#মৃগতৃষ্ণিকা
#পর্ব:০৮
চিঠিটা ধপ করে বুকের সাথে শক্ত করে জড়িয়ে নিলো হেমন্তি। বন্ধ চোখজোড়া কেমন যেন নড়ছে খুব করে চেয়েছিলো সে এই দিনটা।
হেমন্তি এবার চিঠিটাকে বুক থেকে সরিয়ে চোখের সামনে নিয়ে একদৃষ্টিতে দেখতে লাগলো হুট করেই চোখ থেকে কয়েক ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে গাল ঘেসে নিচে পড়লো এই কান্না দুঃখ-কষ্টের নয় এই কান্না সফলতার।
কান্নাও যে অনেক সময় সুখের চিহ্ন বলে বিবেচিত হয়।
ঠোঁটজোড়া অনবরত কাঁপছে কিছু একটা বলতে চাচ্ছে হেমন্তি কিন্তু মুখ দিয়ে বের হচ্ছে না।
হেমন্তি কে আজ অন্যরকম লাগছে যেন সে এই পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ। রূপাকে কোলে তুলে ঘুরপাক খেতে শুরু করতেই রূপা খিটখিটিয়ে হাসতে শুরু করলো এবার হেমন্তিও অট্টহাসিতে ফেটে পড়লো।
হেমন্তির মা লতিফা বেগম হাসির শব্দে কাছে আসতেই দেখে মেয়ে খুশিতে আত্মহারা সাথে জুটিয়েছে তার নাতনি টাকেও।
লতিফা বেগম কপাল কুঁচকে বললো একি! একি! মাথা ঘুরাবে তোর নাকি সাথে তোর মেয়েরও।
হেমন্তি ঘুরপাক খেতে খেতে বলছে না আম্মা আজ আর মাথা ঘুরাবে না।
রূপাও আধো আধো গলায় বলে উঠল মা তুমি ঘুরতে থাকোওওও।
লতিফা বেগম এবার হেসে উঠলেন আর বললেন দুই মা মেয়ে আজ পাগল হয়ে গেছে।
হেমন্তি এবার রূপাকে নামিয়ে দিয়ে তার আম্মার হাত দুটো ধরে আবার ঘুরপাক খেতে শুরু করলো – আম্মা আজ শুধু মেয়েকে নিয়ে ঘুরলে হবে না সাথে মেয়ের নানিকে নিয়েও তো ঘুরতে হবে নাকি!!
– এই পাগল মেয়ে ছাড় বলছি আমায়। আরেএএ ছা-ড় না আমি পড়ে যাবো তোওওও।
হঠাৎ করেই হেমন্তির বাবার আগমন ঘটলো বাড়িতে এবার হেমন্তি তার মাকে ছেড়ে দিয়ে আঁচলে মুখ লুকিয়ে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিলো সে কিছুটা লজ্জা পেয়েছে বাবার সামনে পাগলামো ফাঁস হওয়াতে।
কেউই কিছু বুঝতে পারছেনা হেমন্তির এত খুশির কারণ কি। তবে অনুমান করেছে নিশ্চয়ই সিরাজ এর পরিবারের থেকে কোনো সুখবর আসন্নবর্তী।
আজ সেই দুই তারিখ যেদিনের কথা সিরাজ চিঠিতে লিখেছিলো আজ দেখা করার কথা দুজনের।হেমন্তি সিরাজের কথামতো বিলের পাড়ে বসে অপেক্ষা করতে লাগলো অনেক্ষণ হয়েছে হেমন্তি এসেছে কিন্তু এখনো সিরাজের দেখা মেলেনি। পাড়ে বসে থাকতে থাকতে বিকেল পার হওয়ার উপক্রম এখনো তার দেখা নেই।হেমন্তি এদিক ওদিক চোখ বুলিয়ে চলেছে এতক্ষণ খুশি থাকলেও এখন তাকে বেশ অস্থির দেখাচ্ছে।
হেমন্তি একদৃষ্টিতে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে একসাথে দুজনে পড়ন্ত বিকেলে সূর্যাস্ত দেখার কথা ছিলো কিন্তু সে একাই দেখছে এতদিনের সব খুশি আজ যেন বিষন্নতায় রূপ নিয়েছে। ঠায় দাঁড়িয়ে থেকেও যখন সিরাজের কোনো দেখা পাওয়া গেলো না তখন নিরাশ হয়ে হেমন্তি বাড়ি ফিরে গেলো।আজ যেন সে আবার অন্যরকম হয়ে গেলো দুপুরের হেমন্তির সাথে সন্ধ্যার হেমন্তির যেন কোনো মিলই নেই।
হেমন্তি বাড়িতে ঢুকেই ঘরে দরজা আবজে রেখে বিছানায় গা এলিয়ে দিলো ধীরে ধীরে তার দুচোখ বন্ধ হয়ে আসছে চারদিক কেমন যেন অন্ধকার ছেয়ে গেছে।
লতিফা বেগম বেশ অবাক হলেন হেমন্তির এমন পরিবর্তনে এক বেলায় মেয়েটা কেমন পাল্টে গেলো।
