#স্নিগ্ধ_প্রিয়া
#সাদিয়া_শওকত_বাবলি
#পর্ব_১৬
( অনুমতি ব্যতীত কপি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ )
নিজেকেই তো সে নিজে ভালোবাসতে পারেনি কখনও তাহলে অন্য কারো কাছ থেকে ভালোবাসা আশা করে কিভাবে? সে তো কখনও নিজেই নিজের হয়নি তাহলে অন্য কেউ তার হবে কি করে? পূর্বাশা এক দৃষ্টিতে চেয়ে রইলো জায়ানের চলে যাওয়ার পানে। সেনজেই এসে পাশে দাঁড়ালো তার, মৃদু ধাক্কা দিয়ে বলল – ক্লাস শুরু হয়ে যাবে তো চলো।
পূর্বাশাও আর দেরী করলো না বেশি। তৃষাম আর চ্যাং এর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে সোজা চলে গেল ওয়াশ রুমের দিকে। সেখান থেকে ভালোভাবে মুখটা ধুয়ে রওনা দিল ক্লাসে। মুখ না ধুয়ে আর উপায় আছে কি কোনো? যেভাবে জায়ান পানি মেরেছে তাতে মুখের সৌন্দর্য বৃদ্ধির বদলে খারাপ দেখাচ্ছে বেশি। ক্লাসে ঢুকতেই সেদিনের মেয়েগুলো হাত ইশারা করলো পূর্বাশাকে, হেসে বলল – হাই ডার্কি।
পূর্বাশা শুনলো মেয়েগুলোর কথা। যতটা কষ্ট তার হওয়ার কথা ছিল কেমন যেন এই মুহূর্তে তার ততটা কষ্ট হলো না। তবে কি জায়ানের কথাগুলো প্রভাব বিস্তার করেছে তার উপর? হয়তো করেছে, জায়ান তো আর মিথ্যা বলেনি একটা কথাও। জেফি কিছুটা তেতে উঠলো মেয়েগুলোর কথায়। সে মেয়েগুলোর দিকে তেড়ে যেতেই তাকে থামিয়ে দিল পূর্বাশা। প্রথম দিন ক্লাসে আর কোনো ঝামেলা না বারিয়ে তারা বসালো ক্লাসে।
***
সময় গড়ালো কিছুটা। ঘড়ির কাঁটা ঘুরতে ঘুরতে জানান দিল দুপুর হয়েছে। পূর্বাশাদেরও ক্লাস শেষ হলো মাত্রই। ক্লাস শেষ করে তিন বান্ধবীকে নিয়ে সে বেরিয়ে এলো ক্লাসরুম থেকে। কিছুটা পথ দেখেই দেখা পেল ইয়ানের। এই ছেলেটার সাথেও তার দেখা হয় না অনেকদিন। আর দেখা করারও বা প্রয়োজন আছে কি কোনো? ইয়ান পূর্বাশাকে দেখে দৌড়ে গেলো তার কাছে। সামনাসামনি দাঁড়িয়ে হাসিমুখে বলল – কেমন আছেন ফুর্ভা।
নিজের নামের এমন বিকৃত উচ্চারণ শুনে পূর্বাশা বিরক্ত হলো বেশ তবে মুখে কিছু বলল না সে। সৌজন্যসূচক হেসে বলল – আলহামদুলিল্লাহ ভালো আপনি?
– জ্বী আমিও ভালো আছি। আপনার পায়ে ব্যথা কমেছে?
পূর্বাশা নিজের পা খানা নাড়িয়ে চাড়িয়ে দেখালো, হেসে বলল – একদম ঠিক হয়ে গেছে।
– আজ বিকালে কি ফ্রি আছেন আপনি?
