#তোর_জন্য
#sumaiya_moni
#পার্টঃ১২
এতক্ষন চোখ বন্ধ করে ছিলেন। গান শেষে চোখ খুলে আমার দিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হাসি দেয়।
এমনিতেই বারবার তার প্রেমে পড়ি। এখন গান শোনার পড়ে তো সেকেন্ডে সেকেন্ডে পড়তে ইচ্ছা করবে। গানের প্রতিটি কথায়, প্রতিটি সুরে তিনি আমায় কল্পনা করছেন।
আমি মুগ্ধনয়নে দেখছিলাম তাকে। হটাৎ আদ্রিয়ান এসে ফিসফিসিয়ে বলছে,
এভাবে তাকিয়ে থাকতে নেই তোতাপাখি নজর লেগে যাবে তো(বলেই চোখ টিপ দিলো)
আমার ইচ্ছা করছে মাটি দুইভাগ করে মাটির নিচে ঢুকে যাই৷ হুহ!! আমি তাকালে তার নজর লেগে যাবে!!
কই এত মেয়েরা যে তাকাচ্ছে বারবার তখন তো কিছু বলছেনা,,,,।তখনতো ভালোই লাগছে তার।
সবকিছু আমার বেলায়ই, তাকাবোনা আমি,,,,।
অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে ফেললাম, এই লুচু বজ্জাতকে না দেখলে আমার কিছু হবেনা। তাকে দেখার অনেকে আছে।
আদ্রিয়ান ঃ আরে আরেহ তোতাপাখি রাগ করছো কেন! আমিতো মজা করছি।
আমিঃ হুহ
আদ্রিয়ান ঃ তাকাবেনা আমার দিকে!!!
আমিঃ নাহ।
আদ্রিয়ান ঃ সত্যি তো?
আমিঃ হ্যা। একশো পার্সেন্ট সত্যি।
আদ্রিয়ান ঃ দেখো ওই মেয়েটা কি সুন্দর, একদম হুরপরীর মতো লাগছে।
আমিঃ (চোখ বড়বড় করে তাকালাম তারদিকে) কোন মেয়েটা তাকাচ্ছে?
আদ্রিয়ান ঃ এই যে অ্যাশ কালারের শাড়ি পড়া মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়েছিলো(আমাকে উদ্দেশ্য করে)।
আমিঃ শয়তান পোলা(রেগে) তাকাবোইনা,,, বলেই আদ্রিয়ানের কাছ থেকে দূরে সরে যেতে চাইলাম। তখনই আদ্রিয়ান আমাকে হেঁচকা টান দিয়ে তার কাছে নেয়।
(এর লজ্জা-শরম কিছু নাই,,, কিন্তু আমারতো আছে। এই পাব্লিক প্লেসেও এভাবে করা লাগে!!)
কিছু বলতে যাবো তখনই একহাত দিয়ে আলতোভাবে আমার কোমড় ধরে, অন্যহাত দিয়ে আমার ঠোঁটে স্লাইড করছে।
হঠাৎ লাইট অফ হয়ে যায়।হালকা রঙিন মৃদু আলোয় তাকে দেখছি, অপলকভাবে তাকিয়ে আছে আমারদিকে।
আমিও দেখছি একটা মায়াবী মুখ। ছেলেরা এত মায়াবী হয় আগে জানতাম না,,,,।
আবারও তিনি বলে উঠলেন,,,,
আমার কথা শুনে তো রেগে গেলে,আমি মিথ্যা বলিনা, এখন দেখছোতো!! এই অ্যাশ কালারের শাড়ি পড়া মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
!
~তো!! অন্যকারো তাকানো আশা করেছিলেন নাকি!!
