স্নিগ্ধ_কাঠগোলাপ #সাদিয়া_জাহান_উম্মি #পর্বঃ৪৭

0
588

#স্নিগ্ধ_কাঠগোলাপ
#সাদিয়া_জাহান_উম্মি
#পর্বঃ৪৭
আজ হাসপাতালে এসেছে আরাবী। সাথে আছে নূর।জায়ান আসতে চেয়েছিলো।আরাবী মানা করে দিয়েছে।লোকটার এমনিতে কতো কাজ।আজ আবার কাজ তাড়াতাড়ি শেষ করতে হবে।কারন সন্ধ্যায় আবার আলিফার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যাবে।আলিফাদের বাসায় ছোটো-খাটো একটা পার্টির আয়োজন করেছে।জায়ান তো যাবেই না একদম।আরাবী জোড়জবরদস্তি করে পাঠিয়েছে জায়ানকে।আরাবী বসে আছে চেয়ারে।এতো এতো মানুষের কোলাহল ভালো লাগছে না ওর।যতো দ্রুত সম্ভব এখান থেকে যেতে পারলেই মনে হয় শান্তি।এদিকে আরাবীর সিরিয়াল নাম্বার হলো চৌদ্দ। এখন গিয়েছে ১২ নাম্বার।আরও একজনের পরে আরাবী যাবে।চুপচাপ বসে রইলো আরাবী।এমনসময় জায়ানের কল আসে। আরাবী কলটা রিসিভ করে কানে ধরতেই জায়ান বলে,
‘ কি করছ?ডক্টর দেখিয়েছ?’

আরাবী ধীর আওয়াজে বলে,
‘ নাহ,এখনও আমার সিরিয়াল আসেনি।আরও একজনের পরে যাবো।’
‘ একঘন্টা হয়ে গিয়েছে।তোমাদের হসপিটালে নামিয়ে দিয়ে এসেছি আমি। তোমার সমস্যা হচ্ছে না?’

জায়ানের চিন্তিত স্বর।আরাবী খানিকটা মিইয়ে যাওয়া স্বরে বলে,
‘ কোমড়টা ব্যথা করছে ক্ষানিকটা।অনেকক্ষণ যাবত বসে আছি তো এইজন্যেই।আপনি চিন্তা করবেন না।’

আরাবী বললো ঠিকই।কিন্তু জায়ানের কি চিন্তা কমবে?একটুও বা।বরংচ আরও বাড়ল।তবে আরাবী আর বেশি কিছু বলল না।আরও কিছু টুকটাক কথা বলে কলটা কেটে দিলো।এদিকে কথা বলতে বলতে আরাবীর সিরিয়াল এসে পরল।আরাবীর নাম ধরে ডাকা হচ্ছে।আরাবী ডক্টরের কেভিনে প্রবেশ করল।নম্রভাবে সালাম জানালো। ডক্টর সালামের জবাব দিয়ে আরাবীকে বসতে বলল। আরাবী বসল।ডক্টর আরাবীর রিপোর্টগুলো দেখছেন।রিপোর্টগুলো দেখে ডক্টর এইবার আরাবীর দিকে তাকালো।তারপর মুচঁকি হেসে বলে,
‘ কংগ্রাচুলেশনস আপনাকে। আপনি প্রেগন্যান্ট। আপনার নয় সপ্তাহ প্লাস চলছে।’

ডক্টরের কথাটা প্রথম শুনে।মস্তিষ্কে আয়ত্ত করতে পারল না আরাবী।শুধু ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে রইলো।আরাবীর অবস্থাটা বুঝতে পারলেন ডক্টর।তাই তিনি আবারও বললেন,
‘ মিসেস আরাবী।আপনি ঠিক শুনছেন।আপনি মা হতে চলেছেন।’

একই কথা ডক্টরের মুখে শুনে এইবার যেন টনক নড়ল আরাবীর।চমকে উঠে বড়ো বড়ো চোখ করে তাকালো।ওর ডানহাতটা অজান্তেই ওর পেটে চলে যায়।মুখ ফোসকে ধীর আওয়াজে বলে উঠে,
‘ আমি মা হবো।’
‘ জি!ঠিক শুনেছেন।আপনার হ্যাল্থ কন্ডিশন মোটামোটি ভালোই।রক্তশূন্যতা আছে আর প্রেসারটা লো।ঠিকঠাকভাবে খাবার খাবেন।শরীরে রক্ত হবে এমন জাতীয় খাবার আর ফল খাবেন।বাকি সব আলহামদুলিল্লাহ ঠিক আছে।বাচ্চাও সুস্থ আছে।’

