#হৃদয়ে_লিখেছি_তোমারি_নাম
#Nusrat_Jahan_Bristy
#পর্ব_১৪
জাহিন স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তিন ঘন্টার রাস্তা জাহিন দুই ঘন্টায় ড্রাইভ করে এখানে এসে পৌঁছেছে। কতটা হাই স্পিডে গাড়ি ড্রাইভ করেছে সেটা একমাত্র জাহিনেই জানে। জাহিনের চোখের দৃষ্টি বড্ড স্বাভাবিক। চোয়াল শক্ত করে রেখেছে। দু হাত মুঠো বন্দি করে রেখেছে। নুহাশ জাহিনের পাশেই দাঁড়িয়ে আছে। জাহিনের মানোভাব বুঝার চেষ্টা করেও সে বার বার ব্যর্থ হয়ে ফিরছে। কি চলছে জাহিনের মনে একমাত্র ও নিজে আর উপরওয়ালা জানে। আজমল শেখ আর আযহার শেখ আসতে চেয়েছিলেন কিন্তু নুহাশ আসতে মানা করে দিয়েছে। নুহাশের মতে এখানে আসাটা তাদের জন্য নিরাপদ নয়।
জাহিন এক নজরে আগুনে পুড়ে যাওয়া শেখ অরহান ফাউন্ডেশনের দিকে তাকিয়ে আছে। যার ভেতরে ছিল প্রায় চারশোর মতো শীতের কম্বল আরও অনেক প্রয়োজনীয় জিনিস। এই শেখ অরহান ফাউন্ডেশটা শেখ বাড়ির সকলে মিলে চালায় বিশেষ করে জাহিন এটা নিজের সর্বস্ব দিয়ে আগলে রেখেছে। অরহানের মৃত্যুর পরপরেই এই ফাউন্ডেশনটি তার নামে প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই শেখ অরহান ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে গরীব দুঃখীদের নানা রকম সাহায্য করে আসছে জাহিন প্রায় পাঁচ বছর ধরে। আজকে সেই শেখ অরহান ফাউন্ডেশনের এই অবস্থা। এর ভেতরে যেই কম্বল গুলা ছিল আর কিছু দিন পরেই শীতার্ত মানুষদের মাঝে বিতরণ করা হতো। কিন্তু এখন সেই কম্বল আগুনে পুড়ে ধুলোয় মিশে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিভাতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু এখনও ঘরের ভেতরে থেকে কালো ধোঁয়া বের হচ্ছে। যা পুরো শহরটাকে অন্ধকারে ডেকে দিচ্ছে। চারপাশে মানুষজন উৎসুখ নয়নে তাকিয়ে তা দেখছে। এর মাঝে সাংবাদিকরা এসে জাহিনকে ঘিরে ধরেছে। নানা রকমের প্রশ্ন করছে আগুন লাগানোর পেছনে কাদের হাত আছে বলে ধারণা করছে? যেখানে আগুন লাগার কোনো প্রশ্নই আসে না সেখানে আগুন লেগেছে তাও আবার ভোর রাতে দিকে। সবাই ভেবে নিয়েছে এটা নিশ্চয়ই বিরোধি দলের কাজ। কিন্তু সাংবাদিকদের একটা প্রশ্নের উত্তরও দিচ্ছে না জাহিন চুপচাপ কাঠের মতো দাঁড়িয়ে আছে। নুহাশ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য সংবাদিকদের বলে।
“এই বিষয়ে আপনাদের সাথে পরে কথা বলি। এক্সকিউজ মি।”
কথাটা বলে নুহাশ চাপা স্বরে জাহিনের কাছে গিয়ে বলে, “ভাই চলো এখান থেকে যা হওয়ার হয়ে গেছে।”
কথাটা বলেই নুহাশ জাহিনের বাহু ধরে নিয়ে যায়। আর ইশারা করে দলের অন্য ছেলেদেরকে বলে পরিস্থিতি সামাল দিতে।
______
চার ঘন্টা পেরিয়ে গেছে, অয়ন্তি কোনো রকম খবর পাচ্ছে না জাহিনের। অয়ন্তি জারাকে ফোন করেছে কিন্তু জারা বা শেখ বাড়ির অন্য কেউ ফোন ধরছে না। অয়ন্তির টেনশনে অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। চোখ মুখ শুকিয়ে গেছে মেয়েটার। অয়ন্তি চুপচাপ সদর দরজায় থাকা সিঁড়ির উপরে বসে আছে আর একের পর এক প্রতিবেশীরা এসে খোঁচা মেরে কথা বলে যাচ্ছে।