ইয়ানের প্রশ্নে স্পষ্ট ইতস্ততবোধ। হয়তো একটা মেয়েকে এমন প্রশ্ন করতে ইতস্তত লাগছে। লাগাটাও স্বাভাবিক নয় কি? তবে ইয়ানের হঠাৎ এমন প্রশ্নে ক্ষানিকটা অবাক হলো পূর্বাশা। এ আবার তার ফ্রি থাকা না থাকা নিয়ে প্রশ্ন করছে কেন? পূর্বাশা কিছুটা অবাক স্বরেই বলল – কেন?
ইয়ান কিছুটা আমতা আমতা শুরু করলো, আমতা আমতা করে বলল – না মানে আমরা কয়েকজন ফ্রেন্ড মিলে পাশের পার্কে যেতাম আর কি। আপনিও তো নতুন এখানে। চাইলে আপনি এবং আপনার বান্ধবীরাও আমাদের সাথে যেতে পারেন।
পূর্বশা ইতস্তত শুরু করলো। এভাবে স্বল্প দিনের পরিচয়ে একটা ছেলের সাথে ঘুরতে যাওয়া মোটেই যুক্তিযুক্ত নয়। আর তাছাড়া পূর্বাশা নিজেও অপরিচিত, স্বল্প পরিচিত কিংবা বেশি মানুষের মধ্যে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না। তাই সে ইয়ানের এই প্রস্তাবে সরাসরিই না বলে দিতে চাইলো। কিন্তু সে মুখ খোলার আগেই তার পাশ থেকে সুজা উঠে বলল – আমরা যাব, সবাই যাব। খুব আনন্দ হবে।
সেনজেই আর জেফিও সায় দিল জেফির কথায়। তাদের মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে ইয়ানদের সাথে যেতে তারা কতটা ইচ্ছুক। পূর্বাশা আর কিছু বলতে পারলো না তাদের। অগত্যা ইয়ানদের সাথে ঘুরতে যেতে রাজী হলো পূর্বাশা নিজেও।
****
দুপুর গড়িয়ে বিকালের দেখা মিলেছে। সূর্যটাও ঢলে পড়েছে আকাশের এক কোনে। ইয়ান তার কিছু বন্ধুদের নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে পূর্বাশাদের হোস্টেলের সম্মুখে। অপেক্ষা করছে তারা কখন বের হবে। মিনিট দশেক পরই পূর্বাশা, সেনজেই, সুজা আর জেফি বেরিয়ে এলো বাইরে। সবার অতি আধুনিক পোশাকের মধ্যেও বরাবরের মতোই পূর্বাশা একটা নীল রঙা থ্রী পিসই শরীরে জড়ালো। আজ এত দিন হলো চীনে এসেও মেয়েটা নিজেকে এই আধুনিকতার মাঝে বিলিয়ে দিতে পারলো না একটুও। ইয়ান সকলের মধ্যে তার পানে তাকিয়ে মুগ্ধ হলো, বলল – বাহ আপনাকে এই পোশাকে বেশ সুন্দর লাগছে।
পূর্বাশা একটু লজ্জা পেল। যা তার সাথে কখনও ঘটেনি আজ ঘটছে। সকাল থেকে অনেকেই তার সৌন্দর্যের প্রশংসা করেছে। কিছুটা লাজুক স্বরেই সে বলল – ধন্যবাদ।
পূর্বাশা আর ইয়ানের কথাপকথনের মধ্যেই ইয়ানের একজন বন্ধু তাড়া দিল তাদের, বলল – ধন্যবাদ পরে দেওয়া নেওয়া হবে। আগে চলো সবাই দেরী হয়ে যাচ্ছে তো।
আর দেরী করলো না কেউ। সকালে মিলে হাঁটা শুরু করলো বাইরের দিকে। কলেজের গেটের সম্মুখে এসেই দেখা মিললো তৃষাম, জায়ান আর চ্যাং এর। পূর্বাশাকে দেখেই তৃষাম এগিয়ে গেল তাদের দিকে, বলল – কোথায় যাচ্ছিস?
