#খোলা_জানালার_দক্ষিণে
#পর্ব_৫১
#লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu
সুখের শক্ত আবরণকে দুঃখের দমকা হাওয়া এসে মুহুর্তের মধ্যে সুখ গুলোকে চূর্ণবিচূর্ণ করে দিয়ে গেল। ধরনীর বুক জুড়ে হাহাকার নেমে গিয়েছে। ভেতরটা জ্বলে পুড়ে দগ্ধ হয়ে যাচ্ছে। অশ্রুকণা গুলো যেন আজ অভিমান জমিয়েছে। সেজন্য বোধহয় আঁখিযুগলে এসে ভিড় জমাচ্ছে না। মনের আনাচেকানাচে দুঃখরা রাজত্ব করছে। মেহেভীন বাসায় আসার পর থেকেই পাথরের ন্যায় বসে আছে। মুখশ্রী দিয়ে কোনো বাক্য উচ্চারন করছে না। প্রেয়সীর রক্তিম আঁখিযুগলের দিকে দৃষ্টিপাত করতেই মুনতাসিমের বক্ষথলে মোচড় দিয়ে উঠল।
–এভাবে নিজেকে কষ্ট কেন দিচ্ছেন? আপনার রাগ হলে আমাকে ঘৃণা করুন। আমাকে কথার আঘাতে চূর্ণবিচূর্ণ করে দিন। তবুও আপনি নিরব হয়ে যাইয়েন না। নিরবতা যে ভিষণ ভয়ংকর! প্রতিশোধের নেওয়ার সবচেয়ে বড় অস্ত্র হচ্ছে নিরবতা। আমি আপনাকে ভালো রাখার লোভী ভিষণ লোভী হয়ে উঠেছিলাম। আমি আঘাত পেলে আপনার যেমন ব্যথা লাগে। ঠিক তেমনই আপনার ব্যথা হলে আমি তার থেকে দ্বিগুন পুড়ি। আপনার মলিন মুখশ্রী দেখে আমি ভেতর থেকে জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছি। সেটা কি আপনি দেখতে পাচ্ছেন না! আমি থাকতেও আপনি এভাবে পুড়বেন? আর সেটা বসে বসে আমাকে দেখতে হবে! আমাকে আপনি শাস্তি দিন। তবুও নিজেকে শেষ করে দিয়েন না। মুনতাসিমের প্রতিটি বাক্য মেহেভীনের হৃদয় কাঁপিয়ে তুলল। মুখশ্রীতে ঢাকা শক্ত আবরণটা খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে আসতে চাইছে। কিন্তু কষ্ট গুলো যেন আজ ভেতর থেকে বের হতে চাইছে না। মেহেভীন মলিন কণ্ঠে বলল,
–ভালো থাকা আর ভালোবাসা দু’টোই আমার জন্য অভিশপ্ত। জীবনে কঠিন এক সময় পার করছি। তবে এখন যে সময় পার করছি। সেটা কখনো কল্পনাও করতে পারিনি। যে জীবন আমার প্রতি এতটা নিষ্ঠুর হবে। মাঝে মাঝে আমার ভাগ্যটাকে নিয়ে ভিষণ আফসোস হয়। আমার জীবন টা তো এমন হওয়ার কথা ছিল না! আমার জীবনটা আর একটু সুন্দর হলে খুব বেশি ক্ষতি হয়ে যেত?
–আপনি যতটুকু ভেবেছেন। তার থেকে দ্বিগুন সুন্দর জীবন আপনাকে উপহার দিব। কথা দিলাম।
–সেই সুন্দর জীবনে যদি আমার বাবা-মা-ই না থাকে, তাহলে সেই জীবন নিয়ে আমি কি করব? মেহেভীনের কথায় মুনতাসিম নিস্তব্ধ হয়ে গেল। মনের অজান্তেই বুকটা ভারি হয়ে আসতে শুরু করল। জীবনের কঠিন এক মোড়ে এসে দাঁড়িয়েছে মেহেভীন। যাকে শান্তনা দেওয়ার ভাষা এখনো তৈরি হয়নি। তবে পাশে থেকে ভরসা দেওয়ার ক্ষমতা তার আছে। সেই ভরসা টুকু দিয়ে না হয় মেহেভীনকে আগলে নিবে। মুনতাসিমকে নিরব দেখে মেহেভীন নিজেই বলল,
–মাসের ফাঁ’সি কবে?
