#তোমার_মনের_মধ্যিখানি 🌼
মিমি_মুসকান
#পর্ব_৩৪
“এই অশান্ত, কোমর ছাড়ুন আমার!
হুশ ফিরল শান্ত’র। নিঝুম কে সোজা করে দাঁড় করিয়ে দিল সে। খানিকটা বিচলিত হয়ে পড়ল। অমি কে কোলে নিয়ে সোজা ঘরে ফিরল। নিঝুম অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে তার দিকে। সেও অশান্ত’র পিছন পিছন হাঁটা ধরল। অশান্ত সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে উঠতে বলল, “তুমি আমার পিছন পিছন কেন আসছো চশমিশ!
“এভাবেই।
“তুমি এখানে কেন এসেছ?
“হাঁটতে!
“তাই সিঁড়ি বেয়ে এলে, লিফট কি করছিল?
“না না আসলে আমি হাঁটতে বের হয়েছিলাম। হিনা বললো মোটা হয়ে যাচ্ছিস একটু হাঁটাচলা কর তাই।
অশান্ত হেসে বলল, “তার মানে আজ তোমার ১৫০ টাকা বেঁচে গেছে।
নিঝুম মুখ ফুলিয়ে তাকাল। শান্ত মুখ ফিরিয়ে ঘরের ভেতর ঢুকে দরজা বন্ধ করতে নিল। নিঝুম চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে বলল, “আহ দরজা কেন বন্ধ করছেন!
“হাঁটতে এসেছো, হাঁটতে যাও। আমার বাসায় কি?
“তাই বলে মেহমান কে এভাবে তাড়িয়ে দিবেন। ধন্যবাদ বলা উচিত আমায়।
“কেন?
“আমি ছিলাম বলেই তো অমি চলে গেল না, নাহলে যদি সত্যি সত্যি চলে যেত তখন?
শান্ত দরজা বন্ধ না করেই ঘরে ঢুকে গেল। নিঝুম দাঁত কেলিয়ে হেসে হেসে ঘরে ঢুকল। শান্ত অমি কে তার খাবারের কাছে নিয়ে গেল। অমি খেতে ব্যস্ত। নিঝুম দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অমি কে দেখে যাচ্ছে। হুট করেই শান্ত বলে বসল, “তুমি কি আইসক্রিম খাবে!
নিঝুম সাথে সাথে মাথা নেড়ে বলল, “হ্যাঁ খাবো।
শান্ত ফ্রিজের কাজ থেকে আইসক্রিম বের করে নিঝুম কে দিল। নিঝুম রান্না ঘরের চারদিকে ঘুড়ে দেখছে। আইসক্রিম মুখে পুড়ে জিজ্ঞেস করল, “অশান্ত আপনি রান্না করেছেন?
“সার্ভেন্ট করে দিয়েছে। তুমি কি খাবে?
“কি রেঁধেছে!
“মনে হয় খিচুড়ি!
“অশান্ত আমি খাবো!
“এই সত্যি করে বলো তো কি হয়েছে?
নিঝুম মুচড়ামুচড়ি করতে করতে বলল, “আমার ক্ষিদে পেয়েছে অশান্ত!
“তুমি কি কিছু খাও নি।
“না।
“কেন?
“রাগ করে বাসা থেকে বের হয়ে গেছি।
“মানে!
“উফফ ক্ষিদে পেয়েছে আগে খেতে দিন পরে বলছি।
নিঝুম সালাদ থেকে বেছে বেছে শুধু শসা খাচ্ছে। শান্ত খাবারের প্লেট নিয়ে ঢুকল বসার ঘরে। নিঝুমের হাতে খাবারের প্লেট দিল। সে চামচে করে খিচুড়ি মুখে দিল। শান্ত জিজ্ঞেস করল, “রান্না কেমন লাগলো?
“খুব ভালো! খুব ভালো!
“কিন্তু তুমি বাসা থেকে কেন বের হয়ে গেল।
“আপনি জানেন আমার সাথে কি অন্যায় হয়েছে।
“কি হয়েছে?
