#স্নিগ্ধ_কাঠগোলাপ
#সাদিয়া_জাহান_উম্মি
#পর্বঃ ৪৩
বসে বসে জায়ানের কথা ভাবছে আরাবী।মানুষটা নিজের মা হারিয়েছে।নিশ্চয়ই মা হারানোর যন্ত্রণা অনেক ভয়াবহ।সুহানা সাখাওয়াত ভালো মানুষ। তাই তো এই কারনে জায়ান আর নূর এতোটা স্বাভাবিকভাবে লাইফলিড করতে পেরেছে।নাহলে আর পাঁচটা সৎ মায়েদের মতো যদি সুহানা সাখাওয়াত হতেন।তো আজকের জায়ান আর নূর ঠিক কি অবস্থায় থাকত তা আর কল্পনা করলো না আরাবী।ঘুম পাচ্ছে আরাবীর।ঘড়ির দিকে তাকালো রাত এগারোটা বেজে তেইশ মিনিট।জায়ান এখনও আসল না।দুপুরেও আসল না বাসায়। এখন এতো রাত হয়ে আসলো তাও আসল না।আরাবী ফোনকল করল তাও ধরল না।দু তিনবার দেওয়ার পর তো এখন ফোনটাও বন্ধ বলছে।আরাবীর অভিমান হলো।এইভাবে কল না ধরার কোনো মানে আছে?একবার তো কল করে বলতেও পারতো কি কারনে আজ এতো দেরি হচ্ছে।মুখ ফোলালো আরাবী।মেডিসিনগুলো খেয়ে নিয়ে এইবার ঘুমিয়ে পরল।আর অপেক্ষা করবে না।
একসময় গভীর নিদ্রায় ডুবে গেলো আরাবী।প্রায় রাত সাড়ে বারোটার দিকে বাসায় আসল জায়ান।
আজ অফিসে এতো চাপ ছিলো যে দম ফেলবার সময়টুকু পায়নি ও।এতো ক্ষুদা পেয়েছে যে বলার বাহিরে।দুপুরেও খায়নি।এসেই রান্নাঘরের দিকে গেলো।ভাবল খেয়ে তারপর একেবারে রুমে যাবে।গিয়েই দেখতে পায় নূর ডায়নিং-এ বসা। এদিকে ভাইকে দেখেই নূর উঠে দাঁড়ালো।বলল,
‘ এসেছ?আজ এতো দেরি কেন ভাইয়া?বসো আমি খাবার গরম করে আনছি। ‘
জায়ান টেবিলে বসতে বসতে বলল,
‘ তুই এতো রাত অব্দি জেগে কেন?ঘুমোসনি কেন?’
নূর তরকারি গরম করতে করতে বলে,
‘ আমার এক্সাম কাল ভার্সিটিতে।আমি এতোক্ষণ পড়ছিলাম।রুম থেকে গাড়ির আওয়াজ পেতেই বুঝেছি তুমি এসেছ।আমিও নিচে চলে আসলাম।ইফতি ভাইয়া বলেছে আজ অফিসে অনেক চাপ ছিলো তোমার।নিশ্চয়ই দুপুরেও খাওনি।’
জায়ান বোনের কথা শুনে মৃদু হাসল।বলল,
‘ আমি জানি তুই আমার জন্যেই জেগে ছিলি।’
‘ হয়েছে।ছিলাম জেগে। এখন কি অসুস্থ ভাবিকে তোমার জন্যে রাগ জাগতে বলব?ভাবিকে জোড় করে ঘুমিয়ে যেতে বলেছি।’
‘ ভালো করেছিস। এখন দে খাবার দে।ক্ষুদা লেগেছে অনেক।’
নূর খাবার দিলো জায়ানের সামনে।জায়ান গিয়ে হাত ধুয়ে এসে খেতে বসল।নূর জায়ানের সামনে বসে।খেতে খেতে জায়ান বলে,’ নূর একটা কথা আমাকে বলবি?’
