#নিশীভাতি
#২৯তম_পর্ব
হুমায়রা আহত স্বরে বলল,
“আপনার যেটা মনে হবে, আমাকে সেটাই কেনো করতে হবে?”
“কারণ আপনি আমার স্ত্রী”
কি অদ্ভুত স্বীকারোক্তি, জড়তাহীন, স্পষ্ট, গাম্ভীর্যপূর্ণ বক্তব্য, অপরিবর্তনীয় সত্য। ক্ষণসময় হুমায়রা তার দিকে চেয়ে রইলো। লোকটির দৃষ্টি শান্ত, দৃঢ়। হুমায়রার নিষ্পাপ, আহত দৃষ্টি শুধু দেখছে সামনে দাঁড়ানো পুরুষটিকে। নিস্তব্ধ ঘর, বাতাসের শো শো শব্দটা আঘাত হানছে কানে। নীরবতাকে গলা টি’পে হ’ত্যা করলো কিশোরীর ধরা গলা,
“এই নিয়মটা শুধু একপাক্ষীক হবে কেনো? এটা কি অন্যায় নয়?”
প্রশ্নটা কপালে ভাঁজ পড়লো নিমিষেই। ধারালো হলো দৃষ্টি কিন্তু সেই সাথে দৃষ্টিগোচর হলো না হুমায়রার টলমলে আঁখি। এবার কণ্ঠের রুক্ষ্ণতা কমালো খানিকটা। কোমল স্বরে বলল,
“প্লিজ হুমায়রা, আমার ঝগড়া করতে ইচ্ছে হচ্ছে না। আপনি তো ছেলেমানুষ নন, তাহলে অহেতুক কেনো জেদ করছেন। দু’বার আপনার সাথে দূর্ঘটনা ঘটেছে। যেকোনো মানুষ ই সাবধান হবে, অথচ আপনি বাচ্চাদের মতো তর্ক জুড়ছেন। আমি তো বলছি আমি আপনাকে নিয়ে যাবো, তাহলে এতোটা জেদ কি ভালো?”
“এটা প্রশ্নের উত্তর নয়”
কাঠকাঠ কণ্ঠে উত্তর দিলো হুমায়রা। ফাইজান এবার দীর্ঘশ্বাস ফেললো, হতাশামিশানো দীর্ঘশ্বাস। খিদের মাঝে কথা অপচয় নিতান্ত বিরক্তির কাজ। তবুও সেটা করতে হচ্ছে। ফাইজান তোয়ালেটা ঘাড়ে ঝুলিয়ে নির্লিপ্তস্বরে বললো,
“নিয়ম এক-পাক্ষিক নয়, উভয়পাক্ষিক, নিউট্রাল। কিন্তু একপক্ষ হাটুর বয়সী হলে তার উচিত অন্যপক্ষের কথা মান্য করা। কারণ অন্যপক্ষের মানুষটির অভিজ্ঞতা তার চেয়ে বেশী”
বলেই বাথরুমে চলে গেলো ফাইজান। একটু শব্দ করেই দরজা লাগালো। হুমায়রার উপর ক্ষীন রাগটার ভাগিদার হলো জড় দরজাটি। হুমায়রা ছেলেমানুষ নয়, তবুও ফাইজানের সাথে আজ ঝগড়া করেছে সে। তাদের এই নিয়ে দুবার ঝগড়া হয়েছে। তাদের সম্পর্কের সমীকরণটি খুব অটপটে, তাই ঝগড়া হলেও ফাইজান ছিলো বরাবর শান্ত। তার এই বিকারহীনতা হুমায়রাকে আরোও বেশি অনুভব করায় মানুষটি এই সমীকরণে উদাসীন। তাহলে সর্বদা এমন জোর খাটানো কেনো! কেনো বারবার তাকে স্মরণ করানো “হুমায়রা এখন ফাইজান ইকবালের স্ত্রী, তার বাক্য-ই এখন বিধির বিধান”— উত্তর নেই, কখনোই উত্তর থাকে না।
******
ইলহা খেলো খুব কম। তার অরুচি হচ্ছে। খিদে যেনো মরে গেছে। খুব চেষ্টা করেও দুগালের বেশি খেতে পারলো না। আতিয়া খাতুন জোর করলেন, কিন্তু তাও মেয়েটি খেলো না। মস্তিষ্কজুড়ে এখনো আতংক ছেয়ে আছে কালো মেঘের মতো। হুমায়রা বোঝানোর পরও আতংক কাটছে না। চিত্ত অশান্ত। ইলহাকে ভাত নড়াচড়া করতে দেখে রাশাদ মৃদু স্বরে বলল,
