চৈত্রের_রাঙায়_রচিত_প্রণয় #মিমি_মুসকান #পর্ব_১৩

0
437

#চৈত্রের_রাঙায়_রচিত_প্রণয়
#মিমি_মুসকান
#পর্ব_১৩

অর্নিলা তাদের নতুন বাসায় পা রাখল। শহরে এবারই বোধহয় তার প্রথম আসা। একটা বড় ভবনের চার তলায় তাদের বাসা। পুরো একটা ফ্ল্যাট! অর্নিলার মনে আজেবাজে চিন্তা ঘুরঘুর করছে। এতো বড় ফ্ল্যাটে ফারাজ ভাই কি একা থাকত? কিভাবে থাকত? কেউ আসত না এখানে? স্ত্রীদের যেন একটা বিশেষ গুণই থাকে অকারণে স্বামীদের স/ন্দেহ করা। অর্নিলা সেখান থেকে বঞ্চিত হয়নি। তবে খানিকটা অবাক হয়েছে। ঘরের টেবিলের উপর বই খাতা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এমনটা হবার কথা না। ফারাজ ভাই সবসময়ই তার জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখেন। এই স্বভাবটা তার বেশ ভালো লাগে। কিন্তু এখানে এসে খানিকটা যেন বিগড়ে গেলো। অনেককিছুই অগোছালো। ফারাজ ভাই যেদিন বাড়িতে ছিল সেদিনও বড্ড অগোছালো ছিল।

সারফারাজ ব্যাগ গুলো রাখল কোণায়। ততোক্ষণে দেখল অর্নিলা কোমরে শাড়ির আঁচল গুঁজে নিচ্ছে। চারপাশ উঁকি ঝুঁকি মারছে। সারফারাজ শুধায়, “কিছু খুঁজছ অনি?”

“ঝাড়ু খুঁজছি? কোথায় আছে?”

“রান্নাঘরের দিকে।”

“আচ্ছা।

“তোমার এখন কিছু করা লাগবে না। হাত মুখ ধুয়ে নাও। আমি দোকান থেকে কিছু নিয়ে আসি।”

“কিছু কেন আনবেন? বাজার করে নিয়ে আসুন। সারাটে দিন পড়ে আছে।“

“বাজার করে আনব? এখন!”

“হ্যাঁ, যান। এরপর এসে গোসল সারবেন।“

বলেই একদম ঘরের গিন্নির মতো সব কাজ নিজের কাঁধে তুলে নিল। একজন দায়িত্বশীল রমনী, সে এসে হাল ধরেছে‌ তার ঘরের। নিজের সংসারের। সারফারাজ একটা মানিব্যাগ বের করে দেখে নিল। হ্যাঁ, হয়ে যাবে। দরজার কাছে দাঁড়িয়ে বলল, “বন্ধ করে দাও দরজাটা।”

“আসছি!”

ছুটে গিয়ে দরজা বন্ধ করল। ঘরের সব জিনিসপত্র একে একে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে নিচ্ছে। পাকা হাতের কাজ। কোন কিছু এদিক থেকে ওদিক হচ্ছে না। বালিশের কভার, বিছানার চাদর এসে জমা করল বাথরুমের কাছে। সাবানের গুঁড়া পাওয়া গেল। বেশ, এগুলো সাবান পানিতে ভিজিয়ে আবারো ঘরে গেল। কেমন এক ভ্যাপসা গন্ধ বের হচ্ছে ঘর থেকে। ফারাজ ভাই তাদের ওখানে থেকেছে সেই দিন ও তো কম খানেক না। জানালা খুলে দিল। হুড়মুড়িয়ে বাতাস আসছে। দক্ষিণ দিকের ঘর বোধহয়। এই ফ্ল্যাটের বেডরুম দুটো। মাঝখানে বড় বসার ঘর। একটা বাথরুম এই বেডরুমের ঘরে আরেকটা বসার ঘরে। তার পাশেই রান্নাঘর। ঘর গুলো ভালোই বড়। এদিকে বেলকনি ও আছে দেখা যাচ্ছে। এসবের কোন যত্ন নেওয়া হয়নি। ফারাজ ভাই চাইলেই পারত বেলকনিতে ফুল গাছ লাগাতে। হয়তো সময় হয়নি। বেচারার তো পড়েই সময় শেষ হয় না। এসব করবে কখন। বিছানার চাদর বদলে দিল। বালিশ গুলোর কভারে ভরে ঠিক জায়গায় রাখল। জোড়া জোড়া বালিশ! অথচ মানুষ থাকত একজন! কি আশ্চর্য! এসব ছোট বিষয় নিয়ে এমন মাথা ঘামাতে হয়। তার মন এতোটা ছোট হয়ে যাচ্ছে!

