বেরিয়ে এলো ইলহার মুখ থেকে। হাত দিকে চেপে ধরলো সে মুখখানা। রা। রাশাদ দুহাতে শক্ত বাহুজোড়ায় আগলে ধরলো প্রিয় নারীদের। হুমায়রা স্তব্ধ দৃষ্টিতে বিক্ষত গাড়িটিকে দেখতে লাগলো। হৃদপিন্ড গলা অবধি এসে গেলে যেমন হাসফাস করে মানুষ ঠিক তেমন অনুভূত হচ্ছিলো তার। শ্বাসঘন হলো, গলা শুকিয়ে আসছে ক্রমশ। ইলহা এখনো আতংকিত, ভীত। তার মুখখানা ত্রাসে ফ্যাকাশে লাগছে। বিস্ফারিত নয়ন তাকিয়ে আছে গাড়ির ধ্বংসাবশেষের দিকে। শামসু মিঞা এবং আতিয়া খাতুন ও বেশ ভয় পেলেন। পৌঢ় মুখশ্রীতে বিশ্রী আতংকের ছাপ ভেসে উঠলো। এতোকাল শুধু টিভিতে কিংবা খবরের কাগজেই এমন ভয়াবহ রকমের দূর্ঘটনা পড়েছে আজ স্বচক্ষে দেখলো। আশেপাশের লোকজন বারবার “শুকর আলহামদুলিল্লাহ” পড়তে লাগলো। যে দূর্ঘটনা ঘটেছে তাতে কারোর বেঁচে ফেরত আসার সুযোগ হলো না। এদিকে কিছু মানুষ ধরপাকর করলো ট্রাক ডাইভারকে। শুকনো, রোগাপটকা, মধ্যবয়সী পুরুষ। তার চোখে মুখেও তীব্র আতংক দেখা গেলো। যেনো এমন কিছু একটা সেও আশা করে নি। তীব্র হাড় কাঁপানো শীতেও সে ঘামছে তরতরিয়ে। ট্রাকেরও বেশ ক্ষতি হয়েছে। সামনের অংশ একেবারে ভেতরে ঢুকে গেছে। লোকজনের ভয়ে অথবা মৃত্যু ভয় কোনো এক কারণে হলেও ড্রাইভারটি ভীত। তাকে জিজ্ঞেসাবাদ করা হলে সে হাত জড়ো করে বলতে লাগলো,
“বিশ্বাস করেন আমার দোষ নেই, আমার গাড়ির ব্রেকটা নষ্ট হয়ে গেছে। আমার দোষ নেই”

এর মাঝেই একজন বলে উঠলো,
“ব্যাটার নেশা করিছে। কি ভটকা গন্ধ!”

কথাটায় মুহূর্তেই আলোড়ণ তৈরি করলো। রাশাদদের গাড়ির ড্রাইভারও উত্তেজিত হলো। পুলিশ ডাকার হুমকি দেওয়া হলো। ট্রাক ড্রাইভারের আকুতি শোনা হলো না। কাওছার এতো সময় দূরে গিয়েছিলো ফাঁকতালে একটু মদ গিলতে। নেশাটা সকলের অগোচরে চালিয়ে যাচ্ছে নিষিদ্ধভাবে। এখানে এসে এমন হৈহল্লা দেখে সেও ভড়কালো। সুযোগ বুঝে সকলের আড়ালে ট্রাকের সামনের সিটে মদের ছোট্ট শিশিটা ফেলে দিলো সে। লোকজন যখন ট্রাকে তল্লাশি করলো তখন মদের শিশি পেয়ে আরোও উত্তেজিত হলো। শামসু মিঞা রেগে বললেন,। “এক্ষণ পুলিশে খবর দেন”

অবশেষে পুলিশ এলো। ট্রাক ড্রাইভারকে ধরে নিলো তারা। ট্রাক ড্রাইভার মারও খেয়েছে কম না। খুব অনুরোধ করলো, কিন্তু কেউ তাকে সাহায্য করলো না। এদিকে তার অসহায় মুখখানা দেখে সামান্য দয়া হলো হলো রাশাদের। কিন্তু ব্যাপারটা জীবনের উপর ছিলো। ভাগ্য সহায় না হলে প্রতিটি মানুষই জীবনের মায়া ত্যাগ করতো। পুলিশের এস আই আশ্বস্ত করে বললেন,
“দুঘা দিলেই ব্যাটার সব নাটক বেরিয়ে যাবে”
“সঠিকভাবে তদন্ত করবেন, যেনো নির্দোষ শাস্তি না পায়”

সব কান্ডে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলো গাড়ি ওয়ালা। তাকে আশ্বস্ত করা হলো ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। ইলহা এখনো স্বাভাবিক হয় নি। জড়োসড়ো পাথরের মতো বসে রয়েছে। মস্তিষ্ক জুড়ে আতংক। বারংবার মনে হচ্ছে তার বাবার হাত নেই তো! আকিব শাহরিয়ার মানুষটি ভীষণ জেদি, অহংকারী। তার দ্বারা অসম্ভব কিছু নয়। যাবার আগে সে শান্ত হুমকিও দিয়ে গিয়েছিলো। এই দূর্ঘটনাটি সেই হুমকির অংশ নয় তো। হুমায়রা তার দিকে পানি এগিয়ে দিলো। মৃদু স্বরে বললো,
“তুমি ঠিক আছো?”

