#স্নিগ্ধ_কাঠগোলাপ ( ⛔ রেড এলার্ট)
#সাদিয়া_জাহান_উম্মি
#পর্বঃ৩২
আকাশে আজ ঘন কালো মেঘ জমেছে।বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে ক্ষণে ক্ষণে।শো শো বাতাসের ধ্বনিতে মুখরিত চারপাশ।
একটু পরেই প্রচণ্ড শব্দ তুলে অঝোরে বৃষ্টি নামল।বৃষ্টির পানিগুলো ভূপৃষ্ঠে এসে পরায় চমৎকার শব্দ তৈরি হচ্ছে।ঝম,ঝম,ঝম।বাতাসের দাপটে কক্ষের সাদা পর্দা দাপাদাপি করছে।সেই সাথে একে একে কক্ষে জ্বালানো ক্যাণ্ডেলগুলো নিভে গেলো।চারপাশ ঘুটঘুটে অন্ধকারে ছেঁয়ে গেলো।এমনিতেই মৃদু ভয় আর উত্তেজনায় আরাবীর নরম দেহটা কেঁপে কেঁপে উঠছিলো।এখন এই আঁধারে ছেঁয়ে যাওয়া কক্ষে যেন তা আরও বেড়ে গেলো।কানে বেজে চলেছে জায়ানের বলা সেই বাক্যগুলো
‘ তুমি আমার হবে কাঠগোলাপ?’
এতো সুন্দরভাবে ভালোবাসা মাখিয়ে কেউ আহবান করলে তাকে কি ফিরিয়ে দেওয়া যায়?যায় না তো।অন্তত এতোটা পাষণ্ড হৃদয়ের তো আরাবী কখনই না।তার উপর সেই মানুষটা ওর স্বামী।ওর সারাজীবনের পথচলার সঙ্গী।তার কাছে তো নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া ওর কর্তব্য।আর এই মানুষটা তো ওকে পাগলের মতো ভালোবাসে।তার ভালোবেসে বাড়িয়ে দেওয়া হাত দুটো আরাবী কিভাবে ফিরিয়ে দেয়?ওই ভরসাযোগ্য নিরেট হাতজোড়া যে ছেড়ে দেওয়ার নয়।বরংচ আরও শক্ত করে আঁকড়ে ধরতে হবে।এতোটাই শক্ত করে যে এই জীবনে যেন তাদের কেউ আলাদা না করতে পারে।মানুষটা ওর স্বামী।আর ওর উপর সম্পূর্ণ অধিকার আছে তার।নিজের রূপ,এই লাবন্য সবকিছু আগলে রেখেছিলো।যাতে সঠিক সময়ে,সঠিক মানুষটাকে তার আমানত তার হাতে তুলে দিতে পারে।
ভাবনাগুলো কাটে আরাবীর বজ্রপাতের শব্দে। বজ্রপাতের আলোতে পুরো কক্ষ আলোকিত হলো।আরাবী সম্মুখে তাকিয়ে দেখে জায়ান অদ্ভুত অন্যরকম দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে আরাবীর দিকে।আরাবী যেন ওই দুচোখের নেশায় ডুবে গেলো।সম্মোহনী দৃষ্টিজোড়া যেন আরাবীর সম্পূর্ণ দেহকে জমিয়ে ফেলেছে।নড়চড় করার শক্তিটুকুও যেন নেই।আবারও অন্ধকার হলো চারপাশ।অন্ধকারের মাঝেই আরাবী শীতল হাতের স্পর্শ পেলো ওর কোমড়ে।যা খুব গভীরভাবে ওকে ছুঁয়ে দিচ্ছে।আরাবী চোখজোড়া শক্ত করে বন্ধ করে নিলো।ওর নরম গালে আরেকটা হাতের স্পর্শ পেলো।আরাবীর মুখটা একটুখাণি উপরে তুলল জায়ান।মোলায়েম কণ্ঠে সুধালো,
