মৃগতৃষ্ণিকা #পর্ব : ১২

0
180

#মৃগতৃষ্ণিকা
#পর্ব : ১২

অন্ধকারে আচ্ছাদিত অন্দরমহল থেকে সুবাস আসছিলো, খুব চেনা সুবাস তবে হেমন্তি মনে করতে পারছিলো না এটা কিসের সুবাস। সে লাল শাড়ি পরিহিত মেয়েটার চিন্তা মাথা থেকে সরিয়ে নিয়ে কোন ফুলের সুবাস সেটা ভাবতে লাগলো। মস্তিষ্কে যেন ঘ্রাণের খোজ করার তীব্র ইচ্ছা জেঁকে বসেছে।

একি! হুট করেই যেন মশালের আলো জলে উঠলো কি করে সম্ভব হলো?প্রশ্ন জাগে হেমন্তির মনে।
জ্বলে থাকা মশাল নিভে যাওয়া স্বাভাবিক হলেও নিভে যাওয়া মশাল জ্বলে ওঠা স্বাভাবিক বিষয় নয়।তবে আশ্চর্যের বিষয় কোথাও আর লাল শাড়ি পড়া মেয়েটা নেই।হেমন্তি চারদিকে চোখ বুলাচ্ছে অন্দরমহলের এদিক ওদিক ছোটাছুটি করছে কিন্তু কাউকেই দেখতে পাচ্ছে না। অস্থিরতা যেন বেড়েই চলেছে হুট করেই মনে হলো এটা তো বেলীফুলের সুবাস।সুবাসিত চারদিকে এখন আর সেই ঘ্রাণটা নেই। নাক দিয়ে গন্ধ শুকবার চেষ্টা করে চলেছে কিন্তু নাহ্ মুহূর্তেই যেন মিলিয়ে গেলো সেই সুবাস।
হেমন্তি আবার আব্দুলকে ডাকতে শুরু করলো কিন্তু না কোনো সাড়াশব্দ নেই।এবার ভয় হতে শুরু করে হেমন্তির।
তবে কি আব্দুল চাচা রাজবাড়ী তে নেই?নাকি তার সাথে খারাপ কিছু হয়েছে?
হেমন্তি এবার একটা মশাল হাতে নিয়ে হন্নে হয়ে খুঁজে বেড়াতে লাগলো পুরো রাজবাড়ী যেন তার ভয়ডর বলে কিছু নেই খুঁজতে খুঁজতে বাইরেও চলে এলো একসময়। তবে কোথাও কেউ নেই। বেগম জুলেখার জীবন্ত সমাধিতে এসেই থমকে গেলো হেমন্তি মনে পড়তে লাগলো পুরো অতীত সেই সাথে রাজবাড়ীতে কাটানো শেষ রাতের কথাও।
হেমন্তি একটা শুকনো ঢোক গিলে রাজবাড়ীর ভেতরে প্রবেশ করার জন্য পা বাড়াতেই তার মনে হলো পেছন থেকে কে যেন ডাকছে তবে সেটা মেয়েলি কন্ঠে।

দাঁ-ড়া-ও!!! কোথায় যা-ও??

রাজবাড়ীতে আব্দুল চাচা ছাড়া আর কেউ তো থাকে না তবে কে ডাকছে?
হেমন্তির কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমেছে, চোখ দুটো বড় করে গাঢ় কালো মণিটা এদিক ওদিক ঘুরিয়ে বোঝার চেষ্টা করছে কে আছে পেছনে কিন্তু আশ্চর্যের ব্যপার হলো এত রাতে কে হতে পারে?ভয়ার্ত চেহারা নিয়ে সে এবার ঘাড় ঘুরিয়ে পেছনে তাকাতেই দেখে সেখানে কেউ নেই। একি! একটু আগেই তো কে যেন ভরাট কন্ঠ জড়িত স্বরে বললো দাড়াতে কিন্তু কেউ তো নেই। হেমন্তির এবার ভয় করতে শুরু করলো জিভ দিয়ে ঠোঁট দুটো ভিজিয়ে নিয়ে নিজেকে কিছুটা সামলে নেওয়ার চেষ্টা করছে কিন্তু আবারও ঘুরে ফিরে সেই জীবন্ত সমাধির কাছেই এসে দাড়িয়েছে সে।