ডক্টর আরও কিছু কথা বলল আরাবীকে।আর কিছু মেডিসিন প্রেসক্রাইব করে নিলো।আরাবী শুধু চুপচাপ হু হা করল।ওর এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না।ওর মাঝে এখন আরেকটা ছোট্টো জীবনের বসবাস।যে ধীরে ধীরে এখন ওর মাঝে বড়ো হবে।হঠাৎ করেই যেন তার অস্তিত্ব আরাবী নিজের মাঝে অনুভব করতে পারছে।চোখ ভরে আসল আরাবীর।এতো এতো সুখ।আরাবী কিভাবে সামলাবে নিজেকে?আচ্ছা?জায়ান যখন জানতে পারবে এই খুশি খবর তখন তার রিয়েকশন কেমন হবে?ঠিক কি করবে তখন লোকটা?লোকটা তো এমনিতেই পাগল।আবার যদি জানতে পারে সে বাবা হতে চলেছে তাহলে তো কোনো কথাই নেই।তার পাগলামি যে আর একশ গুণ বেড়ে যাবে তা আরাবী খুব ভালোভাবেই জানে।এসব ভেবেই আরাবীর ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে উঠল।রিপোর্টগুলো নিয়ে কেভিনের বাহিরে আসতেই এগিয়ে আসল নূর।এসেই জানতে চাইলো,
‘ ভাবি?কি বলেছে ডক্টর?রিপোর্টে কি এসেছে?’

আরাবী নূরের প্রশ্ন শুনে মুচঁকি হাসল।এরপর নরম গলায় বলল,
‘ তুমি ফুপ্পি হতে চলেছ নূর।’

নূর চমকালো।পর পর খুশিতে আত্নহারা হয়ে জড়িয়ে ধরল আরাবী।প্রায় চ্যাচানো স্বরে,
‘ ও মাই গড ভাবিইইইইই।আমি ফুপ্পি হবো।আল্লাহ্! আমি এতো খুশি কোথাও রাখব।ইইইইই! আমার যে কি খুশি লাগছে ভাবি।’

একটু থামে আরাবী।ব্যাগ থেকে ফোনটা বের করতে করতে বলতে লাগল,
‘ ভাইয়াকে ফোন করে জানাতে হবে।ভাইয়া অনেক খুশি হবে।’

নূর ফোন বের করতেই আরাবী নূরের হাতটা খপ করে ধরল।নূর জিজ্ঞাসাসূচক নজরে তাকালো আরাবীর দিকে।আরাবী মাথা নাড়িয়ে না বোঝালো।বলল,
‘ এভাবে বলো না।আমি তোমার ভাইয়াকে স্পেশালভাবে বলব।’

আরাবীর কথাটা শুনে নূর গাল ভড়ে হাসল।কথাটা ওর পছন্দ হয়েছে। বার দুয়েক মাথা দুলিয়ে বলল,
‘ ঠিক আছে ভাবি।তুমি যা ভালো মনে করো।’

নূর আবারও জড়িয়ে ধরল আরাবীকে।ও ফুপ্পি হচ্ছে।ইশ,কি আনন্দ লাগছে।ওর এই কথাটা আহাদের সাথে শেয়ার করতে ইচ্ছে হচ্ছে।এই কয়েকদিনে আহাদের সাথে ওর সম্পর্কটা বেশ উন্নতি হয়েছে।দুজন এখন বন্ধুর মতো হয়ে গিয়েছে।একে অপরের সাথে সব সেয়ার করে।ঠিক বেস্টফ্রেন্ডের মতো।যেই ভাবা সেই কাজ।নূর আরাবীকে সাইডে বসিয়ে দিয়ে।তারপর আহাদকে কল করল।ক্ষানিক বাদেই কল রিসিভ করল আহাদ।সালাম আদান প্রদান করার পর।আহাদ জিজ্ঞেস করল,
‘ হ্যা নূর?কি করছ?ভাবিকে ডক্টর দেখিয়েছ?’

