#রাগে_অনুরাগে
#কলমে সৌমিতা
#পর্ব- ৭
– আজ সারাদিনটা মন খারাপ করে বসে ছিল অনু,,নিজেকে সামলে নিতে গিয়েও বারবার ভেঙে পড়েছে ও,,,কোথাও একটা অজানা কষ্ট অনুভব করছে ও,,আজ আর কলেজেও যায়নি,,,,ওর মনে কোথাও যেন অভিমান জমা হয়েছে অভ্রের প্রতি,,,হয়তো এই অভিমান গুলো অভ্রের প্রতি ওর সুপ্ত ভালোবাসা থেকে সৃষ্টি হয়েছে,,,, রাত যখন ১টা ঠিক তখন অভ্র বাড়িতে ফিরে,,তারপর সোজা নিজের রুমে চলে যায়,,,,ঘরে এসে দেখে,,,,
-কি ব্যাপার ঘর অন্ধকার কেন??অনু তো অন্ধকারে থাকতে পারে না,, সব সময়ের মতো তো মৃদু আলো টা জ্বালিয়ে রাখে তবে আজ??অনু তুমি কি ঘুমিয়ে পড়েছো??(ঘরের আলো জ্বালিয়ে দেখে পুরো ঘর ফাঁকা) অনু কোথায় গেল??অনু তুমি কি ওয়াশরুমে?? অনু,,,
-অনুকে কোথাও না পেয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে অভ্র,,,তারপর ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে নীচে চলে যায় স্ট্যাডিরুমের উদ্দেশ্যে,,,স্ট্যাডিরুমে গিয়ে দেখে অনু বই পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়েছে টেবিলের উপর মাথা রেখে,,, অভ্র অনুর এই রকম অবস্থা দেখে একটু হাসলো,,,তারপর বইগুলো যথাস্থানে রেখে অনু কে কোলে করে নিজের ঘরে নিয়ে যায়,,,বিছানায় শুইয়ে দিয়ে ঘরের নীল মৃদু আলোটা জ্বালিয়ে দেয়,,তারপর অনুর মুখটা খুব কাছ থেকে ভালো করে দেখে অভ্র,,,
– আর মুহূর্তেই আবিষ্কার করে ওর সামনে শুয়ে থাকা রমণী কত স্নিগ্ধ ও মায়াবতী,,, ঘরের মৃদু আলোয় যেন তার রুপের ছটা আরো বেশি মাত্রায় বেড়ে গেছে যা অভ্রের হৃদয়কে কম্পন করাতে যথেষ্ট,,, এক মুহূর্তের জন্য অভ্রের মনে হলো এই যে তার সামনে বিছানায় শুয়ে যে মায়াবতী রয়েছে তার মুখের দিকে তাকিয়ে এক যুগ ও হামেশাই পার করে ফেলতে পারবে।হঠাৎ অভ্র আপন মনেই বলে ওঠে ” ওগো মায়াবতী তুমি কি শুনতে পাচ্ছো??তোমার এই আদল মুখে কেমন যেন একটা মায়া আছে ,,,যা তোমার প্রতি দুর্বল করে দিচ্ছে আমাকে প্রতিটি ক্ষণে ক্ষণে,,,,(তারপর অনুর মাথায় বিলি কাটতে কাটতে একসময় ঘুমিয়ে পড়ে অভ্র )
___________________________________________
– খুব সকালে ঘুম ভেঙে যায় অনুর,,ঘুম ঘুম চোখে বোঝার চেষ্টা করে ও কোথায়,, কেননা ওর যতদূর মনে আছে কাল রাতে ও স্ট্যাডিরুমে ছিল,,এইসব কথা চিন্তা করতে করতে পাশে তাকিয়ে দেখে যে ও অভ্রের বুকে মাথা দিয়ে শুয়ে আছে,,,,সাথে সাথেই চোখ দুটো মোটা হয়ে যায় অনুর,,,তারপর ভয়তে ভয়তে অভ্রের দিকে তাকিয়ে দেখে যে অভ্র এখনো গভীর ঘুমে,,,হঠাৎ করেই কালকের কথা গুলো মনে পড়তেই আবার একরাশ অভিমান জমা হয় অভ্রের প্রতি,, তাই আর দেরি না করে বিছানা থেকে উঠে যায়,,,
