মৃগতৃষ্ণিকা – ০২

0
218

#মৃগতৃষ্ণিকা – ০২

এলিসা দরজায় টোকা দিতেই হঠাৎ করে শব্দটা থেমে যায় আর কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছে না। এলিসার মনে ভয়ের মাত্রা দ্বিগুণ হয় গলা শুকিয়ে আসছে তবুও কোমোমতে নিজেকে সামলে নিয়ে চলে যেতে নিলেই আবারও শব্দগুলো কানে ভেসে আসতে থাকে,,,,,,,

এলিসার কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জন্মায় সে আবার ঐ কক্ষের দিকে পা বাড়ায় ভেতর থেকেই শব্দগুলো ভেসে আসছিলো এতে কোনো ভুল নেই কিন্তু কি করে দেখবে সে দেখারও যে উপায় নেই তালাবদ্ধ কক্ষের দিকে চেয়ে এলিসা ভেজা ঢোক গিলে অচেনা অজানা জায়গায় এমন পরিস্থিতিতে পড়লে সে কোনো মানুষই ভয় পাবে এলিসাও ভয় পাচ্ছে কিন্তু তার জানার কৌতুহল বড্ড গাঢ়। সে আবার দরজায় টোকা দেয় এবারেও আওয়াজ থেমে গেলো আগের বারের ন্যায় কিন্তু কে আছে ভেতরে???

এলিসা এবার আর অপেক্ষা না করে বরং তড়িঘড়ি করে নিজের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে চুপটি করে শুয়ে পড়লো সে অনেক হরর সিনেমা দেখেছে তবে কখনোই বিশ্বাস করেনি। আজ কেন যেন তার মনে হচ্ছে ঐ কক্ষে ভূত আছে কিন্তু পরক্ষণেই ভাবছে না এই পৃথিবীতে ভূত বলতে কিছু নেই যা আছে তা আমাদের মনের ভুল।
ভাবতে ভাবতেই এলিসা গভীর তন্দ্রাঘোরে চলে যায় সকালের আলো চারদিকে ফুটেছে অনেক আগেই এলিসার ঘুম এখনো কাটেনি।

গ্রামে দিন দিন পানি বেড়ে চলেছে নৌকা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে কিছুদিন।তারওপর বিভিন্ন গ্রামের মানুষ এসে রাজবাড়ী গ্রামে আশ্রয় নিয়েছে যেহেতু এই গ্রামটা অনেকটা উঁচু তাই এখনো পানি উপর অবধি উঠতে পারেনি। একজন গর্ভবতী মহিলার ভীষন পেটে ব্যাথা শুরু হয় তাকে দ্রুত নৌকা দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার জানায় পেটের মধ্যেই তার বাচ্চা মা*রা গেছে।
তিনদিন আগেও এক গর্ভবতী মহিলার গর্ভে সাত মাসের বাচ্চা মা*রা যায়। আজ আবার একটা বাচ্চা পেটেই মারা গেলো।গ্রামবাসীর সাথে থাকা অন্যান্য গ্রামের মানুষজনও আতঙ্কিত এমন কান্ডে তারওপর আবার গতকাল এক লোকের লা*শ পাওয়া গিয়েছে পদ্মপুকুরে।

