গল্পঃ #শূন্যতায়_অস্তিত্ব (পর্বঃ ১৫)
লেখাঃ #তাজরীন_খন্দকার
এটা শুনে আমি চোখ ফিরিয়ে রায়ান ভাইয়ার দিকে তাকালাম আর চমকে উঠলাম।
কারণ তিনি এখানে নেই। আমি হুড়মুড় করে উঠে দাঁড়ালাম। না উনাকে কোথাও দেখা যাচ্ছেনা৷ একটু আগেই তো বুঝতে পেরেছিলাম উনি এখানেই আছেন, তাহলে হুট করে কোথায় উধাও হয়ে গেলেন?
আমি এখান থেকে আসতে চাইলেই তিয়াস বলে,
___ রায়ান ভাইয়া হয়তো ভেবেছে আমাকে তুমি ক্ষমা করে দিবে, কিংবা কোনো অনুগ্রহ করবে তাই হয়তো..
আমি রাগী চোখে ফিরে তাকিয়ে, ঝাঁজালো গলায় বললাম,
___ এই এই চুপ করবে তুমি? তোমার কি মাথায় সমস্যা আছে? কি বললে এতক্ষণ পাগলের মতো? এগুলো কোনো যুক্তি কিংবা ভালো মানুষের কথাবার্তা? আর তুমি কি শুধু এই একটা পাপই করেছো? তুমি নুজহাতকে সা’দের থেকে আলাদা করেছো, রায়ান ভাইয়ার কাছে প্রথমে আমাকে নিয়ে উল্টা পাল্টা বলেছো, আবার নীরা ভাবীকেও এসব জানিয়েছো! হ্যাঁ আমি মানলাম তোমার ছোট পাপা মারা গেছে, তাই বলে তোমাকে এসব করতে হবে? অন্তত মেয়েদের প্রতি ঘৃণায় বেঁচে থাকতে, সেটাও ভালো ছিল! ক্ষতি করে জীবনের মানে শেখানোর ভুলভাল যুক্তি কোথায় পেলে তুমি?
তিয়াস আস্তে আস্তে জবাব দিলো,
___ ভেবেছিলাম তোমার প্রতি রায়ান ভাইয়ার ভালোবাসাটা দূর্বল, তোমার সম্পর্কে উল্টা পাল্টা বললে সেটা মচকে যাবে। আর তাই আমি তোমাকে আমার করে পাওয়ার জন্য এমন করেছি। কিন্তু বুঝেছি উনি তোমাকে আমার চেয়েও অনেক বেশি ভালোবাসে, এই ভালোনাসায় কোনো খাঁদ নেই।
আর সা’দকে আমি কোনো উস্কানি দেইনি,কিংবা তাদের সংসারেও কোনো রকম আঘাত হানিনি। সা’দ নিজেই একটা খারাপ, সে আমার থেকেও খারাপ।
আমি তো শুধু ভালোবাসায় জড়িয়ে সেটা প্রকাশের সময়সীমা দীর্ঘ না করেই ছেড়ে দেই,কিন্তু সা’দ তা করে না। সা’দ যখন নুজহাতের সাথে সম্পর্কে ছিল তখনি তার আরো এক্সট্রা গার্লফ্রেন্ড ছিল। বেচারি নুজহাতকে মানবেনা বলে জেদ ধরে গ্রামে চলে গেলো। আমি ওকে বুঝানোর জন্য আর কোনো উপায় দেখিনি। নয়তো নুজহাত মেয়েটা নির্ঘাত সেদিন সুইসাইড করা ছাড়া কোনো অপশন পেতোনা। আর আমি সেটাকে প্রবল ঘৃণা করি। সেজন্যই সা’দকে বলেছিলাম বিয়ের পরেও প্রেম করিস,এখন নুজহাতকে মেনে নে। তবে আমার মনে ছিল বিয়ের পরে সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু সে শোধরায় নি। আমি মানলাম আমি ওর সাথে চলাফেরা করি, কিন্তু আমি তাকে এরকম কিছুই বলিনা। আর জানিনা এই মূহুর্তে তুমি এসব কথা কেন বলছো! কিন্তু বিশ্বাস করো…
আমি সেখান থেকে পা বাড়িয়ে বললাম,
___ আমি তোমাকে বিশ্বাস করি না। একবার বিশ্বস্ত হয়ে ঠকিয়েছো আর এখন আবার বিশ্বস্ত হওয়ার জন্য আজগুবি কথা বলছো। তোমার সব কথা আমার কাছে ভিত্তিহীন লাগছে।
ভেবেছিলাম সবকিছুর সমাধান হবে, সব জানতে পারবো কিন্তু নাহ এখন মাথায় আরো ঝট পাকিয়ে দিয়েছো। থাকো তুমি..
