#ভালোবাসার_অন্যরুপ 🌸❤
#পর্ব :24
#লেখিকা : Aye Sha
🌸
মীরা– আমান! আমান দরজাটা খুলুন। আমার আপনার সাথে কিছু কথা আছে।
আমান– (নিশ্চুপ)
মীরা– দেখুন আমি অনেকক্ষণ ধরে দরজা ধাক্কাচ্ছি আর পারব না। আপনি আমার কথা না শুনলে পরে বলতে পারবেন না কেনো আমি আপনাকে না জানিয়ে বাসা ছেড়ে চলে গেছি।
কথাটা বলার পর বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলাম তাও ওনার কোনো সাড়া না পাওয়ায় আশা ছেড়ে দিয়ে চলে যেতে নিলাম। পিছন ফিরতেই আমার হাতে টান পরলো আর পর মুহুর্তেই আমাকে টান দিয়ে ঘরের ভিতরে ঢুকিয়ে এক হাত দিয়ে দরজা বন্ধ করে আরেক হাত দিয়ে দেয়ালে চেপে ধরলেন আমায় আমান। পুরো সময়টা চোখ বুজে ছিলাম, চোখ খুলে আমানের রক্তবর্ন চোখ দেখে একটা বড়ো সরো শুকনো ঢোঁক গিললাম।
আমান– কি বলছিলে তুমি??
মীরা– আ..আ..আমি
আমান– তুমি বাসা ছেড়ে চলে যাবে?? আর সেটা আমাকে জানাতে এসেছো??
মীরা– হ..হ্যাঁ!
আমান আমাকে ছেড়ে দু-হাত কোমরে দিয়ে পিছন ফিরে ফুসতে লাগলেন। জোরে জোরে নিশ্বাস নিচ্ছেন যা আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছি। আমি চোখ নামিয়ে নিতেই দেখলাম আমার হাতে ছোঁপ ছোঁপ রক্তের দাগ। আমি ঘাবড়ে গেলাম, আমান তো আমাকে মারেননি তাহলে হাতে রক্তের দাগ কোথা থেকে এলো। আমি সামনে তাকাতেই দেখলাম আমানের টি-শার্টেও রক্তের দাগ।
মীরা– আপনার হাত দেখি। কি হয়েছে আপনার হাতে।
ওনার কাছে গিয়ে ডান হাত টা সামনে আনতেই আমার চোখ ছানাবড়া হয়ে গেলো। আতকে উঠলাম আমি। বিশ্রী ভাবে হাতটা কেটে গেছে, দেখেই বোঝা যাচ্ছে কাঁচে কেটেছে কারণ কাঁচের ছোটো ছোটো অংশ এখনো গেঁথে আছে।
মীরা– এটা, এটা কি করে হলো?? আর রূমের এ কি অবস্থা করেছেন আপনি?? (চারিদিকে দেখে)
আমান– তুমি কোথাও যাবে না এ বাসা ছেড়ে। (শান্ত ভাবে।)
মীরা– এসব কথা পরে হবে আগে আপনি বসুন।
আমি ওনাকে বেডে বসিয়ে ফার্স্ট এইড বক্স এনে ব্যান্ডেজ করতে লাগলাম। ব্যান্ডেজ করতে গিয়ে নিজের চোখেই পানি চলে এসেছে, এখন বুঝতে পারছি অর্নিল তো ভুল কিছু বলেনি। আমি ব্যান্ডেজ করছি সে সময় উনি বললেন।
আমান– এই বাসা ছেড়ে তুমি এক পা বাসার বাইরে রাখবে না। (শান্ত ভাবে)
মীরা– এটা সম্ভব নয় আমান। আকাশি আপু ফিরে এসেছে। আপনি যখন আমাকে তারিয়ে দিলেন নিজের রুম থেকে তখন নীচে গিয়ে আমি সবটা শুনেছি। আপনি আকাশি আপু কে কতটা ভালোবাসেন আমি জেনেছি। আকাশি আপুর চলে যাওয়ার পরে আপনার খুব কষ্ট হয়েছিল, তাহলে এখন যখন ফিরে এসেছে আপু তখন আর বাঁধা কিসের। আমিই আপনাদের জীবনের বাঁধা তাই চলে যাবো এছাড়া ৬ মাস পর হলেও তো আমাকে যেত…
আমান– কোথাও যাবে না তুমি বুঝেছোওওওও?? কোথাও না মিনস কোথাও নাআআআআ!!