নিস্তব্ধ, বিমূঢ় চোখে চাইলো ইলহা। হুমায়রা তার হাতটা আলতো করে ধরলো। আশ্বস্ত গলায় বললো,
“এতো ভয় পেলে হয়? আলহামদুলিল্লাহ কিছু হয় নি তো”
“যদি হতো?”
“মৃত্যুকে তুমি আমি কি থামাতে পারবো? যখন মৃত্যু লেখা তখন সেটা হবেই। এটা চিরন্তন সত্য”
“তোমার ভয় লাগে না?”
“ভয় লাগে না বললে মিথ্যে বলা হবে। নিজের মৃত্যুর থেকে প্রিয়জন হারানোর ভয় বেশি হয়। আগে তো তিনজন প্রিয় ছিলো এখন আরোও তিনজন জুটেছে। কিন্তু তাই বলে মৃত্যুভয়ে গুটিয়ে ম্লান হয়ে রইবো সেটা ঠিক নয়। জীবন তো থেমে থাকে না। এই দেখো আমার মা আমাদের ছেড়ে পালিয়ে গেছে। আমি জানিও না সে বেঁচে আছে কি না। কিন্তু তার জন্য আমার জীবন থেমে তো নেই। তাই বলছি, যা হয়েছে ভুলে যাও। আলহামদুলিল্লাহ সবাই তো ভালো আছি। এর থেকে আর ভালো কি হতে পারে?”

হুমায়রার কথায় মৃদু হাসলো ইলহা। ভয়টা একেবারে কাটে নি। তবে তাদের কিছু হয় নি এটাই যথেষ্ট। কত বড় একখানা বিপদ গেলো, ইলহা ঠিক করলো সে সদকা দিবে। শ্বশুরবাড়ি যেয়েই রাশাদকে বলবে কথাটা। শামসু মিঞার হৃদব্যাধি আছে। এতো বড় দূর্ঘটনার পর তিনি ঠিক করলেন, আজ আর যাত্রা করবেন না। শহরে ফিরে যাবেন। আগামীকাল আল্লাহর নাম নিয়ে বের হবেন। রাশাদ যদিও আপত্তি করলো। কিন্তু দাদা-দাদীর জেদে তার আপত্তিটা জায়গা পেলো না। ইলহার শরীরটাও ভালো নেই। প্রথমেই জার্নির জন্য কিছুটা খারাপ ছিলো, আরোও ফ্যাকাশে হয়ে আছে এই আতংকিত দূর্ঘটনায়। তাই বেশি তর্ক করলো না৷ শেষ অবধি ফিরে গেলো ফাইজানদের বাসায়।

হুমায়রারা ফিরে আসায় শরীফা অবাক হলো। ঘটনা শোনার পর তিনিও চিন্তিত হলেন। ট্রাক ড্রাইভারের মদ খাওয়ার কথা শুনে গর্জালেন বেশ,
“কত্ত বড় সাহস! মদ খেয়ে গাড়ি চালায়। আল্লাহর লাখ লাখ শুকরিয়া যে তোমাদের কিছু হয় নি। ব্যাটাকে সামনে পেলে গুনে গুনে চারটে থাপ্পড় মারতাম আর একটা জুতোর বাড়ি। ছিঃ”

আরোও তিনচারটে খাস বাংলা গালি দিলেন। হুমায়রা তাকে শান্ত করার চেষ্টা করলো,
“আম্মা, উনাকে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ”

কথাটা শুনে ক্ষীন শান্ত হলেও একেবারেই চিন্তাটা উবে গেলো না শরীফার। এর পূর্বেও এমন ঘটনার মুখোমুখি বহুবার হয়েছে। এই রাজনীতি নামক অভিশাপটা শুধু রক্তক্ষরণ ই জানে, কখনো সুখ দেয় নি শরীফাকে। কিন্তু তার ক্ষত হৃদয় না বাবা দেখেছে না ছেলে। তিক্ত দীর্ঘশ্বাস ফেললো শরীফা। হুমায়রাকে শুধালো,
“ফাইজানকে জানিয়েছো?”

