#উধয়রনী
#লেখিকা_সামিয়া_বিনতে_হামিদ
||পর্ব-৪২(২য় ভাগ)||
৮৬।
আহি মলিন মুখে দাঁড়িয়ে আছে। আর তাজওয়ার আহির কোমড় জড়িয়ে রেখেছে। আহি কিছুক্ষণ পর পর বিরক্ত হয়ে তাজওয়ারের দিকে তাকাচ্ছে। কিন্তু তাজওয়ার এসবে পাত্তা দিচ্ছে না। সে তার মতোই আহির গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে। এদিকে উজ্জ্বলের মা মিসেস আমিনা আহিকে খুব পছন্দ করেছিলেন। কিন্তু বিয়ে বাড়িতে এসে তাজওয়ার আর আহিকে একসাথে দেখে তিনি দমে গেলেন৷ অন্যদিকে উজ্জ্বল গম্ভীর দৃষ্টিতে আহির দিকে তাকিয়ে আছে। উজ্জ্বল বেশ বুঝতে পারছে, আহি তাজওয়ারের এমন ব্যবহারে অস্বস্তিবোধ করছে। কিন্তু তাজওয়ারকে সরিয়ে দেওয়ার মতো কোনো অধিকার তার নেই। এদিকে রাদেরও ভীষণ রাগ হচ্ছে। অথচ সে কিছুই করতে পারবে না। এই মুহূর্তে কারো কাছে আহির অস্থিরতা কমানোর কোনো সমাধান নেই। আহি নিজেই কয়েক বার তাজওয়ারের কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে দূরে এসে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু ঘুরেফিরে তাজওয়ার তার কাছে এসে দাঁড়ায়। আহি এবার বিরক্ত হয়েই বলল,
“কেন এমন করছো?”
তাজওয়ার বাঁকা হেসে বলল,
“সবাইকে জানাচ্ছি, তুমি আমার কে হও!”
“এখানে কেউ এসব দেখতে আগ্রহী নয়।”
“বেশ বিরক্ত হচ্ছো, মনে হচ্ছে! তার মানে এতোদিন সত্যিই সব অভিনয় ছিল? আমাকে ফাঁসানোর জন্য এমন করেছো?”
আহি তাজওয়ারের প্রশ্নের কোনো উত্তর না দিয়ে আবার দূরে গিয়ে দাঁড়ালো। তাজওয়ার আবারও আহির পাশে গিয়ে দাঁড়াতেই পদ্ম সেখানে উপস্থিত হলো। সে আহির হাত ধরে তাকে টেনে নিয়ে গেলো। তাজওয়ার পিছু পিছু আসতে চায়লে পুষ্প তাকে বাঁধা দিয়ে বলল,
“ভাইয়া, অন্তত আজকের জন্য আপনার মিসেসকে আমাদের সাথে থাকতে দিন। আমরা নতুন দুলাভাইয়ের খাতিরযত্ন করার কিছু প্ল্যান করছি। আপনার বারেও কিন্তু করবো।”
তাজওয়ার হালকা হেসে বলল, “হ্যাঁ অবশ্যই।”
কিন্তু মনে মনে বেশ বিরক্ত হলো সে। তারা যে ইচ্ছে করে আহিকে তার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে, তা বেশ বুঝতে পারছে তাজওয়ার।
(***)
আহি পদ্মের সাথে একপাশে এসে দাঁড়ালো। পদ্ম বলল,
“কি হচ্ছে এসব, আহি?”
আহি ভ্রূ কুঁচকে বললো, “কি হয়েছে?”
“আমি আর আফিফ ছাড়াও বিয়েতে অনেক দম্পতি এসেছে। আর তোর সাথে মিস্টার তাজওয়ার খানের বিয়েই হয় নি। এভাবে জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে থাকাটা কতোটা বাজে দেখাচ্ছে, জানিস? এটা একটা ফ্যামিলি প্রোগ্রাম। তাও আবার লিনাশার বান্ধবী তুই। ওর আত্মীয়রা কী ভাববে?”
“এখানে আমার কি দোষ? আমি তাজওয়ারকে আনতে চাই নি। ও নিজেই এসেছে।”
“আমার উনাকে সুবিধার মনে হচ্ছে না।”
“সুবিধার মানুষও না।”
তাদের কথার মাঝখানে আফিফ এসে দাঁড়ালো। আহি একনজর তার দিকে তাকালো৷ আফিফ পদ্মকে উদ্দেশ্য করে বলল,
“এখন বাসায় চলো। দেরী হয়ে যাচ্ছে। রাতও অনেক হয়েছে৷”
পদ্ম আহির হাত ধরে বলল,
“চল তোকে নামিয়ে দিয়ে আসি।”
আহি পেছন ফিরে দেখলো তাজওয়ার তার দিকে ভ্রূ কুঁচকে তাকিয়ে আছে। আফিফও আহির দৃষ্টি অনুসরণ করে সেদিকে তাকালো। তাজওয়ারের দৃষ্টি আরো ভয়ংকর হয়ে উঠলো। আফিফের রাগ উঠলো খুব। মানুষটা তাকে দিনদিন কোনঠাসা করে রাখছে।
আজ অজানা কারণেই আফিফের মেজাজ বেশ খিটখিটে হয়ে আছে। সে পদ্মের হাত ধরে তাকে টেনে নিয়ে এলো নিজের কাছে। পদ্ম বলল,
“কি হয়েছে আপনার?”
