অদৃষ্টে_তুমি_আমি #লেখিকা_সিনথীয়া #পর্ব_১৪

0
415

#অদৃষ্টে_তুমি_আমি
#লেখিকা_সিনথীয়া
#পর্ব_১৪

ঝুমকা দুটো খুলে রাখার পর পৃথা ঘুরে বসলো স্বাধীনের দিকে। ওর ঘুরে বসাতে স্বাধীনও হাটু গেড়ে বসে পরলো পাশে। আল্তো হাতে পৃথার হাসি মাখা গালটাতে আদর বুলিয়ে দিল।
– জানো পৃথা, তোমাকে অফিসে যেদিন প্রথম দেখলাম, সেদিন আমি খুব সার্প্রাইজ্ড হয়েছিলাম।
– কেন?
– কারণ তার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত আমার চিন্তা চেতনায় তুমি সেই পনেরো বছরের ছোট্ট, কিউট পৃথাই ছিলা। আমার সেই ছোট্ট পুতুলটা। কিন্তু সেদিন তোমাকে এই রুপে দেখে চমকে গিয়েছিলাম আমি। এতো সুন্দর হয়ে গেছ তুমি যে ভাবাই যায় না।
পৃথা লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেললো। প্রসঙ্গ পাল্টাতে জিজ্ঞেস করলো,
– আজ দুপুরে মেয়েরা আমাকে কি জিজ্ঞেস করছিল জানো?
– কি?
– জানতে চাচ্ছিলো আসলেই ছোটবেলায় আমাকে তুমি ‘পুতুল’ বলে ডাকতা কি না।
অবাক হয়ে হেসে দিল স্বাধীন। কৌতুহল নিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
– তো তুমি ওদের কি উত্তর দিয়েছো?
– আমি কিছু বলতেই পারিনি লজ্জার চোটে। আচ্ছা ওরা এতো কিছু জানে কিভাবে?
এবার একটা ভারিক্কি ভাব নিয়ে স্বাধীন বললো,
– জানবে না আবার! আমি তো সবসময়ই তোমাকে নিয়ে কথা বলি সবার সাথে। তুমিই শুধু বুঝলানা!
খিলখিল করে হেসে দিল পৃথা,
– যাও যাও, বুঝছি অনেক কিছু। শুধু কথাই বলতা আমাকে নিয়ে। নিজের কাছে নিয়ে যাওয়ার তো ইচ্ছাই ছিল না তোমার। না হলে এতোদিনে আমরা একসাথেই থাকতাম।
পৃথার এ কথায় আচমকা ওকে পাশ দিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো স্বাধীন।
– এই যে এবার এসেছি না? আর কখনো যাবোনা তোমাকে ছেড়ে। এবার সম্পূর্ণ ভাবে নিজের করে নেব তোমাকে আমি। আর কোনো বাধা মানবো না।
পৃথা পাশ ফিরে তাকালো স্বাধীনের চোখের দিকে। ছেলেটার সৎ মনোভব ওর দৃষ্টিতে স্পষ্ট। মনের ভেতরটা ভরে গেল পৃথার। সেই মুহূর্তে অনেক ভাগ‍্যবতী মনে হলো নিজেকে। দৃষ্টিতেও বোধহয় সেরকমই কোনো ভাবে ফুটে উঠেছিল ওর। তাই তো স্বাধীন কাছে এসে ওর চোখ দুটোতে আদর করে দিল।
এবার ভীষণ লজ্জা পেল পৃথা। সাথে নার্ভাসও। কেন যেন মনে হলো এখন না সরলে পরে নিজেকে আর সরাতে ইচ্ছা করবে না ওর স্বাধীনের আলিঙ্গন থেকে। তাই নড়াচড়া শুরু করে দিল ও,
– আমার মেহেদি শুখিয়ে গেছে। সরো এবার, আমি ফ্রেশ হয়ে আসি।
চমৎকার একটা হাসি দিয়ে আস্তে করে পৃথাকে ছেড়ে দিল স্বাধীন। অন‍্য সময় হলে হয়তো ছাড়তো না, পৃথাকে আরও জোরে জড়িয়ে ধরতো। কিন্তু এখন পারলো না। নিজেরই বোধহয় লজ্জা লাগছে কিছুটা। তারসাথে পৃথার কাছে আসার ইচ্ছা প্রবল ভাবে জেগে উঠছে মনে। কিন্তু এখন যদি পৃথা না আগাতে চায় তাহলে? এই কারণেই দাড়িয়ে পিছ পা হয়ে, পৃথাকে চলে যাওয়ার রাস্তা করে দিল স্বাধীন।
পনের মিনিট পর ফ্রেশ হয়ে ফিরে আসলো পৃথা। স্বাধীন খাটে বসে মোবাইলে কি যেন করছিল তখন, পৃথাকে দেখে মোবাইলটা পাশে রেখে হাসলো। পৃথা একটু অবাক হলো,
– এভাবে হাসছো কেন?
