মন_শহরে_বসন্ত_হাওয়া |২| #কে_এ_শিমলা ®

0
334

#মন_শহরে_বসন্ত_হাওয়া |২|
#কে_এ_শিমলা ®

রাত তখন নয়টা বেজে তেরো মিনিট। এলোমেলো ফাইল গুছায় রণয়ী। চারটি ফাইল রাখে টেবিলের নির্দিষ্ট জায়গায়। কলমদানিতে কলম তিনটি রাখে। কম্পিউটার আবার চেক করে। সবকিছু ঠিকঠাক দেখে একটা ছোট্ট নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। অতঃপর ব্যাগ হাতে নিয়ে বের হয় কেবিন থেকে। ইতিমধ্যে অনেকেই চলে গিয়েছে। এই ছয় সাত জনের মতো আছে। তারাও যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে। রণয়ী লিফটের দিকে এগিয়ে গেল। তাঁর সাথে আরো তিনজন মেয়ে এবং দু’জন ছেলে উঠলো। নেমে এলো সবাই তিনতলা থেকে এক তলায়। বের হয়ে গেল গেইট পেরিয়ে। তাঁর সাথে নেমে আসা বাকিরা তাদের গাড়ি সমেত গেইট দিয়ে বের হলেও, রণয়ী এমনিই বের হলো পায়ে হেঁটে। বাকিদের গাড়ি থাকলেও তাঁর গাড়ি নেই। বাইক স্কুটার আছে অনেকেরই। রোজা অনুরিমার ও আছে। তবে ওরা রণয়ীর আগেই চলে যায়। তাই সঙ্গে যাওয়া হয় না। তবে যেদিন যায় সেদিন ওরাই নামিয়ে দিয়ে আসে গিয়ে।”

অফিসের সামনে এই রাত নয়টা সাড়ে নয়টায় রিকশা পাওয়া মুশকিল খানিকটা। তাই ক্লান্ত থাকলেও অনেকটা পথ সামনে হেঁটে যেতে হয়। রাস্তার মোড়ে দাঁড়ালে পাওয়া যায় খালি রিকশা। তাই বিলম্ব না করে রণয়ী হাঁটতে লাগে সামনের উদ্দেশ্যে। যেতে যেতে সামনে বা হাত তুলে কব্জিতে অবস্থানরত কালো বেল্টের হাত ঘড়িতে সময় দেখে নেয়। না তেমন লেট হয়নি। বুঝা যাচ্ছে হবেও না। দশটার বেশি হলে মা চিন্তা করেন। ভাবী কল করেন। রাস্তায় বললে, আর কতক্ষণ? এসবই জিজ্ঞেস করেন। রণয়ী বলেছিলে দশটার পর হবে না বাসায় ফিরতে। জ্যামে আটকালে অন্যকথা। যদিও বা এই রাত নয়টা সাড়ে নয়টায় এতো বেশি জ্যাম থাকে না। কিংবা থাকেই না। অফিসে থেকে বাসায় যাওয়ার দুটো রাস্তা আছে। দুটিই সমান দূরত্বের। একটি রাস্তায় একটু বেশি ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে আসতে হয়। অন্য রাস্তা সোজা গেলেও দীর্ঘ হয়। রণয়ী ঘুরিয়ে যাওয়ার রাস্তা দিয়েই সবসময় চলাচল করে। আর তাই পথটা খানিক নির্জন হওয়ার বদৌলতে খুব বেশি গাড়ি পাওয়া যায় না। জ্যাম ও থাকে না। অন্য রাস্তায় গেলে পাওয়া যায়।”

রণয়ী যখন রিকশার জন্য দাঁড়িয়ে। তখন তাঁর পাশে এসে থামে বড় শুভ্র রঙা গাড়িখানা। রণয়ী চেয়ে দেখলো। চিনতে সময় লাগে না তাঁর। এটা স্যারের গাড়ি। সে কর্ণার থেকে যথাসম্ভব আরেকটু দূরে সড়ে দাঁড়ায়। তবে গাড়িটি তাঁর জায়গায় থেমেই রয়। রণয়ী না চাইতেও আবার তাকায়। তখন পেছনের সিটের জানালার কাঁচ নেমে যায়। দুর্জয় একটি হাত জানালার উপর রেখে রণয়ী কে ডাকলো।”