কেন যেন মনে হচ্ছে আমি বেগম জুলেখার অস্তিত্ব অনুভব করছি।
এমন গাঢ়ও হতে পারে মনের ভুল??
নাকি রাজবাড়ী তে এতদিন পর আসার কারনে আমার সাথে এমন হচ্ছে?
হেমন্তি কিছু বুঝে ওঠার আগেই কাউকে একটা রাজবাড়ীর পদ্মপুকুরের দিকে চলে যেতে দেখলো হেমন্তি এবার সেই অবয়বের পিছু করতে লাগলো দৌড়াতে লাগলো দ্রুত গতিতে কিন্তু কোনোমতেই যেন অবয়বটাকে স্পর্শ করতে পারছেনা সে।ক্লান্ত হয়ে দাড়িয়ে পড়লো পদ্মপুকুরের সামনে এবার মনে হতে লাগলো রফিকের কথা এই পদ্মপুকুরেই তার লাশ ভেসে উঠেছিলো। বেগম জুলেখা রফিককে মে*রে পদ্মপুকুরকে আরও রোমাঞ্চকর করে তুলেছে।মানুষ এটাকে এখন অভিশপ্ত মনে করে।দাঁড়ানো থেকে হুট করেই বসে পড়লো হেমন্তি চোখ থেকে দুফোঁটা জল গড়িয়ে মাটিতে পড়লো। মুখ থেকে অস্পষ্ট স্বরে বেরিয়ে এলো – র-ফি-ক!!
বাতাসের তীব্র বেগে হেমন্তির শাড়ির আঁচল উড়ছিলো কি থেকে কি যে হচ্ছে কিছুই বোধগম্য হচ্ছে না।
কে আছে এই রাজবাড়ী তে??
প্রশ্নের উত্তর টা পাওয়া যেন বেশ জটিল হয়ে যাচ্ছে। সত্যিই কি অশরীরী বলে কিছু আছে নাকি সবই আমাদের মনের ভুল।
কারো ঠান্ডা হাতের স্পর্শ হেমন্তির কাঁধে অনুভব করতেই আঁতকে উঠল সে কিন্তু পিছনে ফিরে তাকাবার মতো সাহস তার নেই।এতো ঠান্ডা কোনো মানুষের হাত হতে পারে বলে তো মনে হয় না। তবে এতো রাতে কে হাত রাখলো?
হেমন্তির কপালে দুশ্চিন্তার ভাজ মনের মধ্যে ভয় মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হচ্ছে না জোরে জোরে নিশ্বাস নিচ্ছে হেমন্তি। তীব্র বেগের বাতাসের সাথে কে যেন বলে উঠলো – চ-লে যা!! চলে যা ব-ল-ছিইইই!!!

