যার_কথা_ভাসে_মেঘলা_বাতাসে #পর্ব_৬ #তাসমিয়া_তাসনিন_প্রিয়া

0
442

#যার_কথা_ভাসে_মেঘলা_বাতাসে
#পর্ব_৬
#তাসমিয়া_তাসনিন_প্রিয়া

(কঠোরভাবে প্রাপ্ত বয়স্কদের ও মুক্তমনাদের জন্য উন্মুক্ত)

কন্ঠ কিছু বোঝার আগেই ফের গভীর চুম্বনে লিপ্ত হয় প্রহর। কন্ঠ দু’হাতে শক্ত করে আগলে ধরে প্রহরকে। বেসামাল প্রহরকে আরো বেসামাল করে তোলে কন্ঠর স্পর্শে।

” প্রহর!”
কন্ঠ মোহাবিষ্ট কন্ঠে বারকয়েক ডাকলো প্রহরকে। কিন্তু প্রহর কন্ঠতে মত্ত। ঘাড় থেকে গলায় ওষ্ঠ ছোঁয়াতে ব্যস্ত সে। কন্ঠ বুঝতে পারছে মা আজকে হঠাৎ প্রহর এতটা ব্যাকুল হলো কেনো? এতদিনে কখনো এরকম ঘনিষ্ঠ হয়নি প্রহর। গলা থেকে বক্ষ বিভাজন পর্যন্ত ওষ্ঠ পৌঁছুতেই কন্ঠ জোর করে সরিয়ে দিলো প্রহরকে। প্রহর প্রলম্বিত নিঃশ্বাস ফেলে। কন্ঠ নিজেকে শান্ত করে নিয়েছে এরমধ্যেই। মিনিট পাঁচেক পরে দু’জন স্বাভাবিক হলো। প্রহর নিশ্চুপ হয়ে আছে। কন্ঠর চোখমুখ দেখে হয়তো প্রহর বুঝতে পেরেছে বাড়াবাড়ি হয়ে গেছে আজ। কন্ঠ হিজাব ঠিক করে। প্রহর গাড়িতে রাখা পানির বোতল থেকে কিছুটা পানি পান করে ও কন্ঠকে সাধে।
” পানি? ”
” নাহ লাগবে না। এবার বাড়ির দিকে একটু এগিয়ে দাও। দেরি হয়ে গেছে এমনিতেই। ”
” রাগ করেছো?”
” না তবে নিজেকে ভীষণ খারাপ মনে হচ্ছে। এমন কেনো করলে প্রহর?”
প্রহর পানির বোতল পিছনের সিটে রেখে কন্ঠর হাত ধরে।
” সরি কন্ঠ। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে আমাদের কাছাকাছি আসা উচিত। এতে ভালোবাসার গভীরতা বাড়ে। এই যে আমি তোমাকে সময় দিতে পারি না,এজন্য মাঝে মধ্যে কাছাকাছি এলে সম্পর্কে ভালোবাসা বাড়বে।”
” কই আগে তো এসব বলোনি? এখন কি তাহলে ভালোবাসা কম পড়েছে আমার প্রতি?”
কন্ঠর প্রশ্নে থমকে গেলো প্রহর। আসলেই তো ঐশীর উপস্থিতি কন্ঠর প্রতি ভালোবাসা দিনকে দিন কমিয়ে দিচ্ছে। সেই কারণেই কন্ঠর সাথে একেবারে ঘনিষ্ঠ হতে চেয়েছিল প্রহর।
” না পাগলি। তেমন কিছু না। চলো তোমাকে পৌঁছে দেই।”
প্রহর গাড়ি স্টার্ট করলো। কন্ঠ নিজের পোশাকআশাক ঠিকঠাক আছে কি-না আরেকবার চেক করে। হিজাবটাও সেইম ভাবে বাধা হলো কি-না দেখে নিলো। কন্ঠর মাঝে এখন দুটি সত্তা কাজ করছে। একজন যেকোনো মূল্যে প্রহরকে আজীবন পাশে চায়, আরেকজন প্রহরকে ভুলে যেতে চায়। কোথাও যেনো খাপছাড়া লাগছে সেই দ্বিতীয় সত্তার। মানুষ হুট করে এভাবে কাছাকাছি তখনই আসে যখন সবকিছু কেঁড়ে নিয়ে চলে যেতে চায়। কন্ঠকে ভাবনায় তলিয়ে থাকতে দেখে প্রহর নিজ থেকে প্রশ্ন করে।
” তা সমুদ্রর বিয়ে হলো,এখন কেমন চলে ওদের সংসার? সমুদ্রর লেখাপড়ার অবস্থা নিশ্চয়ই খারাপ? ”
” বিয়ে তো শুধু নামে হয়েছে। ওদের সারাদিন ঝগড়া লাগে। ঝগড়া বলতে বজ্জাত সমুদ্র সব সময় বিনার খুঁত খুঁজে বেরায়। মেয়েটা ভীষণ সহজ সরল। ”
” তোমার ভাই তো এজন্য তোমার মতোই ঝগরুটে। বাই দ্য ওয়ে আজকে লিপস্টিক তো খেয়ে ফেলেছি সব! ঠোঁট যে খালি সেটা খেয়াল করোনি?”
প্রহরের কথায় কন্ঠ চারশো বিশ ভোল্টেজের শক খেলো। আসলেই তো লিপস্টিক! ছি ছেলেটার মুখে কথাও আঁটকায় না। তবে বলে ভালোই করলো। কন্ঠর ঠোঁটে লিপস্টিক নেই এটা বাসার লোকজন দেখলে নির্ঘাত সব বুঝে ফেলতো। লিপস্টিক ছাড়া কন্ঠকে জাস্ট কল্পনা করা যায় না।
” তুমি আসলে! দাঁড়াও এখুনি দিচ্ছি। ওগুলো তো ব্যাগেই রাখি।”
প্রহর ফিক করে হাসলো। কন্ঠ ভ্রুক্ষেপহীনভাবে গাড়ির লুকিং গ্লাসের দিকে তাকিয়ে লিপস্টিক দিতে ব্যস্ত এখন।