“শুনুন মিস রণয়ী রহিম।”

পুরো নাম পদবিসহ ডাকতে হয় বুঝি! রণয়ী এগিয়ে গেল। দুর্জয় হাত নামিয়ে নেয়। বলে, ‘দাঁড়িয়ে আছেন আপনি! চলুন আমার তো আপনার বাসার পাশ দিয়েই যাওয়া। ড্রপ করে দেবো।”

রণয়ী কৃতজ্ঞতা প্রকাশে মৃদু হেসে বললো, ‘ধন্যবাদ স্যার। তবে আমার বোধহয় লাগবে না। আপনি যান। আমি রিকশা পেয়ে যাবে। রিকশায় যেতেই ভালো লাগে আমার।”

‘একদিন গাড়িতেও উঠে দেখুন ভালো লাগবে। চলে আসুন! রাত হচ্ছে।”

রণয়ী অবাধ্য হলো না। দরজা খুলে দিল উঠে বসলো হাজারো অস্বস্তি নিয়ে। স্যারের গাড়ি! শুধু যে সে উঠেছে এমন নয়। বরং এর আগেও রণয়ী দেখেছে স্যার দু একজন কে ড্রপ করে দিয়েছেন। একই পথে যাওয়া তাই বলে হয় তো। গাড়িতে উঠে দেখলো সামনে আবু সাঈদ সাহেব ও আছেন। রণয়ী বেশ অস্বস্তি নিয়ে বসলো। পথিমধ্যে দুর্জয়ের ফোনে কল এলো। স্ক্রিনে ইংরেজি কয়েকটি শব্দের সমষ্টিতে আম্মা শব্দখানা লিখিত আছে। সাথে দুই পাশে লাল দুটো হার্ট শেইপ। সৈয়দা জোহরা ইয়াসমিনের অবশ্য দুটো টেলিফোন নাম্বার। একটি লাভ দিয়ে সেভ করেছে দুর্জয়। অপরটি এই আম্মা লিখে। এই নাম্বারটাই সচরাচর বেশি ব্যবহার করেন জোহরা ইয়াসমিন। দুর্জয় কল রিসিভ করলো। সালাম দিতেই ওপাশ থেকে সুন্দর নারী গলায় একজন সালামের জবাব দিয়ে বললেন, ‘আব্বা আজ আপনার দেড়ি হবে বুঝি?”

সৈয়দা জোহরা ইয়াসমিন ছেলেমেয়েদের বাল্যকাল থেকেই আপনি করে বলেন। আর তাই ছেলেমেয়ে উভয়েই তাহাদের দু’জন কে আপনিই বলে। তাঁর মানে এই নয় উনারা অপরিচিত কিংবা পর মানুষ। বরং নিজ আপনদের আপনি তারা স্নেহ সম্মান একে অপরদের শ্রদ্ধা করে বলেন।”

রণয়ী স্পষ্ট শুনলো সেই কন্ঠ।‌ চেনা বোধহয়! পর মুহুর্তে আবার ধারণা পাল্টে নিল। এক স্বর মানুষের হতেই পারে অস্বাভাবিক কিছু নয়।
দুর্জয় বললো, ‘আমি রাস্তায় আছি আম্মা। চলে আসছি। আপনি চিন্তিত হবেন না দয়া করে।”

ওপাশ থেকে জোহরা ইয়াসমিন বললেন, ‘আচ্ছা আব্বা। রাখছি তবে আল্লাহ হাফেজ।”

দুর্জয় নিজেও আল্লাহ হাফেজ বলে, কল কেটে দিলে খট করে একটি শব্দ হলো।
দুর্জয় ফোন পার্শ্ববর্তী স্থানে রেখে সিটে মাথা এলিয়ে দিয়ে চোখ বুঁজে রণয়ীর উদ্দেশ্যে বললো,
‘মিস রণয়ী রহিম! আপনার পরিবারের সবাই ভালো আছেন তো?”