হেমন্তির কাঁধ যেনো অবশ হয়ে আসছে কোনোভাবেই নড়াতে পারছে না। এবার আর সহ্য করতে পারছেনা হেমন্তি শরীরের সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করে চিৎকার করে উঠলো – কে কে তুমিইইই??
সামনে আসোওওও!!!!!
হেমন্তির চিৎকারে যেন কাঁধে থাকা হাতটা সরে গেলো অবশ হয়ে যাওয়া কাঁধটা যেন তার সরূপতা ফিরে পেলো। হেমন্তি এবার আর দেরি না করে এক ঝটকায় পেছনে ফিরলো কিন্তু পিছু ফিরে সে যা দেখলো তাতে সে মোটেও প্রস্তুত ছিলো না তার চেয়ে প্রায় তিনগুণ লম্বা একটা অবয়ব তারই পেছনে দাড়িয়ে, তাকে দেখতে হলে অবশ্যই মাথা উঁচু করতে হবে ঠিক যেমন আমরা বড় কোনো গাছ দেখার সময় করি।
হেমন্তিও ঠিক তাই করলো তার মাথাটা উঁচু করে চোখ বড় বড় করে তাকালো অধিক আগ্রহী হয়ে দেখবার চেষ্টা করলো কিন্তু সে কিছুই বুঝতে পারছেনা তাকে দেখা যাচ্ছে না তবে মনে হচ্ছে বিশাল লম্বা কোনো মানব।এত লম্বা কোনো মানব আদও হতে পারে কি প্রশ্ন জাগে হেমন্তির মনে। বুকের ভেতর থেকে ধুকপুক আওয়াজ আসছে সে নিজেই নিজের ধুকপুকানির শব্দে ভয় পাচ্ছে আরও স্পষ্টভাবে দেখার জন্য পা টা একটু উঁচু করে তাকালো কিন্তু না কিছুই দেখা যাচ্ছে না বেশ কিছুক্ষণ পায়ে চাপ পড়ার কারনে টাল সামলাতে না পেরে মাটিতে মুখ থুবড়ে পড়ে গেলো হেমন্তি।
মুখ থুবড়ে মাটিতে পড়ে যখনই দৃষ্টি গেলো অবয়ব টার পায়ের দিকে তখনই তার কলিজা খানা যেনো কেঁপে উঠলো। চোখ বড় বড় করে আরও ভালোভাবে দেখার চেষ্টা করলো আসলেই তো অবয়ব টা মাটিতে পা রাখেনি। মাটি থেকে বেশ খানিকটা উপরে ভাসছে অবয়বটা।একটা ছায়া মানব!!!
হেমন্তি আর সহ্য করতে পারছেনা এসব কি দেখছে সে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছেনা একটা সময় জ্ঞান হারালো সে। চিৎকার করার ক্ষমতাটুকুও যেনো সে হারিয়েছে। চোখ দুটো বুজে গিয়েছে তার পৃথিবীর আর কিছুই সে দেখছে না।

*
ভোর হতে না হতেই রাজবাড়ীতে আগমন ঘটলো আব্দুল এর। রাজবাড়ী তে ঢুকতে না ঢুকতেই আব্দুল হকচকিয়ে গেলো।
একি! ম্যাডাম। ম্যা-ডা-ম! ম্যা-ডা-ম!
কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে আব্দুল আরও ঘাবড়ে গেলেন কিছু হয়ে যায়নি তো আবার।
একা একাই বিড়বিড় করে বলতে লাগলো – আমি আগেই কইছিলাম এই বাড়ীতে কোনো আত্মা আছে কেউ বিশ্বাস করতে চায় নাই।
আমি আগেই সাবধান করছিলাম কিন্তু শুনলো না এখন কি হইবো আবারও রাজবাড়ী তে একটা ঝামেলা হইবো।
আমি কি তারে ধরমু?নিজেকেই নিজে প্রশ্ন করলো আব্দুল।
পদ্মপুকুরের খেজুর গাছের নিচে হেমন্তি হাত পা ছড়িয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। বিধ্বস্ত দেখাচ্ছে মেয়েটাকে, এমনভাবে গাছের নিচে পড়ে থাকতে দেখে আব্দুলের মনে ভয়ের জন্ম নিলো।
ঘন ঘন নিশ্বাস নিচ্ছে আব্দুল মেয়েটার কিছু হয়ে গেলে তো পুলিশ আসবে আব্দুল পুলিশকে ভীষণ ভয় পায়। তাই দিক পাঁচ না ভেবে হেমন্তিকে টেনে তুললো হেলান দিয়ে রাখলো খেজুর গাছটার সাথে।
নাকের কাছে আব্দুল আঙুল নিয়ে বোঝার চেষ্টা করছে নিঃশ্বাস পড়ছে কি না।
হেমন্তির নাকের সামনে হাত নিতেই যেনো আব্দুল এর দেহে প্রাণ ফিরে এলো সে এবার বড় করে একটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেললো।- হুহ্ !!!!!!

