#অদৃষ্টে_তুমি_আমি
#লেখিকা_সিনথীয়া
#পর্ব_১৩
স্বাধীন তৈরী হয়ে আগেই নিচে নেমে গেল। ও জানে পৃথা ওর সামনে রেডি হতে ইতস্তত বোধ করতে পারে, তাই বেচারিকে আর কষ্ট দিতে চাইলো না ও। তবে তাই বলে পৃথাকে ক্ষেপানোর সুযোগটা মোটেও হাত ছাড়া করলো না।
পৃথা ওয়াশরুমেই হাত মুখ ধুচ্ছিলো যখন দরজার কড়া নাড়লো স্বাধীন,
– পৃথা?
-হমম?
– আমি নিচে যাচ্ছি।
– যাও
– তোমার কোনো সাহায্য লাগবে?
– কিসের সাহায্য?
এটা বলতে বলতে পৃথা দরজা খুললো। স্বাধীন ওকে দেখেই উত্তর দিল,
– না মানে….তোমার তৈরী হতে আমার কোনো সাহায্য লাগবে কি না…..তাই জিজ্ঞেস করলাম।
স্বাধীনের চোখে খেলে যাওয়া দুষ্টুমি দেখে হুট করে বুঝে ফেললো পৃথা যে ও কি ইঙ্গিত করছে। চোখ বড় বড় হয়ে গেল পৃথার আর সাথেসাথেই লজ্জা ঘিরে ধরলো ওকে। দুষ্টু হাসি হাসতে থাকা স্বাধীনের মুখের ওপরই আবার দরজা ভিড়িয়ে দিল ও। নিজেকে সাবধান করলো মনে মনে,
– পৃথা, এই মানুষটা ভীষণ দুষ্টু। তুই নিজেকে সামলে না রাখলে এর হাত থেকে বাঁচতে পারবি না।
আধাঘন্টা পর আঁচলের সাথে নিচে নেমে আসলো পৃথা। দেখলো স্বাধীন সহ বাকি ছেলেরা আগেই আঙিনায় চলে গিয়েছে। ওখানে এসে আঁচল পৃথাকে মজা করে কানে কানে বললো,
– ভাবী, যান। যেয়ে আপনার বরের পাশে দাড়ান। না জানি বেচারা কখন থেকে আপনাকে দেখতে পারছে না। ভেতর ভেতর হয়তো ছটফট করছে। হাহাহা। তার ওপর এখন যা সুন্দর লাগছে আপনাকে! দেইখেন, ভাইয়া চোখই ফেরাতে পারবেন না।
ততক্ষণে আরও মেয়েরা এসে পাশে দাড়াইছিল পৃথার। আঁচলের কথায় একসাথে সবাই সমর্থন জানালো। ওদের হইচইতেই ফিরে তাকালো ছেলেরা। স্বাধীনও ছিল তাদের মাঝে। পৃথাকে দেখতে পেয়ে ওর অবস্থা ঠিক তাই হলো যা আঁচল আঁচ করেছিল। মুগ্ধতায় চোখ মুখ দুটোই বড় হয়ে গেল স্বাধীনের। পৃথা যতই ওর কাছে আগাচ্ছিলো ও ততই যেন থমকে যাচ্ছিলো। লেমন এর মাঝে সফ্ট জর্জেটের কারুকাজ করা শাড়িটাতে পৃথাকে মনে হচ্ছিলো যেন আকাশ থেকে কোনো উজ্জ্বল তারা নেমে এসেছে। দুই হাতে পাথরের কারুকাজের দুটো বালা আর কানে বড় ঝুমকা, এইটুকুতেই যেন চকচক করছে ও! চেহারায় মেকআপ করেছে তবে কোথাও বাড়তি কিছু লাগছে না। সবচাইতে সুন্দর লাগছে ওর চোখ দুটো। বড় বড় লাগছে কেন যেন। প্রথমে অবাক হলেও কাছে আসার পর বুঝলো স্বাধীন যে পৃথা লেন্স পরেছে। এতোটা মায়াবী লাগছে ওকে!
