শুধু_তোমাকেই_চাই #শারমিন_হোসেন #পর্ব৪০

0
464

#শুধু_তোমাকেই_চাই
#শারমিন_হোসেন
#পর্ব৪০

নতুন একটি ঝলমলে সকাল।লিয়া ঘুম থেকে জেগে ফ্রেশ হয়ে নিচে নামে। রান্নারুম থেকে থালা বাসনের শব্দ আসছে।আসছে বিভিন্ন মশলার গন্ধ-ও।বাড়ির গিন্নিরা হরেক পদ রাঁধতে ব্যস্ত। বাড়িতে নতুন জামাই সহ কিছু অতিথিও আছে।লিয়া কিচেনে যায়।রাজিয়া সুলতানা কিছু রান্না করতে ব্যস্ত। তহমিনা বেগম আটা মাখছেন।কাজের মেয়েটা বাসন পরিষ্কার শেষে সবজি কাটতে বসেছে।লিয়া সবার সাথে কথা বলে কফি বানাতে থাকে।একটা ট্রেতে দুইটা মগ রেখে কফি ঢালতে ঢালতে বলে,,
“আম্মু কফি থাকলো।বাকিদেরকে এখান থেকে দিয়ে দিও কেমন।”

রাজিয়া সুলতানা রান্না করতে করতে বলেন,,”আচ্ছা ঠিক আছে।”

লিয়া কফির মগ নিয়ে রুমে আসে।রুমে এসে সেন্টার টেবিলের উপর ট্রেটা রেখে দেয়।তারপর একহাত দিয়ে জানালার পর্দা টা সরিয়ে দেয়। জানালার থাই গ্লাস টান দিয়ে কিছুটা খুলে দেয়।জারিফ উপুড় হয়ে শুয়ে ঘুমাচ্ছিলো।লিয়া বিছানার এক পাশে বসে।জারিফ বিভোরে ঘুমাচ্ছে।কেনো জানি লিয়ার ইচ্ছে করছে না ডেকে তুলে এই সুন্দর ঘুমটা মাটি করতে।লিয়া মুগ্ধ নয়নে জারিফের ঘুমন্ত ফেসের দিকে নিষ্পলক চাহুনিতে চেয়ে থাকে।এক চিলতে রোদ জানালা দিয়ে রুমে প্রবেশ করে।রোদের হালকা আলো জারিফের মুখের উপর পড়তেই,ঘুমের মধ্যে জারিফ চোখ মুখ কুঁচকে নেয়।লিয়া নিঃশব্দে হেসে একহাত জারিফের এলোমেলো চুলের মধ্যে চালনা করে।জারিফের ঘুম হালকা হতেই চোখ মেলে তাকায়।চোখ মেলে লিয়ার সাথে চোখাচোখি হয়।

লিয়া শীতল কন্ঠে বলে,,”শুভ সকাল,জনাব।ঘুম ভাঙ্গল।”

জারিফ আড়মোড়া ভেঙ্গে উঠে বসতে বসতে বলে,,”শুভ সকাল আমার মিষ্টি বউ।তুমি পাশে থাকলে প্রতিটি মূহুর্তই আমার জন্য শুভ।আই বিলিভ দ্যাট।সকালে ঘুম থেকে জেগে তোমার মিষ্টি মুখটা দেখে আমার মনটা বেশ ফুরফুরে লাগছে। থেংকিউ মিষ্টি আদরে ঘুম থেকে জাগানোর জন্য।তবে এর থেকেও বেটার হতো ,যদি তোমাকে টাইটলি জড়িয়ে ধরে আরো লম্বা একটা ঘুম দিতে পারতাম।”

লিয়া দৃষ্টি সরু করে কপাল কুঁচকে বলে,,”শখ-টখ একটু লিমিটের মধ্যে রাখুন।যতই সময় যাচ্ছে আর আমি আপনাকে দেখে অবাক হচ্ছি। আপনার ডিমান্ড যেনো তরতর করে বেড়েই চলছে।কয়টা বাজে ধারণা আছে আপনার?”