তবে চিন্তার বিষয় মেয়েটা এই খেজুর গাছটার নিচে কি করে।যদি আমারে জিজ্ঞেস করে আমি রাতে এই বাড়ীতে ছিলাম কি না তখন কি বলমু?
তর্জনী আঙুল দাঁত দিয়ে কামড়াতে কামড়াতে কথাগুলো বললো আব্দুল।
অতঃপর সে ভেবে বের করলো আগে হেমন্তির কথা শুনবে তারপর সে যা বলার বলবে। আব্দুল দৌড়ে গিয়ে পানির পাত্র আনলো এরপর হেমন্তির চোখেমুখে পানির ঝাপটা দিতে লাগলো। কিছুক্ষণ পর হেমন্তির দুচোখের পাতা কিঞ্চিৎ নড়ে উঠলো।
হয়তো জ্ঞান হারিয়েছিলো মেয়েটা আচমকাই সে ধরফর করে উঠে বসে পড়লো।
যেন সে পৃথিবী থেকে কিছুটা দূরত্বে ছিলো এতক্ষণ, বলে উঠলো – একি!আমি আ-আ-মি কোথায়??
-আপনি কে?
আব্দুল ভ্রু জোড়া কুঁচকে নিয়ে মাথা চুলকাতে চুলকাতে জিজ্ঞেস করলো- ম্যাডাম আপনের কি ভুলবার রোগ আছে নাকি?কালকেই তো আসলেন আপনে আর এর মধ্যেই আমারে ভুইলা গেলেন !
হেমন্তি কিছুটা সময় চুপ করে রইলো মনে করতে লাগলো কালকের কথা -হ্যা মনে পড়েছে আমি তো রাজবাড়ী তে এসেছিলাম বাচ্চাদের চুরি হওয়ার রহস্য উন্মোচন করতে কিন্তু তারপর কি হয়েছিলো আমি এখানে কেনো আব্দুল চাচা?
আব্দুল থতমত খেয়ে মাথা ঝাকাতে লাগলো আর বললো ম্যাডাম আপনে তো রাতে ঘুমাতে গেলেন আর আমিও ঘুমাইলাম কিন্তু উইঠ্যা দেখি আপনে কোথাও নাই আপনার কক্ষের দরজা হাট কইরা খোলা। খুঁজতে খুঁজতে বাইরে বেরিয়ে দেখি আপনে পদ্মপুকুরের সামনে খেজুর গাছটার নিচে বিধ্বস্ত অবস্থায় পইড়া আছেন। হয়তো বা জ্ঞান হারায়ছিলেন।
পানি ছিটাইতে ছিটাইতে আপনে সজ্ঞানে আসলেন।

হেমন্তি সন্দেহের দৃষ্টিতে আব্দুল এর দিকে তাকাতেই থতমত খেয়ে আব্দুল বলল ম্যাডাম আমি সত্যি কইতাছি আমি এই রাজবাড়ীতেই ছিলাম, বিশ্বাস করেন।।
হেমন্তি কথা বাড়ালো না তবে তাকে তার কক্ষ অবধি পৌঁছে দিতে বলল কিছুক্ষণ সে বিশ্রাম নিবে বলে জানায়।আব্দুল হেমন্তি কে তার কক্ষে পৌঁছে দিয়ে এলো আর বললো আপনার জন্য চা-নাশতার ব্যবস্থা করছি ততক্ষণে আপনি বিশ্রাম নেন।
হেমন্তি বিছানায় হেলান দিয়ে চোখ দুটো বন্ধ করে গতকাল রাতের ঘটনা মনে করার চেষ্টা করতে লাগলো কয়েক মুহুর্ত কাটতে না কাটতেই তার মস্তিষ্কে কিলবিল করতে লাগলো রাতের অন্ধকারের সব ভয়ংকর মুহুর্তগুলো। আচমকাই চোখ খুলে ফেললো সে, আতঙ্কে যেন তার আত্মাটা বেরিয়ে এলো চিৎকার করে ডেকে উঠলো- আব্দুল চাচা আআআআআআ!!!

আব্দুল দিক পাঁচ ভুলে ছুট লাগালো হেমন্তির কক্ষের উদ্দেশ্য।- কি -কি হয়েছে ম্যাডাম??

হেমন্তি রাগান্বিত ভাব নিয়ে বললো- মিথ্যা কেন বললেন আমায়??আপনি তো রাতে ছিলেন না, কোথায় ছিলেন আপনি?

– আমি তো ছিলাম।

– না ছিলেন না। আমি লাল শাড়ি পরিহিত কোনো মেয়েকে অন্দরমহলের দিকে যেতে দেখে আপনাকে ডেকেছি বহুবার কিন্তু আপনি কোনো সাড়াশব্দ দেননি। আপনাকে খুঁজতে খুঁজতে আমি বাইরে বেরোই আর তারপর—–

– তারপর কি ম্যাডাম?