“।।।
“খাবার শেষ করে বলো, কিছু্ই বুঝতে পারছি না।
“শুনুন, ঘরে নুডুলস ছিল এক প্যাকেট। সেটা আমার জন্য। আমি ঘুমিয়ে পড়লাম, হিনা এসে প্যাকেট টা রান্না করে খেয়ে ফেলল।
“এজন্য তুমি ঘর ছেড়ে দিলে।
“আরে না, বাকিটা তো শুনুন। এই নিয়ে বেশ ঝামেলা লাগল। শেষে হিনা আমায় বলল, “আমি নাকি খুব মোটা হয়ে গেছি। তাই সে আমার ভাগের খাবার খেয়ে ফেলছে, যাতে বেশি খেয়ে মোটা না হতে পারি।
“ওওওহহ।
” মাও কি সুন্দর হিনার কথায় মাথা দোলাতে লাগলো। আমিও রেগে গেলাম। রেগে ঘর থেকে বেরিয়ে এলাম। কিন্তু রাগের মাথায় না আনলাম ফোন আর না আনলাম ব্যাগ। মাঝ রাস্তায় এসে মনে পড়ল আমি ফকির বেশে। হাঁটতে চলে এলাম আপনার বাসার সামনে।
শান্ত অবাক হয়ে শুনছে। নিঝুম হেসে বলল, “তাই ভাবলাম দাওয়াত খেয়ে যাই।
শান্ত মিনমিনিয়ে বলল,
“বিনা দাওয়াতে মেহমান হাজির।
“কিছু বললেন।
“না! কোক আছে আনবো, খাবে।
নিঝুম খিচুড়ি মুখে দিয়ে মাথা নাড়ল। শান্ত দীর্ঘশ্বাস ফেলে রান্না ঘরে ঢুকল , ভাবতে লাগল একটা নুডুলসের প্যাকেটের জন্য কে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসে। নিঝুম চুপচাপ বসে খাচ্ছে। শান্ত’র মনে হলো নিঝুম হয়তো সকাল থেকেই না খেয়ে আছে। গ্লাসে কোক ঠেলে নিঝুমের সামনে এনে রাখল সে। পাশের সোফায় বসে বলল, “তুমি কি সকাল থেকেই না খেয়ে আছো নিঝুম।
নিঝুম মাথা নাড়ল। শান্ত আর কিছু জিজ্ঞেস করল না। চুপচাপ বসে তাকিয়ে রইল। একবার দেখছে অমি কে আরেকবার নিঝুম কে। দুজনেই খুব মনোযোগ দিয়ে খাচ্ছে। শান্ত সোফার কোনো শুয়ে পড়ল। নিঝুম খাবার শেষ করে প্লেট রেখে বলল, “খাওয়া শেষ! পেট ভরে গেছে।
“যাও এবার বাসায় যাও
“না যাবো না।
“মানে!
“মানে এতো তাড়াতাড়ি যাবো না। আম্মুও হিনার কথায় সায় দিয়েছে। তাই আমি তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরবো না। চিন্তা করতে থাকুক মেয়ে কোথায়। ফোনও তো নিয়ে আসে নি এবার বুঝবে ।
“সে ভালো কথা, কিন্তু আমার বাসা থেকে বের হও।
“আহ না, আমি এখন কোথায় যাবো।
“আমি কি জানি?
নিঝুম মিনমিনয়ে বলল,
“বেশি খেয়ে ফেলেছি।
শান্ত উঠে বসল। ভ্রু কুঁচকে বলল, “বাঙালির একটা অভ্যাস আছে জানো।
নিঝুম দাঁত বের করে হেসে বলল, “জানি, আর আমি এখন সেটাই করবো।
“চশমিস না!
নিঝুম আর কথা শুনল না। চুপচাপ শুয়ে পড়ল সোফায়। শান্ত’র দিকে ফিরে হাসতে লাগলো। শান্ত কোমড়ে হাত দিয়ে উপুড় হয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে।
“উঠো বলছি।
“না আমি উঠবো না অশান্ত।
“এই শোন, তোমার মতো একটা হাতি কে এখান থেকে উঠানো আমার পক্ষে সম্ভব না।
“ছাগল কি আর হাতির ভার সইতে পারে
“তুমি কি আমায় ছাগল বললে।
“বাহ রে, আপনি হাতি বলবেন আমি কিছু বলবো না। এটা তো অন্যায়।
“চশমিস তুমি…
কথা শেষ করবার আগেই নিঝুম চোখ বন্ধ করে নিল। শান্ত আর কিছুই বলতে পারল না। এভাবে বলাও যায় না, একজন চুপচাপ চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকার অর্থ সে এখন কথা বলতে চায় না। শান্ত দীর্ঘশ্বাস ফেলল। চশমিস কখনো তার কথা শুনে নি আজও শুনবে না। বড় বজ্জাত একটা মেয়ে। শান্ত হেঁটে রুমের দিকে চলে গেল।
আধ ঘন্টা পর আবারো এলো শান্ত। ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখছে চশমিশ কে। কি শান্তিতেই না ঘুমাচ্ছে। আর অমি! বাহ খেয়ে দেয়ে সেও বেশ চশমিসের পায়ের কাছে পড়ে আছে। তার ঘুমটা অতোটাও গভীর নয়। শান্ত’র আসার আওয়াজ পেয়েছে সে। একটু তাকিয়ে আবারো ঘুম দিয়েছে। নিঝুমের মুখ চেনা দায়। সব চুল তার মুখের উপর। মানুষ এভাবে ঘুমায় কি করে?