কদিন পরেই কন্ঠর ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা। সেই জন্য লেখাপড়ার ভীষণ চাপ। সারা বছর বইয়ের চেহারা না দেখলে পরীক্ষার আগে তো লেখাপড়ার চাপ থাকবেই! কিন্তু কী আর করার? যতই বলা হোক না কেনো আজই বই পড়বো কিন্তু বই পড়তে বসা হয় সেই পরীক্ষার আগের দিন রাতে। প্রহরের সাথে এখন দেখা কম হয় কন্ঠর। কাছে পেলেই বেসামাল করে তোলে কন্ঠকে সে। কন্ঠ চায় না বিয়ের আগে এতটা ঘনিষ্ঠ হতে। এদিকে পরীক্ষা সামনে বলে ফোন চালানো নিষিদ্ধ করতে বলছে ইফতি। সবকিছু নিয়ে ভীষণ প্যারায় আছে মেয়েটা।

মাগরিবের আজান হয়েছে কিছুক্ষণ আগে। সন্ধ্যায় প্রায় বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করেন কন্ঠর মা। আজকেও তেমনি নতুন একটা ডেজার্ট তৈরি করেছেন তিনি।
” কন্ঠ এগুলো গিয়ে বিনাকে দিয়ে আয় তো। মেয়েটার ভালো লাগবে।”
বসার ঘরে বসে ফোনে অনিমার সাথে কথা বলছিলো কন্ঠ। পরীক্ষার হল কোথায় পড়বে সেই নিয়ে। মায়ের ডাকে কল কেটে দেয়।
” আচ্ছা দাও।”

কলিংবেলের শব্দে দরজা খুলে দেন শায়লা মল্লিক। কন্ঠকে দেখে মুচকি হেসে বলেন,
” কী ব্যাপার? হাতে আবার ওগুলো কী নিয়ে এসেছিস?”
কন্ঠ ভেতরে ঢুকে সোফায় বসে। শায়লা মল্লিক দরজা আঁটকে দেন।
” বিনার জন্য মা পাঠালো। বিনা কোথায়?”
” বিনা তো ঘরেই আছে। জানিস তো বেশি কথাবার্তা বলে না। আর সমুদ্র সারাদিন যা ধমক টমক দেয় তাতে এমনিতেই মন মেজাজ খারাপ হওয়ার কথা। ”
” মানে? সমুদ্র এমন করে সব সময়? ”
” আর বলিস না। কাল তো বললো একঘরে পর্যন্ত থাকবে না। বিনা থাকলে না-কি ওর পড়ালেখার সমস্যা হয়। বিনাও রাজি হয়েছে। গেস্ট রুমে একাই শোবে আজ থেকে। ”
কন্ঠ হাত থেকে টেবিলের উপর খাবারের বাটি রেখে উঠে দাঁড়ালো। বিনার ঘরের দিকে যেতে যেতে বললো,
” আমি যাচ্ছি। দেখি বিনা কী বলে। সমুদ্র নিশ্চয়ই পাড়ার ছেলেদের সাথে আড্ডা দিতে গেছে? ”
” হ্যাঁ। তুই যা, বোঝা মেয়েটাকে স্বামীকে কাছ ছাড়া করতে নেই।!
কন্ঠ কাকির কথাগুলো শুনে বিনার ঘরে গেলো। বিনা জানালার পাশে দাঁড়িয়ে আছে। সম্ভবত শহরের এরকম রঙবেরঙের আলোর ঝলকানিতে মুগ্ধ সে।
” বিনা কেমন আছো? ”
কন্ঠর কথায় পেছন ফিরে তাকালো বিনা। মুহুর্তেই ঠোঁটের কোণে তার হাসির রেখা ফুটে উঠেছে। মেয়েটা কথা কম বললেও ভীষণ হাসিখুশি। অবশ্য কথাও কম বলে না। কন্ঠর সাথে তো বলবক করতেই থাকে। শ্বশুর শাশুড়ীর সাথে হয়তো সেরকম স্বাভাবিক হতে পারেনি।
” আ- আপা ব- এ বাইরের আ- আলো দ-এ দেখি।”
” তা ঠিক আছে কিন্তু এরকম করে কথা বলতেছো কেনো?”
” এ- এরকম ক-এ করে ব-এ বলবো ন-এ না?”
” আমি যেমন করে বলছি তুমিও তেমন করে বলো।”
” আমিও তোমার মতো ক-এ করে বলবো।”
” আবারও? ”
” এবার আর ভুল হবে না। জানো কন্ট আপা সমুদ্র সাহেব আমাকে ভীষণ বকে।”
বিনা অভিমানী কন্ঠে বললো কথাগুলো। কন্ঠর হাত ধরে বিছানায় বসিয়ে নিজেও বসলো বিনা।