এলিসা ঘুম থেকে উঠে দেখে আদ্রিয়ান সারা বাড়িতে কোথাও নেই দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় সে একি কোথায় গেলো আদ্রিয়ান প্রশ্ন জাগে মনে সাথে ভয়ও হচ্ছিল রাতের সেই ভয়ংকর আওয়াজের কথা মনে পড়তেই আৎকে ওঠে এলিসা।সে বাড়ির বাইরে খুজতে শুরু করে।
আদ্রিয়ান আজ ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠে পড়েছে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর এই একটা সুবিধা তাড়াতাড়ি ওঠা যায়। আদ্রিয়ান দেখে এলিসার রুমের দরজা বন্ধ ভাবে ও হয়তো ঘুমোচ্ছে তাই আর এলিসাকে বিরক্ত না করে সে একাই গ্রাম ঘুরতে বেড়িয়ে পড়ে।
একা একা ঘুরতে তার মোটেও ভালো লাগছিলো না তাই সে রাজবাড়ীতে ফিরে আসে এসেই দেখে এলিসা পাগলের মতো এদিক ওদিক ছোটাছুটি করছে। আদ্রিয়ান গিয়ে জিজ্ঞেস করতেই এলিসা রেগে গেলো আচমকাই
– কি সমস্যা কি তোমার? কোথায় গিয়েছিলে? আমি সারা বাড়ি তন্ন তন্ন করে খুঁজেও তোমায় পাচ্ছি না যে।

– আরে এতো খোঁজার কি আছে আমি তো একটু এদিকেই গিয়েছিলাম আরকি তোমায় ছাড়া একা একা ঘুরতে ভালো লাগছিলো না তাই আবার চলে এলাম।

এলিসা এবার কিছুটা শান্ত হয়ে বললো- হুম যাও গিয়ে বসো।আমি নাস্তা রেডি করছি।।।

– আমাকে হারানোর এতো ভয়!!!!!

– মানে? তোমাকে হারানোর ভয় পাবো কেন আশ্চর্য তো!!
আদ্রিয়ান মুচকি মুচকি হাসতে হাসতে ভেতরে চলে গেলো।
রাতের ঘটনার কথা আদ্রিয়ানকে আর বলেনা এলিসা।তবে কানে শুধু সেই শব্দই বেজে যাচ্ছিলো। এলিসা এবার দিনের আলোতে সেই কক্ষের সামনে যায় আর দরজায় টোকা দিতে থাকে কিন্তু ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায় না।
দুপুরের দিকে পুলিশ অফিসার তার টিম নিয়ে আবার রাজবাড়ীতে আসে যেহেতু গতকাল এত ঝামেলায় এলিসার আনা কাগজপত্র গুলো ভালোভাবে চ্যাক করা হয়নি তাই চ্যাক করতে আসেন।রাজবাড়ীতে ওসমানের বংশধর সুলায়মানের পালিত মেয়ে নকল দলিল নিয়েও অনেকেই অসৎপথে জালিয়াতি করে রাজবাড়ীর দখল নিতে চেয়েছিলো এমনকি এখনো অনেকেই চেষ্টা করতে চলেছে।তাই কাউকেই উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া রাজবাড়ীতে থাকতে দেওয়া যাবে না।
এলিসাও তার বাবার রেখে যাওয়া সমস্ত তথ্য প্রমাণ পেশ করে। কিন্তু পুলিশ অফিসার যখন জিজ্ঞেস করে যে জনাব ওসমান কবে মারা গিয়েছিলেন এবং কিভাবে তখন এলিসা বলে উনি তো দেশেই ফিরে এসেছিলেন আর কখনোই তিনি সেখানে ফিরে যান নি। গতকাল এক বৃদ্ধ আমাকে বললো এই পদ্মপুকুরে নাকি জনাব ওসমানেরও লাশ ভেসে উঠেছিলো?
পুলিশ অফিসার ভ্রু কুঁচকে বলেন এ গায়ের সকলেই জানেন যে জনাব ওসমান বিলেতে চলে গিয়েছেন একে বারের জন্য। জনাব ওসমানের লাশ পদ্মপুকুরে ভেসে ওঠার কোনো চান্স নেই। কিন্তু আমি বুঝলাম না আপনাকে ঐ বৃদ্ধ লোক মিথ্যা কেন বললো? নাকি আপনিই আমাকে মিথ্যা বলে কেস ওলট পালট করার চেষ্টা করছেন??
এলিসা অফিসারের এমন কথায় বেশ বিরক্ত হয়ে যায় সে বলে আরে আশ্চর্য বিষয় তো আমি কেন মিথ্যা বলতে যাবো ঐ লোক আমায় যা বললো আমি তো তাই বললাম নাকি।
অফিসার বললো চলুন আমার সাথে রাজবাড়ীর কবরস্থান দেখাই আপনাকে এলিসা অফিসারকে অনুসরণ করে চলতে শুরু করলো আর দেখলো বংশীয় সকলের কবর থাকলেও কোথাও জনাব ওসমানের কবর নেই, এতে বোঝা গেলো লোকটি মিথ্যা বলেছিলো,কিন্তু কেনো??
রাজবাড়ী এখন বিখ্যাত জীবন্ত সমাধির কারণে। এলিসা এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে জুলেখার জীবন্ত সমাধিতে কেমন যেন ভয়ংকর অনুভূতির সৃষ্টি হচ্ছে মনে পরক্ষণেই চোখ পড়ে সুলায়মানের কবরে এলিসার মনে প্রশ্ন জাগে তবে জনাব ওসমান কোথায় গেলো তিনি তো বিলেতেও আর ফিরে যান নি তবে……