– সকাল ৮টা নাগাদ অভ্রের ঘুম ভাঙ্গলো,,,পাশ ফিরে দেখে অনু নেই,,, তারপর ফ্রেস হয়ে অফিসের জন্য রেডি হয়ে নীচে নেমে রান্নাঘরে উঁকি দিয়ে দেখে অনু কোমড়ে আঁচল গুজে রান্না করছে,,,আর মুন্নীর সাথে কথা বলছে,,,কথাটাও বলছে কি সুন্দর ভাবে,, অভ্রের মনে হলো এইভাবে অনু ছাড়া কেউ কথা বলতে পারে না,, কারণ অনু যখন কথা বলে তখন ওর বেবি চুলগুলোকে বারবার বিরক্তিসূচক মুখ করে হাত দিয়ে সেই গুলোকে কানের লতিতে গুজবে,,,লিপস্টিক ছাড়াই হালকা লাল অধরযুগল যখন কথা বলার সাথে সাথে প্রসারিত হয় ঠিক তার উপরে অবস্থিত কালো বৃত্তাকার তিলটি আরো আর্কষণীয় হয়ে ওঠে যা ক্রমশ অভ্রকে অনুর প্রতি আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়,,, এইযে এখনো যেমন ওই তিলটার জন্যে অনুকে কেমন আবেদনময়ী লাগছে অভ্রের কাছে,,,,,
– এই মেয়েটাকে যত দেখছি ততই মুগ্ধ হচ্ছি,,,দেখো কি ভাবে কথা বলছে হাতে খুন্তি নিয়ে একদম গিন্নী গিন্নী লাগছে আর গোলাপের পাপড়ির মতো ঠোঁট দুটো কেমন নড়ছে,, উফ control অভ্র,,,এইসব তুই কি ভাবছিস??(মনে মনে বলল)
– ভাই বলছি কি ওটা তোরই বউ,,পরে ভালো করে দেখিস,,এখন এভাবে রান্নাঘরের দিকে না তাকিয়ে ডাইনিং টেবিলে চল,,,(নয়ন)
– নয়নের ডাকে অভ্রের সম্বিত ফেরে,,,ও তক্ষণাৎ নিজেকে সামলে নিয়ে বলে “তোর মনে হচ্ছে না তুই একটু বেশি বেশি বলছিস?? বাই দা ওয়ে কখন এসেছিস?? আমাকে জানাসনি তো”??(অভ্র)
– কাকু ডেকে পাঠিয়েছেন ,,কি সব জমির কাগজপত্র তৈরি করতে হবে,, বুঝতেই পারছিস তোর লয়্যার বন্ধুর এখন ভীষণ চাপ,,,আর আমি অনেকক্ষণ হল এসেছি,,,এমনকি আমার ব্রেকফাস্ট করাও হয়ে গেছে,,, ভালো কথা অনুপমার হাতের রান্না কিন্তু অসাধারণ,,,(নয়ন)
– দুটোতে মিলে ওখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কি কথা হচ্ছে??(আশা)
– তেমন কিছু না কাকিমা,,, আচ্ছা আমি লাইব্রেরি রুমে গেলাম,, কাকু আপনি তাহলে আসেন,,তারপর অভ্রের উদ্দেশ্যে বলে ” সময় থাকতে থাকতে অনুপমা কে স্ত্রীর স্বীকৃতি টা দিয়ে দে,,,ও খুব ভালো মেয়ে,,দেখলেই বোঝা যায়,,, আসছি,,,(কথা গুলো বলেই নয়ন চলে যায়)
– নয়ন চলে যাওয়ার পর অভ্র ডাইনিং টেবিলে গিয়ে বসে তারপর বাবা মার উদ্দেশ্যে বলে good morning মা good morning বাবা,, তোমার শরীর কেমন আছে এখন?? কোনো অসুবিধা হচ্ছে না তো?? ডাক্তার উইলসন কিন্তু আমাকে কাল মেইল করে দিয়েছে তোমাকে ওরা কবে ওপারেট করবে সেই বিষয়ে,,(অভ্র)
– good morning ,,এখন অনেকটা ভালো,,তা আমাকে সব ডিটেইলস তাহলে বলে দিস তোর সময় মতো,,,(সুনীল)
