#শিশির_ভেজা_শিউলি
#পর্ব_১৩
#ইবনাত_ইমরোজ_নোহা
(🚫দয়া করে কেউ কপি করবেন না।কপি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ🚫)
নিকষকৃষ্ণ রজনী।আধারে নিমজ্জিত ধরনী।কর্ম ব্যস্ত মানব-মানবী দিনশেষে ক্লান্ত হয়ে ঘুমের রাজ্যে পাড়ি জমিয়েছে।কেউ কেউ একাকিত্বের সঙ্গিনী বানিয়েছে দুর আকাশের দ্যুতি ছড়ানো চন্দ্রকে।দুরের কোনো নাম না জানা জায়গা থেকে ভেসে আসছে বেওয়ারিশ কুকুরের কান্না। আচ্ছা! তাদেরও তো ছোট একটা প্রান আছে। কষ্ট তো তাদেরও হয়। সেই কষ্ট বোঝার কি কেউ আছে এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে? নেই। একমাত্র সৃষ্টিকর্তা ছাড়া এই পৃথিবীতে কেউ কারো আপন না। সবাই একা। দিন শেষে তোমার জন্য শুধু তুমিই আছো। তাই আমাদের উচিৎ আগে নিজেকে ভালোবাসা। নিজের যত্ন নেওয়া। অন্যের ওপর নির্ভরশীল মানুষ কখনো মানসিক শান্তি পায়না। আর মানসিক শান্তির চেয়ে বড় কি আছে জীবনে? তুমি মানসিক ভাবে সুখী মানে তুমি প্রকৃত সুখী ব্যক্তি। গুমোট পরিস্থিতি। নিস্তব্ধতা বিরাজমান হসপিটালের কেবিনে অবস্থিত প্রত্যেকের মাঝে।ফিনাইলের তীব্র গন্ধ নাসারন্ধ্রে প্রবেশ করছে সকলের।কেবিনে এখন পঞ্চপাণ্ডব এবং মাহমুদ সিকদার তার অর্ধাঙ্গিনী মুনতাহা সিকদার, মিসবাহ অবস্থান করছে। এছাড়াও কেবিনে দুই জন মানুষ আছে। তাদের প্রত্যেকের সুক্ষ্ম চাহনি এখন সূরার বেডের দিকে।নাহ্, কেউ সূরাকে দেখছে না।সবাই দেখছে সূরাকে বুকে আগলে বসে থাকা মিজানুর সিকদার ও বোনের পাশে বসে থাকা নুহাশ কে। বিড়াল ছানার মতো গুটিসুটি মেরে লেপ্টে আছে সে বাবা ভাইয়ের সাথে। মিসবাহ বিরবিরালো “আল্লাদি বিড়াল ছানা।” পরক্ষনেই নিজের ভাবনায় নিজেই মুচকি হাসলো সে। মাহমুদ সিকদার সোফায় বসে এক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে পরিচিত একটি মুখের পানে। কান্না মিশ্রিত কন্ঠে বলে
“ভাই একবারো কি আমার সাথে কথা বলবি না?এতো অভিমান তোর।এতো গুলো বছর পেরিয়ে গেল। কোথায় কোথায় খুঁজেছি তোকে। অভিমান করে ভাইজান কে ভুলে গেলি?”