“আর নিতে আসবে না এই অপয়া মেয়েকে না হলে কোনো ছেলেকি এভাবে সাত সকালে কেউ বউ ছেড়ে চলে যায়। প্রথমে ছেলেটা হয়তো আবেগের বশে বিয়েটা করেছে কিন্তু এখন হয়তো বুঝতে পেরেছে এটা ভুল করেছে তাই তো এভাবে ফেলে রেখে চলে গেছে। তোর কপালে সুখ নেই লো অয়ন্তি সুখ নেই।”
ফাতেমা আক্তার চাপা গলায় বলে, “কি বলছেন ভাবি এসব চুপ করুন দয়া করে। মেয়েটা এমনিতে টেনশনে আছে।”
“চুপ করব কেন ফাতেমা? যেটা চোখ দেখছি সেটা বলব না। আর অয়ন্তিকেও এসব কথা শুনতে হবে।”
অয়ন্তি এসব কথা শুনে দাঁতে দাঁতে চেপে ধরে। তড়াক করে বসা থেকে উঠে চিৎকার করে বলে, “চুপ করো তোমরা সবাই, চুপ করো। এখানে কি হচ্ছে হুম কি হচ্ছে এখানে সার্কাস? যে সবাই এখানে এসে ভিড় জমিয়েছো। বেরিয়ে যাও সবাই এই বাড়ি থেকে এই মুহূর্তে সবাই বেরিয়ে যাও।”
ফাতেমা আক্তার বিস্মিত নয়নে মেয়ের দিকে তাকায়। মেয়ের বাইশ বছরের জীবনে আজ পর্যন্ত কারো সাথে কোনো খারাপ ব্যবহার তো দূরে থাক এভাবে উচ্চস্বরে কথা বলে নি। আজ সেই শান্ত শিষ্ট মেয়ে কিনা এভাবে সবাইকে বলল। প্রতিবেশীরা হতবাক হয়ে অয়ন্তির দিকে তাকিয়ে আছে। তাদের চেনা অয়ন্তি যেন হঠাৎ করেই অন্য এক অচেনা অয়ন্তি হয়ে গেল। তাদের মুখে কোনো কথা নেই। একজন প্রতিবেশী কিছু একটা বলতে নিলে অয়ন্তি ভরাট গলায় বলে উঠে।
“আর একটাও কথা নয় এক্ষুণি চলে যাও এখান থেকে তোমাদের এই কটুক্তি শুনতে আমার একদম ভাল লাগছে না একদম না।”
প্রতিবেশীর আর কিছু না বলে একরাশ বিরক্ত নিয়ে চলে গেল। প্রতিবেশীরা চলে যেতেই অয়ন্তি ধপ করে আবারো বসে পড়ে। ফাতেমা আক্তার মেয়ের কাছে গিয়ে বলেন।
“ঠিক আছিস অয়ন্তি?”
অয়ন্তি দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে বলে, “ঠিক আছি আমি মামনি।”
এমন সময় লিজা দৌঁড়ে আসে। লিজাকে এভাবে দৌঁড়ে আসতে দেখে ফাতেমা আক্তার চিন্তিত গলায় বলনে, “কি হয়েছে লিজা এভাবে দৌঁড়াচ্ছিস কেন?”
লিজা হাঁপাতে হাঁপাতে বলে, “চাচি জলদি গিয়ে টিভিটা ওন করেন জাহিন ভাইকে দেখাচ্ছে।”
লিজা মুখে জাহিনের নামটা শুনে অয়ন্তি বসা থেকে দ্রুত পায়ে ঘরে গিয়ে টিভি ওন করে। ফাতেমা আক্তার আর লিজাও পেছন পেছন যায় অয়ন্তির। অয়ন্তি সরল গলায় বলে।
“কোন চ্যানেলে দেখাচ্ছে ওনাকে?”
লিজা অয়ন্তির কাছ থেকে রিমোট নিয়ে চ্যানেল চেঞ্জ করে দেয়। ভেসে উঠে জাহিনের মলিন মুখখানা। খবরের দেখাচ্ছে শেখ অরহান ফাউন্ডেশনের আগুন ধরার চিত্র। অয়ন্তি ধপ করে চেয়ারে বসে পড়ে। কি থেকে কি হয়ে গেল এটা? এবার কি হবে?
________
মেয়র খলিল তালুকদার পায়ের উপরে তুলে চা খাচ্ছে আর খবর দেখছেন। চোখ মুখে ফুটে আছে আনন্দের ছাপ। ওনি যা চেয়েছিলেন তাই হয়েছে জাহিনের ক্ষতি করতে তিনি সক্ষম হয়েছেন। এমন সময় সাদিক আসে আর প্রশ্নের তীর ছুঁড়ে দেয় খলিল তালুকদারের দিকে।
“আব্বা এই শেখ অরহান ফাউন্ডেশনে আগুন লাগার পেছনে কি আপনার হাত আছে?”
