#মৃগতৃষ্ণিকা
#পর্ব:১৪
পরিবানুর আঁকা অবয়ব টার দিকে সকলের দৃষ্টি স্থির হয় তবে কেউই সেই অবয়বটার মানে বুঝতে পারছেনা।
আব্দুল হেমন্তিকে টেনে তুলার চেষ্টা চালায় কিন্তু হেমন্তি খিচ মেরে বসে রইলো আতঙ্কিত দেখাচ্ছিলো তাকে। তর্জনী আঙুল নামিয়ে নিয়ে সেটা মুখে দিয়ে কি যেনো ভাবনায় ডুব দিলো।
আব্দুল ও আশেপাশের লোকজন সবাই এবার পরিবানুকে নিয়ে চিন্তা বাদ দিয়ে হেমন্তি কে নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়লো তারা ভাবতে লাগলো হয়তো পরিবানুর ওপর ভর করে থাকা জ্বীন এবার হেমন্তির ওপর ভর করেছে।
পরিবানু স্থির হয়ে বসে পড়লো যেনো সে হাফ ছেড়ে বাচলো সে যা এতদিন বোঝাতে চেয়েছে কাউকে অন্তত বোঝাতে পেরেছে।
তবে সে নিশ্চিত হওয়ার জন্য হেমন্তির কাছাকাছি যেতে চাইলে আব্দুল সহ বাকিরা সবাই তাকে ধরে গাছের সাথে বেঁধে ফেলে।সবাই ভাবছিলো পরিবানু হয়তো শহুরে মেয়েটার কোনো ক্ষতি করতে চায় কিন্তু সত্যি তো এটাই যে পরিবানু আসলে এতদিনে একজন মানুষকে খুঁজে পেয়েছে যাকে সে এতদিন খুঁজেছিল।
মতি চাইছিলো না পরিবানু বাঁধা অবস্থায় থাকুক এতগুলো দিন অতিক্রম করেছে কত কিছুই না করেছে কিন্তু কোনোদিন পরিবানুকে সে বেঁধে রেখে কষ্ট দিতে চায়নি।বরং বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে জোছনা কে ঘরে আটকে রেখেছে।আশ্চর্যজনক হলো মতি জোছনা কে তার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসে।
হেমন্তিকে টেনে তুললো আব্দুলের স্ত্রী রহিমা বেগম। রহিমা বেগমের সাথে যোগ দিয়েছে আরও কয়েকজন মধ্যবয়স্ক মহিলা। তারা হেমন্তি কে নিয়ে গেলো আব্দুলের বাড়িতে।
রহিমা বেগম আব্দুলকে বললো গ্রামের হুজুরকে খবর দিতে সে হেমন্তি কে শুইয়ে দিয়েছে বলে জানায়।
আব্দুল গ্রামের বড় হুজুরকে সাথে করে নিয়ে এলো বাড়িতে পথে তাকে সবটা খুলে বলল। বাড়িতে এসেই তিনি হেমন্তিকে ঝাড়ফুক করে দিলেন। সাথে পানি পরাও দিয়ে গেলেন।বলে গেলেন হেমন্তি কে দেখে রাখতে, ভরদুপুর বেলা আর সন্ধ্যা বেলা সাবধানে থাকতে বললেন।রাতে বাড়ির বাইরে যাওয়াও নিষেধ করলেন।
হেমন্তি সেদিন আব্দুল এর বাড়িতেই থেকে যায় গভীর ঘুম তাকে ঘিরে ফেলেছিলো।সকাল হতে না হতেই হেমন্তির ঘুম ভেঙে গেলো উঠে দেখে সে আব্দুল এর বাড়িতে পাশেই বসে আছে রহিমা। ভাবনায় পরে যায় হেমন্তি তবে কি সারারাত ইনি আমার মাথার কাছেই বসে ছিলেন।নিজেকেই নিজে প্রশ্ন ছুড়ে মারে।
গায়ের কাঁথাটা দিয়ে রহিমার শরীর ঢেকে দিচ্ছে হেমন্তি মানুষের প্রতি মানুষের কত টান তা অনুভব করছে হেমন্তি। চেনা নেই জানা নেই তবুও কত টান একে অপরের প্রতি। একেই হয়তো বলে মানুষ প্রীতি।
আবার এই মানুষেরাই একে অন্যের ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়ায় এই যে যেমন আমি সিরাজের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছি।কারো কাছে আমি পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট জীব আবার কারো কাছে আমি স্নিগ্ধ পবিত্র।
রূপা আমার কাছে ঠিক যতটা স্নিগ্ধ পবিত্র আমি জানি রূপার কাছেও তার হেমন্তি মা ততটাই স্নিগ্ধ, পবিত্র।
আচ্ছা আমি কি অনেক বড় অন্যায় করেছি সিরাজের ডকুমেন্টারি পাবলিশ করতে না দিয়ে? আমি তো রূপার রাজপুত্রকে পৃথিবীর কাছে অপরাধী বানাতে চাইনি রূপা তার রাজকুমার কে যতটা স্নিগ্ধ আর পবিত্র মনে করে আমিও চেয়েছি পৃথিবীর সকল মানুষ তাই জানুক।
জনাব সুলায়মান তার বেগমকে অসম্ভব ভালোবেসেও হারিয়েছেন নিজের হাতেই ভালোবাসার সমাপ্তি ঘটিয়েছেন। আমিও তার ব্যতিক্রম নই নিজের হাতেই নিজের ভালোবাসাকে গলা টিপে হ*ত্যা করেছি। সিরাজকে আমি কতটা ভালোবাসি তা কেবল আমি আর আমার অন্তরজামীই জানে।
রহিমা বেগম টের পেতেই ধরফরিয়ে উঠে পড়লেন অস্থির হয়ে জিজ্ঞেস করলেন- একি! মা তুমি কখন উঠলে? ঠিক আছো তো তুমি?