রণয়ী জানালা দিয়ে বাহিরের দৃশ্য দেখছিল। জানালার কাঁচ সবসময় বদ্ধ থাকলেও এখন নেই। রণয়ীর পাশটি খোলা। বাতাস প্রবেশ করছে। শা শা করে পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে অসংখ্য গাড়ি। যাচ্ছে রাস্তার পর রাস্তা। গাছগাছালির পর যাচ্ছে অগণিত গাছ। রণয়ী দেখছে তা নির্নিমেষ চেয়ে। চোখে বাতাস লেগে জ্বালা করলেও সে চোখ ফিরিয়ে আনছে না। বরং তাকিয়ে আছে অপলক। যেন নিজের ধৈর্য শক্তির একটি পরীক্ষায় এই মুহুর্তে সে। তবে দুর্জয়ের কথা শ্রবণ হলে নড়ে উঠলো। চোখের পলক ফেলে ধীর গলায় বলে, ‘আলহামদুলিল্লাহ স্যার সবাই ভালো আছেন।’

এর বেশি কথা বিনিময় হলো না। অফিসের মালিক আর কর্মচারীর মধ্যে এতো শত কথা নাই হতে পারে। তবে মানুষ দু’জন যদি হয় স্বল্পভাষী তবে কথা বেশি না হওয়াই স্বাভাবিক। দুর্জয় অবশ্য তাঁর পিএ অর্থাৎ পার্সোনাল এসিস্ট্যান্ট আবু সাঈদের সাথে কয়েকটি কথা বললেন। এই যেমন আর কয়েকদিন পর ইন্টারভিউ নিয়ে কয়েকজন নতুন কর্মচারী অফিসে রাখতে হবে। অবশ্যই তাদের কম্পিউটার এবং ইংরেজি ভাষায় অত্যন্ত দক্ষ হতে হবে। সেক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষায় ছাড় দিলেও কম্পিউটারে পাকাপোক্ত হতে হবে। তিনটি ফ্যাক্টরীতে ও আবার নতুন কর্মচারী নিয়োগ দিতে হবে। তাঁর জন্য একটি পরীক্ষা। কয়েকজন কাজ ছেড়ে চলে গেছে। আবার অনেক কে নিজের দোষের জন্যে বের করে দেওয়া হয়েছে। তাদের জায়গায় আরো মানুষ নিয়ে আসতে হবে। কাল পরশু দুইটা মিটিং। সেখানে অফিসের নির্দিষ্ট কয়েকজন কে অবশ্যই অবশ্যই উপস্থিত থাকতে হবে। আর সেটা বাধ্যতামূলক। আবু সাঈদ একে একে সবকিছু খুলে বললো দুর্জয় কে। দুর্জয় শুনলো। অতঃপর ফ্যাক্টরীর ম্যানেজারদের সহিত আলাপ আলোচনায় বসতে হবে এটাও জানিয়ে দিল। একটি সময় ঠিক করে তাদের জানিয়ে দিতে হবে। তাদের আলাপচারিতার সবকিছুই শুনলো রণয়ী।”
মুখে মুখে শুনেছিল এবার বড় দুইটি মিটিং এ তাকে উপস্থিত থাকতে হবে। তবে তাঁর কতটুকু নিশ্চয়তা জানা নেই। এখনো জানা হয়নি। না আবু সাঈদ নিজে বলেছেন। আর না তো স্যার বলেছেন। অবশ্য রাত এখনো বাকি। কে জানে বাড়িতে যাওয়ার পর ঘুমোতে যাওয়ার পূর্ব মুহুর্তে মেইল আসবে। এই মুহুর্তে আর জিজ্ঞেস করার মানেই হয় না। যদি সে না হয়! তবে লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে পড়তে হবে।”

