#নিশীভাতি
#৫২তম_পর্ব
“আপনি জানলেন কি করে, দাদা মারা গেছে?”
হুমায়রার এমন প্রশ্নের জন্য যেনো প্রস্তুত ছিল না যুবাইদা। পরীক্ষার প্রশ্নে প্রস্তুতি না নেওয়া ছাত্রীর মতো পাংশুটে হয়ে গেলো তার মুখখানা। এড়ানো সহজ হলো না হুমায়রার সন্দিহান তীক্ষ্ণ নয়ন। অপ্রতিভ স্বরে বললো,
“একটা কামে চেয়ারম্যান সাহেবের সই লাগদো, তাই গেরামে আইছিলাম। তহন জানছি”
যুবাইদার কথায় অবিশ্বাসের স্থান নেই। সে এই গ্রামের বাসিন্দা, যেকোনো সরকারী কাগজে এই গ্রামের চেয়ারম্যানের সই, স্বাক্ষর লাগতেই পারে। এটা খুবই যৌক্তিক কারণ। উপরন্তু দাদার মৃত্যুর কথা গ্রামে জানে না এমন মানুষের অভাবও নেই। সুতরাং সে জানতেই পারে। তবুও কেনো যেনো খুব একটা বিশ্বাস হলো না হুমায়রার। কিন্তু সে অধিক প্রশ্নের মধ্যেও গেলো না। খুব নির্লিপ্ত স্বরে বললো,
“আশাকরি আপনার কাজ শেষ, আসতে পারেন”
বলেই পা বাড়াতেই যুবাইদা হাত আঁকড়ে ধরলো তার। শক্ত করে দু হাতের মধ্যে মুঠোবন্দি করলো। তার চোখমুখ চিকচিক করছে। কথা বলার জন্য যেন উন্মুখ হয়ে আছে সে। তার এই অস্থিরতা দৃষ্টি এড়ালো না হুমায়রার। অবাক স্বরে শুধালো,
“কিছু বলবেন?”
“এক্কান কথা জিগাবার আছিল”
“কি?”
“হুনলাম তোর বাপরে নাকি আম্মায় আর ঘরে জায়গা দিবো না?”
যুবাইদার প্রশ্নে বিরক্ত হলো হুমায়রা। হাতখানা এক ঝটকায় সরিয়ে ফেললো হুমায়রা। হাতের হ্যারিকেনটার আলোর তেজ কমে এসেছে। তেল ফুরিয়ে গেছে হয়তো। ঘরে মানুষটা ঘুমিয়ে আছে। যে পরিমাণ মশার উপদ্রব বেড়েছে তাতে ফাইজানের ঘুমে ব্যাঘাত হবে। ঘুম তার পাতলা; হুমায়রাকে পাশে না পেলেই ঘুম ভেঙ্গে যায় তার। ফলে হুমায়রার তাড়া। অযাচিত এই মানুষটির উপস্থিতি তার বিরক্তি এখন বাড়াচ্ছে বই কমাচ্ছে না। কঠিন স্বরে বললো,
“আপনার আমাদের বাড়ির প্রতি একটু বেশি আগ্রহ দেখছি। এই আগ্রহটা বড্ড বেমানান এবং বিরক্তিকর। আপনি আসতে পারেন”
“তোর কি মনে হয় কাওছার এই সব মাইন্যা নিবো, জেবনেও না। আমার তো ভয় করে ও না সক্কলরে কইয়্যা দেয়…”
“কি বলে দেয়? সেদিনও আপনি আমাকে এমন কিছু বলতে যেয়েও আটকে গিয়েছিলেন। বলুন, আব্বা এমন কি নিয়ে আপনাকে বারবার হুমকি দিত? কি এমন কথা যা সবাই জানলে অনর্থ হবে? বলুন”
উত্তেজিত হলো হুমায়রা। তার গলার রগ ফুলে উঠেছে। হৃদস্পন্দন তীব্র বেগে ছুটছে। উত্তেজনায় তার গা ঘামছে এই হিমেল হাওয়াতেও। যুবাইদা মূর্ছিত স্বরে উত্তর দিলো,
“এইডাই যে রাশাদ এই বাড়ির পোলা না। রাশাদ তোর আপন ভাই না”