–উনি সব তথ্য আগেই পুলিশকে জানিয়ে দিয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে সব সঠিক প্রমাণ পেয়েছে। কোর্ট থেকে রায় হলেই উনার ফাঁ’সি হয়ে যাবে। মেহেভীনের ভেতরটা কেঁপে উঠল। অদ্ভুত ভাবে মুনতাসিমের দিকে দৃষ্টিপাত করল। খুব শান্ত ভাবে বলল,
–একজন খুনির মেয়ের সাথে সংসার করবেন! আপনার সমস্যা হবে না? সবকিছু জানাজানি হয়ে গেলে, আপনার ওপরে অনেক চাপ আসবে।
–নিজের জিনিসকে কিভাবে আগলে রাখতে হয়। সেটা মুনতাসিমের ভালো ভাবে জানা আছে। মুনতাসিমকে কিছু বলতে হলে দশবার ভাবতে হয়। আমি মায়ের এতবড় সত্য সবার কাছে আড়াল করে গিয়েছি। শুধু মাত্র আপনাকে হারানোর ভয়ে। আপনার সুখ নষ্ট হবে ভেবে দিনের পর দিন মিথ্যা না বলা মানুষটাও মিথ্যা বলেছে। আর আপনি বলছেন আপনার সাথে থাকতে আমার সমস্যা হবে!
–আমার মা এমন করতে পারে না। আমার বিশ্বাস হচ্ছে না। আমাকে আপনি বলুন না এটা সত্যি নয়। আমি স্বপ্ন দেখছি। আমার নিদ্রা ভাঙলেই সবকিছু মিথ্যা হয়ে যায়। আমার না ভিষণ কষ্ট হচ্ছে। আমি মাকে ছাড়া কিভাবে থাকব? ভেতরটা আমার দুমড়েমুচড়ে যাচ্ছে। আমার মা আমার কথা কেন ভাবল না! যাকে দেখলে আমার মনের জোড় বেড়ে যায়। সেই জোড়ই যদি শেষ হয়ে যায়। তাহলে আমি কিভাবে সোজা থাকব? আমি যে ভেঙেচুরে একদম গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে যাব।
–সমস্ত পৃথিবীর সামনে শিরদাঁড়া সোজা করে দাঁড়িয়ে থাকি। পাথরের মতো শক্ত হতে গিয়ে হৃদয়ের খুব কাছে এসেও ভেঙে যাই খুব সংগোপনে। কাউকে বোঝানো যায় না। আমাদের ম্যাচিউরিটির শক্ত আবরণের ভেতরে আসলে কতটা কাঁদা মাটি থাকে! সেটা প্রকাশ করলে আপনাকে অচিরেই বিলীন হতে হবে। আর প্রকাশ না করে ধৈর্য ধরলে মনের জোর এনে রাজ্য চালানোর ক্ষমতা আপনার হবে। মুনতাসিমের কথায় মেহেভীন নিস্তব্ধ হয়ে গেল। হঠাৎ করেই মেয়েটা একদম চুপ হয়ে গেল। মেয়েটার চুপ থাকাটা যে অপর প্রান্তের মানুষটাকে কঠিন ভাবে পোড়াচ্ছে। সেটা কি মেয়েটা দেখতে পাচ্ছে না! হৃদয় পোড়া যন্ত্রনা গুলো এমন হয় কেন? ভেতরটা পুড়ছে অথচ কেউ দেখতে পাচ্ছে না। যে পুড়ছে সে জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছে। হৃদয়ে জ্বলে ওঠা আগুনটা যদি কেউ দেখতে পেত, তাহলে নিশ্চয়ই আগুন নেভানোর চেষ্টা করত। হৃদয়ের যন্ত্রনা শীতল করার ঔষধ নেই বলেই, শরীরের আঘাতের যন্ত্রণার চেয়ে হৃদয় পোড়ার যন্ত্রনা অনেক বেশি!
