অদৃষ্টে_তুমি_আমি #লেখিকা_সিনথীয়া #পর্ব_৬

0
536

#অদৃষ্টে_তুমি_আমি
#লেখিকা_সিনথীয়া
#পর্ব_৬

পৃথা আর স্বাধীনের বিয়ের তিন বছর পর স্বাধীনরা আবার ফিরে এসেছিল দেশে। সেই সময় স্বাধীনের বিশ আর পৃথার পনের বছর। দুজন তখনো অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক আর পৃথাকে না তুলে নিয়ে আসার কারণে দুজনকে একসাথে থাকার অনুমতি দুই পরিবারের কাছ থেকেই ছিল না। বাধ‍্য সন্তানের মতন পৃথা আর স্বাধীনও এ নিয়ে কোনো ভ্রুক্ষেপই করেনি। সত‍্যি বলতে একে অপরকে যে তারা দেখতে পারছে আর সময় কাটাতে পারছে সেটাই ওদের জন‍্য অনেক ছিল। পৃথাদের বাড়ির ছাদটা ওদের খুবই প্রিয় একটি জায়গা ছিল। ছোট বেলা থেকেই ওরা ওখানে খেলতো, দৌড়াতো, আড্ডা দিত। সেইবারও স্বাধীন পৃথাকে নিয়ে প্রতিদিন ছাদেই বসে গল্প করতো।
এক বিকেলে সেরকমই গল্পে মগ্ন ছিল দুজন। হঠাৎ কোনো আগাম বার্তা ছাড়াই ঝুম বৃষ্টি নামলো ছাদে। ওরা ছাদের এক কোনায় বসে থাকায় সিড়ি পর্যন্ত আসতে আসতে পুরাই ভিজে গেল। পৃথার বৃষ্টি বেশ পছন্দ তাই যখন ওরা ভিজেই গেল তখন পৃথা স্বাধীনের কাছে আবদার করলো বৃষ্টিতে ভেজার।
– প্লিজ চলো না ভিজি। আমার বৃষ্টিতে ভিজতে খুব ভালো লাগে।
– একদম না। তোমার ঠান্ডার সমস‍্যা আছে। ঠান্ডা লাগলে মাথা ব‍্যাথা ধরবে পৃথা, জ্বরও আসতে পারে। চলো এখান থেকে।