মাহমুদ সিকদারের কথায় সবাই মিজানুর সিকদারের দিকে প্রশ্নাত্মক চাহনি নিক্ষেপ করে। প্রায় ঘন্টা খানেক হলো তারা গ্ৰাম থেকে এসেছে। তাদের প্রথম দেখেই মাহমুদ সিকদার হাউমাউ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন। মিজানুর সিকদারেরও একি অবস্থা। বড় ভাইজান কে এতো বছর পর দেখে নিজেকে সামলাতে হিমশিম খান তিনি। মিসবাহর নিজের চাচ্চুকে চিনতে একটুও অসুবিধা হয়নি।এই চাচ্চুর ঘাড়ে চড়ে কতো ঘুরে বেড়িয়েছে সে। কতশত কথার ফুলঝুরি নিয়ে বসত বাবা সমতুল্য চাচ্চুর কাছে।এর মধ্যে আবার সূরার প্যানিক এ্যাটাক হয়।তখন সবাই সূরাকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।সূরার জ্ঞান ফিরলে তখন থেকে বাবা ভাইকে আকড়ে ধরে রাখে সে। মিজানুর সিকদার মেয়ের দিকে তাকালেন। মেয়ের চোখের ভাষা প্রশ্নাত্মক। সূরার থেকে চোখ সরিয়ে তিনি নুহাশের দিকে তাকিয়ে ইশারায় বোনকে সামলাতে বলেন। নুহাশ বাবার চোখের ভাষা বুঝতে পেরে সময় নষ্ট না করেই সূরাকে নিজের বুকে আগলে নেয়। মিজানুর সিকদার গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে গেল মাহমুদ সিকদারের দিকে। মাহমুদ সিকদারের সামনে হাঁটু গেড়ে বসে স্বযত্নে মাহমুদ সিকদারের এক হাত নিজের দুই হাতের মুঠোয় পুরে নিল। ছলছল চোখে তাকালো দুই ভাই একে অপরের দিকে। এখানে সবাই এখন নিরব দর্শক মাত্র।তারা জানতে চাই দুইভাই একে অপরের জান হলে এতো বছর আলাদা কেন ছিল? শুধু মিসবাহর কোনো ভাবাবেগ নেই। সে দিব্যি আয়েসি ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে। মিজানুর সিকদার মাহমুদ সিকদারের হাত ললাটে ঠেকিয়ে কম্পমান কন্ঠে বলল
“কেমন আছো ভাইজান?কোন মুখ নিয়ে তোমাদের সামনে দাঁড়াতাম বলো তো? আমার জন্য আম্মাজান মারা গেছেন। আব্বাজান বেঁচে থেকেও মৃতের মতো জীবনযাপন করছেন।সব যে আমার জন্য হয়েছে ভাইজান।”
মাহমুদ সিকদার মিজানুর সিকদার কে উঠিয়ে পাশে বসালেন। ভাইকে জড়িয়ে ধরে বলেন
“তোর জন্য কিছু হয়নি ভাই। ভাগ্যে যা ছিল তাই হয়েছে। আমি বড়ভাই হিসেবে ব্যর্থ। তোকে আগলে রাখতে পারিনি। আমাকে ক্ষমা করিস ভাই।”
মিজানুর সিকদার এবার শব্দ করেই কেঁদে উঠলেন। বাবার কান্না দেখে সূরা ঠোঁট উল্টে কান্নার প্রস্তুতি নিচ্ছে। মিসবাহর সূরাকে দেখে এখন ছোট বাচ্চা মনে হচ্ছে। বাচ্চারা যেমন মা বাবাকে কাঁদতে দেখলে ঠোঁট উল্টিয়ে কেঁদে ফেলে ঠিক তেমন সূরাও ছলছল চোখে বাবাকে কাঁদতে দেখে ঠোঁট উল্টোচ্ছে। সূরা কান্না মিশ্রিত স্বরে বলল
“আব্বাজান! আপনি কাঁদবেন নাহ্। নইলে আমিও কিন্তু কেঁদে ফেলব।আপনারা কি ছোট বাচ্চা যে এভাবে কাঁদছেন?”
