#স্নিগ্ধ_কাঠগোলাপ
#সাদিয়া_জাহান_উম্মি
#পর্বঃ২০
‘ শুনুন,ছাড়ুন না আমাকে।আমার কাজ পেন্ডিং-এ আছে অনেক।’ মিহি কণ্ঠস্বর আরাবীর।
জায়ান বোধহয় খুব বিরক্ত হলো।কপাল কুচকে সে বলে,’ যখনই কাছে আসি তোমার কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে যায়।আর মুখে একটাই বাক্য ছাড়ুন।এইটা না বলে “ এইযে শুনছেন?আমাকে একটু জড়িয়ে ধরুন।” এটাও তো বলতে পারো।তা তো বলবে না কোনোদিন।’
জায়ান ছেড়ে দিলো আরাবীকে।আরাবী যেন হাফ ছেড়ে বাচল।জায়ান চুলে হাত বুলিয়ে ব্যাকব্রাশ করতে করতে বলল,’ এখন যা দূরে যাওয়ার আর লুকিয়ে থাকার থেকে নেও।বিয়ের পর আমি একচুল পরিমান ছাড় দিবো না।আমার এটুকু স্পর্শে তোমার এই হাল হয়।আর যখন আমার বেষামাল স্পর্শ তোমার শরীর ছুঁয়ে দিবে।তখন কি করবে তুমি কাঠগোলাপ?শুভ্র কাঠগোলাপ থেকে কি লাল কাঠগোলাপে পরিনত হবে?অবশ্য আমি তোমাকে সবভাবেই ভালোবাসি।’
জায়ান দু পা এগিয়ে এলো আরাবীর কাছে।এদিকে লজ্জায় অস্থির আরাবী জায়ানের এহেন লাগামছাড়া কথায়।এইবার জায়ানকে এইভাবে এগোতে দেখে মেয়েটা চোখ বড়ো বড়ো করে তাকালো।জায়ান ঠোঁট কামড়ে হেসে বলে, ‘ শোনো মেয়ে, আমি তোমাকে এভাবে, সেভাবে,সবভাবেই ভালোবাসি।’
আহ,এই কথাটায় এতো প্রশান্তি কেন?যতোবার জায়ানের মুখে ভালোবাসি শব্দটা শুনতে পায় আরাবী।ততোবার হৃদস্পন্দন এতো বেড়ে যায় কেন?কেন এতো ভালোলাগে ওর?মন চায় সে জায়ানকে বলতে যে ‘ শুনুন, আপনি সর্বদা আমার কানের কাছে ভালোবাসি ভালোবাসি বলতে থাকুন তো।আমার ভালো লাগে।’
কিন্তু লজ্জাবতী আরাবী সেটা মুখ ফুটে বলতে পারবে না কোনোদিন।এতো সাহস ওর মাঝে নেই।আরাবী কিছু বলে না।এতেই এই লোকের এমন অবস্থা।আবার আরাবী এসব বললে লোকটা বোধয় তার এই নির্লজ্জা সব কথাবার্তা চব্বিশঘণ্টাই বলতে থাকবে।
জায়ান হেটে গিয়ে নিজের চেয়ারে বসে পরল।ফাইলগুলো খুলে চ্যাক করতে করতে গম্ভীর স্বরে বলল,
‘ এক কাপ কফি খেতে পারব,ম্যাম?’