‘ তোমাকে পূর্ণরূপে নিজের করে চাইছি কাঠগোলাপ।তুমি কি এই আমার আহবান গ্রহণ করবে?এই গোটা আমিটাকে তোমার জিম্মায় তুলে দিতে চাই আজ।’
আরাবী আর সহ্য করতে পারল।ভয়ংকর ভালোবাসা মাখানো এই আবদার উপেক্ষা করতে পারল না। আরাবী এক ঝটকায় শক্ত করে জড়িয়ে ধরল জায়ানকে আরাবী।
কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে বলে উঠল,’ আ..আমি তো আপ..আপনারই।আ…’
আর বলতে পারল না আরাবী।ওর নরম মুখটা গুজে দিলো জায়ানের বক্ষে।জায়ান দুহাতে শক্ত করে জড়িয়ে নিলো নিজের সাথে।সময় কাটলো কিছুক্ষণ।জায়ান এইবার ছেড়ে দিলো আরাবীকে। আরাবী মাথা নিচু করে আছে।জায়ান আরাবীর চিবুক স্পর্শ করে ওর মাথাটা উঁচু করল।বজ্রপাত হওয়ায় ক্ষণে ক্ষণে কক্ষ আলোকিত হচ্ছে।এতে যেন আরাবীকে আরও মায়াময় লাগছে।জায়ান আরাবীর কপালে চুমু খেলো।আরাবী জায়ানের কাধ খামছে ধরল।জায়ান আরাবীর নরম গালজোড়ায় অধরজোড়ায় ছোঁয়ালো।অধরজোড়া দিয়ে স্লাইড করতে করতে আরাবী গলদেশে নেমে আসল জায়ান।।সেখানে টুকরো টুকরো ভালোবাসার আবেশ দিতে লাগল।জায়ানের ছোঁয়া যতো তীব্র হচ্ছে।আরাবীর খামছে ধরা হাতজোড়া ততোটাই শক্তি প্রয়োগ করছে।জায়ানের কাধে মনে হয় আরাবীর হাতের নখগুলো ডেবে গিয়েছে।কিন্তু জায়ানের সেদিকে হুশ নেই।তো এখন মত্ত অবস্থায় আছে তার কাঠগোলাপের মাঝে।প্রগাঢ় ভালোবাসা সহিত আদুরে স্পর্শে ভড়িয়ে তুলছে আরাবীর নরম,ছোট্টো দেহখান।
জায়ানের লাগামহীন স্পর্শ আর বেষামাল অধর ছোঁয়ায় যেন আরাবীর শরীরের সব শক্তি লোপ পেয়েছে।একসময় পরে যেতে নেয় আরাবী।জায়ান দ্রুত সামলে নেয় আরাবীকে।আরাবী জোড়ে জোড়ে নিঃশ্বাস নিচ্ছে।জায়ান ফিসফিস করে বলে,
‘ দ্যা নাইট ইজ স্টিল টু লং মাই লাভ।’
জায়ান হাত বাড়ালো আরাবীর শাড়ির আঁচলে। একে একে শাড়ির প্রতিটা ভাজ সরালো আরবীর দেহ হতে।শাড়িটার ঠায় হলো কক্ষের এককোণে। জায়ানের পরিহিত টি-শার্টও ছিটকে পরল একসময়।জায়ান এগিয়ে আসল আরাবীর কাছে।ধপ করে পাঁজাকোলে তুলে নেয় তার শুভ্রময়ী কাঠগোলাপকে।বিছানায় এনে এমনভাবে শোয়ায় আরাবীকে।যেন একটু জোড় প্রয়োগ করলেই মেয়েটা ব্যথা পাবে।জায়ান ঘরের ড্রিম লাইটটা জ্বালিয়ে দিলো।এরপর জায়ান অস্থির হয়ে এগিয়ে আসল আরাবীর কাছে। জায়ান কাছে আসতেই আরাবী মুখটা অন্যদিকে ঘুরিয়ে নিলো।ঘন ঘন শ্বাস নিয়ে বলল,
‘ লা..লাইট জ্বালালেন কে..কেন?’
