#অদৃষ্টে_তুমি_আমি
#লেখিকা_সিনথীয়া
#পর্ব_১৭
আজ নাশিদের বিয়ে। ভোর থেকেই আঙ্গিনায় চলছে নানান প্রস্তুতি। আজ মানুষের সমাগম হবে ভরপুর পরিমানে। যেই আত্মীয়রা আগে এসে পৌছতে পারেনি তারা আজ আসছে বিয়েতে উপস্থিত হতে। তাই প্রস্তুতিও সেই মাত্রাতেই নিতে হচ্ছে। বাড়ির পেছনে পুকুরের পাশটায় বসানো হয়েছে রান্নার জায়গা। সেখানে কয়েক ডেগচিতে বানানো হচ্ছে বাঙ্গালীয়ানা বিয়ের ভোজ। তার সাথে আবার সিলেটের স্থানীয় কিছু মুখোরচক খাবারও তালিকায় জুড়ে দেওয়া হয়েছে। সে সব রকমারি খাবারের ঘ্রাণ একে অপরের সাথে মিলিয়ে পুরো পরিবেশটাকে ভারী করে রেখেছে।
যখন আঙিনায় চলছে এই কারবার তখন বাড়ির ভেতরটাও কিন্তু থেমে নেই। যেহেতু ছেলে মেয়ে দুজনই একই ছাদের নিচে তাই তাদেরকে নিয়েই চলছে গল্প, আড্ডা আরও কতো কি। নাশিদের বউ রুম্পাকে ঘিরে রেখেছে বোন,ননদ আর ভাবীরা। এক রুমে বসে মেয়েদের হাসাহাসি, মজা চলছে পুরোদমে। আজকের বিষয় একটাই: বাসর রাত। যদিও নাশিদ আর রুম্পার কাবিন আগেই হয়েছে, তবে ওরা একসাথে এখনো থাকেনি। তাই এ নিয়ে রুম্পাকে ঘিরে চলছে বিষদ আলোচনা। আলোচকরা হলো রুম্পা আর নাশিদের ভাবিরা আর বিবাহিত বোনরা।
– এই রুম্পা শোন, এক বারেই নিজেকে সারেন্ডার করে দিবি না বুঝলি? নাহলে তুই চিরজীবনের জন্য শেষ। নাশিদ একেবারে পেয়ে বসবে তোকে।
– হিহিহি, একদম ঠিক বলেছ ভাবি। স্বামীদের একটু ঝালাই করতে হয় এই সময়। পরীক্ষা নিতে হয় তাদের ধর্য্যের মাত্রার। নাহলে সারা জীবন যখন তখন তাদের আবদার মেটাতেই জান চলে যাবে।
এ কথার সময় বাকি ভাবিরা হো হো করে হেসে উঠলো। তবে রুম্পা সহ বাকি অবিবাহিত মেয়েরা পরে গেল লজ্জায়। এদের কাতারে অবশ্য রুম্পার মতনই ছিল আরেকজন আর সে হলো পৃথা। বিয়ে হয়ে গেলেও এখনো অবিবাহিতদের সমাজেই ওর বসবাস। তাই ভাবীদের এসব কথা ওর কানেও বাজলো অন্যভাবে। মুখ চোখ ভরে গেল লজ্জায়। এটা ওর সামনে বসা ভাবিদের চোখ এড়ালো না। সাথে সাথে রুম্পার থেকে তীর ঘুরে এসে পড়লো পৃথার ওপর।
– পৃথা, তোমার মুখ লাল নীল হয়ে যাচ্ছে কেন বলোতো? তুমিও রুম্পার পরিস্থিতিতে আছো নাকি?
পৃথার লজ্জা মাখা হাসি দেখে সবাই এবার একযোগে হেসে দিল। আঁচল এবার পৃথাকে দেখিয়ে বললো রুম্পাকে,
– রুম্পা, এই দেখ। তোমার সামনের জলজ্যান্ত প্রমাণ। এক রুমে থেকেও স্বামীর ধর্য্যের কি পরীক্ষাটাই না নিচ্ছেন পৃথা ভাবী। হাহাহা। এই ভাবী? সত্যি বলেন তো, আসলেই কি ভাইয়াকে এখনো কাছে আসতে দেননি আপনি?