কিভাবে গম্ভীর হয়ে ওর কাছে কফি চাইছে মানুষটা।আবার ম্যাম বলে সম্বোধন করছে।না চাইতেও হেসে ফেলল আরাবী।মৃদ্যু হাসির শব্দে জায়ান পাশ ফিরে তাকায়।প্রিয়তমার ওই মায়াবী হাস্যজ্জ্বল মুখশ্রী দেখতে পেয়ে ওর দৃষ্টি সেখানেই থমকে যায়।জায়ান মুগ্ধ হয়ে দেখে সেই হাসি।দেখতে থাকে,দেখতে থাকে এবং দেখতেই থাকে।এই দেখার যেন কোনো শেষ নেই।
এদিকে হাসি থামতেই আরাবী আঁড়চোখে তাকায় জায়ানের দিকে।জায়ানের সেই মুগ্ধ দৃষ্টি দেখে লাজুক হাসি ফুটে উঠল আরাবীর ঠোঁটের কোণে।কানের পিঠে চুল গুজে মেয়েটা চুপচাপ কফি বানাতে চলে গেলো।
জায়ান সবসময় ব্লাক কফি খায়।এতোদিন এটাই বানিয়েছে আরাবী।আজ ভাবল লোকটাকে একটু জ্বালানো যাক।সেও তো আরাবীকে জ্বালায়।আরাবী দুধ,কফি আর নিজ ইচ্ছামতো চিনি দিয়ে কফি বানিয়ে নিলো।তারপর সেটা নিয়ে দিলো জায়ান।এদিকে জায়ান ভ্রু-কুচকে একটা ফাইল দেখছে।আরাবী বলল,
‘ আপনার কফি।’
জায়ান হাত পাতলো।আরাবী কফিটা দিলো।জায়ান বলল,
‘ থ্যাংকস ফোর দ্যা কফি।’
‘ এখন আমি যাই?’
‘ কেন?’
‘ ওমা,আমি কি এখানেই থাকব নাকি?লোকে কি বলবে?তাছাড়া কাজ আছে না আমার? আমি কি শুধু শুধু অফিসে এসেছি?’
জায়ান ভ্রু উঁচু করে তাকায় আরাবীর দিকে।বলে উঠে,
‘ শুধু শুধু এসেছ কে বলেছে?এইযে আমার সামনে তুমি বসে থাকো।তোমাকে দু-চোখ ভরে দেখতে পাবো আমি।আর আমার হৃদয় শীতল হবে এতে।এটার থেকে বড়ো কাজ কি হতে পারে তোমার?এটাকে বলে স্বামী সেবা বুঝলে?স্বামী যা বলে শুনতে হয়।’
আরাবী মিনমিন করে বলে,’ এখনও আপনি আমার স্বামী হোন নাই।’
জায়ান চেয়ারে হেলান দিয়ে বসল।বাঁকা হেসে বলে,
‘ হতে কতোক্ষণ?হাফ লাইসেন্স কিন্তু পেয়ে গেয়েছি আমি।আমি চাইলে এই এক্ষুণি তোমায় বিয়ে করে নিতে পারি।ডু ইয়্যু ওয়ান্না সি ইট?’
আরাবী ভড়কে গেলো।এই লোককে দিয়ে বিশ্বাস নেই। আরাবী তড়িঘড়ি করে বলে,
‘ তার কোনো দরকার নেই।ধৈর্য ধরুন।সবুরে মেওয়া ফলে।’
‘ বাট আই ওয়ান্না ইট দ্যাট মেওয়া রাইট নাও। ‘
আরাবী জায়ানের অগোচরে মুখ ভেংচি কাটলো।বিরবির করে বলল,
‘ এর মতো এতো অধৈর্য আর অস’ভ্য ব্যক্তি আমি আমার জীবনে দেখেনি।’
কিন্তু জায়ান তো তা শুনে ফেলল।আর দেখেও ফেলেছে আরাবী ওকে ভেংচি কেটেছে।জায়ান মুচঁকি হেসে বলে,