যুবাইদার কথায় স্তব্ধ হয়ে গেলো। হুমায়রার মনে হলো তার মস্তিষ্ক কাজ করছে না। তার কান মুহূর্তের জন্য শুন হয়ে গেছে। চারপাশটা হুট করেই অবাস্তব লাগছে। মাটিটাও যেন কেউ সজোরে টেনে নিলো। আর হুমায়রা ডুবে যাচ্ছে বিশ্রী কালো সমুদ্রে। অনাকাঙ্খিত সত্যটা একেবারেই হজম হচ্ছে না তার। মনে হচ্ছে এখন ই গা ভাসিয়ে বমি হয়ে যাবে। ভেতরটা হালকা লাগবে, এতো বিশ্রী কোনো অনুভূতি থাকে পৃথিবীতে। হাটু দূর্বল হয়ে পড়লো অষ্টাদশীর। পাহাড়ের মতো অদম্য, দৃঢ় আর দিঘীর জলের মতো স্বচ্ছ, শান্ত মানুষটি নাকি তার ভাইজান নয়। এ কেমন তিক্ত ঠাট্টা? ঠাট্টাটি সহ্য করতে পারলো না হুমায়রা। ক্রোধিত স্বরে বললো,
“ফাজলামির একটা দায়রা থাকা উচিত। আপনি কি মনে করেছেন, মিথ্যে বলবেন আর আমি বিশ্বাস করে নিবো?”
যুবাইদা এই ক্রোধের বান এড়ালো না। বরং তাচ্ছিল্যভরে হাসলো। মৃদু স্বরে বললো,
“ভাগ্যের চাইতে বড় ফাজিল আর কি আছে ক!”
হুমায়রার অক্ষিগোলক বড় হলো। যুবাইদার মুখশ্রী দেখে মনে হচ্ছে না মানুষটি মিথ্যে বলছে। হুমায়রা দ্বিতীয় প্রশ্ন করার পূর্বেই সে বলতে লাগলো,
“আমি একজনরে ভালোবাসতাম। খুব ভালা পরিবারের ছেলো না সে। বাপ ছেলো না, বুড়া মারে নিয়ে তার সংসার। আমগোর বাড়ির পাশেই তার বাড়ি ছেলো। আমার ছুডুকালের বন্ধু হে, অজান্তেই মন খুয়াইলাম। মানুষডার লগে সংসার করতে চাইছিলাম। সুহের সংসার। ঘর ছাড়লাম। বিয়া করলাম। তহন ওর মাডা মইর্যা গেছে। আমাদের টোনাটোনির সংসার। তুই তো জানিস তোর নানার কি দাপট ছেলো। তুইল্যা আনলো আমারে। ছাড়াছাড়ি করাইয়্যা তোর বাপের লগে বিয়া দিলো। হে তো জানতো না, আমার মধ্যে ঐ মানুষডার অংশ বড় হইতাছে। বিয়ার দুইমাসের মধ্যে জানাজানি হইলো আমি মা হমু। এই বাড়ির লোকেরা কি খুশী! কিন্তু তোর বাপ আঁচ করলো। প্রত্থমে বুঝতে দেয় নাই। ধুম মাইর্যা বইয়ে ছেলো। আমি তো তারে নিজেরে ধরতে দেই নাই, বাচ্চা হইবো কেমনে? কিন্তু চালাক মানুষ কাউরে কয় নাই। সাপের লেজে পা দিয়া যেমনে কোত কইরে গলাটা চিপে ওই হারামী আমার গলা ওমনে চিপছে। সব সময় এই কথা কইয়্যা আমারে দিয়া বাপের থেইক্যা টেহা পয়সা আনাইছে। আমারে মারতো কিন্তু আব্বা-আম্মারে কইবার পারতাম না। নিজের পোলারে কেমনে কষ্ট দেই। ঐ হারামী মজা লুটছে। আমি জেবনে কাউরে এত্ত ঘেন্ন্যা করি না যতডা তোর বাপেরে করিছি। তুই ঐদিন জিগালি না, আমি তোরে কেন এতো অপছন্দ করি! কারণ তোর বাপ। জোর করতো আমারে, আমারে হুমকি দেতো রাশাদের পরিচয় দিয়া দিবো। আমি তাই সব সহ্য করিছি। আমার পোলাডার কি দোষ ক? ও কেন আমার জন্য শাস্তি পাইবো?”