~হ্যা(বলেই জিহবায় কামড় দিলো)
~কি(ভুরু কুঁচকে তাকিয়ে)
~আরে আমি বলছিতো অন্যকারো তাকানো আশা করিনি।
~সেটা ভালোই শুনছি
রাগ দেখিয়ে চলে আসতে যাবো তখনই লাইট জ্বলে উঠে। সাথে চারিদিক থেকে ফুলের ছড়াছড়ি পড়ছে আমাদের উপরে।
আমি আদ্রিয়ানের দিকে তাকালাম। সে আমার দিকে তাকিয়ে আবারও মুচকি হাসলেন।
তারমানে এতক্ষন এই প্লানিং চলছিলো!
আমি সত্যিই খুব ভাগ্যবতী, কারন এমন একজনকে আমার জীবনে পেয়েছি।
~কংগ্রাচুলেশনস মি. &মিসেস আদ্রিয়ান মাহমুদ।
সামনের দিকে তাকিয়ে দেখলাম একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে বলছে।
আমিতো এর আগে কখনো দেখিনি, হয়তো তার ফ্রেন্ড হবে। জিন্স – টপস পড়া, চুলগুলো এলোমেলো সিল্কি চুল কোমড় অবধি ছুঁয়ে গেছে, উচ্চতা ৫’৩” এর মতো।
আমার মনে হয় কোনো নায়িকাদের সৌন্দর্যের সাথে যদি তাকে তুলনা করা হয়,,,তাহলে তিনিও হার মানবেনা।
মেয়েটাকে দেখেই আদ্রিয়ান হেসে চলে গেল, সাথে সাথে মেয়েটি তাকে জরিয়ে ধরলো, তিনি কিছু বললেন না।
কি চমৎকার দৃশ্য! বউ দাঁড়িয়ে আছে অথচ সে অন্যএকজনের সাথে জরা জরি করছে। বন্ধু হতেই পারে,,তাই বলে এভাবে!!!
!
রোহানা আন্টি তার আত্নীয়দের সাথে আমায় পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু এদিকে আমার কোনো খেয়ালই নাই,,আমার সমস্ত মনযোগ আদ্রিয়ানের কাছে।
কি কথা বলছে এত!! বিশ মিনিট যাবৎ তারা কথা বলছে, এখন মাঝে মাঝে হাসছে। আর আমার দিকে তাকাচ্ছে।
আমি কোনো পড়োয়া না করে অন্যদিকে তাকালাম। এতক্ষনে আমার কথা মনে পড়লো!! তাও ওই মেয়েটার সাথেই আছে,,আমার কাছে তো আসলো না।
এই মানুষটিকে সত্যিই আমি বুঝতে পারিনা, পুরাই গিরগিটির মতো। ক্ষনে ক্ষনে রূপ পরিবর্তন করে।
আমিও তার বউ,,, আমিও কম যাই কিসে। আমিও নিজেকে পরিবর্তন করতে পারি।
এতদিন রিয়া ছিলো এক আপদ বিদায় করতে,, আরেক আপদের আমদানি।
!
পুরো অনুষ্ঠানে তিনি দুইবার আমার কাছে আসছিলো। একবার কেক কাটার সময়,,, অন্যএকবার কাপল ছবি তোলার সময়ে।
বাহ! কি সুন্দর দৃশ্য,, মুহুর্তের মধ্যেই আমায় ভুলে গেছে।
—————————————-
রোহানা বেগম বেশ চিন্তিত হয়ে আছেন। সাথে আদ্রিয়ানের ফুফুও।
মাসুদ সাহেব অনুষ্ঠান ছেড়ে ছুটতে ছুটতে কই যেন চলে গেছেন। রোহানা বেগম ও আদ্রিয়ানের ফুফু এতবার জানতে চাইলো কিন্তু মাসুদ সাহেব কিছু বললেন না।
কোনো একটা বিষয় নিয়ে তিনি ভয় পেয়ে আছেন।
তিনি বাসা থেকে বের হওয়ার কিছুক্ষন পরেই আদ্রিয়ান তাকে ফলো করতে বের হয়। যদিও এর আগে থেকেই আদ্রিয়ান লোক ঠিক করে রেখেছে ওর বাবাকে ফলো করার জন্য। তাই অনুষ্ঠান শেষেই আদ্রিয়ান গেল।
!
