একটি_সাঁঝরঙা_গল্প #তানিয়া_মাহি #পর্ব_০৪

0
255

#একটি_সাঁঝরঙা_গল্প
#তানিয়া_মাহি
#পর্ব_০৪

“শাড়ি পরেছিস কখন?”

মায়ের কথায় থমকে দাঁড়ালো ফালাক। নিজের দিকে খেয়াল করতেই জিভেতে কামড় খেল। রাতে শাড়ি পরেই ঘুমিয়েছিল সে। সামনের দিকে তাকিয়ে দেখল আবির, নিশো দুজনই তার দিকে গোল গোল চোখে তাকিয়ে আছে। নিজেকে কেমন উদ্ভট লাগছে ফালাকের। শাড়ির কথা মাথা থেকেই চলে গিয়েছিল একদম।

নিজেকে অপ্রস্তুত হওয়া থেকে ধীরে ধীরে সামলে নিল সে। মায়ের দিকে তাকিয়ে বলল,“রাতে ভালো লাগছিল না। ঘুম আসছিল না তাই শাড়িটা পরেছিলাম। চেঞ্জ করতে ইচ্ছে হয়নি আর। আমাকে কি খারাপ লাগছে, মা?”

রাবেয়া বেগম মৃদু হাসলেন। মেয়ের বাহু ধরে নিজের কাছে টেনে নিলেন। নিজের শাড়ির আঁচল দিয়ে চোখের লেপ্টে যাওয়া কাজল খানিকটা পরিষ্কার করে দিলেন। বেসিনের আয়নার সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়ে মৃদু হেসে বললেন,

“ঠিক যেন অষ্টাদশী আমি দাঁড়িয়ে আছি। আমার মুখটার সবটা নিয়ে নিয়েছিস যে! কী সুন্দর লাগছে আমার মেয়েটাকে! মাশাআল্লাহ, কারো নজর না লাগুক। কালো টিপ দিতে হবে। ”

ফালাক মেকি রাগ দেখিয়ে বলল,“মা, তোমারে না বলছি ওসব শিরক। তুমি চাও আমি জাহান্নামে যাই? ”
“আস্তাগফিরুল্লাহ! কখনো চাই না, মা।”
“বাবা কোথায়? কেমন আছে এখন?”
“সকাল সকাল উঠেছিল। খিদে পেয়েছিল। খেয়ে শুয়েছে আবার।”
“আজ অফিসে কে বসবে? ভাইয়া?”
“হ্যাঁ। আবির যাবে। তুই যা জলদি হাত-মুখ ধুয়ে আয় একসাথে নাশতা করি সবাই।”

“ভাইয়া, আমার কুরিয়ারে যেতে হবে। তুই নিয়ে যেতে পারবি না তো। আমি একাই চলে যাব।”

আবিরকে ডেকে কথাটা বলে ফ্রেশ হতে চলে গেল ফালাক। আবির পিছন থেকে একাই বলতে থাকলো,“ওতদূর কেন যেতে হবে? হোম ডেলিভারি নিয়ে নিলেই হয়ে যায়। ক্লাস বাদ দিয়ে এখন ওসব করতে হবে।”

অল্প সময়েই ফালাক ফ্রেশ হয়ে খাবার টেবিলে চলে এলো। এখনো শাড়ি পাল্টায়নি সে৷ শাড়ি পরে থাকতে মন্দ লাগছে না। যে জিনিসে মন্দ লাগা কাজ করে না সে জিনিস চব্বিশ ঘণ্টা করা যায়।

ফালাক এসে নিজের চেয়ারে বসলো। কোণাকুণি চেয়ারে নিশো বসে আছে। পাশেই আবির। ফালাককে বসতে দেখে আবির বলল,

“তুই কুরিয়ার থেকে আসা মেসেজ নিশোকে ফরওয়ার্ড করে দে। বিকেলে ও গিয়ে পার্সেল নিয়ে আসবে। তোর যেতে হবে না।”

রাবিয়া বেগম নাশতার প্লেট ফালাকের সামনে দিয়ে নিজেও পাশের চেয়ারে বসলেন। ফালাক নিজের প্লেট টেনে নিয়ে বলল,

“ভাইয়া, আমার বাহিরে কাজ আছে। তুই জানিস যে আমি ছোট-খাটো বিজনেসও করি। সাতটা বোরখার অর্ডার আছে ওগুলোও ক্রেতার ঠিকানায় পাঠাতে হবে। কাপড় কিনে বাসায় ফিরতে হবে। সামনের সপ্তাহে দুটো বোরখার অর্ডার আছে ওগুলো বানাতে হবে। এগুলো নিশ্চয়ই নিশো ভাইয়া পারবে না। আমাকেই যেতে হবে। তুই সাথে গেলে ভালো হতো তাই তোকে বলেছিলাম। যেতে পারছিস না, ইটস ওকে।”