খলিল তালুকদার ছেলের দিকে ছোট ছোট চোখ করে তাকিয়ে বলেন, “তুই কি আমাকে প্রশ্ন করছিস সাদিক?”
“প্রশ্ন নয় আব্বা আমি জাস্ট জানতে চাইছি। যদি আপনি এই কাজটা করে থাকেন তাহলে কাজটা একদম ঠিক করেন নি আব্বা।”
খলিল তালুকদার ছেলের কথা শুনে রেগে বলেন, “এখন কি তুই বলে দিবি কোন কাজটা ঠিক আর কাজটা বেঠিক?”
“না আব্বা এতটা সাহস নেই আমার এটা করার। কিন্তু এই যে, এই আগুন লাগার জন্য এতগুলা কম্বল পুড়লো সেই কম্বল গুলা কিন্তু গরীব মানুষদের জন্য ছিল আব্বা। আপনি কিন্তু তাদের হক মেরে দিলেন আব্বা। তাতে কিন্তু আমার জানা মতে আপনার কোনো লাভ হয় নি। জাহিন ভাই কিন্তু ঠিকেই তার এই ক্ষতিপূরণ করে ফেলবে। কিন্তু আব্বা একটা কথা আছে “আল্লাহ হক নষ্টকারীদের সাময়িকভাবে ছাড় দিলেও তাদের শাস্তি অবধারিত”।”
খলিল তালুকদার তেতে উঠে বলেন, “এই যা তো এখান থেকে একদম হাদিসের জ্ঞান দিতে আসবি না আমাকে।”
সাদিক তপ্ত নিঃশ্বাস ছেড়ে চলে যায়। তার আব্বা ক্ষমতার লোভে পড়ে গেছে এখন সেই ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য যা খুশি তাই করতে পারে। হয়তো তার আড়ালে আবডালে অনেক কিছু করছেন।
ছেলে চলে যেতেই খলিল তালুকদার বাঁকা হেসে উঠে মনে পড়ে যায় সতেরা ঘন্টা আগের কথা।
খলিল তালুকদার বসে আছেন নিজের পার্টি অফিসে পায়ের উপর পা তুলে। ওনার মুখোমুখি হয়ে বসে আছে আতিক হাসান। আতিক টেবিলের উপরে থাকা জিনিসগুলা নাড়িয়ে ছাড়িয়ে দেখছে খুব আগ্রহ নিয়ে সামনে যে একজন জলজ্যান্ত মানুষ বসে আছে সে দিকে তার কোনো খেয়াল নেই। আতিক আছে আতিকের দুনিয়াতে। খলিল তালুকদার আতিকের করা কার্যক্রম গুলা তীক্ষ্ণ নজরে দেখছেন। এক সময় তপ্ত নিঃশ্বাস ছেড়ে বলেন।
“তোমাকে নিশ্চয়ই আমি আমার অফিসে জিনিসগুলা দেখার জন্য ডেকে আনি নি।”
আতিক তড়াক করে খলিল তালুকদার দিকে তাকিয়ে ভ্রু উঁচু করে বলে, “হুম।”
খলিল তালুকদার রেগে কিছু বলতে গিয়েও থেমে যায়। এই ছেলেকে রাগিয়ে দিলে নিজেরেই ক্ষতি করে বসবেন। তাই রাগটা ধমন করে বলেন।
“এবার কাজের কথায় আসি আমরা, যদি তোমার খেলা শেষ হয়ে থাকে।”
আতিক চেয়ারে গা হেলিয়ে বসে বলে, “বলুন কি কাজ? আপনার কাজ তো ওই একটাই মানুষকে খু’ন করে ফেলার কাজ।”
খলিল তালুকদার চোখ গরম করে বলেন, “আস্তে কথা বলো আতিক কেউ শুনে ফেলবে। আর আমি খু’ন করতে যাবো কেন কাউকে?”
