ফ্লুজি #অনুপ্রভা_মেহেরিন [পর্ব সংখ্যা ৫]

0
566

#ফ্লুজি
#অনুপ্রভা_মেহেরিন
[পর্ব সংখ্যা ৫]

” তোকে আরশাদ দিয়ে গেল না?”

“হ..হ্যা মানে..”

” ছেলেটা কোথায়?”

খুশবু থমকে গেল।মায়ের মুখে আরশাদের নামটা এত সহজ লাগছে কেন?হাবভাবে মনে হলো ভীষণ ভাবে চেনেন তিনি।আনিমা খুশবুকে রেখে এগিয়ে গেল দরজার কাছে আরশাদকে প্রথম দেখায় চিনতে বেশ বেগ পোহাতে হলো না অনিমার।বাঙালিদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা গোছের ছেলে আরশাদ তার মাঝে ভীনদেশি ব্যপারটা বৃদ্ধমান।আরশাদ মিষ্টি হেসে কুশুল বিনিময় করলো অনিমার সাথে।খুশবুর আতঙ্কিত মুখটা দেখে বেশ হাসি পেল ছেলেটার।

” আন্টি আপনি খুব মিষ্টি।”

অনিমা লজ্জায় চোখে হাসলেন।চেয়ার টেনে বসতে দিলেন আরশাদকে।

“তুমি আমার জীবন বাঁচালে বাবা।আমার এই একটাই মেয়ে।ওঁকে ছাড়া আমরা আমাদের বাঁচার কথা ভাবতেই পারি না।”

” কিন্তু আপনার মেয়ে সেই কৃতজ্ঞতা রাখেনি আন্টি।এই যে দেখুন আমার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে।তিনটা স্টিচ লেগেছে।”

” সেকি… ”

আরশাদ হাত ইশারায় অনিমাকে বিচলিত হতে বারণ করে।খুশবুর মুখে তাকি বলে,

” আপনার মেয়ে আমাকে চিনতে পারেনি আন্টি।গতকাল উনাকে দেখালাম বিয়ের লেহেঙ্গা নিয়ে ছুটাছুটি করছে।পেছন থেকে কয়েকটা ছেলে তার পিছু নিয়েছিল তাই আমি গাড়িতে তাকে লিভ দিলাম। আমি উনাকে চিনতে পেরেছি।পেপারে তো উনার ছবি বেরিয়েছে।যে খুঁজে দিতে পারবে তাকে সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়া হবে।উনাকে পেয়ে আমি আপনাকে ফোন করি এবং সবটা জানাই।ভালো করেছিনা আন্টি?”

ইনোসেন্ট মুখ নিয়ে অনিমার পানে তাকালো আরশাদ।অনিমার চোখ ঝাপসা।অপরদিকে খুশবুর সবটা মাথার উপর দিয়ে গেল। সে মায়ের হাত ধরে ঝাকিয়ে বলে,

” আমার ছবি পেপারে কি করছে আম্মু?”

” বিয়ের পরদিন তোর কোন খোঁজ না পেয়ে তোর মামা পেপারে তোর ছবি ছাপিয়েছে নিখোঁজ সংবাদ হিসেবে। আমরা কি করবো বল তোকে হারিয়ে পা গ ল হয়ে যাচ্ছিলাম।”

খুশবু চোখ গরম করে তাকায় আরশাদের পানে।কি সুন্দর ইনোসেন্ট মুখখানি ভাজা মাছটা উল্টে খেতে যানে না।আসলে যে এই ব্যাক্তি কাঁচা মাছ গিলে খায় জাতি কি তা জানে?
আরশাদ অনিমাকে বলে,

” আন্টি আপনার ফ্যামিলি ঝামেলা আমার জড়ানো ঠিক নয় তারপরেও জানতে চাই কি হয়েছিল বিয়ের দিন?”