– আচ্ছা সেসব কথা তোমরা পরে আলোচনা করে নিও,,,অভ্র খেয়ে নে,,,অনু তোর হলো আমি তো আছি নাকি,,বাকিটা আমি আর মুন্নী মিলে করে নেবো,,,তুই আয় এইদিকে ,,খেয়ে নে নাহলে তো কলেজে যেতে আবার দেরি হয়ে যাবে,,,(আশা)
– হ্যাঁ মা যাচ্ছি,,,(আঁচল দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে টেবিলের দিকে এগিয়ে আসে অনু,,,,তারপর হঠাৎ ওর চোখ যায় অভ্রের দিকে সাথে সাথেই নিজের দৃষ্টিকে নিয়ন্ত্রণ করে আশার দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে)মা আর একটু বাকি ছিল তো,,,,,
– থাক মা অনেক হয়েছে,,, এখন ব্রেকফাস্ট করে নে,,,কটা বাজে দেখেছিস??(আশা)
– ঠিক আছে খেতে দাও বসছি,,,অন্য দিনের মতো অনু আজ অভ্রের পাশের চেয়ারে বসলো না,,,বরং তার বিপরীতে আশার পাশে গিয়ে বসেছে অনু,,,,
– অভ্র অনুকে অনেকক্ষণ যাবদ লক্ষ্য করে বলে,,”অনু আমাকে একটু জুস টা দাও তো,,,”
-মুন্নী ,,,মুন্নী,,(অনু)
– বলো বৌদিভাই ডাকছিলে,,,(মুন্নী)
– মুন্নী মি.চৌধুরীকে একটু জুসটা ফ্রিজ থেকে এনে দাও তো,,দেখো ফ্রীজে নরমাল টেম্পারেচারে রাখা আছে,,,,(অনু)
– অনু নিজের স্বামীকে কি কেউ মি.চৌধুরী বলে ডাকে পাগল মেয়ে??(আশা)
– কি ব্যাপার অনু আজ এই রকম ব্যবহার করছে কেন??আমি সামনে আসলে অন্য দিন কথা বলে,,,খাওয়ার সময় পাশে বসে থাকে যতক্ষণ না আমার খাওয়া হয়,,,কিন্তু আজ ওর কি হলো,,(কথা গুলো ভাবতে ভাবতে অভ্র অনুকে উদ্দেশ্যে বলে ওঠে,,
– আমার ব্রেকফাস্ট শেষ,,অনু আমি বাইরে গাড়িতে ওয়েট করছি তোমার জন্য,, তুমি ব্রেকফাস্ট কমপ্লিট করে এসো,,,
– মি.চৌধুরী আপনি আজকে চলে যান।আমি একাই যেতে পারবো,,,আসলে আজকে আমার ক্লাস একটু দেরিতে আছে,,
– অনুর কথায় অভ্র কিছু সময় ওর দিকে চেয়ে তারপর বলে ওঠে ঠিক আছে,,,, মা আসছি আমি,,
– সাবধানে যাবি,,(আশা)
– বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় অভ্র পূর্বের ন্যায় আবারও অনুর দিকে একবার তাকিয়ে চলে যায়,, আর অনু ওর চলে যাওয়ার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে,,,
– মা আমি উপরে যাচ্ছি,,, রেডি হয়ে নি,,,(অনু)
– ঠিক আছে যা,,,(আশা)
_________________________________________
– অনু উপরে নিজের ঘরে এসে খুব কান্না করে,,,আর বলে,,,,
-ভালো বাসায় কেন এত কষ্ট ভগবান,,,, আমি তো হৃদয়কে ভালো বাসতাম কিন্তু ও আমাকে ছেড়ে চলে গেছে,, তারপর না চাইতেও মি.চৌধুরীর সাথে থাকতে থাকতে আমি উনার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ি,,,নিজেকে অনেক বার সামলানোর চেষ্টাও করেছি কিন্তু পারি নি,,, যে মানুষটার মনে আমার জন্য কোনো জায়গা নেই এটা জেনেও কখন যে ভালোবেসে ফেলেছি বুঝতে পারিনি,,, ভীষণ কষ্ট হচ্ছে,,,আমার ভাগ্যটা এমন কেন??? আমি চাইছি উনার থেকে দূরে দূরে থাকতে,,,কিন্তু পারছি না,,,, আচ্ছা এত তাড়াতাড়ি কি কারোর প্রতি দুর্বল হওয়া যায়?? ভালোবাসা যায়??? তারপর চোখ মুছে আবার বলে,,,
