#স্নিগ্ধ_কাঠগোলাপ
#সাদিয়া_জাহান_উম্মি
#পর্বঃ৪৬
মাত্রই বাসায় ফিরেছে আরাবী আর নূর।দুর্বল শরীরটা নিয়ে আরাবী গাড়ি থেকে বের হলো।নুরু সাহায্য করল আরাবীকে।কলিংবেল বাজাতেই মিলি বেগম এসে দরজা খুলে দিলেন। আরাবী আর নূরকে দেখেই তিনিই প্রশ্ন করলেন,
‘ এত দেরি হল কেন তোদের? কি করছিলে এতক্ষন? ‘
নুর হকচকিয়ে গিয়ে বলল,
‘ আসলে ছোটোমা তেমন কোনো ভালো গিফট পাচ্ছিলাম না। তার উপর ভাবি ননদ মিলে একটু আশেপাশে ঘুরে এসেছি। ‘
মিলি বেগম তীক্ষ্ণ কণ্ঠে বললেন,
‘ আমার কাছে জবাবদিহিতা না দিয়ে জায়ানের কাছে দিস। ‘
আরাবি ভয় পেয়ে গেল। দুর্বল কণ্ঠেই বলে উঠলো,
‘ কেন ছোট মা কি হয়েছে? ‘
‘ তোমাদের দুজনকে জায়ান কতবার নাকি কল করেছে। তোমরা কেউ নাকি কল রিসিভ করো নাই।বেচারা অফিস ফেলেই বাড়িতে ছুটে এসেছে। ভীষণ রেগে আছে। তোমরা ফিরতেই আরাবীকে রুমে যেতে বলেছে।’
ভয়ে আরাবির গলা শুকিয়ে কাঠ। একবার অন্তত জায়ানের কল রিসিভ করার উচিত ছিল।অথবা একটা মেসেজ দিল হতো।কিন্তু তারাহুরোতে সেটাও ভুলে গিয়েছিল।চরম ভুল করে ফেলেছে ওরা দুজন এখন করবে ভেবে পাচ্ছিনা। নুর ভয়ে ভয়ে তাকালো আরাবীর দিকে। আরাবী নূরকে চোখের ইশারায় আশ্বস্ত করলো। ধীর কন্ঠে বলে উঠলো,
‘ চিন্তা করো না। তুমি তোমার রুমে যাও। আমি উনাকে সামনে নিব। ‘
‘ কিন্তু ভাবি… ‘
কথার মাঝে থামিয়ে দিল নুরকে আরাবী।বলল,
‘ আমি বললাম তো আমি উনাকে সামনে নেব তুমি চিন্তা করো না। রুমে গিয়ে বিশ্রাম নাও আজ অনেক খাটাখাটনি গিয়েছে। ‘
নুর আরাবীর কথা সম্মতি জানিয়ে নিজের রুমে চলে গেল। মিলি বেগম এবার আরাবীর মুখের দিকে তাকালেন।আরাবীর চোখ মুখ শুকিয়ে গিয়েছে তা দেখে তিনি বললেন,
‘ কি হয়েছে আরাবী? তোমার চোখমুখ কেমন লাগছে কেন? ‘
আর আমি অপ্রস্তুত হয়ে পড়ল। জোরপূর্বক হেসে আমতা আমতা করে বলল,
‘ ও কিছু না ছোটমা মাথাটা একটু ধরেছে।একটু বিশ্রাম নিলেই ঠিক হয়ে যাবে। ‘
‘ আচ্ছা নিচে আসা লাগবে না। তুমি রুমে যাও আমি খাবার পাঠিয়ে দিব তোমাদের দুজনের জন্য। ‘
আরাবী মাথা দুলিয়ে সম্মতি জানালো।আরাবীর প্রচন্ড মাথা ঘুরাচ্ছে। আরাবী আস্তে আস্তে সিঁড়ি বেয়ে উপরে রুমে চলে গেল। রুমে প্রবেশ করে কোথাও জায়ানকে দেখলো না। আরাবীর প্রচণ্ড খারাপ লাগছে তাই জায়ানকে না খুঁজে ও আগে ফ্রেশ হতে গেল। আলমারি খুলে এখন নিয়ে জামা কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেল। ভালোভাবে ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে এবার জায়ান কে চুপচাপ বিছানায় বসে থাকতে দেখলো। আরাবী চুপচাপ জায়ানের কাছে গেল। আলতো করে বসলো জায়ানের পাশে।জায়ান তাও কোন প্রতিক্রিয়া করলো না। আরাবী শুকনো ঢোক গেলে।জিব্বা দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে বলল,
‘ কি হয়েছে আপনার? এত চুপচাপ কেন আছেন?’