পৃথা পাশে এসে দাড়ানোর পর মাথা আল্তো নিচু করে চুপ করে রইলো। ওদিকে স্বাধীন বোধহয় ক্ষণিকের জন্য ভুলেই গিয়েছিল যে আশপাশেও মানুষ আছে। নিশ্চুপ হয়ে একপলকেই চেয়েছিল ও পৃথার দিকে। এই সুযোগে স্বাধীনকে ছোটরা ছাড়লো না।
– দেখ সবাই স্বাধীন ভাইয়াকে। পৃথা ভাবীর থেকে যেন তার চোখই সরছে না। ভাইয়া, ছোট ভাইবোনদের সামনে একটু তো লজ্জা রাখো। আমরা কি শিখবো তাহলে তোমার থেকে? হাহাহা।
– আর তুহিন, বাদ দে! স্বাধীন ভাইয়াকে এখন আর ফেরানো যাবে না, বুঝলি। কতোদিন পর ভাবীকে পাশে পেয়েছে, এখন কি আমাদের কথা ভাইয়া কেয়ার করবেন? ঠিক বললাম না ভাইয়া?
ছোটদের টিপ্পনি তে মুখ টিপে হেসে দিল স্বাধীন। স্পষ্ট লজ্জা পেয়ে গেছে ও বোঝাই যাচ্ছে। আর পৃথার মনে হচ্ছিলো ও কোথাও যদি দৌড়ে যেয়ে লুকোতে পারতো তাহলে বেশ হতো।
ইতিমধ্যেই নাশিদের বউ অর্থাৎ যার জন্য এই উৎসবের আয়োজন, সে প্রবেশ করাতে সবার মনযোগ সরে গেল স্বাধীন-পৃথার কাছ থেকে। এতে এক প্রকার হাপ ছেড়ে বাচলো যেন দুজন। সাথে একাকি থাকার ও কথা বলারও কিছুটা সুযোগ হলো। সেই মুহূর্তেই স্বাধীন নিচু আওয়াজে এক কাত হয়ে পৃথাকে প্রশ্ন করলো,
– হঠাৎ খোপা করলা যে?
অজান্তেই মাথায় হাত চলে গেল পৃথার। স্বাধীন তা দেখেই বুঝলো বউয়ের সতর্কতা। মুচকি হেসে দিল ও,
– তোমাকে খোপাতে অনেক সুন্দর লাগছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম কারণ এই দেড় মাসে কখনো তোমায় খোপা করতে দেখিনি তো তাই।
শান্ত হলো পৃথা। হাসলো,
– আসলে মেহেদি লাগাবো তো। খোলা চুল, দেখা যাবে পরে ম্যানেজ করতে পারবো না।
-হমম।
ওদের কথার মাঝেই মিসের রোজিকে ওদের দিকে এগিয়ে আসতে দেখে স্বাধীন আবার সোজা হয়ে দাড়ালো। তিনি এসে পৃথার হাত ধরলেন।
– মা তুমি আমার সাথে এসো তো।
– জ্বি আন্টি।
ওনার পেছন পেছন চললো পৃথা। একটা মেহেদি পরানোর জন্য আসা মেয়ের কাছে এনে দাড় করালেন পৃথাকে মিসেসে রোজি।
– মা, ও তোমার হাতে অনেক সুন্দর করে মেহেদি লাগিয়ে দিবে। দুহাত ভরে লাগিয়ে নিবা কিন্তু। পারলে একদম কনুই পর্যন্ত
-আন্টি এতো বেশী লাগাবো কেন? আমি তো আর নতুন বৌ না।