– হয়তো যায়,,,নাহলে আমি কি করে দুর্বল হলাম উনার প্রতি,,,, কেন ভালোবাসলাম এটা জানার সত্ত্বেও যে উনি আমাকে ভালোবাসেন না,,,উনার মনের কোনো অংশে আমি নেই,,, তারপর তো এটাও এখন জানি যে তার মনে কার বিচরণ,,,, ওই নীলাঞ্জনা বলে মেয়েটিকে এখনো আপনি ভালোবাসেন মি.চৌধুরী,,,, আমি সেটা বুঝতে পেরেছি,,,,
__________________________________________
– এই দিকে অভ্র অফিসে এসে সেই কখন থেকে থাইগ্লাসের দিকে তাকিয়ে আছে একমনে,,কোনো কাজ ঠিক মতো করতে পারছে না,,, বার বার সকালে অনুর ব্যবহার গুলো মনে পড়ছে ওর,,এমন সময় দরজা নক করার আওয়াজে ও চিন্তা জগত থেকে বেরিয়ে এসে বলে,,
– কামিং
– স্যার আপনার ফাইল গুলো একটু চেক করে নেবেন,,,(রুশা)
– ঠিক আছে রুশা,, ওই শেলফে রেখে যাও,,,,
– স্যার বলছি যে আপনি কালকে যাবেন তো??
– কোথায়??
– স্যার মনে নেই পি.ভি.সি কলেজ থেকে আপনাকে আর আপনার wife কে মানে ম্যামকে Chief guest হিসাবে ওরা invite করে ছিল,,,
– ও ঠিক আছে কালকে কটার সময় যাওয়ার কথা ??
– ওই তো ১১ টা নাগাদ,,
-ঠিক আছে,,, কালকে যদি কোনো মিটিং থাকে তাহলে সেটা cancel করে দিও,,,আর ওদের ডোনেশন টা কি দেওয়া হয়ে গেছে???
– হ্যাঁ স্যার দেওয়া হয়েছে,,,
– ঠিক আছে তুমি এখন আসতে পারো,,,
– রুশা চলে যাওয়ার পর অভ্র নিজের ফোন বার করে গত রাতের অনুর ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা ছবি গুলো দেখতে লাগলো,,,তারপর নিজের এ হেন কাজে নিজেই অবাক হয়,,,কেননা সে অনুর পারমিশন না নিয়েই তার অগোচরে এই ছবি গুলো তুলেছিল,,,, নিজের সাথে কি হচ্ছে বুঝতেই পারছে না ও,,,,এই নতুন অনুভূতি গুলোর কি নাম দেবে ও,,,,,
_________________________________________
– এইদিকে অনু সেই কখন থেকে রিয়ার্সাল রুমে বসে আছে নিশার জন্য,,,
– সরি সরি একটু দেরি হয়ে গেল,,,(নিশা)
– চুপ কর তুই,,আমি যে নাচতে পারি এই কথাটা ম্যামকে কে বলেছে??আমি জানি তুই ছাড়া আর কেউ না সুতরাং মিথ্যে বলবি না,,,
– আসলে হয়েছে কি কালকে তো তুই কলেজে আসিস নি,,আর এইদিকে ম্যামের কারোর নাচ পছন্দ হচ্ছিল না ,,মেজাজটাও খারাপ হয়ে গিয়েছিলো আর আমাদের উপরে অযথাই চেল্লামিল্লি করছিলো,,, তাই তোর নাম টা বলেছি,,,