সন্ধ্যায় কখনো হেমন্তি বিছানায় শুয়ে থাকে না খুব বেশি অসুস্থ হলেও না তবে আজ শুয়েছে।
রূপা হেমন্তির আগমনে বেশ খুশি কারণ হেমন্তি বাইরে গেলেই রূপার জন্য কিছু না কিছু নিয়ে আসে।তবে এখনো হেমন্তি রূপাকে ডাকছেনা বেশ আশ্চর্য লাগে তার কাছে।হাসিমাখা মুখখানা মুহূর্তেই মলিন হয়ে গেলো।ঠোঁট উল্টে দরজার বাইরে দাড়িয়ে রইলো।
লতিফা বেগম বুঝতে পেরেছে রূপার মন খারাপ হয়েছে তাই ওকে কোলে তুলে নিয়ে নিজের ঘরে গেলো কৌটো থেকে কয়েকটা চকলেট বের করে রূপার হাতে দিতেই রূপা বলে উঠল – আপা মা আমায় ডাকলো না কেন?
আধো আধো গলায় আরও কয়েকটা প্রশ্ন জুরে দিলো মা কেন সন্ধাবেলা শুয়ে পড়লো, মায়ের কি শরীর খারাপ?
লতিফা বেগম যেন রূপার প্রশ্নে হয়রান হতে চললো বললো- আরে বুড়ি থাম থাম, আর প্রশ্ন করিস নে।
তোর মায়ের ঘুম পেয়েছে তো তাই শুয়েছে, ঘুম থেকে উঠে ঠিক তোকে ডাকবে।
মাঝরাতে হঠাৎ হেমন্তির ঘুম ভেঙে যায় চিৎকার করে উঠেছিল ঠিকি তবে কোনো আওয়াজ বেরোই নি।হেমন্তি কাশতে শুরু করে তাকে বেশ অস্থির দেখাচ্ছিল,পাশেই পানির গ্লাস থেকে ঢকঢক করে পানি খেতে শুরু করে এরপর বিরবির করে বলতে শুরু এটা তো নিছকই একটা স্বপ্ন মাত্র, আমার এমন দম বন্ধ হয়ে আসছে কেন? সিরাজ হয়তো দেখা করার কথা ভুলে গেছিলো তাই আসেনি। কিন্তু এমন স্বপ্ন কেনো দেখলাম আমি!
এপাশ ওপাশ করে রাতটা কোনোমতে পার করলো হেমন্তি সারারাত দুচোখের পাতা এক করতে পারেনি মেয়েটা।
সকালে রূপার মুখ ভার দেখে হেমন্তি বুঝতে পারে যে কালকে রূপাকে আদর করা হয়নি বলে রাগ করে আছে। খাবার খাবেনা বলে বায়না করছিলো হেমন্তি খাবারের বাটি নিয়ে দৌড়োদৌড়ি করছিলো হুট করেই একজন লোক এসে বললো এবাড়িতে কে আছেন বাড়িতে? হেমন্তি আছেন কি?
হেমন্তি একটা ঢোক গিলে বলল জ্বি। আমি হেমন্তি, আপনাকে তো ঠিক চিনলাম না!বসুন না?
– না না এখন সময় নেই। আমি সিরাজ এর বাড়ি থেকে এসেছি আমি ওর মেঝো মামা অনেক খুঁজে তোমাদের বাড়ি বের করলাম।সিরাজের ভীষণ বুকে ব্যথা উঠেছে কাল সারাদিন ব্যথায় কাতরাচ্ছিলো কিন্তু ও বাড়ির বাইরে যাওয়ার জন্য বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে ছিলো সবাই বারণ করলে ও আরও উত্তেজিত হয়ে পড়ে। জ্ঞান হারালে কবিরাজ মশাইকে বাড়িতে নিয়ে গেলে তিনি কোনো রোগের ঠাওর করতে পারেননি। কাল জ্ঞান ফেরার পর থেকে কেবল তোমার নাম নিয়ে চলেছে। সারারাত ঘুমোয়নি। বাড়িতে তো কান্নার রোল পড়ে গেছে মা।
কথাগুলো শুনে হেমন্তির মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার উপক্রম। হাত থেকে বাটিটা পড়ে মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেলো ভাত।সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো হেমন্তি রাতে ঠিক এই স্বপ্নটাই দেখেছিলো।
লোকটি বললো আমার সাথে চলো মা।সিরাজ যে তোমাকে দেখার জন্য পাগলামি করছে এই অবস্থায় ওকে কি করে বের হতে দেই বলো।
হেমন্তি রূপাকে নিয়েই রওনা দিলো লোকটির সাথে।
সিরাজের বাড়িতে আসতে না আসতেই হেমন্তির কলিজা কেঁপে ওঠে বাড়ির সবাই কান্না করছে হেমন্তি দৌড়ে সিরাজের কাছে চলে এলো সিরাজ অসহায়ের মতো চেয়ে আছে একদৃষ্টিতে বুকের মধ্যে হাত দিয়ে চাপা দিয়ে রেখেছে। রূপা জিজ্ঞেস করে উঠলো মা বাবার কি হয়েছে??
