#ভালোবাসার_অন্যরুপ 🌸❤
#পর্ব 18
#লেখিকা : Aye Sha
🌸
🌸
আমি নিজের হাতের সে অংশে হাত দিলাম যেখানে ঠোঁট ছুঁইয়েছেন সেখানে হাত বোলাতে বোলাতে ওনার দিকে চোখ যেতেই আমি আতকে উঠলাম।
মীরা– আমানননন?? (চিৎকার করে) পাগল হয়ে গেছেন নাকি আপনি?? (ওনার কাছে গিয়ে কফির মগ টা নিয়ে নিলাম)
ওনার দিকে তাকাতেই দেখি উনি গরম কফিটা নিজের ডান হাতে ঢালছেন, এটা দেখে কার মাথা ঠিক থাকে?? আমি ওনার হাত ধরে বললাম।
মীরা– আপনার মাথা কি খারাপ হয়ে গেছে?? আপনি এটা কি করছিলেন??
আমান– এখন তোমার আর আমার কষ্টটা সমান সমান। আমিও এখন তোমার কষ্ট টা ফীল করতে পারবো। তোমার কষ্টের ভাগ না নিতে পারি অন্তত তোমার মত কষ্ট সহ্য করে তোমার সঙ্গ তো দিতে পারবো।
উনার কথা শুনে কী বলব, কী উত্তর দেবো আমি কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। এদিকে উনার হাত টা লাল হয়ে গেছে সেই দেখে উঠে অয়েন্টমেন্ট আনতে চলে গেলাম। অয়েন্টমেন্ট নিয়ে এসে উনার হাতে লাগাতে লাগলাম। আড়চোখে খেয়াল করলাম, উনি এক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। আশ্চর্য ব্যাপার! যে মানুষটার হাতটা এতটা পুড়ে গেছে তার মুখে কোন যন্ত্রণার ছাপ নেই। যখন আমার হাতে কফি পড়েছিল তখন আমার দমটাই বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, যন্ত্রণায় ছটফট করছিলাম ভীতর ভীতর। আম্মু তো আমার মুখ দেখেই বুঝতে পেরেছিল তাই জন্যই তো তখন রেগে গেছিল আর ওনাকে দেখো মুখ দেখে বোঝাই যাচ্ছে না ওনার হাতে এখনই গরম পড়ে গেছে। পড়ে গেছে বললে ভুল হবে নিজেই নিজের হাতে ঢেলেছে বদ্ধ পাগল একটা!
আমান– আমাকে বকাবকি করা শেষ??
মীরা– আপনি বুঝলেন কি করে আমি আপনা…(থেমে গেলাম)
আমান– তোমার মন পরা আমার কাছে খুব এমন কঠিন কাজ নয় মীর। ইটস টু ইজি ফর মি।
মীরা– এমনটা কেন করলেন?? কেউ জেনে বুঝে এভাবে গরম কফি হাতের ঢালে নাকি?? জ্বালা করছে নিশ্চয়ই ভীষণ??
আমান– হ্যাঁ করছে তো আর আমি তো এটাই চাই।
মীরা– কিইই!!?? আপনি চান আপনার হাতটা জ্বালা করুক??
আমান– হ্যাঁ চাই। কারণ ঠিক এই কষ্টটা তোমাকে ভোগ করতে হয়েছে আর সেটা আমার জন্য। আমার জন্য তুমি কষ্ট পাবে আর আমি বসে বসে দেখবো এটা হয় না। তোমার কষ্টটা তো আমি ভাগ করতে পারবো না তাই ভাবলাম নিজেই কষ্টটা ভোগ করি। ভাগ করতে না পারি ভোগ করতে তো পারবো।
ওনার কথা শুনে আমার চোখে পানি চলে এলো। আমি আর পারলাম না নিজেকে স্বাভাবিক রাখতে, আমি জড়িয়ে ধরলাম আর ওনার বুকে মুখ গুজে দিলাম। ওনার বুকে মাথা রাখলে মনে হয় এটাই আমার একমাত্র নিরাপদ স্থান, একমাত্র আশ্রয় যেখানে আমার কোন ক্ষতি হতে পারে না। আসলেই তাই! আমার তো কোন ক্ষতি হতে উনি দেবেন না বরং আমার জন্য ওনার ক্ষতি হয়ে যাবে, যেটা আমি মেনে নিতে পারব না। তাই জন্য তো উনার এতো ভালোবাসা আমাকে উপেক্ষা করে সরে আসতে হবে ওনার জীবন থেকে যাতে উনি ভালো থাকে।
আমান– মীরু!!