পুরো ঘর ঝাড়ু দিয়ে ময়লা এসে জমাল বসার ঘরে। কাজ এখনো বাকি। ফারাজ ভাই বাজার আনলে রান্না চাপাতে হবে, কতোগুলো আধোয়া কাপড় চোপড় ধুতে হবে। কাজের শেষ নেই, অথচ অর্নিলা সব করে যাচ্ছে আনন্দে। তার আনন্দ হচ্ছে, নিজের ছোট একটা অগোছালো সংসার। এই সংসার নিজ হাতে এখন সে সাজাবে। ভাবতেই আনন্দ পাচ্ছে।

দরজায় কড়া নাড়ল কেউ। কে এসেছে? ফারাজ ভাই নাকি। হ্যাঁ সময় তো অনেক হলো। কোমর থেকে শাড়ির আঁচল নামিয়ে দরজার দিকে এগিয়ে গেল। দরজা খুলতেই এক মেয়েরী কণ্ঠ তার কানে এসে বাজল। “সারফারাজ ভাইয়া, আপনি এসেছেন। মা আপনার জন্য এসব…” মেয়ে থমকে চাইল। অর্নিলাও চেয়ে আছে অদ্ভুত ভাবে। মেয়েটার হাতে ভাতের প্লেট। খাবার নিয়ে এসেছে? কিন্তু কেন?

চোখ ছোট ছোট করে ফেলল অর্নিলা। মেয়েটার গায়ের রং ফর্সা। সুশ্রী চেহারা। গোল গোল দুটো চশমা পড়ে আছে। চোখে মুখে একগাল হাসি। মনে হচ্ছে ফারাজ ভাইয়ের আসায় সে অনেক খুশি। নয়তবা এতো কম সময়ে কিভাবে টের পেলো ফারাজ ভাই এসেছে। এতো নজর রাখে সে।

অর্নিলা প্রশ্ন করার আগে মেয়েটা শুধায়, ”কে তুমি?” অনির শরীর যেন জ্ব/লে উঠলো। কতো সাহস ভাবা যায়। তার বাসার সামনে দাঁড়িয়ে তাকেই জিজ্ঞেস করছে সে কে? অর্নিলা জবাব দিলো না। উল্টো প্রশ্ন করল, “তুমি কে? এখানে কি করছো?”

“সারফারাজের কাছে এসেছি। সে আছে?”

“ফারাজ ভাই তো তোমার ছোট নয়। নাম ধরে কেন ডাকছো?”

“ওহ এভাবেই মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেল। আমি বাড়িওয়ালার মেয়ে। এই উপরের তলায় থাকি। সারফারাজ ভাই এসেছে দেখে তার জন্য দুপুরের খাবার নিয়ে এলাম। মা পাঠিয়েছে। অনেকদিন পর এলো তো, হয়তো কিছু জোগাড় করতে পারবে না তাই ভেবে…

অর্নিলা ধপ করে ভাতের প্লেট হাতে তুলে নিতে গেল। অমনি মেয়েটা সরে গিয়ে বলল, ”একি করছো? তুমি এই ময়লা হাতে ভাতের প্লেট ধরছো। দেখি সরো, আমি ভেতরে গিয়ে রেখে আসি!”