“আপনি ঘুমাতে যান ইলহা, ভালো লাগবে”
রাশাদ নিজ ঘরে যেতে নিলে হুমায়রা মনে করে একগ্লাস গরম দুধ পাঠালো। বললো,
“পারলে খাইয়ে দিও। খালি পেটে ঘুমালে শরীরটা আরোও খারাপ করবে”
রাশাদ মাথা নাড়ালো। ঘরে এসেই ঘাড়ে গুটিশুটি মেরে বসে থাকতে দেখলো ইলহাকে। সে ঘুমাতে চেষ্টা করেছিল কিন্তু চোখ বুঝলেই রক্তাক্ত দেহগুলো ভাসছে চোখের সম্মুখে। হৃদয় কেঁপে উঠছে পরিণতির কথা ভেবেই। ভাগ্য একবার ভালো হতে পারে প্রতিবার কি হয়? ফলে তার চোখ-মুখ বিধ্বস্ত। দুধের গ্লাসটা সাইড টেবিলে রেখে পাশে বসলো রাশাদ। আলতো করে মেয়েটিকে আগলে ধরলো। চোখে চেপে ধরলো ঘন অবিন্যস্ত কেশে। রাশাদের উপস্থিতিতে ভারীমন এবার গলতে শুরু হলো, ধরা স্বরে বলল,
“আমি বোধহয় আপনার জীবনের জন্য শুভ নই”
ইলহার এমন বক্তব্যে চোখ কুচকালো রাশাদ। কন্ঠে কোমলতা হারিয়ে কাঠিন্য প্রকাশ পেলো,
“এমন ভাবার কারণ?”
“কত বড় দূর্ঘটনা ঘটে যাচ্ছিলো”
এবার রাশাদ তার কাঁধে হাত রাখলো, নিজ থেকে একটু দূরে সরিয়ে মুখোমুখি বসালো ইলহাকে। চোখে চোখ রেখে কঠিন স্বরে বললো,
“এইকথাটা আমি দ্বিতীয়বার শুনতে চাই না ইলহা। মানুষ শুভ কিংবা অশুভ হয় না। পরিস্থিতি তার পরীক্ষা নেয়। আজকের দিনটাও তেমন ছিলো। এখানে আপনার হাত নেই”
“আমার বাবা্র হাততো থাকতে পারে। আমার বাবাকে চিনেন না আপনি। মানুষটা কত নিচে নামতে পারে ধারণা নেই আপনার”
“কিন্তু তাই বলে আপনাকে আমি দোষীর কাঠগড়াতে দাঁড় করাতে পারছি না। মা-বাবা যদি অন্যায় করেও থাকে সেটা সন্তানকে বইতে হবে এমন কথা নেই। যদি আজকের ঘটনাটি পরিকল্পিত হয়, এবং আপনার বাবা এর মদকদারী হন; তবুও আপনি আমার কাছে সারাজীবন ইলহাই থাকবেন, নিষ্পাপ ইলহা যাকে আমি ভালোবাসি”
ইলহার স্তব্ধ নয়ন তাকিয়ে রইলো মানুষটির মুখপানে। নিদারুণ স্বীকারোক্তিতে আসক্ত হয়ে উঠলো হৃদয়। চোখের কোনে জমলো অশ্রু, এই অশ্রু বেদনার। আজ ইলহা সেই তৃষ্ণার্ত পথিকের ন্যায়, যে শত ক্রোশ ছুটে অবশেষে অনাকাঙ্খিত জলের সন্ধান পেয়েছে। তার হৃদয় আজ পরিতৃপ্ত।
*******
বাগানে তখন প্রগাঢ় কুয়াশা। চাদর মুড়ি দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ফাইজান। হাতের ফাঁকে সিগারেট। জ্বলছে সেটা। কিন্তু ফাইজানের ঠোঁট এখনো ছোয় নি তা। অহেতুক ই আঙ্গুলের ফাঁকে জ্বলছে তা। গলা খাঁকারি শুনেও ফাইজান ঘুরলো না। একচিত্তে তাকিয়ে রইলো মেঘহীন অর্ধচাঁদের দিকে। ফরিদ আবার গলা খাঁকারি দিলো। ফলে কপালে ভাঁজ টেনে বললো,