– চিন্তা করছি আজ রাতে তুমি কি করবা।
– এটা কেমন উইয়ার্ড প্রশ্ন করলা তুমি? কি করবো মানে?
– মানে, দুইদিন আগেও আমার সাথে একই রুম শেয়ার করা নিয়ে হোটেলে যেই ঝামেলা করলা, সেখানে আজকে তো আসলেই এক ছাদের নিচে থাকতে হবে। এখন কি করবা তুমি?
– কি করবো আবার? থাকবো একসাথে।
পৃথার এরকম সাবলীল আর জোরালো কন্ঠে উত্তর শুনে একেবারে থমকে গেল স্বাধীন। যেই হাসিটা ছিল তা একেবারে মুছে গেছে।
– তুমি থাকবা আমার সাথে?
– হ‍্যা!
– তাহলে হোটেলে এতো ঝামেলা করেছিলে কেন?
-আরে বাবা, হোটেলে তো রুমের অপশন ছিল, তাই আমি আলাদা রুম নিতে চেয়েছিলাম। এখানে তো সেই অপশন নেই। তারওপর ঘর ভর্তি পরিচিত মানুষ, এদের মাঝে কিভাবে আলাদা থাকবো আমরা?
পৃথার যুক্তি বোঝার ইঙ্গিত দিল স্বাধীন। তবে ভেতর ভেতর খুশি হলো অনেক। সাথে একটু শান্তিও পেল, কারণ কিছুক্ষণ আগেও ও নিজের মাঝে এ বিষয়টা নিয়ে টেনশন করছিল যে পৃথা ওদের থাকা নিয়ে আবার না জানি কিভাবে রিয়‍্যাক্ট করে।
যে পাশে স্বাধীন বসা ছিল তার অপর পাশে যেয়ে বসলো পৃথা। স্বাধীন চুপচাপ শুধু খেয়াল করছিল মেয়েটা কি করে। ভেবেছিল ওর মাঝে হয়তো একটু ইতস্ততাবোধ অথবা লজ্জার উপস্থিতি দেখতে পাবে স্বাধীন। আফ্টারঅল জীবনে প্রথম বার এক বিছানা ভাগাভাগি করছে দুজন। স্বাধীনেরই তো পেটের ভেতরে কেমন যেন প্রজাপ্রতি ওরার মতন অনুভূতি হচ্ছে। সেখানে পৃথা তো মেয়ে। ওর তো অবস্থা আরও খারাপ হওয়ার কথা। কিন্তু আশ্চর্য হলেও সত‍্য যে মেয়েটার মাঝে এরকম কোনো প্রতিক্রিয়াই স্বাধীনের চোখে পরলো না। এবার আসলেই বেশ অবাক হলো ও।
ওদিকে যখন স্বাধীনের মাথায় এসব চিন্তা চলছে, পৃথার বুকে চলছে বিশাল ঝড়। এক রুমে, এক বিছানায়, ওর এতো কাছে স্বাধীন, এইটুকু চিন্তাই যথেষ্ট ওর মাঝে সব উল্টেপাল্টে দেওয়ার জন‍্য। সেইখানে নিজের মনের এই অনুভূতি চেহারায় যাতে না প্রকাশ পায় এরজন‍্য কি যে আপ্রাণ চেষ্টা করছে ও তা এক আল্লাহই জানেন। এবং আশার ব‍্যাপার হলো, লুকানোতে মনে হয় কিছুটা সক্ষম হয়ে উঠতে পেরেছে কারণ আড়চোখে একদুইবার স্বাধীনকে দেখে বুঝলো যে ও পৃথার প্রতিক্রিয়ায় অবাক হয়েছে। যাক! এটাই ভালো। নয়তো পৃথার আসলো ভাবনার ঠিক যদি স্বাধীন পেয়ে যেত তাহলে হয়তো আজ রাতে আর নিজেদের….
