#রণরঙ্গিণী_প্রেমরঙ্গা |৬৯|
#ঊর্মি_আক্তার_ঊষা
এভাবেই আরও কিছুদিন কেটে গেল। নিজের প্রেগ্ন্যাসির কথাটা বলার সুযোগই হয়ে উঠল না ভূমির। প্রলয় তিনদিন হলো ঢাকার বাহিরে গিয়েছে। আজ ফিরে আসবে। এ কদিনে আগের থেকেও কিছুটা নাদুসনুদুস হয়েছে ভূমি। গাল দুটো ফোলা ফোলা। দিনকে দিন জৌলুস যেন বাড়ছে। আজ অনেকগুলো কাজ করে ফেলেছে সে৷ ঘরে যত আধোয়া জামাকাপড় ছিল সবগুলো একসঙ্গেই ধুয়ে দিয়েছে। এখন মনে হচ্ছে এই অবস্থায় কাপড়চোপড় ধোয়া তার মোটেও উচিত হয়নি। শরীর অস্থির করতে শুরু করেছে। মাথা ঝিমঝিম করছে৷ অন্য কাজ করার সুযোগ হয়নি তার৷ নিজের প্রেগ্ন্যাসির কথাটা প্রলয়কে জানানোর জন্য মনটা আকুপাকু করছে দুদিন ধরেই। প্রলয় ঢাকা ফিরে এলেই জানিয়ে দেবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে। ভাবতে ভাবতেই বিছানায় নতুন চাদর বিছানোর জন্য উদ্যত হলো ভূমি৷ তবে শরীরে কুলোচ্ছে না। ভাবল বিছানায় বসে কিছুটা সময় জিড়িয়ে নেবে। এরই মাঝে পূর্ণতা পুষ্পিতা ঘরের ভেতরে এলো। ভূমিকে এভাবে বসে থাকতে দেখে পূর্ণতা জিজ্ঞেস করল‚
“কী করছিলে গো ভাবিমণি?”
“বিছানায় চাদর বিছাতে নিচ্ছিলাম৷”
ভূমি তার খারাপ লাগাটাকে ওদের দুবোনের থেকে এড়িয়ে গেল। অন্যদিকে কিছু একটা মনে করে পূর্ণতা বলল‚ “ভাবিমণি আমরা দুজন তোমাকে সাহায্য করি?”
“আমি করে নিতে পারব। তোমরা কী কিছু বলবে?”
পূর্ণতাকে কিছু বলতে না দিয়ে পুষ্পিতা বলতে শুরু করল‚ “তোমার সঙ্গে আড্ডা দিতে এসেছিলাম। আজ তো কলেজ নেই। বাসায় থেকে থেকে বোর হচ্ছি। বাড়ি থেকে বের হবারও তো পারমিশন নেই। ইস যদি বড়ো ভাইয়া যদি একটু পারমিশন দিত!”