আতিক বাঁকা হেসে বলে, “সবাই কম বেশি সবটাই জানে। আর প্লিজ আমার সামনে এই মিথ্যের মুখোশটা পড়ে থাকবেন না। কারণ আপনার কাজটা কিন্তু আমি করিয়েছি। তাই আমার সামনে একদম ভালো মানুষ সাজার চেষ্টা করবেন না।”
“ওকে ফাইন এবার চুপ করো। আর কাজের কথায় আসি এখন আমরা।”
আতিক দু কাঁধ নাচিয়র বলে, “হুম বলুন শুনছি আমি।”
খলিল তালুকদার কন্ঠে গম্ভীরতা এঁটে বলেন, “আগুন লাগাতে হবে।”
আতিক বাঁকা হেসে দু হাত ডেস্কের উপর রেখে মজার ছলে বলে, “আগুন লাগাতে হবে! কার সংসারে আগুন লাগাতে হবে? ওই জননেতা জাহিনের নতুন সংসারে নাকি। না বাবা আমি কারো সংসারে আগুন টাগুন লাগাতে পারব না। সংসার জীবন হচ্ছে একটা পবিত্র জীবন সেই পবিত্র জীবনকে অপবিত্র করতে চাই না আমি। পরে দেখব আল্লাহ আমার সংসারে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।”
বলেই হাসতে থাকে। খলিল তালুকদার কপট রাগ দেখিয়ে বলেন, “বড্ড কথা বলছো ইদানীং তুমি আতিক।”
আতিক হাসি থামিয়ে সিরিয়াস গলায় বলে, “আচ্ছা আচ্ছা সব কথা বাদ। এবার আপনি স্পষ্ট করে বলুন ঠিক কি করতে চাইছেন আপনি?”
খলিল তালুকদার গুরুগম্ভীর গলায় বলেন, “শেখ অরহান ফাউন্ডেশনে আগুন লাগাতে চাইছি আর সেটাও আজকে রাতে।”
আতিক ভ্রু কুঁচকে বলে, “মানে।”
“মানেটা খুব সোজা আগুন লাগাতে হবে ওদের ফাউন্ডেশনে। সামনে শীত আসছে আর ওরা শীতার্ত সকল মানুষদের কম্বল বিতরণ করবে দু দিন পর। কিন্তু আমি চাই এই কম্বল পুড়ে ছাই হয়ে যাক। জনগণের সামনে জাহিন আর তার ফাউন্ডেশনের বদনাম হোক।”
“এটা একটু বেশি হয়ে যায় না। গরিব মানুষদের হক এভাবে না মেরে দিলে হয় না।”
“তোমাকে এই নিয়ে এত চিন্তা করতে হবে না। এর ক্ষতিপূরণ আমি দিব। আর নামও হবে আমার জনগণের কাছে।”
“সবেই বুঝলাম কিন্তু কম্বল পুড়ে যাওয়াতে বদনাম হবে কি করে ওদের?”
খলিল তালুকদার কুটিল হেসে বলে, “বদনাম করবে তোমার লোকেরা এটা বলে যে শীতার্ত মানুষদের কম্বল যাতে না দিতে হয় তাই নিজেরাই পুড়িয়ে ফেলেছে কম্বল।”
আতিক বিরস গলায় বলে, “এটা কেউ বিশ্বাস করবে না। তার চেয়ে ভাল শুধু আগুন লাগিয়ে দেই বদনাম করার দরকার নেই।”
খলিল তালুকদার কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলে, “ঠিক আছে তাহলে শুধু আগুন লাগিয়ে দাও।”
আতিক ডান হাতের পাতা চুলকাতে চুলকাতে বলে, “কত পাবো আমি এই কাজে?”
“তোমার যত চাই তত।”
আতিক চেয়ারের হাতলে বারি দিয়ে বলে, “ঠিক আছে কাজ হয়ে যাবে।”
“আরেকটা কথা এই কাজটা ভোরের দিকে করবে?”
আতিক ভ্রু কুঁচকে বলে, “কেন?”
“কারণ ভোরের দিকে সিকিউরিটি কার্ড চলে যায় সেই সুযোগটাই তোমাকে কাজে লাগাতে হবে।”
আতিক কৌতুহল নিয়ে বলে, “এত কিছু কি করে জানেন আপনি?”
“বিরোধি দলের সব কুটিনাটি জানতে হয়।”
আতিক মাথা নাচাতে নাচাতে বলে, “হুম বুঝলাম। কিন্তু আপনি মনে হয় একটু বেশি জানেন।”
“ঠিক আছে তাহলে কাজটা করার পরেই তুমি টাকাটা হাতে পাবে তার আগে নয়।”
আতিক বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বলে, “আপনি নিশ্চিত থাকেন কাজ হয়ে যাবে আপনার।”
কথাটা বলেই আতিক চলে যায়। খলিল তালুকদার আয়েশ করে চেয়ারে হেলান দিয়ে বসেন। অতিতের চিন্তা থেকে ফিরে আসেন বর্তমানে আর মনে মনে বলেন।
“জাহিন এক এক করে তোমার সব কিছু কেঁড়ে নিব। খুব উড়ছিলে না এবার দেখি কি করে তুমি এই ক্ষতিপূরণ করো”
#চলবে_________
পর্ব১ থেকে পর্ব১৩ পর্যন্ত
https://www.facebook.com/100063894182680/posts/830411019098697/?app=fbl