ভালোবাসার_অন্যরুপ 🌸❤ #পর্ব :3 #লেখিকা : Aye Sha

0
437

#ভালোবাসার_অন্যরুপ 🌸❤
#পর্ব :3
#লেখিকা : Aye Sha

🌸
🌸

১ মাস আগে …………………………..

#ফ্লাশব্যাক …………………………….

ভয়ে ঠক ঠক করে হাত পা কাঁপছে, কি করবো আমি এখন? না জেনে বুঝে এতো বড়ো ভুল টা কি করে করলাম আমি? আমার এটা করা উচিত হয়নি, এই কাজের জন্য আমাকে এবার টি.সি দিয়ে দেবে প্রিন্সিপ্যাল স্যার।

রিয়া– কি রে মীরা? এখন এভাবে চোখের পানি ফেলে কি লাভ?

পায়েল– যা ভুল করার তো করেই ফেলেছিস এখন আর কোনো লাভ নেই।

সুমাইয়া– কতবার করে পিছন থেকে ইশারা করলাম বলিস না এমন, থামলো তো না বরং থাপ্পড় দিয়ে বসলো তাও আবার কাকে?

— ভার্সিটির ট্রাস্টি কে। (তিনজন একসঙ্গে)

কিছুক্ষণ আগে………………

আমি মীরা চৌধুরি আর আমার বোন ইসমি চৌধুরি । আমরা দুই যমজ বোন। আব্বু-আম্মু ফুপা ফুপির কাছে আমাদের রেখে সেই যে কবে বিদেশ পাড়ি দিয়েছেন আর ফিরে আসেননি হয়তো আর আসবেন ও না। আমি মাস্টার্স ফাস্ট ইয়ার পরি ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে, কিন্তু আজ অনেকদিন হলো ভার্সিটি আসা হয়না, আমার বোন ও আমার মতো সেম ইয়ার কিন্তু অন্য ভার্সিটি ইংলিশে মাস্টার্স করছে, কিন্তু আমরা কখনোই একসঙ্গে ভার্সিটি আসতে পারিনা, দুজনেই যদি চলে আসি তাহলে বাসার কাজ কে করবে? আমাদের মধ্যে যেকোনো একজন বাসায় থেকে বাসার সব কাজ করে, আরেক জন ভার্সিটি আসে, আব্বু আম্মু আমাদের জন্য কোনো খরচ পাঠায় না হয়তো ভুলেই গেছে তাদের দুটো মেয়ে আছে। প্রথম প্রথম ফুপা ফুপি আর নীতা (ওদের মেয়ে) আমাদের দুই বোনের সাথে ভালো ব্যবহার করতো কিন্তু আব্বু আম্মু যখন টাকা পাঠাল না তখন তাদের ব্যবহার বদলে গেলো। অনেক কষ্ট করে ফ্যাশন ডিসাইন নিয়ে পড়ছি। শুধু একটা ভালো জব পাওয়ার জন্য, ছোটো থেকে আঁকা আঁকি আমার নেশা ছিলো এখন সেটাকেই নিজের পেশা বানাতে চাই। ফুপা ফুপির মেয়ে মানে নীতা ও আমার ভার্সিটি তে সেম ইয়ার আর সেম সাবজেক্ট নিয়ে, আমার ক্লাসমেট। আমার পড়ার খরচ আমি বাসায় বাসায় টিউশন পড়িয়ে শোধ করার চেষ্টা করি আর সঙ্গে বাসার কাজ তো আছেই। এভাবেই দিন চলছে, আজ কয়েকদিন হলো আমি ভার্সিটি আসিনি বোন এসেছিল, ভাবতে পারিনি এর মাশুল আমায় এভাবে দিতে হবে।

