#যার_কথা_ভাসে_মেঘলা_বাতাসে
#পর্ব_৫
#তাসমিয়া_তাসনিন_প্রিয়া
(কঠোরভাবে প্রাপ্ত বয়স্কদের ও মুক্তমনাদের জন্য উন্মুক্ত)
মাঘ মাস শেষের দিকে ফাল্গুন আসার আগ মুহুর্ত। দক্ষিণা বাতাস বইছে আজকাল। শীতও কমে গেছে কিছুটা। সারাদিন কাজকর্ম করে বাসায় ফিরে খেয়েদেয়ে বিছানায় শুয়ে আছে প্রহর। ঘড়িতে রাত বারোটা বেজে দশ মিনিট এখন। গত কয়েকদিন ধরে ঐশী নামে একটা মেয়ের সাথে মেসেঞ্জারে কথা হয় প্রহরের। একটা ফেইসবুক গ্রুপ থেকে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে কথা হয় প্রথম। সেখান থেকেই ইনবক্সে আসা দুজনের। কথা বলতে ইদানিং ভালোই লাগে প্রহরের। নিজেকে ঠিক বুঝতে পারে না সে। ঐশীর প্রতি এই ভালোলাগার কারণ কী? কন্ঠর প্রতি অনুভূতি ক্রমশ ফিকে হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রহর বারবার নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। ঐশীর সাথে কেবল বন্ধুত্বের সম্পর্কে থাকতে চাইলেও ধীরে ধীরে অনুভূতি গাঢ় হচ্ছে। একজনকে ভালোবাসা স্বত্বেও অন্য জনের প্রতি এরকম অনুভূতি জন্মানোর কারণ কী? প্রহরের আকাশপাতাল ভাবনার ছেদ ঘটে ফোনের রিংটোনে। ঐশীর কল! এতো রাতে কল করেছে? কোনো বিপদ-আপদ হলো কিনা ভেবে দ্রুত কল রিসিভ করলো প্রহর।
” হ্যালো ঐশী! তুমি ঠিক আছো? ”
মুঠোফোনের অপরপ্রান্তে বসে ভুবন ভোলানো হাসি দিলো ঐশী। সেই হাসির শব্দে প্রহরের হৃদয়ে প্রশান্তি অনুভব করলো। তারমানে মেয়েটার কিছু হয়নি।
” আমার কিচ্ছু হয়নি জনাব প্রহর সাহেব। আপনি এতটা বিচলিত হবেন না। আপনাকে মিস করছিলাম। এজন্য কল দিলাম। বিরক্ত হলেন? ”
” নাহ বিরক্ত হবো কেনো? আমিও তোমার কথা ভাবছিলাম। ”
” ওয়াও! একইসময় দু’জন দু’জনার কথা ভাবছিলাম? ব্যাপারটা জোস না জনাব প্রহর? ”
” হ্যাঁ জোস তবে তোমার চেয়ে বেশি জোস না।”
” আচ্ছা। ভিডিয়ো কলে আসি? ”
” হ্যাঁ এসো।”
প্রহর ডাটা অন করে হোয়াটসঅ্যাপে গিয়ে কল করে ঐশীকে। প্রায় সাথে সাথেই কল রিসিভ করে ঐশী। দু’জন বেশ কিছুক্ষণ কথা বলে। এরমধ্যে কন্ঠ একবার কল করেছিলো কিন্তু ব্যস্ত পেয়ে আর কল করেনি মেয়েটা।
মল্লিক বাড়িতে বিনা এসেছে মাসখানেক হলো। এরমধ্যে সামাজিকভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে সমুদ্র ও বিনার। সমুদ্রর পরিবারের লোকজন ভীষণ ভালো বলেই কেউ বিনাকে কখনো তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেনি। এমনকি ইফতিও কখনো খারাপ আচরণ করেনি তার সাথে। আর করবে কেমন করে? বিনার স্থানীয় ভাষায় কথা বলা কেউ বুঝতো না। সেই সমস্যা সমাধান করার জন্য এই