‘ ভেংচি কাটছ আমাকে?তোমার সাহস তো কম না?আর হ্যা আমি অধৈর্য লোক সেটা মেনে নিলাম।তবে তুমি আমাকে যেই কারনে অসভ্য বলছ।এটা একদম উচিত না বলা।আমি রোমান্টিক কথা বলি তোমার সাথে।কতো মেয়েরা এসবের জন্যে পাগল।আর তুমি আমাকে অসভ্য উপাধি দিয়ে দিলে।’
জায়ান এইবার কফিতে চুমুক দিলো।আর আরাবী উৎসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে জায়ানের দিকে। জায়ান ঠিক কি রিয়েকশন দেয়।কিন্তু আরাবীকে তিনশ ষাট ডিগ্রি এঙ্গলে অবাক করে দিয়ে জায়ান অনায়াসে পুরো কফিটা শেষ করে নিলো।একেবারই স্বাভাবিক মুখশ্রী তার।
আরাবী পিটপিট নয়নে তাকিয়ে জায়ানের দিকে।এদিকে জায়ান সম্পূর্ণ কফিটা শেষ করল কোনো ভণিতা ছাড়াই।তারপর ধরাম করে উঠে দাঁড়ালো।টেবিলের উপর হাত রেখে সেখান থেকেই আরাবীর দিকে ঝুকল জায়ান।চমকে উঠে আরাবী ওর হাত দুটো একত্রে বুকের কাছে মুষ্টিবদ্ধ করে নিলো।বার কয়েক পলক ঝাপ্টে তাকিয়ে রইলো জায়ানের দিকে।জায়ান ফু দিলো আরাবীর চোখে মুখে।শিরশির করে উঠল আরাবীর শরীর।চোখ বন্ধ করে নিলো।জায়ান আরাবীর ওষ্ঠজোড়ার দিকে তাকিয়ে নেশালো কণ্ঠে বলে,
‘ এই এতোটুক মিষ্টিতে আমার কিছু হবে না।এতোই যখন আমাকে মিষ্টি খাওয়ানোর জন্যে ডেস্পারেট হয়ে পরেছিলে।তাহলে নিজের ব্যক্তিগত সম্বল থেকে কেন খাওয়ালে নাহ?ওই মিষ্টির কাছে যে পৃথিবীর সব মিষ্টি হার মানায়।’
আরাবী পিট পিট করে চোখ খুলল।জায়ানের কথার মানে মেয়েটা বুঝতে পারেনি।জিজ্ঞেসাসূচক কণ্ঠে বলল,
‘ কোন মিষ্টির কথা বলছেন আপনি?’
জায়ান গলা খাকারি দিলো।এই মেয়ের মাথায় যে কথাটা ঢুকেনি তা বুঝেছে ও।জায়ান চেয়ারে বসে পরল।গম্ভীর কণ্ঠে বলে,’ আমি কোন মিষ্টির কথা বলছি সেটা তোমার এই ছোট্টো ব্রেন বুঝতে পারবে না।বিয়ের পর আমার কাছে ক্লাস করবে তুমি।হাতেকলমে বুঝিয়ে দিবো আমি তোমায়।তাও স্পেশালভাবে বুঝাবো।’
আরাবী কিছুক্ষণ সময় নিয়ে ভাবল।মস্তিষ্কে জোড় খাটাতেই এইবার জায়ানের ইঙ্গিত বুঝতে পারল মেয়েটা।চোখ বড়ো বড়ো করে তাকালো জায়ানের দিকে।লজ্জায় ওর শ্যামলা মুখশ্রীতেও লালাভ আভা ছড়িয়ে পরেছে। নাক মুখ কুচকে নিয়ে বলল,
‘ আপনি চরম নির্লজ্জ একটা লোক।’
‘ থ্যাংক ইউ ভেরি মাচ ফোর দ্যা কম্পিমেন্ট।বাট এটা আমার জানা কথা যে আমি নির্লজ্জ। নতুন কিছু বলো।’
‘ অসভ্য।’
‘ এগেইন থ্যাংক্স।’
আরাবী এইবার হেসে ফেলল।হাসল জায়ানও।