মীরা– হমম। (ওনার বুকে মাথা রেখেই)
আমান– অর্নিল ইসমি কে ভালোবাসে।
মীরা– কিহহ?? (ওনার দিকে তাকিয়ে)
আমান– আই নৌ ইসমি তোমাকে বলেছে যে অর্নিল অভিনয় করেছে।
মীরা– তোহ সুমি কি আমায় মিথ্যে বলবে আমান??
আমান– একদমই না। ইসমি তোমাকে যেটা বলেছে সেটা অর্ধেক সত্য।
মীরা– মানে??
আমান– অর্নিল ইসমির সাথে অভিনয় করতেই চেয়েছিল কিন্তু বেচারা নিজের জালে নিজেই ফেসে গেছে।
মীরা– সত্যি ভালোবেসে ফেলেছে??
আমান– হমম (আমাকে নিজের সাথে মিশিয়ে)
মীরা– কিন্তু ইসমির সাথে অর্নিলের কি শত্রুতা আমান??
আমান– শত্রুতা নয় মীরা, রাগ।
মীরা– রাগ??
আমান– হমম তোমার উপর অর্নিলের রাগ ছিলো।
মীরা– সেইদিনের জন্য?? যেদিন আপনাকে..
আমান– হমম। তুমি আমাকে অপমান করেছিলে, এছাড়া আমাদের বিয়ের পরেও…অর্নিল এখন ভুল টা বুঝেছে, সঙ্গে এটাও বুঝেছে যে ও ইসমি কে ছাড়া বাঁচবে না।
মীরা– (মনে মনে– অর্নিলের রাগ টা স্বাভাবিক। আজ যদি সুমি কে কেউ অপমান করে তাহলে সত্যি আমি সেটা মেনে নিতে পারবো না। তেমন অর্নিল ও আমানের অপমান টা মেনে নিতে পারেনি, কম তো অপমান করিনি ওনাকে আমি। তাই তো এড়িয়ে গেলেন প্রসঙ্গ টা। কিন্তু আমাকে অর্নিলের সাথে কথা বলতে হবে। আর সুমি যে অর্নিল কে ভালোবাসে সেটা আমি ভালোই বুঝেছি।)
আমান– কি ভাবছে আমার ” ব্ল্যাক এঞ্জেল “?? (আমার গালে ঠোঁট ছুঁয়ে)
আমি সঙ্গে সঙ্গে আবার ওনার বুকে মুখ গুঁজলাম, আজ অনেকদিন পর আমান আমাকে ” ব্ল্যাক এঞ্জেল ” বললো। আমি ওনার বুকে মুখ গুঁজতেই উনি আমার চুলে চুমু দিলেন। এদিকে আমি লজ্জায় লাল নীল হয়ে যাচ্ছি।
আমান– মীরু!! আমার থেকে প্লিজ কিছু লুকিয়ো না। আমি তোমার সব কষ্টের ভাগ নিতে চাই। তুমি আমার কাছে অলয়েস সেফ থাকবে। ফুলের টোকাও পরতে দেবো না আমি তোমার গায়ে। আই লাভ ইউ মীরু!! আই লাভ ইউ সো মাচ!! (আমার ঘাড়ে মুখ গুঁজে)
মীরা– (মনে মনে– আই লাভ ইউ টু আমান!! আমান কে সব সত্যি টা জানানো উচিত। এখন তো নীতাও নেই। ফুপি জানতেও পারবে না। কিন্তু এখন বলবো কি?? নাহ!! আগে অর্নিলের সাথে কথা বলি, অর্নিল আর সুমির যদি বিয়ে হয়ে যায় তাহলে আমাদের দু-বোনের আর কোনো ভয় থাকবে না। এর মাঝেই আমি আমান কে নীলাদ্রির ব্যাপারটা বলে দেবো। আমি আমান কে ভালোবাসি আর ওনাকে ছেড়ে থাকার কথা এখন ভাবতেও পারিনা তাই সত্যিটা ওনাকে বলে দেবো।)
আমানের কাঁধে মাথা রেখে কথাগুলো ভাবছিলাম হঠাৎ করেই উনি আমার দু-গালে দু-হাত রেখে ঠোঁট দুটো দখল করে নিলেন, আর আমি ওনার কাঁধের শার্ট খামচে ধরলাম।
ইসমি– অর্নিল নামান আমাকে। (ছুটোছুটি করতে করতে)
অর্নিল– আর একবার ছুটোছুটি করলে ধপাস! করে মেঝেতে ফেলে দেবো বলে দিলাম।
ইসমি– আপনার স্পর্শে থাকার থেকে মেঝেতে থাকা অনেক ভালো। নামান আমাকে। (ঝাড়ি মেরে)
অর্নিল– আচ্ছা তাই নাকি?? ওকেই।
অর্নিল নিজের হাতের বাঁধন আলগা করতেই ইসমি অর্নিলের গলা জড়িয়ে চিৎকার দিলো।
ইসমি– এই না না না না। আমাকে ফেলো না প্লিজ!