হুমায়রা আমতা আমতা করলো। সে জানায় নি। মানুষটিকে জানানোর কথাটা মাথায় ছিলো না। যখন মাথায় আসলো তখন মনে হলো এখন জানানোটা খুব একটা অপরিহার্য নয়। কারণ দোষীকে শাস্তির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শরীফা এবার বিরক্ত হলেন। যেমন ছেলে তেমনই ছেলের বউ। কেমন ছন্নছাড়া। তার প্রায় ই মনে হয় সে দুটো উদাসীন গরুকে এক খুটায় বেঁধে রেখেছে। ফলে নিজেই বাধ্য হয়ে ছেলেকে ফোন করলো। ফরিদের কাছে ফাইজানের ফোন। দু বারের পর সেই ধরলো ফোনটা। শরীফা ধমকাতেই ফাইজানকে ফোনটা দিলো। ফাইজান একরাশ বিরক্তি নিয়ে বললো,
“কোন মহাভারত অশুদ্ধ হয়েছে মা? ঠাডা পড়েছে নাকি বাড়িতে?”
“কেনো দরকার ছাড়া আমি ফোন করতে পারবো না?”
“না আগামী একমাস না”
“লাত্থি দিবো মুখ চেয়ে”
“সেটাও একমাস পর। এখন রাখো।”

নির্লিপ্ত, ভাবলেশহীন স্বরে উত্তর দিলো ফাইজান। সাথে সাথেই শরীফা বলে উঠলো,
“হুমায়রাদের গাড়ির দূর্ঘটনা ঘটেছে। গাড়ি পুরাই চিরে চ্যাপটা। ট্রাক এসে পেছন থেকে মেরে দিছে”

কথাটা শুনে ক্ষণসময় চুপ করে রইলো ফাইজান। নীরবতা ভেঙ্গে বেশ শান্ত কিন্তু গম্ভীরভাবে শুধালো,
“কারোর কিছু হয়েছে কি?”
“না, সবাই বাসায় ফিরে এসেছে। গাড়ি ওয়ালার গাড়িটা আর ঠিক হবে না। তাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে মনে হচ্ছে”
“ঠিক আছে”
“আর কিচ্ছু বলবি না? হুমায়রার কথা জিজ্ঞেস করবি না?”

শরীফা ছেলের অভিব্যক্তি শোনার জন্য অধীর হলেন। কিন্তু হতাশা ছাড়া কিছুই হাতে পেলেন না। ছেলে নির্লিপ্ত উত্তর দিলো,
“মাত্রই তো বললে সবাই ঠিক আছে”
“ও তোর বউ ফাইজান”

ফাইজান আবার চুপ করে রইলো কিছুসময়। তার এই কাঠখোট্টা স্বভাব সহ্য হয় না শরীফার। ফলে রাগে ফোন কেটে দিলো সে। সারাজীবন ছেলেটা তেতোই থেকে গেলো। অবশ্য এখানে তার দোষও আছে। একবার ছোটবেলায় বেশ জ্বর হয়েছিলো ফাইজানের। ভীম জ্বর। গলা ফুলে একাকার। ডাক্তার, বদ্যি, হোমোপ্যাথি, এলোপ্যাথি কোনো ঔষধেই কাজ হচ্ছিলো না। তখন তার গ্রামের এক হাতুড়ে ডাক্তার থানকুনি, তুলসি, অর্জুন আর চিরতার রস মিলয়ে একটা তেতো ঔষধ খাওয়াতে বলেছিলো টানা একমাস। কোনো মিষ্টি, চিনি, তালমিছরি খাওয়ানো হয় নি এই সময়টাতে। সেকারণেই ছেলেটা এতো তেতো। শরীফা হুমায়রাকে ডেকে বললেন,
“এখন থেকে তোমার বরকে সকাল সন্ধ্যে মনে করে মধু আর তালমিছরি খাওয়াবা”
“কেনো আম্মা?”
“ছাগলটা তাইলে একটু মিষ্টি কথা বলবে”

হুমায়রার হাসি পেলো কিঞ্চিত। কিন্তু হাসলো না। হাসিটা নিরবে গিলে ফেললো

******

ফাইজান ফিরলো নয়টা নাগাদ। ঘরে এসেই সে পা বাড়ালো শামসু মিঞার ঘরে।
“আসবো দাদা?”
“আরেহ জামাই যে, আও আও। বও”
“শরীর কেমন আপনার? মার থেকে শুনলাম ঘটনাটা। তখন পার্টি অফিসে ব্যস্থ ছিলাম। আজ একটা মিডিয়া প্রচারও ছিলো। টকশো। একারণেই আমি তখন ই আসতে পারি নি। তবে আমি থানায় গিয়েছিলাম। ব্যাপারটার গভীর পর্যন্ত যাওয়া হবে। নিশ্চিন্ত থাকবেন”