তিয়াস ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইলো। আমি মেইন রাস্তায় এসে গাড়ী নিলাম। তারপর বারবার রায়ান ভাইয়াকে ফোনে ট্রাই করছিলাম। কিন্তু উনার ফোন বন্ধ বলছে। আসলেই উনি উল্টো ভেবেছে? সব কথা না শুনে এভাবে চলে গেলেন কেন?
বাসায় এসে মা’কে ফোন দিলাম আর তিয়াস আজ যা যা বলেছে সব বললাম। মা শুনে তব্দা খেয়ে ছিলো। বাবাও বুঝতে পারছেনা এসব কেমন উদ্ভট লজিক হতে পারে? আমার মাথা একদম হযবরল অবস্থা। অন্যদিকে রায়ান ভাইয়াকে কোথাও পাচ্ছিনা, এমনকি জানিনা উনার বাসার ঠিকানাও।
এরপরেরদিন আমিও তিয়াসের বিরুদ্ধে থানায় একটা ফাইল করে আসলাম। জানিনা হুটহাট কি হয়ে যায়, তবে বিষয়টা জানানো দরকার ছিল! এতদিন ভেবেছি ওর মুখ থেকে সবকিছু শুনে নিবো, তারপর যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নিবো। কিন্তু এখন আমি জানি সে যা করেছে সব খামখেয়ালে, এসবের কোনো মানে নেই।
‘
‘
কয়েকদিন চলে গেলো!
একটা চাকরির পরিক্ষা দিয়ে ফিরছিলাম। এই চাকরিটা হয়ে গেলেও পারমানেন্ট নয়। পরবর্তীতে ভালো জায়গায় চাকরি পেলে ছেড়ে দিবো এমন ভাবনাতেই পরিক্ষা দেওয়া, কেননা আমার ইচ্ছে যতো তারাতাড়ি সম্ভব পরিবারকে শহরে নিয়ে আসবো।
ফেরার পথে রাস্তার মোড়ে হঠাৎ আন্টির সাথে দেখা, মানে তিয়াসের মা। আমি সরে আসতে চাইলেও উনি ডেকে দাঁড় করালেন। আর চোখে চশমাটা আধ খোলা করে একটা পাশে এসে স্থির হয়ে দাঁড়ালেন। আমি তাড়ার স্বরে বললাম,
___আন্টি কিছু বলবেন?
তিনি গম্ভীর কণ্ঠে বললেন,
___লিয়া তিয়াস তোমাকে সবকিছু বলেছিলো তাইনা? হয়তো তুমি ওর কথা মানতে পারো নি। ওকে বিশ্বাস করোনি। আর কে মানবে বলো? একটা পাগলের কথাকে কে গুরুত্ব দেয়? !