ভার্সিটি তে ঢুকতেই নিজের ক্লাসের দিকে যাচ্ছিলাম তখনই দেখলাম ভার্সিটির মাঠে ভিড় জমেছে, কৌতূহলী হয়ে ওদিকে গিয়ে যা দেখলাম তাতে আমার মাথায় আগুন জ্বলে গেলো। মাঠের ভরা রোদের মধ্যে একটা মেয়ে কান ধরে উঠবোস করছে আর ওর থেকে একটু দুরে দাঁড়িয়ে কিছু ছেলে হাসা-হাসি করছে। আমি তো বুঝতে পারছিলাম না এসব কেনো হচ্ছে আমাদের ভার্সিটি তে আগে কোনদিন এই র‌্যাগ নামের ফালতু জিনিস হয়নি। আমি পাশের একজন স্টুডেন্ট কে জিজ্ঞেস করলাম।

মীরা– আচ্ছা এসব কখন থেকে হচ্ছে?

স্টুডেন্ট– প্রায় ৩০ মিনিট, মেয়েটা প্রথমেই যদি মেনে যেতো তাহলে এতো হাসির পাত্রী হতে হতো না আর চোখের পানি ও ঝরাতে হতো না।

মীরা– তোমরা কেমন হ্যাঁ? একটা মেয়ে এভাবে রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে কান ধরে উঠবোস করছে চোখের পানি ফেলছে আর তুমি মেয়ে হয়ে তা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছো?

স্টুডেন্টটাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে আমি গটগট করে হেঁটে ঐ ছেলেগুলোর পিছনে এসে দাঁড়ালাম। যে মেয়েটির একদম কাছে দাঁড়িয়ে আছে, আর ওর কান ধরে উঠবোস করা কাউন্ট করছে তার দিকে এগিয়ে গেলাম, আর ওকে ধাক্কা মেরে দিলাম। ছেলেটা হুমড়ি খেয়ে এগিয়ে গেলো আর আমি মেয়েটা কে ধরে তুললাম। মেয়েটা ঠিক করে দাঁড়াতেও পারছে না। ছেলেটি বলল।

ছেলেটি– হু দ্য হেল আর ইউ? তুমি জানো আমি কে? সাহস কি করে হলো আমাকে ধাক্কা মারার? তোমাকে তো আমি!!

মীরা– এক পা ও এগোবেন না। আমি এই ভার্সিটির একজন স্টুডেন্ট, আপনি কে তা না জানলেও আমার চলবে, আর বাকি রইলো সাহস!! সেটা আমার বরাবরই বেশি। আপনি কি ভেবেছেন আপনি যা ইচ্ছে তাই করবেন, সবার সামনে একটা মেয়ে জে এভাবে হ্যারাস করবেন আর কেউ প্রতিবাদ করবে না?

ছেলেটি– হেই লিসেন মিস.ওয়াট এভার, আমার কাজে প্রতিবাদ করতে এসো না, পরিণাম খুব খারাপ হবে। আমার ক্ষমতা তুমি জানো না, জাস্ট এক ঘন্টার মধ্যে আমি তোমাকে এই ভার্সিটি থেকে বের করে দিতে পারি।

মীরা– আপনার যে কতো ক্ষমতা তা তো দেখতেই পেলাম, একটা নিউ ফ্রেসার কে এভাবে সবার সামনে র‌্যাগ করে হ্যারাস করে নিজের ক্ষমতা দেখাচ্ছেন।

ছেলেটি– ইউ জাস্ট ক্রস ইউর লিমিট, আমি তোমাকে…!!

ছেলেটি আমার দিকে এগিয়ে আসছিল তখনই আমাদের মাঝখানে একজন এসে দাঁড়ালো, আমি তার পিছন টা দেখতে পাচ্ছি, পুরো একজন জেন্টলম্যান টাইপ অফ। আমি তো অবাক হয়ে গেলাম তারপর মনে হলো হয়তো এই ছেলেটার কোনো চেনা পরিচিত।

ছেলেটি– ভাই তুমি?