কিয়ৎক্ষণ এইভাবেই খুনশুটিতে কাটলো দুজনের।আরাবীরও বেশ ভালো লাগল জায়ানের সাথে এইভাবে একান্তে কিছুসময় কাটিয়ে।কিন্তু জায়ান কথার মাঝে খেয়াল করেছে আরাবী কিছু বলার জন্যে উশখুশ করছে।বলতে যেয়েও বলতে পারছে না মেয়েটা। কেমন যেন দ্বিধাদ্বন্দে ভুগছে।সবটাই লক্ষ্য করেছে জায়ান।তাই নিজেই আগ বাড়িয়ে প্রশ্ন করল,
‘ তুমি কি আমাকে কিছু বলতে চাও আরাবী?বলতে চাইলে নির্দ্বিধায় আমাকে বলে ফেলো।এতো দ্বিধাবোধ করছ কেন?আমার সাথে সহজ হওয়ার চেষ্টা করো আরাবী।তুমি যদি এতো জড়তা নিয়ে থাকো।তবে আমি তোমার সাথে কথা বলব কিভাবে?আমাকে নিজের মনে করো আরাবী।আমি তোমার।আমাকে এমনভাবে নিজের মনের করো যে যার কাছে তুমি তোমার মনের সব অব্যক্ত কথাগুলো কোনো জড়তাবিহীন বলতে পারবে।টেইক ইট ইজি।’
জায়ানের কথায় আরাবী যেন সাহস পেলো।ঠিকই তো বলছে লোকটা।এইতো আর কিছুদিন তারপরই ওর সামনে দাঁড়ানো মানুষটা।ওর একান্ত ব্যক্তিগত মানুষ হয়ে যাবে।যার সাথে ওর বাকিটা জীবন কাটাতে হবে।যার সাথে ওর সবকিছু ভাগাভাগি করতে হবে।স্বামী স্ত্রী নামক পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হবে তারা।সেই মানুষটার কাছে এতো জড়তা রাখলে তো চলে না।নাহ এইভাবে হবে না।ওকে জড়তা কাটিয়ে উঠতে হবে।সহজ হতে হবে মানুষটার সাথে।
আরাবী দীর্ঘশ্বাস ফেলে মনের কথাটাই বলল,
‘ আপনি…মানে…আহানাটা কে?আমি কি জানতে পারি?’
আরাবীর হঠাৎ আহানার কথা জিজ্ঞেস করায় একটু অবাক হলো জায়ান।হঠাৎ করে এই আহানার কথা জিজ্ঞেস করছে কেন মেয়েটা?আর আহানার কথা জানলই বা কিভাবে?জায়ান ঠাণ্ডা স্বরে বলল,
‘ তুমি আহানার কথা জানলে কিভাবে?’
আরাবীর বুক ধ্বুকপুক করছে।মানুষটা কি রেগে গেলো?কিন্তু ও তো সেভাবে করেনি প্রশ্নটা।শুধু একটু কৌতুহল জমেছিলো ওর মনে।তাই তো জিজ্ঞেস করল।
‘ আপনি কি রাগ করছেন?’
‘ আহানার কথা কিভাবে জানলে তুমি?’
জায়ানের দৃঢ় কণ্ঠস্বর।সে একই প্রশ্ন আবার করল।আরাবী ভাবল জায়ান বোধহয় সত্যিই রাগ করেছে।ও ভয়ার্ত কণ্ঠে বলল,
‘ সকালে অফিসে আসার পর কিছু মেয়েকে বলাবলি করতে শুনেছিলাম।তারা বলছিলো আমাদের বাগদানের কথাটা জেনে গিয়েছে।তবে সেটা যে আমার সাথে হয়েছে তা হয়তো জানে না।তারা বলছিলো আহানা নামের কেউ নাকি আপ..’
এটুকু বলে থেমে গেলো আরাবী।জায়ান শক্ত কণ্ঠে বলে,
‘ থামলে কেন?’