দুঃখ আছে বলে জীবন সুন্দর। দুঃখ না থাকলে আমরা আক্ষেপ করতাম কি নিয়ে? এই যে আমরা সুখে থাকলেও বিষাদ অনুভব করি। দুঃখ আছে বলেই সুখের এত মূল্য। নয়তো সুখ গুলোও কিছু মানুষের ন্যায় গুরুত্বহীন ভাবে চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকত! দুঃখীনির দুঃখ ঘুচবে কি করে? দুঃখ যে বেড়ে যাওবার সময় এসে গিয়েছে! সেটা কি দুঃখীনি অনুভব করতে পেরেছে? সেজনই বোধহয় দুঃখীনি ভেতরটা পুড়তে পুড়তে কয়লা হয়ে আবার জ্বলে উঠছে। মেহেভীনের মাকে আজ ফাঁ’সি দেওয়া হবে। জেলের অন্ধকার কুঠুরি থেকে রাইমা বেগমকে বাহিরে নিয়ে আসা হলো। এই কয়দিনে চেহারায় মলিনতা এসে গিয়েছে। আঁখিযুগলের নিচে কালো দাগ পড়ে গিয়েছে। সমস্ত মুখশ্রী বলে দিচ্ছে মানুষটা ভালো নেই। প্রতিটি মুহুর্ত মানুষটা যন্ত্রনায় ছটফট করছে। মেহেভীনকে দেখে রাইমা বেগম মলিন হাসলেন। মেয়ের মস্তকে হাত বুলিয়ে দিয়ে বললেন,
–মাকে ক্ষমা করে দিস। তোর মা তোর সুখটা কেঁড়ে নিয়ে চলে যাচ্ছে। মুনতাসিমের ওপরে ভরসা করে চলে যাচ্ছি। আমি তোকে যতটা দুঃখ দিয়েছি। তার থেকে দ্বিগুন সুখ সে তোকে উপহার দিবে। আমার মেয়েকে কষ্ট দিলে তার হিসাব কিন্তু আমি নিব। মা তোকে ভিষণ ভালোবাসে মেহেভীন। এই অভাগী মাকে ভুল বুঝিস না। আমাকে ক্ষমা করে দিস। তোর বাবা ভুল পথে না গেলে আজ আমরা সবাই বেঁচে থাকতাম। আমাদের একটা সুন্দর সংসার হতো। সেখানে সুখ শান্তি দিয়ে পরিপূর্ণ থাকতো। বিধাতা হয়তো আমাদের জীবনটা এভাবেই সাজিয়েছিলেন। তাই আমাদের জীবনের সমাপ্তি এভাবেই হলো। আমার জীবনের প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। তবে মুনতাসিম তোকে আঘাত করলে আমার অভিযোগ তৈরি হবে। মৃত্যুর পরবর্তী জীবন কেমন হবে জানি না। যে পাপ করেছি। সেই পাপের শাস্তি পেতে শুরু করলে দুনিয়াদারী ভুলে যাব। তোকে একটা কথাই বলব। মায়ের জন্য নামাজ পড়ে দোয়া করিস। আমার কবর টা যেন তোর বাবার পাশেই দাফন করা হয়। এটা আমার শেষ ইচ্ছে বলতে পারিস। আমাকে যেতে হবে মা। নিজের খেয়াল রাখিস। মুনতাসিমকে কখনো দুঃখ দিস না। স্বামীর মন মতো হয়ে চলিস। মায়ের কথায় নিজেকে দমিয়ে রাখতে পারল না মেহেভীন। শক্ত আলিঙ্গনে মাকে বুকের মধ্যে আবদ্ধ করে ফেলল। কান্নার শব্দে চারিদিক মুখরিত হয়ে গেল। মেহেভীনের হৃদয় ভাঙা চিৎকার দেখে মুনতাসিমের ভেতরটা উথাল-পাতাল শুরু করে দিল। মেহেভীন কান্না মিশ্রিত কণ্ঠে বলল,