যুবাইদা থামলো। তার চোখজোড়া ভেজা। হাতের উলটা পিঠে অশ্রুগুলো নিপুন ভাবে মুছে দিলো সে। তিক্ত দীর্ঘশ্বাস বের হলো অন্তস্থল থেকে। ক্ষীণ স্বরে বললো,
“আমি জানি আমি যা করিছি ভুল করিছি। কিন্তু বিশ্বাস কর তোর মুখডা দেখলেই কাওছারের সব কিছু স্মরণ হইতো। আর শরীরে জ্বালা ওঠতো। তুইও তো মাইয়্যা। স্বামী তো তোরও আছে, ওই মানুষডা কি তোরে শুধু ভোগের জন্যি রাখছে?”
হুমায়রা উত্তর দিতে পারলো না। সে স্তম্বিত চেয়ে রইলো। যুবাইদা আবার বললো,
“তোর বিয়ার আগে কাওছারের এই কাম আরোও বাড়িলো। ওর নজর ছেলো তোর গয়নাগাটি আর টেহার দিকে। আমারে হুমকিও দেলো, সে সবার সামনে আমারে আর আমার পোলারে নাকানিচুবানি খাওয়াইবো। ওরে তো চিনি ও সব পারে। তাই আমিও ফন্দি আটিলাম। মান সম্মান যখন যাইবো, এমনেই যাক। আমি আর এহানে থাকুম না, একজন অপেক্ষায় আছিলোই আমার। চইল্যা গেলাম। হুমায়রা, মা আমার। এত্তোবছরের লুকানো সত্যডা আমি তোরে কইলাম। তুমি তোর ভাইজানরে চিনোস। এডি জানলে ও আর ঠিক থাকবো না। মারে ওরে জানতে দিস না। পোলাডা তো এই পরিবারের জন্য কম করে নাই। নোংরা তো আমি। ওয় তো না। আমি তোরে বিশ্বাস করিলাম। কাওছার ছাড়া পাইলেই বেন্দা হইয়্যা যাইবো। তোর বড় ঘরে বিয়্যা হইছে। কিন্তু আমার পোলাডা? ওর কি হইবো?”