“ঠান্ডা লেগেছে? গরম পানি খাও।“
ফাইজানের বিরক্তি টের পেল ফরিদ। তাই সময় নষ্ট করতে চাইলো না। ভনীতাহীন আরম্ভ করলো,
“থানা থেকে ফোন এসেছিলো, ট্রাকের ব্রেকটা আসলেই নষ্ট। আর ট্রাক ড্রাইভারও সোবার ছিলো। গরীব ড্রাইভার, নিজেরও গাড়ি না। মালিকের গাড়ি। মালিক এসেছিলো ট্রাকটা নিতে। পুলিশের ধারণা এটা নিতান্তই একটা দূর্ঘটনা। আকিব শাহরিয়ার বা তৌফিক আহমেদ; কারোও হাত নেই মনে হচ্ছে। কারণ ট্রাক মালিকের সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। আর তুমিও ভেবে দেখো, তৌফিক আহমেদ এমনেই আছে বিশাল ক্যাচালে। এর মধ্যে এমন কোনো কাজ সে করবেন না। আর আকিব শাহরিয়ার নিজের রেপোটেশন নিয়ে প্রচন্ড সচেতন। এখন নির্বাচনের সময় সে কোন ভুল করবে বলে বলে হচ্ছে না।“
“আমার শত্রুদের তো লম্বা লাইন”
“তাও এখন অন্তত কেউ কিছু করবে না”
“গতবার কি করে নি?”
“তার শাস্তিও পেয়েছে। আমার মনে হয় না ন্যাড়া বারবার বেলতলায় যায়”
ফরিদ দাঁড়ালো না। হনহন করে হেটে ভেতরে চলে গেল। পাছে দাঁড়িয়ে রইলো ফাইজান। একা, নীরব।
*****
নিস্তব্ধ অন্ধকার ঘরে শীতল বাতাসের আনাগোনা। কম্বলও শীত হার মানাচ্ছে না। হুমায়রা গুটিসুটি হয়ে শুয়ে রয়েছে। ঘুম আসছে না। পাশের জায়গাটা ফাঁকার। ফাইজানের সাথে কথা কাটাকাটির পর আর কথা হয় নি। সে মনে হয় আজ বাহিরের ঘরেই থাকবে। হুমায়রার হৃদয়টাও ভারী। ভাইজানকে বলা হয় নি, সে যাবে না। ভাইজান শুনলে অবশ্য রাগ করবে। কারণ বাসায় যাবার বায়নাটা হুমায়রার ছিলো। হঠাৎ এমন মতবদল ভাইজানের পছন্দ নয়। বুকচিরে দীর্ঘশ্বাস বের হলো হুমায়রার। হঠাৎ দরজা ঠেললো। ক্ষণিকের জন্য বাহিরের হলদে আলোয় আলোকিত হলো ঘর। কিন্তু খুব ক্ষণিকের জন্য। আবার আঁধারে লেপ্টে গেলো সব। হুমায়রা চোখ খুললো না। কারণ মানুষটির আনাগোনা এখন তার ইন্দ্রিয়গুলো আগ থেকেই জানান দেয়। তোশকে বসার শব্দ হলো। আরোও একটি কম্বল এসে পড়লো হুমায়রার উপর। সেই সাথে অসম্ভব শীতল দুটো হাত ছুলো তার কোমড়ের অস্থি। উষ্ণ নিঃশ্বাস স্পর্শ করলো ঘাড়। নাকের ডগা ছুলো ঘাড়ের চামড়া। হুমায়রার হৃদয় কাঁপলো। স্পন্দিত হলো বাড়ে বাড়ে। সেই সাথে ভারী স্বর কানে এলো। খুব স্মিত, কাতর,
“আমার রক্ত দেখতে ভালো লাগে না হুমায়রা। প্রতিবার নিজেকে শক্ত রাখা যায় না।“