–আমায় ছেড়ে যেও না মা। আমি তোমায় ছাড়া কিভাবে বাঁচব। আমি কথা না শুনলে কে আমাকে বকবে? তোমাকে ছাড়া আমি নিঃস্ব হয়ে যাব মা। আমার প্রতি এতটা নিষ্ঠুর তুমি হয়ো না। তুমি এতটা পাষাণ কিভাবে হয়ে গেলে? আমার মা তো এমন ছিল না! আমার আঁখিযুগলে অশ্রু আসার আগেই যার হৃদয় কোমল হয়ে যায়। আজ আমার হৃদয় ভাঙা চিৎকারে তার মন কেন নরম হচ্ছে না? আমার এই আর্তনাদ কি তোমার রুহু কাঁপাচ্ছে না মা। আমাকে এভাবে এতিম বানিয়ে দিও না। এতিমদের যে বড্ড জ্বালা। এত জ্বালা আমি কিভাবে সহ্য করব? তুমি আমাকে বি’ষ দিয়ে মে’রে দাও মা। আমি এত যন্ত্রনা কিভাবে সহ্য করব। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে। আল্লাহ আমার আর কত ধৈর্যের পরীক্ষা নিবে? তুমি আমাকে তোমার সাথে নিয়ে যাও। আমি আর বাঁচতে চাই না। যে পৃথিবীতে আমার বাবা-মা থাকবে না। সেই পৃথিবীতে আমিও থাকতে চাই না। মেহেভীনের আর্তনাদের প্রতিটি মানুষের আঁখিযুগলে অশ্রুকণা এসে জমা হয়েছে। রাইমা বেগমও আজ শক্ত খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে আসলো। মেয়েকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে। মেয়ের মুখশ্রীতে শত-শত আদরে ভরিয়ে দিচ্ছে। পৃথিবীতে সবকিছু কেনা গেলেও সময় কেনা যায় না। সময় দ্রুত গতিতে এগিয়ে আসছে। মেহেভীন মাকে শক্ত ভাবে আঁকড়ে ধরে আছে। মাকে ছেড়ে দিলেই যে মা হারিয়ে যাবে। এত ভালোবাসা বুঝি এভাবে হারাতে দেওয়া যায়। মেহেভীনকে দু’জন মহিলা পুলিশ সরানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু আজ মেহেভীনের শক্তি অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে গিয়েছে। দু’জন ব্যর্থ হয়ে মুনতাসিমের দিকে দৃষ্টিপাত করল। একজন পুলিশ অনুরোধ করে বলল, তাদের দেরি হয়ে যাচ্ছে। সে যেন মেহেভীনকে দূরে সরিয়ে নেয়। মুনতাসিম মেহেভীনের এক হাতে টেনে বলল,
–মা কে ছেড়ে দিন। ওদের দেরি হয়ে যাচ্ছে। মুনতাসিমের কথায় রাইমা বেগম তাল দিয়ে বলল,
–আমাকে ছেড়ে দে মা। আমাকে যেতে হবে। মেয়ে হয়ে যদি মায়ের দুঃখ না বুঝিস৷ তাহলে আমি কোথায় যাব বল?