হুমায়রা হাতটা আস্তে করে ছাড়িয়ে দিলো। শীতল স্বরে বললো,
“আপনার মতো স্বার্থপর মানুষ আমি দ্বিতীয়টা দেখি নি। যদি সত্যি ছেলের চিন্তা থাকতো, তবে সেদিনের কাজ করার সময় দুবার ভাবতেন। কাওছার লোভী, ওর লোভ টাকা পয়সায়। আপনিও কম যান না। নিজের ছেলে, নিজের ছেলে। আর আমি? আমি কি? আপনি চলে যান প্লিজ। আমাদের জীবন আপনি আর কাওছার ব্যাতীত অনেক সুন্দর। অনেক সুন্দর”
যুবাইদা আর কথা বলার সুযোগ পেলো না। তার পূর্বেই হুমায়রা পা বাড়ালো নিজ গন্তব্যে। গাঢ় কুচকুচে আধারে মিলিয়ে গেলো সে। যুবাইদাও ফিরে গেলো নিজ গন্তব্যে। হুমায়রার বুকটা ভার ভার লাগছে। কুয়াশা লেপ্টানো উত্তরীয়া বাতাসে উড়ছে খোলা চুলগুলো। সে পুকুরে কাঁচা পাড়টায় গিয়ে বসলো। রক্তজবার গাছটা হেলে পড়েছে ফুলের ভারে। দূরের বাশঝাড় ঝুকে অদ্ভুত রহস্যের রচনা করছে। হারিকেনের তেল ফুরিয়ে গেছে। ফলে অন্ধাকারেই মিশে রইলো হুমায়রা আকাশে চাঁদ নেই। নিকষ কালো অম্বরে তাকিয়ে আছে সে। নিজের জীবনের অপরিচিত বিশ্রী সত্যটা হজম হচ্ছে না হুমায়রার। নীরব দৃষ্টি চেয়ে রইলো গাঢ় আধারের দিকে। চোখ বেয়ে নেমে এলো বিষাদসিন্ধুর ঢেউ। ভাইজানঅন্ত প্রাণটি মোটেই বিশ্বাস করতে চাচ্ছে না যুবাইদার কথা। তর্ক বিতর্ক করতে চাওয়া হৃদয়টা থমকে আছে।
হিমেল হাওয়ায় লোমগুলো কেঁপে উঠছে। কিন্তু অনুভূতি কাজ করছে না হুমায়রার। হঠাৎ একটি মোটা শাল জড়িয়ে ধরলো কেউ। স্বম্বিৎ ফিরলো হুমায়রার। আলো আঁধারীতে মোবাইলের লাইটের আলোতে স্পষ্ট হলো ফাইজানের মুখ। গাঢ় স্বরে শুধালো,
“এখানে কি করছো?”
হুমায়রা কোনো কথা বললো না। হু হু করে কেঁদে উঠলো সে। ফাইজান বুঝতে পারলো না। মনে করলো দাদাকে স্মরণ করে বুঝি মন দূর্বল হয়ে এসেছে। তাই সাধ্য মতো সান্ত্বনা দেবার চেষ্টা করলো। কিন্তু অশ্রুর বেগ কমলো না। তেতো যন্ত্রণার ধারে অশ্রুরা মুক্তি পেলো অঝরে।
*******
সূর্যের মিষ্টি আলো ধরণীতে কদম রাখতেই আঁধারের ঘোর আধিপত্যের ইতি ঘটলো। হুমায়রা তখন গভীর ঘুমে। সারাটারাত মেয়েটি কেঁদেছে। খুব কষ্টে তাকে শান্ত করেছে ফাইজান। অবশেষে তার বুকে ঘামটি মেরে বিড়ালের বাচ্চার মতো ঘুমিয়েছে। তাই তাকে ডাকতে ইচ্ছে হলো না। মোটা কম্বলটা গলা অবধি টেনে দিলো ফাইজান। ফরিদ এই পর্যন্ত সাতাশটি মিসকল দিয়েছে। নিশ্চয়ই গাড়ি নিয়ে রাস্তায় অপেক্ষা করছে। এখান থেকেই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিবে ফাইজান। দেরি করলেই দেরি হবে। কিন্তু অষ্টাদশীকে ছেড়ে যেতে ইচ্ছে করছে না। কপালে গাঢ় চুমু আঁকলো ফাইজান। গভীর স্বরে বললো,
“খেয়াল রেখো আমার বউটির”
বেরিয়ে গেলো ফাইজান। মাটির পথ পাড় হতেই দেখলো ফরিদ গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ফাইজান উঠতে বললো,
“যেতে ইচ্ছে করছে না?”