আমি অবাক হয়ে বললাম,
___ পাগল?
আন্টি ধিরে ধিরে বললো,
___হ্যাঁ সে মানসিক বিপর্যস্ত এক মানুষ। সে শোধরাবেনা কোনোদিন। তোমাকে এসব বলার পরেও সে এক মেয়ের সাথে প্রতারণা করেছে। মানে এই কয়দিনের মধ্যে। জানিনা আমার ছেলে কোনোদিন স্বাভাবিক হবে কিনা, কিন্তু আমি মা হিসেবে আর নিতে পারছিনা।
___ তো আপনারা কোনো বিশেষজ্ঞদের কাছে যাচ্ছেন না কেন?
___বহু জায়গায় গিয়েছি, লাভ হয়নি। সে তার ছোট পাপার মধ্য থেকে আজও বের হতে পারেনি। তার মধ্যে প্রতিশোধ জেগে আছে, বিশেষজ্ঞরা বলেছে এটার আংশিক হলেও সে করে যাবে। তুমি জানো সে তারা ছোট পাপার ভয়ানক মৃত্যুদেহটা প্রথমবার দেখেছিল, আর সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিল। এমন একটা অবস্থা ছিল ডক্টররা বলেছিল সে সম্পূর্ণ ভারসাম্য হারিয়ে ফেলতে পারে । কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে সেটা হয়নি,কিন্তু কম কি হয়েছে বলো? এরপর থেকে সে যা চায় আমরা তাই তাই মানি, ওর বাবা ভীষণ ভয় পায় সেও যদি তার ছোট পাপার মতো কিছু একটা করে বসে! কিন্তু আমরা এতদিন ওর সম্পর্কে এতকিছু জানতাম না, সে মানুষের সাথে প্রতারণা করে তাদের স্বাভাবিক জীবনকে বেহাল করে তারপর তাকে শক্ত করে তুলতে চায় এসব আমরা তোমার জন্য প্রস্তাব নেওয়ার পরে জেনেছি। অন্যদিকে তিয়াস এখনো চট্টগ্রামে ওর ছোট পাপাকে মৃত্যু ঠেলে দেওয়াসেই মেয়েটার সন্ধানে পড়ে আছে। কোথা থেকে খবর পেয়েছিল সেই মেয়ের চট্টগ্রামে বিয়ে হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো হদিস পায়নি।
অন্যদিকে তিয়াসের একমাত্র দূর্বলতা হলো সে মানুষের নিজের প্রাণ নিজে বিসর্জন দেওয়া মানতে পারেনা। ছোট বেলা থেকেই সুইসাইডের কোনো সংবাদ শুনলে সে এমনভাবে কেঁদে উঠতো যেন ওর সাথে কিছু হয়েছে । তার একটাই লক্ষ্য সবাই জীবনের গুরুত্ব বুঝুক, সুন্দরভাবে বেঁচে থাকুক! কিন্তু সেটার জন্য সে উল্টা পাল্টা যুক্তি ব্যবহার করে। সে মানতেই চায়না যে তার করা কাজগুলো ভুল। ওর সাথে এই নিয়ে তর্ক করে কেউ পেরে উঠেনা। তিয়াসের মধ্যে আর কোনো সমস্যা নাই, শুধু এটাই সমস্যা, তার ভুল চিন্তা চেতনাকে সে সঠিক বলে ধরে নেয়! বিশেষজ্ঞরা বলে, সে এগুলো প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে করে, কিন্তু এরপর তার মনুষ্যত্ব থেকে এটা ধরে নেয় সেই মানুষটা প্রতারিত হয়ে নিজেকে ঘুরিয়ে নিবে, জীবনকে ভালোবাসবে, কখনো অপরের উপর এতটা নির্ভর হবে না, যতটা হলে সে নিজেকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারে! কিন্তু তিয়াসকে কেউ বুঝাতে পারেনি এসব এক-দুইজনের জন্য হতে পারে, কিন্তু সবাই সব মানতে পারবেনা, আর সবাই উঠে দাঁড়াতে পারবে না!