– এই তো বেরিয়েছিলাম একটু।
তাদের কথার মধ্যেই সুজা উঠে বলল – এই তো পাশের পার্কে যাচ্ছি আমরা।
জায়ানের দৃষ্টি তীক্ষ্ম হলো। সেই তীক্ষ্মতা ক্রোধে রূপ নিল ইয়ানের মুখশ্রী অবলোকন করে। পূর্বাশকে উদ্দেশ্য করে ঠ্যাশ মেরে তৃষামকে সে বলল – বাহ তোর বোনের তো দেখছি আজকাল ভালোই বন্ধু বান্ধব জুটেছে। মেয়ে আবার সাথে এক ঝাঁক ছেলেরাও।
সেদিন কিছু না বলে ছেড়ে দিলেও আজ চুপ রইলো না ইয়ান। জায়ানের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বলল – হ্যা হয়েছে তো?
জায়ান শকুনের ন্যায় তাকালো ইয়ানের পানে, দাঁতে দাঁত চেপে বলল – তো তৃষাম আমরাও চল এদের সাথে পাশের পার্কে ঘুরে আসি একটু।
জায়ানের কথায় কিছুটা অবাক হলো তৃষাম। বিকালে তারা একটু বাইরে বেরিয়েছিল ঘুরতে। সেখানে গিয়ে একটা মিনিটও তাদের শান্তিতে থাকতে দেয়নি জায়ান। তার নাকি কি প্রজেক্টের কাজ বাকি আছে বলে বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলেছিল। এখন কিনা সেই বান্দা বলছে পার্কে যাবে? তৃষাম কিছুটা অবাক স্বরেই বলল – এখন পার্কে যাবি তুই?
জায়ান তীক্ষ্ম দৃষ্টিতে তাকালো তৃষামের পানে, দাঁতে দাঁত চেপে বলল – সন্দেহ আছে কোনো?
জায়ানের তীক্ষ্ম দৃষ্টির পানে তাকিয়েই কিছুটা চুপসে গেল তৃষাম, মিনমিনে কন্ঠে বলল – চল তাহলে।
এদেরই বোধহয় অভাব ছিল। জায়ানকে দেখেই কোথাও যাওয়ার ইচ্ছে যেন মরে গেল পূর্বাশার। আজ সকালে যতই ভালো ভালো কথা বলুক না কেন? তাকে অপমান করতে তো কখনও ছাড়ে না। ওখানে গিয়ে সকলের সম্মুখে কি অপমান করবে জানা নেই। তবে এতজন মানুষের মধ্যে “আমি যাব না কথাটা বলতে পারলো না পূর্বাশা।” সকলের সাথে বিশেষ করে ঐ জায়ান নামক নাক উঁচু ছেলের সাথে যেতেই হলো তাকে। হাঁটতে হাঁটতে পূর্বাশার মুখ মলিন দেখে ভ্রু কুঁচকালো ইয়ান, মৃদু স্বরে তাকে জিজ্ঞাসা করলো – কি হয়েছে? মন খারাপ বা শরীর খারাপ লাগছে?
পূর্বাশা ঠোঁট টেনে হাসার চেষ্টা করলো, বলল – না আমি ঠিক আছি।
– সত্যি ঠিক আছেন?