আবির কী বলবে বুঝতে পারছে না। ফালাককে বারণ করলেও সে শুনবে না। বাহিরে যাওয়ার কারণগুলো এমন করে সাজিয়ে রেখেছে যেন আজ বাহিরে না গেলে হচ্ছেই না।

পাশ থেকে রাবেয়া বেগম বলে উঠলেন,“ বিকেল থেকে ফালাক নিশোর কাছে পড়তে বসবি। সামনে পরিক্ষা। রেজাল্ট ভালো না হলে তোর বাবা এসব বিজনেস আর করতে দেবে না। ”

রাবেয়া বেগমের কথা শেষ হতে না হতেই নিশো আর ফালাকের চোখাচোখি হলো। ফালাক খাবার মুখে নিতে গিয়ে থেমে গেল। নিশোর দিক থেকে চোখ সরিয়ে নিয়ে মায়ের দিকে তাকালো। বলল,

“উনার কাছে পড়ব? সময় হবে উনার? ”
“হবে না কেন? আমি নিশোকে বলেছি তো। ও রাজি হয়েছে। তুই পড়তে বসলেই হলো।”
“আজকাল তোমার কথা উনি বেশিই মানছেন মনে হচ্ছে।”
“মানবে না? আরেকটা মা হই আমি ওর।”
“শোনো মা, আমার আর ভাই লাগবে না। আমার ভাই আছে। একটা ভাই যথেষ্ট আমার জন্য।”

ফালাকের কথা শুনে মৃদু হাসলেন রাবেয়া বেগম। নিশো এতক্ষণে বলে উঠল,“চাচি, আপনার মেয়েকে বলে দিয়েন, তার ভাই আমিও হতে চাই না। বোনের প্রয়োজন নেই, আমারও বোন আছে।”

ফালাক কিছুক্ষণ ভ্রু কুঁচকে নিশোর দিকে চেয়ে রইল। মনে মনে বলল,“আপনার তো বউ নেই। বোন চান না বউ চাইলেই পারেন।”
______

দুপুর দুইটা। নিশো নিজের প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র, সার্টিফিকেট নিয়ে বেরিয়েছিল। দুই জায়গায় ইন্টারভিউ ছিল আজ। সিজিপিএ দেখে হিয়ারার নিশোকে পছন্দ করলেও কিছু মৌখিক প্রশ্নে নিশো উত্তর দিতে পারেনি। ইন্টারভিউ দিতে গেলে প্রত্যেকেই হয়তো কিছু উদ্ভট প্রশ্নের সম্মুখীন হয় যেগুলো কোনোভাবেই কাজ রিলেটেড নয়। এই যেমন আজ প্রথম ইন্টারভিউতে একজন প্রশ্ন করে বসলেন,

“বলুন তো, আজারবাইজান দেশের মুদ্রার নাম কী?”

নিশো মাথা চুলকালো। পরিমিত হেসে বলল,“আপনি বলুন তো, বিয়ের সময় কোন দেশের রাজধানীর নাম ছয়বার উচ্চারিত হয়?”

লোকটা বিস্মিত হলো। বিরক্ত গলায় বললেন,“ইন্টারভিউ দিতে এসেছেন আপনি, আমি না। এখানে ফাতরামি করবেন না একদম।”
“কী আজব! দিতে এসেছি চাকরির ইন্টারভিউ অথচ আপনি আমাকে আজারবাইজানের দেশের মুদ্রার নাম জিজ্ঞেস করছেন। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে সর্বোচ্চ জিজ্ঞেস করতে পারতেন যে বাংলাদেশ কত সালে ভাষা আন্দোলন করেছিল। আমি সংক্ষেপে ১৯৫২ সাল বলে তৃপ্তির ঢেকুর তুলতাম এই ভেবে যে আপনারা বাংলাদেশ সম্পর্কে জানার আগ্রহ বাড়াচ্ছেন। তা না করে বাংলাদেশ বাদে পৃথিবীর অন্যসব দেশ নিয়ে পড়ে থাকেন।”

সামনে বসা লোকের মেজাজ যেন চরম উত্তপ্ত হলো। রেগে গিয়ে বললেন,“বের হোন আপনি এখান থেকে। আপনার মতো লোক এই অফিসে লাগবে না।”

আর কী করার! বেরিয়ে আসতে হলো নিশোর। দ্বিতীয় জায়গায় ঠিক এরকমই কান্ড ঘটিয়ে অন্যদের বিরক্ত করে নিজেও এখন বিরক্ত হয়ে রাস্তায় হাঁটছে।
সামনেই একটা স্টল দেখে সেদিকে এগিয়ে গেল সে। একটা বেঞ্চে বসে চাওয়ালা মামাকে বলল এককাপ চা দিতে। এক মিনিট বসতে না বসতেই ফালাকের কল এলো। পকেট থেকে ফোনটা বের করে রিসিভ করল সে।

