তোর_জন্য #sumaiya_moni #পার্টঃ০৬+৭

0
379

#তোর_জন্য
#sumaiya_moni
#পার্টঃ০৬+৭

নিলয়ের বলা কথাগুলো শুনে আদ্রিয়ানের ঘোর কাটছেনা। হাত-পা কাঁপা শুরু করলো,,,,,।

শেষ পর্যন্ত ওর বাবা এতটা নিচে নেমে গেলো!! কিভাবে পারলো এটা করতে! তাছাড়া নিলয়তো তার একটামাত্রই ভাগ্নে,,। নিলয়হীন ফুফুর রক্ত চলাচলই বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম হয়। তাহলে জেনেশুনে বাবা কিভাবে এটা করতে পারলো!!
তাছাড়াও বাবা কিভাবে পারলো আমাদের সবাইকে ঠকাতে!! কিভাবে পারলো আম্মুকে ঠকাতে!!!
ভেবেই আদ্রিয়ানের রাগে-কষ্টে চোখ দিয়ে নোনা জল বের হবার অবস্থা।
তবুও নিজেকে সামলে নিলয়কে কোলে নিয়ে ওর গন্তব্যে বের হলো।
আদ্রিয়ানের বন্ধুরা ভুত দেখার মতো আছে। ভয়ে কিছু বলছেনা,,,কি হতে পারে সামনে ভেবেই সবার কলিজা শুকিয়ে যাচ্ছে।

_______________________

রিয়াঃ খুব খুশি লাগছে তাইনা!!(রেগে)।

আমিঃ কিছুই বুঝতে পারলাম না। খুশি লাগবে কেন হঠাৎ!!
এই ডাইনির মনে হয় নিশ্চয় মাথা খারাপ হইছে।

রিয়াঃ কি কথা বলছিস না কেন!(রেগে)
শোন! আশ্রিতা আছো আশ্রিতার মতো থাকিস। একদম বাড়ির মালিকের দিকে চোখ দিবিনা।
তাছাড়াও এভাবে অন্যের বাড়িতে পরে থাকার কোনো মানেই হয়না।
কত টাকা লাগবে তোর! আমি দিচ্ছি,, কিন্তু দয়া করে এ বাড়ি থেকে চলে যা।
আর আমার আদ্রিয়ানের পিছুপিছু ঘুরবিনা।
যদি আমার কথা না শুনছো,, তাহলে আমার থেকে খারাপও কেউ হবেনা (রেগে)
ডাইনিটা কথাগুলো বলেই চলে গেলো।

~~আমি স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। টাকার জন্য আমি এ বাড়িতে পরে আছি!!
সত্যিই তো আদ্রিয়ান ভাইয়ার জন্যই তো ছিলাম।
কিন্তু আদ্রিয়ান ভাইয়াকে ছেড়ে আমি চলে যাবো!!
আমার তো অনেক কষ্ট হবে।কিন্তু ভাইয়ার!! তার তো রিয়াই আছে।(ভাবনার মাঝে আবারও ডাইনির আগমন)

রিয়াঃ একটা কথা বলতে ভুলে গেছি।
আমি তোকে এতক্ষন যে কথাগুলো বললাম,,,কেউ যদি একটুও জানতে পারছে তাহলে আমার থেকে খারাপ কেউ হবেনা বলে দিলাম।
তোর রুমে যে আমি আসছি,,তাও জেনো কেউ বুঝতে বা জানতে না পারে।

~আগে না হয় কোনো একটা কারনের জন্য এত অবহেলা পেয়েও ছিলাম।কিন্তু এখন আর এ বাড়িতে থাকার ইচ্ছা বা আশারা কোনোটিই নাই।

মাসুদ সাহেব একরকম দৌড়ে দৌড়ে নিলয়দের বাড়িতে গেলেন। কিন্তু তিনি যে ভয়টা পেয়েছিলেন ঠিক সেটাই হলো।আদ্রিয়ান সবকিছু জেনে গেছে!! নিলয়কেই বা কোথায় নিয়ে যাবে!!
ভয়ে মাসুদ সাহেবের গলা শুকিয়ে যাচ্ছে।