শান্ত তার পাশেই হাঁটু গেড়ে বসল। হাত দিয়ে চুল গুলো সরিয়ে দিল সে। চশমাটা কেমন যেন একটা হয়ে আছে। শান্ত খুব সাবধানে চশমাটা সরিয়ে দিল। নিঝুমের ঘুমানোর অভ্যাস কেমন অন্যরকম লাগছে। তার ঠোঁট কেমন উল্টে আছে। এটা কোন ধরণের ঘুমানোর অভ্যাস সে বুঝতে পারল না।
শান্ত উঠে বসল পাশের সোফাতে। আবার শুয়েও পড়ল। সোফার কোণায় মাথা রেখে দেখতে লাগল নিঝুম কে। দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়ল সেও। ঘুম ভাঙলো নিঝুমের চেঁচামেচিতে। শান্ত’র কাঁচা ঘুমটাই নষ্ট করে দিল সে। শান্ত ঘুম ঘুম চোখে সামনে তাকাতেই তার ঘুম উধাও। এই চশমিস তো দেখছি দেওয়ালের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু চশমিস অন্ধের মতো এমন ভাবে হাঁটছে কেন। চশমিসের দু’একটা কথা কানে আসছে তার।
“অশান্ত! এই অশান্ত। আমি চোখে কিছু দেখতে পারছি না। আমার চশমা কোথায়, দেখেছেন আপনি। নাকি চশমা নিয়ে বসে আছেন। দিয়ে দিন, আমার কাছে সবকিছু অন্ধকার লাগছে অশান্ত। অশান্ত!
শান্ত হতচকিয়ে গেল। নিঝুম এই দেওয়ালে বারি খেল বলে। শান্ত উঠে দৌড়ে গেল চশমিসের কাছে। “এই চশমিস” বলে হাত দিয়ে ধরে চশমিস কে তার কাছে টেনে আনল। নিঝুম এসে বারি খেল শান্ত’র বুক বরাবর। শান্ত খানিকক্ষণের জন্য নিশ্চুপ হয়ে গেল!
“অশান্ত! এই অশান্ত।
“কি হয়েছে?
“এটা আপনি তো।
“না আমার ভূত।
“চশমাটা কোথায় আমার।
“এখানে আছে, তুমি চশমা ছাড়া এমন হাঁটাচলা করছো কেন?
“আমি তো আপনাকে খুঁজছিলাম।
“যেই চিৎকার চেঁচামেচি করে ডাকছো, আমি না শুনে থাকতাম কি করে?
নিঝুম হেসে ফেলল। শান্ত তার হাত ধরে বলল, “এসো আমার সাথে!
সোফায় বসলো তাকে। হাতে চশমা দিয়ে বলল, “এই যে তোমার চশমা!
নিঝুম হাসল। চশমা মুছতে মুছতে বলল, “জানেন শান্ত! শুভ্রও আমার মতো চশমা ছাড়া অন্ধ। সবাই তাকে ডাকে কানা বাবা তাহলে আমাকে ডাকা উচিত কানা মা তাই না!
শান্ত হেনাল দিয়ে বসতে বসতে বলল, “তুমি কি হুমায়ূন আহমেদ’র শুভ্রর কথা বলছো।
নিঝুম মাথা নাড়ল। শান্ত বলে উঠল, “যাও এখন বাসায় যাও। তোমার খাওয়া ঘুম দুটোই কমপ্লিট!
“কিন্তু যাবো কি করে?
“কেন যেভাবে এসেছ সেভাবেই। হেঁটে হেঁটে।
“আপনি সভ্যতা বলে কিছু জানেন না নাকি। একটা মেয়ে কে এই কথা বলছেন।
“তুমি সত্যি মেয়ে তো
“অশান্ত!
“এই কথায় কথায় এই পঁচা নামে ডাকবে না তো।
“একশবার ডাকবো, অশান্ত অশান্ত অশান্ত!
“তোমাকে ইচ্ছে করছে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে আসতে।
“হাতি কে কখনো ছুঁড়েছেন।
“এতো কথা বলো কি করে?
“মুখ দিয়ে!
শান্ত রেগে উঠেই গেল। হন হন করে রুমের ভেতর গেল। অমি একমাত্র দর্শক ছিল তাদের ঝগড়ার। সেও এখন হামি ছাড়ল মুখ হা করে। আবারো নিজেকে এলিয়ে দিল সে। নিঝুম বসে আছে। শান্ত জ্যাকেট পড়ে এসে বলল, “এই চলো!
“এই তো অশান্ত চলে এসেছে।
নিঝুমের হাতে একটা হ্যালমেট ধরিয়ে দিয়ে বলল, “পড়ো এইটা!