হুমায়রা চুপ করে রইলো। নিস্তব্ধ ঘরের নীরবতায় মিলিয়ে গেলো স্বর। শ্বাস ঘন হলো অপরপাশের মানুষটির। এদিকে হুমায়রার রাত কাটলো নির্ঘুম।
******
সব গোছগাছ শেষ। গাড়ি চলে এসেছে। সবাই প্রস্তুত যাবার জন্য। সবার ব্যাগগুলো একত্রে গুছিয়ে নিলো রাশাদ। হুমায়রাকে বলল,
“রেডি হয়ে ব্যাগ নিয়ে আয়”
ঠিক তখন ই পাশে বসে থাকে নির্লিপ্ত মানুষটি উত্তর দিলো,
“হুমায়রা যাবে না”
স্পষ্ট বক্তব্যে ভ্রু কুচকে এলো রাশাদের। মস্তিষ্ক ব্যাপারটি ধারণ করতে পারলো না যেনো। পালটা প্রশ্ন ছুড়লো,
“কেনো?”
“আমার মনে হয় এখন হুমায়রার কোথাও যাওয়াটা নিরাপদ নয়”
“আমার বোন আমার কাছে নিরাপদ নয়? ব্যাপারটা কি হাস্যকর নয়? ওর হাতের এই অবস্থা নিশ্চয়ই আমাদের বাড়ি হয় নি!”
রাশাদের তাচ্ছিল্যভরা উক্তি শুনেও শান্ত রইলো ফাইজান। এখন তর্কে যাবার ইচ্ছে নেই।তাই শান্তস্বরে বললো,
“দেখুন তর্কে তাল গাছ আপনার আমি মেনে নিচ্ছি। কিন্তু বিষয়টা এখানে তর্কে জেতার নয়। খুব নিরাপদের মাঝেও বিপদ হয়। কে জানে কখন কি হবে! গতদিনের ঘটনাটাই চিন্তা করুন। আমি শুধু রিস্ক নিতে চাইছি না। হুমায়রার ক্ষেত্রে তো নয়-ই। কারণ শত্রু আপনারও আছে আমারও আছে”
রাশাদের চোয়াল শক্ত হলো। পরিস্থিতি ভালো নয়। তাই হুমায়রাই ফোড়ন কাঁটলো,
“ভাইজান, আমিই যেতে চাইছি না। ভোটের পর তো যেতেই হবে দীর্ঘ সময়ের জন্য। তখন ই না হয় যাবো”
বোনের কথার উপর কথা এই অবধি রাশাদ বলে নি। আজ ও বললো না। শুধু যাবার আগে এটুকুই বললো,
“যখন ইচ্ছে হবে আমাকে জানাবি, আমি নিয়ে যাবো”
******
মাটির চুলোর আঁচ তীব্র। কাঠ দিয়ে আঁচ বাড়াচ্ছেন আতিয়া খাতুন। পাশে শুঁটকি বাটছে ইলহা। রাশাদের ঘরে এতোকাল সে ছিলো মেহমান। ফলে খুন্তিটাও ধরতে দিতেন না আতিয়া খাতুন। কিন্তু এখন সে এই বাড়ির বউ। বৃদ্ধ মানুষটাকে খাটতে দেখে তার ভালো লাগলো না। তাই নিজেই শুটকি বাটার দায়িত্ব নিয়েছে। দাদী শ্বাশুড়ির সাথে তার বেশ খাতির। সারাদিন দুজন দুজনের সাথেই দিন কাটায়। রাশাদ যায় সেই সকালে, আসে এশার পর। ফলে সারাটাদিন আতিয়া খাতুন ই আর সঙ্গী। আশেপাশের ঘরের মেয়ে-বউরা আছে। কিন্তু তাদের সাথে খুব একটা কথা বলে না ইলহা। এই সেদিনের কথা। পিঠে নিয়ে এসেছিলো পাশের বাড়ির চাচী। ইলহাকে দেখে সে অবাক। ইনিয়ে বিনিয়ে কথাটা পারলো,
“হুনছিলাম রাশাইদ্দারে ফুলিশ লইয়্যা গেছিলো। বউয়ের বাপেই তো পুলিশরে খবর দিছিলো। এখন তো বিয়া দিছো চাচী। তা বউ এর বাপে পড়ে মাইন্যা লইছে?”