“একেবারে না”
“এমপি সাহেব আপনি ভুলে যাচ্ছেন আপনি ফাইজান ইকবাল, এমপি ফাইজান ইকবাল”
ফাইজান নিঃশব্দে দীর্ঘশ্বাস ফেললো। চাইলেও সেটা ভোলার উপায় নেই। গাড়ি স্টার্ট দিলো ফরিদ। বেগ বাড়লো। একটা সময় ঘন কুহেলিকার প্রলেপে হারিয়ে গেল গাড়িটি।
********
মানুষ মারা যাবার পর দিনগুলো কাটে খুব দ্রুত। রাত হলেই সেই স্মৃতির দাপট বাড়ে। কষ্ট প্রগাঢ় হয় হয় তখন। শামসু মিঞা মারা গেছে আজ পাঁচ দিন। মিলাদের আয়োজন করা হয়েছে। গ্রামের উত্তরের মাদ্রাসা এবং এতিম খাতান ছেলেদের নিমন্ত্রণ করা হয়েছে। তারা কুরআন শরীফ খতম দেবার সাথে সাথে দোয়া করবে শামসু মিঞার জন্য। কাজের মাঝে দুঃখের অস্তিত্ব থাকে না। ঠিক তেমনি আজ রাশাদের সবচেয়ে ব্যস্ত দিন কাটছে। সারাদিন ছোটাছুটি। খাবার রান্না হচ্ছে উঠানের ডান দিকে। মোট ত্রিশ জন ছেলে। তাদের যেনো কোনো সমস্যা না হয় তা নিপুন হস্তে পর্যবেক্ষণ করছে সে। হুমায়রা তার ভাইজানকে দেখছে। মানুষটিকে দেখে কে বলবে সে এই বাড়ির কেউ নয়। হুমায়রা একটি গভীর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে ভাইজানের এই সত্যটা নিজের মন প্রকোষ্ঠেই রাখবে। কালাম এখনো কাওছারের কেস তুলে নি। সুতরাং সে এখনো ছাড়া পায় নি। সে ছাড়া পেলেও তাকে কোনো সুযোগ দিবে না হুমায়রা। দাদী যেহেতু বলে দিয়েছে সুতরাং এই বাড়িতে তাকে ঢুকতেও দিবে না সে। তার জন্য যা করা প্রয়োজন সে করবে। লোভী ব্যাক্তিদের কেনা সহজ। তাদের সবকিছুই এসে থাকে অর্থে। অর্থের লোভে তারা সবকিছু করতে পারে। কাওছারও তেমনই মানুষ। তাই একটি সহজ পথ বের করেছে হুমায়রা। কথাটা ভাবতেই মনের ভার কমলো। মিলাদ বেশ সুষ্ঠভাবেই শেষ হলো। দোয়া দুরুদ শেষে ছেলেগুলো প্রস্থান করলো। সবাইকে টাকা বুঝিয়ে দিলো রাশাদ। এরমাঝেই পাশের বাড়ির রাশেদা আর তার ছেলের বউ আসলো। তারা আতিয়া খাতুনকে দেখতে এসেছে। সাথে ইলহার জন্য বরুইয়ের আচার নিয়ে এলো। হুমায়রাকে দেখে তার সাথেও কথা জুড়লো,
“তা বিলকিস, আছোস কত দিন?”
“সামনেই তো পরীক্ষা, পরীক্ষা পর্যন্ত”
“ভালা করছোস। আচ্ছা, খবর পাইছোস নি? তোর মামী শাশুড়ী যে ভিরমী খাইছে? হে এহন হাসপাতালে”
রাশেদার কথা শুনেই অবাক হলো হুমায়রা। ঘরের বাহিরে তার মাথায় অন্য কারোর চিন্তা আসেই নি। সালমা মামীর এমন অবস্থার কথা কি শরীফা জানে? জানলে নিশ্চয়ই তিনি বসে থাকতেন না। ছুটে আসতেন। ননদ, ভাবীর সম্পর্কটা বেশি মিষ্টি। হুমায়রা শুধালো,
“হঠাৎ কেনো অসুস্থ হলেন?”
“হইবো না কেনো? গত রাতরে আমানরে ফুলিশ ধইর্যা লইয়্যা গেছে”…………
চলবে
মুশফিকা রহমান মৈথি