নিলয়য়ের সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে পেরে স্বস্তির নিশ্বাস নিলো আদ্রিয়ান। এখন বাকি কাজ গুলো ঠিকঠাক সমাধান করতে পারলেই শান্তি।

বাড়িতে আসার পরে মাসুদ সাহেবেকে না দেখে আদ্রিয়ানের মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেল। রাগে কটমট করতে করতে ফুফুর উদ্দেশ্য গেল।
আদ্রিয়ানের ফুফু চিন্তিত অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছেন। চোখেমুখে ভয় বিস্ময় নিয়ে আছেন।কিন্তু আদ্রিয়ানের কথায় তিনিও স্বস্তির নিশ্বাস নিলো। তার নিলয় ঠিক আছে!!ভেবেই আদ্রিয়ানকে জরিয়ে কান্না শুরু করলো।
আদ্রিয়ান কোনোরকম শান্ত করে চলে আসলো।

আদ্রিয়ান ঃ আম্মু ( রোহানা কে উদ্দেশ্য করে) তোমার সাথে খুব জরুরি কথা আছে।

রোহানাঃ এখন কোনো কথা শুনতে পারবোনা।। অনেক কাজ পরে আছে তোর জন্মদিনের জন্য।

আদ্রিয়ান ঃ আম্মু কথাটা শুনো আগে। কাজ পরেও করা যাবে,,কিন্তু কথাটি না শুনলে অনেক দেরি হয়ে যাবে।

রোহানাঃ বললামতো কোনো কথাই শুনছিনা।
এরই মধ্যে মাসুদ সাহেব চলে আসলেন।

মাসুদ সাহেবঃ এখন কোনো কথা হবেনা। কি বলো রোহানা??

রোহানাঃ হুম( মুখে হাসি লেগেই আছে)

আদ্রিয়ান বিস্মিত হয়ে আছে। এত আয়োজন কিসের!! জন্মদিনের অনুষ্ঠানের জন্য মানুষ এতটা ব্যস্ত থাকে!!
পরমুহূর্তেই আদ্রিয়ানের ভয় লাগলো,,,, ও যা ভাবছে তাইই করছেনা তো!!!
যা করার খুব তাড়াতাড়ি করতে হবে আমাকেও।

রুমে এসে আদ্রিয়ান পায়চারি করছে। কিভাবে কি করা যায়। আদ্রিয়ানের বন্ধুরা দুগালে হাত দিয়ে আদ্রিয়ানকে দেখছে।
অনেক্ষন ভাবনার পরে আদ্রিয়ান ও ওর বন্ধুরা পরিকল্পনা করে।

________________

রোহানা আন্টি অনেক্ষন আগে খাবার দিয়ে গেছেন।
এক কর্নারে রেখে বসে বসে ভাবছি কি করা যায়।কিভাবে যাওয়া যায় এই নরক থেকে।

রোহানা আন্টি কি বলে গেলেন!আদ্রিয়ান ভাইয়ার বিয়ে দিচ্ছে!
তার বিয়ে হবে,, আর আমি দেখবো!! তার থেকে আগেই চলে যাবো এ বাড়ি থেকে।
হাটুঁতে মাথা গুজে কান্না করছি। আদ্রিয়ান ভাইয়ার বিয়ে দেখার আগে চলে যাওয়াই ভালো। অজানা গন্তব্যে অথবা বাবা-মায়ের কাছে।

রাত ২টা প্রায়

বাড়ির সবাই প্রায় ঘুমিয়ে গেছে।
আমার ঘুম আসছেনা আসবেই বা কিভাবে ঘুমাইনি। অনেক চেষ্টা করছি এই বাড়ি থেকে পালাবার। কিন্তু সফল হচ্ছিনা।
এখন!!বাড়ির মেইন দড়জায়ই তালা লাগানো।
তাই আফসোস ও কষ্ট নিয়ে আবার স্টোর রুমে আসছি। এখন পর্যন্ত কিছু খাইনি।
কোনো শক্তি পাচ্ছিনা, শরীর দুর্বল লাগছে। তাই বিছানায় এলিয়ে দেয়া মাত্রই ঘুমের রাজ্যে পাড়ি দিলাম।

হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল। চোখ মেলে তাকানোর পরে অবাকের চরম পর্যায়ে পৌছে গেলাম।
আমি কি ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখছি!! নাকি রুপকথার রাজ্যে আসছি।

#চলবে

#তোর_জন্য
#sumaiya_moni
#পার্টঃ০৭

হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল। চোখ মেলে তাকানোর পরে অবাকের চরম পর্যায়ে পৌছে গেলাম।
আমি কি ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখছি!! নাকি সত্যিই অন্য কোনো রুপকথার রাজ্যে চলে আসছি।
আদ্রিয়ান ভাইয়া!! আমার পাশে বসে দুগালে হাত দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আর ঠোটে সেই দুষ্ট হাসিটা রয়ে গেছে। যা যে কাউকে মুহুর্তের মধ্যেই ঘায়েল করে দিতে পারে।
আমি ভূত দেখার মতো তাকিয়ে রইলাম। নিজের চোখকে বিশ্বাস করবো!!নাকি সামনের এই মানুষটিকে!!
তাড়াতাড়ি উঠে বসলাম। চারপাশে তাকিয়ে দেখি রুমটাও অপরিচিত লাগছে।
এবার সত্যি সত্যিই বলতে পারি আমি কোনো রুপকথার রাজ্যে আছি।
আমিতো ছিলাম স্টোর রুমে। আর এখন একটা রাজকক্ষে,,,তাও রাজপুত্র কাছে বসে আছে।
এটা কল্পনা বা স্বপ্ন ছাড়া কিছুই হবেনা।
তবুও নিজেকে নিজে শান্তনা দেয়ার জন্য রাজপুত্রকে একটু ছুতে ইচ্ছা হলো। সত্যি নাকি মিথ্যা দেখার জন্য।

আমার ভাবনায় আগুন ধরিয়ে ছাই করে দিল আদ্রিয়ান ভাইয়া।

আদ্রিয়ান ঃ সারাক্ষন জেগে জেগে স্বপ্ন না দেখে কাজের কাজ কর।

~আদ্রিয়ান ভাইয়ার হঠাৎভাবে এমন ধমকানো কথায় আমি লাফিয়ে উঠি।
আদ্রিয়ান ভাইয়া খিলখিল করে হেসে দেয়।
আমি ভয় পাইছি কিন্তু সে মজা নিচ্ছে। মেজাজই গেল খারাপ হয়ে। রাগ দেখিয়ে উঠতে যাবো,,, কিন্তু তা আর হলো না। কপাল আমার সাথে না। কারন আমি যখনই রাগ দেখিয়ে উঠতে যাবো তখনই আদ্রিয়ান ভাইয়া হেঁচকা টান দিয়ে আমাকে তার সাথে মিশিয়ে নিল।
তার এমন আচরনে আমি বাস্তবে নেই নিশ্চয় স্বপ্ন দেখছি। কিন্তু আদ্রিয়ান ভাইয়ার হার্টবিট তো অনুভব করতে পারছি। তাহলে এটা স্বপ্ন কিভাবে হয়।
আদ্রিয়ান ভাইয়া এবার আমার ভাবনায় পানি ঢেলে দিল,,,,,
সারাক্ষন এভাবে যদি স্বপ্ন দেখতে থাকো,, তাহলে সামনে মানুষটিও ভয় পায়,,,কই আমি কি তোমার মত লাফ দিয়েছি!! (বলেই মুখটা বাচ্চাদের মত করে রাখলো)
তার এমন কান্ড দেখে আমার খুব হাসি পায়,,কিন্তু অবাক না হয়ে পারছিনা।
তুমি!!! সে আমাকে তুমি বললো!!