–ও মা আমার কাছে থেকে যাও না। আমার নিজের জীবনের বিনিময়ে তোমাকে সুখে রাখব। তোমার এত কিসের জেদ? আমার ভালো চাও না তুমি! তুমি কি আমার নিজের মা না। তুমি এতটা স্বার্থপরের মতো কাজ কিভাবে করতে পারলে! আমি তোমার পায়ের নিচে পড়ে থাকব। আমাকে এভাবে দুঃখী করে দিও না। আমার ভেতরটা যে জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে। দেখতে পাচ্ছ না কেন তুমি? আমাকে একটু ভালো থাকা ভিক্ষা দাও মা। আমারও ভালো থাকার অধিকার আছে। মেহেভীনের হৃদয় ভাঙা চিৎকার রাইমা বেগমের বুকটা কেঁপে কেঁপে উঠছে। রাইমা বেগম মুনতাসিমকে ইশারা করতেই মুনতাসিম মেহেভীনকে নিজের কাছে টেনে নিল। মেহেভীন এক হাতে মায়ের হাত ধরে আছে। ভয়ে মেহেভীনের সমস্ত কায়া থরথর করে কাঁপছে। আঁখিযুগল ভয়ংকর ভাবে রক্তিম বর্ন ধারণ করেছে। মেহেভীন মায়ের হাতটা শক্ত ভাবে ধরে আছে। দু’জন মহিলা পুলিশ রাইমা বেগমকে টান দিতেই দু-হাত আলগা হয়ে গেল। মেহেভীনের সামনে দিয়ে রাইমা বেগমকে গাড়িতে তোলা হলো। মেহেভীন দৌড়ে মায়ের কাছে যাওয়ার জন্য উন্মাদ হয়ে গিয়েছে। মুনতাসিম মেহেভীনকে উলটো দিকে ঘুরিয়ে নিজের বুকের সাথে চেপে ধরল। মেহেভীন পাগলের ন্যায় ছটফট করছে। মেহেভীনের করুন অবস্থা মুনতাসিমকে ভেতর থেকে রক্তাক্ত করে দিচ্ছে। মেহেভীন ক্ষিপ্ত হয়ে মুনতাসিমের ওপরে চেচামেচি করতে শুরু করে দিল। আশেপাশে ভিড় জমে গেল। জীবনে প্রথম মুনতাসিম মেহেভীনকে এতটা চিৎকার করতে দেখল। মেহেভীনের সমস্ত কায়া নিস্তেজ হয়ে আসতে শুরু করল। কণ্ঠনালি দিয়ে শব্দ আসা বন্ধ হয়ে গেল। কায়ার সমস্ত ভর মুনতাসিমের উপরে ছেড়ে দিল মেহেভীন। মুনতাসিম তাকিয়ে দেখল জ্ঞান হারিয়েছে মেহেভীন। বুকটা ভারি হয়ে আসছে মুনতাসিমের। দুঃখের পাহাড় এতটা ভারি হয়ে গেলে নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কষ্টকর। মুনতাসিম মেহেভীনকে কোলে তুলে নিয়ে গাড়ির দিকে অগ্রসর হলো। পথের প্রতিটি মানুষ একজন দুঃখীর হৃদয় ভাঙা চিৎকার দেখল। প্রিয়জন হারানোর যন্ত্রনা যে কতটা যার হারায় সেই তো অনুভব করতে পারে! সুখের ভাগ নেওয়ার মানুষ অভাব নেই। তবে দুঃখ ভাগের সময় এত অভাব হয় কেন? সুখ যেমন মানুষকে ভালো রাখে, ঠিক তেমনই দুঃখ জীবনকে পরিপূর্ণ করে। সে পরিপূর্ণতা গ্রহণ করতে এত কিসের অনিহা!
চলবে…..
(পারিবারিক ঝামেলা কোনো মজা না রে ভাই। আমি আগেও বলেছি দীর্ঘ দিন যাবত পারিবারিক সমস্যায় আছি। তার ওপরে আপু এসেছে। ফোন নিয়ে সারাক্ষণ বরের সাথে বকবক করে। কচু ভালো লাগে না। গল্প লিখার সময় কানের কাছে বকবক করে। লিখার সময় কানের কাছে বকবক করলে মেজাজ কেমন হয়! আপনারা সবাই বেশি বেশি রেসপন্স করবেন। আপনাদের রেসপন্স দেখে যেন প্রতিদিন গল্প লিখতে পারি। কাল হাজার রেসপন্স হলে কালও গল্প পাবেন। সবাই রেসপন্স করবেন। ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।)