হেমন্তি স্নিগ্ধ একটা হাসি দিয়ে বলল – জ্বী চাচি আমি ঠিক আছি আপনি আর ভাববেন না।সারা রাত আপনি আমার মাথার কাছে শুয়ে ছিলেন অনেকটা কষ্ট করতে হয়েছে আপনাকে তাইনা?
– কি যে বলো না মা।
রহিমা জিভে কামড় বসিয়ে বলল- আমি আপনেরে তুমি কইরা বলে ফেলছি কিছু মনে করেন নাই তো?
– চাচি আমায় আপনি তুমি করেই বলবেন। আমি এতেই ভী খুশি হই বড্ড আপন আপন মনে হয়।
রহিমা হেসে বললো – তাই তো! তোমার চাচায় কেমনে যে ম্যাডাম কয় আমি হইলে তো পারতামই না বিশ্বাস করো।
দুজনেই খিলখিল করে হেসে উঠল। এরপর রহিমা রিনরিন করে হেমন্তির কানের কাছে মুখ নিয়ে বললো- কাল রাতে তুমি কি কিছু দেখছিলা মা?
হেমন্তি এবার চুপসে গেলো হাসিমাখা মুখখানায় ভয়ের ছাপ দেখা দিলো।মনে পড়লো পরি বানুর আকা সেই অবয়ব টার কথা। এ কথা যে কাউকে বলার মতো না। সে যা দেখেছে তা কোনোভাবেই কাউকে বলা যাবে না।কিন্তু কথা হলো পরি বানু এটা আকঁলো কি করে তবে কি সেও আমাদের মতো সবটা জানতো??
না! না! এটা কি করে সম্ভব।
অবয়বটার কথা হেমন্তির মনে হতে থাকে একটা বোরকা পরিহিতা মহিলা তবে সেটা বেশি স্পষ্ট নয় তবে তার হাতে একটা কলিজার ন্যায় অঙ্গ আকা ছিলো সেটা থেকে টপটপ করে রক্ত পড়ছে।
অর্থাৎ কোনো নারী কারো বুক চিরে কলিজা বের করে সেটা হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আর সেই কলিজা থেকে টপটপ করে রক্ত নিচে পড়ছে। এই মহিলা তো আর কেউ নয় ইনি হলেন বেগম জুলেখা!!
কি দেখছিলা কাল রাতে মা?
রহিমার এহেন প্রশ্নে আঁতকে উঠল হেমন্তি বুকের ভেতর ধুপধাপ আওয়াজ হচ্ছে চোখ দুটো বড় বড় করে আছে।অতঃপর ভেজা ঢোক গিলে বলল- না না আ আ আমি কিছু দেখিনি।
তুমি কি দেখছো কও না মা। আমারে না তুমি চাচি ডাকছো।জ্বীন-ভূত কি কিছু দেখছো?( ফিসফিস করে বলল)
হেমন্তি এবার অপ্রস্তুত হয়ে পড়লো কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না তবুও বললো সে কিছুই দেখেনি আর দেখলেও তার সেটা মনে নেই।
হেমন্তি এবার রাজবাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা দিলো আব্দুল কে নিয়ে। তার ভেতরে বড্ড ভয় হচ্ছে বেগম জুলেখা কি তবে ফিরে এসেছে?? রাজবাড়ী গ্রামে যা যা অস্বাভাবিক আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটছে তার সবই কি তবে বেগম জুলেখার ফিরে আসার আলামত??