” বর যাত্রী আসার আগে রোহানের প্রেমিকা এসে অনেক ঝামেলা করেছে বিয়ে বন্ধের জন্য।মেয়েটা নাকি বারবার হুমকি দিয়েছে যে করে হোক সে বিয়ে ভাঙবে।রোহান যদি তার না হয় তবে কোন মেয়ের হবে না।এসব আমরা তখনো জানতাম না।হঠাৎ খুশবু নিখোঁজ থানা পুলিশ করে আমাদের জান যাওয়ার অবস্থা।চারদিক থেকে কথা শোনাতে কেউ কম শোনায়নি,সবাই আমার মেয়েটাকে দোষারোপ করেছে।মেয়েটার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।খুশবুর মামারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন রোহানের প্রেমিকার কথা,সেই সব হুমকির কথা। আমাদের আর বুঝতে বাকি নেই খুশবু নিখোঁজের পেছনে ওই মেয়ের হাত আছে।”

” আপনারা সেই মেয়েকে ধরেননি কেন?”

” পুলিশ অনেক খুঁজেছে তাকে,কোথায় আছে কে জানে।তবে এই মেয়েকে যদি পাই তার কাছে আমার একটাই প্রশ্ন থাকবে যদি বিয়ে ভাঙার ইচ্ছে থাকতো বিয়ের আগে আমাদের সবটা জানালেই পারতো বিয়ের দিন এসব নাটক, ছিহ!”

ঘৃণায় মুখ কুচকালেন অনিমা।খুশবু এতক্ষণ সবটাই মন দিয়ে শুনলো।এসব যে আরশাদের কারসাজি তার বুঝতে তো বাকি নেই।একবার যখন সে নিজের নিড়ে ফিরেছে তখন আরশাদের কোন পরিকল্পনা সফল হতে দেবে না সে।অনিমার চোখের দিকে তাকিয়ে খুশবু বলে,

” আমি যদি বলি আমার সাথে এসব ঘটেনি মা।তুমি জানলে…..”

দরজায় এসে দাঁড়ায় খুশবুর মামি।খুশবুকে দেখে তিনি ভূত দেখার মতো তাকিয়ে রইলেন কয়েক সেকেন্ড।অনিমা টেনে আনলো ভাইয়ের বউকে,

” দেখো নেহা আমার খুশবু এসেছে।”

নেহা চমৎকার হাসলো।ভিজে এলো তার দু’চোখ।খুশবুকে বুকে জড়িয়ে আর ছাড়তেই চাইলেন না।কোলের ছোট্ট বাচ্চা মেয়েটা ফুপি ফুপি বলে ছুটে গেল অনিমার কোলে।আরশাদ বাচ্চাটাকে দেখে এগিয়ে গেল, আদুরে এই বাচ্চাটাকে কোলে না নিয়ে থাকা যায়?

” এই যে লিটল ফেইরি নাম কী তোমার?”

অনিমা আরশাদকে উদ্দেশ্য করে বলেন,

” আমার ভাইঝি নাম নুহা।আর উনি আমার ভাইয়ের বউ নেহা।তুমি আন্টি বলে ডাকতে পারো।”

আরশাদ তার ভাঙা বাংলায় কুশল বিনিময় করলো নেহার সাথে।ভিনদেশি মানুষ দেখে ভীষণ অবাক হলেন নেহা, আনিমার কাছে ইশারায় জানতে চাইলো কে উনি?আরশাদ চোয়াল শক্ত করে খুশবুর দিকে তাকিয়ে আছে।মেয়েটা একটু আগে ঠিক কি করতে চাইছিলো তা বেশ ভালো ভাবে বুঝতে পেরেছে আরশাদ।

” আন্টি আঙ্কেল কোথায়?”

” কিছু টেস্ট করার আছে তাই খুশবুর মামা নিয়ে গেছে তাকে।চলে আসবে তুমি একটু অপেক্ষা করো।
.

পর পর দুটো চড় গালে পড়তে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে রোহান।হসপিটাল থেকে তাকে যে অনিমা অপমান করে তাড়িয়ে দিয়েছে এসব কথা মাকে বলায় তিনি যেন আরো বেশি ক্ষুব্ধ হলেন।

” তোকে কি বলেছিলাম বিড়ালের মতো বেহায়া হতে হবে এমনি এমনি বাহারুল হক মেয়ে দেবেন না।”

” মা আমি আর কি করতে পারি?বিয়ের আগে থেকে খুশবুকে এক্সট্রা কেয়ারের নাটক দেখে সবার চোখের মনি হয়েছিলাম আর এখন…জানো খুশবু একটা বোকা মেয়ে ওঁকে আমি নিশ্চয়ই মানিয়ে নিতে পারবো।”

” তোর গার্লফ্রেন্ডের কোথায়?”