ওপাশ থেকে ফালাক শান্ত গলায় বলল,“কোথায় আছেন?”
“স্টলে, এক কাপ আর একটা সিগারেট খাব।”
“সিগারেট যারা খায় তার নবীর সাথে দেখা করতে পারবে না, জানেন না?”
“জানি।”
“তবু কেন খান?”
“চাকরি পেলে স্ট্রেস কমে যাবে তখন আর সিগারেট খাব না।”
“এখন স্টল থেকে বের হন। আমি সোনালি ব্যাংকের এদিকে আছি। আপনাকে দেখলাম বামদিকের রাস্তায় যেতে। গাড়িতে অনেক মালামাল আমার সাথে। একা এগুলো বাসায় নিয়ে যেতে পারব না। যতদূর মনে হচ্ছে গাড়িওয়ালা মামাও সাহায্য করবে না। আপনি চলে আসুন, আমি মাকে বলব আপনাকে চা করে খাওয়াতে।”
“আচ্ছা, আসছি।”

কল কাটলো নিশো। চা না খেয়েও চায়ের দাম দিতে গেলে লোকটা বলল,“মামা, চা তো খাবেন না কইতাছেন। দাম ক্যান দিচ্ছেন?”
“রাখেন, মামা। এদিকে আমার প্রায়ই আসা লাগবে। অন্যদিন আপনার হাতের চা খেয়ে যাব।”

স্টল থেকে বেরিয়ে এলো নিশো। পকেটে হাত দিয়ে দেখল পকেটে অল্পকিছু টাকা আছে। দূর থেকে ফালাককে দেখতে পেয়েছে সে। গাড়িতে বেশ কিছু জিনিসপত্র রয়েছে। ভাড়া সবমিলিয়ে একশো, দেড়শো হবেই কিন্তু এত টাকা তার কাছে নেই। টাকা নিয়ে বের হলে খরচ হয়ে যাবে জন্য কিছু টাকা বাড়িতে রেখে এসেছিল সে। এখন ফালাকের সাথে গেলে বড় হিসেবে গাড়ি ভাড়াটা তারই দিতে হবে। ফালাক দিলে সেটা খুব একটা ভালো দেখাবে না। কী করবে ভাবতে ভাবতে রাস্তা পার হয়ে এলো সে।

ফালাকের কাছাকাছি আসতেই গাড়ির পিছনের দিকে দাঁড়ানো দুজন অল্প বয়স্ক ছেলের কিছু কটু কথা শুনতে পেল সে। রাস্তাঘাটে বের হলেই আশেপাশে যে দুই একজন ইভটিজার দেখা যায় এরা সেই শ্রেণীর।

নিশো ফালাকের কাছে পৌঁছানোর ঠিক কয়েক সেকেন্ড আগে সেই দুজনের একজন গিয়ে ফালাকের সামনে দাঁড়িয়ে বলল,“আপু, আপনার নম্বরটা দিন তো, আমার বন্ধু আপনাকে পছন্দ করেছে।”

“আরে ভাই, সরুন তো বসতে দিন।” বলেই হাত দিয়ে টেনে ফালাকের সামনে থেকে ছেলেটাকে সরিয়ে দিল। পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা বন্ধু এগিয়ে এসে নিশোকে ধাক্কা দিয়ে ক্ষিপ্র দৃষ্টিতে তার দিকে তাকালো।

নিশো পিছনে ফিরে ছেলেটাকে দেখে শান্ত মেজাজে বলল,“কী সমস্যা, ভাই? ধাক্কা দিলে কেন? বয়সে বড় আমি তোমার।”
“ধুরু মিয়া, রাখেন আপনের বড়। আপনে এখানে কী করেন আমাদের মাঝে।”
“কাদের মাঝে?”
“এই যে আমাদের মাঝে।”
“কে উনি?”
“আমার হবু প্রেমিকা।”

নিশো এবার দাঁতে দাঁত চেপে ছেলেটার গালে একটা চ*ড় বসিয়ে দিল। রাগ নিয়ন্ত্রণ করে হেসে বলল,“ওটা তো হবু প্রেমিকা হইলে আমি তোর হবু সমুন্দি।”

নিশোর কথায় ফিক করে হেসে ফেলল ফালাক। এতক্ষণ বেশ গম্ভীরভাবে বসেই কথোপকথন শুনছিল সে। এবারের কথায় গাম্ভীর্য টিকিয়ে রাখতে পারল না সে। ঝামেলা বড় আকার ধারণ করার আগেই সে বলে উঠল,