অর্নিল– গ্রেট! এক ঢিলে দুই পাখি মারতে পারলাম। ফার্স্ট অফ অল তুমি নিজেই আমাকে জড়িয়ে ধরলে, অ্যানদ সেকেন্ডলি আপনি থেকে তুমি করে বললে। হাউ ইনটেলিজেন্ট আই অ্যাম। (ভাব নিয়ে)
ইসমি– (মনে মনে– গায়ের জোরে এই বেটার সাথে পারা যাবে না। বুদ্ধির জোর লাগাতে হবে। দারাও বেটা এবার দেখবে এই ইসমি কি জিনিস?? আমাকে কষ্ট দেওয়া তাই না। দেখাচ্ছি মজা।) অর্নিল প্লিজ আমাকে নামাও। সেই কখন থেকে তুমি আমাকে কোলে করে নিয়ে ঘুরছ। তোমারও তো কষ্ট হচ্ছে।
অর্নিল– আমি তোমার ওজনের দ্বিগুণ, আমার মনে হচ্ছে আমি জিম করছি সো আমার কষ্ট হচ্ছে না বেব।
ইসমি– আচ্ছা মানলাম তোমার কষ্ট হচ্ছে না কিন্তু আমার তো কষ্ট হচ্ছে।
অর্নিল– হোয়াট?? তোমার কষ্ট হচ্ছে?? আমাকে আগে কেনো বলোনি ড্যাম ইট??
অর্নিল সঙ্গে সঙ্গে ইসমি কে নিয়ে বেডে বসিয়ে দিলো, এতক্ষণ সারা রুমে পাইচারি করছিল ইসমি কে নিয়ে। ইসমি কে বেডে বসাতেই ইসমি অর্নিল কে নিজের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে ধাক্কা দিলো আর অর্নিল টাল সামলাতে না পেরে অনেকটা পিছিয়ে গেলো।
ইসমি– আমার কাছে আসার চেষ্টাও করবেন না মিস্টার অর্নিল খান। আগেও বলেছি আবারও বলছি। আমার আপনাকে জাস্ট সহ্য হয় না। চলে যান আমার চোখের সামনে থেকে প্লিজ। আপনাকে দেখলেই আমার আপনার অভিনয়ের কথা মনে পরে যায়। নিজের ওপর রাগ হয়, যেই আমি কি না কোনদিন কোনো ছেলে কে পাত্তা দিইনি সেই আমি কি না একটা ফ্রড, ক্যারেক্টারলেস ছেলে কে ভালোবাসলাম। বেরিয়ে যান আমার রুম থেকে প্লিজজজজ!! (চিৎকার করে)
অর্নিল মুখে টু শব্দ টাও করলো না ইসমির কথা গুলো শুনে, চুপচাপ বেডের পাশে থাকা ড্রয়ার থেকে কয়েকটা ওষুধ বার করে টেবিলে রেখে, গ্লাসে পানি ঢেলে ইসমি কে বললো।
অর্নিল– এগুল খেয়ে নিয়ো। (নীচের দিকে তাকিয়ে)
অর্নিল পিছন ফিরে চোখের কোণে জমা পানি মুছে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো আর ইসমি বালিশ জড়িয়ে ডুকরে কেঁদে উঠলো।
অর্নিল ঘরে এসে ঘরের সব কিছু ভেঙে ফেলেছে প্রায়। বেডে বসে রাগে ফুঁসছে অর্নিল, বাইরে থেকে দাঁড়িয়ে আমি সবটা দেখছি।
মীরা– (মনে মনে– সুমির এভাবে অর্নিল কে কথাগুলো বলা উচিত হয়নি। অর্নিল আর যাই হোক ক্যারেক্টারলেস নয়। সত্যি কি অর্নিল সুমি কে ভালোবাসে নাকি এটা ওর শুধুই জেদ??)