অকস্মাৎ এইভাবে জিজ্ঞেস করায় নূর চমকালো।আমতা আমতা করে বলল,’ ক..কি প্রশ্ন ভাইয়া?’
‘ ইদানিং আমি দেখছি তুই কেমন যেন হয়ে থাকিস।অন্যমনস্ক ভাব তোর মাঝে।খাস না ঠিকঠাক।কি হয়েছে তোর?আহাদের সাথে কোনো ঝামেলা হয়েছে?কি নিয়ে এতো চিন্তা তোর?’
নূর থমকে গিয়েছে জায়ানের পর পর করা প্রশ্নগুলোতে।কি জবাব দিবে নূর?চোখ বন্ধ করল নূর।নাহ,আজকেই মোক্ষম সুযোগ।আজই জায়ানকে সব বলে দেওয়া ভালো।নূর জোড়ে জোড়ে দু তিনটা শ্বাস নিলো।তারপর বলল,’ আমি যা বলব মন দিয়ে শুনবে ভাইয়া।আমি কোনো বেহুদা কথা আজ তোমায় বলব না।আমার কাছে যথেষ্ট প্রমান আছে।প্রমান ছাড়া আমি কোনো কথা এমনি এমনি বলে দিবো এমন মেয়ে না এটা তুমি নিজেও জানো।’
জায়ানের খাওয়া প্রায় শেষ।জায়ান এইবার দ্রুত শেষ খাবারটুকু খেয়ে নিলো।এরপর হাত ধুয়ে নিলো।নূরকে নিয়ে গিয়ে এইবার সোফায় বসল।জায়ান নরম স্বরে বলে,
‘ আমি জানি আমার বোন কেমন।তোকে এতো বেশি সাফাই গাইতে হবে না।’
নূর জায়ানের একটা হাত জড়িয়ে ধরল।জায়ানের কাধে মাথা রাখল।জায়ান নূরের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগল।নূর চোখ বন্ধ করল।সে জানে না সব শুনে জায়ান ঠিক কি রিয়েকশন দিবে।তবে আজ সব কথা জায়ানকে বলতেই হবে।নূর দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলতে শুরু করল।
‘ একটা কথা কি জানো ভাইয়া সৎ কখনই আপন হতে পারে না।রার জলজ্যান্ত প্রমান সুহানা মা।তিনি যে আমাদের ছোটো থেকে এতো আদর,যত্ন,স্নেহ করেছেন।এর পেছনে একটাই কারন ভাইয়া। তিনি আমাদের এই সম্পত্তির লোভের কারনেই করেছেন।তিনি মন থেকে আমাদের কখনই নিজের সন্তান মানেন নাই।তুমি জানো না।তিনি তোমার,বাবার, সবার অগোচরে আমার উপর মানষিক অত্যাচার করেছেন দিনের পর দিন।আমি তার কারনে একটা রাত শান্তিতে থাকতে পারিনি।ভাই তিনি যা সবাইকে দেখান আসলে তিনি তেমন নন।তিনি আহানা আপুর সাথে তোমার বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন।কিন্তু তুমি ভাবিকে পছন্দ করেছ আর তাকেই বিয়ে করতে চাও শুনে।তিনি কি করেছেন জানো?ভাবিকে মেরে ফেলতেও চেয়েছিলেন।আমি নিজ চোখে দেখেছে তাকে কার সাথে জানি কথা বলতে।ভাবিকে তোমার জীবন থেকে সরানের জন্যে প্লানিং করছিলেন।আমার কাছে ভিডিও করা আছে।তিনি এখনও ভাবিকে দেখতে পারেন না ভাইয়া।সে কোনোদিনও আমাদের মা হতে পারবেন না।’
কথাগুলো বলতে বলতে নূরের চোখ থেকে অনবরত পানি ঝরতে লাগল।যাকে এতোটা বছর যাবত নিজের মা মনে করে এসেছে।তার মনে যে এতো কুৎসিত রূপ লুকিয়ে আছে তা কল্পনাও করেনি নূর।এদিকে জায়ানের থেকে কোনো সারাশব্দ না পেয়ে নূর জায়ানের দিকে তাকায়।জায়ান খুব শান্ত চোখে নূরের দিকে তাকিয়ে আছে।নূর ভড়কালো খুব।জায়ানের চোখে মুখে অবাকতার কোনো রেশ নেই।যেন জায়ান আগে থেকেই এসব জানে।নূর ভ্রু-কুচকালো।সন্দিহান কণ্ঠে বলল,’ ভাইয়া তুমি কিছু বলছ না কেন?’