অর্নিলা পাশ সরে দাঁড়ায়। মেয়েটা ভেতরে এসে সোফার উপর খাবারের প্লেট রেখে দাঁড়িয়ে আশপাশের দিকে তাকিয়ে থাকে। ঘরে পাইচারি করছে আর একাই একাই বলছে, “আমার নাম মেঘলা! তুমি মনে হচ্ছে পুরো ঘর পরিষ্কার করেছো। বেশ ভালো করেছে। এতোদিন ঘরটা বন্ধ দেখে মনে হয় অনেক ধুলো পড়ে গেছিলো।”

অর্নিলা চুপচাপ তার কথা শুনছে আর মনে মনে আওড়াচ্ছে, “কেন রে? তোর কি খুব কষ্ট হচ্ছে। হলে এসে পরিষ্কার করে দিয়ে গেলি না কেন? এখানে এসে ভাষণ দিচ্ছিস। আর তুই কে হ্যাঁ, আমার ঘরে ঘোরাঘুরি করছিস কেন?”

মেঘলা এবার অর্নিলার দিকে ফিরল। মেঘলা তার চেয়ে বোধহয় ছোটই হবে। তবে খুব উড়নচণ্ডী আর চঞ্চল।‌ আবারো জিজ্ঞেস করল, ”আচ্ছা তুমি কে? সারফারাজের সাথে এসেছো? কি হয় সে তোমার? ভাইয়া। তুমি কি তার দেখা শোনার জন্য এসেছো?”

অর্নিলার ইচ্ছে করল ঘুরিয়ে মেয়েটাকে একটা চ/ড় দিতে। এটা মেয়ে না মাথাব্যাথা। পটর পটর করেই যাচ্ছে। আবারো ফারাজ ভাই কে নাম ধরে ডাকে। আবার জিজ্ঞেস করছে সে কে? অর্নিলা শাড়ির আঁচল কোমরে গুঁজল। দুই হাত কোমরে রেখে বলল, ”আমি তোমার সারফারাজ ভাইয়ের বউ মানে তোমার ভাবী! ভাবী এখন থেকে এখানে থেকেই ভাইয়ের দেখাশোনা করবে বুঝতে পেরেছো মেঘু!”

মেঘলার চোখ মুখ যেন আঁতকে উঠল। ঈষৎ বিস্ময়ে সে স্তম্ভিত। তবে চালাক চতুর। দ্রুতই সামলে উঠে বলল, “ভাইয়ার বিয়ে হয়ে গেলো? কই আমাদের তো দাওয়াত দিলো না। কিছু বললও না!”

অর্নিলা এগিয়ে গেল। ভাতের প্লেটের উপর থেকে ঢাকনা সরিয়ে রাখল। বাহ, বেশ ভালো আয়োজন। সবজি ভাজি, মাছের তরকারি, ধোঁয়া ওঠা গরম ভাত আবার পাকোড়াও আছে দেখছি। ধপ করে একটা মুখে পুরে বলল, “তোমার ভাইয়ের বিয়ে হয়েছে আজ দুই বছরের বেশি হবে মেঘু।”

মেঘু রক্ত/বর্ণ দৃষ্টিতে চাইল। রাগ যেন তার শিরায় শিরায়। এর মধ্যে অর্নিলার মেঘু ডাক তার রাগ শতগুণে বাড়িয়ে দিচ্ছে ‌। দাঁত কিড়/মিড় করতে করতে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেলো সে।

অর্নিলার মুখে পৈচা/শিক হাসি। দারুণ লাগছে কথাগুলো বলে। তার মন বলছে, নির্ঘাত এই মেয়ে ফারাজ ভাইয়ের পেছনে সবসময় ছোটাছুটি করত। কু মতলব মনে আটত। এই মেঘু কে একটা শি/ক্ষা দেবার দরকার।

দরজা বন্ধ করতে মনে নেই। ওই পে/ত্নী গেছে এই খানিকক্ষণ আগেই। সারফারাজ এসে দাঁড়াল। বলে উঠল, “দরজা খুলে দাঁড়িয়ে কি ভাবছ অনি?“

“কিছু না, আপনি এসে গেছেন!”