“এই অশান্ত আপনি আপনার বাইকে করে আমায় নিয়ে যাবেন।
“কেন? কোন সমস্যা?
“না না আমি কখনো কারো বাইকে উঠি নি। তাই খুব ইন্টারেস্টিং লাগছে। সত্যি সত্যি উঠাবেন তো।
“না, সাইনবোর্ড টাঙিয়ে রেখে দেব।
“এতো ত্যাড়াব্যাকা কথা বলে মুখ ব্যাথা হয় না আপনার।
“তোমার মুখ ব্যাথা হয় না এতো বক বক করে
“না শুধু গলা শুকিয়ে যায়।
“যাও তাহলে পানি খেয়ে আসো। এভাবেই দেরি হয়ে যাচ্ছে।
“আচ্ছা!
বলেই নিঝুম নাচতে নাচতে রান্না ঘরের দিকে গেল। অশান্ত’র একবারের জন্য মনে হলো নিঝুম তার বাড়িতে আসে নি, সেই বরং নিঝুমের বাড়িতে এসে বসে আছে। শান্ত বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে। নিঝুম ফিরে এলো। তার হাতে দুটো জুসের প্যাকেট! একটা অশান্ত’র হাতে দিয়ে বলল, “নিন গলা তো আপনার ও শুকিয়ে গেছে।
“তুমি এগুলোতে হাত দিলে শেষমেষ
“দুটোই এনেছি, এতে এমন ভাবে বলার কি আছে। আরো অনেকগুলো আছে। আর এভাবেও এটা আমার অনেক প্রিয়।
“আমারো!
“যাক এক দিক দিয়ে আমাদের মিল তো পাওয়া গেল।
শান্ত মুখ ভেংচি কাটলো।
চশমিস হেলমেট পড়তেই পারছে না, পারবে কি করে? হেলমেট কি করে পড়তে হয় সেটাই জানে না। কখনো এসব পড়েও নি, তবুও এরকম বাচ্চামি দেখে শান্ত সত্যিই অবাক। নিঝুমের জায়গায় অন্যকেউ হলে নিশ্চিত এমন করতো না। শান্ত ধরে বেঁধে তাকে হেলমেট পড়াল। সে বসল ঠিক শান্ত’র পিছনে। শান্ত বাইক স্টার্ট দিতে দিতে বলল, “শক্ত করে ধরে বসো!
নিঝুম “আচ্ছা” বলে মাথা নাড়ল। অশান্ত’র ঘাড়ে দুই হাত চেপে বসল। অশান্ত বাইক স্টার্ট দিল। বাইক চলছে নিজ গতিতে। পুরোটা সময় দারুন ভাবে উপভোগ করছে নিঝুয়। শান্ত ফাঁকে ফাঁকে তাকে দেখছে আয়নাতে। নিঝুম চোখ বন্ধ করে আকাশের দিকে মুখ করে আছে!
শান্ত এসে থামল নিঝুমের বাড়ির সামনে। রাস্তা বলে বলে নিঝুম তাকে নিয়ে এসেছে। শান্ত বাড়ির দিকে তাকিয়ে বলল, “এখানেই থাকো তুমি।
নিঝুম মাথা নেড়ে বলল, “হ্যাঁ ওই তিন তলার ফ্ল্যাটে! আচ্ছা অশান্ত আমি যাচ্ছি!
বলেই নিঝুম হাঁটা ধরল। শান্ত ডেকে বলল, “এই চশমিস।
“কি?
“আমার হেলমেট!
নিঝুম চোখ উপরে উঠিয়ে বলল, “ওহ হ্যাঁ তাইতো! হি হি সরি দিচ্ছি!
” 😒 , দাও!
নিঝুম হেলমেট খুলে শান্ত কে দিল। অতঃপর বলল, “টাঠা!
“টাটা।
বলেই নিঝুম চলে গেল। শান্ত সবে বাইক স্টার্ট দেবে তখনই হঠাৎ করেই নিঝুম দৌড়ে এলো। শান্ত চোখ বাঁকিয়ে বলল, “তুমি এখানে!
“হেলমেট খুলুন তো!
“কেন?
“দরকার আছে, খুলুন না!
“তুমি আমায় জ্বালিয়ে মা*রবে, ( হেলমেট খুলে ) বলো কি হয়েছে?
নিঝুম এক গাল হেসে শান্ত’র দুই গাল টেনে বলল, “থ্যাংকু!
“কেন?
“সবকিছুর জন্য! আজ আপনার জন্য আমার দিনটা দারুণ কাটল। থ্যাংকু।
অশান্ত অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। চশমিস চোখের চশমা টা ঠিক করে হাত নাড়িয়ে বিদায় দিচ্ছে তাকে। শান্ত বিস্মিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল সেদিকে।
#চলবে….