মীরা– ক..কিন্তু আপনি তো আকাশি আপু কে ভালোবাসেন। আমি এখানে মানে আপনাদের মাঝ…
আমান– শাট আপপপপ!! জাস্ট শাট আপপপপ!! কখন থেকে আজে বাজে কথা বলেই চলেছো। কে বলেছে তোমাকে আমি আকাশি কে ভালোবাসি?? হু সেইড দেট টু ইউ?? আমি বলেছি?? কি হলো বলো আমি বলেছিইইইই (চিৎকার করে দাঁড়িয়ে)
মীরা– ন..ন..না।
আমান– লিসেন! আমি জীবনে শুধু একজনকেই ভালোবেসেছি তার নাম হলো মীরা খান। যে বর্তমানে আমার স্ত্রী আর ভবিষ্যতে আমার বাচ্চার মা হবে। আর একবার যদি তোমার মুখ থেকে আমি শুনেছি এ বাসা থেকে যাওয়ার কথা তো আমি আগুন লাগিয়ে দেবো সব কিছুতে। তুমি শুধু আমার আর আজীবন আমারই থাকবে, আমার সাথে থাকবে, সেটা তোমার ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় আই ডোন্ট কেয়ার। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তুমি আমার বাহুতে থাকবে। দেট’ সেট। (আমার বাহু ধরে নিজের সাথে মিশিয়ে)
আমাকে কথাগুলো বলে ছেড়ে দিলেন আর আমি ধপ করে বেডে বসে পরলাম। জোরে জোরে বুকে এক হাত রেখে শ্বাস নিচ্ছি ঠিক সে সময় উনি আমাকে আবারও দাঁড় করিয়ে কোমর জড়িয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলেন। অপলক ভাবে উনি আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। আমার মুখের দিকে এগোতেই আমি চোখ বন্ধ করে ফেললাম, কিছুক্ষণ পর টের পেলাম আমার কাঁধে ওনার মাথা।
আমান– আই অ্যাম স্যরি মীরু! আমি জানি তখন আমি তোমার সাথে রুড বিহেভ করেছি। বাট আমি ইচ্ছে করে করিনি লাভ! তুমি জানো না আমার রাগ টা কতটা খারাপ। তুমি সেই মুহুর্তে আমার সামনে থাকলে জানি না কি করে বসতাম, তোমার ক্ষতিও করে দিতে পারতাম তাই তো তোমাকে দুরে সরিয়ে দিলাম।
মীরা– আর নিজের ক্ষতি করে বসলেন??
আমান– (আমার দিকে তাকিয়ে নিজের ডান হাত টা আমাদের সামনে ধরে) এই হাত দিয়ে তোমাকে বের করেছিলাম তাই শাস্তি টাও নিজে দিয়েছি। এখন তুমি কি শাস্তি দিতে চাও বলো। সব মেনে নেবো শুধু আমাকে ছেড়ে যাওয়ার কথা বলবে না।
মীরা– (ওনার ডান হাতের উপর হাত রেখে) কি করে হলো এটা?? আপনি ইচ্ছে করে??
আমান– হমম ঐ যে (ড্রেসিং টেবিলের কাঁচের দিকে ইশারা করলেন)
মীরা– আপনি কি পাগল আমান??
আমান– হম তোমার জন্য, আজকে জানলে?? (কপালে কপাল ঠেকিয়ে)
মীরা– এভাবে নিজের ক্ষতি কেনো করেন আপনি?? আমার এসব একদম ভালো লাগে না আমান। আপনি এসব বন্ধ না করলে আমি আপনার কাছে থাকব ন…
আমি আর কিছু বলার আগেই উনি আমার ঠোঁট দখল করে নিলেন। ওনার ভালোবাসার স্পর্শ অনুভব করতে আমার বেশ লাগে। তাই আমিও বাঁধা দিলাম না, ওনার গলা জড়িয়ে ধরলাম।
আমান– মীরু!
মীরা– (ওনার ডাকে চোখ খুললাম, এতক্ষণ পরম আবেশে চোখ বুজে ছিলাম) হমম।
আমান– আকাশি চলে গেছে??
মীরা– নাহ। এখন থেকে এ বাসাতেই থাকবে, আম্মু বলেছে।
ততক্ষণাৎ ওনার চোয়াল শক্ত হয়ে গেলো ছেড়ে দিলেন আমাকে, জোরে জোরে নিশ্বাস নিতে নিতে হঠাৎই ধরাম করে সেন্টার টেবিলে লাথি মেরে বেরিয়ে গেলেন রুম থেকে দরজা খুলে।
মীরা– এটা কে হ্যাঁ??
অর্নিল– আমার ভাই আমান খান। হিহি কিউট না??