সেই সময় থেকে আজ পর্যন্ত সে মনে মনে মেয়েদের প্রতি অন্য রকম চিন্তা চেতনায় বেড়ে উঠেছে, প্রায় ক্ষেত্রেই মেয়েদের সাথে খারাপ আচরণ করে, তোমার সাথেও তো করছিলো, ওই যে ইয়াসকে পড়ানোর সময়, এসব স্বাভাবিকভাবেই করতো তিয়াস। তবে সে মেয়ের সাথে প্রতারণা করতে চায় তার সাথে ভীষণ ভালো আচরণ করে , এতো ভালো যে ওকে মানুষ না ভেবে কেউ কেউ ফেরেস্তা ভেবে ফেলতে পারে! কিন্তু আমরা ইদানীং বুঝতে পারি ওর ছোট পাপার প্রতি তীব্র ভালোবাসা তাকে এইদিকে সম্পূর্ণ ভারসাম্যহীন করে দিয়েছে।
আর এগুলো সব আস্তে আস্তে আমরা জানতে পেরেছি, বাসায় বিভিন্ন ধরনের অভিযোগও আসে, আমাদের পরিবার ছাড়া এসব শুধু তোমাকে আজ জানালাম। আরেকটা কথা বলতে চাই, আমি অনেকদিন ধরে তোমাকে খুঁজতেছি একটা জরুরী কথা বলতে ,জানিনা মা হয়ে এই কথাটা বললে কীভাবে নিবে!
আমি অস্থির ভঙ্গিতে বললাম,
___ কি কথা বলুন!
উনি চোখ মুছতে মুছতে বললেন,
___ তিয়াস হয়তো ওর ছোট পাপাকে সুইসাইড করতে বাধ্য করা সেই মেয়েকে সাজা দিতে পারলে ভালো হয়ে যেতো। কিন্তু তাকে তো পাওয়া দুষ্কর। আর এতো বছর পর সেটা সম্ভবও নয়,তাই তিয়াসও এমন অপরাধবোধ থেকে সরে আসতে পারবে বলে মনে হয় না । এই জন্য আমি তোমাকে বলবো তিয়াসকে আইনের হাতে তুলে দাও। সে অপরাধ করেছে এবং করবে। কিন্তু যদি কোনো প্রতিবাদ না হয় সেটা আরো বিপদজনক পরিবেশে পৌঁছাবে। ওর নামে অনেকগুলো আইনি নোটিশ এসেছে কিন্তু গুরুতর কিছুইনা, ঠিকি পার পেয়ে যাচ্ছে। আমি চাই তুমি তাকে অপরাধী প্রমাণ করে শাস্তির ব্যবস্থা করো। হতে পারে এতেও সে শোধরাতে পারে, কারাগারে একা থাকার পরে শুধু প্রেমের একাকিত্ব নয় সব একাকিত্বের মধ্যেই সে সেটা বুঝতে পারবে যে প্রতিটি মানুষ মূল্যবান। যাকে মন থেকে একবার ভালোবাসা হয় তাকে মুছে ফেলা খুব কঠিন। ওর মধ্যেকার ভ্রান্ত ধারণাগুলোর খুব শীগ্রই পরিত্রাণ হোক! আজ পর্যন্ত সে কখনোই কোনো কারণে কষ্ট পায়নি, আমরাও দেইনি! শুধু ওই মৃত্যুটা তাকে তিলে তিলে শেষ করে দিচ্ছে। আমার বলতে কলিজা ফেটে যাচ্ছে কিন্তু তাও চাই সে শাস্তি পাক, সে বাস্তবতা বুঝুক! এভাবে আর কতোদিন? অনেক বছর তো হলো! ওর সাজা হওয়া উচিত! সেসময়টা পর্যন্ত আর কিছু মেয়ে ওর কবল থেকে নিরাপদে থাকুক! আমি আর নিতে পারছিনা এতো যন্ত্রণা!