আদ্রিয়ান এতক্ষন যে মেয়েটির সাথে হেসে হেসে কথা বলছিলো, সেই মেয়েটি হলো আদ্রিয়ানের ফ্রেন্ড। মেয়েটির নাম মোহনা।
কিন্তু মেয়েটিকে আশিকের কলিগও বলা যায়।
ডিটেক্টিভ অফিসার!!! আশিক ও মোহনা দুজনেই।
রোহানা বেগম আদ্রিয়ানের ঘরে যাকিছু দেখছিলো সবকিছুই আশিকের। আদ্রিয়ান জানে,, যদি ওর বাবা মাসুদ সাহেব জানতে পারেন আশিক একজন ডিটেকটিভ অফিসার। তাহলে নিশ্চয়ই তিনি কোনো গন্ডগোল লাগাবেন। তাই আদ্রিয়ান আশিকের সনদ-পত্র ওর কাছে রেখে দেয়।
রোহানা বেগম সেইগুলোই দেখে বুঝেন আদ্রিয়ান একজন গোয়েন্দা অফিসার।
আশিক বাংলাদেশেরই ছেলে,,,কিন্তু যখন আশরাফ সাহেব ও আফসানা বেগমের খুনের তদন্তের পুনরায় জেগে উঠলো তখনই আশিক সবকিছু মাথা পেতে নেয়। নতুন চাকরিতে জয়েন্ট করেই তদন্ত শুরু!!আদ্রিয়ানও না করেনি,,,ও জানে আশিক যে কাজটা করে তা সম্পুর্ন দায়িত্ব সহকারেই।
আদ্রিয়ানের সাথে আসার পরে এখনও নিজ বাড়িতে পা রাখেনি আশিক।
—————————————-
রাত ১২ টা বেজে ১ মিনিট তখন থেকে বউ সেজে অপেক্ষা করছি আমার বরের জন্য।
কি ভাড়ি লেহেঙ্গা, খুব অসহ্য লাগছে কিন্তু যার জন্য এখনও অপেক্ষা করছি তার কোনো চিহ্নমাত্র নেই।
এখন ১টা বেজে ১৬ মিনিট এতক্ষন তার জন্য অপেক্ষা করছি।
সে তো বলেই যেতে পারতো আমি আসতে পারবোনা, শুধু শুধু আমাকে কষ্ট দেয়ার মানে আছে কোনো!!!
এত অপেক্ষা করা আমার পক্ষে সম্ভব না, আমি ঘুমিয়ে পড়লাম।
রোহানা বেগম চিন্তিত হয়ে বসে আছেন, আদ্রিয়ান সেই কখন গেছে এখনও কোনো নামমাত্র নাই।
মেয়েটিকে শুধু শুধু বসিয়ে রাখছি। তিনি কথাগুলো ভাবছেন আর বারবার দড়জার দিকে তাকাচ্ছেন।
তার পাশেই বসে আছেন অন্যান্যরা। শুধু নেই আশিক, মোহনা, আদ্রিয়ান।
—————————————-
রাত ১ টা বেজে ২৫ মিনিট
একটা ভাঙা ২ তলা বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছে আদ্রিয়ান, মোহনা, আশিক।
যদিও মোহনাকে আসতে বলেনি, এত রাতে একটা মেয়ে বাইরে থাকবে সেটা কারোই ভালো লাগবেনা।
কিন্তু মোহনার এককথা দায়িত্বে যখন পড়ছে শেষ পর্যন্ত পাশে থাকবে।
এত রাতে এই বাড়িতেই বা মাসুদ সাহেবের কি কাজ থাকতে পারে!! তাকে অনুসরণ করতে করতে ওরাও আসছে।
এখন ধৈর্যের সীমা অতিক্রম হয়ে গেছে, কতক্ষন মানুষ দাঁড়িয়ে থাকতে পারে এভাবে!! সাথে মশা তো আছেই, বিনা টিকিটেই মহাকাশ ভ্রমন করাতে পারবে।
আদ্রিয়ান বিরক্ত হয়ে বাড়ির উদ্দেশ্য পা বাড়ালো। আশিক ও মোহনা বারন করছে তবুও আদ্রিয়ান ওদের কথা শুনলো না।
তাই বাধ্য হয়ে আশিক ও মোহনাও আদ্রিয়ানের সাথে তাল মিলিয়ে বাড়ির দিকে হাঁটা শুরু করলো,,,
ভাঙা জানালা দিয়ে ভিতরে কি হচ্ছে দেখার জন্য আদ্রিয়ান সামনে এগোলো।
সাথে সাথে ওর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার উপক্রম।
মাসুদ সাহেবের মত আরও একজন সামনে দাঁড়িয়ে আছেন!!
