স্নিগ্ধ_কাঠগোলাপ (🚫 রেড এলার্ট) #সাদিয়া_জাহান_উম্মি #পর্বঃ৩৮

0
724

#স্নিগ্ধ_কাঠগোলাপ (🚫 রেড এলার্ট)
#সাদিয়া_জাহান_উম্মি
#পর্বঃ৩৮
আরাবীর ক্ষতস্থানে মলম লাগিয়ে দিচ্ছে জায়ান।অত্যন্ত যত্ন সহকারে কাজটা করছে সে।একটুখানি মলম লাগাচ্ছে আর বার বার ফুঁ দিচ্ছে।যাতে আরাবীর একটুও কষ্ট না হয়।তবে চোখমুখ বেশ গম্ভীর।চোয়ালদ্বয় শক্ত করে রেখেছে।রাগে দাঁতে দাঁতে ঘর্ষণ দিচ্ছে।ফলে অদ্ভুত শব্দ হচ্ছে।জায়ানের এহেন রূপের সাথে আরাবীর দ্বিতীয়বার পরিচয় হলো।ভয়ে আরাবীর শরীরের প্রতিটি লোম দাঁড়িয়ে গিয়েছে।জায়ানকে দেখতে ভীষণ ভয়ং’কর দেখাচ্ছে।কিছু একটা বলে যে শান্ত করবে লোকটাকে।তাও পারছে না।কারন ভয়ে ওর গলা শুকিয়ে গিয়েছে।মুখ দিয়ে কোনো আওয়াজই বের হচ্ছে না।আরাবী জোড়ে দু তিনটা শ্বাস ফেলল।নাহ,এভাবে হবে না।লোকটাকে শান্ত করতে হবে।আরাবী মনে মনে সাহস জুগিয়ে হালকা আওয়াজে বলতে চাইলো,’ শুনুন না আমি আসলে….’

আরাবী কথাটা সম্পূর্ণ করতে পারলো না।তার আগেই জায়ান সেখান থেকে উঠে চলে গিয়েছে।গিয়ে আলমারি থেকে জামা কাপড় নিয়ে কোনো শব্দ না করেই ওয়াশরুমে চলে গেলো।জায়ানের এহেন কাণ্ডে না চাইতেও আরাবীর চোখে অশ্রু জমলো।লোকটার এমন নিরাবতা সহ্য করতে পারছে না ও।মানছে ওর অসাবধানতার কারনে আজ এরকম একটা ঘটনা হয়েছে।তাই বলে কি লোকটা এমন ব্যবহার করবে?আরাবী ঠোঁট কামড়ে ধরল।আচ্ছা,এতো কষ্ট করে এতোকিছু রান্না করল।লোকটা কি এখন সেগুলোও খাবে না ওর সাথে রাগ করে?আরাবী বিছানায় শুয়ে পরল।ভালো লাগছে না কিছুই।আজকের পুরো দিনটাই খারাপ।আজ যেন সবকিছু খারাপই হচ্ছে ওর সাথে।লোকটার জন্যে কিছু করে যে লোকটার অভিমান ভাঙাবে। তাও তো এখন করতে পারবে না।পা-টাও পুড়িয়ে বসে আছে।কি করবে আরাবী?রান্না করে মন গলাবে কি?এটা করতে গিয়েই পা পুড়িয়ে এখন যেন রাগের আগুনে আরও কেরোসিন ঢেলে দিয়েছে আরাবী।
জায়ানকে কিভাবে মানাবে এসব ভাবতে ভাবতে একসময় ঘুমিয়ে গেলো আরাবী।একেতো পায়ে ব্যথা,তার উপর সকাল থেকে এতো খাটাখাটুনি করে রান্নাবান্না করেছে।ক্লান্তিতে দুচোখের পাতায় ঘুমের রাজা এসে ভড় করেছে।