স্বাধীনের হাত টেনে ধরে পৃথা,
– প্লিজ, প্লিজ আজকে একটু ভিজি। দেখ এমনিতেই ভিজে চুপ চুপ হয়েই গিয়েছি আমরা।
– কিন্তু তোমার পরে কষ্ট হবে তো।
– ইনশাআল্লাহ কোনো কিছু হবে না। আমি রুমে যেয়ে ভালো করে মাথা আর গা মুছে নিব।
– তুমি কতো ভালো মাথা মুছো তা আমার জানা আছে। হেহ্! চুল থেকে পানি টপ টপ করে পরতেই থাকে।
– উফ! তোমার এতো টেনশন থাকলে তুমিই আমার মাথা মুছে দিও, ঠিক আছে? তাও এখন আসো না একসাথে ভিজি। প্লিস প্লিস প্লিইইইইস।
পৃথার আদুরে আবদার না মানার উপায় ছিল না স্বাধীনের। এমনিতেও কখনো ওকে না করতে পারেও না। পৃথার কাছে হেরেই যায়। সেইদিনও তাই হলো। একটা হাসি দিয়ে পৃথাকে টেনে ছাদের মাঝখানে নিয়ে গেল স্বাধীন। এই জায়গায় গাছ পালার ঝোপ না থাকায় বৃষ্টির ফোটার ঘনত্ব অনেক খানি বেশী। সেই খানেই দুজনে বেশ অনেক্ষণ খেললো, একে অপরকে পানি ছুড়তে লাগলো।
এরকমই এক পর্যায়ে খেলাচ্ছলে পৃথা খেয়াল করলো ওর চোখ খুলতে সমস‍্যা হচ্ছে। বিষয়টা স্বাধীনেরও চোখ এড়ালো না তাই ও দৌড়ে এসে পৃথার মুখ ধরে উঠিয়ে নিল নিজের দিকে।
– কি হয়েছে দেখি?
– জানিনা। চোখে কিছু গেছে মনে হয়।
স্বাধীন নিজের বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে আল্তো ভাবে পৃথার চোখের নিচে ঘষতে লাগলো আর মুখ দিয়ে হালকা করে ফু দিতে দিতে বললো,
-আস্তে আস্তে চোখ খুলার চেষ্টা করো তো।
পৃথা পিট পিট করে চোখ খুললো এবং প্রথমেই তার আক্ষি পল্লবে ধরা পরলো এক অতি সুদর্শন মানবের মুখশ্রী। পৃথার চোখ পরিষ্কার করতে করতে স্বাধীনেরও নজর ছিল পৃথার মায়াবী চোহারায়।
ওরা জানে না কতক্ষণ দুজন দুজনকে এভাবে দেখেছে। নিজেদের মাঝের বৃষ্টিতে ঝাপসা হয়ে যাওয়া দৃষ্টি অনেক কিছুই ব‍্যক্ত করছিল। স্বাধীনের দুহাত তখনো পৃথার পুরো চেহারাটাকে নিজের তালুতে নিয়ে রেখেছে। চোখ থেকে সরে আঙ্গুল যুগল পৃথার গালে আল্তো করে স্পর্ষ করে স্বাধীন,
– পৃথা….. I love you.
আজও মনে আছে পৃথার সেই সময়ের অনুভূতি। ভালোবাসার গভীরতা না বুঝতে পারলেও এই তিনটা শব্দের গভীরতা ভালোভাবেই বুঝতে শিখেছে তখন পনের বছরের পৃথার মন। তাই আল্তো লাজুক একটা হাসি হেসে নিজের বর কে দেখলো ও। স্বাধীন সেই হাসির অর্থ মনে হয় বুঝেছিল। তাই নিজের মুখ নুইয়ে প্রথমবারের মতন পৃথার ঠোট ছুয়ে একে দিল ওর ভালোবাসা।
বৃষ্টির ঠান্ডা আবহাওয়াতে নিজেদের মাঝের সেই অল্প উষ্ণ অনুভূতি পৃথার মন পর্যন্ত পৌছেছিল। স্ত্রীর অধিকার নিয়েই বোধহয় নিজেও সাড়া দিয়েছিল সেদিন পৃথা, ভালোবাসা নিয়ে নিয়েছিল স্বাধীনের।

হঠাৎ পৃথার খেয়াল হলো ও হাসছে। অজান্তেই ঠোটে আসা সেই হাসিটা সেই ছোট্টবেলার অনুভূতির। আজও সেই একই অনুভূতি স্বাধীন ওর মাঝে দিতে চেয়েছে। একবার না, দুবার দিতে চেয়েছে।
তবে বর্তমানের পরিস্থিতি চিন্তা করতেই পৃথার মেজাজ গরম হয়ে গেল। আবার ঘাড়ে চড়ে বসলো অভিমান। গত সাত বছরের সব অভিযোগ ফিরে এলো আবার। ডুকরে কেঁদে উঠলো পৃথা,
– কই ছিলা এতোটা দিন তুমি? আজ সাত বছর পর মনে পড়েছে যে তোমার একটা বউ আছে? আজ এসেছো সব ঠিক করতে, কিন্তু গত সাতটা বছরে যেই কষ্ট, কান্না আমি পার করেছি তখন কি নিজের দায়িত্ব পালন করতে এসেছিলে তুমি? আসোনি। তাই আমি এখন তোমার কাছে আসবো না। তোমার কোনো কথাই শুনবো না। তুমি যতই চাও, আমি তোমাকে ভালোবাসবো না।
নিজের চোখ মুছলো পৃথা। কঠোর হয়ে এসেছে ওর চেহারা। সেটা নিয়েই ঘুমিয়ে পড়লো ও।