হেমন্তি কোনোমতে নিজেকে সামলে নিয়ে বললো তোর কি খুব বেশি হচ্ছে সিরাজ?
সিরাজ নরম সুরে বললো এবার আমার ব্যথাটা কিছুটা কমেছে হেমন্তি। গতকাল নিশ্চয়ই তুই বিলের পারে অপেক্ষা করেছিলি তাইনা?
হেমন্তির চোখ ছলছল হঠাৎ করেই কি হয়ে গেলো।
সিরাজ এর আম্মাও এবার ঘরে প্রবেশ করলো হেমন্তির হাতজোড়া মুষ্টিবদ্ধ করে বলল আমার ছেলেটাকে বাঁচা ও মা আআআআ। আমার ছেলেটা যে শুধু তোমার কথাই বলে চলেছে। ও সুস্থ হয়ে গেলেই আমরা তোমাদের বাড়িতে যাবো প্রস্তাব নিয়ে। তোমাকে আমার ছেলের বউ বানাবো।
হেমন্তি বলল কাকিমা এখন দোয়া করুন যাতে সিরাজ তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায়।
কবিরাজ মশাইকে আবারও খবর দেওয়া হয়েছে কিছুতেই ব্যথা কমছে না তার দেওয়া বড়ি খেয়েও ব্যথা কমেনি। তিনি এসে নাড়ি চেপে ধরে বললেন আমি যে পথ্যি দিয়েছিলাম তাতে তো ব্যথা কমে যাওয়ার কথা কিন্তু কেন যে কমছে না!!!
কবিরাজ চলে যাওয়ার পর রূপা হঠাৎ করেই সিরাজের কাছে গিয়ে বলল বাবা বাবা তুমি চিন্তা করোনা দেখো তোমার ব্যথা ঠিক সেরে যাবে।
সিরাজ রূপাকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে বলল এইতো আমার ছোট মা! আমার জন্য তোমার কষ্ট হচ্ছে রূপা।
– রূপা সিরাজের বুকে হাত বুলাতে বুলাতে বলল হ্যা বাবা। দেখোনা মা ও তো কষ্ট পাচ্ছে সবাই কষ্ট পাচ্ছে তুমি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠোতো।
সিরাজ রূপাকে চুমু দিয়ে বলল আমার লক্ষী মেয়ে।
আচমকাই সিরাজ অনুভব করে তার বুকের ব্যথা আর নেই।আশ্চর্য গতকাল থেকে এই পর্যন্ত একটুও ব্যথা কমেনি কিন্তু হুট করেই রূপার স্পর্শ পেয়ে যেন ব্যথা নিমিষেই নিঃশেষ হয়ে গেলো।
সিরাজ হেমন্তিকে ডেকে বললো হেমন্তি আমার বুকে আর ব্যথা হচ্ছে না।রূপা ছোঁয়ার পরপরই মনে হলো সব ব্যথা নিঃশেষ হয়ে গেলো।
কথাটা শুনে হেমন্তির খুশি হওয়ার কথা থাকলেও মনের মধ্যে একটা খটকার সৃষ্টি হয়।
– রূপার স্পষ্ট পেয়ে???