মীরা– ইশশশ কিউট না ছাই। ওনার নাম আমান খান না ” তুফান খান ” হওয়া উচিত ছিলো। কখন আসে কখন যায় বোঝা মুশকিল।
ইসমি– আমি জানতাম আমার জিজু অর্নিলের মতো নাহ। দেখলি মীরা?? (ভাব নিয়ে)
অর্নিল– ও হ্যালো?? আমি সুইটি কে বলেছিলাম ভাই ওকেই ভালোবাসে, একটু গিয়ে বাসা ছেড়ে যাওয়ার কথা বলো, সব কথা আপনে আপ বেরিয়ে আসবে। তুমি তো বলেছিলে আমারা দুই-ভাই একরকম।
ইসমি– হুহ!
মীরা– অর্নিল, আমার খুব চিন্তা হচ্ছে। ও আপুর এখানে থাকার ব্যাপারটা শুনে ভীষণ রেগে গেছে। রেগে তো নীচেই চলে গেলো।
অর্নিল– হমম, ওয়াহ কি সুন্দর ঘরের অবস্থা। আমি যা করেছিলাম তার ত্গেকে ডাবল। আর হবে নাই বা কেনো ” দ্য গ্রেট আমান খান ” বলে কথা, সব কিছুই গ্রেট গ্রেট।
ইসমি– তুমি কি করেছিলে??
অর্নিল– আব আ..
__আম্মুউউউউ!! তুমি কোথায়?? নীচে আস এক্ষুনিইইইই!! (চিৎকার করে)
মীরা– সর্বনাশ!!
অর্নিল– হয়নি এখনো এই হবে। তোমার তুফান খান তুলাকালাম করলো বলে। চলো নীচে নাহলে দেখবে কোলে করে নিয়ে যাবে।
মীরা– অর্নিলললল!!
অর্নিল– ভাগোওওওও।
ইসমি– এতো ফাজিল কেমনে এই পোলাটা??
মীরা– সুমি নীচে চল, ভয় লাগছে আমার।
ইসমি– হমম চল।
আমরা সবাই নীচে আসতেই দেখলাম, আম্মু ভয় পেয়ে দাঁড়িয়ে আছেন কিন্তু আমান কে দেখতে পেলাম না আর আকাশি আপুই বা কোথায়?? হঠাৎ আকাশি আপুর গলার আওয়াজ পেয়ে পাশে তাকালাম আর দেখলাম আমান আকাশি আপুর এক হাত ধরে টানতে টানতে আপুর রুম থেকে নিয়ে আসছে, আপু বার বার ছেড়ে দিতে বলছে কিন্তু আমান শুনছে না। আমি ওদের দিকে এগোতে গেলেই অর্নিল আমার সামনে হাত বাড়িয়ে থামিয়ে দিলো আমায়, আমি অর্নিলের দিকে তাকাতেই অর্নিল চোখের ইশারায় বারণ করে দিলো, অর্নিল কে দেখে বেশ সিরিয়াস তাই আমি কিছু বললাম না।
আমান আকাশি আপু কে টেনে নিয়ে এসে বেশ জোরে দরজার দিকে ছেড়ে দিলেন, আপু টাল সামলাতে না পেরে পরে গেলেন, আমি চাইলেও এগাতে পারলাম না কারণ অর্নিল আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আমান চিৎকার করে বলে উঠলেন।
আমান– বেরিয়ে যাবে এই বাসা থেকে এক্ষুনি, এই মুহুর্তে। আমি আর এক দণ্ড ও তোমাকে এই বাসায় দেখতে চাই না গট ইটটটট?? জাস্ট গো টু হেল। আমার লাইফ হেল করতে এসো না আকাশি! এর ফল ভালো হবে না।
আকাশি– আমি সমস্যায় পরে এসেছি আমান, আমি এখানে থাকবো না বেশিদিনের জন্য।
আমান– ওহ রিয়েলি?? সমস্যায় পরে এসেছো?? আমাকে ছেড়ে যার কাছে গেছিলে তার কাছে নিজের সমস্যা নিয়ে যাও প্লিজ। আমার কাছে নয়।
আম্মু– ও যার কাছে গেছিলো সেই ওর জন্য সমস্যা আমান।
আমান– মানে??