– একদম।
কথাটা বলেই আর একটু হাসলো পূর্বাশা। জায়ানের দৃষ্টি তীক্ষ্ম হলো আরও। এত হাসাহাসি কিসের তার এই ছেলেটার জন্য? কই যখন তাদের সামনে আসে তখন তো হাসে না। তখন মনে হয় কেউ জোর করে একে করলার জুস খাইয়ে দিচ্ছে। আর এখন যেন হাসির ফোয়ারা ছুটছে। ইয়ানের দিকে খেয়াল করে হাঁটতে হাঁটতেই হঠাৎ ছোট একটা ইটের টুকরোতে পা বাঁধলো পূর্বশার। পড়ে যেতে নিল সে। অমনি ইয়ান তাকে ধরে ফেললো। এক প্রকার জড়িয়ে ফেললো নিজের বাহুডোরে। প্রায় সাথে সাথেই পূর্বাশা ছিটকে দূরে সরে গেল। অপ্রস্তুত হয়ে পড়লো বেশ। আকস্মিক এমন একটা পরিস্থিতিতে পড়বে সে বুঝতে পারেনি। হয়তো ইয়ানও বুঝতে পারেনি। ছেলেটা তো তাকে সাহায্যার্থেই ধরতে গিয়েছিল। তাছাড়া সে বাঙালি বলেই হয়তো বিষয়টা নিয়ে একটু বেশি অপ্রস্তত হয়েছে। আশেপাশে উপস্থিত কারো মধ্যে বিষয়টা নিয়ে তেমন সাড়া পেল না। সবাই স্বাভাবিকভাবেই তাকে শুধালো – ঠিক আছো তুমি?
পূ্র্বাশা অপ্রস্তত ভঙ্গিতে হাসলো, বলল – হ্যা ঠিক আছি।
সবাই স্বাভাবিকভাবে বিষয়টা নিলেও জায়ান বোধহয় স্বাভাবিকভাবে নিতে পারলো না গোটা বিষয়টা। থমথমে কন্ঠে সে তৃষামকে বলল – তোর বোনের কি যেখানে সেখানে হুট হাট পড়ে যাওয়ার অভ্যাস আছে? নাকি ছেলে দেখলে তাদের গায়ের উপর ঢলে পড়তে এমন অভ্যাসের উদয় ঘটে?
পূর্বাশার মুখটা থমথমে আঁকার ধারন করলো। ছেলে দেখলে সে তাদের গায়ের উপর ঢলে পড়ে? লজ্জায় অপমানে যেন আড়ষ্ট হলো পূর্বাশা। এত বাজেভাবে তাকে অপমানটা কি প্রাপ্প ছিল তার? পূর্বাশা দুই ঠোঁট ফাঁক করলো বলতে চাইলো কিছু কিন্তু বলতে পারলো না। তার আগেই তার হয়ে মুখ খুললো তৃষাম, বেশ তীক্ষ্ম কন্ঠেই বলল – একদম বাজে কথা বলবি না জায়ান। তোকে আমি আগেই বলেছি আমার বোনকে নিয়ে সমস্যা থাকলে আমার বোনের থেকে দূরে থাকবি। তারপর এসেছিস কেন আমার বোনের সাথে?
এবার আর চুপ থাকলো না ইয়ানও। পূর্বাশার পক্ষে গর্জে উঠলো সে, বলল – মুখ সামলে কথা বলবেন। সেদিন থেকে আপনার অনেক কথা শুনে যাচ্ছি। সব সময় মেয়েটাকে অপমান করা ছাড়া আর তো কোনো কাজ নেই আপনার। নিজের সীমার মধ্যে থাকার চেষ্টা করবেন নয়তো বিষয়টা ভালো হবে না খুব।
ইয়ানের কথায় ফুঁসে উঠলো জায়ানও। ফর্সা চেহারাটা যেন রক্তিম বর্ন ধারন করেছে তার স্বল্প সময়েই। চোখ দুটোও লাল। বেশ ক্রোধিত কন্ঠে সে বলল – কি করবি তুই?
– মানুষ তার নিজের সীমা ভুলে গেলে যা করা উচিৎ তাই করবো আমি।
জায়ান রাগ যেন বাড়লো আরও। ক্রোধিত ভঙ্গিতে ইয়ানের সম্মুখে গিয়ে দাঁড়ালো সা, দাঁতে দাঁত চেপে বলল – বাহ দরদ দেখছি উতলিয়ে উঠছে। তা এই দুদিনে ওই বাঙালি মেয়েটার প্রতি দরদ উতলানোর কারন কি? নাকি এই দরদ দেখিয়ে মেয়েটাকে ফুসলানোর চেষ্টায় নেমেছো?