এলিসা অফিসারকে বলে – স্যার শুনুন আপনার সাথে আমার কিছু একান্ত কথার প্রয়োজন আছে আপনি সভাকক্ষে আসুন।
অফিসারের কাছে কাল রাতের হয়ে যাওয়া ঘটনাটি খুলে বললে তিনি বলেন হয়তো কোনো বিড়াল ইঁদুর খাচ্ছিলো আর অনেক রাতে এমন শব্দ পেয়ে আপনি হয়তো ভয় পেয়ে গেছেন। এটা তেমন কিছু না।

এলিসা অনুরোধ করে যাতে ওই কক্ষটি একবার খুলে দেখান, অফিসারও বাদ্ধ হয়ে সুলায়মান-জুলেখার কক্ষটি খুলে দেয় যা দেখে রীতিমতো অবাক হয় এলিসা এত সুন্দর এই কক্ষটি তার বেশ মনে ধরেছে এক মুহূর্ত এখানে এসেই এতো ভালো লাগছে আর সারাক্ষণ থাকলে কি হতো। কিন্তু কক্ষের কোথাও কিছু খুঁজে পাওয়া গেলো না। তালাবদ্ধ কক্ষে যদি বিড়াল ঢুকতো তবে সে কি করে বেরিয়ে গেলো?