লোকটি– হ্যাঁ আমি। কি হয়েছে? এতো ভিড় কেনো এখানে? আর তুই কি করতে যা…।

কথাটা বলতে গিয়ে তিনি থেমে গেলেন আর আমার দিকে ফিরলেন, ব্ল্যাক ডেনিম জিন্স পারপেল কালারের শার্ট (ইন করা নেই) চোখে ব্রাউন শেডের সানগ্লাস ডান হাতে ব্রেসলেট, পায়ে ওয়াইট স্নিকার্স, আমার দিকে ফিরে সানগ্লাস টা খুলতেই আমি একটা ক্রাস খেলাম, এতক্ষণ ড্রেস আপ দেখে খাচ্ছিলাম আর এখন স্টাইল আর লূক। কিন্তু ঐ ছেলেটার ভাই কথাটা মনে পরতেই মাথাটা আবার গরম হয়ে গেলো, উনি আমায় জিজ্ঞেস করলেন।

লোকটি– কি হয়েছে এখানে?

মীরা– সেটা আপনার ভাই কে জিজ্ঞেস করুন, সে ভালো বলতে পারবে।

লোকটি– আমি তার কাছেই জিজ্ঞেস করেছি যে ভালো বলতে পারবে। আপনাকে সেটা শিখাতে হবে না।

মীরা– ঠিকই বলেছেন, আমাকে কিছু শেখাতে হবে না, শেখাতে তো হবে আপনার ভাই কে।

লোকটি– কি শেখাতে হবে তোকে? (ছেলেটির দিকে তাকিয়ে)

মীরা– ভদ্রতা, মেয়েদের সন্মান করা, সবার সামনে একটা মেয়েকে কান ধরে উঠবোস করানো টা কোথাকার ভদ্রতা হ্যাঁ?

লোকটি– এটা সত্যি অর্নিল? (ছেলেটি কে উদ্দেশ্য করে)

অর্নিল– ভাই আমি জাস্ট মেয়েটাকে র‌্যাগ দিয়েছিলাম যে আমার ফ্রেন্ড কে প্রপোস করতে হবে ও মানেনি তাই শাস্তি পেয়েছে।

মীরা– বাহ! অসাধারণ! চেনা নেই জানা নেই একটা অচেনা ছেলে কে প্রপোস করতে বলে দিলেন? কোনো ভদ্র ঘরের মেয়েই এসবে রাজি হবে না। একবার ভেবে দেখুন তো আপনার বোন কে যদি কেউ এটা বলতো?

লোকটি– বোন ভাবেনি তাই তো র‌্যাগ দিয়েছে। বোন ভাবলে এমনটা করত না।

মীরা– তো আপনি ব্যাপার টা সমর্থন করছেন? করবেন নাই বা কেনো যেমন ভাই তার তেমনি দাদা।

__মীরা চুপ কর কি সব বলছিস (পিছন থেকে)

মীরা– যা বলছি ঠিকই বলছি, ভুল কি বলেছি?

লোকটি– কি ঠিক বলেছেন আপনি?

মীরা– আপনার ভাই যেমন অভদ্র তেমন আপনি ও অভদ্র এটাই বলেছি আমি।

__মীরা প্লিজ তু …..(থামিয়ে দিলো লোকটি হাত দিয়ে)

লোকটি– আমি অভদ্র কি করে বুঝলেন?

মীরা– আপনার ভাই অভদ্রতা অসভ্যতা করছে আর আপনি সেটা কে সাপোর্ট করলেন। অন্যায় টাকে যে সাপোর্ট করে সেও সমান অপরাধী এটা জানেন?

লোকটি– আমি অন্যায় সাপোর্ট কখন করলাম? আমি জাস্ট বললাম বোন ভাবেনি তাই র‌্যাগ দিয়েছে, অ্যাস আ সিনিয়র। ভুল করেছে। বাট আপনার মতে সবাই কে যদি নিজের বোন হিসাবে দেখে তাহলে বউ বানাবে কাকে?

মীরা– আপনি আপনার ভাই কে ভুলের শাস্তি না দিয়ে এসব আজে বাজে কথা কেনো বলছে একটু বলবেন?