আমি তো কখনো জানতাম না যে আমার কাকা আছে। তাও আব্বুর জমজ ভাই! আদ্রিয়ানের ঘোর কাটছেনা।
যা দেখছে তা সত্যি!! নাকি আড়ালে যা আছে তা সত্যি।
এর সমস্ত উত্তর ওর বাবা মাসুদ সাহেবই দিতে পারবেন।
আশিক ও মোহনা বিষ্ময়কর হয়ে তাকিয়ে আছে ঘটনা বুঝার জন্য।
এরমধ্যে অট্টহাসিতে হেসে উঠলো মাসুদ সাহেব রূপি আরেকজন।
মাসুদ সাহেব আকুতি -বিনতি করছে কিন্তু সামনের মানুষটি তার কথার পড়োয়া না করে অট্টহাসিতে হেসে উঠলো।
ঘটনার আকস্মিকতায় এবার আদ্রিয়ানও চমকে গেল।
বেশ কিছুক্ষন পরে মাসুদ সাহেব বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলেন। কিন্তু ওই লোকটি এখনও হেসেই যাচ্ছে।
এবার আশিক ও মোহনার কথায় আদ্রিয়ানকেও বাড়ির পথ ধরতে হয়।
সবকিছু গোলমেলে হয়ে গেছে, ভাবছিলো এক কিন্তু এখন অন্যকিছু হতে যাচ্ছে।
শর্টকাট রাস্তা ধরে বাড়ির উদ্দেশ্যে পা বাড়ালো ওরা। মাসুদ সাহেবের আগে পৌঁছাতে হবে, নয়তো সবকিছু শুরু হওয়ার আগেই শেষ হয়ে যাবে।
—————————————-
আদ্রিয়ান রুমে যেয়ে দেখে মনি ঘুমিয়ে আছে।
আজকে বাসর রাত!!! এভাবে তাড়াহুড়ো করে ছুটতে ছুটতে কিছুই মনে ছিলোনা আদ্রিয়ানের।
নিশ্চয়ই কপালে দুর্ভোগ আছে।
কিন্তু পরক্ষণেই বললো মনির দিকে তাকিয়ে,,,,
যা কিছু করছি সবই তো #তোর জন্য।
এখন একটু কষ্ট কর, পরে সবকিছু পুষিয়ে দিবো কথাগুলো বলে আদ্রিয়ানের ঘুমন্ত মায়াপরীর কপালে আলতোভাবে চুমু খেল।
তারপর জরিয়ে ঘুমিয়ে পড়লো আদ্রিয়ান।
.
.