” জানি না।যোগাযোগ নেই আমার সাথে।”

” প্রেম করতে গেলি কেন ওর সাথে?প্রেম যখন করলি শুতে গেলি কেন?শুতে যখন গেলি তখন তোদের জন্য বাজারে…”

রোহানের মা থেমে গেলেন।গাল ভরতি থুথু ছুড়ে ফেললেন ছেলের মুখে।অর্থ কড়ি সম্পদ তাদের কম নেই।কিন্তু তিনি ছেলের বউ এমন চান যেন ভবিষ্যৎ ভাগিদার একমাত্র তার ছেলে হতে পারে।খুশবুর কোন ভাই বোন নেই বাবার অর্থ সম্পদ সবটাই একমাত্র মেয়ের দখলে যাবে তাই তো খুশবুর সাথে বিয়ে নিয়ে এতটা মাথা ব্যথা রোহানের পরিবারের।

” খুশবুর মতো মেয়ে হাত ছাড়া করেছিস মানে বিশাল লসে পড়েছিস মাথায় রাখবি।”

” আমি খুশবুকে ঠিক মেনেজ করে ফেলবো মা।চিন্তা করো না।”
.

নেহার সাথে কথায় বিভোর খুশবু আর খেয়াল করলো না আরশাদ কোথায় কিংবা আরশাদের কোলে থাকা নুহা কোথায়।হঠাৎ অপরিচিত ফোনের রিংটোনে চমকে গেল সবাই।বেডে থাকা খুশবুর রাখা প্যাকেটটি থেকেই শব্দ আসছে।খুশবু বুঝতে পারলো এটা তো আরশাদের দেওয়া ফোন।দুইচার না ভেবে ফোন তুললো সে।নাম্বারটা আরশাদ নামে সেভ করা ছিল বলে সবার থেকে আড়ালে গিয়ে ফোন তুললো খুশবু।

” হ্যালো কে বলছেন?”

” ফ্লুজি নাম্বার সেভ করাই ছিল আবার জানতে চাইলে কেন?আজকাল কি সব ভুলে যাও?”

” বাজে কথা না বলে ফোন করেছেন কেন?”

” বাজে কথা আমি বলি নাকি তুমি বলো?তখন আন্টিকে কি বলতে চাইছিলে?”

” সবাইকে সবটা জানাবো আমি।আপনি আমাকে গতকাল খুজে পেয়েছেন?নাকি সেই বিয়ের দিন থেকে একের পর এক ঝামেলা আপনি করেছেন।”

” আমার জান তুমি খুব বোকা।রোহানের সাথে যা যা হয়েছে এগুলো সবটাই আসল ছিল কোনটাই নকল না।মাঝখান থেকে আমি তো তোমাকে বাঁচিয়ে দিলাম সবাই এখন দোষ দিচ্ছে, রোহানের গার্লফ্রেন্ড তোমার ক্ষতি করতে চেয়েছিলো তাই তুমি নিখোঁজ ছিলে।এখন যদি রোহানের গার্লফ্রেন্ডকে উপস্থিত করা হয় সে যদি বলে,তোমার কোন ক্ষতি সে করেনি তখন?”

” তখন আর কি আমি সবাইকে বলে দিব আপনি আমায় নিয়ে গেছিলেন।”

“আমার জন্য বেশ উপকার হবে ব্যপারটা।আমিও সবাইকে বলে বেড়াবো তোমার আর আমার সম্পর্কের কথা।এটাও বলবো তুমি আর আমি এক বাড়িতে স্বামী স্ত্রীর মতো ছিলাম।”

” আরশাদ লিমিট ক্রস করবেন না।”

” লিমিট ক্রস তুমি করেছো বলেই আজ আমি এ পার্যায়ে এসে ঠেকেছি।এতটা মিথ্যাচার কর‍তে পারলে আমার সাথে!ফ্লুজি আমার ভালোবাসার সুযোগ নিয়েছিলে তুমি।বাদ দিলাম সেসব কথা। আমাদের শর্তের কথা ভুলে যাওনি তাই না?বাবা মাকে মানিয়ে তুমি আমাকে বিয়ে করবে।”

” এই স্বপ্ন আপনার স্বপ্নই থাকবে।আমিও দেখবো কি করে কি হয়।”

” তুমি যে পালটে যাবে এসব আমি জানতাম।আরশাদ কাঁচা খেলোয়াড় নয়।যাই হোক তুমি কি সবাইকে এতদিনের ঘটনা সবটা বলবে? ”

” অবশ্যই বলবো।থানা পুলিশ যা যা লাগে সবটাই করবো।”

” নুহা কোথায়?”