আমি এসব ভাবছিলাম তখনই দেখলাম অর্নিল কাঁদছে, তাও আবার বাচ্চাদের মতোন করে দু-হাতে মুখ ঢেকে। অর্নিল কে এভাবে দেখে আমি আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারলাম না ভিতরে গিয়ে অর্নিলের পাশে বসলাম।
মীরা– অর্নিল! (অর্নিলের কাঁধে হাত রেখে)
অর্নিল আমায় দেখে সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে স্বাভাবিক করে নিয়ে বললো।
অর্নিল– ভাবি তুমি?? কখন এলে?? আমি আসলে…(চারিদিকে তাকিয়ে)
মীরা– আমি সবটাই দেখেছি। তা এইসব ভাঙচুর করে রাগ টা কমেছে কি??
অর্নিল– রাগ কমলেও কষ্টটা কমেনি ভাবি।
মীরা– তাহ কি করলে কষ্ট কমবে?? সুমি কে পেলে??
অর্নিল আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে, আমি ওর চাহুনী দেখে মাথায় হাল্কা টোকা মেরে বললাম।
মীরা– তোমার ভাই আমাকে বলেছে সবটা। তাহ অভিনয় কেনো করতে গেলে হম?? কি লাভ হতো সুমির সাথে ভালোবাসার অভিনয় করে??
অর্নিল– তোমাকে বোঝাতে বলতাম যাতে তুমি আমার ভাই কে ছেড়ে কোনদিন না যাও।
অর্নিলের এহেনো উত্তর আমায় স্তব্ধ করে দিলো, তারমানে সুমি অর্নিল কে ভালোবাসলে অর্নিল সুমি কে দিয়ে আমাকে বোঝাতো যাতে আমি আমান কে ছেড়ে না যাই?? অর্থাৎ এতে অর্নিলের নিজের কোনো স্বার্থ নেই??
অর্নিল– ভাবি ভাই অনেক কিছু ফেস করেছে লাইফে, আমাকে ছোট থেকে আগলে রেখেছে ভাই। আমি ভাইয়ের জন্য কোনদিন কিচ্ছু করতে পারিনি তাই আমি যখন জেনে ছিলাম ভাই তোমাকে ভালোবাসে কিন্তু তুমি ভাই কে ডিভোর্স দিতে চাও, ছেড়ে চলে যেতে চাও তখন ঠিক করি ইসমির সাথে ভালোবাসার অভিনয় করবো। কারণ আমি কোনদিন কোনো মেয়েকে ভালোবাসিনি। আমি যদি ইসমি কে ভয় দেখাতাম যে ও যদি তোমাকে না বোঝায় ভাই কে ছেড়ে না যেতে তাহলে আমি ওকে ছেড়ে দেবো। আমি জানতাম এই ভয়ে ও ঠিকই তোমাকে বোঝাতো আর তুমিও সুমির ভালোবাসার কথা ভেবে আমার ভাই কে ছেড়ে যেতে না। বাট আগের দিন তোমাকে আর ভাই কে একসাথে দেখে আমি বুঝে ছিলাম তোমাদের রিলেশন টা আস্তে আস্তে ঠিক হচ্ছে আর এটাও বুঝেছিলাম ইসমি কে আমি সত্যি ভালোবেসে ফেলেছি। আমার সারা মস্তিষ্ক সারা হৃদয়জুড়ে ও বিচরণ করছে। কিন্তু আজকেই সব ওলট পালট হয়ে গেলো।
মীরা– সুমি কে বোঝানো অনেক কঠিন অর্নিল।
অর্নিল– আমি হাল ছাড়বো না ভাবি। আমার ইসমি কে চাই নিজের লাইফে, এট এনি কস্ট আই নীড হার ইন মাই লাইফ।
মীরা– চেষ্টা করে যাও। আমি আর তোমার ভাই তোমার পাশে আছি।
অর্নিল– সত্যি ভাবি??