আরাবী কাঁপা স্বরে বাকিটা বলল,
‘ আহানা নাকি আপনার গার্লফ্রেন্ড।তাই তারা ভেবে নিয়েছে আহানার সাথেই আপনার বাগদান হয়েছে।’
জায়ানের রাগে চোয়াল শক্ত হয়ে উঠল।রাগে হাতদুটো মুষ্টিমেয় করে নিলো।এসব ফাউল কথাবার্তা জায়ান সহ্য করতে পারে না।একদম পারে না। আর আজ তো এসবের লিমিট ছাড়িয়ে গিয়েছে।
জায়ান আরাবীর হাতের কবজি চেপে ধরল।শক্ত কণ্ঠে বলল,
‘ চলো আমার সাথে। ‘
আরাবী কিছু বলতে নিবে।জায়ান রাগি চোখে আরাবীর দিকে তাকালো।দাঁতেদাঁত চিপে বলে,
‘ ডোন্ট স্যে আ ওয়ার্ড।আর হ্যা কারা এসব কথা বলছিলো আমায় দেখিয়ে দিবে।ওদের এই অফিসে থাকার কোনো দরকার নেই।কাজ বাদ দিয়ে যারা এসব বেহুদা কথাবার্তা নিয়ে পরে থাকে তাদের আমি ঘৃ’ণা করি।চলো।’
‘ শুনুন প্লিজ এমন করবেন না।তাদের কথা আমি বিশ্বাস করিনি।একদম করি নি।শুধু একটু কৌতুহল জেগেছিলো তাই প্রশ্ন করেছিলাম।প্লিজ তাদের চাকরি থেকে বের করবেন না।আমি আপনাকে প্রচণ্ড বিশ্বাস করি।’
জায়ান থেমে গেলো।আরাবী ওকে বিশ্বাস করে কথা শুনে।কেমন যেন রাগটা আপনা-আপনি কমে আসল।জায়ান চোখ বন্ধ করে জোড়ে নিশ্বাস ছাড়ল।এরপর আরাবীর দিকে ঘুরে দাঁড়ালো।আরাবীর দুগালে হাত রেখে কোমল কণ্ঠে বলল,
‘ থ্যাংক ইউ ফোর ট্রাস্টিং মি।আর শুনে রাখো মেয়ে,এই সাফওয়ান জায়ান সাখাওয়াত এক নারিতেই আসক্ত।তার হৃদয়ের ভালোবাসার প্রথম নারীও তুমি আর শেষ নারীও তুমি।বুঝেছ?’
জায়ানের কথাগুলো কেমন ঝংকার তুলে দিলো আরাবীর হৃদয়ে।মুগ্ধ চোখে ওর সামনে দাঁড়ানো সুদর্শন মানুষটার দিকে তাকিয়ে রইলো।হাতে টান পরায় ঘোর কাটে আরাবীর। জায়ান আরাবীকে অফিসরুমের বাহিরে নিয়ে আসল।জায়ানকে এইভাবে আরাবীর হাত ধরায় সবাই অবাক হয়ে দেখছে দুজনকে।আরাবী অস্বস্তিতে পরে গেলো এইভাবে সবাই তাকানোতে।ধীর আওয়াজে বলে উঠল,
‘ কি করছেন?হাতটা ছাড়ুন না। সবাই কিভাবে তাকিয়ে আছে।’
জায়ান সেসবে কোনো পাত্তা দিলো না।অফিসের মাঝে এসে এইবার আরাবীকে একপাশ হতে জড়িয়ে ধরল।সবার দিকে কঠিন চোখে তাকিয়ে শক্ত এবং দৃঢ় কণ্ঠে বলে উঠল,
‘ মিট মাই ফিয়ন্সে মিস আরাবী মৃধা।সাফওয়ান জায়ান সাখাওয়াতের বাগদত্তা ও।আমার স্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা এই মেয়ে ছাড়া দুনিয়ার আর কোনো মেয়ের নেই।আর যারা আমার নামে মিথ্যে প্রচরণা করে বেড়ায় তাদের এইটাই ফার্স্ট এন্ড লাস্ট ওয়ার্নিং। আমি দ্বিতীয়বার কাউকে সুযোগ দিবো না।সো বি কেয়ারফুল নেক্সট টাইম।’
কিছুক্ষণ পিনপতন নিরবতা চলল।এপরেই করতালির মাধ্যমে সবাই জায়ান আরাবীকে অভিনন্দন জানালো।তবে যারা হিংশুটে তারা আড়ালে আরাবীকে মন্দ কথা বলতেও পিছু পা হয়নি।এদিকে ইফতি,আলিফা আর নিহান সাহেবও বেশ খুশি হলেন জায়ানের এই কর্মকান্ডে।
#চলবে_________
ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন। কেমন হয়েছে জানাবেন।