লজ্জায় পৃথা কোথায় পালাবে বুঝে উঠতে পারছিল না।
– এরকম…..কিছু না।
– ওওওওওও…… তারমানে কিছু একটা হয়েছে, তাই না?
অন্য ভাবিরাও জোরাজোরি শুরু করলো পৃথার সাথে,
-এই পৃথা, বলো না আমাদেরকে? তোমার ফার্স্ট এক্সপেরিয়েন্স কেমন ছিল? ভাই, তুমি আর স্বাধীন তো আমাদের জন্য লেজেন্ড একেবারে। তোমার বর যে কিভাবে তোমার জন্য অপেক্ষা করেছে তা বলে বোঝানো যাবে না। সেখানে এখন এতো কাছে পেয়ে তো তোমাকে ছেড়ে দেওয়ার কথাই না স্বাধীনের। বলো না পৃথা, কি হলো?
পৃথা কি দিবে এর উত্তর তা মাথাই আসছিল না। যদি ও আর স্বাধীন আজ পুরোপুরি একও হয়ে থাকতো তাও তো মুখ ফুটে কিছু বলতে পারতো না ও, সেখানে ওদের তো মিলনই হয়নি এখনো। তাহলে সেক্ষেত্রে বলার তো কিছুই নেই পৃথার। শেষ পর্যন্ত চুপচাপ হেসে মাথা নিচু করে রইলো ও।
অনেক চাপাচাপি করেও যখন পৃথার মুখ খোলা গেল না তখন, গল্পের গতি অন্যদিকে মোড় নিল। সংসারের নানান রঙ নিয়ে কথা বলতে লাগলেন অভিগ্য ভাবীরা। তবে পৃথা কেন যেন সেদিকে ঘুরতেই পারলো না। ও আটকে আছে আগের কথাগুলোর মাঝে।
নিজের ভেতরেই ভাবনার সাইক্লোন চলছে পৃথার। কতো প্রশ্ন যে হঠাৎ একসাথে মিলিত হয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে তা ওর হিসেবে নেই। একেক সময় একেকটা উকি দিচ্ছে শুধু।
আচ্ছা, পৃথা কি আসলেই স্বাধীনকে বেশী অপেক্ষা করিয়ে ফেলছে? স্বাধীন যে ওর কাছে আসতে চায় এ ব্যাপারে তো ও স্পষ্টই বলেছে পৃথাকে। কিন্তু পৃথাকে সময় দিতে গিয়ে ও আর এগোয়নি। এখন পুরো বিষয়টাই পৃথার হাতে ছেড়ে দিয়েছে স্বাধীন। বলেছে পৃথা যেদিন চাইবে সেইদিন কাছে আসবে ও। পৃথার এ বিষয়টাই এখন কেন যেন খারাপ লাগছে। একটা কেমন অপরাধবোধ হচ্ছে যেন। ছেলেটাকে কি খব কষ্ট দিচ্ছে ও? আচ্ছা, স্বাধীন তো ওরই স্বামী আর স্বামী স্ত্রীর মাঝে এসব….. তো সম্পূর্ণ জায়েজ। তাহলে পৃথা….