– চুপ কর পৃথা!আবার ওসব উল্টা পাল্টা চিন্তা মনে ভর করেছে তোর। আর ভাবিস না, নাহলে আজ রাত স্বাধীনের কাছে তোকে সমর্পণ করতেই হবে।
নিজেকেই নিজে বকে উল্টা পাশ ঘুরে পৃথা শুয়ে পরলো। জোর করে চোখটা বন্ধ করে রাখলো যাতে মনে হয় যে ও ঘুমিয়ে পরেছে। স্বাধীনের দিক চাইলোও না, না ওর সাথে কোনো কথা বললো।
ওপাশে স্বাধীন, এসব দেখে, অংক কোনোভাবেও মেলাতে পারছে না। পৃথা এভাবে সাবলীল ভাবে শুয়ে পরতে পারলো? কি ব‍্যাপার? মেয়েটার মাঝে কি কোনো রসকস নেই নাকি? এই পরিস্থিতিতে একটুও কি টেনশন অথবা এক্সাইটমেন্ট হচ্ছে না ওর? যেখানে ও এতো বিচলিত সেখানে পৃথা এতোটাই নির্বিকার?
স্বাধীন এবার পৃথাকে ডাকলো,
– পৃথা?
-…….
-পৃথা?
-……
– কি ব‍্যাপার? কোনো আওয়াজ নেই কেন? এতো তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে গেলো নাকি?
আর না পেরে হাত বাড়ালো স্বাধীন। পৃথার কাধ হাত বুলিয়ে ডাকলো ওকে।
এরপর যা হলো তার জন‍্য বোধহয় স্বাধীন একেবারেই প্রস্তুত ছিল না। ওর হাতটা কাধে পরতেই পৃথা লাফ দিয়ে উঠে বসলো খাটে। স্বাধীন এতোটাই চমকে গেল যে আরেকটু হলে পরে যেত ও,
– পৃথা? কি হয়েছে? তুমি ঠিক আছ?
পৃথার মুখে কোনো কথা নেই। ও চোখে কেমন একটা ভয় নিয়ে চুপচাপ গুটিশুটি মেরে বসে আছে। দুই মুহূর্ত আগেরও সাবলীল ভাবটা কোথাও উধাও হয়ে গেছে। এখন ওকে খেয়াল করে সব বুঝে ফেললো স্বাধীন আর তার সাথেই মুখ জুড়ে ছড়িয়ে গেল দুষ্টুমির হাসি। মনে মনে বললো,
– ওওওও, তাহলে ম‍্যাডাম এতোক্ষণ না কেয়ার করার ভান করছিলেন? তাই তো বলি, এরকম তো হওয়ার কথা না। এখন চেহারায় সেই লজ্জা আর নার্ভাসনেস ভেসে উঠেছে উনার।
ওদের মাঝের এই মায়াবী মুহূর্তটাকে ভাঙতে দিতে চাইলো না স্বাধীন। ধীরে ধীরে কাছে আসলো পৃথার। পৃথা সেটা দেখে নিজের মাঝে আরও গুটিয়ে গেল। তবে সরে উঠে গেল না। স্বাধীন পাশে এসে পেছন থেকে আলতো করে পৃথার কাধে হাত রেখে ওকে নিজের সাথে লাগিয়ে নিল। পৃথার চুলগুলো পাশ থেকে পরে ছিল। সেই চুলের ওপর দিয়েই পৃথার কানের কাছে আদর করে দিল স্বাধীন। লজ্জায় সরিয়ে নিল নিজের চেহারা পৃথা। স্বাধীন হেসে দিল তখন,
– তুমি কেন এভাবে এসে শুয়ে পরলে?