“বাসায় চলো, প্লিজ। ভালো লাগছে না আমার।”
“হঠাৎ!”
আফিফ গম্ভীরমুখে বলল, “চলো, পদ্ম।”
পদ্ম বলল,
“আচ্ছা, একটু পর লিনাশাকে বিদায় দিয়ে দেবে। তারপর চলে যাবো।”
এদিকে লিনাশার বিদায় পর্ব শেষ হতেই তাজওয়ার আহির হাত ধরে তাকে গাড়িতে উঠালো। রাদ আর লাবীব ভ্রূ কুঁচকে তাদের দিকে তাকিয়ে আছে। রাদ তাজওয়ারকে আটকানোর জন্য তাদের গাড়ির কাছে এসে বলল,
“আহি তুই না আমার সাথে যাবি?”
তাজওয়ার ভ্রূ কুঁচকে বলল, “আহি আমার সাথে যাচ্ছে।”
কথাটি বলেই গ্লাস টেনে দিলো তাজওয়ার। আহি বিরক্তমুখে বলল,
“তোমার এমন অদ্ভুত আচরণের কারণ কি?”
তাজওয়ার গাড়ি ঘুরিয়ে কমিউনিটি সেন্টারের বাইরে চলে এলো। আহি বলল,
“সমস্যা কি?”
তাজওয়ার কিছুদূর এসে গাড়ি থামিয়ে আহির চুল টেনে ধরে তার ওষ্ঠদ্বয় কামড়ে ধরলো। আকস্মিক এমন আক্রমণে আহি থতমত খেয়ে গেলো। সে তাজওয়ারকে ছাড়ানোর জন্য তাকে ধাক্কা দিতেই তাজওয়ার আহির গলা চেপে ধরে বলল,
“তুই আমার সাথে অভিনয় করেছিলি? আমার ভালোবাসা তোর কাছে মশকারা ছিল?”
আহির ভীষণ রাগ উঠলো। সে সশব্দে তাজওয়ারের গালে চড় বসিয়ে দিয়ে গাড়ির দরজা খোলার চেষ্টা করতে লাগলো। তাজওয়ারের রাগ যেন আরো বেড়ে গেলো। সে আহির লেহেঙ্গার ব্লাউজটা পেছন দিক দিয়ে টেনে ধরতেই পেছনের বোতামগুলো ছিঁড়ে গেলো। আহি বুঝতে পেরে সাথে সাথেই উড়না দিয়ে নিজেকে ঢেকে নিয়ে বলল,
“তুমি আমার সাথে উল্টাপাল্টা কিছু করবে না, বলছি।”
তাজওয়ার আহির কাছে এসে বলল,
“তুই তো আমাকে বিয়ে করবি না। এখন তোকে বাধ্য করাও তো সম্ভব না। এই মুহূর্তে একটাই উপায় আছে। বিয়ের আগেই তোকে ধর্ষণ করবো।”
আহি চোখ-মুখ কুঁচকে বলল, “ছি!”
তাজওয়ার আহির গাল চেপে ধরে বলল,
“ছি! আমাকে ছি করছিস? আর ওই আফিফ যখন তোকে স্পর্শ করে, ওটা কি তোর খুব ভালো লাগে?”
“পাগল তুমি? ল্যাঙ্গুয়েজ ঠিক করো তোমার। ও আমাকে কখন স্পর্শ করলো?”
“একটু আগে কি করছিলি তোরা?”
“ও পদ্মের সাথে কথা বলতে এসেছে। পদ্মকে নিয়ে যাওয়ার কথা বলছিল।”
“আচ্ছা? স্টেজে উঠে যখন ছবি উঠাচ্ছিলি, ও তোর হাত ধরলো কেন?”
আহি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,
“আ’র ইউ ক্রেজি? তাজওয়ার, তুমি কি অন্ধ? ও আমার হাত ধরেছো দেখেছো। কিন্তু কেন ধরেছে বুঝো নি? লেহেঙ্গা ভারী ছিল আমার। কার্পেটে হিল আঁটকে ব্যালান্স হারিয়ে ফেলেছিলাম, তাই ও আমাকে জাস্ট নিচে পড়া থেকে বাঁচিয়েছে।”
“আর ও স্পর্শ করলো, তোরও ভালো লাগলো।”
“কি বলছো এসব?”