একমাস কন্ঠ তাকে চলিত ভাষা শিখিয়ে দিয়েছে। বিনা যথেষ্ট বুদ্ধিমতী হওয়ায় দ্রুত রপ্ত করতে পেরেছে। কিন্তু বিপত্তি বেঁধেছে অন্য জায়গায়। কথার আগে আগে বর্ণ উচ্চারণ করা বিনার একটা অভ্যাস হয়ে গেছে। সকাল হয়েছে অনেকক্ষণ। বিনা রান্নাঘরে ছিলো এতক্ষণ শায়লা মল্লিকের সাথে। বিনার শ্বাশুড়ি তাকে রান্না শেখানোর চেষ্টা করছেন। সকালের নাস্তা তৈরি করার পরে শায়লা বিনাকে সমুদ্রকে ঘুম থেকে ডাকতে পাঠায়।
” স-এ সমুদ্র স এ সাহেব ত-এ তাড়াতাড়ি ঘ-এ ঘুম থ-এ থেকে উ-এ উঠুন।”
বিনার বিদঘুটে কথাবার্তায় সকাল সকাল মেজাজ বিগড়ে গেলো সমুদ্রর। বিছানা থেকে উঠে বসে চোখ পাকিয়ে তাকিয়েছে বিনার দিকে।
” কন্ঠ কি তোমাকে এরকম আহাম্মক মার্কা কথাবার্তা শিখেয়েছে বিনা? এগুলো কীরকম ভাষা! ”
” র-এ রাগ ক-এ করবেন ন-এ না। ম-এ মা আ-এ আপনাকে ন-এ নাস্তা ক-এ করতে ড-এ ডেকেছেন।”
” তুমি এখন যাও নয়তো ম-এ মারবো তোমাকে। অসহ্য মেয়ে একটা! কোন কুক্ষণে যে গেছিলাম ঘুরতে আল্লাহ! ”
বিনা নির্বিকার হয়ে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে রইলো। সমুদ্র নিজে নিজে বকতে বকতে বাথরুমে ঢুকলো গোসল করতে। কেনো যে সমুদ্র সাহেব তার সাথে এতোটা রাগ করে ঠিক বুঝতে পারে না বিনা। ইফতি ভাইয়াও রাগী কিন্তু তা-ও তিনি বিনার সাথে রাগ করেন না। কন্ঠ আপু তো এভাবেই পড়িয়েছিলো অ-এ অজগর, আ-এ আম! তাহলে সব কথায় এরকম বললে সমস্যা কী বাপু? বিনার ছোটো মাথায় এতো কিছুর উত্তর নেই। বয়স আঠারো হলেও একেবারে পনেরো ষোলো বছরের মেয়েদের মতো আচরণ করে বিনা।
আজ প্রায় পনেরো দিন পর কলেজে এসেছে কন্ঠ। এতদিন নিজেকে ঘরবন্দী করে রেখেছিল সে। এরমধ্যে দুসপ্তাহ চলে গেছে প্রহরের সাথে দেখা করেনি কন্ঠ। কারণ তীব্র অভিমান! রাত হলেই দীর্ঘ সময় যাবৎ ওয়েটিং-এ থাকে প্রহরের নম্বর। কন্ঠ কল করেছে দেখেও সে কল ব্যাক পর্যন্ত করে না। সকালে কল করে বলে পুরনো বন্ধুর সাথে অনেকদিন পরে কথা হয়েছে বলে ছাড়তে চায়নি সে। সারারাত তাই কথা বলতে হয়েছে। একদিন, দুইদিন, তিনদিন কিন্তু এতদিন কোন ছেলে বন্ধু সারারাত কলে কথা বলবে? কন্ঠর অবচেতন মন টের পেয়েছে প্রহর আর তার নেই। দুজনের মধ্যে একটা দূরত্বও তৈরি হয়েছে। সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তি আসলে কখনোই সেই সম্পর্ক টেকে না আর না তো সেই সম্পর্ক আবারও ঠিকঠাক থাকে। মাঠের মধ্যে একা বসে আছে কন্ঠ। দু-চোখ ঝাপসা তার। প্রিয়জনের সাথে কথা বলে না থাকার যন্ত্রণা যে কতটা তীব্র সেটা ভুক্তভোগী ছাড়া কেউ বুঝবে না। এই যে অভিমান করে