এদিকে ঘণ্টা দেড়েক লাগিয়ে গোসল নিয়ে বের হলো জায়ান।রাগে সারা শরীর জ্বলছিলো।ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করে যদি নিজেকে একটু শান্ত করা যায় সেই আশাতেই এতোক্ষণ লাগল।
ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে বিছানার দিকে আঁড়চোখে তাকিয়ে চোখ সরিয়ে নিলো জায়ান।পর পর আবারও চমকিত দৃষ্টিতে প্রিয়তমার দিকে তাকায়।
এলোমেলো চুলে,এলোমেলো শাড়িতে যেন একটা ঘুমন্ত পরিকে দেখছে জায়ান।আরাবীর পরিহিত শাড়িটা এলোমেলো হয়ে যাওয়ায় আরাবীর আকর্ষনীয় নারিদেহের অনেকাংশই দৃশ্যমান।আরাবী ওই মেদহীন ওই মৃসন উদরের দিকে দৃষ্টি যেতেই যেন নিজের খেই হারিয়ে ফেলার জোগাড় হলো জায়ানের।বার বার শুকনো ঢোক গিলল।এই মেয়ের সৌন্দর্য এতোটাই প্রখঢ় যে জায়ান নিজেকে কোনোভাবেই নিজেকে সামলাতে পারে না।বিয়ের পর তো একেবারেই না।স্বামী হয়ে স্ত্রীর ওমন চোখ ধাধানো সৌন্দর্য কি কখনই অদেখা করা যায়?নিজের কামুক অনুভূতিকে কি সামলানো যায় এতো সহজে?জায়ান তার উত্তেজিত অনুভূতি দমিয়ে রাখার চেষ্টা চালাতে লাগল।মাত্র গোসল দিয়ে আসা জায়ান ইতেমধ্যেই ঘেমে উঠেছে।নিজের চুলের মাঝে হাত গলিয়ে তা চেপে ধরে জায়ান দাঁত খিচিয়ে বলে উঠল,
‘ সি ইজ এক্সট্রিমলি বিউটিফুল। মাই হার্ট বিকেমস ভেরি উইক সিয়িং দিছ বিউটি ওফ হার্স।আই ফিল লাইক হ্যাভিং আ হার্ট এট্যাক।’

পর পর বুকের বা-পাশটায় হাত রেখে বিরবির করল,’ আহ মেয়ে।তোমার উপর কেন আমি বেশিক্ষণ রেগে থাকতে পারি না।’

জায়ান ধীর পায়ে গিয়ে আরাবীর পাশে বসল।শাড়ির আঁচলটা গুছিয়ে নিয়ে ঠিক করে দিলো।কিছু চুল আরাবীর মুখের উপর পরে আছে।জায়ান খুব যত্ন সহকারে আস্তে আস্তে সেই চুলগুলো সরিয়ে দিলো।যাতে মেয়েটা জেগে না যায়।ঝুকে গিয়ে জায়ান এইবার চুমু খেলো আরাবীর কপালে।সরে এসে আরাবীর হাতটা নিজের হাতের মুঠোতে নিয়ে নিলো।হাতের উল্টোপিঠেও ঠোঁটের আবেশ দিলো জায়ান।সেভাবে থেকেই আরাবীর পায়ের সেই ক্ষতটার দিকে তাকিয়ে অত্যন্ত শীতল কণ্ঠে বলে উঠল,
‘ আমার কাঠগোলাপকে এভাবে কষ্ট দেওয়ার পরিনাম ভালো হবে না।শুধু সময়ের অপেক্ষা করছি আমি।আমি চুপ করে আছি।তার মানে এই না যে আমি কিছুই জানি না।আমার কাঠগোলাপকে আঘাত করা মানে আমাকে আঘাত করা।আর একজন আহত সিংহ ঠিক কতোটা ভয়ং’কর হতে পারে তার ধারণা ওদের নেই।আমি বোঝাবো ওদের সেটা।জাস্ট ওয়েট এন্ড ওয়াচ।’

এসবের মাঝেই দরজায় করাঘাতের শব্দ শুনতে পেলো জায়ান।উঠে গিয়ে দরজাটা খুলে দিলো।দেখে নূর দাঁড়িয়ে আছে।হাতে খাবারের ট্রে।জায়ান সরে আসল খানিকটা।তারপর বলে,’ আয় ভেতরে আয়।’
‘ নাহ এখন ভেতরে আসব না।তুমি শুধু খাবারটুকু রাখো।আমার ক্ষুদা পেয়েছে।ভাবি অনেক ডিলিশিয়াস রেসিপি রান্না করেছে। তা দেখে যেন আমার ক্ষুদা আরও বেড়ে গিয়েছে।’

কথাগুলো একনাগাড়ে বলে জায়ানের হাতে খাবারের ট্রে-টা দিয়ে দিলো।ফের বলল,
‘ ভাবি কি করে?ক্ষততে মলম লাগিয়েছ?’
‘ হ্যা লাগিয়ে দিয়েছি।ঘুমিয়ে গিয়েছে।’
‘ আচ্ছা আমি যাচ্ছি।’
‘ হুঁ!’