জারিফ লিয়াকে জড়িয়ে ধরে নরম স্বরে বলে,,”যতই সময় যাচ্ছে দিনকে দিন তোমার প্রতি ভালোবাসাটা-ও আমার বেড়েই যাচ্ছে দ্বিগুণ।নট অনলি ফর টুডে অর টুমোরো।আই চুজ ইউ ফর লাইফটাইম।এন্ড ইট’স নেভার গোয়িং টু চেন্জ।ভালোবাসা যেহেতু বাড়ছে সেহেতু ডিমান্ড-ও বাড়তেই পারে।আর ইউ ক্লিয়ার?”

লিয়া ফোঁস করে নিঃশ্বাস ছেড়ে ঠোঁটে ঠোঁট চেপে বলে,,”আপনার সাথে কথা বলে আমি পারবো না। আপনার যুক্তির কাছে আমাকে হার মানতেই হবে।তাই আপাতত আর কথা বাড়াতে চাচ্ছি না।এখন আমাকে ছেড়ে ফ্রেশ হয়ে নিন।ওদিকে কফি ঠান্ডা হয়ে শরবত হয়ে যাচ্ছে।”

জারিফ নির্বিকার ভঙ্গিতে বলে,,”আমার যুক্তির কাছে নয়।বলো আমার ভালোবাসার কাছে। আমার ভালোবাসার কাছে হার মানতে হবেই তো।”

লিয়া শ্বাস টেনে নিয়ে ঠোঁট আওড়ায়,,”হয়েছে হয়েছে, ছাড়ুন। এবার ছেড়ে ফ্রেশ হয়ে নিবেন তো।সত্যিই কিন্তু কফি ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।”

জারিফ মুখায়ব গম্ভীর করে শান্ত কন্ঠে বলে,,”তোমাকে জড়িয়ে ধরার অনুভুতি টাই আলাদা।যেটা বলে বোঝানো পসিবেল নয়।তুমি মানেই আমার কাছে এক পৃথিবীসম শান্তি।তাই বলছি বারবার এই ছাড়ুন শব্দ টা একদম ইউস করবে না।এই ওয়ার্ড টা আমার জন্য তোমার কাছ হতে মোটেও এপ্রুপেইট নয়।”

জারিফ কথাটা শেষ করেই বেড ছেড়ে নেমে ওয়াশরুমে ঢুকে। ফ্রেশ হয়ে এসে দু’জনে একসাথে ব্যালকনিতে বসে কফি খায়।

অরিন আর ফিহা গার্ডেন এরিয়ায় দাঁড়িয়ে সকালের মিষ্টি রোদ উপভোগ করছে।অরিন ফোন হাতে সেলফি তুলতে ব্যস্ত।ফিহা তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে ফুটে থাকা ফুলগুলো পর্যবেক্ষণ করছে।

“রেখে দিন না আমাকে আপনার করে।আমি থাকতে চাই আপনার মনের পুরো শহর জুড়ে।”

মেয়েলি কোমল গলার কথাগুলো শ্রবণ হতেই তুষারের মুখটা থমথমে হয়ে যায়। তুষারের পা থেমে যায়।ভয়েজকে ফলো করে বাম সাইডে তাকাতেই দৃষ্টি যায় গোলাপ গাছটির পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অরিনের দিকে।তুষার অরিনকে দেখেই শুকনো ঢোক গিলে নেয়।আর মনে মনে আওড়ায়,,কি সাংঘাতিক ব্যাপার।মেয়েটা আসলেই তো দেখছি ডেঞ্জারাস। লজ্জা শরমের বালাই নেই।সরাসরি প্রোপোজাল দিয়ে বসলো।হে গড!এত এত মানুষ থাকতে কেনো এই ভয়ংকর লেবেলের সাহসী মেয়েটা আমাকেই পছন্দ করতে গেলো। আশ্চর্য!”