দু হাত ভর্তি বাজারের ব্যাগ। গায়ের শার্ট ঘামে ভিজে একাকার। কপাল চুঁইয়ে পড়ছে ঘাম। অনির খুব সাধ আঁচল দিয়ে ঘাম টুকু মুছে দিক। সে আগালোও বটে। কিন্তু ততোক্ষণে ফারাজ ভাই হাত দিয়েই মুছে ফেলল ঘাম টুকু। সোফায় এগিয়ে এসে বলল, “ফ্যানটা ছাড়ো অনি, অনেক গরম লাগছে।“

“আপনি এতোসব কিছু বাজার করতে গেলেন কেন?”

“করব না? কিছুই তো নেই ঘরে। একটা চালের দানা ও নেই। সেদিন আমি মোহনগঞ্জ ফিরছিলাম সেদিন ঘরে কিছু না পেয়ে খালি পেটেই রওনা দিয়েছিলাম।“

অনি বিস্ময়ে তাকাল। সাহস করে হাত বিছিয়ে দিল কপালে। সারফারাজ তার মুখের দিকে চেয়ে আছে। অনি মলিন কণ্ঠে বলে উঠল, ”নিজের এতো অযত্ন কেন করেন ফারাজ ভাই?”

সারফারাজ জবাব দিল না। চেয়ে রইল। দরজায় আবারো কড়া নাড়ার শব্দ। অনি আগালো। এতোক্ষণে ফারাজের চোখ পড়ল টেবিলে। এখানে খাবার পড়ে থাকতে দেখে কিছুটা আন্দাজ করল। হ্যাঁ বাড়িওয়ালা আন্টি এসেছে। তার হাতেও একটা খাবারের থালা। সারফারাজ উঠে এসে তাকে সালাম জানাল। আন্টি অর্নিলার দিকে চেয়ে হেসে বলে উঠলেন, ”মেঘলা বললো তোমার বউ নাকি এসেছে তাই দেখতে এলাম। আমি তো ভাবলাম তুমি একাই এসেছো তাই একজনের খাবার পাঠিয়েছি এখন আবার নিয়ে এলাম।”

সারফারাজ আন্টির থেকে খাবারের থালা এগিয়ে নিল। হেসে বলল, ”কোন দরকার ছিলো না আন্টি। আমরা ব্যবস্থা করেই নিতাম।”

বাজারের ব্যাগগুলো চোখে পড়ল। ঘড়ির দিকে ফিরে বললেন, “আর কখন? দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে চলল। শুনলাম বউমা একাই নাকি অনেক করেছে। লক্ষী মেয়ে বটে!”

“ও এমনি আন্টি, সারাদিন ঘরের কাজকর্ম নিয়েই থাকে।”

অনি চমকে উঠল।‌ তার মনে হলো ফারাজ ভাই তার প্রশংসা করল। আন্টি চলে গেল। ফারাজ ভাই বলে উঠলেন, “হাত মুখ ধুয়ে এসে খেয়ে নাও। এরপর যা আছে করো।”
অনি মাথা দুলাল। সারফারাজ ঘরের দিকে চলে গেল!
.
গোসল সেরে বের হতে হতে সন্ধ্যা গড়িয়ে গেছে। এক গাদা কাপড় ধুয়ে কোমর ব্যাথা ধরে গেছে অনির। তোয়ালে দিয়ে চুলের পানি মুছতে মুছতে বসার ঘরে এলো। রান্নাঘরের খুঁটিনাটি শব্দ শুনে উঁকি মারল। ভ্রু কুঁচকে তাকাল সে। রান্নাঘর পরিষ্কারই শুধু বাকি ছিল, ফারাজ ভাই সে সব কাজ মিটিয়েছে। শুধু তাই নয়, বাজারের থলেটাও নেই। মনে হচ্ছে সব গুছিয়ে রেখেছে। চুলোয় ভাত ফুটছে টগবগিয়ে। ফারাজ ভাই বোর্ডের উপর পেঁয়াজ কাটছে। অনির দিকে ফিরে বলল, “তুমি একটু রেস্ট নিয়ে নাও, পারলে একটু ঘুমিয়ে নাও। ততোক্ষণে রান্না হয়ে যাবে।”