নূর চলে আসল সেখান থেকে।নূরের ভালো লাগছে না।আজকে ভেবেছিলো জায়ান আসলে জায়ানের সাথে বিগত ঘটে যাওয়া সকল ঘটনা জায়ানকে জানাবে।জায়ানের কাছে বললে মনটা হালকা হবে।তাহলে ওকে আর এতো চিন্তা করতে হবে না। ও ভাই তো বেস্ট।তার কাছে সবকিছুর সাজেশন থাকে।
তবে আজ চেয়েও বলতে পারল না।আরাবী ব্যথা পেয়েছে।এই কারনে ওর ভাই অফিসেও গেলো না।সেখানে এসব বিষয়ে আজ আলোচনা না করাই শ্রেয় মনে করল নূর।

খাবারের ট্রেটা সাইড টেবিলে নিয়ে রাখল জায়ান।নূরের বলা কথাগুলো মনে করল।তার মানে আজ এই সকল রান্না আরাবী করেছে।ও অভিমান করেছে।সেইজন্যে ওকে মানাতে এতো এতো রান্না করেছে মেয়েটা।ওকে খুশি করতে গিয়ে আবার ব্যথাও পেলো।নাহ, আর কি অভিমান রাখা যায়?অবশ্য প্রেয়সীর সেই আবেদনময়ী রূপ থেকে ওর রাগ অভিমান তো সেইক্ষণেই ধুয়েমুছে মাটিতে পড়ে গিয়েছে।জায়ান ক্ষীণ হাসল।তাকালো আরাবীর দিকে।কি সুন্দর করে ঘুমোচ্ছে মেয়েটা।ঘুম থেকে তুলতে ইচ্ছে করছে না আরাবীকে।উলটো আরাবীকে ওর বুকের মাঝে নিয়ে আদুরে বিড়ালছানার মতো জড়িয়ে ধরে ওর নিজেরও ঘুমাতে ইচ্ছে হচ্ছে।কিন্তু এমনটা ভাবলে তো হবে না।তিনটা সাইত্রিশ বাজে।মধ্যহ্নভোজনের সময় গড়িয়েছে অনেকক্ষণ।মেয়েটা এখনও না খাওয়া।আরাবীকে জাগাতে মন না চাইলেও জাগাতে হলো জায়ানের।আরাবীর নরম গালে ওর নিরেট হাতটা আলতোভাবে ছুঁইয়ে দিয়ে ধীর স্বরে ডেকে উঠল,
‘ আরাবী?আরাবী?উঠো।আবার পরে ঘুমিয়ে নিও।উঠো।’

একনাগাড়ে এভাবে ডাকায় আরাবী নড়েচড়ে উঠল।প্রথমে ভ্রু-কুচকে রাখল কতোক্ষণ।ওর ইচ্ছে করছে না ঘুম থেকে উঠতে।পর পর জায়ানের কণ্ঠস্বর কানে এসে পৌছাতেই ঝট করে চোখ মেলে চাইলো।জায়ানের মুখশ্রীটা দেখেই চটজলদি উঠতে নিতেই পায়ের পাতায় টান লাগল।সাথে সাথে ব্যথায় মৃদু আর্তনাদ করে উঠল আরাবী।জায়ান চমকে গেলো।পর পর আরাবীকে নিজের সাথে আগলে নিলো।আরাবী চোখ-মুখ কুচকে ব্যথাটা হজম করার চেষ্টা করছে।পোড়া জায়গাটাতে চামড়াগুলোতে টান লাগছে।যার ফলে এখন অসম্ভব জ্বালাপোড়া করছে।আরাবী নিস্তেজ হয়ে পরে রইলো জায়ানের বুকে।জায়ান আরাবীর চুলগুলো গুছিয়ে সেগুলো ক্লিপ দিয়ে আটকে দিলো।এরপর নরম গলায় বলে,’ বেশি ব্যথা হচ্ছে?’