তুষার আপন মনেই এসব ভেবে চলেছে।তুষারের ভাবনার ঘোর কাটে অরিনের উচ্ছ্বসিত কন্ঠে। অরিন হাস্যোজ্জ্বল মুখে উচ্ছ্বসিত হয়ে ফিহার একহাত ঝাঁকিয়ে বলতে থাকে,,”এই চশমিশ দেখতো ভিডিও টা কেমন হয়েছে।”

ফিহা এক আঙ্গুল দিয়ে চশমাটা ঠিক করে নিয়ে ঠোঁট চেপে মোবাইলে দৃষ্টি দেয়।ভিডিওটা দেখে বিরক্তিকর গলায় বলে,,”তুই কি লেখা পড়া বাদ দিয়ে এইসব টিকটক ভিডিও বানাবি না-কি?এসব কি শুরু করেছিস?”

অরিন তপ্ত নিঃশ্বাস ছেড়ে কপাল কুঁচকে বলে,,”যা বলতে বলেছি তাই বল।জ্ঞান দেওয়া কথা বার্তা বাদ রাখ।বল ভিডিওটার সাথে ক্যাপশন টা কেমন হয়েছে। দারুন মানিয়েছে না?”

ফিহা ক্যাপশন টা ঠোঁট নেড়ে রিপিট করে।ক্যাপশন টা শুনে তুষার স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। মনে মনে ভাবে, থেংক গড।এই প্রথম আমার নিজের ধারনা ভুল হওয়াতে নিজেকে এত খুশি লাগছে।যাক আমি ভুল বুঝে ছিলাম।একটু আগে শোনা কথাগুলো আমাকে উদ্দেশ্য করে নয়।ওটা ক্যাপশন ছিলো।

এরমধ্যে হঠাৎ লিয়া আসে মুখে কিছু চিবুতে চিবুতে।অরিন আর ফিহার সামনে দাঁড়িয়ে হাতে থাকা শুকনো খাবারের দিকে ইশারা করে দেখিয়ে বলে,,”নে কটকটি খা। বগুড়ার মহাস্থানগড়ের বিখ্যাত সেই কটকটি।না খেলে টেস্ট টা মিস করবি।”

অরিন এক হাত বাড়িয়ে নিয়ে মুখে পুড়ে চিবুতে থাকে।খাবারটা গলাধঃকরণ করে শান্ত কন্ঠে বলে,,
“এক সময় জনপ্রিয় ছিলো কটকটি আর বর্তমানে জনপ্রিয় হয়েছে টিকটক।সময় পাল্টিয়েছে। উল্টেছে বানান-ও।ঠিক বলেছি না।”

কথাটা শুনে লিয়া স্মিত হাসে।তুষার বড়বড় পা ফেলে দ্রুত ভেতরের দিকে যেতে থাকে।

ফিহা ছোট শ্বাস ফেলে নিরস গলায় বলে,,”হুম। জানিনা কতটা ঠিক বলেছিস।তবে আমি বলবো এসব জিনিস কে প্রিয় না বানানোই বেটার হবে।এসবের ভূত চেপেছে তোর উপর।ভূতটা মাথা থেকে নামিয়ে পড়াশোনায় ফোকাস কর।আর পড়াশোনা করে মুখ উজ্জ্বল কর।”

অরিন একহাতে কানের পাশে মশা তাড়ানোর ভঙ্গিমা করে ঠোঁট প্রসারিত করে বলে,,”পড়াশোনা করে মুখ উজ্জ্বল করতে যাবো কোন দুঃখে শুনি।যেখানে মুখ উজ্জ্বল করার জন্য এত এত ফেসওয়াশ আছে।”