পুষ্পিতার বাহিতে চাপড় মে’রে পূর্ণতা বলল‚ “বড়ো ভাইয়া যা করে আমাদের ভালোর জন্যই করে। তাই তুই চুপ থাক৷ আমরা সারা দুপুর আজ ভাবিমণির সঙ্গে আড্ডা দেব।”
এই বলে একটু ঝুঁকে বিছানার চাদর একপাশে ঠিক করতে শুরু করল সে। ভূমি তাকে বাঁধা দিতে গেলেও শুনল না। নিজে থেকে বিছানাটা সুন্দর করে গুছিয়ে দিল। পুষ্পিতা এবার বিছানায় আয়েশ করে বসল৷ কাজে বড্ড অলস সে৷ ভূমি ঘর ঝাড়ু দেওয়ার জন্য উদ্যত হলে পূর্ণতা এবার তাকে থামিয়ে দিয়ে নিজেই ঝাড়ু হাতে নিয়ে নিল৷ এবারও ভূমির কোনো বাঁধা সে শুনল না। কাজগুলো পূর্ণতাই করে দিল৷ এদিকে ভূমিকে জোর করে বিছানায় বসিয়ে পুষ্পিতা রাজ্যের কথা বলা শুরু করে দিয়েছে। পূর্ণতাও ওদের সঙ্গে যোগদান দিল।
বিকেলে…
কিছুক্ষণ আগেই সাবিনাকে দিয়ে ডাক পাঠিয়েছেন ফিরোজা। ভূমি তখন সবে ঘুম থেকে উঠে আসরের নামায আদায় করে বিছানায় বসে ছিল। ক্লান্ত থাকায় দুপুরে পূর্ণতা পুষ্পিতার সঙ্গে আড্ডা দিতে দিতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছে তার ইয়ত্তা নেই! ভূমিকে ডেকে সাবিনা নিজের কাজে চলে যায়৷ এরপর পেছন পেছন ধীর পায়ে ভূমিও সিঁড়ি ভেঙে নিচে নেমে এলো৷ ফিরোজার ঘরের সামনে এসে দরজায় টোকা দিল। ভেতর থেকে সাড়া পেতেই সে ঘরের ভেতর প্রবেশ করল৷ বিছানায় বসে উপন্যাসের বই পড়ছিলেন ফিরোজা৷ ভূমিকে দেখা মাত্রই বইটা বন্ধ করে বালিশের পাশেই রাখলেন৷ ক্লান্ত ফোলা ফোলা চোখে তাকিয়ে রয়েছে মেয়েটা৷ ফিরোজা এবার জিজ্ঞেস করলন‚
“তোমাকে খুব ক্লান্ত দেখাচ্ছে৷”
“তেমন কিছুই না চাচি মা৷ অনেকগুলো কাপড় ধুয়ে ফেলেছি আজ।”
“এত কাজ করতে কে বলেছে? বেশি বড়ো হয়ে গিয়েছ? সাবিনাকে তো বলতে পারতে৷ অথবা আমাকেও বলতে পারতে৷”
“তেমন বেশি জামাকাপড় ছিল না চাচি মা।”
“আচ্ছা তুমি বোসো। আমার তোমাকে একটা জিনিস দেওয়ার আছে।”
বিছানায় বসে ভূমি জিজ্ঞেস করল‚ “কী?”
ফিরোজা উনার আলমারি থেকে একটা বক্স বের করে ভূমির সামনে নিয়ে এলেন। এরপর ভূমির কাছে এসে বসলেন তিনি। হাসি মুখ নিয়ে বললেন‚
“তোমার আমার সম্পর্ককে একটা নতুন নাম দিতে চাই আমি।”
“নতুন নাম?”
“হুম— নতুন নাম!”
বক্স থেকে একটা চিকন চেইন বের করে ভূমির গলায় পড়িয়ে দিলেন ফিরোজা। মেয়েটাকে তিনি নিজের মেয়ের মতই স্নেহ করেন। প্রতিটা মুহূর্ত মেয়েটাকে অবহেলা পেতে দেখছেন তিনি। খারাপ উনারও লাগে। এতকিছুর মাঝেও মাধুরী আর নিজেকে বদলালেন না। তাই তিনি ঠিক করেছেন নিজেদের সম্পর্ককে একটা নতুন নাম দেবেন। ভূমির মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন‚
“তুমি এখন থেকে আমাকে মামনি বলে ডাকবে। তোমার যত সব বায়না আছে‚ নির্দ্বিধায় আমাকে জানাবে। তোমার আম্মা নেই তো কী হয়েছে— তোমার মামনি তো আছে! সে-ই তোমার বায়না পূরণ করবে।”
ফিরোজার কথায় ভূমি ভীষণই আবেগী হয়ে উঠল৷ আঁখিজোড়া ছলছল করছে। ফিরোজার কাছাকাছি এলে একটা সুন্দর মা মা গন্ধ পায় সে৷ মনে হয় যেন‚ তার আম্মা তারই সামনে আছে। কম্পিত কণ্ঠে ভূমি বলল‚ “মা..মামনি?” কথাটা মুখ থেকে বের হবার সঙ্গে সঙ্গেই চোখ থেকে গড়িয়ে পড়ল কয়েক ফোঁটা অশ্রুকণা। বাচ্চাদের মতো গলা ছেড়ে কাঁদতে ইচ্ছে করছে তার। ফিরোজা বুঝতে পারলেন ভূমির অবস্থা। তিনি ভূমিকে আলতো হাতে জড়িয়ে ধরলেন৷ আদুরে কণ্ঠে বললেন‚
“বোকা মেয়ে! এভাবে কান্না করতে আছে? আজ থেকে মামনির সামনে কান্না করা বারণ।”
“তোমার আমাকে খারাপ মেয়ে মনে হয় না মামনি? আমি তো জা..!”