উত্তর দেওয়ার ক্ষমতা তখন পৃথার ছিলই না। ও অন‍্যদিকে মাথা নিচু করে ঠোট টিপে হাসছিল। স্বাধীন তখন নিজের দিকে ঘুরিয়ে নিল ওর চেহারা। কিছুক্ষণ মন ভরে দেখলো স্ত্রীর চেহারাটা। গালে নিজের আঙ্গুলের আল্তো ছোয়া বুলিয়ে দিতে দিতে বললো,
– আজ তোমাকে অসম্ভব রকমের সুন্দর লাগছিল অনুষ্ঠানে। যখন সবাই তোমার সাজের প্রশংসা করছিল তখন আমার ঈর্ষা হচ্ছিলো অনেক। মনে হচ্ছিলো সবার থেকে লুকিয়ে ফেলি তোমাকে। কাউকে দেখতে না দেই, শুধু নিজেই দেখি।
হেসে দিল পৃথা, ভীষণ লজ্জা নিয়ে। স্বাধীনের দিকে দৃষ্টি ওঠানোর সাহস করলো না তখন। স্বাধীন বুঝলো ব‍্যাপারটা তাই নিজেই এসে পৃথার কপালে চুমু দিল। এরপর ওর চোখ আর গালেও বুলিয়ে দিল একই আদরের পরশ।
পৃথা সেই মুহূর্তে যেন সব কিছু ভুলে বসেছিল। এক আজব প্রশান্তি ওকে পুরো জগত থেকে বিছিন্ন করে দিয়েছিল একে বারে। স্বাধীনের ছোয়াতে যে এভাবে জাদু মেশানো থাকবে তার মাত্রা বোধহয় আগে ও আঁচ করতে পারেনি।
স্বাধীন চুপচাপ পৃথার চেহারায় খেলে যাওয়া ভাবগুলো দেখছিল। চোখ দুটো বন্ধ মেয়েটার। চুল খোলা, কিছুটা পাশে গোছানো। সেগুলো নিজ হাতেই সরিয়ে কানের পিছে দিয়ে দিল স্বাধীন। তখন পৃথার পুরো চেহারাটা প্রকাশ হলো ওর সামনে। মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইলো স্বাধীন, এতো মায়া আর স্নিগ্ধতা ভরা ওর চেহারায়! এরকম নিষ্পাপও কি মানুষ হয়? হেসে দিল ও। এই মুহূর্তে ওর প্রবল ইচ্ছা জাগছে পৃথাকে পুরোপুরি নিজের করে নেওয়ার। নিজের সবটুকু পৃথাকে দিয়ে দেওয়ার। অধিকার এবং অনুমতি দুটোই আছে। পৃথাও হয়তো এই পরিস্থিতে নিজেকে আটকাতে পারবে না, সমর্পণ করেই দিবে স্বাধীনের কাছে।
এই সময় স্বাধীন একটু থমকে গেল। আগে বাড়তে গিয়েও বাড়লো না। এখন খেয়াল হলো ওর, পৃথা ওকে কাছে আসাতে থামাচ্ছে না। স্বাধীন ওর এতোটা কাছে, তাও ও কিছু বলছে না, মানা করছে না। কিন্তু আসলেই কি মেয়েটা সজ্ঞানে স্বাধীনকে অনুমতি দিচ্ছে? ও কি এই ধাপের জন‍্য পুরোপুরি প্রস্তুত? নাকি পরিস্থিতির সামনে হার মানছে ও। যদি কাল যেয়ে এ রাতের জন‍্য ওর অনুশোচনা হয়? এটাতো তখন ওদের দুজনের ভবিষ‍‍্যতের ওপরই প্রভাব ফেলতে পারে। এবং সেই প্রভাব নেতিবাচকই হবে।
স্বাধীনের পরশ হঠাৎ থেমে যাওয়ায় আস্তে করে চোখ মেললো পৃথা। দেখলো স্বাধীন ওর দিকে তাকিয়ে কি যেন ভাবছে। নরম সুরেই পৃথা প্রশ্ন করলো,
– কি ভাবছো?