জায়ান এবার তাকানো আরাবীর দিকে। আরাবী জায়ানের চোখের দিকে তাকিয়ে কেঁপে উঠলো।জায়ানের চোখ জোড়া লাল হয়ে আছে। আর আমি ভয় পেয়ে গেল। কাঁপা গলায় বলল,
‘ কি হয়েছে আপনার? আপনাকে এমন দেখাচ্ছে কেন? ‘
এইবার মুখ খুললো জায়ান।শীতল গলায় বলে উঠলো,
‘ হসপিটালে কেন গিয়েছিলে তুমি?’
জায়ানের এমন প্রশ্নে চমকে গেল আরাবী।আশ্চর্য! লোকটা জানলো কিভাবে সে হসপিটালে গিয়েছিল। আরাবী আমতা আমতা করে বলতে লাগলো,
‘ আসলে ওই মানে আর কি… ‘
আরাবীকে থামিয়ে দিয়ে জায়ান বলল,
‘ বাহিরের খাবার কেন খেয়েছো তুমি? বাহিরের খাবার যে ভালো না তা তুমি জানো না? আর এতবার কল করলাম তোমায় একটা কলও রিসিভ করলে না। অন্তত একটা মেসেজ তো দিবে। ভাগ্যিস আমি ড্রাইভার কাকাকে ফোন করে সব জেনেছি। না হলে আজ তোমার সাথে এত কিছু হয়েছে তুমি তো আমাকে কিছুই জানাতে না। ‘
আরাবী চোখ নামিয়ে নিল। ড্রাইভার কাকা যে এভাবে জায়ানকে সব বলে দিবে তা ও ভাবতে পারিনি। আরাবীর এটা ভাবা উচিত ছিল। তাহলে ও আগেই ড্রাইভার কাকাকে সাবধান করে দিত। যাতে জায়ানকে কিছু না জানায়। এখন যেহেতু সব জেনে গিয়েছে তাই আর লুকিয়ে লাভ নেই।আরাবী অপরাধীর ন্যায় কন্ঠে বলল,
‘ আসলে তখন অনেক ফুচকা খেতে ইচ্ছে করছিল তাই খেয়েছিলাম। কিন্তু এমন যে হয়ে যাবে ভাবতে পারিনি। ‘
জায়ান চোখ বন্ধ করে নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে।দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
‘ আর এই নূরের কি একবার ফুড পয়জনিং হয়ে শিক্ষা হয়নি। ও আবার আজ বাহিরের এসব নোংরা খাবার খেয়েছে। ‘
আরাবী দ্রুত মাথা নাড়িয়ে না জানালো। নূরের হয়ে সাফাই গাইল,
‘ নূরের কোন দোষ নেই নূরকে কিছু বলবেন না। নুর আমাকে সাবধান করেছিল। আমিই ওকে জোর করে নিয়ে গিয়েছি। ‘
‘ আচ্ছা সেটা মানলাম একবার আমার কলটা তো রিসিভ করে
নিতো। নাকি সেটাও তুমি মানা করেছো। ‘
আরাবী মাথা দুলিয়ে হ্যাঁ বোঝালো। জায়ান রেগে মেগে একাকার। হাতে তালি দিয়ে বলল,
‘ বাহ খুব ভালো করেছো। তোমরা দুজন নিশ্চিন্তে এসব প্ল্যানিং করেছ। আর এদিকে জান হাতে নিয়ে আমি চিন্তায় মরে যাচ্ছিলাম। তুমি কি এতোটুকু বোঝনা তোমার কিছু হলে আমার মাথা ঠিক থাকে না। কাজের কত প্রেসার তুমি জানো? তার উপর তোমার এত বাচ্চামো।কি চাও তুমি?আমাকে একেবারে মেরে ফেলবে? ‘
জায়ানের হাত দিয়ে দিল আরাবী।জায়ানের মুখে এমন কথা শুনে আরাবীর চোখ ভরে উঠলো। মাথা দুলিয়ে না বোঝালো যেন জায়ান এসব কথা আর না বলে। এক ফোঁটা অশ্রু আরাবীর গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ল। জায়ান দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেললো। এই মেয়েটার সাথে দু একটা কড়া কথা বলতে পারে না। মেয়েটার চোখের পানি দেখলেই ওর বুকে ব্যথা উঠে। আরাবীকে কান্না করতে দেখে জায়ানের রাগ পরে গেল। বৃদ্ধাঙ্গুলের সাহায্যে আরাবীর চোখের পানি মুছে দিল। তারপর আদুর এভাবে আরাবীকে বুকের মাঝে জড়িয়ে নিয়ে বলল,