আম্মু আর অর্নিল আমান কে সব টা খুলে বললো সেই শুনে আমান একবার আকাশি আপুর দিকে তাকালো, আপু মাথা নামিয়ে নিলো। আমান কিছুটা শান্ত হয়ে আপুর কাছে এগিয়ে গিয়ে দাঁড়াল ততক্ষণে আকাশি আপু উঠে দাঁড়িয়েছে। আমান পকেটে হাত গুঁজে আপুর দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বললো।
আমান– ফাইন! তুমি থাকবে এ বাসায়। বাট জাস্ট কয়েকদিনের জন্য। তোমাকে কোথাও জব খুঁজতে হবে না, আমি তোমার জন্য সেফ জায়গা সেফ জব খুঁজে দেবো দেন অর্নিল তোমাকে সেখানে রেখে আসবে।
আম্মু– এমন কেনো করছিস আমান?? আকাশি কে এতদিন পর ফিরে পেয়েছি, এভাবে ওকে আমি যেতে দেবো না। আমার মেয়ে হয় ও, আর তুই ও তো ওকে ভালোবাসিস তাহ…
আমান– এক মিনিট আম্মু! তুমি ভুল করছো। আমি আকাশি কে ভালোবাসি না। শি ইস নো ওয়ান ফর মি। মাই এভরিথিং ইস মাই ওয়াইফ। মাই ওয়াইফ ইস মাই লাইফ। তুমি আকাশি কে পেয়ে মীরা কে ভুলে যেতেই পারো, তোমার এই মেয়ে কে পেয়ে মীরা কে ভুলে যেতেই পারো। এটাও ভুলে যেতে পারো যখন আমি মীরা কে আমার স্ত্রী করে এ বাসায় এনেছিলাম তখন তুমি ওকে নিজের মেয়ে স্বীকার করে আজীবন আমার সাথে থাকার জন্য অনুরোধ করেছিলে। বাট আমি এসব কিচ্ছু ভুলিনি। তাই আমি চাই না আমার আর মীরার মাঝে কেউ আসুক, কোনো রিস্ক আমি নেবো না, তুমি চাইলে আকাশির সাথে দেখা করতে পারো নো প্রব্লেম বাট এ বাসায় নয়। ও এ বাসায় থাকলে আমি মীরা কে নিয়ে চলে যাবো আম্মু। এবার তুমি ডিসাইড করো তোমার কাকে চাই?? নিজের ছেলে কে নাকি পাতানো মেয়ে কে। আকাশি আসার পর ওকে নিয়ে মেতে আছো, একবার ও মীরার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করেছো ও কেনো নিজের চোখের পানি ফেলছে, আমার পিছনে যাওয়ার পর কেনো কাঁদতে কাঁদতে নীচে এসেছে?? আই হ্যাভ নাথিং টু সে আম্মু। তুমি এটা কি করে করতে পারলে??
আম্মু– আমি তো বলিনি মীরা কে এ বাসা থেকে যেতে, না বলেছি তোর জীবন থেকে যেতে। আমি জানি তুই মীরা কে ভালোবাসিস, মীরার আগে তুই কাওকে কোনদিন এভাবে ভালোবাসিসনি। তোর সত্যিকারের ভালোবাসা যে মীরা সেটা আমার বুঝতে বাকি নেই। আকাশি কে তোর ভালো লেগেছিল যেটা ভালো লাগাতেই সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে আকাশির চলে যাওয়ায়। আকাশি চলে যাওয়ায় তুই কষ্ট পেয়েছিস ঠিকই কিন্তু সেটা ভালোবাসার মানুষ কে হারিয়ে নয়, মনের মতো বান্ধবী কে হারিয়ে। আমি সেই অনুযায়ী বলেছি যে তুই আকাশি কে ভালোবাসিস, বন্ধুর মতো। (আম্মু আমার কাছে এগিয়ে এসে আমার মাথায় হাত রেখে বললো) মীরা আজও আমার মেয়ে। আমার বাসায় আমানের বউ এর অধিকার শুধুমাত্র মীরার। আর কাওর না। তাই বলছি আকাশি কে কি রাখা যায় না??
আমান– না রাখা যায় না। দেট’স ফাইনাল আম্মু।
আমান কথাগুলো বলে আকাশি আপুর দিকে একবার তাকালেন তারপর আমার দিকে এগিয়ে আসতেই আম্মু কিছুটা সরে গেলেন আর উনি সবার সামনে আমাকে কোলে তুলে নিলেন।
মীরা– কি করছেন আপনি এটা সবার সামনে??
আমান– আমার নিজের বউ কে কোলে তুলেছিইইইই!! কে কি বললো বা ভাবলো আই ডোন্ট কেয়ারররর!! (একটু জোরে)
বুঝলাম আকাশি আপু কে শুনিয়ে বলেছেন, আমি ওনার গলা জড়িয়ে আম্মু অর্নিল আর সুমির দিকে তাকাতেই দেখলাম সবাই মিটিমিট হাসছে। আমার চোখ ওদের থেকে সরে আকাশি আপুর দিকে গেলো। আমি অবাক হয়ে গেলাম, আপুর মুখেও হাসি! কিন্তু সেটা শয়তানি হাসি নয়! প্রশান্তির হাসি! যাতে কোনো ছলনা বা খারাপ মতলব আছে বলে আমার মনে হয় না।
[#ফিরে_আসবো_আগামী_পর্বে 🥀
25 part
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=122121841910106573&id=61553197202722&mibextid=Nif5oz