– হমম?
পৃথা হেসে ফেললো। বুঝলো স্বাধীন ওর প্রশ্ন শুনতেই পায়নি। আর প্রশ্ন করলো না ও। অপেক্ষায় রইলো স্বাধীনের কথা বলার। এক মুহূর্ত পর পৃথার হাতটা ধরলো স্বাধীন,
– পৃথা…. can I confess something?
-হমম।
-…….. আমার খুব ইচ্ছা করছে এই মুহূর্তে তোমাকে নিজের কাছে পেতে, নিজের মতন করে তোমাকে ভালবাসতে।……. তুমি বুঝতে পারছো আমি কি বলতে চাচ্ছি?
পৃথা হাল্কা করে পিঠ সোজা করে ফেললো। মাথা নিচু করেই হাল্কা নাড়িয়ে হ‍্যা-সুচক জবাব দিল।
– তাহলে…. তোমার কাছে এখন আসলে তুমি কি গ্রহণ করবে?
পৃথা জানতো এই প্রশ্নই অপেক্ষা করছে ওর জন‍্য। তবে তারপরেও প্রশ্নটা শুনতেই মনের ভেতর ডামাডোল বাজা শুরু করে দিল ওর। এই প্রশ্নের যেটা উত্তর সেটা ও কিভাবে দেবে স্বাধীনকে? হঠাৎ স্বাধীনের হাসি ওকে বাধ‍্য করলো ওপরে তাকাতে,
– এই প্রশ্নের উত্তর তোমার দেয়া লাগবে না পৃথা। আমি জানি, এই স্টেপের জন‍্য তুমি এখনো তৈরি না। আমি কি ভুল বললাম?
পৃথা এবার সরাসরি স্বাধীনের চোখে তাকালো। ছেলাটার জন‍্য এতো মায়া লাগলো ওর। এরকম একটা পরিস্থিতিতেও, যেখানে নিজেকে সামলানো হয়তো পৃথার পক্ষেও সম্ভব হতো না, সেখানে স্বাধীন এভাবে চিন্তা করতে পেরেছে, এটা দেখে পৃথার মনটা ভরে গেল।
– স্বাধীন… আমি… আসলে…..
স্বাধীন পৃথাকে নিজের আলিঙ্গনে আরও জোরে বেধে হেসে দিল।
– তুমি কোনো চিন্তা করোনা। আমি তোমার কাছে পুরোপুরি তখনই আসবো যখন তুমি নিজের সবটুকু দিয়ে আমাকে এক্সেপ্ট করবে।…….এবং আমি এটাও জানি সেদিন আসতে বেশি দেরী নেই।
শেষের কথাটা একটু দুষ্টুমির সুরে বললো স্বাধীন। পৃথা হেসে দিল সে কথায়। তবে কথাটা যে খুব একটা ভুল না সেটা ও নিজেও পারলো বুঝতে। এখনই তো স্বাধীনকে নিজের বিশ্বাস, আস্থা দিয়ে আপন করে ফেলেছে ও। আসলেই হয়তো সেইদিনটা আর খুব বেশী দূরে নেই যখন পৃথার ভালোবাসাও পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। স্বাধীনকে নিজের করে নিতে পারবে ও।
চলবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here