লোকটি– কারণ আপনার কথাটা আমি মানতে পারিনি, সব মেয়েকে নিজের বোন মানা জাস্ট ইমপসিবল। যেমন আমি আপনাকে বোনের চোখে দেখছি না (বাঁকা হেসে আমাকে পা থেকে মাথা পর্যন্ত স্ক্যান করে)

ছেলেটি (অর্নিল)– তো ভাই তুমি কি চোখে দেখছো?

লোকটি– কি চোখে আবার যেই বোন বাদে যেই নজরে দেখা যায় নিজের ব…

কথাটা বলার আগেই সজোরে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দিলাম লোকটির গালে, প্রথমে ওনার ভাই মেয়েটাকে এভাবে হ্যারাস করলো আর এখন লোকটি আমায় নিজের..ছিহঃ!

মীরা– আজ যে এই মেয়েটি কাঁদছে নিজের চোখের পানি ফেলছে, এই চোখের পানির মূল্য আপনি বা আপনার ভাই কেউ দিতে পারবে না বুঝলেন, আর আমি যেটা এখন আপনার সাথে করলাম এটা আপনার ভাইয়ের সাথে করা উচিত ছিলো। সিনিয়র বলে কি মাথা কিনে নিয়েছে? শুনে রাখুন আমাদের ভার্সিটি কখনো এসব প্রশ্রয় দেয়নি আর না দেবে। আমি এক্ষুনি প্রিন্সিপ্যাল কে সব টা জানাবো।

কথাগুলো বলেই ওখান থেকে চলে এলাম, থাপ্পড় টা মারার পর ওনার ভাই আমার দিকে তেরে আসলেও উনি আটকে দিয়েছিলেন আর বাকি কথাগুলো মাথা নীচু করেই শুনেছেন। আমি ওখান থেকে প্রিন্সিপ্যাল এর রূমের দিকে যাচ্ছিলাম তখনই আমার বান্ধবীরা আমার হাত টেনে ধরে আমাকে কোনো কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে বললো।

রিয়া– অনেক কিছু করে ফেলেছিস এবার থাম।

পায়েল– নিজের এতটা সর্বনাশ করে শান্তি হয়নি তোর? এখন সাড়ে সর্বনাশ করতে চলেছিস?

সুমাইয়া– আজ তুই যাকে অপমান করেছিস থাপ্পড় মেরেছিস সে এই ভার্সিটির নিউ ট্রাস্টি।

রিয়া– আমাদের প্রিন্সিপ্যাল এর সব থেকে প্রিয় স্টুডেন্ট।

পায়েল– আর যে র‌্যাগ দিয়েছিল সে ওনার ভাই, অর্নিল!

সুমাইয়া– এই কারণেই কেউ কিছু বলছিল না, আর অর্নিল বলেছিল তোকে ১ ঘন্টার মধ্যে ভার্সিটি থেকে বার করে দিতে পারে।

মীরা– এখন কি তাহলে সেটাই করবে?

রিয়া– ছেড়ে দেবে ভেবেছিস?

এখন ……………………….

মীরা– আমি তো জানতাম না যে উনি ট্রাস্টি তাই তো..

পায়েল– থাপ্পড় মেরে বসলি।

মীরা– উনি অমন কথা বলবে কেনো?

সুমাইয়া– আরেহ তোর ভাগ্য ভালো উনি তোকে বোন ভাবেননি। তুই জানিস উনি কে?

রিয়া– বিসনেস টাইকুন মিস্টার আমান খান। ফ্যাশন কোম্পানি #AK_Group_Of_Company র ওনার। যেখানে কাজ করার স্বপ্ন হাজারো মেয়ের। তুই ও তো চেয়েছিলি একজন ভালো ফ্যাশন ডিজাইনার হতে।

__যা আজ নিজের হাতে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছিস তুই মীরা।

আমরা সবাই পিছনে তাকিয়ে দেখলাম আমার ফুপির মেয়ে নীতা দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে, ও আমার সামনে এসে বললো।