দু’দিন কোনো টেক্সট করেনি কন্ঠ কই প্রহর তো একটা কল পর্যন্ত করেনি! তবুও কন্ঠর হৃদয় পুড়ছে। পৃথিবীর সবকিছু কেমন বিষাদ বিষাদ লাগছে। রাত হলে ঘুম আসে না কন্ঠর। কোনো কারণ ছাড়াই ঘন্টার পর ঘন্টা নিউজফিড স্ক্রোল করে সে। কিন্তু কোনো রিয়াক্ট কিংবা কমেন্ট করে না কারো পোস্টে। রাত যখন গভীর হয় তখন ইচ্ছে করে কারো সাথে দু’মিনিট কথা বললে হয়তো তার হালকা লাগবে। কিন্তু না! পুরো চ্যাট লিস্ট ঘুরেও কারো সাথে কথা বলা আর হয় না। ফলাফল একটা নির্ঘুম রাত!
” হাই কন্ঠ! কী ব্যাপার এখানে একা একা বসে আছো?”
সিনিয়র ভাই নীলয়ের কথায় মাথা তুলে তাকায় কন্ঠ। নীলয় মাস্টার্স ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র। মাঝে মধ্যে কথা হয় কন্ঠর সাথে। কুশলাদি বিনিময়ের জন্য। কন্ঠ বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো।
” এমনি বসে আছি নীলয় ভাইয়া। আপনি কোথায় যাচ্ছেন? ”
” যাচ্ছি বলতে এমনি ঘুরছি ক্যাম্পাসে। বন্ধুরা আসার কথা। ওঁরা আসলে বের হবো ঘুরতে-টুরতে। ”
” বাহ! তাহলে ঘুরে আসুন বরং। আমি এগোচ্ছি বাড়ির দিকে।”
” ঠিক আছে, সাবধানে যেও টাটা।”
” টাটা।”
নীলয়কে পিছনে ফেলে কলেজের গেইটের দিকে এগিয়ে যায় কন্ঠ। আজকে অনিমা আর অর্ষাও আসেনি ক্লাসে। অর্ষা সম্ভবত আবরিশামের সাথে ঘুরতে গেছে। অনিমার কথা জানে না কন্ঠ। নিজে অশান্তিতে থাকলে অন্যের খোঁজ নেওয়ার খেয়াল থাকে না। গেইটের সামনে যেতেই চমকালো কন্ঠ। প্রহর দাঁড়িয়ে আছে গাড়ি নিয়ে। হাতে কিছু গোলাপ আর চকলেটের বাক্স। মনে মনে আনন্দের ঠেউ বয়ে যাচ্ছে কন্ঠর কিন্তু সেটা প্রকাশ না করার চেষ্টা করলো সে। কন্ঠকে দেখে প্রহর নিজেই এগিয়ে এলো সামনের দিকে।
” গাড়িতে উঠে বসো কন্ঠ। এখানে দাঁড়িয়ে কথা বললে তোমার বাসার লোকজনের কানে যেতে পারে বিষয়টা।”
কন্ঠ কিছু বলতে চাইলেও আর বললো না। সত্যি এখানে দাঁড়িয়ে কথা বললে ঠিক কেউ না কেউ ইফতি ভাইয়ার কানে কথাটা পৌঁছে দিবে। তাই চুপচাপ প্রহরের সাথে গাড়িতে উঠে বসলো কন্ঠ। কিন্তু সামনের সিটে না বসে পেছনের সিটে বসলো। প্রহর কিছু বললো না। গাড়ি চলছে সাই সাই করে। প্রায় পনেরো মিনিট পরে গাড়ি থামালো প্রহর। কন্ঠ এতক্ষণেও কোনো টুঁশব্দ করেনি। কিন্তু গাড়ি থামাতেই গাড়ি থেকে বের হওয়ার জন্য উদ্যোত হতেই প্রহর সামনে থেকেই কন্ঠর কোমরে দুহাত দিয়ে একপ্রকার টেনেটুনে সামনের সিটে নিয়ে আসে। কন্ঠর মেজাজ খারাপ হয়ে গেছে। প্রহর আর কালক্ষেপণ না করে আবারও গাড়িতে স্টার্ট দেয়।
” এটা কী হলো প্রহর? এভাবে টেনেটুনে সামনে বসালে কেনো?”