” ওটা কন্ঠ, ঠ হবে কন্ট না ওকে?”
” অকে।”
” ওকে বলো।”
” আপা ওকে।”
” সমুদ্রকে পাই বকাবকি করা ছুটাবো। আগে তুমি বলো ঘর ছেড়ে অন্য ঘরে শোবে কেনো? সমুদ্র বললেই তোমাকে যেতে হবে? ”
“উনি তো চ-এ চাননা আমি উনার ঘরে থাকি।”
বিনার মুখটা মলিন হয়ে গেছে। কৈশোর থেকে এখন পর্যন্ত কোনো পুরুষের সান্নিধ্যে আসেনি সে। বাবা-মা না থাকায় অভাবের নানা-নানির সংসারে খাওয়া নিয়ে ভাবতে হতো। এমনও দিন যেতো কেবল ভাতের মাড় খেয়ে জীবন চালাতে হয়েছে, সেখানে প্রেম কিংবা ভালোবাসার কথা মাথায়ও আসেনি বিনার। তাই বিয়ের পর থেকে সমুদ্রকে ঘিরে তার সব স্বপ্ন।
” কথা ঠিকমতো বলার অভ্যাস করো। ও না চাইলে না চাক। সমুদ্র যেখানে শোবে তুমিও সেখানেই শোবে।”
কন্ঠ ম্যাডামের মতো আদেশের সুরে বললো বিনাকে। বিনাও যেনো বাধ্য ছাত্রী তার।
” ঠিক আছে আপা। ”
” সমুদ্রও আমার মতো চঞ্চল স্বভাবের ছেলে। এমনিতে যেমন রাগ টাক দেখায় অত রাগী ও না। যতোসব ভাব। বেশি বাড়াবাড়ি করলে জোরাজোরি করবে।”
কন্ঠী কথায় বিনার চোখ কপালে উঠার জোগাড়। জোরাজোরি বলতে আবার কী বোঝালো কন্ঠ আপা?
” জোরাজোরি করবো ম-মানে?”
” আহা বোঝে না। জোরাজোরি মানে জোর করে সমুদ্রর সাথে শোবা। যদি সোফায় শোয় তুমিও ওর উপরে উঠে শুয়ে পড়বা।”
” আপা!”
বিনা লজ্জায় মাথা নিচু করে আছে। দৃষ্টি এলোমেলো হয়ে গেছে তার। কখনো ফ্লোরের দিকে তাকাচ্ছে কখনো জানালার দিকে।
” আমি তো আরকিছুই বলিনি বিনা। মদ্দা কথা সমুদ্রর সাথে আঠার মতো চিপকে থাকবে। ”
” আচ্ছা। ”
” আচ্ছা শোনো আমি এখন যাচ্ছি। পড়তে বসতে হবে। তোমার জন্য খাবার নিয়ে এসেছি খেয়ে নিও। ”
বিনা আর কোনো বাক্যব্যয় না করে মাথা নাড়লো। কন্ঠ দ্রুত পায়ে বিনার ঘর থেকে বেরিয়ে বসার ঘরে যাওয়ার আগেই ইফতির সাথে ধাক্কা খেয়ে ফ্লোরে পড়ে গেলো।
” আহহ! বাবাগো কোমরটা মনে হয় গেলো। ইফতি ভাইয়া! ”
রাগে চেঁচিয়ে বললো কন্ঠ। ইফতি রোবটের মতো নির্বিকার হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। যেনো কিচ্ছু হয়নি এখানে।
” হ্যাঁ বল।”
” বল মানে? আমি তোমার জন্য পড়ে গেলাম। তুমি ধরলে তো পড়াতম না। যাক সে কথা, পড়ে আছি এখনো ফ্লোরে তা-ও ধরে উঠাচ্ছো না পর্যন্ত! ”
” তোকে কি কেউ ধীরেসুস্থে হাঁটতে মানা করেছে? চোখ তো আছে দু’টো, তাহলে দেখেশুনে হাঁটিস না কেনো?”
এরমধ্যে ইফতির মা কন্ঠর চিল্লানোতে ছুটে এসেছেন ঘটনা কী দেখতে। কিন্তু এভাবে কন্ঠকে মাটিতে বসে থাকতে দেখে দৌড়ে এলেন তিনি।
” কন্ঠ কী হয়েছে তোর? এই ইফতি ওকে ধরে তোল।”
” কাকি তোমার গুনধর ছেলে এতক্ষণ দাঁড়িয়ে আছে তা-ও আমাকে তুলছে না। ও মা গো কোমরটা মনে হয় সত্যি ভেঙে গেলো আমার। ”
কন্ঠর দু-চোখ ছলছল করতে দেখে এবার ইফতি কন্ঠকে কোলে তুলে নেয়। শায়লা মল্লিক কন্ঠকে একেবারে ওদের বাসায় দিয়ে আসতেই বলে। ইফতির অনিচ্ছা সত্ত্বেও কন্ঠকে ওদের বাড়ি পৌঁছে দিতে যায়। দরজা খুলে কন্ঠকে এরকম অবস্থায় দেখে কন্ঠর মা শারমিন সুলতানা চমকে উঠেন।
” ইফতি কী হয়েছে ওর?”
” কী আবার হবে? তোমার মেয়ে তো মেয়ে না! ছুটন্ত ঘোড়া। ওকে বরং অলিম্পিকে নাম লিখিও,ভালো দৌড়াতে পারবে।”
ইফতি রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে কন্ঠকে বসার ঘরেই সোফায় বসিয়ে দিলো। কন্ঠ এতক্ষণে ব্যথায় কুঁকড়ে গেছে। সত্যি ভীষণ আঘাত লেগেছে কোমরে। তবে মনে মনে ইফতির গুষ্টিকে উদ্ধার করতে ভুলছে না। অবশ্য গুষ্টি তুলে বেশি কিছু গালি দিলে তো নিজের বংশকেই গালি দেওয়া হয়ে যাবে! শারমিন সুলতানা মেয়ের পাশে বসে।
” ইফতি রাগ করিস না। তুই যা আমি তোর বড়ো আব্বুকে বলবো ডাক্তার ভাইকে নিয়ে আসতে। ”
” হ্যাঁ গেলাম আমি। ”
ইফতি চলে যেতেই কন্ঠ দাঁত খিঁচিয়ে বলে,
” তুমি এই লোকটাকে বলবে আমার সাথে যেনো এমন না করে। আমি কিন্তু তাহলে… ”
” কন্ঠ! চুপ কর তো। চল ঘরে চল। আমি ধরে নিয়ে যাচ্ছি। ”