নীতা– খুব ভালো করেছিস মীরা। তুই জানিস উনি কেনো এসেছিলেন? মেয়েদের সিলেক্ট করতে, ৫ টা মেয়েকে উনি সিলেক্ট করবেন ডিজাইন দেখে, তারপর ওনার কোম্পানি তে চান্স দেবে ইন্টারশিপের। ইন্টারশিপের রেজাল্ট ভালো করলেই ওনার কোম্পানি তে কাজ করার সুবর্ণ সুযোগ। কোন খরচ ছাড়াই এতো ভালো একটা জায়গায় জব তুই হাতছাড়া করলি। হা হা হা হা।

নীতা হাসতে হাসতে চলে গেলো আর আমি ধপ করে বেঞ্চে বসে পড়লাম, মনে মনে ভাবতে লাগলাম যা কপালে আছে তা হবে, আমি তো কোনো ভুল করিনি তাহলে কেনো ভয় পাচ্ছি? আমি আর কাঁদব না, এখন সব আল্লাহর হাতে।

__মীরা কে প্রিন্সিপ্যালের রুমে ডাকা হয়েছে (একজন খবর দিলো)

আমি আর কিছু না ভেবে উঠে নিজের চোখের পানি মুছে হাঁটা ধরলাম প্রিন্সিপ্যালের রূমের দিকে। গিয়ে বললাম।

মীরা– মে আই কাম ইন স্যার?

প্রিন্সি– ইয়েস কাম ইন।

রুমে প্রবেশ করে দেখলাম উনি দু পকেটে হাত গুঁজে ফুল এটিটিউডে দাঁড়িয়ে আছেন, অন্যদিকে ওনার ভাই অর্নিল মাথা নীচু করে দাঁড়িয়ে আছে, আমি কিছু না বলে মাথা নীচু করে দাঁড়ালাম আর প্রিন্সিপ্যাল বলতে লাগলেন।

প্রিন্সিপ্যাল– আমার ভাবতেও অবাক লাগছে তুমি এই কাজ টা করেছো মীরা! কি করে পারলে তুমি এভাবে আমাদের ভার্সিটির ট্রাস্টি কে সবার সামনে থাপ্পড় মারতে, অপমান করতে? তুমি ওনাকে জ্ঞান দিচ্ছিলে ভদ্রতার আর নিজে কি করলে? এতটা অভদ্র তু…

আমান– এক্সকিউজ মি স্যার! আমি বাধ্য হচ্ছে একটা কথা বলতে আপনি আপনার লিমিট ক্রস করছেন। আমি জানি মেয়েটি আমায় অপমান করেছে, কিন্তু তার রাগ করার যথেষ্ট কারণ আছে, আমিও খুব ভদ্র ভাবে যে কথা বলেছি তা নয়, আর আমার ভাই তো…(অর্নিলের দিকে তাকিয়ে) ও যা করেছে তা আমার সাথে করেছে আপনার সাথে নয়। তাই আপনি এভাবে ওকে অপমান করতে পারেন না। (অনেকটা রেগে)

ওনার ব্যাবহারে আমি অবাক, প্রিন্সিপ্যাল এর কথায় আমার চোখে পানি পড়ছিল কারণ উনি আমায় খুব ভালবাসতেন আজ উনি এমন ভাবে বলবেন আমি ভাবতে পারিনি। কিন্তু যাকে এভাবে সবার সামনে অপমান করলাম সে কেনো আমার হয়ে কথা বলছে?

আমান– ওকে যা বলার আমি বলবো।

কথাটা বলে উনি আমার সামনে এলেন, আর জিজ্ঞেস করলেন।

আমান– নাম কি তোমার? তুমি করে বললাম কারণ বয়সে আমি তোমার বড়ো, এতে আবার অভদ্র বলো না।

মীরা– ম..মীরা চৌধুরি।

আমান– ওকেই। স্যার! (প্রিন্সিপ্যাল কে উদ্দেশ্য করে)

প্রিন্সিপ্যাল– বলো আমান!

আমান– এই মেয়েটা আই মিন মীরা চৌধুরি আর এই কলেজে পরবে না।

[#ফিরে_আসবো_আগামি_পর্বে 🥀]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here