উনি বারবার ওড়না দিয়ে চোখের জলগুলো মুছতেছেন। আর আমি বাকরুদ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছি। যেই ছেলে সবাইকে বুঝাতে চায় একটা মানুষ চলে গেলেও বেঁচে থাকার জন্য আরো অনেক মানুষ আছে,অনেক প্রিয়জন আছে, সেই মানুষটাই কিনা তার সেই ছোট পাপার জন্য এতটা ব্যকুল, আরো এতটাই অপরাধবোধ নিয়ে বেড়ে উঠছে?
আমি আন্টির কাঁধে হাত রেখে উনাকে আশ্বস্ত করলাম। তারপর বললাম,
___ আমি ওর কাজের জন্য ঠিকি শাস্তি দিবো। ওর ভেতরে হাজার যন্ত্রণা থাকুক,প্রতিশোধের আগুন থাকুক, কিন্তু সেটা নিরপরাধ মানুষের ক্ষেত্রে কেন প্রয়োগ করবে? অবশ্যই তার শাস্তি পাওয়া উচিত!
উনি ঠোঁট ভেঙে কেঁদেই যাচ্ছেন। আমি একটা রিকশা ডেকে উনাকে তুলে দিলাম। আর নিজের বাসার দিকে এগিয়ে চললাম। মাথার উপরে বিরাট একটা পাহাড় চেপেছে যেন! সেটা বয়ে আমি চলতে পারছিলাম না। বারবার এটাই ঘুরপাক খাচ্ছিলো, একটা মা ছেলের কতটুকু অপরাধ থেকে নিজে তার শাস্তি দাবী করেন! হয়তো তিনি নিজের ছেলেকে স্বাভাবিকভাবে দেখার তীব্র বাসনায় এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন। যে কোনো কিছুর বিনিময়েও তিনি নিজের ছেলেকে সুস্থ স্বাভাবিক দেখতে চান! কিন্তু কে জানে এতেও সে বাস্তবতা বুঝবে কিনা!
‘
‘
পরেরদিন আমি বাইরে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলাম। তখনই নুজহাতের ফোন। আমি ফোনটা রিসিভ করতেই শুনলাম নুজহাত বলছে,
___সা’দকে পুলিশ নিয়ে গেছে। আর তিয়াসের বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ তুলে নিয়েছি। সা’দ স্বীকার করেছে সে নিজের দোষ হালকা করতে তিয়াসকে এখানে জড়িয়েছিলো। আগে আগে দোষ স্বীকার করে নিয়েছে আর বলেছে এসব যেন তিয়াস না জানে। কারণ সে বুঝতে পেরেছে তিয়াস এসে জিজ্ঞাসা করলে তার এই মিথ্যে বলার জন্য আরো বাজেভাবে ফাঁসতে হবে । এখন মাফ চাচ্ছে, বলছে এমন ভুল আর করবেনা। আমি যেন তাকে গ্রহণ করি, সে তার বউ বাচ্চা ছাড়া আর অন্যদিকে তাকাবেনা। কি করবো লিয়া?
আমি স্থির হয়ে বসে পড়লাম। তারপর একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে জবাব দিলাম,
___ আচ্ছা এই দুনিয়ায় ফাঁসানো,প্রতিশোধ, প্রতিহিংসা, ঝগড়াবিবাদ, খুন, খারাপি ছাড়া আর কিছু নেই? আমি বড্ড ক্লান্ত হয়ে গেছিরে! আমি তোকে আর কি সাজেশন দিবো? আজকাল আমি নিজেই নিজের অস্তিত্ব টের পাইনা।
নুজহাত আমার কথা বুঝেছে কিনা জানিনা। কিন্তু কোনো প্রশ্ন করার সুযোগ না দিয়েই ফোন কেটে দিলাম। একদিকে তিয়াসের এই অবস্থা, অন্যদিকে রায়ান ভাইয়াও বেপাত্তা, তার উপর নুজহাতের সংসারে ভাঙচুর! এসবকিছুর সাথে আমি না থেকেও কেমন থেকে যাচ্ছি , না জড়িয়েও অদ্ভুতভাবে জড়িয়ে যাচ্ছি! কেন?
চলবে…