“তোর চোখে-মুখে ভালো লাগা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিলো। ওকে এখনো ভালোবাসিস, তাই না?”
আহি স্তব্ধ হয়ে গেলো। তাজওয়ার বলল,
“আই হেইট হিম। ও আমার ভালোবাসা কেঁড়ে নিয়েছে।”
তাজওয়ার চিৎকার করে উঠলো। বার কয়েক গাড়ির স্টিয়ারিংয়ের উপর ঘুষি মারলো। আহি সুযোগ পেয়ে গাড়ির দরজা খুলে নেমে পড়লো। আহি নেমে যেতেই তাজওয়ারও নেমে পড়লো। আহি তার হিলগুলো খুলে উলটো দিকে দৌঁড়াতে লাগলো। তাজওয়ার গাড়িতে হেলান দিয়ে শব্দ করে হাসছে। আহি একবারো পিছু ফিরে দেখে নি।
(***)
অনেক দূর দৌঁড়ে এসে আহি হাঁপাতে লাগলো। পেছন ফিরে দেখলো তাজওয়ার তার পিছু আসে নি। ব্যাগ, ফোন সব গাড়িতেই ফেলে এসেছে। কাউকে যে ফোন করে সাহায্য নেবে সেই সুযোগটাও নেই। এই মুহূর্তে ভীষণ কান্না পাচ্ছে তার। ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো সে। কোনোভাবে হাত হাতিয়ে ব্লাউজের পেছনের বোতামগুলো লাগানোর চেষ্টা করলো। কিন্তু লাভ হলো না। উড়নাটা দু’ভাজ করে এবার গায়ে জড়িয়ে নিলো সে। ভাগ্যটাই তার নির্মম। প্রতিবার বান্ধবীর বিয়েতেই তার সাথে ভয়ংকর কিছু ঘটে। পদ্মের বিয়েতেও অন্ধকার রাস্তায় অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে ছিল। আজও এমন পরিস্থিতিতে পড়েছে। আহি বিড়বিড় করে বলতে লাগলো,
“আমি অশুভ। আমিই অশুভ। আমার মরে যাওয়া উচিত। আমার অসহ্য লাগছে এসব। আর ভালো লাগছে না আমার। আমি পারবো না আর এসব সহ্য করতে।”
হঠাৎ একটা সিএনজি সেই রাস্তা দিয়ে আসতে লাগলো। আহি তা দেখে ভয় পেয়ে গেলো। সে কয়েক পা পিছিয়ে যেতেই সিএনজিটা থেমে গেলো। আহি আরো ভয় পেয়ে গেলো। সে উলটো দিকে ফিরে আবার দৌঁড়াতে যাবে তখনই পদ্মের কন্ঠ শুনে থমকে দাঁড়ালো। পদ্ম সিএনজি থেকে নেমে আহির দিকে দৌঁড়ে এলো। আর আহি পদ্মকে দেখে তাকে ঝাপটে ধরে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো। আফিফও সিএনজি থেকে নেমে এলো। অবাক কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো,
“তুমি এখানে?”
আহি ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে বলল,
“তাজওয়ার আমার সাথে বাজে ব্যবহার করছিল। তাই আমি পালিয়ে এসেছি।”
এই কথা শুনে আফিফের হাত মুঠো হয়ে এলো। পদ্ম বলল,
“তুই চল, আমাদের সাথে চল।”
আফিফ ভ্রূ কুঁচকে বলল,
“ওকে ওর বাসায় নামিয়ে দিয়ে আসি।”
পদ্ম বলল,
“না, ওই বাসা ওর জন্য নিরাপদ নয়। কয়েকদিন আহি আমাদের সাথেই থাকুক।”
আহি বলল,
“আমাকে মায়ের বাসায় নামিয়ে দিলেই হবে।”
“আন্টি তোকে এই অবস্থায় দেখে চিন্তায় অস্থির হয়ে যাবেন। বেশি কথা বলিস না তো। চল, আমাদের সাথে।”
পদ্ম আহিকে জোর করে সিএনজিতে বসালো। আহি এখনো ঘোরের মধ্যে আছে। মনে হচ্ছে এক্ষুণি তাজওয়ার তাকে টেনে নিয়ে যাবে। সে পদ্মের হাত শক্ত করে ধরে রেখেছে। আফিফ তা দেখে বলল,
“তুমি চাইলে ওর বিরুদ্ধে কেইস করতে পারো।”
আহি ভেজা চোখে আফিফের দিকে তাকালো আর বলল,
“ওর বিরুদ্ধে কেইস করে কি হবে। ঠিকই কয়েকদিনের মধ্যে বের হয়ে যাবে। কেইস করার জন্য শক্ত প্রমাণ লাগবে, যা আমার কাছে নেই।”
আফিফ কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বলল,
“আমি চাইলে তোমাকে সাহায্য করতে পারবো।”
“কীভাবে?”