‘ কান্না করো না প্লিজ চুপ করো। আচ্ছা সরি আর বলবো না এরকম। রাগের মাথায় একটু বুকে দিয়েছি। সরি বললাম তো কান্না থামাও।’
আরাবী কিছুই বলল না। চুপচাপ লেপ্টে রইলো জায়ানের বুকে।
জায়ান আরাবীকে বুকে নিয়েই পিছিয়ে গিয়ে বিছানার সাথে হেলান দিয়ে বসলো। তারপর আরাবীর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো। আরাম পেয়ে আরাবী এক সময় সেভাবেই ঘুমিয়ে পড়ল।জায়ান মুচকি হাসলো। চুমু খেলো আরাবীর চুলের ভাজে।
চোখ বুজে বিড়বিড় করল,
‘মেয়েটাকে একটুখানি বকেও শান্তি নেই। কি যে করবো আমি একে নিয়ে। ‘
জায়ান নিজেও ঘুমিয়ে পড়ল। ঘুম ভাঙলো দরজায় করাঘাতের আওয়াজে। জায়ান চোখ মেলে তাকালো। মাথা নিচু করে ঘুমন্ত আরাবীকে দেখে নিয়ে বলল,
‘ ওয়েট আমি আসছি। ‘
আরাবিকে সাবধানে বুক থেকে নামিয়ে বালিশে শুইয়ে দিল। তারপর উঠে গিয়ে দরজা খুলল। দেখে মিলি বেগম দাঁড়িয়ে আছে। হাতে তার খাবারের ট্রে। জায়ান দরজা ছেড়ে দিয়ে দাঁড়াল।বলল,
‘ ছোটমা ভেতরে এসো। ‘
মিলি বেগম ভেতরে আসলেন। বিছানায় আরাবীকে ঘুমিয়ে থাকতে দেখে হাসলেন। বেডসাইট টেবিলে খাবারের ট্রে রাখতে রাখতে বললেন,
‘ ফিরেছে সেই সময় মেয়েটাকে ক্লান্ত দেখেছি। আস্তে ধীরে ঘুমের থেকে উঠিয়ে খাবারটা খাইয়ে দিও। ‘
‘ আচ্ছা। বাকিরা সবাই খেয়েছে? তুমি খেয়েছ? ‘
‘ হ্যাঁ আমি খেয়েছি। বাকিরাও বাকি খেয়েছি। শুধু তোরা দুজনই বাকি ছিলি। দুজনে খেয়ে নিস আমি গেলাম! ‘
এই বলে মিলি বেগম চলে গেলেন। জায়ান দরজা আটকে ওয়াশরুমে গেল। ফ্রেশ হয়ে পানি নিয়ে আসলো। সেটা বেডসাইট টেবিলে রেখে। আরাবীরর পাশে বিছানায় বসে পড়ল। তারপর আস্তে আস্তে আরাবীকে ডাকতে লাগলো। একাধিক ডাকাডাকির কারণে আরাবীর ঘুম ছুটে গেল। পিটপিট করে তাকালো আরাবী।সম্মুখে জায়ানের চেহারা দেখে মিষ্টি করে হাসলো। জায়ান আরাবীর গালে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলল,
‘ উঠো ছোট মা খাবার এনেছে। খেয়ে আবার ঘুমিয়ে নিও।’
আড়মোরা ভেঙে আরাবি উঠে বসলো । মগে করে আনা পানিতে জায়ান ওর রুমাল ভেজালো।তারপর যত্ন সহকারে আরাবীর ঘুমন্ত মুখটা মুছে দিল। আরাবী চুলগুলো হাত খোঁপা করে নিল। জায়ান মুগ্ধ হয়ে দেখল। এই দৃশ্যটা দেখতে জায়ানের খুব ভালো লাগে। জায়ান উঠে গিয়ে খাবার নিয়ে আসলো। এক প্লেটে দুজনের জন্য খাবার নিয়ে। তা মেখে এক লোকমা আরাবীর সামনে ধরল। খাবারটা নাকের সামনে উদ্ভট গন্ধে আরাবী নাকমুখ চেপে ধরল দুহাতে। আরাবীর এমন কাণ্ডে জায়ান হকচকিয়ে গেল। হঠাৎ কি হলো মেয়েটার?
জায়ান চিন্তিত স্বরে বলে,
‘ কি হয়েছে আরাবী?’