অনেক প্রশ্নই কিলবিল করছে হেমন্তির মনে তবে সেটা সে কাউকে বলতে পারছে না। ভেতরে ভেতরে আতঙ্কিত হয়ে আছে এমন সময় রূপাকে নিয়েও তার মনে বড্ড ভয়। ওখানে রূপা ঠিক আছে তো নাকি নেই কিছুই বুঝতে পারছেনা সে।এদিকে এই রহস্য উন্মোচন না করেও তো বাড়িতে যাওয়া যাচ্ছে না। কি করবে সে কিছুই বুঝতে পারছেনা।
রাজবাড়ীতে ঢুকতে না ঢুকতেই হেমন্তি তাড়াহুড়ো করে কক্ষে প্রবেশ করে চিঠি লিখতে শুরু করলো বাড়ির ঠিকানায়। রুপা কেমন আছে জানার জন্য মন যে বড্ড ছটফট করছে তার তবে বাড়িতে যেতে তার আরও কয়েকদিন দেরি হবে সেটাও সে চিঠিতে উল্লেখ করে দেয়।
চিঠি লিখা শেষ করে হেমন্তি আব্দুল এর হাতে দিয়ে বলল- চাচা এটা যত দ্রুত সম্ভব আমার বাড়ির ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেন।আমার রূপা কেমন আছে জানতে খুব ইচ্ছে করছে।
আব্দুল হেমন্তির করুন দৃষ্টি দেখে বলল- আপনি চিন্তা করবেন না ম্যাডাম আমি যত দ্রুত সম্ভব পৌঁছানোর চেষ্টা করবো।
– চাচা একটা অনুরোধ আপনি আমায় অনেক স্নেহ করেন সেটা আমি জানি তবে এই যে ম্যাডাম বলেন আপনি করে বলেন সেটা আমার ভালো লাগে না।আপনি আমায় নাম ধরেই ডাকবেন তুমি অথবা তুই সম্বোধন করবেন তবেই তো আপন মনে হবে।
আব্দুল খুশি হয়ে বলল যখন এত করে বলছো তখন না হয় তাই হবে। তবে মা একটা কথা চাচা বলে যখন ডেকেছো তখন একটা কথা বলি যত দ্রুত সম্ভব এই রাজবাড়ী ত্যাগ দাও নয়তো অনেক বিপদে পড়তে পারো।কখন কোন দিক দিয়ে কি বিপদ নামবে তা টেরও পাবে না।
হেমন্তি মাথা নাড়িয়ে সায় দিল ঠিকি তবে সাথে এও বলল সে রহস্য উন্মোচন এর খুবই সন্নিকটে রয়েছে। শুধু একটু চেষ্টা ও সময়ের প্রয়োজন।
আব্দুল একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস টেনে নিয়ে বলল – তুমি যা ভালো বোঝো তাই কর।
চাচা আপনি আমায় একটু সহযোগিতা করলেই আমি পারবো। পাশে থাকবেন তো আমার?
আব্দুল হাসিমাখা মুখে বললো – এই প্রথম আমায় কেউ ভরসা করছে আমি নিশ্চয়ই তার মান রাখবো।
*
লতিফা বেগম রূপার ব্যবহারে কিঞ্চিৎ অবাক হলো আজ চার-পাঁচ দিন হলো হেমন্তি কে ছেড়ে আছে এইটুকু বাচ্চা তার কোনো অভিযোগ নেই। টু শব্দ পর্যন্ত করছেনা সে শুধু জিজ্ঞেস করেছে মা কবে আসবে?