আজ সারাটাদিনে জায়ান আরাবীর সাথে কথা বলেনি।গম্ভীরমুখ করে ছিলো।তাই এখন স্বামীর নরম কণ্ঠের আওয়াজ শুনে যেন আরাবী নিজেকে সামলাতে পারল না।কান্না করে দিলো।জায়ান বুঝল তার বউটা কেন কাঁদছে।জায়ান আলতো হাতে আরাবীর চোখের জলগুলো মুছে দিতে দিতে বলে,’ কাঁদছ কেন?এখানে কান্নার মতো কি বলেছি আমি।আমি কি তোমায় বকেছি না মেরেছি?’

আরাবী দুহাতে জায়ানের পিঠের টি-শার্ট মুঠো করে ধরল।জায়ানের প্রসস্ত বুকে মুখ লুকিয়ে রেখেছে মেয়েটা।সেভাবেই মাথা নাড়িয়ে না বোঝালো জায়ানের প্রশ্নের উত্তরে।জায়ান হেসে বলে,’ তো কাঁদছ কেন?’

আরাবী কান্নাভেজা কণ্ঠে বলে উঠে,’ আপ..আপনি অনেক খারাপ।আমার সাথে আজ সারাদিনে একটাবারও কথা বলেন নাই।আ..আমি কতোগুলো ফোন করলাম একটাও ধরলেন না।ম্যাসেজ করেছি।তা সিনই করলেন না।রিপ্লাই তো দূরের কথা।আপনি অনেক খারাপ।’

জায়ান দুষ্টু হেসে বলে,’ আচ্ছা আমি তো খারাপ।তো এই খারাপ লোকের কাছে কি?ছাড়ো আমায়।চলে যাচ্ছি।আর আসব না তোমার কাছে।আমি তো খারাপ।’

জায়ান মিছেমিছি আরাবীর হাতদুটো ছাড়ানোর চেষ্টা করতে লাগল।সহ্য করতে না পেরে এক পর্যায়ে আরাবী নিজেই রেগে গেলো।তারপর কামড় বসিয়ে দিলো জায়ানের বুকের বা-পাশে।খুব জোড়ে-সোড়েই কামড়টা দিয়েছে।জায়ান ঠোঁট কামড়ে ধরে ব্যথাটা সহ্য করে নিলো।তাও টু শব্দ করল না।করুক না মেয়েটার যা মন চায়।ওই তো একমাত্র পুরুষ আরাবীর জীবনে। যার কাছে আরাবী মন খুলে সব করতে পারবে। ওর যা ইচ্ছা করবে সব করবে।শুধু অন্যায় কাজ না হলে আরাবীর কোনো কাজেই জায়ান বাধা দিবে না।আর আস্ত এই মানুষটা তো আরাবীর।ওর সাথে মেয়েটা যা মন চায় করবে।সেখানে ও বাধা দেওয়ার কেউ না।
এদিকে রাগ কমে আসলে নিজেও জায়ানকে ছেড়ে দেয় আরাবী।তাকিয়ে দেখে জায়ানের টি-শার্টের উপর দিয়েই র’ক্ত ভেসে উঠেছে।তার মানে বেশ জোড়েই কামড় দিয়েছে ও।র’ক্ত দেখে ঘাবড়ে গেলো আরাবী।তড়িঘড়ি করে জায়ানের টি-শার্টটা খুলার জন্যে যুদ্ধ শুরু করল।একপর্যায়ে জায়ান নিজেই সাহায্য করল আরাবীকে।আরাবী দেখল ওর দাঁতের ছাপ বসে গিয়েছে।সেই সাথে জখ’ম হয়ে গিয়েছে জায়গাটা।আরাবী কাঁদো কাঁদো মুখে তাকালো জায়ানের দিকে।জায়ান আরাবীর মুখের এক্সপ্রেসন দেখে হাসছে। জায়ানকে হাসতে দেখে আরাবী ঠোঁট ফুলিয়ে বলে,’ আপনি হাসছেন?কতোটা জখম হয়ে গিয়েছে।’

জায়ান আরাবীর ঠোঁটে হাত ছোঁয়ালো।হালকা কাঁপল আরাবী।জায়ান মুচঁকি হেসে বলে,’ তোমার এই ইদুরের মতো দাঁতের আঘাতে আমার কিছু হয় না।’
‘ তাই বলে একটুও ব্যথা পান নাই?আপনি যখন আমার সাথে এমন করেন আমার তো খুব ব্যথা লাগে।অবশ্য আপনি তো এতোটা জোড়ে দেন না।তাও আমার সহ্য হয়না।আর আমি তো কতোটা আঘাত করেছি।’