হঠাৎ আরশাদের এমন প্রশ্নে ঘাড়বে গেল খুশবু হ্যাঁ তাই তো নুহা কোথায়?অনিমার কাছে জানতে চাইলে অনিমা বললো আরশাদের কোলে ছিল হয়তো বাইরে নিয়ে গেছে।ফোনের অপরপাশ থেকে আরশাদের হাসির আওয়াজ শুনে গায়ে কাটা দিল খুশবুর।অবচেতন মন যে অন্য কিছুর বার্তা দিচ্ছে।

” নুহাকে পেয়েছো?”

” আপনি কোথায় আরশাদ?”

” দশ তলার উপরে।নুহাকে নিয়ে।”

” নেমে আসুন প্লিজ ওখানে কি করছেন?”

” তোমার অদূরদর্শিতার ফল হয়তো এই বাচ্চাটা পাবে।যাস্ট একটুখানি ধাক্কা…”

” না না আরশাদ প্লিজ।আমি তো আপনাকে ভয় দেখাচ্ছিলাম সত্যি বলছি।আমি কখনোই এমন করবো না।আমি কাউকে কিচ্ছু বলবো না।”

” সত্যি? ”

” সত্যি বলছি।আপনি কোথায় আছেন?”

” হসপিটালের ছাদে।তুমিও এসো।”

আরশাদ ফোন রেখে ঠোঁট চেপে হাসলো।বোকাটাকে ভয় দেখিয়েছে।সে কি করে পারবে এই আদুরে বাচ্চাটার ক্ষতি করতে?আরশাদের চাপা দাঁড়ির গালটা ঘষে দিল নুহার মুখে তৎক্ষণাৎ বাচ্চাটা ঠোঁট কুচকালো তা দেখে হাসলো আরশাদ।আধো আধো কথা বলতে শিখেছে নুহা সেই কথাতে আরশাদ তাকে শিখিয়েছে জিজু কিন্তু নুহা তাকে বলছে জুজু।

” নুহা বলো জিজু।”

” জুজু।”

” জুজু তো ভুতের নাম।আমি কি ভুত?”

” পাপ্পাহ।”

” কোথায় পাপ্পাহ?”

খুশবু ছাদে এসে আরশাদকে দেখতে পেল।প্রচন্ড রাগ ঝেরে নুহাকে টেনে নিলো সে।

” একটা বাচ্চা দিয়ে ভয় দেখান বিবেক আছে আপনার?”

আরশাদ তার ফ্লুজির গাল টেনে দিল।

” আমার ফ্লুজি,প্রিয় ফ্লুজি তোমাকে রাগলে এত সুন্দর লাগে কেন?”

” ঢং করবেন না।”

” ওকে করবো না জান।”

” জান ডাকবেন না।”

” কেন ডাকবো না?”

খুশবু মাথা নোয়ালো ঠোঁট কুচকে বিরক্ত হয়ে তাকালো অন্যপাশে।

” জান শুনছো?”

” আবার,বললাম তো জান ডাকবেন না।”

” কেন ডাকবো না?জান।”

” আমার কেমন কেমন লাগে।”

আরশাদ খিলখিলিয়ে হেসে উঠলো।নুহা খুশবুর কোল ছাড়িয়ে হাত বাড়িয়ে দিল আরশাদের কাছে আরশাদ তাকে কোলে তুলে নিল।আশেপাশে আকাশচুম্বী ভবনগুলোর মানুষেরা ব্যস্তময়। আরশাদ খুশবুকে আড়ালে টেনে নিল।

” তুমি শর্ত রাখবে তো?বলো কোন ছলনায় জড়াবে না।”