সকালে ঘুমঘুম চোখে উঠতে যাবো কিন্তু মনে হলো কারো বুকে খুব যত্ন-সহকারে আছি।
তাই চোখ বন্ধ করেই অনুভব করছি, তার হার্টবিট শুনতে পাচ্ছি। কিন্তু ঘুমন্ত অবস্থায় এত হার্টবিট চলে!! নিশ্চয়ই কোনো গন্ডগোল আছে,,চোখ মেলে তাকিয়ে দেখি বজ্জাতের বুকে আছি।
আমায় কষ্ট দিয়ে এখন খুব শান্তিতে ঘুম হচ্ছে!! রেগেমেগে উঠতে যাবো, তখনই ছেলেদের মায়াবীমুখ চোখে পড়লো।
ছেলেরাও মায়াবী হয়!!! আমার সামনে যিনি আছেন তাকে দেখলে বুঝতে পারি এখন, ছেলেরাও মায়াবী হতে পারে।
কিছুক্ষন তাকিয়ে তার নাকের সাথে নাক ঘেঁষে উঠতে যাবো তখনই তিনি আরও শক্তভাবে আমাকে তার সাথে মিশিয়ে নিলো।
!
কি মহা ঝামেলায় পড়লাম! এত বেলা হইছে এখনতো ঘুম থেকে উঠা উচিৎ। কিন্তু এই বজ্জাতের জন্য কিছুই পারছিনা।
জেগে থাকলেও টানাটানি শুরু করে আবার এখন ঘুমন্ত অবস্থায়ও শুরু করছে।
!
কিন্তু আমি তাকে পড়োয়া না করে উঠতে যাবো ঠিক তখন আবারও আমাকে আগের থেকেও শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে।
আদ্রিয়ান ঃ এত তাড়াহুড়ো কিসের শুনি!! একটু ঘুমোতে দাও।
আমিঃ তো ঘুমাবেন। আমাকে তো উঠতে দিবেন।
আদ্রিয়ান ঃ তুমি থাকবেনা আর আমি ঘুমাবো?
দেখতে পারছোনা কত শান্তিতে ঘুমাচ্ছিলাম। দিলে তো ঘুম ভাঙিয়ে। এখন শাস্তি তো পেতেই হবে(বলেই দুষ্ট হাসি দিলো)
আমি তার কথার ধরন বুঝতে পারছি। কিন্তু গতকালের ঘটে যাওয়া সবকিছু মনে পড়লো,,,
ওই মেয়েটির সাথে জরাজরি করছে, তারপর আমায় বসিয়ে রাখছে তার কোনো হদিস ছিলোনা।
এখন আমি কেন তার কথায় পাত্তা দিতে যাবো!!
আমি উঠতে যাবো তখনই,,,,,,,,,
আদ্রিয়ান ঃ গতকালকের জন্য রেগে আছো??
আসলে একটা কাজ ছিলো,, তাই বুঝতে পারিনি।
আমিঃ আমার বেলায়ই তো সব কাজ। আমি তাকালে সমস্যা হয়, অন্যকেউ জরাজরি করলেয কিছু হয়না(অভিমান করে)
আদ্রিয়ান আবারও আমার মাথাটা তার বুকের সাথে শক্ত করে ধরলো,,,,,,,
আদ্রিয়ান ঃ আমার বউ অভিমানও করতে পারে!!! আগে জানতাম না তো।
আমিঃ হুহ
আদ্রিয়ান ঃ আসল কথা হলো,,,,,
আমার সাথে অন্য কাউকে দেখলে হিংসে হয়!!আমার মতো হতে চাও!!(বলেই হেসে দিলো)
~এমনিতেই মেজাজ খারাপ, এখন আবার এমন কথা বলছে।
ওই বজ্জাত ছাড়বি তুই!! আমি উঠবো এখন।
আদ্রিয়ান ঃ (ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে)
স্বামীকে তুই করে বলতে নেই পাপ হয়।
আমিঃ তোর পাপের পিন্ডি চটকাই (রেগে)
আদ্রিয়ান ঃ বউ আমার সাংঘাতিক রেগে আছে মনে হয়।
রাগ ভাঙাতে পারি!! যদি সম্মতি দিন মহারানী।
আমিঃ রাগের গুষ্টি কিলাই(রেগে)
আমার রাগ কারো ভাঙাতে হবেনা।
আপনার তো অনেকে আছে,,, তাদের কাছেই যেতে পারেন। আমি তো কেউ না(অভিমান করে)
#চলবে
( ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।)