বন্ধুদের সাথে রাতের খাওয়াদাওয়া শেষ করে বাড়িতে ফেরে সমুদ্র। মনটা বেশ ফুরফুরে লাগছে। বাইকের চাবি আঙুলে ঘোরাতে ঘোরাতে রুমে ঢোকা মাত্রই সব আনন্দ মাটি হয়ে গেলো সমুদ্রর। বিনা জানালার পাশে দাঁড়িয়ে আছে।
” কী ব্যাপার বিনা তোমাকে না বললাম, গেস্ট রুমে শোবে?”
সমুদ্রর কন্ঠের আওয়াজে জানালার পাশ থেকে সরে বিছানায় উঠে বসে বিনা। হাসি হাসি মুখে বলে,
” আপনি আমার স্বামী। আপনি যেখানে থাকবেন আমিও সেখানেই থাকবো।”
বিনার কথায় মাথায় হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো সমুদ্র। একেবারে ঠিকঠাক মতো কথা বলছে সাথে আবার এক রুমে থাকার আবদার!
চলবে,

রিচেক দেওয়া হয়নি। ভালো লাগলে অবশ্যই ফলো প্লাস কমেন্ট করবেন। আমার এক ঘন্টার বেশি লাগে এতটুকু লিখতে। তাই দুই মিনিট খরচ করে অবশ্যই মন্তব্য জানাবেন। হোক সেটা ভালো কিংবা মন্দ।

আগের পর্ব https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=388345530513065&id=100080128645410&mibextid=Nif5oz
পরের পর্বের লিংক https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=389516263729325&id=100080128645410&mibextid=Nif5oz

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here