আদ্রিয়ান ঃ সারাক্ষন এত কি ভাবো! এত ভাবাভাবির দরকার নাই। সময় আরও পরে আছে,,,তার জন্যও একটূ ভাবনা রেখো। ভাবনার আম্মু(বলেই চোখ টিপ মারলো)

এই ভাবনা টা কে!! আমিই বা আম্মু হবো কেন!(অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি)

তিনি কিছু না বলে আমাকে তৈরি হতে বললো। আমি তৈরি হয়ে কি করবো!! না কোনো বিয়ে খেতে যাচ্ছে, না নিজে বিয়ে করছি। এত রাতে কেউ তৈরিই বা হবে কেন!!
কিন্তু আদ্রিয়ান ভাইয়া এবার আমার মাথায়ই পানি ঢেলে দেয়।
এতরাতে পানি দিলে কেমন অনুভূতি, যার উপরে পড়ে সে বুঝে।
আমি করুনভাবে তাকিয়ে আছি তার দিকে।

আদ্রিয়ান ঃ পানি দেয়ার জন্য সরি ভাবনার আম্মু। সারাক্ষণ এত ভাবতে হবেনা। কিছুদিন পরে ভাবনাই সামনে চলে আসবে তখন ভেবো।
হাতে বেশি সময় নেই তারাতারি তৈরি হয়ে নাও।

এই ভাবনা টা কে!! আর আমিই ভাবনার আম্মু কেন হব!! আমার মেয়ের নাম হবে আদিবা মাহমুদ মিশমি(কথার তালে তালে বলেই ফেললাম)।কিন্তু পরক্ষণেই মুখটা হাত দিয়ে চেপে ধরলাম।
আদ্রিয়ান ভাইয়া ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে।
কিন্তু আমার কান্ড দেখে হোহো করে হেসে দিল। আর বললো,,,,,
~তো এতদুর চলছে(বলেই চোখটিপ দিল)

~তার কথায় আমি কিছুটা লজ্জা পেলাম। যা ছিল মনে ছিল এমন পাজি ছেলের সামনে বলা উচিত হয়নি। কেন যে বললাম,,,,,কিন্তু না বলেই বা উপায় কি! আমার তো কোনো দোষ নাই। তার নামের কারনেই তো আমি বলতে বাধ্য হইছি।
ভাবনার আম্মু!!! নামটা খারাপ না,, কিন্তু আমিই আম্মু হতে যাবো কেন!!

~আরও অনেককিছুই হবে, শুধু সময় লাগবে। ভাবনার আম্মু হবে, আদিবার আম্মু হবে, আদিলের আম্মু হবে। আরও কতো কি!! শুধু সময় লাগবে ভাবনার আম্মু। সারাক্ষণ এত ভাবতে হবেনা। তারাতারি তৈরি হয়ে নাও।মিটমিট করে হেসে
তিনি চলে গেলেন,,,,,,,
সাথে সাথে এনা আপু আসলো।
তিনি আমাকে কোনোভাবে তৈরি করে নিচে নিয়ে গেলেন। কি হচ্ছে আগামাথা কিছুই বুঝছিনা।
শুধু যে যেভাবে চালাচ্ছে আমিও চলছি।কিছু বললেই তো রাগ দেখাবে,,,এই আদ্রিয়ান এনাকন্ডার ভয়ংকর রাগ তো দেখছি। তাই আমি কিছু বলিনি,,,,ভাবছি যা বলবে তাই করবো।
কিন্তু একি!!! কি হচ্ছে এখানে!! খুশি হব!! নাকি জমানো অভিমান গুলো চোখের পানি দিয়ে মুছে ফেলবো বুঝতে পারছিনা।
একটা মধ্যবয়সী লোক পাঞ্জাবি পড়া, মাথায় টুপি, চুলগুলো হালকা মেহেন্দী দিয়ে কালার করা। সামনে কাগজপত্র,,,,
কি হচ্ছে এখানে!!
তার মধ্যে আদ্রিয়ান ভাইয়া একটা পাঞ্জাবি পড়া আছে। অ্যাশ কালারের,,,একবার তাকালে আর চোখ ফেরাতে ইচ্ছা করেনা। কিন্তু আমি তাকানো মাত্রই আদ্রিয়ান ভাইয়া আমার দিকে তাকিয়ে একটা চোখ টিপ দিলো।
আজকে নির্ঘাত তার চোখের সমস্যা হইছে। কথায় কথায় চোখ টিপ দিচ্ছে।
কিন্তু এখানে কি হচ্ছে ব্যাপারটা ভালোভাবে বুঝে নেই। তারপরে তার ট্রিটমেন্ট করা যাবে।