– আমাদের জন্য তুমি নতুন বৌয়ের মতনই মা। তোমাকে তো এখনো তুলেই আনা হয়নি, তাহলে পুরাতন হলা কখন বলো তো? তোমাকে নিয়ে আমার আর লিজার, মানে তোমার শাশুড়ির কতো কথা হয়েছে তা তোমাকে বলে বোঝাতে পারবো না। ভাইয়ের অসুস্থতা না থাকলে তো লিজা নাশিদের বিয়ে কোনো ভাবেও মিস করতো না। চলে আসতো দেশে। তোমাকেও মন ভরে সাজাতো তখন। তবে সেটা যখন ও করতে পারছে না, ওর হয়ে আমি করে দিব তোমার জন্য। তারপর ওকে ছবি পাঠাবো। ও ভীষণ খুশি হবে। তাই মা এখানে চুপ চাপ বসো আর মেহেদি লাগাও।
এই কথায় হেসে রোজি মেয়েটার দিকে তাকিয়ে বলে গেলেন যেন পৃথার হাতের মেহেদি খুব সুন্দর হয়। কিছু দূরেই দাড়িয়ে এসব দেখছিল স্বাধীন। পৃথার ঠোটে হাসি আর চোখে খুশি লক্ষ্য করলো ও। মিসেস রোজির কথাও সব শুনতে পেরেছে। আসলেই আজ মা দেশে থাকলে পৃথাকে সাজিয়ে ভরে দিতেন। নিজের একমাত্র ছেলের বউকে নিয়ে মায়ের যে কতো স্বপ্ন তা স্বাধীনের সবই জানা। সেটার কিছুটা ও চেষ্টা করেছে পূরণ করতে, তাই তো পৃথাকে ইচ্ছা করেই সিলেটে শপিং করিয়েছিল।
মিসেস রোজি চলে যাওয়ার পর স্বাধীন দেখলো পৃথা মেহেদি লাগাতে বসেছে তবে মেহেদি লাগানো শুরু করার সময় ও খেয়াল করলো পৃথা এদিক ওদিক তাকাচ্ছে। কিছু একটা খুজছে পৃথা। হেটে ওর পাশে যেয়ে হাটু গেড়ে বসলো স্বাধীন,
– কি খুজছো?
– আমার হাতের বালাগুলো খুলে কোথাও রাখতে চাচ্ছি নাহলে পরে থাকলে, মেহেদি নষ্ট হয়ে যাবে। কিন্তু কোথায় রাখবো তাই বুঝতে পারছিনা।
– দাও আমাকে দাও। আমি রেখে নিচ্ছি।
স্বাধীনের বাড়ানোর হাতের দিকে একবার চাইলো পৃথা। তারপর হেসে, বালা দুটো হাত থেকে খুলে ওর হাতে দিয়ে দিল। ঠিক সেই সময়ে সামনে থেকে ফ্ল্যাশের আলো পরলো ওদের ওপর। সেদিকে ঘুরে তাকাতেই দেখলো ওদের এই মুহূর্তটাকে ক্যামেরাবন্দি করেছে অনুষ্ঠানে আসা পেশাদার ফোটোগ্রাফার। হেসে, সামনে এসে লোকটা স্বাধীনকে ছবিটা দেখালো,
– আপনাদের দুজনের এই মুহূর্তটা আমার মনে ধরে গেছে। তাই স্মৃতি তে ক্যাপচার করে ফেললাম ভাই। দেখুন।
ছবিটা দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গেল স্বাধীন আর পৃথা। ছবিটায় একটা আর্টিস্টিক ভাব এসেছে। স্বাধীন তারপর লোকটাকে নিজের পার্সোনাল মেইল আইডি দিয়ে অনুরোধ করলো এই ছবিটা আলাদা করে ওকে পাঠিয়ে দিতে।