ফিহা রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে ঠোঁট চেপে বলে,,”তোর সাথে কথা বলাই বেকার।তুই ফেস উজ্জ্বল করতেই থাক।সেটাই তোর জন্য পার্ফেক্ট হবে।”

লিয়া দাঁড়িয়ে ঠোঁট কামড়ে ধরে মিটমিট করে হাসছে।অরিন দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে মৃদু স্বরে বলে,,”ফেস আমার যথেষ্ট উজ্জ্বল-ই আছে।তাই ফেসওয়াশ এসবে তেমন ইন্টারেস্টড নেই।তারপরেও আমি হতাশ।মনের মতো সুদর্শন কাউকে পাচ্ছি না।সাহেদ কাপুরের মতো কিউট ছেলের দর্শন-ই মিলছে না।আর দেখতে হ্যান্ডসাম। লুকিং বিউটিফুল এরকম ছেলে বর হিসেবে আমার চাইই চাই।”

লিয়া ঠোঁট চওড়া করে বলে,,”বিউটিফুল ফেস ইস নট ইম্পর্ট্যান্ট। বিউটিফুল হার্ট ইস ইম্পর্ট্যান্ট।জীবন সঙ্গী সুদর্শন হতেই হবে এমনটা জরুরী নয়। জরুরী ভালো মনের মানুষ।বাহ্যিক সৌন্দর্য ক্ষণস্থায়ী।আর একজন ভালো মনের মানুষ পাওয়া সৌভাগ্যর ব্যাপার।”

অরিন ঠোঁট উল্টিয়ে বলে,,”জীবনে এমন একজন মানুষের বডড প্রয়োজন।যাই হয়ে যাক না কেনো।সব শেষে এসে বলবে আমার শুধু তোমাকেই চাই।এমন একটা মানুষ আমিও ডিজার্ভ করি ।এমন একটা মানুষ কে জীবন সঙ্গী হিসেবে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমার ততটাই।একজন অন্ধ মানুষের এই পৃথিবীতে আলো দেখার আকাঙ্ক্ষা যতটা।তবে তাই বলে দর্শনদারিটা-ও বাদ দিতে চাইনা।”

শেষের কথাটা বলে বত্রিশ পাটি দাঁত বের করে হাসতে থাকে।লিয়া থমথমে মুখাবয়ব করে বলে,,”হয়েছে বাবা হয়েছে।তোর যুক্তি নিয়ে থাক তুই নো প্রবলেম।এখন আপাতত এতসব কথা রাখ।আর চল তোদেরকে সব কিছু ঘুরিয়ে দেখাই।”

ফিহা অরিন আর জারাকে ঘুরিয়ে বাগান দেখাতে থাকে লিয়া।লিয়া গাঁদা ফুলের গাছ হতে একটা ফুল তুলে কানের পাশে গুঁজে নেয়। কিয়ৎক্ষন পরে নিচ থেকে উপরের দিকে দৃষ্টি দিতেই লিয়ার দৃষ্টি যায় ব্যালকনিতে।দুইহাত পকেটে গুঁজে জারিফ লিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।জারিফের সাথে চোখাচোখি হয় লিয়ার।জারিফ এক হাত উপরের দিকে তুলে দুই আঙ্গুল একসাথে করে ইশারায় বোঝায় এক্সিলেন্ট লাগছে।লিয়া অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে মিষ্টি হাসে।

জারা চোখে মুখে একরাশ দুষ্টুমি নিয়ে গমগমে স্বরে বলে,,”চোখে চোখে কি মিষ্টি প্রেম।এইজন্য তোমরা দুজন সেরার সেরা।”

কথাটা কর্ণগোচর হয়ে মস্তিষ্কে পৌঁছানোর সাথে সাথেই লিয়া দৃষ্টি নুইয়ে নেয়।লিয়ার দুইগালে হালকা গোলাপি আভা ছড়িয়ে পড়ে লজ্জায়।লিয়া প্রসঙ্গ এড়িয়ে যেতে।এখান থেকে দ্রুত প্রস্থান নেওয়ার জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে বলে উঠে,,”অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে।ভেতরে চলো। ব্রেকফাস্ট করতে হবে তো।”