মীরা– হমম, কিন্তু সুমি কে বোঝাতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে তোমাকে, তুমি যেমন কখনো কোনো মেয়েকে ভালোবাসোনি তেমন সুমিও কখনো কোনদিন কোনো ছেলে কে ভালোবাসেনি। ও ভালোবাসায় বিশ্বাসী নয়। ওর মনে হয় ভালোবাসলে কষ্ট পেতে হয় আর এই কষ্ট টাকেই হয়তো সুমি সব চেয়ে বেশি ভয় পায়। এমনিতেই তো কষ্টের শেষ নেই আমাদের দুই-বোনের জীবনে, ছোটো থেকেই আব্বু-আম্মু কে পাইনি। ফুপা-ফুপির কাছে মানুষ। যেই সন্তানদের আব্বু-আম্মু থাকে না তারাই বোঝে কষ্ট কি জিনিস, অভাব কি জিনিস। সুমি কে প্লিজ কোনো কষ্ট দিয়ো না অর্নিল। সুমি তোমাকে এক্সেপ্ট করেছিল কেনো জানো??
অর্নিল– ভেবেছিল ভাই যেমন তোমাকে ভালোবাসে, আগলে রাখে সব বিপদের থেকে তেমন আমিও ওকে আগলে রাখবো।
মীরা– একদম ঠিক। আর আমি জানি সুমির ধারনা ভুল নয়।
অর্নিল আমার দিকে তাকাতেই আমি সামান্য হেসে ওকে ভরসা দিলাম।
__কি এতো কথা হচ্ছে ভাবি আর দেবরের??
পিছন ফিরে দেখি আমার বর মশাই ফুল এটিটীয়ুডে দাঁড়িয়ে আছেন, বাম হাতে কফির মগে সিপ নিতে নিতে আর ডান হাত ট্রাউজারের পকেটে গুঁজে কথা বলছেন। উফ এনার রক্ত দিয়ে মনে হয় এটিটীয়ুড বইছে। আমি ওনাকে দেখে কিছু বললাম না ভেংচি কেটে রুম থেকে বেরিয়ে গেলাম।
আমান– কি রে রূমের একি অবস্থা করেছিস?? (চারিদিকে তাকিয়ে)
অর্নিল– আসলে ভাই রাগের মাথায়..
আমান– রাগটাকে কন্ট্রোল করতে শেখ অর্নিল।
অর্নিল– চালুনি বলে সুঁচ কে😒
আমান– হিহি😁 যা ভাগ এখন।
অর্নিল– ভাই এটা আমার রুম।
আমান– ওহ!😅 আসলে অনেক দিন আমার রূমের এমন অবস্থা হয় না তো তাই ভুলে গেছিলাম।😁
অর্নিল– ওয়াহ!😒 এখন তুই আসতে পারিস।
আমান– ভাই কে তারিয়ে দিচ্ছিস??🥺
অর্নিল– থাপ্পরের কথাটা আমি কিন্তু এখনো ভুলিনি ওকেই??😏
আমান– ওলে লে আমার সোনা ভাই। আয় একটা চুমু দি 😚
অর্নিল– ইয়াক ছিইইইই!!🤢 বউ থাকতে ভাই রে চুমু দিতে লজ্জা লাগে না??
আমান– তবে রে?? দাঁড়া নীল তুই অনেক বেরেছিস।
অর্নিল কে আর কে পায় ও দিয়েছে ছুট, আর ওর পিছন পিছন আমান ও দিয়েছে।
[#ফিরে_আসবো_আগামী_পর্বে 🥀]
19part
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=122121840494106573&id=61553197202722&mibextid=Nif5oz