জায়ান ঠান্ডা কণ্ঠে বলল,’ অনেক রাত হয়েছে ঘুমিয়ে পর।এতো রাত জাগবি না। শরীর খারাপ করবে। যা রুমে যা।’
নূর চোখ বড়ো বড়ো করে তাকালো।এতো গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছ ও।সেখানে জায়ানের এই রিয়েকশন আশা করেনি নূর।জায়ান এইবার ধমকে উঠল নূরকে।বলছে ওকে রুমে যেতে।নূর স্তব্ধ ভঙিতেই চলে গেলো ওর রুমে।এদিকে জায়ান সোফায় হেলান দিয়ে বসল।চোখ বন্ধ করে মলিন হাসল জায়ান।বিরবির করল,
‘ আমি কি এতোই বোকা নূর?তুই কি ভাবিস?আমি এতোদিনে কিছুই জানবো না?আমার বাড়িতে।আমার পিঠ পিছনে এতো প্লানিং হচ্ছে।কিছুই কি বুঝব না?আমার কাঠগোলাপের ক্ষতি করতে চাইবে।আর তাকে আমি এমনি এমনি ছেড়ে দিবো?সেদিন সোলাইমানের ভাগ্য ভালো।আমার হাতে পরেনি।ওকে যেই মেরেছে তাকে আমার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ।তবে আমি ওকে আরও কষ্ট দিয়ে মারতাম।শুধু মোক্ষম সময়টা খুঁজছি আমি।সময় হলেই তারা বুঝবে এই সাফওয়ান জায়ান সাখাওয়াত কি জিনিস।’
জায়ান লম্বা শ্বাস ফেলল।জায়ানের বুক ভাড় হয়ে আসছে।ভাড় হয়ে আসা কণ্ঠে বলল,’ আমার খুব কষ্ট হবে মা তোমাকে আঘাত করতে।খুব কষ্ট হবে।আমি চাইনা এমন করতে মা।তবে তুমি আর কোনো পথ খোলা রাখোনি।আমি তোমাকে মা মানলেও তুমি আমাকে আর আমার পরিবারকে কখনও আপন করে নিতে পারোনি।এইটার জন্যে আমার খুব আফসোস রয়ে যাবে মা।তুমি কেন এমন করলে?’