গর্জে উঠলো ইয়ান। কলার চেপে ধরলো জায়ানের, হিসহিসিয়ে বলল – নিজের আওতার মধ্যে থাক। অনেক সহ্য করেছি তোকে? কে তুই? আর ঐ মেয়েটাকে কিংবা ঐ মেয়েটাকে নিয়ে এত কথা বলার অধিকার কে দিয়েছে তোকে?
জায়ানও নিজের ক্রোধকে কাবু করতে ব্যর্থ। অবশ্য নিজের ক্রোধকে কাবু করতে সে বরাবরই ব্যর্থ। নাকের ডগায় রাগ নিয়ে ঘোরে সর্বক্ষন। নিজের হাত বাড়িয়ে সেও ধরলো ইয়ানের কলারটা, হিসহিসিয়ে বলল – তুই কে? তুই কি হস পূর্বাশার? সেদিন থেকে দেখছি ওর পিছনে লেগেই আছিস, কেন? কিসের জন্য?
পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে ধীরে ধীরে। এদের এই মুহূর্তে না থামালে সমস্যা হয়ে যাবে বেশ। রাস্তাঘাটে এভাবে মারামারি নিশ্চই শোভা পায় না। তাছাড়া আশেপাশে রাস্তাঘাটে পুলিশের টহল থাকে সর্বদা। কারো নজরে পড়লে মা’ম’লা খেয়ে যেতে হবে সবার। চ্যাং আর তৃষাম এগিয়ে গিয়ে ধরলো জায়ানকে আর ইয়ানের বন্ধুরা এসে ধরলো ইয়ানকে। দুইজনকে তারা দুইজন টেনে নিয়ে গেল দুই দিকে। তবুও যেন থামানো যাচ্ছে না দুজনকে। সাপের মতো ফোঁস ফোঁস করছে দুদিকে দুইজন। ছাড়া পেলেই যেন একে অপরের উপর হামলে পড়বে আবারও। এতক্ষন চুপ থাকলেও এবার আর চুপ থাকতে পারলো না পূর্বাশা। এতক্ষন পর শান্ত মেয়েটাও মুখ খুললো। গলা উঁচিয়ে অনুনয়ের সুরে বলল – আপনারা থামুন এবার। প্লীজ থামুন, একটা সামান্য বিষয় নিয়ে আমার আর এসব ভালো লাগছে না।
চলবে…….
_
Note : অনেকেই জায়ান চরিত্রটার প্রতি তিক্ত হয়ে উঠছেন। তাদের উদ্দেশ্যে আমি বলতে চাইছি জায়ান চরিত্রটার মধ্যে অনেক রহস্য লুকায়িত রয়েছে। এখন পর্যন্ত এই চরিত্রের ভিতরেই আমরা ঢুকতে পারিনি তাই চরিত্রটা খারাপ লাগতে পারে। ইনশাআল্লাহ এই গল্পের আগামী পর্ব থেকেই আমরা একটু একটু করে জায়ান চরিত্রের মধ্যে ঢুকতে শুরু করবো। আপনারা গল্পটা পড়ুন এবং অপেক্ষা করুন।
ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি লিংক –
https://www.facebook.com/profile.php?id=100090661336698&mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v
গ্রুপ লিংক –
https://www.facebook.com/groups/233071369558690/?ref=share_group_link
[ আহরাব ইশতিয়াদ এবং নিশিতা জুটির উপর লেখা আমার প্রথম উপন্যাস “স্নিগ্ধ প্রেয়শী” পড়ে নিন বইটই অ্যাপে, মাত্র ৪০ টাকা। বইয়ের লিংক এবং কিভাবে কিনবেন পেয়ে যাবেন কমেন্ট বক্সে ]