ফিরোজা সেই কথাটাকে পুরোপুরি ভাবে বলতে দিলেন না তিনি। তার আগেই ভূমিকে থামিয়ে দিয়ে বললেন‚ “মায়েদের কাছে সন্তান কখনো খারাপ হয়? তাই নিজেকে কখনোই ছোটো মনে করবে না। তুমি আজ থেকে আমার মেয়ে৷ আমি সবসময় তোমার পাশে আছি।”
“তুমি খুব ভালো মামনি।”
“মেয়ের কাছে মায়েরা সবসময় ভালোই হয়।”
চোখের পানি মুছে হেসে উঠল ভূমি। এতকিছুর মাঝেই খুব আনন্দ হচ্ছে তার। আজ সে নতুন মা পেয়েছে৷ তবে যখন ফিরোজা তার পিতৃপরিচয় জানতে পারবেন তখনও কী এই ভালোবাসাটা থাকবে? তখনও কী এভাবেই ভূমিকে নিজের মেয়ের মতো স্নেহ করবেন তিনি? ভেবে পায় না ভূমি। আপাতত সে ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে চাইছে না। বর্তমান নিয়ে সুখে থাকতে চায় সে। তবে মেহরাব শিকদার কী আদতে তাকে সুখে থাকতে দেবে? আদতে সে এ বাড়িতে টিকে থাকতে পারবে? মাথায় হাজারো প্রশ্ন— হাজারো উত্তর হাতছানি দিচ্ছে৷ সব মিলিয়ে মাঝে মাঝে নিজেকে পাগল মনে হয় তার৷ দুজনের মাঝে অবাক নীরবতা। ভূমিকে একপলক দেখে এবার ফিরোজা বললেন‚
“তুমি এখন গিয়ে বিশ্রাম নাও৷ বড্ড ক্লান্ত দেখাচ্ছে তোমাকে৷ ঘরে গিয়ে টানা দু-ঘণ্টা ঘুমবে৷ নিচে আসার প্রয়োজন নেই। এদিকটা আমি সামলে নেব।”
ভূমি সায় জানাল। তখন ঘুম থেকে উঠে নামায আদায় করে ফিরোজার ঘরে এসেছিল সে৷ এখন আবারও ঘুম পাচ্ছে তার। তার এই নাদুসনুদুস হবার পেছনে একমাত্র দায়ী হচ্ছে এই বেলা অবেলায় পড়ে পড়ে ঘুমোনো৷ ভূমি তার ঘরে চলে এলো। প্রলয়ের সঙ্গে সেই সকালে তার কথা হয়েছিল। লোকটা জানিয়েছিল আজ ফিরে আসছে৷ কিন্তু কখন আসছে সে ব্যাপারে সঠিক ভাবে কিছুই জানা হয়নি তার৷ দুপুর গড়িয়ে— বিকেলও গড়াতে চলল অথচ লোকটা একটিবার কল পর্যন্ত করল না। সুপ্ত অভিমান হলেও ভূমি নিজে থেকেই প্রলয়ের নাম্বারে কল লাগাল। রিং হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কল রিসিভ হলো। হয়তো তার কলের অপেক্ষাতেই ছিল প্রলয়। ভূমি কিছু জিজ্ঞেস করবে তার আগেই প্রলয় বলে উঠল‚
“আমার বউটা কী করছিল?”