“আমি তো এখন তাজওয়ারের পিএ। ওর অনেক তথ্য আমার কাছে আছে। যদিও সরাসরি আমার হাতে নেই। কিন্তু আমি জোগাড় করতে পারবো।”
পদ্ম বলল,
“এরপর কি হবে? এসব দিয়ে কি তাজওয়ার খানকে ফাঁসানো যাবে?”
“খুব সেনসিটিভ কেইস। একবার ধরা খেলে দেশে থাকতে পারবে না। দুর্নীতি মামলায় কয়েক বছরের জেল হবে।”
আফিফ এবার মনে মনে বলল,
“এই শাস্তি তাজওয়ার খানের জন্য কিছুই না। তাজওয়ারকে এর চেয়ে ভভয়ংকর শাস্তি পেতে হবে। তখনই মনকে বোঝাতে পারবো, আমার আপা ন্যায়বিচার পেয়েছে।”
(***)
পদ্ম আহিকে বাসায় নিয়ে এলো। আফিফা বেগম দরজা খুলে আহিকে দেখে ভ্রূ কুঁচকে বললেন,
“কে এই মেয়ে?”
পদ্ম বলল, “মা আমার বান্ধবী।”
আহি আফিফা বেগমকে সালাম দিয়ে ভেতরে ঢুকলো। পদ্ম আহিকে ভেতরে নিয়ে যেতেই আফিফা বেগম ছেলেকে জিজ্ঞেস করলেন,
“কিছু হয়েছে?”
“মেয়েটা বিপদে পড়েছে। আজ রাতে এখানে থাকবে।”
“ওহ আচ্ছা।”
পদ্ম আহিকে নিয়ে তাদের রুমে চলে এলো। এরপর আহিকে খাটে বসিয়ে দিয়ে বলল,
“আমি তোর জন্য বিছানা করে দিচ্ছি। পাশে একটা ছোট রুম আছে। রেনু আসলে ওখানে থাকে। অনেকদিন আসে না তাই বিছানা গুটিয়ে রেখেছি। তুই এখানে বয়।”
পদ্ম চলে যেতেই আহি এদিক-ওদিক তাকাতে লাগলো। রুমে একটা খাট। পাশে ছোট একটা টেবিল। টেবিলের উপর আফিফের হাতঘড়ি আর রুমাল। আহি বুঝলো এটা আফিফ আর পদ্মের বেডরুম। সে বিছানা ছেড়ে উঠে পাশের চেয়ারটা টেনে বসতে যাবে তখনই তার চোখ আটকে গেলো দেয়ালে বাঁধানো বড় ফ্রেমটিতে। আহি ধীর পায়ে সেই ফ্রেমটির দিকে এগিয়ে গেলো। তখনই রুমে আফিফ ঢুকলো। আহিকে দেখে আফিফ ভ্রূ কুঁচকে বলল,
“তুমি এখানে?”
আহি কাঁপা কন্ঠে বললো,
“পদ্ম আমাকে এখানে বসিয়ে দিয়ে রুম ঠিক করতে গেছে।”
আফিফ এবার দেয়ালে লাগানো ছবিটির দিকে তাকালো। আহিও আফিফের দৃষ্টি অনুসরণ করলো। আহি কিছু জিজ্ঞেস করতে যাবে, তার আগেই আফিফ বলল,
“এটা আমার প্রথম এচিভমেন্ট। তাই দেয়ালে লাগিয়েছি। অন্য কিছু না।”
কথাটি বলেই আফিফ বের হয়ে গেলো। আহির চোখ ছলছল করে উঠলো। সে ঝাপসা চোখে আবার সেই ছবিটির দিকে তাকালো। এক্সিভিশনের জন্য আফিফের আঁকা আহির সেই ছবিটি আফিফ আর পদ্মের বেডরুমের দেয়ালে ঝুলানো দেখে বেশ অবাক হয়েছিল আহি। কিন্তু খারাপ লাগছে আফিফ আর পদ্মের ব্যবহৃত জিনিসপত্র দেখে। আলনায় পাশাপাশি পদ্মের শাড়ি, উড়না আর আফিফের শার্ট ঝুলছে। এটাকেই তো সংসার বলে। তার মানুষটা সংসার করছে তার প্রিয় বান্ধবীর সাথে। আর আহি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তাদের গোছানো সংসার দেখছে। এই দিনটিও হয়তো তার দেখার ছিল।
চলবে-