কথাটা খোঁচা মারা। ইলহার ভালো লাগলো না। তখন আতিয়া খাতুন ই বলে উঠলেন,
“তুমি কি পিঠা খাওয়াইতে আইছো, নাকি খবর চালতে আইছো”
কথাটায় মুখ ভোঁতা হলো মহিলার। আরেকদিন এমন আরেক বাড়ির মহিলা আসলেন,
“বউ প্রেসার মাইপে দাও তো, হুনছি তুমি নাকি ডাক্তার আপা। তয় এখন তো তোমার আর ডাক্তারি করা হইবো না। প্রেসার মাইপেই জ্ঞান কাজে লাগাও”
ব্যাপারগুলো ভালো লাগে না ইলহার। তাই সবার সাথে কথা বলে না। চুলোর তরকারির লবন দেখে আতিয়া খাতুন শুধালেন,
“বউ হইছে নি? আমি কলাই ডালডা বয়ামু। তুমি নাইড়ো।”
“শেষ দাদী”
শুঁটকি ভর্তাটা একটা বাটিতে তুললো ইলহা। ঝাল অনেক। আতিয়া খাতুন বেশ মরিচ দিয়েছে। ফলে ঝালে হাত জ্বালা করছে। লাল হয়ে গেছে তার হাত। কিন্তু রাশাদের খুব পছন্দ বিধায় ব্যাপারটা একেবারেই তুচ্ছ করে দিলো ইলহা। হাসি মুখে আতিয়া খাতুনকে বললো,
“আপনি গোসলে যান দাদী, আমি দেখছি”
এর মাঝেই রাশাদের ডাক পড়লো। দুপুরবেলা এই কদিন সে আসে নি। আজ হঠাৎ আসায় আতিয়া খাতুন প্রশ্ন ছুড়লেন,
“কি রে চইল্যা আইলি, দোকান বন্ধ?”
“মিঠু আছে, ও দেখবে”
কলপাড়ে পা ধুতে ধুতে উত্তর দিলো রাশাদ। আতিয়া খাতুন ইলহাকে বললেন,
“যাও বউ, দেখো ওর কি লাগবে। সোয়ামী আইলে বউদের তার আশেপাশে থাকতি হয়। এতে মোহাব্বত বাড়ে”
“কিন্তু ডাল”
“এই বুড়ি আসে তো”
গায়ে ঘর্মাক্ত শার্টটা খুলে আলনায় ছড়ালো রাশাদ। গরমে গা তেঁতে উঠেছে। আজ সূর্যের কড়াই থেকে যেনো লাভা ঝরছে। পানির গ্লাস এগিয়ে দিলো ইলহা, তারপর শুধালো,
“আজ এই সময়, এই কদিন তো আসতেন না”
পানিটা খেয়ে মৃদু হাসলো রাশাদ। তারপর ইলহাকে বসালো তার পাশে। কাপড়ের থলে থেকে বের করবো অনেকগুলো বই। এগিয়ে দিয়ে বললো,
“এখন থেকে এই খুন্তি বেলুন ছেড়ে পড়াশোনা শুরু করেন…………
চলবে
মুশফিকা রহমান মৈথি
২৮তম পর্ব
https://www.facebook.com/groups/pencilglobal/permalink/3778876755734314/?mibextid=Nif5oz