জায়ান আরাবীর উপরে আধশোয়া হলো।আরাবীর হাতের আঙুলের ভাজে ভাজে আঙুল গুজে দিলো।তারপর সেটা ঠোঁটের কাছে এনে চুমু খেলো।বলল,
‘ তোমার লজ্জামাখা মুখটা দেখা একদম মিস করতে চাই না আমি।’
‘ প্লিজ….!’
আরাবী ঠোঁটের উপর আঙুল ছোঁয়ালো জায়ান।ধীর আওয়াজে বলল,
‘ হুশ! কোনো কথা নয়। এখন শুধু ভালোবাসাবাসি হবে। তুমি আমার হবে। আমি তোমার হবো।চুপচাপ আমায় আঁকড়ে ধরো আরাবী।’
জায়ান নিজেই আরাবীর হাতদুটো ওর গলায় এনে রাখল। আরাবী এইবার জায়ানের গলা জড়িয়ে ধরল।আরাবীর ছটফটানো দেখে যেন জায়ান আরও দিশেহারা হলো।আর অপেক্ষা করল না।অবশেষে কাঙ্খিত সময়টা আসল।জায়ান আরাবীর অধরে অধর ছোঁয়ালো।আরাবী ভূমিকম্পের ন্যায় কেঁপে উঠল। খামছে ধরল জায়ানের ঘাড়।জায়ান শব্দ করে দু তিনটে চুমু খেলো।তারপর সরে আসল।আরাবীর চোখজোড়া বন্ধ।জায়ান শীতল কণ্ঠে বলে,
‘ আমার দিকে তাকাও আরাবী।’
আরাবী নিভু নিভু চোখে তাকালো।জায়ান ওই চোখজোড়া দেখে আরও পাগলপ্রায় হলো।আরাবীকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল।আরাবীর গলার ভাজে লাগামহীন স্পর্শে মেয়েটাকে অস্থির করে তুলছে জায়ান।সেভাবেই একসময় ফিসফিস করে বলল,
‘ দ্যা ইনোস্যান্ট লুক ইন ইয়্যুর আইছ ইস ড্রাইভিং মি ক্রেজি।’
কথাটা শেষ করে আবারও আরাবীর অধরে অধর ছোঁয়ালো জায়ান।দীর্ঘ চুম্বনে লিপ্ত হলো তারা।
বাহিরে ঝড়ো হাওয়া বইছে।সেই সাথে বারছে ওদের ভালোবাসার তীব্রতা।একে অপরের মাঝে বিলীন হচ্ছে তারা।আধো আলোকিত কক্ষটায় ঘন ঘন নিঃস্বাসের শব্দ আর ক্ষণে ক্ষণে যন্ত্রণাময় সুখের আর্তনাদে মুখোরিত হলো।ভালোবাসার সাগরে হারিয়ে গেলো দুজন।
________________
প্রচণ্ড ঝড়ের পর নতুন সকাল শুরু হলো।আজানের মধুর ধ্বনিতে চারপাশ ছেঁয়ে গেলো।গাছের পাতায় পাতায় জমে থাকা বৃষ্টির জলগুলো ফোঁটায় ফোঁটায় পরছে।পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখোরিত হলো চারপাশ।সেই শব্দে জায়ানের ঘুম ছুটে গেলো।এমনিতেই জায়ানের ঘুম খুব পাতলা।অল্প শব্দ পেলেই সজাগ হয়ে যায় সে।