সিরাজ বলল ইমমম ম-ম না মানে আমার ব্যথা কমতে শুরু করেছে রূপাকে দেখার পর আরকি।।
সবাই খুব খুশি হলো সিরাজের সুস্থতার কথা শুনে। সিরাজের আম্মা তো খুশিতে আত্মহারা সাথে ওর বাবাও।তারা দুজনেই বলে আমরা আর দেরি করতে চাইনা আগামীকালই হেমন্তিদের বাড়িতে যাবো।যত দ্রুত সম্ভব হেমন্তি কে বাড়ির বউ বানিয়ে আনবো।
__________
মতি বাড়ি ফিরতেই খেয়াল করে পরিবেশ কেমন যেন থমথমে।কোনো কিছু না ভেবেই তড়িঘড়ি করে ঘরের ভেতর ঢুকে পড়লো আশ্চর্যের বিষয় পরিবানু জোছনার মাথার পাশে বসে বসে ঝিমোচ্ছে তবে কি জোছনার শরীর খারাপ করেছে প্রশ্ন জাগে মতির মনে।
মতি চিৎকার করে ওঠে বউ ও বউ…. পরিবানু আৎকে ওঠে জোছনাও চোখ মেলে তাকায়।
মতি জিজ্ঞেস করে বুড়ি কি হইছে জোছনার? আমার বউরে এমন দেহা যায় কে?
পরিবানু মতিকে শান্ত হতে বলে। কিন্তু মতি চারপাশে চোখ বুলাতেই বুঝতে পারে এ ঘরে কিছু একটা হয়েছে সবকিছু এলোমেলো হয়ে আছে।সন্দেহের দৃষ্টিতে চারপাশে চোখ বুলায়।
পরিবানু বলে যে কিছুই হয়নি। মতি কিছুটা শান্ত হয়ে জোছনার মাথায় হাত বুলাতে থাকে প্রশ্ন করে বউ তুমি ঠিকআছো তো?
জোছনা মাথা নাড়িয়ে সায় দিল। তবে তার চাহুনি ছিলো বেশ করুন। মতি জোছনাকে তেমন কিছু জিজ্ঞেস করে না তবে সে জানে নিশ্চয়ই পরিবানু কিছু করেছে তার অনুপস্থিতিতে।
সকাল হতেই জোছনা কেমন অস্বাভাবিক আচরণ করছে মতিকে একদম ছুতে দিচ্ছে না ঘোমটা টেনে দূরে দূরে থাকছে। আনমনে হাসছে আবার কাঁদছে।
পরিবানু কপাল চাপড়াতে লাগলো আর বলল – আ হা রে এই মাইয়া দেহি পাগল হইয়া গেছে রে।আমার মতির কপালে কি এই ছিলো রেএএএ পাগল আর ভুতে ধরা বউ নিয়া সংসার করার ছিলো রেএএএ!!!
মতি বললো কি কও বুড়ি ভুতে ধরছে মানে?
– হ রে তোর বউর ওপরে নাকি কোন অশরীরীর কুনজর পড়ছে গতকাল ফকির বাবারে আনছিলাম হেয় কইছে তোর বউয়ের বলে ঘোর বিপদ। সামনের মঙ্গলবার তার কাছে নিয়া যাইতে কইছে রে।কিন্তু এখনই তো খেল দেহানো শুরু হইয়া গেছে রে!!
– চুপ করো বুড়ি।আমারে না জানাইয়া কেন তুমি বাড়িতে ফকির আনছো এইসব আমার একদম পছন্দ না কইয়া দিলাম। আমার বউর যদি কোনো ক্ষতি হয় তার লেগা তুমি দায়ী থাকবা।
– চুপ কর ছেরা।বউর কথায় ঘুইরা বেড়ানোর সময় মনে আছিলো না পরে যে ফস্তাইতে হইবো।
জোছনা হঠাৎ করেই বাঁধা চুলগুলো ছেড়ে দিয়ে বাড়ির উঠোনের মধ্যে দৌড়াতে লাগলো। পেটের ওপর হাত বুলাতে বুলাতে বললো আমার সোনা!! তুই কবে আসবি?? আমার যে তুই ছাড়া আর কেউ নেই।
মতি জোছনার হাত শক্ত করে ধরে বললো কি কও বউ কেউ নাই মানে আমি কে?
জোছনার মধ্যে যেন বিশাল শক্তির আবির্ভাব ঘটেছে মতির হাত নিজের থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে মতির গলায় একহাত দিয়ে চেপে ধরলো মতির যেন শ্বাস আটকে গেছে এতটা কষ্ট জোছনার পক্ষে দেওয়া কি আদও সম্ভব মতি চোখজোড়া বন্ধ করে আছে।পরিবানু চিৎকার করে যাচ্ছে এবার জোছনা ভরাট কন্ঠে বলে উঠলো – আমি তোকে বললাম না আমায় ছুবি না। আমায় ছোয়ার আর একবার চেষ্টা করলে তোকে মরতে হবে বলে দিলাম। পরপুরুষের ছোয়া আমার একদম পছন্দ নাহ্!!
চলবে,,,,,
#লেখা:মুন্নি ইসলাম
[গল্পটি ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ সবাইকে ]