এলিসা প্রশ্ন করে যে লোকটার পোস্ট মর্টেম রিপোর্টে কিছু ধরা পড়েছে কিনা অফিসার জানায় না তেমন কিছুই ধরা পড়েনি উনি পানিতে ডুবে মারা গিয়েছেন কিন্তু কথা হলো ওনার ওয়াইফ গেলো কোথায়??
এলিসা বলে উঠে এমনও তো হতে পারে লোকটার মরার পেছনে ওনার ওয়াইফের হাত আছে আর তাই উনি পালিয়েছেন। অফিসার মাথা নাড়িয়ে বললো আমরাও সেটাই সন্দেহ করেছি কিন্তু কেসটা যেন মিলছে না কিছুতেই, সবকিছুর উত্তর ঐ মহিলাকে পেলেই যানা যাবে।
অফিসার এলিসা ও আদ্রিয়ানকে সাবধানে থাকতে বলে রাজবাড়ীতে এ পর্যন্ত যারাই অবস্থান করেছে তাদেরই কোনো না কোনো ক্ষতি হয়েছে।
আমরা আমাদের মতো তদন্ত করে যাচ্ছি রহস্যের উন্মোচন হলে অবশ্যই জানাবো। আমার আগেও অনেক অফিসার এ রাজবাড়ীর রহস্যের উন্মোচন করতে এসেছিলেন কিন্তু এতে তেমন কোনো লাভ হয়নি হলেও আমি জানিনা। এই কেসটা সল্ভ করেই রাজবাড়ীর আসল মালিকানা বের করবো এরপর আপনাদের মাঝে ভাগ করে দেওয়া হবে। যেহেতু জনাব ওসমানেরও এই রাজবাড়ীর ভাগ প্রাপ্ত তাই আপনারাও পাবেন। অফিসার সাথে এটাও বলে কেস সল্ভ না হওয়া অবধি বাংলাদেশ থেকে যেতে পারবেন না যদি যেতে হয় তবে অবশ্যই আমাদের অনুমতি নিয়ে যেতে হবে।
এলিসা সম্মতি জানায় অফিসারের কথায়।
আদ্রিয়ান বিকেলে রাজবাড়ীর পদ্মপুকুরের পাশ দিয়ে হাটছিলো ঠান্ডা হাওয়া বইছিলো চারদিকে এখন যেন বেশ ভালো লাগছে পরিবেশটা। হঠাৎ করেই দেখতে পায় গতকালের বৃদ্ধ লোকটিকে তার গায়ে ধূসর রঙের একটা সাল জড়ানো মুখটা ভালো করে দেখা যাচ্ছে না মাথা নিচু করে রাখার জন্য।
বৃদ্ধ লোকটি বলে উঠলো রাজবাড়ী অভিশপ্ত এইখানে থাকলে জীবনের ঝুঁকি আছে তোমাদের না বললাম গতকাল এই পদ্মপুকুরে অনেকের লাশ ভাইসা ওঠে তবুও যাও নাই?
আদ্রিয়ান এবার কড়া কন্ঠে বলে উঠল আপনি মিথ্যা কেন বলেছেন জনাব ওসমানের লাশ তো পদ্মপুকুরে পাওয়া যায় নি ওনার কবরও এই বাড়ীতে নেই।উনার কীভাবে কোথায় মৃত্যু হয়েছে কেউ জানেনা এখানকার সকলে জানে উনি বিলেতে একেবারের জন্য চলে গেছেন তবে আপনি কেন এই কথা বললেন।

বৃদ্ধ লোকটির হঠাৎ করেই কাশি শুরু হয় সে আদ্রিয়ানকে পানি দিতে বলে আদ্রিয়ানও পানি আনতে যায় আর সাথে করে এলিসাকে নিয়ে আসে কিন্তু এসে দেখে বৃদ্ধ লোকটি পদ্মপুকুরের সামনে নেই।এলিসা অনেক অস্থির হয়ে পড়ে লোকটিকে খোঁজার জন্য কিন্তু কোথাও আর তার দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। আদ্রিয়ান এলিসাকে শান্ত হতে বলে আর বলে দেখবে লোকটা আবার আসবে আসলে উনি চাইছেন আমাদেরকে ভয় দেখিয়ে রাজবাড়ী থেকে বের করে দিতে নয়তো কেনো বললো তোমরা তবুও যাও নাই।
এলিসার মনে এবার আস্তে আস্তে কৌতুহলের সৃষ্টি হতে থাকে কেন যেন আস্তে আস্তে সব ধোঁয়াসা হয়ে যাচ্ছে।

এলিসা গ্রামে কাজের লোকের খোঁজ করতে বেরোয় কিন্তু কেউই রাজবাড়ীতে কাজের জন্য রাজি হতে চায় না সকলেই ভয় পায় রাজবাড়ীকে। কিন্তু একজন মধ্যবয়স্ক মহিলা রাজি হন তিনি অন্য গ্রাম থেকে বন্যার জন্য এ গ্রামে এসেছেন। তিনি রাজবাড়ীতে ভুতের ভয় আছে জানার পরেও কাজ করতে রাজি হন কারণ তার সন্তানেরা অভাবের চোটে না খেয়ে দিন পার করছে না খেয়ে মরার চেয়ে ভুতের ভয়ে মরা ঢের ভালো। বন্যায় ওনাদের সব ভাসিয়ে নিয়ে গেছে সহায় সম্বলহীন হয়ে পড়েছে। আগামীকাল থেকেই কাজ করবেন তিনি।