” আমি কি তোমার গাড়ির ড্রাইভার কন্ঠ? মালকিন পেছনে বসে আর ড্রাইভার সামনে সেই রকম?”
” সেটা কখন বললাম আমি। তুমি আমাকে নামিয়ে দাও। আমি বাড়ি যাবো।”
” চকলেট খাবা না? ফুল নিব না?”
” দরকার নেই। যার সাথে রাতের পর রাত ওয়েটিং-এ থাকো তাকেই দিও এগুলো। ”
হুট করে গাড়ি থামানো তে নড়েচড়ে উঠলো কন্ঠ। আশেপাশে তাকিয়ে দেখলো একেবারে নিরিবিলি একটা রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়েছে প্রহর। কন্ঠ গাড়ির দরজা খুলতে গেলে গাড়রি দরজা লক করা আবিষ্কার করে।
” আমি জানি তুমি বের হয়ে যেতে চাইবে এজন্য আগেই সামনের দরজা ভেতর থেকে লক করেছি। এতো অভিমান করলে হয় কন্ঠ? তুমি তো অবুঝ নও। যথেষ্ট বোঝার মতো বয়স হয়েছে তোমার। আমি যদি অন্য কোথাও ব্যস্ত থাকি তোমার কাজ আমাকে বোঝানো। তোমার এই পাগলামি, ছেলেমানুষীর জন্য বিরক্ত হই আমি। আর সেই বিরক্তি থেকেই এসব।”
” বিরক্ত! তাহলে এলে কেনো আবার আমার কাছে? আমি তো তোমাকে আসতে বলিনি।”
” আবারও সেই অভিমান! কন্ঠ আজকে বৃহস্পতিবার, সপ্তাহের শেষ দিন কত কাজ থাকে আমার। তবুও তোমার জন্য কাজকর্ম ফেলে এসেছি। রাগ করে থেকো না আর। তুমি আমার অভ্যাস। দু’দিন ধরে সকালে কল দিয়ে ঘুম থেকে জাগিয়ে দিলে না কেনো?”
” উত্তর তোমার কাছে আছে প্রহর।”
” কন্ঠ!”