” আরশাদ আপনি যত দ্রুত মানবেন আমি আপনার ফ্লুজি নয় তত দ্রুত এসব ঝামেলা থেকে নিজেও মুক্তি পাবেন।”

“ওকে আমি মানলাম তুমি ফ্লুজি নও।কিন্তু আমি তোমাকে গ্রহণ করেছি।তুমি সত্য তুমি মিথ্যা আর কিচ্ছু জানতে চাই না।”

খুশবু বিরক্ত হলো।আরশাদকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে নুহাকে টেনে আনতে চাইলো কিন্তু আরশাদের শক্তির কাছে পেরে উঠলো না।খুশবুর হাত মুচড়ে তাকে দেয়ালের সাথে রুদ্ধ করে বাঁকা হাসলো সে।

” ফ্লুজি আমার ফ্লুজি।”

আরশাদ আচমকা খুশবুর ঠোঁটে ঠোঁট ছোঁয়ালো।গভীর পরশে আলিঙ্গন করার আগে দূরত্ব বাড়ালো আরশাদ।খুশবুর দিকে তাকিয়ে ঠোঁট বাকিয়ে বলে,

“নন সওলো উন বাচিও,ভোগলিও উন লুঙ বাচিও।”

আরশাদ কী বললো?সবটাই খুশবুর মাথার উপর দিয়ে গেল।

” কি বললেন?”

” ইতালিয়ান বউ হতে চলেছো একটু আধটু জানতে হবে তো জান।”
.
মধ্যরাতে ঘুমে বিভোর খুশবু।থেকে থেকে বেজে উঠছে তার ফোন।আরশাদ কল করেছে এই ছেলেটা মাঝরাতে বিরক্ত করে কি মজা পাচ্ছে?অপরদিকে আরশাদের চোখ ঘুম নেই মন থেকে বার বার প্রশ্ন আসছে খুশবু যদি তাকে ছেড়ে যায়?খুশবুকে নিয়ে নিজ দেশে ফিরতে পারবে তো?সব মিলিয়ে আরশাদের অবস্থা মাতাল মাতাল।নিজেকে দমিয়ে না রাখতে পেরে বারবার ফোন করছে তার ফ্লুজিকে।

খুশবু ঘুম ঘুম অবস্থায় আরশাদের ফোন তুললো।

” হ্যালো।”

” ঘুমে?”

” তো এই রাতে কি অন্যকে জ্বালাবো?”

” সেটাই তো করছো।আমার ঘুম হারাম হয়ে গেছে।প্লিজ ফ্লুজি ভিডিও কলে আসো তোমাকে দেখতে চাই।”

” ফোন রাখুন আর যদি বিরক্ত করেন তবে…”

এলোমেলো হলো খুশবুর কথা।আরশাদকে জড়ানো কণ্ঠে বকতে থাকলো সে।অপরদিকে আরশাদের ছটফট বাড়লো কিছুক্ষণ আগে ঘুমের ওষুধ খেয়েও কোন কাজ হলো না।তার দু’চোখে ঘুম ধরা দিল না।কিছুতেই যখন চোখে ঘুম ধরা দিচ্ছিলো না তখন আরশাদ আরো দুটো ওষুধ খেল।মন মস্তিষ্ক জুড়ে এই একটা মেয়ে ঘুনপোকার মতো তার সবটা দখল করেছে অথচ আড়ালে ক্ষয় করছে তার একাকিত্বের আপন সুখ।তার কাছে এখন সুখের অপরনাম প্রিয় মানুষ।প্রিয় ফ্লুজি।
__চলবে……
আসসালামু আলাইকুম #ফ্লুজি গল্পের রেগুলার পাঠক কে কে আছেন?অনেকেই আমার গ্রুপের লিংক চেয়েছেন যদিও আমার কোন গ্রুপ ছিল না।তবে এখন একটা গ্রুপ খুলেই ফেললাম।যারা ফ্লুজি গল্পটা পড়তে ভালোবাসেন রেগুলার আড্ডা দিতে পারবেন গ্রুপে।তাই জলদি জলদি সবাই জয়েন হয়ে যান গ্রুপে।
গ্রুপ – অনুপ্রভার বৈঠকখানা – Onuprova Meherin 🍂

গ্রুপ লিংক- https://facebook.com/groups/764407025608497/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here