জায়ানের চোখের কোণ ভিজে উঠল।জায়ান তা এক আঙুলের সাহায্যে মুছে ফেলল।জায়ান নিজেকে সামলে নিলো।নাহ,অনেক রাত হয়েছে।এখন রুমে যাওয়া দরকার।জায়ান হাতঘড়িতে তাকিয়ে দেখে রাত একটা বেজে গিয়েছে।জায়ান এইবার রুমে যাওয়ার জন্যে পা বাড়ালো।রুমে প্রবেশ করে জায়ান থমকে গেলো।রুমে লাগানো ট্রিপিং এলইডি লাইটগুলো জ্বলছে।বিছানায় এক শ্যামাঙ্গিনী সুন্দরী নারী ঘুমিয়ে আছে।নারীটি খুব সুন্দরভাবে ঘুমিয়ে আছে।জায়ানের দৃষ্টিতে মুগ্ধতা এসে ভড় করল।আলতো পায়ে এগিয়ে গেলো অর্ধাঙ্গিনীর কাছে।পাশে বসল আরাবীর।আরাবীর ঘুমন্ত মুখটার দিকে তাকালো।ওই মায়াবী মুখটার দিকে তাকিয়ে যেন জগৎ ভুলে বসে জায়ান।ইচ্ছে করে সারাটাদিন এই মেয়েটার মুখটাই দেখতে।আরাবীর চুলগুলো খোলা ছিলো।ফ্যানের বাতাসে চুলগুলো এলোমেলো হয়ে চোখেমুখে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।জায়ান আলতো হাতে আরাবীর চুলগুলো সরিয়ে দিলো মুখের উপর থেকে।তারপর ঝুঁকে গিয়ে আরাবীর কপালে চুমু খেলো গভীর ভালোবাসা নিয়ে।এদিকে স্বামীর স্পর্শে ঘুমটা হালকা হয়ে আসে আরাবীর।সে ঘুমের ঘোরেও স্বামীর উপস্থিতি টের পেয়েছে।তখনই ঘুমটা হালকা হয়ে যায় আরাবীর।তবে ইচ্ছে থাকলেও চোখ খুললো না আরাবী। এতো রাত করে বাড়ি ফিরেছে।এখন এসে আহ্লাদ করা হচ্ছে। এদিকে জায়ান স্ত্রী যে জেগে গিয়েছে সেটা টের পেলো।আর তার কাঠগোলাপ যে অভিমান করে চোখ খুলছে না সেটা খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারছে।জায়ান গায়ের কোটটা খুলে ছুঁড়ে মারল ক্লোথ বিনে।গলার টাই-টাও খুলে ফেলল।শার্টের উপর দুটো বোতাম খুলে নিলো।এইবার ঝুঁকল আরাবীর দিকে।
আরাবী একটুও নড়লো না।জায়ান নিঃশব্দে হাসল।
জায়ান এইবার ওর হাতটা আরাবীর শাড়ির আঁচল সরিয়ে আরাবীর উদর আঁকড়ে ধরল।আরাবী কেঁপে উঠল।
জায়ানের স্পর্শে বুক ধ্বুকপুক করছে আরাবীর।জায়ানের হাতটা আলতোভাবে স্লাইড করছে।আরাবী সহ্য করতে না পেরে এইবার খানিকটা মুষড়ে উঠল।তার দুটো হাত জায়ানের বুকে রাখল।ঠেলে সরিয়ে দিলো জায়ানকে।চোখ বন্ধ অবস্থাতেই আরাবী ঘুম জড়ানো কণ্ঠে বলল,
‘ এ..এতো দেরিতে এসে এ..এখন এতো আহ্লাদ আর আদিক্ষেতা ক..করা লাগবে না।’
জায়ান আরাবীর হাত দুটো বুকের উপর থেকে ছাড়িয়ে নিলো।তারপর আরাবীর কানের কাছে মুখটা এনে সেখানে ঠোঁট ছুঁইয়ে দিলো।ধীর গলায় বলল,
‘ খুবই দুঃখিত বেগম সাহেবা।বড্ড অন্যায় হয়ে গিয়েছে। আজকের জন্যে এই অধমকে ক্ষমা করুন।’
‘ ক্ষমা করা যাবে না।’
‘ কেন? ‘
‘ আমি এতোগুলো কল দিলাম ধরলেন না।কিছুক্ষণ পর দেখি ফোনটা বন্ধ।এরপর আর কলও দিলেন না।’