কিন্তু আজ যেন চোখের রাজ্যের ঘুম।আর তা হবেই বা না কেন? ঘুমিয়েছেই তো ঘণ্টাখানিক আগে।রাতের কথা ভাবতেই ঠোঁটের কোণে চওড়া হাসি ফুটে উঠল।অবশেষে একে-অপরের হয়েছে তারা।কাঠগোলাপকে নিজের করে নিয়েছে জায়ান।বুকের উপর ঘুমিয়ে থাকা ওর স্ত্রীর দিকে তাকালো জায়ান।মেয়েটা কি সুন্দর নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছে।আরাবীর মুখের উপর এলোমেলো হয়ে থাকা চুলগুলো সরিয়ে দিলো জায়ান।তখনই নজরে আসে আরাবীর দেহে ওর দেওয়া ভালোবাসার চিহ্নগুলো। ইশ,কাল সিটে দাগ পরে গিয়েছে জায়াগাগুলোতে।জায়ানের অনুশোচনা হলো।মেয়েটা কতোটা কষ্ট পেয়েছে।ব্যথায় যখন ছটফট করছিলো তখন জায়ান সরে যেতে চেয়েছিলো।বহু কষ্টে নিজেকে দমিয়ে নিয়েছিলো।কিন্তু মেয়েটা তা হতে দেয়নি।নিজেই ভড়সা দিয়েছিলো জায়ানকে।নিজ ইচ্ছাতেই আঁকড়ে ধরেছিলো জায়ানকে।এই মেয়েটাকে জায়ান কি করে ভালো না বেসে থাকবে?আরাবীর কোমল মুখটা আদুরেভাবে স্পর্শ করল জায়ান।মেয়েটাকে ঘুম থেকে জাগাতে ইচ্ছে করছে না।কিন্তু এখন যে উঠতে হবে। নতুন জীবনের আরম্ভটা সুন্দরভাবেই হোক।জায়ান ধীর আওয়াজে আরাবীকে ডাকতে লাগল,
‘ বউ,ও বউ।এইবার উঠো।একটু কষ্ট করে উঠো বউ।’
‘ উম ‘ শব্দ করে আরাবী নড়েচড়ে উঠল।সাথে সাথে দেহের ব্যথাগুলো যেন চিরবিরিয়ে উঠল।আর্তনাদ করে উঠল আরাবী।জায়ান অস্থির হয়ে আরাবীকে বুকে নিয়েই ধরফরিয়ে উঠে বসল।আরাবীর মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে কাঁপা কণ্ঠে বলল,
‘ বেশি কষ্ট হচ্ছে জান?’
আরাবী জায়ানের বক্ষে মুখ গুজেই মাথা দুলালো।জায়ান শব্দ করে শ্বাস ফেলল।তারপর আরাবীকে ছেড়ে দিলো।এরপর বিছানা থেকে নেমে দাঁড়ালো।আরাবী ছলছল চোখে জায়ানের দিকে তাকালো।জায়ান হাত বাড়িয়ে চোখের জলটুকু মুছে দিলো।তারপর আরাবীকে এক ঝটকায় কোলে তুলে নিলো।আরাবী দূর্বল হয়ে লেপ্টে রইলো জায়ানের বক্ষে।জায়ান আরাবীকে ওয়াশরুমে নামিয়ে দিলো।এরপর ওর গালে হাত রেখে বলে,
‘ তুমি ফ্রেশ হতে পারবে?নাকি আমি হ্যাল্প করব?’