হয়তো ঠিক একই সময় শহরের আরেক প্রান্তে নিজের বাসার বারান্দায় দাড়িয়ে স্বাধীন ভাবছিল পৃথার কথা। পৃথার আর নিজের সম্পর্কের কথা। পৃথা বেশ অভিমান নিয়ে আছে ওর ওপর এটা বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না। তবে এই অভিমানের কতটুকু যে নৈতিক তা নিয়েই স্বাধীনের দ্বিধা। কারণ ও নিজেও পরিস্থিতির শিকার। গত চার পাঁচটা বছর, ও এবং ওর পরিবার অন্ধকারে ছিল। তিন মাস আগে যদি সিয়ামের কাছ থেকে পৃথার খোজ না পেত স্বাধীন তাহলে হয়তো এই অন্ধকার থেকে পর্দাই উঠতো না। আজ ও অনেক কিছু জানে। গত তিন মাসে অনেক খোজ নিয়ে জেনেছে সবকিছু। তবে আফসোস হচ্ছে পৃথার জন‍্য। মেয়েটা বোধহয় এখনো অন্ধকারেই আছে। সত‍্য থেকে বেশ দূরে।
—————————————-
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে নিজের বাবাকে নাস্তা করিয়ে, ঔষুধ খাইয়ে পৃথা বের হলো রুম থেকে। ডাইনিংয়ে দেখলো দুই মা মেয়ে মনের সুখে ওর হাতের বানানো নাস্তা খাচ্ছে। পৃথা, বাবার সাথে এক প্লেটে খেয়ে নিয়েছিল নয়তো অফিসের দেরী হয়ে যেত। ডাইনিং পার করতে গিয়ে রিনিতা ওকে পেছন থেকে ডেকে বসলো।
– এই পৃথা দাড়া।
পৃথা মুখ ফেরালো না তবে দাড়িয়ে গেল। রিনিতা কাছে আসলো ওর,
– অফিস যাচ্ছিস না? আমারও বের হতে হবে। তোর অফিসের দিকেই যেতে হবে আমাকে। আমাকে নিয়ে চল্।
পৃথা এবার ঘুরে তাকালো,
-তোর ঐদিকে আবার কি কাজ?
ঝামটা মারলো রিনিতা,
– আমার সব কাজ কি তোকে বলে করতে হবে নাকি?
– না মানে…
-মা দেখেছো, পৃথা আমাকে ওর সাথে নিতে চাচ্ছে না। কতো ঢং করছে দেখ?

পৃথা সকাল সকাল আর অশান্তি চাইলো না। রিনিতাকে বললো,
– চল্।
রিনিতাও মুখ বাকিয়ে একটা হাসি দিয়ে পৃথার পিছ ধরলো।
অফিসের সামনে এসে ক‍্যাব ছাড়লো পৃথা। অন‍্যদিন বাসে আসলেও আজ রিনিতার জন‍্য ক‍্যাবে আসতে হলো ওকে। পুরো ভাড়াটাই ওকেই চুকাতে হলো। রিনিতা সুন্দর করে বের হয়ে পৃথার অফিসের সামনের ছায়া ঘেরা পথটায় যেয়ে দাড়িয়ে গেল যাতে নিজের গায়ে রোদ না লাগে। পৃথা ভাড়া দিয়ে এসে রিনিতার পাশে দাড়ালো,
– তাহলে যা তোর কাজে। আমি অফিসে গেলাম।
– এই পৃথা, আমাকে এক হাজার টাকা দে তো?
– এক হাজার টাকা? কেন?
-এতো কেন কিন্তু করবি না খবরদার। আমি চেয়েছি বাস দে। নয়তো মা কে বলে দিব। তখন দেখিস মা তোকে কি করে।