নূর প্রাণোচ্ছলভাবে হাসল।বলল,
‘ হ্যা দেখিয়েছি। আর অনেক অনেক অনেক ভালো একটা খবরও আছে।’

নূরকে এতোটা খুশি হতে দেখে আহাদের মুখেও হাসি ফুটে উঠল।মেয়েটা হাসিখুশি থাকলে।ওর শান্তি শান্তি লাগে।আহাদ মুচঁকি হেসে বলে,
‘ কি সুখবর?বলো শুনি?’

নূর বলে উঠে,
‘ এভাবে তো বলব না।’
‘ তো কিভাবে বলবে?আচ্ছা,ওয়েট আমি আসছি।আজ এমনিতেও কাজের চাপ কম।তার উপর একটু পরেই লাঞ্চ টাইম। আমি হসপিটালের সামনে আসছি।আমার অফিস থেকে হসপিটাল বেশি দূরে নাহ।ওখানেই থাকো ওয়েট।’

নূর হা হয়ে গেল আহাদের কথা শুনে।তড়িঘড়ি করে বলতে চাইলো,
‘ আরে শুনুন তো আমার কথা।আরে….’

আহাদ নূরের কোনো কথাই শুনল না।কল কেটে দিয়েছে ওলরেডি।নূর কান থেকে ফোনটা সরিয়ে কপালে হাত দিলো।এই লোক এতো পাগল কেন?উফ!
যাক, আসুক।সমস্যা নেই।নূর আবার আরাবীর কাছে আসল।এসেই জিজ্ঞেস করল,
‘ ভাবি?’

আরাবী নূরের ডাক শুনে ওর দিকে তাকালো।
‘ হ্যা নূর বলো।’
‘ ভাবি তোমার কি কোনো সমস্যা হচ্ছে?’

হালকা ক্ষিদে পেয়েছে আরাবীর।ও শুনেছে প্রেগন্যান্ট অবস্থায় বার বার ক্ষুদা পায়। কিন্তু এখন খাবে না। বাড়িতে ফিরে কিছু একটা ঝাল ঝাল বানিয়ে খেয়ে নিবে।এই অবস্থায় বাহিরে খাবার খাওয়া ভালো না।তাই আরাবী নূরকে উদ্দেশ্য করে বলল,
‘নাহ,কোনো সমস্যা হচ্ছে না।কেন নূর?কিছু হয়েছে?’

নূর আমতা আমতা করে বলে,
‘ আসলে ভাবি আহাদ আসছে এখানে।বলেছে আমাদের নিয়ে বাড়িতে পৌছে দিয়ে আসবে।’

আরাবী ভাবুক কণ্ঠে বলে,
‘ আহাদ ভাইয়া ব্যস্ত মানুষ।খামোখা কাজ বাদ দিয়ে আমাদের নিতে আসার কি দরকার ছিলো।তার অফিসের কাজ আছে না কতো?’
‘ নাহ আজ নাকি অফিসে তেমন একটা কাজের চাপ নেই।’
‘ ওহ আচ্ছা।তাহলে তো ভালো কথা।এক কাজ করো তোমরা দুজন ঘুরতে চলে যাও।আমি একা যেতে পারব।’

নূর চোখ বড়ো বড়ো করে ফেলল আরাবীর কথা শুনে।বলে,
‘ পাগল হয়ে গেলে ভাবি?কি বলছ এসব?আমি এই অবস্থায় তোমায় একা এভাবে রেখে চলে যাবো?মাথা ঠিক আছে তোমার?’

আরাবী হালকা আওয়াজে বলে,
‘ আহা,চিন্তা করছ কেন?আমি ঠিক আছি।আর ঠিকঠাকভাবে বাড়িতেও পৌঁছে যাব।’

নূর একদম রাজি না এটা করতে।এমন সময় আরাবীর ফোনে কল আসল।জায়ান কল করছে।তা দেখে নূর চুপ করল।আরাবী কলটা রিসিভ করল।অপাশ হতে জায়ান বলছে,
‘ কোথায় তুমি?’