জায়ান নরম গলায় বলল,
‘ বেগম সাহেবা আজ মিটিং করেছি পর পর ৪ টা।ফোন সাইলেন্ট ছিলো।খাবারটুকু খাওয়ার সময় পাইনি।ফোনটাও চার্জ দিতে পারিনি।ফলে চার্জ শেষ হয়ে গিয়েছে আমি দেখিনি।সরি আর এমন হবে না।’
আরাবী কিছুই বলল না।চুপচাপ মুখ ঘুরিয়ে নিলো।জায়ান হেসে ফেলল।প্রিয়তমার অভিমান ভাঙানোও যেন প্রিয় একটা কাজ জায়ানের।জায়ান কিছুই বলল না।ও আরাবীর শাড়ির আঁচলটা সরিয়ে ফেলল।এটা টের পেতেই আরাবী চোখ খুলে তাকালো।কিছু বলবে তার আগেই জায়ান মুখ খুঁজে দিলো আরাবীর গলার ভাজে।
একের পর এক অজস্র চুমুতে ভড়িয়ে দিলো আরাবী।প্রথমে জায়ানকে সরাতে চাইলেও।পরে স্বামীর আদর সোহাগে স্ত্রীর অভিমানি মন কোমল হয়।জায়ানের একেকটা আদুরে স্পর্শে আরাবীর দেহে শিহরণ বয়ে যাচ্ছে।আরাবী দুহাতে জায়ানকে জড়িয়ে ধরে।জায়ান মুখ তুলে তাকালো।আরাবী নিভু নিভু চোখে জায়ানের দিকে তাকিয়ে আছে।জায়ান আরাবীর গালে খুব আদুরেভাবে স্পর্শ করল।কোমল স্বরে বলে উঠল,
‘ তুমি আমার জীবনের অমূল্য রত্ন এবং আমি আল্লাহ্র কাছে তোমার প্রতি আমার আবেগ এবং স্নেহ সবসময় প্রতিষ্ঠিত করি।তুমি আমার উপর আর অভিমান করে থেকো না কাঠগোলাপ।ভালোবাসি তো।’
জায়ানের মুখে ‘ ভালোবাসি ‘ শব্দটা শুনে আর অভিমান ধরে রাখল না আরাবী।আরাবী ধীরভাবে হাতদুটো উঁচিয়ে জায়ানের গলা জড়িয়ে ধরল।
জায়ান চোখে এক আকাশসম ভালোবাসা নিয়ে আরাবীর কাছে আসল।আরাবী চোখ বন্ধ করল। জায়ান আরাবীর ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো।কাঁপল আরাবী।অদ্ভুত ভালোলাগায় খামছে ধরল জায়ানের কাধ আর পিঠ।তারপর স্বামীর ভালোবাসায় সাড়া দিতে লাগল।যতোই অভিমান করুক।স্বামীর একটুখানি যত্ন আর ভালোবাসা পেলে তো নারীমন গলে যেতে বাধ্য।আরাবীর সাথেও তাই হলো।স্বামীর ভালোবাসায় নিজেকে তলিয়ে নিলো।দীর্ঘ রাতটা স্বামী-স্ত্রী পার করল গভীর ভালোবাসার মাধ্যমে।
পৃথিবীর সেরা এবং সবচেয়ে সুন্দর জিনিসগুলি দেখা বা স্পর্শ করা যায় না। সেগুলি হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে হবে। তেমনি স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা সবসময় বলে প্রকাশ করতে হয় না, অনুভব করে নিতে হয়।মেয়েদের মনে ভালোবাসা এবং অভিমান দুটোই থাকে বেশি। তাই অভিমানটাকে ভালোবাসার চেয়ে বড় করে দেখা যাবে না । তাই স্বামীদের উচিৎ স্ত্রীর সব অভিমান ভালোবেসে ভাঙানো। যুদ্ধে বিজয়ী হলেই বিপ্লবী হওয়া যায় না৷ প্রকৃত বিপ্লবী তো সেই যে স্ত্রীর মনের একমাত্র বীরপুরুষ।
#চলবে_______
ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন। কেমন হয়েছে জানাবেন।