আমাকে আদ্রিয়ান ভাইয়ার পাশে বসানো হল। আমি বসা মাত্রই ওই লোকটা কি পড়ানো শুরু করলো।
বিয়ে!!! হ্যা ঠিক ভাবছি। আমি আদ্রিয়ান ভাইয়ার দিকে তাকালাম,,,সে একটা মায়াবী হাসি উপহার দিল। আর ইশারায় বুঝালো,,,ওই লোকটার কথায় যেন সম্মতি দেই। আমিও মাথা নাড়িয়ে হ্যা সূচক জবাব দিলাম।
!
আবারো ছেলে-মেয়েদের নামের মতো অবস্থা হল। সবকিছু বলার পরে মনে পড়ছে আমি কি করছি!
বিয়ে সম্পন্ন হলো। তখন বুঝতে পারছি আদ্রিয়ান ভাইয়া কি বলছিল তখন। বিয়েতে সম্মতি দিতে!! আর আমিও তার মায়াবী হাসির প্রেমে পরে হ্যা বলে দিলাম।
কিন্তু এতরাতে কাজী আনলো কিভাবে!! নিশ্চয় গুন্ডাদের মত ভয় দেখিয়ে আনছে।
আমি প্রশ্নটি যখন ছুড়ে দিব তখন এনা আপু বলে উঠলো।

এনাঃ ভাবী!!(বলেই হেসে দিল)

আমি তার দিকে তাকিয়ে লজ্জামাখা হাসি দিলাম। ভাবী!! বিয়ে হইছে আমার!!

এনাঃ উফফ তুমি সারাক্ষণকি ভাবনার জগতে থাকো!! এত কি ভাবছো সারাক্ষণ!!
আমি তোমার বরের গুডফ্রেন্ড। আমাকে বলতেই পারো।

~আসলে ওই কাকাক,,,,(কথার মাঝেই)
আদ্রিয়ান ঃ এত কাকা করতে হবেনা। ময়নাপাখি (বলেই খিলখিল করে হেসে দিল। সাথে তার বন্ধুরাও হেসে দিল)

~আজকে নিশ্চিত এই মানুষটার মাথায় কোনো গন্ডগোল হইছে। শুধু আবোলতাবোল বলেই যাচ্ছে। তাদের হাসাহাসি দেখে আমি মুখ গোমড়া করে আছি,,,বদমাশ ছেলে,শুধু পাগলদের মতো ব্যবহার করে।হুহ,,,,,

আদ্রিয়ান ঃ আচ্ছা এত অভিমান করতে হবেনা সরি।
ওই বুড়ো আংকেলকে বাসা থেকে নিয়ে আসছি।
নিলয়ের বন্ধুর বাবা হয়।নিলয়কে অনেক ভালো জানে।তাই নিলয় সবকিছু খুলে বলা মাত্রই চলে আসছে।

এখন আর একমুহূর্ত সময় নষ্ট করতে চাইনা। বাড়িতে যেতে হবে,,,বিপদ হতে বেশি সময় লাগেনা। তাই আগে থেকেই সাবধান হওয়া ভালো।

কিন্তু আমিতো ঘুমিয়েছিলাম। তাহলে এখানে আসছি কিভাবে?

আদ্রিয়ান ঃ তা জানার জন্য সময় আছে। এখন আপাতত ভাবতে থাকো। তোমার ভাবনাকে নিয়ে।

আমিঃ হুহ,,,,
___________________

দাড়োয়ান কাকা!! সে অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য!!
এতক্ষনে বুঝলাম। দাড়োয়ান কাকার সাহায্য নিয়ে সদর দড়জা দিয়ে বের হইছে। শুধু শুধু হিরোগিরি করার মানে হয়না। এভাবে সাহায্য পেলে আমিও বের হতে পারতাম।

আদ্রিয়ান ঃ অনেক চেষ্টা করছো পারলেনা তো(মুখ গোমড়া করে)
আমায় ছেড়ে পালানোর বুদ্ধি ঘুরে সবসময় মাথায় তাইনা!!(একটু রাগ ও অভিমান মিশ্রিত)

আমি জবাবে কিছুই বললাম না। সত্যিই তো তাকে ছেড়ে পালানোর বুদ্ধিই তো।

বাড়িতে পা রাখার সাথে সাথে লাইট জ্বলে উঠলো,,,,,,,

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here