আরাবী নাক মুখ কুঁচকে বলল,
‘ গন্ধ লাগছে আপনি খাবারটা সরান। ‘
আরাবীর গন্ধ লাগছে শুনে জায়ান খাবারটা নাকের সামনে নিয়ে শুকে নিল।তারপর বলল,
‘ কোথায় গন্ধ আরাবী? ঠিকই তো আছে।তাছাড়া আর রান্নাও তো নাকি তুমি করেছ। ‘
‘ হ্যাঁ করেছি ঠিক আছে। কিন্তু এখন গন্ধ লাগছে তো আমি কি করবো?আমি এটা খাব না। ‘
আরাবী মুখ ফুলিয়ে ফেলল। আরাবীকে মুখ ফুলাতে দেখে জায়ান বলল,
‘ আচ্ছা এটা দিয়ে তোমার খেতে হবে না তুমি অন্য কিছু দিয়ে খাও। ‘
‘ আজ দিন পদের ভর্তা করেছি তো ওগুলো দিয়ে দেন। ‘
আরাবীর কথামতো জায়ান তাই করল। কিন্তু তবুও মেয়েটা বেশি খেলো না। জায়ান দু তিনবার জোর করেছে কিন্তু আরাবী খাবেই না। ওর নাকি বমি পাচ্ছে। এটা শুনে জান আর জোর করল না। না হলে দেখা যাবে যা খেয়েছে তাও ফেলে দেবে। খাওয়া-দাওয়া শেষে সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে দুজন ঘুমিয়ে পড়ল।
গভীর রাত। গভীর তন্দ্রায় আচ্ছন্ন সবাই।হঠাৎ অস্থিরতায় আরাবীর ঘুমটা ভেঙে গেল। তড়াক করে উঠে বসে জোরে জোরে শ্বাস নিতে লাগল। স্বপ্নের মাঝে সাথী বেগমকে দেখেছে আরাবী।এখনো কানে বেজে চলেছে সাথী বেগমের কথা,
‘ ওরা আমাকে নিয়ে যাবে আমি। আমি যাব না। তুমি আমাকে বাঁচাও। বাঁচাও আমাকে। আমার সাফুর কাছে আমাকে নিয়ে চলো। আমার পুতুল সোনা কাঁদছে আমার জন্য। তুমিই পারবে, আমাকে ওদের কাছে নিয়ে যেতে। প্লিজ নিয়ে চলো আমাকে ওদের কাছে। ওরা আমাকে খুব কষ্ট দিচ্ছে আরাবী। প্লিজ আমাকে বাঁচাও। ‘
আরাবী দুহাতে কান চেপে ধরল। মৃদু চিৎকার করে উঠলো। ওর চিৎকার শুনে জায়ান ঘুম থেকে ধরফরিয়ে উঠলো। আরাবীকে কেমন অস্থির আচরণ করতে দেখে ভয় পেয়ে গেল জায়ান। দ্রুত আরাবীকে টেনে নিজের বুকের মাঝে নিয়ে আসলো। নিরাপদ স্থানে ঠাই পেতেই আরাবী এবার ফুপিয়ে উঠলো।জায়ান আরাবী র পিঠে হাত বুলাতে বুলাতে বলল,
‘ কি হয়েছে কাঠগোলাপ? আমাকে বলো সোনা? কেন এতো ভয় পাচ্ছো? ‘
আরাবী জোরে জোরে দু’তিনটা শ্বাস নিল। বহু কষ্টে থেমে থেমে বলল, ‘ জায়ান ওই যে আমি দেখেছি মা, মাকে দেখেছি আমি। মা কষ্টে আছে জায়ান।বাঁচান উনাকে বাঁচান। আপনি বাঁচান..! ‘
এটুকু বলেই নিস্তেজ হয়ে পড়ল আরাবী।জায়ান আরাবীর মুখটা সামনে এনে দেখে। মেয়েটা জ্ঞান হারিয়েছে।ঘেমেনেয়ে একাকার অবস্থা । জায়ান চিন্তায় পড়ে গেল হঠাৎ কি হল আরাবীর।আর মাকে বাঁচানোর কথাই বা কেন বলছে?এই কথার মানে কি? নাহ,জায়ানের এবার পুরো দমে খেলার মাঠে নামতে হবে। ওর অজান্তে অনেক কিছুই ঘটছে। এবার রহস্য উদঘাটনের পালা। অনেক ছাড় দেওয়া হয়েছে সবাইকে। কিন্তু এবার আর না সবাইকে সবার পাপের শাস্তি পেতেই হবে। আর ওর কাঠগোলাপকে যে কষ্ট দেবে। তার শাস্তি হবে ভয়াবহ। আজ বাহিরে গিয়ে কি ঘটেছে সম্পূর্ণ তথ্য করতে হবে। আর তা একমাত্র নূরই বলতে পারবে। আরাবী কেন এত ভয় পাচ্ছে। কাল সকালেই নূরের সাথে কথা বলতে হবে।
#চলবে_________
ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন। কেমন হয়েছে জানাবেন। এইতো আস্তে আস্তে রহস্যের খোলাসা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই সবকিছু জেনে যাবেন।