-তারপর এমন একটা অবয়ব দেখতে পাই যা আমার কল্পনার বাইরে ভীষণ লম্বা কোনো কিছু যাকে দেখতে হলে আকাশ পানে চাইতে হয় কিন্তু তার পা মাটিকে স্পর্শ করেনি মাটি থেকে বেশ কিছু টা ওপরে সে হাওয়ায় ভাসছিলো। উফ! কি বিভৎস একটা রাত আমি আর কিছু মনে করতে পারছি না।

আব্দুলের চোখ যেন কপালে উঠে গেলো হেমন্তির কথা শুনে হা করে হেমন্তির কথা শুনে চলেছে।

হেমন্তি থেমে যাওয়াতে আব্দুল বলে উঠল -ম্যাডাম আমি তো লাল শাড়ি পড়া কোনো কিছু দেখি নাই বরং আমি কালো বোরকা পরিহিতা মহিলা দেখছিলাম। এমনকি কয়েক মাস আগে যেই স্যার আইছিলো ডকুমেন্টারি তৈরি করতে সেও বলছে একই জিনিস দেখছে। কিন্তু আপনে যা কইলেন তা তো আরও মারাত্মক।

– আমায় একা এই রাজবাড়ী তে ফেলে চলে যাওয়াটা কি ঠিক হয়েছে, বলুন তো? যদি আমার সাথে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতো তখন তো জবাবদিহি করতে হতো আপনাকে। নাকি!!
এরপর থেকে যেনো এমন ভুল আর না হয়।

– আসলে ম্যাডাম আমি এইসব ভুতপ্রেতে ভীষণ ভয় পাই তীব্র জ্বর আসে গায়ে।আমি পারুম না এই ভুতুরে বাড়ীতে রাত্রিযাপন করতে। মাফ করবেন।

– আহ্হা আপনি শুধু শুধু ভয় পাচ্ছেন রাতের অন্ধকারে কী দেখতে কী দেখেছি তার ঠিক নেই আর আমি এসব নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করার কারনেই হয়তো মস্তিষ্কে বিভ্রান্ত দেখা দিয়েছে। হতে পারে খেজুর গাছটাকেই কল্পনা করেছি ছায়া মানব ভেবে।

আব্দুল মনে মনে সাহস জোগালো হতেও পারে তার মনের ভুল কিন্তু মনে প্রশ্ন জাগে এমন বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিলো কেনো মেয়েটাকে?
ধুর! আর ভাববো না এসব নিয়ে। চাকরিটা বাঁচাতে হলে কয়েকটা দিনের জন্য ভয়কে জয় করতে হবে। তারপর তো আবার আগের মতোই চলবে সবকিছু।

হেমন্তি আব্দুলকে উদ্দেশ্য করে বললো শুনুন আজ আপনাকে নিয়ে একটু গ্রামে বের হবো। কোথাও কোনো সন্দেহজনক বা অস্বাভাবিক ঘটনা দেখলে আমায় বলবেন।

আব্দুল উত্তেজিত হয়ে বললো আরে ম্যাডাম দেখবো আর কি প্রতিনিয়ত এই গ্রামে অস্বাভাবিক ঘটনা ঘইট্টা যাইতাছে।একের পর এক চলতেই আছে, কোনটা রেখে কোনটা বলব?

হেমন্তি উৎকন্ঠা নিয়ে জিজ্ঞেস করলো যা যা হচ্ছে সবটা বলুন আমায় আমি জানতাম নিশ্চয়ই কোনো না কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে এই রাজবাড়ী গ্রামে।
[ রাতেই সময় পাই লেখালেখি করার জন্য তারওপর ভৌতিক ব্যাপার গুলো লিখতে গেলে আমায় কেমন যেনো ভয় করে।তাই একটু একটু করে লিখি। সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ সবাইকে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করে পাশেই থাকবেন।গল্প সম্পর্কে আপনাদের মন্তব্য গুলো অবশ্যই শেয়ার করবেন।]

চলবে,,,,,,

#লেখা: মুন্নি ইসলাম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here