পৃথার রাগে অসহায় বোধ হলো। এমন না যে ও ইয়াসমিন কে ভয় পায়। ওর আসল চিন্তার জায়গা হলো ওর বাবা। ইয়াসমিন যখন পৃথাকে অকথ‍্য ভাষায় গালাগাল করে তখন পৃথার বাবা সেটা সহ‍্য করতে পারেন না। উনি থামাতে চান কিন্তু সেটাও তার দ্বারা সম্ভব হয় না। ফলে আরও শরীর খারাপ হয়ে যায় তার। এর জন‍্যই পৃথা বাসায় কখনো অশান্তি সৃষ্টি করতে চায় না। ইয়াসমিন আর রিনিতার সব কথা মুখ বুজে মেনে নিতে থাকে। এই মুহূর্তেও তার ব‍্যতিক্রম হলো না। রাগ চেঁপে রেখে রিনিতার হাতে এক হাজার টাকার নোট ঠাশ করে রেখে দিল ও। রেখেই আর তাকালো না রিনিতার দিকে। ঘুরে সোজা অফিসের দিকে হাটা দিল। রিনিতা ততক্ষণে পৃথার আচরণে রেগে গেছে। পৃথার পিছু নিল ও,
– এমন ভাব করছিস কেন যে আমার ওপর দয়া করছিস? এই ঝ‍্যামটা মেরে চলে যাওয়া আমার সাথে করার সাহস হচ্ছে কেমনে তোর?

পৃথা দাড়িয়ে আবার রিনিতার দিকে ঘুরে তাকালো ওকে থামানোর জন‍্য কিন্তু ও নিজেই থমকে গেল। কারণ রিনিতার পেছনে এসে দাড়িয়েছে স্বাধীন। গম্ভীর চোখে দেখছে পৃথাকে।
পৃথার চোখ অনুসরণ করে রিনিতাও পেছনে ঘুরে তাকাতেই স্বাধীনকে দেখলো। আর সাথে সাথেই ওর মুখে চলে আসলো একটা ঢং এর হাসি। এই হাসিটা রিনিতা যে কোনো সুন্দর ছেলেকে দেখলেই দেয়। ওর মনে হয় এই হাসিতেই ছেলেরা পটে যাবে। তবে স্বাধীনের ওপর এটার বিন্দু মাত্র প্রভাব পরলো না। রিনিতাকে উপেক্ষা করে পৃথা কে জিজ্ঞেস করলো ও,
– Preetha, is there any problem?

পৃথা চুপ করে দাড়িয়ে রইলো। ওর কিছু বলার আগেই রিনিতা বলে উঠলো স্বাধীনকে,
– না না কোনো প্রবলেম নেই। আমি পৃথার বোন রিনিতা। আর আপনি?
– আমি রিতভিক। পৃথার বস্।
এটা শুনে রিনিতার হাসি এগাল থেকে ও গাল ছড়িয়ে পড়লো,
– So nice to meet you Mr. Ritvick.
স্বাধীন শুধু রিনিতাকে আনুষ্ঠানিক একটা হাসি দিয়ে পৃথার দিকে তাকালো। পৃথা ততক্ষণে সচল হয়ে গেছে। রিনিতাকে বললো ও,
– তোর আর কিছু লাগবে?
-মমম? না… মানে….
– তাহলে তুই যা। আমি অফিসের জন‍্য লেট হয়ে যাচ্ছি। বাই।

এই বলে পৃথা বিল্ডিংয়ের ভেতর ঢুকে গেল। স্বাধীনও পিছ নিল পৃথার। রাস্তাতেই রেখে চলে গেল স্বাধীনের ওপর ক্রাশ খাওয়া রিনিতাকে।
এরকম একটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে সকাল সকাল স্বাধীনের সামনে পরতে হবে এটা পৃথা কল্পনাও করেনি। লিফ্টের সামনে দাড়িয়ে এ নিয়েই আফসোস করতে করতে দেখলো স্বাধীন এসে ওর পাশে দাড়িয়েছে। নিজের মুখ সোজা করলো পৃথা তাড়াতাড়ি। সামনের দিকে তাকালো।