আরাবী নিজেও বুঝলা আরাবী মুখ ফসকে কি বলে ফেলেছে।এইদিকে আরাবীর কথা শুনে শব্দ করে হাসল জায়ান।জায়ানের হাসিতে টনক নড়ল আরাবীর।ছিঃ ছিঃ কি বলে ফেলল ও এসব।এই লোকটার সাথে থাকতে থাকতে এখন ও নিজেও নির্লজ্জ হয়ে যাচ্ছে।লজ্জায় এইটুকুনি হয়ে বসে রইলো আরাবী।পর পর কি যেন একটা কিছু মনে করে নড়েচড়ে উঠল ও।ওদের ঘনিষ্ট সময়ে জায়ান যখন ওকে লাভ বাইটস দেয়। আরাবী ব্যথায় মৃদু আওয়াজ করে উঠে।জায়ান তখন আবার সেইসব জায়গায় আদুরেভাবে ঠোঁটের আবেশ দিয়ে ভড়িয়ে ফেলে।আরাবীর তখন খুব ভালোলাগে।
আরাবী ভাবছে আজ তো নিজেও জায়ানকে কামড় দিয়েছে।তাহলে সেই আঘাতের স্থানে ওর ঠোঁটের ছোঁয়া দিলে জায়ানেরও তো ভালো লাগবে।এসব ভেবেই আরাবীর লজ্জায় কান দিয়ে ধোয়া বের হতে লাগল।গালগুলো গরম হয়ে গিয়েছে।শুকনো ঢোক গিলল আরাবী।মনে মনে সাহস জুগিয়ে জায়ানের কাছে এগিয়ে আসল।খুব কাছে এতোটা কাছে যে দুজন দুজনের নিঃশ্বাস অনুভব করতে পারছে জোড়ালোভাবে।আরাবী একহাতে জায়ানের কোমড় প্যাঁচিয়ে ধরল।আরেক হাতে জায়ানের কাধ।আরাবীর কাণ্ডে জায়ান যেন অবাক হচ্ছে বেশ।পর পর আরাবীর ঠোঁটের স্পর্শ সেই আঘাতের স্থানে পেয়ে চমকে যায় জায়ান।ওর যেন রক্ত ছলকে উঠেছে একদম।হৃদস্পন্দন থেমে গেলো কয়েক সেকেণ্ডের জন্যে।পর পর জোড়ালে দমে সুর তুলে তা প্রতিধ্বনিত হতে লাগল।জায়ান চোখ বন্ধ করে নিলো।আবেশে জড়িয়ে ধরল স্ত্রীকে। অনুভব করতে লাগল স্ত্রীর দেওয়া ভালোবাসাগুলোকে।কিন্তু বেশিক্ষণ স্থির থাকল না জায়ান।মেয়েটা এভাবে ঠোঁটের ছোঁয়া দিয়ে ওকে এইভাবে উত্তেজিত করে তুলল।তাহলে এভাবে শান্ত থাকার কোনো মানে আছে?নেই তো।জায়ান আরাবীর মুখটা ধরে উপরের দিকে উঠালো।আরাবী লাজুকলতার ন্যায় মিইয়ে গেলো জায়ানের ওই নেশাভড়া চোখদুটো দেখে।জায়ানের বুকে আলতো ধাক্কা দিয়ে সরে যেতে নিলো।কিন্তু জায়ান দিলে তো?ও আরাবীকে শক্ত করে আঁকড়ে ধরল বুকের মাঝে।আরাবীর চিবুক স্পর্শ করে ওর মুখটা ভালোভাবে তুলে ধরল।তারপর সেকেণ্ড সময়ও নষ্ট না করে প্রিয়তমা স্ত্রীর অধরে অধর মিলিয়ে দিলো।আরাবী যেমন এতোক্ষণ জায়ানকে তার ভালোবাসায় পাগল বানাচ্ছিলো।এইবার জায়ান আরাবীকে নিজের ভালোবাসায় পাগল বানাচ্ছে।স্বামী স্ত্রী দীর্ঘ ভালোবাসার মুহূর্তে হারিয়ে গেলো।তীব্র অনুভুতিতে তলিয়ে রইলো তারা।

#চলবে______________
ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন। কেমন হয়েছে জানাবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here