– এই সবাই ওঠো। দুপুরের খাবার পরিবেশন করা হয়েছে। তাড়াতাড়ি খেয়ে আমাদের আবার সাজতেও তো যেতে হবে।
পৃথার চিন্তার সুতা কেটে গেল এ ডাকে। চমকে ফিরে তাকালো। মনে মনে তখন খানিকটা লজ্জাও লাগলো ওর এবং তার সাথে অবাকও হলো । গত সপ্তাহেও পৃথা যেই বিষয়টা নিয়ে নিজের ভেতর ভয়ে ছিল আজ সেটা নিয়ে ইতিবাচক চিন্তা করতে পারছে। কি অবাক কান্ড না? আরও অবাক করার বিষয় আছে। আগে স্বাধীন একটু কাছে আসলেই সতর্ক হয়ে যেত পৃথা আর গত রাতে সেই একই মানুষটা অতোটা কাছে আসেনি বলে ওর মন খারাপ হয়েছিল। আগে স্বাধীনের ছোয়া পেলে ঘাবড়ে যেত ও, এখন সেই পরশটার জন্যই অপেক্ষা করে। হঠাৎ কেন এই বিশাল পরিবর্তন? আচ্ছা ও কি পুরোপুরি স্বাধীনকে আপন করে নিতে চাচ্ছে? তা নাহলে কেন গতকাল রাতে এতো খারাপ লাগলো ওর?
হঠাৎ এই প্রশ্নটা মনে জাগতেই অজান্তে হাসি ফুটে উঠলো পৃথার মনে। কেমন একটা শান্তি যেন পেল ও। মনে হলো যেন অনেক বড় একটা বোঝা নেমে গেছে ওর কাধ থেকে। ঝট করেই পৃথা নিজের মনের সত্যতা উপলব্ধি করলো। চোখ বড় বড় হয়ে গেল ওর। আসলেই স্বাধীনকে ও আপন…..
-এই পৃথা ভাবী! কোন ধ্যানে মগ্ন আপনি?
সারা শরীর সহ চমকে গেল পৃথা। ওর লাল হয়ে যাওয়া মুখটা দেখে অবাক হলো আঁচল,
-কি ব্যাপার ভাবী? এরকম লাল হয়ে গেছে কেন আপনার চেহারা? জ্বর টর হলো নাকি আবার?
তাড়াতাড়ি উঠে দাড়ালো পৃথা।
– না না, কিছু হয়নি আমার। ঠিক আছি আমি।
-কিন্তু…
– শান্তা ভাবী আমাদেরকে ডাকলেন না খাবারের জন্য? চলেন চলেন।
এই বলে তাড়াতাড়ি আঁচলের মনোযোগ অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা করে ওকে টেনে রুম থেকে বের হলো পৃথা। মনের ভেতরে তো চলছে এক নতুন আনন্দ ওর আর সেই উল্লাসেই ও মাতিয়ে রাখতে চাইলো নিজেকে।
রুম থেকে বের হতেই ড্রয়াইরুমে স্বাধীনের সাথে পৃথার দেখা হয়ে গেল। এমনিতেই লাল মুখ, স্বামীকে দেখে হয়ে গেল আরও লাল। স্বাধীনও দেখতে পেয়েছে ওকে। তাড়াতাড়ি সামনে এসে দাড়ালো ও পৃথার। চিন্তিত কন্ঠে বললো,
-পৃথা, কি ব্যাপার? এরকম লাগছে কেন তোমাকে? লাল হয়ে গিয়েছে তোমার মুখ। জ্বর ফিল করছো নাকি তুমি?