অনির কানে কথা ঠেকল। ঠোঁটের কোণে কিঞ্চিত হাসি। ফারাজ ভাই বোধহয় গোসল সেরে বের হয়েছেন খানিকক্ষণ আগেই। তার ভেজা চুল থেকে পানি গড়িয়ে পড়ছে ঘাড় বেয়ে। অনি হাতের তোয়ালে নিয়ে এগিয়ে গেল। আচমকা চমকে উঠল সারফারাজ। অনি বলে উঠল, “নড়াচড়া করবেন না ফারাজ ভাই, আপনার চুল গুলো মুছে দিই।”

“এসবের কোন দরকার নেই।”

“আছে বলেই তো করছি।”

সারফারাজ নিচু হয়ে দেখল। অর্নিলা উচ্চতায় তেমন আহামরি কিছু না। পা দু’টো উঁচু করে মাথার চুল মুছে দিচ্ছে সে। দেখে মনে হচ্ছে কোন এক সময় পড়ে গিয়ে একটা কাণ্ড ঘটাবে। সারফারাজ হুট করেই সামনে ফিরতেই তাল সামলাতে না পেরে গেল অর্নিলা। আচমকা তার কোমর আঁকড়ে ধরল সারফারাজ। সব রমনীর মুগ্ধতা থেকে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব কিন্তু সবে মাত্র গোসল সেরে আসা রমনীর থেকে নয়। তার ভেজা চুলের ঘ্রাণ, মুগ্ধ শরীরের সুবাস,‌ স্নিগ্ধ মুখের ভাব এসব কিছুই কোন পুরুষের থেকে এড়িয়ে যেতে পারে না। যেকেউ এই ফাঁদে পা দিবে। সারফারাজ নিজেও
ফেঁ/সে গেল। অর্নিলা যেন ছাড়ার বদলে আরো শক্ত করেই জড়িয়ে ধরল। সারফারাজের অস্বস্তি হচ্ছে। সে যতোই চাইছে দূরে সরে যেতে ততোই যেন কাছাকাছি এসে ঠেকছে। বহুকষ্টে সারফারাজ সামলালো নিজেকে। শান্ত স্বরে বলে উঠল, ”যাও ঘরে যাও।”

অনি মুচকি হেসে ঘরের দিকে পা বাড়াতেই ফারাজ বলে উঠল, “ওদিকে না, তোমার ঘর ওদিকে?”

“কেন ফারাজ ভাই? আপনি আর আমি একঘরে থাকব না?”

”আপাতত না। সামনে তোমার পরিক্ষা। রাত জেগে পড়া তোমার স্বভাব, আর রাতে আমার ঘুম প্রয়োজন। সুবিধা হয় তুমি ওই রুমেই থাকো।”

ঈষৎ পরিহাস করে অনি শুধায়,
“এতো অজুহাত দিচ্ছেন ফারাজ ভাই?”

“অজুহাত না অনি। সামনে তোমার এডমিশন! ছেলেখেলা না, একবারই তুমি সুযোগ পাবে। এডমিশন তো আর বার বার আসবে।”

“তো আপনি সারাজীবন থাকবেন তো ফারাজ ভাই!”

সারফারাজ জবাব দিলো না। অবাক বিস্ময়ে চেয়ে রইল অনির দিকে। মুচকি হেসে অনি পা বাড়াল ঘরের দিকে!

#চলবে….

গল্পটি সম্পর্কে রিভিউ, আলোচনা, সমালোচনা করুন আমাদের গ্রুপে। গ্রুপ লিংক নিচে দেওয়া হলোঃ
https://facebook.com/groups/holde.khamer.valobasa/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here