প্রহর অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে কন্ঠর দিকে। কন্ঠও তাকিয়ে প্রহরের দিকে। হুট করেই যেনো দু’জন দু’জনার দিকে আকর্ষিত হয়ে যাচ্ছে। দৃষ্টি মিলন হতেই কন্ঠ লজ্জায় অন্য দিকে দৃষ্টিপাত করলো। প্রহর দু’হাতে কোমর আঁকড়ে ধরে নিজের কাছে নিয়ে আসে কন্ঠকে। কন্ঠ দূরে সরতে চাইলেও কেনো জানি দূরে সরতে পারছে না। প্রহর কন্ঠর হিজাবের ব্রোঞ্জ খুলতে শুরু করে। কন্ঠ চমকালো। কী করবে লোকটা? কন্ঠ বাঁধা দেয় প্রহরকে। কিন্তু সেই বাঁধা বেশিক্ষণ স্থায়ী হলোনা। প্রহর আলতো করে ঠোঁট ছুঁইয়ে দিলো কন্ঠর ললাটে। মুহুর্তেই কন্ঠ জমে বরফ হয়ে গেছে। প্রহর হিজাব পাশে রেখে কন্ঠর খোঁপা করা চুলগুলো খুলে নাক ডুবিয়ে দিলো ঘাড়ে। কন্ঠ কেঁপে উঠলো। সম্পর্কের এতো বছরেও প্রহর কখনো এতটা কাছাকাছি আসেনি। তাই আজ হঠাৎ করে এভাবে কাছে আসাতে আটকাতে পারছেনা কন্ঠ। দুর্বলচিত্তের মেয়েরা পারেনা মুখের উপর না বলতে। কিন্তু মেয়েদের অবশ্যই মুখের উপর না বলা শিখতে হয়। কন্ঠ আবেশে চোখ বন্ধ করে ফেলেছে এতক্ষণে। প্রহর কন্ঠকে নিজের বক্ষে জড়িয়ে ঠোঁট দিয়ে ঠোঁট ছুঁয়ে দিতেই কন্ঠ নিজেকে ছাড়াতে চেষ্টা করলো প্রহরের থেকে। এরচেয়ে বেসামাল স্পর্শ চায় না কন্ঠ। মিনিট পাঁচেক পরে প্রহর কন্ঠর ওষ্ঠ ছাড়লো। কন্ঠ ঘনঘন নিঃশ্বাস ফেলে এদিক-সেদিক তাকিয়ে দেখে নিলো একবার। নাহ কোথাও কেউ নেই। তাহলে কী এসব করবে বলেই এই নীরব রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়েছে প্রহর?
” প্রহর!”
” হ্যাঁ বলো।”
” আমি চাই না তুমি আর কখনো এভাবে আমাকে স্পর্শ করো। ”
” যাকে ভালোবাসি তার সবকিছুই আমার। তাছাড়া তুমি আমার বউ হবে। এতটুকু স্পর্শ করলে কলঙ্কিত হবে না তুমি। তোমার খারাপ লাগলে আর কখনো স্পর্শ করবো না। ”
প্রহরের গাম্ভীর্যে কন্ঠর খারাপ লাগে। একটু বেশি বলে ফেললো না-কি?
” সরি। ”
” আরে ব্যাপার না পাগলি। এখন হিজাব ঠিক করো। একটা ঝামেলায় ফেললাম তোমাকে। ”
কন্ঠ গাড়ির আয়না দেখে হিজাব বাঁধতে বাঁধতে বললো,
” গোছানো জিনিস এমনিতেই তুমি এলোমেলো করার ওস্তাদ। ”
” তাহলে গোছানোর আগেই আরেকবার এলোমেলো করে ফেলি?”
কন্ঠ কিছু বোঝার আগেই ফের গভীর চুম্বনে লিপ্ত হয় প্রহর। কন্ঠ দু’হাতে শক্ত করে আগলে ধরে প্রহরকে। বেসামাল প্রহরকে আরো বেসামাল করে তোলে কন্ঠর স্পর্শে।
চলবে,
এই মাসেই পরীক্ষা শুরু হবে আমার এজন্য গল্প একদিন পর পর দিবো। যারা আমার লেখা বই সংগ্রহ করতে চান তারা ইনবক্সে নক দিবেন। আর বইমেলায়ও বই পাওয়া যাবে।
আগের পর্বের লিংক
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=387188253962126&id=100080128645410&mibextid=Nif5oz
পরের পর্বের লিংক https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=388886830458935&id=100080128645410&mibextid=Nif5oz