আরাবী জবাবে বলে,
‘ আমি হসপিটালেই আছি।’
‘ আচ্ছা ওখানেই থাকো।আমি আসছি।’
‘ আপনি আসছেন মানে?’

আরাবী অবাক হয়ে প্রশ্ন করল।জায়ান গম্ভীর গলায় বলে,
‘ এমন অবাক হচ্ছ কেন?আমি আসছি মানে।আমি তোমাকে নিতে আসছি।ওখানেই থাকো।আমার বেশি সময় লাগবে না।হসপিটালের কাছাকাছিই এসে পরেছি।আর পাঁচ মিনিট লাগবে।আসছি আমি।’

জায়ান কলটা কেটে দিলো।আরাবী দীর্ঘশ্বাস ফেলল।এ কোন পাগলের পাল্লায় পরেছে আরাবী।আরাবী জানে অফিসে আজ এক বিন্দু কাজও এই লোক করেনি।ওর চিন্তাই করেছে বসে বসে।বহু কষ্টে নিজেকে সামলে রেখেছিলো এতোক্ষন।কিন্তু এখন ধৈর্যর বাধ ভেঙে গিয়েছে।তাই তো সব ফেলে টেলে চলে আসছে।কি করবে এই লোককে নিয়ে?আবার যদি জানতে পারে সে বাবা হতে চলেছে তবে তো কোনো কথাই নেই।পাগলের মতো কি থেকে যে কি করবে দিশেহারা অবস্থা হবে এই লোকের।
নূর এদিকে এগিয়ে এসে বলে,
‘ ভাইয়া কি আসছে ভাবি?’

আরাবী অসহায়ভাবে মাথা দুলালো।নূর হেসে ফেলল।বলল,
‘ ভাইয়া তোমাকে নিয়ে যেই পরিমান পজেসিভ।আবার যদি জানতে পারে সে বাবা হতে চলেছে তাহলে তো কোনো কথাই নেই।তোমাকে মনে হয় কোথায় রাখবে কি করবে এসব ভেবে ভেবেই আমার ভাই পাগল হয়ে যাবে।’

আরাবী ঠোঁট উলটে বসে রইলো।কিছু করার নেই।এটাই হবে তার সাথে সে জানে।এদিকে কিছুক্ষণ পর নূরের ফোনেও কল আসে।আহাদ এসে পৌছিয়েছে।নূর আর আরাবী হসপিটাল থেকে বেরিয়ে আসল।হসপিটাল বরাবর অপার তাকাতেই আহাদকে দেখা গেল।নূর হাত উঁচু করে হাই জানাল।আহাদ হাসল।আহাদ বাইক নিয়ে এসেছে।তারপর আরাবীর দিকে তাকিয়ে ইশারা করল ভালো আছে কিনা।আরাবীও হেসে মাথা দুলালো।প্রচুর গাড়ি চলছে। ওরা ট্রাফিক লাইটগুলোর দিকে তাকিয়ে আছে।কখন গাড়িগুলো স্থির হবে।আর ওরা রাস্তা পার হতে পারবে।
এমনসময় আরেকটা গাড়ি এসে থামে ওদের সামনে।এটা আর কারো না জায়ানের গাড়ি।গাড়ি থেকে বের হয়ে আসল জায়ান।তারপর আরাবীর কাছে এসে অস্থিরভাবে বলে,
‘ কি বলেছে ডক্টর?কি হয়েছে তোমার?গতকাল হঠাৎ এভাবে অসুস্থ হয়ে পরলে কিভাবে?’

এসেই আরাবীর গালে হাত ছোঁয়ালো অস্থিরভাবে।আরাবী জায়ানের হাত স্পর্শ করল।বলল,
‘ এতো অস্থির হবেন না।আমি ঠিক আছি।বাসায় চলুন। তারপর বিস্তারিত বলছি আপনাকে।’

জায়ান সম্মতি জানালো।এটাই ঠিক হবে।তারপর নূর আর আরাবীর উদ্দেশ্যে বলে,
‘ চলো তোমরা গাড়িতে উঠো।’

আরাবী বাধা দিল জায়ানকে।বলল,
‘ নূর যাবে না আমাদের সাথে।’

ভ্রু-কুচকে জায়ান বলে,
‘ কেন?নূর যাবে না কেন?’