মিসবাহ ব্যঙ্গাত্মক স্বরে বলল “সত্যিই তো। আপনারা কি ছোট বাচ্চা যে এভাবে কাঁদছেন? আপনারা এভাবে কাঁদলে তো যে সত্যিকারের বাচ্চা সে কেঁদে দিবে।”
সূরা কটমট করে তাকালো মিসবাহর দিকে। মিসবাহ দেখেও একটা ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে অন্য দিকে তাকালো।এতে যেন আগুনে ঘি ঢেলে দিল মিসবাহ।কত বড় অসভ্য হলে এমন করে ভাবা যায় ।সূরা শক্ত কন্ঠে বলল
“এই আপনি আমাকে বাচ্চা বললেন কেন?আমি যথেষ্ট বড়।চোখে চশমা পড়বেন। আপনার চোখের পাওয়ার বেড়ে গেছে।”
“আসছে মহারানী নিজেকে বড় প্রমান করতে।এতোই যখন বড় তাহলে বিয়ে করে বাচ্চার মা হয়ে যাচ্ছো না কেন? অন্তত আমার কুমার জীবনের অবসান তো ঘটতো।”
সূরার মুখ আপনাআপনি হা হয়ে গেল।এই লোক কি সারাজীবন নির্লজ্জ থাকবে বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এতো গুলো মানুষের সামনে ঠিকি লজ্জায় ফেলে দিল তাকে।সূরার কপোলদ্বয় রক্তিম আভা ছড়িয়ে পড়ল।সূরাকে লজ্জা পেতে দেখে প্রশান্তির শিহরণ অনুভব করল মিসবাহ। মেয়েটাকে স্বাভাবিক করার জন্যেই তো এসব বলা। নুহাশ চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে আছে। এইটুকু সময়ে এটা তো বুঝেছে তার বোনকে আগলে রাখার জন্য একজন এসেছে তার বোনের জীবনে। কিন্তু সে কি সূরার জন্য মঙ্গলকর? দেখতে হবে তাকে। নুহাশকে এভাবে তাকাতে দেখে ভ্রু কুঁচকায় মিসবাহ্। মিসবাহর সাথে চোখাচোখি হওয়ায় অপ্রস্তুত হয়ে পরে নুহাশ। দ্রুত চোখ সরিয়ে অন্য দিকে তাকায়। বাঁকা হাসে মিসবাহ্।কেবিনে অবস্থানরত সকলের দিকে তাকালো সে।সবাই হা করে তাদের দিকেই তাকিয়ে আছে।ভ্রু কুঁচকে গেল মিসবাহর। এভাবে তাকানোর কি আছে? আজিব। মিসবাহ বাবা ও চাচার দিকে তাকালো। তারাও তার দিকেই তাকিয়ে আছে।মেলায় হাড়িয়ে যাওয়া ভাই মনে হচ্ছে তাদের দেখে। মিসবাহ বাঁকা হেসে বলল
“কি? এভাবে তাকিয়ে আছো কেন? মেলায় হাড়িয়ে যাওয়া দুই ভাইয়ের কি কান্না-কাটি শেষ? নাকি আরো বাকি আছে? বাকি থাকলে ক্যারি অন। তোমাদের মেলোড্রামা কিন্তু ইন্টারেস্টিং লাগছে।”
জিহাদ কৌতুহলী কন্ঠে বলল “সত্যি কি মেলায় হাড়িয়ে গিয়েছিলেন আঙ্কেলগন। তাহলে আপনাদের নিয়ে তো একটা বাংলা সিনেমা বানানো যাবে। ওয়াও! আমি হবো ডিরেক্টর। দ্যা গ্ৰেট জিহাদের অটোগ্ৰাফ পাওয়ার জন্য রমনীরা মরিয়া হয়ে উঠবে। ভাবলেও শান্তি শান্তি লাগছে।”
সিহাব বলল “আই এম সো এক্সাইটেড। আপনারা সত্যি মেলায় হাড়িয়ে গিয়েছিলেন?”