ফাইজানের আন্তরিকতা অস্বীকার করার জো নেই। ছেলেটির শুষ্ক মুখ জানান দিচ্ছে দিনটি কম ধকলের ছিলো না। তবুও সে তাদের জন্য ভাবছে। এর চেয়ে বেশি কি চাই! আতিয়া খাতুন শুধালেন,
“ভাই আপনে খাইছেন নি? মুখখান কিরাম শুকনা লাগে”
“মিথ্যে বলবো না। এখনো খাই নি। সময় হয় নি।”
“সে কি কতা? হুমায়রা খাওন দেয় নাই। হুমায়রা, হুমায়রা”

আতিয়া খাতুন ব্যস্ত হলেই বাধা দিলো ফাইজান। মৃদু স্বরে বললো,
“ব্যস্ত হবেন না দাদী, আমি এখন খাবো না। ফ্রেশ হয়েই খাবো”
“তাইলে যাও, জামা কাপড় ছাড়ো। তারপর খাইয়্যা লও”
“জি”

ফাইজান উঠে দাঁড়ালো। যাবার জন্য তৎপর হয়েও একটু থামলো। ধীর স্বরে বললো,
“একটা অনুরোধ ছিলো দাদা, বলি?”

*****

ফাইজান ঘরে ঢুকতেই হুমায়রাকে দেখতে পেলো। হাতের বেল্টটা বাধার চেষ্টা করছে অনেক সময় যাবৎ কিন্তু পারছে না। তবুও অধ্যাবসায় চালিয়ে যাচ্ছে। ফাইজান দীর্ঘশ্বাস ফেললো। ধপাধপ পা ফেলে তার কাছে গেলো, কিছু না বলেই বেল্টটা পরিয়ে দিলো। হুমায়রা ক্ষণিকের জন্য চমকালেও নিজেকে সামলালো। দুজনের মাঝে চোখাচোখি হলো খুব ক্ষণিকের জন্য। স্বল্প সময়, নীরবতায় লেপ্টানো মুহূর্ত। বাহিরের শীতল বাতাস গা গলিয়ে প্রবেশ করছে জানালা দিয়ে। সোয়েটার পড়া থাকলেও ঠান্ডা লাগছে হুমায়রার। তার ঠোঁট কাঁপছে। কিছুসময় নিলীন ধারালো চোখ তা দেখলো। এরপর সময় না নষ্ট করেই তার লাগেজ খুললো। সব কাপড় একে একে বের করলো। হুমায়রা অবাক স্বরে শুধালো,
“ওগুলো বের করছেন কেনো? আমি তো কাল যাব”
“আপনার কোথাও যাওয়া হচ্ছে না”

নিস্তব্ধ ঘরটায় কথাগুলো প্রতিধ্বনিত হলো। হুমায়রা একরোখা স্বরে শুধালো,
“মানে?”
“আমি মনে হয় বাংলাতেই বলেছি। আপনি কোথাও যাচ্ছেন না”

এবার কিছুটা নড়ে চড়ে উঠলো কিশোরী। ফাইজানের চোখে চোখ রেখে নির্ভীক স্বরে বললো,
“আমি কারণ জানতে চাইছি”
“আপনার জন্য নিরাপদ নয়”
“আমার বাড়ি আমার জন্য নিরাপদ নয়?”
“না হতেই পারে! আর এখানে আপনার কোনো কমতি তো রাখছি না আমি”
“একটা দূর্ঘটনা ঘটেছে বলে আমি আমার বাড়িতে যাবো না? এটা কি স্বৈরাচারীতা নয়?”
“তর্ক করবেন না হুমায়রা। আর বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি ই আপনার বাড়ি। বাপের বাড়ি যাবেন বেড়াতে। ভোট হোক। আমি নিয়ে যাবো।আপনি আমার দৃষ্টির আড়াল হবেন না। আর এটা আমার অনুরোধ নয়”

ফাইজানের রুক্ষ্ণ বক্তব্যে মনোক্ষুণ্ণ হলো কিশোরীর। সে জানে ওই বাড়ি তার এখন আর নেই। কিন্তু তার মায়া তো এখনো লেপ্টে আছে স্মৃতিতে। সেই মাটির ঘর, গোলপাতার রান্নাঘর, মেটো পথ, সেই পানির কলধ্বনি, পাখির কলরব, নিষ্ঠুর রোদ্রস্নান; এক টানেই কি সেই স্মৃতি ছিড়ে ফেলা যায়? আহত স্বরে বলল,
“আপনার যেটা মনে হবে, আমাকে সেটাই কেনো করতে হবে?”
“কারণ আপনি আমার স্ত্রী”……..

চলবে

(ভালো লাগলে রেসপন্স করবেন)

মুশফিকা রহমান মৈথি

২৭তম পর্ব
https://www.facebook.com/groups/pencilglobal/permalink/3776821592606497/?mibextid=Nif5oz

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here