লতিফা বেগমও বলেছেন তোমার মা আর কয়েকদিন পরেই চলে আসবে।
রূপা কেবল মন খারাপ করে থাকে খাতায় আঁকিবুঁকি করে খাওয়ার সময় নিয়ম করে খায় কোনো জালাতন করে না। লতিফা বেগম রূপার খাতা-কলম গুছিয়ে রাখতে গিয়ে দেখে মা আর মেয়ে হাত ধরে হাঁটছে এমন ছবি এঁকেছে। কাঁচা হাতের আকা হলেও অনুভূতি গুলো স্পষ্ট ফুটে উঠেছে। লতিফা বেগম শাড়ির আঁচল দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে বললেন বড্ড শক্তি মেয়েটার। কষ্ট চেপে রাখার অসীম ক্ষমতা আছে তার মাঝে।
মনের মধ্যে সমস্ত কষ্ট লুকিয়ে রেখে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে মেয়েটা।
আমি একটাবারও বুঝতে পারলাম না ওর হেমন্তির জন্য মন খারাপ করছে। সত্যি বলতে মেয়েটা আমার থেকে দূরে থাকলে আমারও কষ্ট হয়। রূপা যে তার ছোট্ট মা তার তো কষ্ট হবেই।
লতিফা বেগম রূপাকে কাছে টেনে নিয়ে আদর করতে লাগলো দুজনে বেরিয়ে পড়লো পরন্ত বিকেলে ঘুরতে।
নানি আর নাতনিকে আর কে পায়।
_________
পরিবানুকে দেখতে হেমন্তি আব্দুল কে নিয়ে রওনা দিলো। আব্দুল অনেকবারই নিষেধ করেছে পরি বানুর কাছাকাছি যেতে আসলে সবাই নাকি বলাবলি করছে পরিবানুকে জ্বীনে ধরেছে। তা-ই তার কাছাকাছি যাওয়া মোটেই উচিৎ নয়। কিন্তু হেমন্তির জোড়াজুড়ি তে আব্দুল তাকে নিয়ে যেতে বাদ্ধ হয়।
পরিবানু গতকাল রাত থেকেই বাঁধা অবস্থায় আছে সে একবারও তার বাঁধন খুলে দিতে বলেনি তার আর আগ বাড়িয়ে মতি সেই বাঁধন খুলেও দেয়নি।কিন্তু আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলো পরিবানু আর কোনো পাগলামি করছে না। একদম নিশ্চুপ হয়ে আছে স্বাভাবিক মনে না হলেও অস্বাভাবিক আচরণও করছে না।
হেমন্তি পরিবানুকে পর্যবেক্ষণ করার চেষ্টা করছে এমতাবস্থায় মতি হেমন্তি কে দেখে বেশ বিরক্ত হয়।কাল রাতে কেবলমাত্র তার জন্যই পরিবানুকে বাঁধতে হয়েছে গাছের সাথে আজ আবার তার আগমন।
মতি উত্তেজিত হয়ে বললো- আপনে!! আপনে কেনো এসেছেন এখানে? অচেনা অজানা মানুষ দেখলে বুড়ি ভয় পায় সে অন্যরকম আচরণ করে। চইলা যান কইতাছি আর ঝামেলা বাড়াইয়েন না দয়া কইরা।
আব্দুলের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বললো – ওনারে নিয়া যান আর এইখানে নিয়া আইসেন না।
হেমন্তি মতির কথায় পাত্তা না দিয়ে উঁকি ঝুঁকি মারছে মতির ঘরের দিকে।দরজা আবজে রেখে দেওয়া হয়েছে তবে কোনো মানুষ সেখানে অবস্থান করছে বলে মনে হয়না।
হেমন্তি উৎকন্ঠা নিয়ে জিজ্ঞেস করলো – আচ্ছা আপনার স্ত্রী জোছনা কোথায়??
তার সাথে কি কথা বলতে পারি??
উত্তেজিত মতি হঠাৎ চুপসে গেলো সে ঘন ঘন নিশ্বাস নিচ্ছে চোখের দৃষ্টি ওলট-পালট মনে তার অজানা ভয় বিরাজ করছে তবুও মুখ ফুটে বলল- না না জোছনার সাথে কথা বলা যাবে না সে এখন ঘুমায়।
– ওহ্! সমস্যা নেই আমরা অপেক্ষা করছি এখনই সন্ধ্যা নামবে তখন তো সে নিশ্চয়ই উঠবে।তাইনা??
– তার সাথে আপনের কি প্রয়োজন??
– সেটা না হয় তাকেই বলবো।কয়েকটা প্রশ্ন আছে আমার যার উত্তর কেবলমাত্র জোছনার কাছেই রয়েছে।
মতি চোখ দুটো বড় বড় করে তাকায় হেমন্তির দিকে বলে আপনেরা এখন যান তো অন্যদিন আইসেন। জোছনার শরীর বেশি ভালো না ও কারো সাথে কথা বলতে পারবো না।
আব্দুল এবার আর চুপ করে থাকতে না পেরে বলল- মতি তোর সমস্যা কি জোছনার লগে কথা কইলে অনেক্ষন হইছে দেখতাছি ছুতোনাতা দিয়ে আমাদের চলে যেতে বলছিস। সত্যি করে বলতো আসল ঘটনা কি?
এরমাঝে হেমন্তি আবার আরও একখানা জটিল বাক্য যোগ দিয়ে বসলো- জোছনা কি বাড়িতে নেই নাকি মতি বাবু। যার জন্য আপনি আমাকে তার সাথে দেখা করাতে বা কথা বলাতে পারবেন না।
হেমন্তির এই কথায় মতি ভীষণ আশ্চর্য হলো হওয়ারই কথা এই মেয়েটা কি করে জানলো জোছনা বাড়িতে নেই।মতি নতজানু হয়ে আছে সে ভয়ার্ত চোখে তাকিয়ে আছে হেমন্তির দিকে।
হেমন্তি আবার বললো – কোথায় গেছে সে??
চলবে,,,
#লেখা: মুন্নি ইসলাম