বিছানার অন্যপাশ ফিরে ভূমি বলল‚ “শুয়ে ছিলাম।”
“সন্ধ্যায় নাস্তা করেছ?”
“হ্যাঁ। আপনি কিছু খেয়েছেন? কখন আসবেন আপনি?”
“দেরি হবে সোনা।”
মন খারাপ হয়ে গেল ভূমির৷ আজকাল প্রলয় তাকে একটুও সময় দিচ্ছে না। আর কল করার মতো সময় আছে এমপি মশাইয়ের? সে তো সারাক্ষণ জনগণের সেবায় নিয়োজিত। তার খেয়াল রাখার সময় কী আর এমপি মশাইয়ের আছে নাকি? আজকাল মন খারাপের আগমন হুটহাটই হয়। তাদেরকে ঘটা করে নিমন্ত্রণ করতে হয় না। ভূমি চুপ করে আছে দেখে ওপাশ থেকে প্রলয়ের উচ্ছ্বসিত কণ্ঠস্বর ভেসে এলো‚
“আমার বউটা কী খুব বেশি মিস করছে তার এমপি মশাইকে?”
এবার মনে হলো যেন ফোনের লাউডস্পিকার আরও বেড়ে গেল। পরক্ষণেই ভূমি পেছন ফিরে তাকাল৷ প্রলয় দরজার কাছে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তার মানে লোকটা তার সঙ্গে মজা করছিল৷ কল কেটে ফোনটাকে বিছানার উপর রেখে প্রলয়ের কাছে গেল সে। টানা তিনদিন পর লোকটাকে দেখছে সে। নিজে থেকেই প্রলয়কে জড়িয়ে ধরল। তিনদিনের একাকীত্ব আজ ঘুচল। অর্ধাঙ্গের বক্ষঃস্থল হতে মুখ তুলে বাচ্চাদের মতো বায়না ধরে ভূমি বলল‚
“ইদানীং আপনি আমাকে একটুও সময় দিচ্ছেন না এমপি মশাই।”
“তোমার বর কাজে একটু ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল সোনা। এখন একটু ম্যানেজ করে নাও। ফ্রি হয়ে বেশি বেশি আদর করে সব পুষিয়ে নেব।”
সলজ্জে হাসল ভূমি। তার সারা মুখে আদুরে চুম্বন এঁকে দিয়ে প্রলয় বলল‚ “ভালোবাসি বউ৷”
ভূমি আবারও প্রলয়ের বুকে মাথা রাখল। এখানেই যে তার সকল প্রশান্তি লুকিয়ে রয়েছে। একমাত্র প্রলয় হলেই চলবে। তার আর কিচ্ছুটির প্রয়োজন নেই৷ সমস্ত অবহেলা হাসি মুখে সহ্য করে নেবে সে৷ পরবর্তীতে যা হবে দেখা যাবে। আর কোনো ভয় দ্বিধা কিচ্ছু নেই তার৷
পরের দিন…
সারাটাদিন একইভাবে কাটল ভূমির৷ এতকিছুর মাঝে নিজের শরীরের প্রতি কোনো খেয়ালই নেই তার। আবারও খাবারে অনিয়ম শুরু হয়েছে। এদিকে ব্যস্ততার কারণে ভূমিকে খুব একটা সময় দিতে পারছে না প্রলয়। তিনদিন শহরের বাহিরে থেকে কালই ফিরে এলো আবার আজ থেকেই তার ব্যস্ততা শুরু হয়ে গিয়েছে৷ প্রলয়কে নিয়ে অভিমানের পাহাড় সৃষ্টি