এই বলে স্বাধীন, পৃথার কপালে হাত দিতে গেল। ওর জোরে বলা কথা আশপাশে সবাই শুনেছে এবং স্বাভাবিকভাবেই ওদের দৃষ্টিও এসে আটকেছে পৃথা আর স্বাধীনের ওপর। এই দেখে ইতস্তত বোধ করলো পৃথা, তারওপর স্বাধীনের সামনে থাকায় লজ্জা তো আছেই। নিজের কপালটা তাই একটু পিছিয়ে নিল ও। ক্ষিণ গলায় কোনোমতে বলতে পারলো ও,
– আমি ঠিক আছি।
স্বাধীনও ততক্ষণে নিজের আশপাশের অবস্থার প্রতি অবগত হয়ে গিয়েছে তাই ও নিজেও আর বেশি কথা আগালো না। ছেড়ে দিল পৃথাকে। পৃথাও সাথেসাথে চলে গেল ওর সামনে থেকে।
রাত নামলো। সন্ধ্যা থেকে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে আঙিনার সব সাজসজ্জার আলোকবাতি। আজ শুধু আঙিনাই না, পুরো বাঙলোটাই সেজেছে নতুন বউয়ের মতন। মডার্ন এবং ট্রেডিশনালের সংমিশ্রণে গড়া হয়েছে আজকের পরিবেশ। ঢাকা থেকে আনা হয়েছে হরেক রকম বিদেশি ফুল যেগুলো দিয়ে সাজানো হয়েছে বর কনের বসার স্টেজ। এর মাঝেই আবার ব্যবহার হয়েছে বাঙালি তারাবাতি যেটা স্টেজ সহ চারদিককে আলোকিত করে রেখেছে।
দুই পক্ষই এক বাড়িতে। তাই বর আর বউয়ের স্বাগতমের প্রস্তুতি হলো মিলিতভাবেই। এই বিয়ের প্রতিটা ধাপেই সব সদস্যরা নির্মল আনন্দ উপোভোগ করতে পেরেছে একসাথে মিলে। কোথাও কখনো পক্ষ পাতিত্ব হয়নি বলে আজে শেষ প্রোগ্রাম অব্ধি সবার মুখে ঝুলছে শান্তির হাসি। বড়রা যেভাবে প্রশান্তির সাথে বসে বসে অনুষ্ঠান উপোভোগ করছেন সেভাবেই ছোটরা হইহুল্লোড়ের সাথে আনন্দময় করে তুলেছে পুরো পরিবেশটা।
আজ স্বাধীন অফ হোয়াইট একটা স্যুট পরেছে। ভেতরে সাদা শার্ট আর মেরুন রঙের টাইতে অসাধারণ লাগছে ওকে। নিচে নামতেই ওকে জড়িয়ে ধরলেন মিসেস রোজি,
– আমার এই ছেলেটাকে সবচাইতে হ্যান্ডসম লাগে আমার কাছে। কি সুন্দর লাগছে আজকে তোকে বাবা। আমাদের বৌমা দেখেছে এখনো তোকে?
সুন্দর একটা মনখোলা হাসি দিল স্বাধীন,
– আপনার বৌমাকেই তো খুজে পাচ্ছি না আন্টি। কোথায় ও?
– রুম্পা সহ সব মেয়েরা একসাথে সাজছে সামনের কটেজটায়। ওখানেই ব্যবস্থা করা হয়েছে ওদের জন্য।
– ওখানে? ওখানে না আজ নাশিদ-রুম্পার বাসর ঘর সাজানো হচ্ছে?
– হমম। কটেজে তো রুম আছে তিনটা। সবচেয়ে বড় রুমটা ওদের বাসর ঘরের জন্য সাজানো হয়েছে। বাকি দুই রুমে সাজছে ওরা সবাই।
-ওওও।
– ওদের সাজ বোধহয় শেষ প্রায়। এখনই আসবে। তুই স্টেজের কাছে যা। নাশিদ সহ বাকি ছেলেরা ওখানেই আছে।
স্বাধীন পৌছানোর দশ মিনিটের মাঝেই বউকে নিয়ে প্রবেশ করলো মেয়েরা। সাথেসাথেই ছেলেমেয়ে মিলিয়ে এক উৎসব মুখর পরিবেশের সৃষ্টি হলো। এদেরমধ্য থেকেই স্বাধীন খুজে পেল তার স্ত্রীকে। লাল গাদোয়াল শাড়ির সাথে ভারী গয়না পরেছে সে। হাত ভরা চুড়ি দেখে একটু অবাক হলো স্বাধীন। এতো চুড়ি তোও দেখেনি পৃথাকে কিনতে। তাহলে ও পেল কোথায়?
স্বাধীন সব হইচইয়ে মাঝ দিয়েই এসে পৃথার পাশে দাড়ালো। নাশিদ আর রুম্পাকে ওদের আসনে বসিয়ে যখন নিজেরা একটু শান্ত হলো তখন স্বাধীন আর পৃথার কাছে এসে দাড়ালো আঁচল,
-স্বাধীন ভাইয়া আজ ভাবীর নামে কমপ্লেন আছে আপনার কাছে।
আঁচলের দুষ্টুমি ভরা কন্ঠ শুনে হেসে দিল স্বাধীন,
– কিরকম?