রণয়ীর পূর্বে নেমে গেল আবু সাঈদ। আবু সাঈদ রণয়ীর থেকে জুনিয়র। তাঁর লাক ভালো। এবং বুদ্ধিমান যুবক সে। কেমন দক্ষ হাতে সবকিছু সামলায়। এই এখানে সেখানে যাওয়া। জমা দেওয়া সিভি চেক করার পর কয়েকটি বাছাই করে। সেই বাছাইকৃত সিভি আবার দুর্জয়ের কাছে দেওয়া। তাঁর বলা অনুযায়ী কয়েকজন কে মেইল করে জানিয়ে দেওয়া ইন্টারভিউ দিতে হবে। ম্যানাজারদের দেওয়া ফাইল নিজে একবার চেক করে দুর্জয়ের কাছে দেওয়া। মিটিং একটি নির্দিষ্ট সময়ে ক্লাইন্টদের সহিত কথা বলে ঠিক করা। সঠিক সময়ে মিটিংয়ে উপস্থিত হওয়া। কত কী!”
আবু সাঈদ নেমে যাওয়ার পর একটানা গাড়ি চললো। গাড়ির ভেতর তখনো নিরবতা বিরাজমান। বাহিরের চলন্ত গাড়ির আওয়াজ, হর্ন, মানুষের কথাবার্তার আওয়াজ পাওয়া গেল। অবশ্য রণয়ীর পাশের কাঁচ নামানো না হলে এমন শব্দ শোনা যেতো না এতো জোরালো ভাবে।”

ছোট একটি গেইটের সামনে এলেই রণয়ী বললো, ‘এখানে রাখুন।”

তাঁর কথায় গাড়ির ড্রাইভার গাড়ি থামায়। রণয়ী গাড়ি থেকে নামে। জানালার কাছে খানিকটা ঝুঁকে বলে, “থ্যাংক ইয়ু স্যার।”

দুর্জয় মাথা নাড়িয়ে বলে, ‘ইটস্ মাই প্লেজার। খোদা হাফেজ।”

রণয়ী জোরপূর্বক হেসে বলে, ‘খোদা হাফেজ স্যার।”

অতঃপর পেছন ঘুরে দুইপা পিছিয়ে গিয়ে প্রবেশ করলো গেইটের ভেতর।‌ তা বন্ধ করার জন্য আবার এদিকে ঘুরতেই দেখলো গাড়ি চলে যাচ্ছে। যতক্ষণ পর্যন্ত তা চোখের বাহিরে গেল না। ততক্ষণ পর্যন্ত দেখলো রণয়ী। যাদের সাথে কখনো আর দেখা হবে না ভেবে আসছে এতো দিন। অথচ আজ সময়ের ব্যবধানে সেই মানুষদের ধারই ধারতে হলো। দুর্জয়ের গাড়ি দৃষ্টি সীমার বাহিরে চলে যেতেই গেইট বন্ধ করে চলে গেল রণয়ী।‌ একটি গেইটের ভেতরে অনেকখানি জায়গা। সেখানে আলাদা আলাদা ঘর আছে সাত আটটার মতো। কোনোটা চার রুমের, পাঁচ রুমের, ছয় রুমের, তিন রুমের কিংবা দুই রুমের। সবোর্চ্চ আছে ছয় রুমের। পাঁচ রুমের বাসাটিতে থাকে রণয়ী তাঁর পরিবারের সাথে। পরিবার বলতে মা, ভাই, ভাবী, ভাইয়ের দুটো জমজ সন্তান। এই তাদের পরিবার। ভাই আরেকজন আছে রণয়ীর। কিন্তু চাকরি সূত্রে সে বর্তমানে রাজশাহী। ঢাকা শহরে এসেছে রণয়ী দুই বছর আরো দুই তিনমাস হতে চললো। নয়তো আগে রাজশাহীতেই ছিল। সেখানে পড়ালেখা শেষ হলো। টানা দুই বছর ভার্সিটির সাথে সাথে স্কুলে পড়ালো। বিয়ে সংসার। সবকিছুই ছিল। সবদিক থেকেই পরিপূর্ণ ছিল।”