হয়েছে ভূমির মনে। সকাল থেকেই প্রচণ্ড বমি আর মাথা ঘুরছিল৷ পেটের ভেতর যেন সব দলা পাকিয়ে যাচ্ছিল৷ তবুও সাবিনার সঙ্গে থেকে বাড়ির সমস্ত কাজ সে একা হাতে করেছে৷ ফিরোজা উনার বোনের বাড়িতে গিয়েছেন। সন্ধ্যে হয়েছে বিধায় অর্পণ নিজেই তার মায়ের সঙ্গে গিয়েছে। আজ হয়তো বাড়ি ফিরবে না। সন্ধ্যেবেলা পূর্ণতা পুষ্পিতা বায়না ধরেছে আলু পুরি খাবে। তাই ননদিনীদের বায়না পূরণ করতে ভূমিই ছুটে এসেছে রান্নাঘরে৷ অনেকদিন পর আজ ওরা দুটোতে বায়না ধরেছে। সাবিনা অবশ্য সবকিছু আগে থেকেই তৈরি করে রেখেছিল৷ বাকি কাজটা ভূমি নিজেই করেছে। আলু পুরি বানানো হয়ে গেলে সাবিনাকে বলে ভূমি রান্নাঘর থেকে বের হয়ে এলো। উদ্দেশ্য পূর্ণতা পুষ্পিতাকে ডেকে আনা। রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে বৈঠকখানায় আসতেই অচৈতন্য হয়ে লুটিয়ে পড়ল সফেদ মেঝেতে৷ কিছু পড়ে যাওয়ার শব্দ হতেই রান্নাঘর থেকে ছুটে এলো সাবিনা। ভূমিকে এভাবে অচৈতন্য হয়ে পড়ে থাকতে দেখে ঘাবড়ে গেল ভীষণ। দ্রুত কাছে গিয়ে বসল। এরপর চেঁচিয়ে সবাইকে ডাকতে শুরু করল। সাবিনার চেঁচামেচিতে মোর্শেদ শিকদার‚ মাধুরী‚ মেহরাব শিকদার বেরিয়ে এলেন। প্রলয় তখন বাড়িতে নেই৷ আর না ফিরোজা ও অর্পণ রয়েছে! পূর্ণতা পুষ্পিতা তখন নিজেদের ঘরেই৷ নিচ থেকে চিৎকার চেঁচামেচি শুনেছে কি-না জানা নেই। উপায়ন্তর না পেয়ে মাধুরী আর সাবিনা মিলে ভূমিকে ধরে ধরে উনাদের ঘরে নিয়ে গেলেন। অচৈতন্য ভূমিকে তো সিঁড়ি ভেঙে উপরে নিয়ে যাওয়া যাবে না। মাধুরী নিজে থেকেই ভূমির চোখমুখে পানি ছিটিয়ে দিলেন। মেহরাব শিকদার এসে ভূমির পালস পরীক্ষা করল। আসল খবরটা তো উনার জানাই ছিল৷ এবার শুধু একটা ঢোলে বাড়ি দেওয়া প্রয়োজন। নাচবেন তো মাধুরী নিজেই। মেহরাব শিকদার বললেন‚
“ভাবি আমার মনে হচ্ছে ভূমি প্রেগন্যান্ট।”
এ কথা শোনা মাত্রই মাধুরীর চোখমুখ থমথমে হয়ে গেল। উনার মনে এই মুহূর্তে কী চলছে তা জানার উপায়ন্তর আর কারোর নেই! তবে মেহরাব শিকদার কিছুটা হলেও আন্দাজ করছেন। এবার তো শুধু প্রলয়ের আসার অপেক্ষা। প্রলয়ের কাছ থেকে যদি পজেটিভ রেসপন্স আসে তাহলে তো সোনায় সোহাগা।
চলবে?…..