-আজকে সাজতে গিয়ে ভাবী আমাদের যে ভুগানোটা ভুগিয়েছে তার কোনো হিসাব নেই। একদমই সাজতে চাচ্ছিলেন না। শুধু নাকি শাড়ি পরলেই তার হতো। মেকাপটাও করাতে হয়েছে আমাদের অনেক জোর জবস্তি করে। শেষে দেখি হাতে মাত্র কয়েকটা চুড়ি। আমার চুড়িগুলো দিয়ে ওনার হাত ভরালাম। এখন দেখে বলেনতো ভাবীকে কেমন লাগছে? Isn’t she looking gorgeous?
স্বাধীন এর উত্তরে পৃথার দিকে তাকিয়ে একটা রহস্যময় মুচকি হাসি দিল কিন্তু কোনো কিছু বললো না। এটা দেখে যাও একটু পৃথার মনে আশা জেগেছিল তাও গেল পুরোপরি দমে। হাসিটা একদমই উধাও হয়ে গেল ওর। এদিকে আঁচলকে কেউ ডাকাতে ও চলে গেল। তখন আসলেই রাগ ফুটলো পৃথার চেহারায়।
সেই একটি নিশ্চুপ মুহূর্তই যথেষ্ট ছিল পৃথার পুরোটা অনুষ্ঠানের মজা নষ্ট করার জন্য। হলোও তাই। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যন্ত মেয়েটা একটা মেকি হাসি পরে রইলো মুখে যাতে বড়রা কিছু না আঁচ করতে পারে। স্বাধীনও বোধহয় ওর সেই হাসিতেই সন্তুষ্ট হয়ে ছিল। তাই তো একবারও পৃথাকে কোনো প্রশ্ন করেনি ও।
অনুষ্ঠান শেষ করে নাশিদ আর রুম্পাকে পাঠিয়ে দেওয়া হলো কটেজে। রাত বেশী হয়ে যাওয়াতে বড়রা সবাইকে যার যার রুমেই চলে যেতে বললেন। আকাশের অবস্থা ভালো ছিল না। কয়েকবারই মেঘ ডেকেছে এরমধ্যে। যেকোনো সময় ঢেলে বৃষ্টি নামার সম্ভবনা আছে। তাই কাউকে আর বাইরে থাকতে দিলেন না তারা। তার ওপর অনেক অতিথিই আবার পরেরদিন সকালে রওনা দিবে তাই পূর্ণমানের রেস্ট নেওয়াও দরকার।
স্বাধীন পৃথার কাছে আসলো,
– পৃথা তুমি রুমে চলে যাও আগে।
-কেন? তুমি কোথায় যাও?
-কোথাও না। আমাদের কিছু বয়ষ্ক আত্মীয়রা আছেন, তারা কাল সকালেই চলে যাবেন। তাদেরকে একটু সময় দিয়ে আসি। ওনাদের সাথে আর কবে দেখা হবে তা তো জানি না।
– তাহলে চলো আমিও যাই তোমার সাথে।
-দরকার নেই। তুমি এমনিতেই আজ ভীষণ টায়ার্ড। ফ্রেশ হয়ে নাও রুমে গিয়ে।
পৃথা আর কথা বাড়ালো না। তবে মনে মনে আজ জেদ উঠে আছে ওর। আজ স্বাধীনের সাথে ও কথা বলবে গত দুই দিনের ওর আচরণ নিয়ে।
যেই বলা সেই কাজ। রুমে ঢুকে যেমন সাজ ছিল তাই নিয়ে বসে রইলো পৃথা স্বাধীনের অপেক্ষায়,
– আজ আসুক ও! এক হাত ঝগড়া করবো ওর সাথে।
তবে স্বাধীন আসলো না অনেক্ষণ। পৃথা ওর জন্য অপেক্ষা করতে করতে এক সময় ঘুমে তলিয়ে গেল।
চলবে।