অনুষ্ঠান খুব তাড়াতাড়িই জমে উঠলো। ভাড়া করে আনা ব্যান্ডদল ছাড়াও পরিবারের সদস্যদের উচ্ছাসেও মেতে উঠলো পরিবেশ। প্রায় সাড়ে দশটা নাগাদ সার্ভ করা হলো ডিনার। বাকিরা মজা করে খেলেও যারা মেহেদি লাগিয়েছিল তাদের জন্য হলো বিপত্তি। ওদের অসহায় মুখ দেখে বড়রা আদেশ দিলেন, স্ত্রীদের পাশে বসে আজ তাদের স্বামীরা মুখে তুলে খাইয়ে দেবেন। আর অবিবাহিতদের সাহায্য করবেন তাদের স্বজনরা।
যেই বলা সেই কাজ! খাবার নিয়ে স্বামীরা নিজ নিজ স্ত্রীর পাশে এসে বসলো। অন্যদের মুখে বড় বড় হাসি থাকলেও, স্বাধীন ওর জন্য খাওয়া নিয়ে আসাতে পৃথা পরলো লজ্জায়। এই দেখে পাশে বসা এক বড় ভাইয়ের বউ বললেন,
– পৃথা, তুমি কোনো লজ্জা পেও না। এই সুযোগ খুব রেয়ার আমাদের স্ত্রীদের জীবনে আসে। স্বামীর থেকে নিজের খেদমত পাওয়া খুবই দুর্লভ। তাই হাতছাড়া করো না।
পৃথা আর স্বাধীন একে অপরের দিকে তাকিয়েই হেসে দিল এই কথায়। তারপর পরম যত্ন নিয়ে পৃথাকে খাওয়ালো স্বাধীন। পৃথাও সেই যত্ন নিতে একটুও কার্পণ্যতা করলো না।
অনুষ্ঠানের শেষ ভাগে সবাই মিলেই একসাথে আঙ্গিনায় বেশ মজা করলো। ঠিক তখনই আশপাশ দিয়ে শোনা গেল বৃষ্টির আওয়াজ। যেহেতু মূল কাজগুলো ততক্ষণে শেষই হয়ে গিয়েছিল তাই বড়রা বললেন অনুষ্ঠান এখানেই বন্ধ করে দিতে। নয়তো আবার রাত বিরাতের এই বৃষ্টিতে কেউ অসুস্থ হয়ে পরলে বিয়ের বাকি অনুষ্ঠানের মজা মাটি হয়ে যাবে।
বড়দের কথায় যুক্তি আছে দেখে ছোটরা ইচ্ছা না থাকলেও তাদের কথা মেনে আজকের জন্য এখানেই ইতি টানলো। যেহেতু বাসার ভেতরে এতোটা খোলা জায়গা নেই তাই সেখানেও একত্র হয়ে আড্ডা দেওয়া সম্ভব হলো না। অগত্যা সবাইকে নিজ নিজ রুমের দিকেই প্রস্থান করতে হলো।
রুমে এসে স্বাধীন নিজে আগে ফ্রেশ হয়ে নিল কারণ পৃথা বলেছে ওর সময় লাগবে। তবে ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে আসার পরও স্বাধীন খেয়াল করলো পৃথা ফ্রেশ হতে যাচ্ছে না। ফ্যান খুলে হাত মেলে দাড়িয়ে আছে ও। এটা দেখে স্বাধীন অবাক হলো,
– কি ব্যাপার? এভাবে হাত মেলে রেখেছো কেন?
– মেহেদিটা শুখানোর জন্য।
– তা এতো তাড়ার কি আছে? আস্তে ধীরে শুখাতে দাও।
– আস্তে ধীরে শুখাতে দিলে আমাকে সারা রাত এই সাজ নিয়েই বসে থাকতে হবে। মেহেদি না শুখালে ফ্রেশ হবো কি করে?
এতোক্ষণে এই সহজ বিষয়টা মাথায় ঢুকলো স্বাধীনের। বোকার মতন হেসে দিল ও।
– সরি, এসব মেয়েদের জিনিস বুঝতে পারি না তাড়াতাড়ি।
– Its okay.
– তোমাকে কোনো সাহায্য করে দিতে পারি আমি?