গ্রামের অনেকেই এলিসা ও আদ্রিয়ানকে রাজবাড়ী ছেড়ে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেন কিন্তু এলিসা যাবে না বলে জানায় তবে আদ্রিয়ান সকলের মুখে একই কথা শুনে কিছুটা ভয় পায় যদি সত্যিসত্যিই কোনো ক্ষতি হয়।
চারদিকে অন্ধকার নেমে আসতে শুরু করেছে এলিসা আদ্রিয়ান বাড়ির বাইরে বেশিক্ষণ অবস্থান করেনা অন্দরে প্রবেশ করে এরপর এলিসা রাতের অন্ধকারে রাজবাড়ীটাকে দেখতে থাকে কি অপরূপ সৌন্দর্যে ছেয়ে আছে পুরো বাড়িটা। আদ্রিয়ান রাজবংশের তলোয়ার গুলো স্পর্শ করে দেখছিলো কি অপূর্ব দেখতে আরও অনেক তলোয়ার ছিলো আগে যা এখন জাদুঘরে রাখা হয়েছে। আদ্রিয়ান আর এলিসা সুলায়মান ও জুলেখার কক্ষের সামনে হাটার সময় অনুভব করে এর নিচে নিশ্চয়ই কোনো সিক্রেট ঘর রয়েছে তবে এর ভেতরে যাওয়ার রাস্তা কোনোভাবেই খুঁজে পাচ্ছে না।
এলিসা দৌড়ে গিয়ে তার ব্যাগ থেকে রাজবাড়ীর ম্যাপ নিয়ে দেখতে থাকে কোথাও লুকোনো আন্ডারগ্রাউন্ড আছে কিনা কিন্তু ম্যাপে এর কোনো উল্লেখ পাওয়া গেলোনা।
এসব নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে করতে অনেক রাত হয়ে গিয়েছে আদ্রিয়ান বললো কাল সকালেই না হয় ভালোভাবে খোঁজা যাবে । এলিসা ও আদ্রিয়ান শুকনো কিছু খাবার খেয়ে যে যার রুমে গিয়ে শুয়ে পড়লো।

আজও সেই আওয়াজ ভেসে আসছে সুলায়মান ও জুলেখার কক্ষ হতে তবে আজ আদ্রিয়ান জেগে যায় সেই শব্দে। ও ভয়ে উঠতে চায় না কিন্তু শব্দটা যেন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে পড়ছে আদ্রিয়ান আর সহ্য করতে পারছেনা সে এবার বিরক্ত হয়ে উঠে দাড়িয়ে হাটা দিলো শব্দ অনুসরণ করতে করতে ঠিক সেই কক্ষের সামনেই পৌঁছে যায় ভয়ে গলা শুকিয়ে আসছে আদ্রিয়ানের। চারদিকে চোখ বুলাতেই অনুভব করে কেউ নেই এখানে কিন্তু হাড় গোড় চিবানোর মতো কটকট কটরমটর আওয়াজে কান ফেটে যাওয়ার উপক্রম। তালাবদ্ধ ঘর হতে এমন আওয়াজ ভেসে আসছে অনবরত আদ্রিয়ান চিৎকার করতে যেয়েও পারছে না কারণ গলা দিয়ে স্বর বের হচ্ছে না। পা দুটো যেন পাথরের ন্যায় হয়ে গেছে আদ্রিয়ান আর নড়তে পারছে না সারা শরীর ঘামে ভিজে একাকার কোথা থেকে যেন দমকা হাওয়া এসে মশালটাও নিভিয়ে দিয়ে গেলো……

চলবে,,,,,,,,
[ গল্পটি ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করে পাশে থাকবেন। যারা এখনো ফলো করেন নি তারা প্লিজ ফলো করে পাশে থাকবেন। ধন্যবাদ। ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here