– হ্যাঁ নিজেরা বাঁচার জন্য আমার নাম করেছিস,,,আর সেইজন্যই উনি আমাকে দিয়ে প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে নাচ প্যাক্টিস করিয়েছেন ভালো,,, তুই জানিস আমার এখন কত কষ্ট হচ্ছে,,,
-আরে অনু তুই ব্যাপার টা বোঝ কালকে program বলেই তো তোকে এত কষ্ট করতে হল,,,
-থাক অনেক হয়েছে,,,আর তোকে কিছু বলতে হবে না,,,
– girls কালকের program টা যেন খুব ভালো হয়,,,সুনন্দা গান টা ভালো করে করো আর ভলেন্টিয়ারের দিকটা সামলিও,,নিলয় কোরাসের দিকটা তুমি দেখো,,,আর নিশা আমাদের যারা গেস্ট হিসাবে আসবে তাদের দেখাশুনো করবে তুমি,,,আর অনুপমা তুমি কিন্তু নাচটা ভালো করে করো আমাদের কলেজের reputation এর ব্যাপার,,নন্দা তুমি যেই গানটা করবে বাড়িতে গিয়ে আরো কয়েকবার প্যাক্টিস করবে,,,ঠিক আছে,,,আর বাকি সবাই ডেকোরেশনের ওখানে থাকবে,,আর যে স্পিচ দেবে সে যেন ভালো করে মনে রাখে সবকিছু,,(ম্যাম)
-ঠিক আছে ম্যাম,,,(সবাই মিলে বলে ওঠে,,,তারপর ম্যাম চলে যাওয়ার পর একজন বলে ওঠে,,)
– এই তোরা জানিস কাল একজন young handsome man আসবে Chief guest হিসাবে,,,(সুনন্দা)
– তা তুই কি তাকে লাইন মারবি নাকি?? মানে এত এক্সাইটেড,,, তাই বললাম আর কি??( নিশা)
– তা মারতে কি দোষ,,অনু আমি ঠিক বলছিতো,,,(সুনন্দা)
– হমম,,,
– বাই দা ওয়ে তোর খারুশ বরটা কালকে আসবে?? ইশশ হৃদয় দা যে কেন এমন করলো??(সুনন্দা)
– উফফ সুনন্দা তুই চুপ করবি,,,অভ্র দা যথেষ্ট ভালো একজন মানুষ,,, আর ওই জানোয়ার টার নাম নিবি না,,,ভালোই হয়েছে অনুর সাথে ওর বিয়েটা হয়নি,,,(নিশা)
– ওই তোরা চুপ কর,,সুনন্দা উনি খারুশ হোক বা বদমেজাজি বা ভালো আমি তাতেই খুশি,,, আমার চিন্তা তোকে করতে হবে না,,,আমি আসছি আজকে এই রিয়ার্সেলের জন্য অনেক দেরি হয়ে গেছে,,, নিশা আসছি আমি তুই কালকে তাড়াতাড়ি চলে আসিস,,,,(এই বলে অনুপমা কলেজ থেকে বেরিয়ে যায়)
___________________________________________
– অভ্র আজ তাড়াতাড়ি বাড়ি এসেছে অফিস থেকে,, তারপর ফ্রেশ হয়ে বাবা আর মার সাথে কথা বলে স্ট্যাডিরুমে চলে যায় আর মুন্নীকে বলে অনুকে দিয়ে এক কাপ কফি পাঠিয়ে দিতে,,,অনু তখন সন্ধ্যের টিফিন বানাতে ব্যস্ত,,,,
(কিছুক্ষণ পর)
-(কফি হাতে নিয়ে) ,,আসবো দাদাভাই???
-তুই আমি যে তোর বৌদিকে পাঠাতে বললাম কফি নিয়ে,,,
– ওও আমি তো বৌদিভাই কে বললাম,, তা বৌদিভাই কফিটা আমার কাছে দিয়ে তোমাকে বলতে বলল সে কাজ করছে(মুন্নী)
– বল যে দাদাভাই ডাকছে,,,এখুনি আসতে বলছে,,,
– ঠিক আছে,,,(তারপর কফিটা টেবিলের উপর রেখে মুন্নী চলে যায়)
(কিছুক্ষণ পর)
-আসবো,,,,??(অনুপমা)
চলবে…..
(কপি পেস্ট করবেন না,,,, সবাই রিয়্যাক্ট ও গঠনমূলক মন্তব্য করবেন।)