আরাবী জায়ানের হাত ধরে সোজাসুজি দাঁড় করালো।তারপর বরাবর দাঁড়ানো আহাদকে দেখালো।আহাদ জায়ানকে দেখেই খানিকটা হাসল।জায়ানও বিনিময়ে হাসল।তারপর নূরের কাছে এসে নূরের মাথায় হাত বুলিয়ে বলে,
‘ আয় তোকে দিয়ে আসি আহাদের কাছে।ঘুরেফিরে আয় দুজন।’

নূর মাথা দুলালো।জায়ান এইবার আরাবীর দিকে তাকালো।নরম গলায় বলে,
‘ তুমি গিয়ে গাড়িতে বসো।আমি নূরকে আহাদের কাছে দিয়ে আসি।’

আরাবী মাথা দুলালো।জায়ানের কেমন যেন একটা লাগছে।আজ সকাল থেকেই অস্থির লাগছে।কেমন যেন বুকটা থরফর করছে।আরাবীকে এক সেকেন্ডের জন্যেও একা ছাড়তে ইচ্ছে করছে না।আরাবী জোড় করে ওকে অফিসে পাঠিয়েছে।তাও মন টিকাতে পারেনি।তাইতো ছুটে চলে এলো।অবশ্য আরাবীর আড়ালে চারজন গার্ড সর্বদা আরাবীর আশেপাশেই থাকে আরাবী যখনই বাহিরে যায়।জায়ানই ঠিক করেছে ওদের।আরাবীর সেইফটির জন্যে।মেয়েটাকে নিয়ে যে ভয় হয় খুব।মনকে মানিয়ে নূরকে নিয়ে সাবধানে রাস্তা পার হলো জায়ান।

এদিকে রাস্তার অপারে তাকিয়ে আছে আরাবী।ঠোঁটে মৃদু হাসির রেখা।আরাবী এইবার গাড়িতে গিয়ে বসবে ভাবল।আজ হসপিটালে অনেক ভীড়। হসপিটালের বাহিরেও অনেক মানুষ।আর একটু আগে যেন হঠাৎ করেই ভীড়টা আরও বেড়েছে।কখন কার সাথে ধাক্কা লাগে বলা যায় না।এখন ও একা নয়।ওকে সাবধানে চলা ফেরা করতে হবে।
আরাবী তাই গাড়িতে যাওয়ার জন্যে পা বাড়ালো।এমনসময় হঠাৎ একটা লোকের সাথে ধাক্কা লাগে আরাবীর।আরাবী ঘাবড়ে যায়।নিজেকে সামলে নিয়ে দ্রুত বলে উঠে,
‘ সরি সরি আংকেল।আমি দেখতে পাইনি।’

কথাটা বলেই হঠাৎ করেই থেমে যায় আরাবী।চোখজোড়া অদ্ভুতভাবে বড়ো বড়ো হয়ে যায়।লোকটার দিকে অবাক চোখে তাকায় আরাবী।লোকটা মুখে মাস্ক পরা।গায়ে বড়ো একটা চাদর প্যাঁচানো।মুখের কিছুই দেখা যাচ্ছে না।

আরাবী এইবার ওর কোমড়ের ডানসাইডে হাত দিলো।হাত দিতেই তরল কিছু অনুভব করল।এটা যে ওর র’ক্ত তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই।আরাবী কাঁপা গলায় বলে,
‘ আ..আপনি…..’

পুরো কথাটা শেষ করতে পারল না আরাবী।লোকটা সুযোগ বুঝে ছুড়িটা একটানে আরাবীর কোমড়ের সাইড থেকে বের করে আবারও সেটা নিয়ে উপরের দিকের পেটে ঢুকিয়ে দিলো।এইবার তীব্র যন্ত্রণায় ছটফট করে উঠল আরাবী।লোকটা এইবার রাস্তার দিকে ধাক্কা দিল আরাবীকে।সামনে দিয়ে দ্রুতগামি একটা গাড়ি আসছে।এদিকে আরাবী রাস্তায় পরে গিয়ে চিৎকার করে উঠল,
‘ জায়ান!!!!!!!!!!!’

#চলবে___________
ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।কেমন হয়েছে জানাবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here