অতঃপর একটি বাঁধনের সুতো ছিঁড়ে গেল। প্রিয় শহরের অলিগলি! মৃদু হাওয়া! কোমল রোদ সবকিছুই তিক্ত হয়ে গেল। শ্বাস প্রশ্বাস যেন বিষাক্ত হয়ে উঠে। বাঁচার তাগিদেই প্রিয় শহর পরিবর্তন করে এই শহরে আসা। ছোট থেকে বড় হওয়া রণয়ীর রাজশাহী শহরে। রাজশাহীর একটি গাঁয়ে রণয়ীর জন্ম হলেও বেড়ে উঠা শহরে। গত হওয়া দুই বছরে মা ভাই ভাবী সবাই রাজশাহী গেলেও রণয়ী আর যায়নি। কীভাবে যায়! এতো দূরে থেকেও যে বিষাক্ত বাতাস ওকে রোজ ছোঁয়। সে শহরের গেলে তো রণয়ী আর ফিরবে না। শ্বাস রুদ্ধ হয়ে আসবে তাঁর সে শহরে পা রাখার সাথে সাথেই। তাঁর থেকে বরং এখানে দিন কেটে যাচ্ছে ভালো না থাকার ভালোই।”

দরজায় কলিং বাজালে ওপাশ থেকে মিনিটের মধ্যে খোলে দেওয়া হলো। ভেতর থেকে রণয়ী কে দেখে একঝলক হাসলো রিদিমা। রণয়ীর ভাবী। রণয়ী ঘরে প্রবেশ করে পায়ের জুতো রাখতে রাখতে বললো, ‘মা কোথায় ভাবী?”

রিদিমা টেবিলের উপর রাখা ঠান্ডা পানির গ্লাস নিয়ে এগিয়ে আসতে আসতে বললো, ‘মা সন্ধ্যের দিকে শুয়ে ছিলেন।‌ তারপর ঘুমিয়ে পড়লেন। তুমি এসেছো উঠিয়ে দিচ্ছি এখন। এতোক্ষণ ঘুমিয়েছেন ভালোই হলো কী বলো। ঘুমান রাত দশটা সাড়ে দশটায় আবার ভোর চারটায় উঠে যান।”

রণয়ী ছোট করে বললো, ‘হু!
আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি। তুমি মা কে ডেকে দাও। রাজন রাইজু কই?”

‘ওরা পড়া শেষ করে ঘুমিয়ে পড়লো। ফুপি আসলে ঘুমাবে বলছিল। আমিই শুইয়ে দিয়েছি। সকাল সকাল ওদের হুজুর আসবেন। রাত করে ঘুমালে উঠবে না।”

‘ভালো করেছো।”

রিদিমা কিচেনের দিকে যেতে যেতে বললো, ‘যাও ফ্রেশ হয়ে নাও।”

রণয়ী নিজের ঘরে চলে এলো। ভাগ্য করে এমন পরিবার পেয়েছে বটে। অথচ এই পরিবারের সবার বিরুদ্ধে গিয়েই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল প্রাণপ্রিয় মানুষটির সহিত। অতঃপর সে বুঝিয়ে দিল। আপনজন সবাই চাইলেই হতে পারে না। আর এটাও তাঁর দ্বারা বুঝা হয়ে গেল, আপনজনরা চেয়েও দূরে রাখতে পারে না। অনুতপ্ত রণয়ী নিজের করা কাজটির জন্য। তাঁর বুঝা উচিত ছিল। ভালোবাসার মানুষ পেয়ে গেলেই পাওয়া হয়ে যায় না। পাওয়ার পরেও ভালোবাসার মানুষ হারিয়ে যায়। ছেড়ে চলে যায়।”

চলবে!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here