‘ আ..আমি পারব।’ দূর্বল কণ্ঠ আরাবীর।
‘ ঠিক আছে।’
জায়ান বেড়িয়ে আসল ওয়াশরুম থেকে।তারপর আরাবীর জামা কাপড় নিয়ে ফিরে আসল। সেগুলো আরাবীকে দিতেই আরাবী ওয়াশরুমের দরজা আটকে দিলো।এইবার জায়ান কক্ষে আসল।সে চাইলেও আরাবীর সাথেই ফ্রেশ হতে পারতো।কিন্তু সেটা করেনি।কারন রুমটা গোছাতে হবে।জায়ান ছটপট বিছানার চাররটা তুলে নতুন একটা চাদর বিছিয়ে নিলো।ফুলগুলো বিছানা ঝাডুর সাহায্যে আগেই নিচে ফেলে দিয়েছিলো।সেগুলো একত্রিত করে ডাস্টবিনে ফেলে দিলো।ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা জামা-কাপড় গুলো ক্লোথ বিনে রেখে দিলো।এদিকে ততোক্ষণে বেড়িয়ে এসেছে আরাবী।ভাঙা গলায় প্রশ্ন করল,
‘ এসব আপনি কেন করলেন?আমিই তো করতে পারতাম।’
জায়ান আরাবীর কথায় মুচঁকি হাসল।ওর কাছে এসে বলল,
‘ তোমাকে এতো পাকামো করতে হবে না।আমি সব করে দিয়েছি।এখন শুধু একটু কষ্ট করে জায়নামাজগুলো বিছিয়ে নিবেন।আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।একসাথে নামাজ আদায় করব।’
‘ আচ্ছা।’
আরাবী আলমারি থেকে জায়নামাজ বের করল।তা ড্রেসিংটেবিলের এক সাইডে রাখল।এরপর জায়ানের জামা-কাপড় বের করে তা জায়ানের হাতে দিলো।জায়ান সেগুলো নিয়ে চলে গেলো ফ্রেশ হতে।আরাবী জায়নামাজ বিছিয়ে নিলো ততোক্ষণে।তারপর সেখানে বসে বসে স্বামীর অপেক্ষা করতে লাগল।খানিকক্ষণ বাদে জায়ান আসলে।দুজন একসাথে সালাত আদায় করে নেয়।শান্তিময় দাম্পত্য জীবনের জন্যে প্রার্থনা করে।
নামাজ শেষ করে জায়ান জায়নামাজ দুটো গুছিয়ে রাখল।এরপর আরাবীকে নিয়ে বিছানায় আসল।আরাবী প্রশ্ন করল,
‘ কি হলো?এভাবে টেনে আনলেন কেন?’
‘ এখন আমরা দুজন আবার ঘুমোবো।তোমার আমার কারোরই পর্যাপ্ত ঘুম হয়নি রাতে।আজকে বউভাত। পরে শরীর আরও খারাপ লাগবে।দেখি আসো তো আমার কাছে।’
বিছানায় আধশোয়া হয়ে বসে আরাবীকে ডাকল জায়ান।গতকাল রাতের প্রতিটি দৃশ্য একে একে মনে পরতেই আরাবী লজ্জাবতী গাছের ন্যায় নুইয়ে পরল।ইশ,কি লজ্জা।কি হলো এসব?আরাবীকে লজ্জা পেতে দেখে জায়ান হাসল।তারপর নিজেই এগিয়ে গিয়ে সাবধানে আরাবীকে টেনে আনল।আরাবীকে বুকে নিয়ে শুয়ে পরল জায়ান।ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে ধীর কণ্ঠে প্রশ্ন করল,
‘ আরাবী আর ইয়্যু হ্যাভিং এনি প্রবলেমস? ফিলিং আনকোম্ফোর্ট্যাবল?শ্যাল আই কল দ্যা ডক্টর?’
আরাবী লজ্জায় যেন ম’রে যাচ্ছে।জায়ানের বক্ষে মৃদু আঘাত করে বলে,
‘ আপনি চুপ করুন অসভ্য লোক।আমাকে এভাবে লজ্জা দিচ্ছেন কেন?ঘুমান আপনি।’
জায়ান ভ্রু-কুচকে নিলো।আশ্চর্য মেয়েটা ওকে অসভ্য বলল কেন?ও তো সত্যিই চিন্তিত।ও তো ভালোমন্দ জিজ্ঞেস করছিলো।এতে লজ্জা পাওয়ার কি আছে?এই মেয়ের এতো লজ্জা যে কোথা থেকে আসে।জায়ান বলল,
‘ এতো এতো আদর করলাম।তাও তোমার লজ্জা ভাঙাতে পারলাম নাহ?এতো লজ্জা কোথায় থেকে পাও?’
‘ চুপ করুন নির্লজ্জ লোক।’
জায়ান এইবার নিস্তব্ধে হেসে দিলো।নাহ,ম্যাডামকে আর রাগানো যাবে না।আপাততো কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নেওয়া ভালো।যেই ভাবা সেই কাজ।দুজন দুজনকে আঁকড়ে ধরে তারা গভীর তন্দ্রায় ডুবে গেলো।
#চলবে____________
ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন। কেমন হয়েছে জানাবেন।