মিসবাহ দাঁতে দাঁত চেপে বলল “এই বদমাশ দুইটা।মাথায় তোদের কি ঘেলু আছে নাকি হোলসেলে বেঁচে খেয়েছিস?গাধা কোথাকার। তোদের বুদ্ধির প্রদর্শন করা হয়ে গেলে চুপ করে থাক।”
ফাটা বেলুনের মতো চুপসে গেল দুজনে। মিসবাহ একটু থেমে মাহমুদ সিকদারের উদ্দেশ্যে বলল “আমি প্রায় সব কিছু জানি। আমাদের ফ্যামিলির মেলোড্রামা সম্পর্কে আগে থেকেই জানা ছিল আমার। শুধু এটা জানতাম না চাচ্চুই সুরের বাবা।”
মাহমুদ সিকদার প্রশ্নাত্মক চাহনি নিক্ষেপ করে বললেন “তোমাকে কে বলেছে এসব? আমি তো বলিনি।”
মিসবাহ কিছু না বলে কপালে ভাঁজ ফেলে তাকালো মাহমুদ সিকদারের দিকে।যার মানে হলো, এটা কোনো প্রশ্ন হলো। ছেলের মুখ দেখে মাহমুদ সিকদারের বুঝতে বাকি নেই তার ছেলের বাম হাতের কাজ সব কিছু জানা।বাকি সবার দিকে তাকিয়ে দেখলেন সবাই তাদের দিকে কৌতুহলী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।নুহাশ কৌতুহলী হয়ে বলল
“বাবা আমি কিছু বুঝতে পারছি না। উনাকে তুমি ভাইজান বলছো কেন?”
সূরাও নুহাশের সাথে তাল মিলিয়ে বলল “আব্বাজান আঙ্কেল কে আপনি আগে থেকেই চিনেন?”
মিজানুর সিকদার বুঝতে পারছেন এখন আর কিছু লুকিয়ে লাভ নেই। ছেলে মেয়ে এখন বড় হয়েছে। তাদের সব জানার অধিকার আছে। দীর্ঘশ্বাস ফেলে মিজানুর সিকদার বলল
“আমাদের পূর্বপুরুষ ছিল জমিদার। আব্বাজান ছিল দাদাজানের একমাত্র ছেলে।গ্ৰামে-গঞ্জে বেশ দাপট ছিল তার।সবাই সম্মান করে চলত। আমি আর ভাইজান আব্বাজানের প্রান ছিলাম।লেখাপড়ার জন্য আমি শহরে আসতে চাইলে আব্বাজান পাঠাবেন না বলে জানান।তিনি চাননি আমাকে আর ভাইজান কে ছাড়া থাকতে।ভাইজান তখন আমাদের গ্ৰামের হাসপাতালের নামকরা একজন ডাক্তার।মিসবাহর বয়স সবে দুই বছর।ছেলেটা আমি বলতে পাগল ছিল।
এইটুকু বলে মিজানুর সিকদার ছলছল চোখে মিসবাহর দিকে তাকিয়ে চোখে হাসেন।চাচ্চুর কথায় মিসবাহ অমায়িক হাসি ফুটিয়ে তোলে মুখে। মিজানুর সিকদার আবার বলতে শুরু করেন
“ভাইজান তখন আব্বাজান কে বুঝিয়ে আমাকে শহরে পাঠান পড়াশোনা করার জন্য। শহরে এসে বছর ঘুরতেই আমি নিহারিকার প্রেমে পড়ে যায়। কিন্তু মেয়েটা ছিল মধ্যবিত্ত ঘরের। এর মাঝে দুই বছর ভালোভাবেই কেটে যায়। মাঝে মাঝে বাড়ী যেতাম। একদিন গ্ৰাম থেকে ফিরে শুনি নিহারিকার নাকি বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে।তখন ওকে হারানোর ভয়ে কোনো কিছু না ভেবে বিয়ে করে নিই। কিন্তু,,
সূরা বলল “কিন্তু কি আব্বাজান?”