একটা কমারশিয়াল বিল্ডিংয়ের দুটো ফ্লোর নিয়ে বানানো লেগো সফ্টওয়েয়ার্স। লিফ্ট যখন নিচ তলায় আসলো তখন পৃথার আগেই অনেকে ঢুকে পরলো তাতে। স্বাধীন এর পর পৃথাও ঢুকতে পারলো তবে ওভারওয়েটের কারণে লিফ্ট উঠতে চাইলো না। অগত‍্যা পৃথাকে নেমে দাড়াতে হলো কারণ ও উঠেছিল সবার শেষে। এটা দেখে স্বাধীনও সাথেসাথে নেমে গেল। পৃথা এটা দেখে অবাক হলো তবে স্বাধীন ওর পাশে এসে দাড়াতে ও আর কিছু বললো না। আরেকটা লিফ্ট আসতে আসতে ওদের আশপাশেও ভিড় জমলো। এতোজনের মাঝে স্বাধীন পৃথার জন‍্য সরে গিয়ে ওকে আগে উঠতে দিল, তারপর নিজে উঠলো। পৃথার কেন যেন হঠাৎ ঠোটে হাসি চলে আসলো। স্বাধীনের এই জেসচার হঠাৎ ভালো লেগে গেল ওর। ঠোট দুটো টিপে মাথা নিচু করে হাসলো ও। স্বাধীনের চোখ থেকে সেটা এড়ালো না। ও নিজেও মুচকি হাসি পরে রইলো মুখে।

নিজের কিউবিকালে বসে কাজ করছিল প‍ৃথা তখন দেখলো স্বাধীন কে ঢুকতে রুমে।
– মিস পৃথা।
আর কিছু বলা লাগলো না। পৃথা উঠে দাড়ালো। ওরা দুজন চলে যেতেই নিজের সিট থেকে উঠে নিতা আসলো নুপুরের কাছে। ফিসফিসিয়ে বললো,
– এই নুপুর আপু?
– কি হয়েছে?
– জানেন? আমার না একটা জিনিস মনে হচ্ছে।
– কি নিতা?
– আমার মনে হয় কি, আমাদের রিতভিক স‍্যার পৃথা আপুকে পছন্দ করছেন।

নুপুর কাজ করছিল আর শুনছিল নিতার কথা। নিতার এই মন্তব্য শুনে বিশ্বয়ে ঘুরে তাকালো।
– কি বলছো এটা? কই আমি তো বুঝলাম না কিছু?
– আরে আপনি খেয়াল করেননি বোধহয়। স‍্যার আপুকে যখনই ডাকতে আসে তখনই একটা হাসি দেখি ওনার চেহারায়। কিভাবে যেন তাকান তিনি আপুর দিকে।
নুপুর চিন্তিত হলো,
– হমম। আমিও সেদিন ডিনারে লক্ষ‍্য করেছিলাম স‍্যার পৃথার দিকে খুব তাকাচ্ছিলেন। আমি পৃথাকে জিজ্ঞেসও করেছিলাম কিন্তু ও মানা করলো বলে আর চিন্তা করি নি এটা নিয়ে।
– নুপুর আপু, আমার মনে হয় পৃথা আপুও ব‍্যাপারটা বুঝতে পেরেছেন।
– তাই নাকি? তো তোমার কি মনে হয় পৃথার প্রতিক্রিয়ায়?
এবার নিতাকে চিন্তিত দেখা গেল,
– আপুর ব‍্যাপারটা বুঝতে পারছি না। ওনাকে বিরক্তই মনে হয়েছে। তবে স‍্যারের মতন এরকম এলিজিবাল কাউকে অপছন্দ না করে আপু বেশিদিন থাকতে পারবে বলে মনে হয় না।
নুপুর হেসে দিল নিতার সাথে,
– হমমম।

চলবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here