সন্ধ্যাতেও ঠিক একই প্রশ্ন করেছিল পৃথাকে স্বাধীন। তবে এবার ও যে আসলেই সাহায্য দিতে চাচ্ছে, এবং দুষ্টুমি করছে না এটা বুঝতে পৃথার কষ্ট হলো না। কিন্তু এবারও পৃথা ওকে মানা করে দিল।
– না না। আমার হেল্প লাগবে না। আরেকটু সময় পরেই মেহেদি শুখিয়ে যাবে। তখন আমি ফ্রেশ হয়ে নিব। তুমি যাও।
– are you sure?
-ya.
স্বাধীন আর কথা বাড়ালো না। পৃথার ইতস্ততা ও স্পষ্টই বুঝতে পারছে। তার ওপর ও নিজেকে নিয়েও যে নিশ্চিন্ত তাও তো না। এরকম একটা সময়, পৃথার খুব কাছে গেলে নিজেকে ও কতটুকু সামলে রাখতে পারবে তাতে সন্দেহ আছে প্রচুর স্বাধীনের। পরে কোন একটা কিছু হয়ে গেলে, মেয়েটা ওকে না জানি কি ভেবে নেয়, এই ভয়ে নিজেকে পৃথার কাছ থেকে সরিয়ে, খাটে যেয়ে একপাশে হেলান দিয়ে বসলো ও।
কিছুক্ষণ পর পৃথা ওয়াশরুমের দিকে গেল। স্বাধীন আঁচ করলো ওর মেহেদি হয়তো শুখিয়ে গেছে। তাই হলো। মেহেদি উঠিয়ে বেরিয়ে আসলো পৃথা। তবে এখনো ওর হাতের আড়ষ্ট ভাবটা যেতে দেখলো না স্বাধীন। পৃথার কানের দুল খোলা দেখেই বলে উঠলো,
– পৃথা, সমস্যা হয়েছে নাকি হাতে?
ঘুরে তাকালো পৃথা।
– মেহেদি মোটামোটি ওঠাতে পেরেছি তবে যে জায়গাগুলোতে ভরাট ডিজাইন করা সেগুলো এখোনো ভেজা। তাই…
এবার উঠে আসলো স্বাধীন। পৃথার পাশে এসে দাড়ালো।
– দেখি, তুমি হাত ছাড়ো। আমি ঝুমকা খুলে দিচ্ছি।
পৃথা এবার মানা করার সুযোগই পেল না। তার আগেই স্বাধীন ওর হাত সরিয়ে নিজের হাত ওর কানে বসিয়ে দিয়েছে। যত্ন সহকারেই খুলে দিল ও এক কানের ঝুমকা। এর পরে হাত দিল আরেক কানে।
ঠান্ডা কানে স্বাধীনের এই উষ্ণ পরশ বেশ লাগছিল পৃথার। এই মুহূর্তে এক মায়াবী অনুভূতি হওয়ার কথা ওর। অন্তত গল্প, বা নাটকে তাই দেখেছে যে স্বামী পাশে আসলে স্ত্রী মাঝে এরম অনুভূতি হয়। তবে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো এরকম কিছু ওর লাগছিল না, বরঞ্চ ভেতরে থেকে আদুরে শান্তি অনুভব করছিল ও ঠিক সেই ছোট বেলার মতন যখন স্বাধীন ওর ছোট ছোট ব্যাপারে খুব খেয়াল রাখতো।
ওদিকে ঝুমকা খুলতে গিয়ে দুই একবার পৃথার চোখে চোখ পরেছিল স্বাধীনের। পৃথার হাসি দেখে ওর নিজের মাঝেও খুব শান্তি লাগছিল। আবার সেই আগের পৃথাকে আয়নাতে দেখতে পারছে স্বাধীন। সেই নিষ্পাপ, মায়াবী হাসি ঝলকাচ্ছে ওর চেহারায়। অবশেষে এতো বছরের দূরত্বের পর ওরা স্বামী স্ত্রীর অধিকার নিয়ে এক হয়েছে। এর থেকে বড় সুখ এখন ওদের জন্য আর কিছুই নেই।
চলবে।