মিজানুর সিকদার আবার বলল “কিন্তু কিছু মাস পরে জানতে পারি নিহারিকা সন্তান সম্ভাবা।কি করব মাথায় আসছিল না।গ্ৰামে ওকে নিয়ে আব্বাজানের সামনে যায়। বাড়িতে তখন ভাইজান ছিল না। আব্বাজান কিছুতেই মেনে নিতে পারেন নি আমাদের সম্পর্ক।বাড়ি থেকে বের করে দিলেন আমাদের। সন্তান সম্ভাবা স্ত্রী কে নিয়ে কোথায় যাবো,কী করবো কিছু বুঝতে পারছিলাম না। নিহারিকা ওদের বাসায় যেতে বলে। নিহারিকার বাবা ছাড়া কেউ ছিল না আপন বলতে। তিনি কষ্ট পেলেও মেনে নিয়ে থাকতে দেন আমাদের। দুই দিন পরে আমি আবার গ্ৰামে আসি ভাইজানের সাথে দেখা করতে। আমার বিশ্বাস ছিল ভাইজান আমাকে ফেরাবে না। কিন্তু গিয়ে দেখলাম..
মিজানুর সিকদারের গলা কেঁপে উঠল।পরের শব্দটুকু কন্ঠনালী ভেদ করে বেরিয়ে আসতে নারাজ। মাহমুদ সিকদার বুঝতে পারলেন ভাইয়ের কষ্ট। তিনি বলেন
“আমি পরে শুনেছিলাম তুই এসেছিলি ভাই। কিন্তু সেদিনই কেন এলি?তুই চলে যাওয়ার পরে মা অনেক অসুস্থ হয়ে পড়েন।দুই দিনের দিন আমাদের কে ছেড়ে চলে যান তিনি।বাবা মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েন। আমাকে বলেন তোকে ফিরিয়ে আনতে।আমি নিহারিকার বাসায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারি তোরা চলে গিয়েছিস। কিন্তু কোথায় গিয়েছিস কেউ বলতে পারেনি।”
“আমি ভেঙে পড়েছিলাম ভাইজান। আম্মাজান আমার জন্য আজ আমাদের সাথে নেই।আমি এই মুখ নিয়ে তোমাদের সামনে দাঁড়াতে চাইনি। নিহারিকা দের গ্ৰামের বাড়িতে চলে আসি আমরা।আমায় ক্ষমা করো ভাইজান।”
মাহমুদ সিকদার জড়িয়ে ধরলেন মিজানুর সিকদার কে। বললেন
“আমার ভাই! আমরা আবার একসাথে থাকবো। আব্বাজান তোকে দেখলে অনেক খুশি হবে ।আমরা সবাই তোকে মাফ করে দিয়েছি ভাই।”
“আমার পাপের শাস্তি আমি পেয়েছি ভাইজান।আমার সুর আমার পাপের শাস্তি ভোগ করছে ভাইজান।”
বাবার কথায় ডুকরে কেঁদে উঠল সূরা। নুহাশ বোনকে আগলে নিল।সবাই সূরাকে দেখছে। মিজানুর সিকদারের বলা শেষ কথা সবাইকে ভাবিয়ে তুলছে। মিসবাহ তার শ্যামকন্যার দিকে তাকিয়ে আছে। মিসবাহ চাইলেই সূরার অতীতে ঘটে যাওয়া তিক্ত ঘটনা জানতে পারবে। কিন্তু সে তো চাই তার সুরজান নিজে তাকে সবটা জানাক। আর না জানালেও তার কোনো যায় আসেনা। সে শুধু তার সুরজানের সান্নিধ্য চায়। কিন্তু এই মেয়ে কি বোঝেনা তার কান্নায় মিসবাহর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। চিনচিনে ব্যাথায় তনু মন বিষিয়ে উঠে। আহ্! কি নিদারুন যন্ত্রণা।
#চলবে………
(প্রিয় পাঠক পাঠিকা, আপনারা রেসপন্স করলে লেখায় আগ্ৰহ পাবো। প্লীজ রেসপন্স করুন। নতুন লেখিকা আর নতুন পেজ তাই ফলো করে পাশে থাকুন। ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।)