সকালের খাওয়া দাওয়া পর্ব শেষে সবাই লিভিং রুমে বসে গল্পের আসর জমায়।বিকেলের দিকেই সবাই যার যার বাসায় ফিরবে।অরিন,ফিহা তাদের বাসায়।জারিফ লিয়াও বিকেলে ময়মনসিংহে ফিরবে। গল্পের আসর বেশ ভালোই জমেছে।লিয়া,জারিফ সোফায় পাশাপাশি বসে।অরিন,ফিহা,তাসনিম আলিফ,তুষারও আছে গল্পে।সবাই সবার স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি লাইফের বিভিন্ন গল্প শেয়ার করছে। এরমধ্যে রাহবার আসে।হাতে এক বক্স ডেইরি মিল্ক।

রাহবার সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলতে থাকে,,”ছোটো চাচ্চু আমাকে গিফট করেছে।আমি আবার তোমাদের সবাইকে গিফট করছি। এভরিওয়ান প্লিজ টেক আ পিস।”

কেউ নেয় আবার কেউ কেউ নো থ্যাংকস বলে।লিয়ার সামনে বক্সটা রাহবার রাখতেই লিয়া দুই পিস ডেইরি মিল্ক নেয়।লিয়া একপিস জারিফের দিকে বাড়িয়ে দেয়।জারিফ একবার লিয়ার হাতে থাকা ডেইরি মিল্ক এর দিকে নজর দেয়।আবার লিয়ার মুখের দিকে তাকিয়ে কিছু ভেবে নেয়।
জারিফ লিয়ার দিকে কিছুটা ঝুঁকে ফিসফিসিয়ে বলে,,”তোমার ঠোঁটের টেস্ট সো সুইট।সেখানে ডেইরি মিল্কের টেস্ট পানসে আমার কাছে।সো ডেইরি মিল্ক খেতে আ’ম নট ইন্টারেস্টড।আমি যাতে ইন্টারেস্টড ফিল করি।সেটা সময় বুঝেই সুদে -আসলে উসুল করবো।”

লিয়া চোখে মুখে অস্বস্তি নিয়ে ফিসফিসিয়ে বলে,,”সবাই আছে তো এখানে।এভাবে ফিসফিস করে কথা বললে।সবাই কি-না কি ভাববে।বিষয়টা দৃষ্টিকটু হচ্ছে না।”

“বিয়ে করা বউ তুমি আমার। তোমার উপর ষোলো আনা হক আছে আমার।সো কে কি বললো আই ডোন্ট কেয়ার।তবে আমি মানুষটা আবার যথেষ্ট ভদ্র।তাই মনের মধ্যে থাকা ইচ্ছেকে আপাতত দমিয়ে রাখলাম। উপযুক্ত পরিবেশেই না হয় ইচ্ছে পূরণ করবো।”

মৃদু আওয়াজে কথাগুলো বলেই জারিফ সোজা হয়ে বসে।সোফায় গা এলিয়ে দিয়ে সবার সাথে গল্প করতে থাকে।লিয়া আড়চোখে জারিফের দিকে তাকিয়ে লাজুক হাসে।সবার বিভিন্ন গল্পে আড্ডাটা বেশ জমে উঠেছে।

[চলবে… ইন শা আল্লাহ]

(শব্দ সংখ্যা ১৩৪৩ । ছোটো পর্ব হয়েছে।তার উপরে আবার অনেক দিন পর। এজন্য দুঃখিত।সত্যি সমস্যার জন্য গল্প দিতে এত লেইট হয়েছে।এর পরের পর্ব বড় করেই,আর তাড়াতাড়িই দেবো ইন শা আল্লাহ। ভুলত্রুটি মার্জনীয়।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here