“রাস্তায় ঝামেলা করা ভালো মানুষের লক্ষণ নয়। গাড়িতে উঠে আসুন। পরিচিত কেউ চিনতে পারলে আমার আর বাহিরে আসা হবে না।”

নিশো গাড়িতে বসে চকিতে জবাব দিল,“একা যেন কেউ বের হতে না দেয় সেই ব্যবস্থা করছি চলো।”
“আপনি বাসায় কিছু বলবেন না।”
“দেখা যাবে।”
“এই ছোট খাটো ব্যাপারের জন্য আমার কাজ থামিয়ে দেবেন না। ভবিষ্যতে বরকে উপার্জন করে খাওয়াতে আমার এই বিজনেসটা টিকিয়ে রাখতে হবে।”
“মামা চলেন।” নিশো গাড়িচালককে যাওয়ার অনুমতি দিতেই গাড়ি চলতে শুরু করল।

নিশো পাশে তাকালো। বলল,“চিন্তা করো না, তোমার বাড়ির মানুষ কোন বেকারের সাথে তোমার বিয়ে দেবে না। আমি দিতে দেব না। তাছাড়া তোমার বিয়ের বয়স হয়নি।”

ফালাক কিছু বলল না। মৃদু হাসলো সে। ফালাককে চুপ থাকতে দেখে নিশোও কিছু বলল না। পুরো রাস্তা দুজন নিরবতা পালন করল। পনেরো মিনিটের মাথায় গাড়ি এসে বাড়ির সামনে দাঁড়ালো। নিশো গাড়ি থেকে নামতে নামতে ফালাক নিজের পার্সব্যাগ থেকে পাঁচশো টাকার নোট বের করে গাড়ি চালকের দিকে বাড়িয়ে দিয়ে ইশারায় নিশোকে দেখিয়ে বলল,

“চাচা, গাড়ি ভাড়া রেখে বাকি টাকা উনার হাতে দিন।”

নিশোকে কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়ে ফালাক আবার বলে উঠল,“আপনি বাকি টাকা নিজের কাছে একটু রাখুন। আমি দুটো ব্যাগ নিচ্ছি বাকি দুটো ব্যাগ আপনি এখানে নামিয়ে রাখুন। আমি আবার আসছি। দুজন মিলে নিয়ে যেতে পারব না একটা একটা করে?”

গাড়ি চালক এবার বলে উঠল,“আম্মা, একটা আমি নিয়ে দিচ্ছি আর আরেকটা উনি নিক তাইলে কাম তাড়াতাড়ি হইয়া যাইবো।”

ফালাক মৃদু হেসে বলল,“তাহলে তো খুব উপকার হবে, চাচা। আমি কৃতজ্ঞ থাকব।”

ব্যাগগুলো পৌঁছে দিয়ে গাড়িওয়ালা চলে যায়। নিশো বেরিয়ে যাবে তার আগেই পকেট থেকে টাকাগুলো বের করে ফালাকের রুমেই টেবিলের ওপর রাখতে যাবে তখন ফালাক ব্যস্ত গলায় বলে উঠল,

“ওটা ফেরত দিতে হবে না। তখন তো সিগারেট খেতে পারেননি। এটা দিয়ে এক প্যাকেট কিনে রাখবেন।”

নিশো ভ্রু কুঁচকালো। অবাকমিশ্রিত কণ্ঠে বলে উঠল,“সিগারেট খেতে টাকা দিচ্ছ?”
“প্রেমিকারা প্রেমিকের সিগারেট খাওয়ার অধিকার কেড়ে নেয়। আমি প্রেমিকা নই।”
“অবাক করে দেওয়ার ক্ষমতা আছে তোমার তবে টাকা আমার প্রয়োজন হবে না। আমার কাছে আছে।”
“রাখুন ওটা। ফিরিয়ে দিলে আমার খারাপ লাগবে। চেষ্টা করবেন সিগারেট না খেতে। মনে হয় না এভাবে চাকরি খুঁজে কোন লাভ হবে। আপনি বরং বিসিএস এর প্রস্তুতি নিন।”

নিশো চুপ রইল। ফালাক আবার বলল,“আমাকে পড়াতে আসছেন কখন?”
“কখন তোমার সুবিধা হয়?”
“সাতটার দিকে সময় হবে আপনার?”
“হুম হবে।”
“ঠিক আছে। চলে আসবেন।”
“ঠিক আছে।”
“মন খারাপ লাগলে ছাদে যাবেন বা আপনার রুমের পিছনের সিঁড়িতে বসবেন, ভালো লাগবে। অনেক কথা বলে ফেলেছি। এখন আসুন। আমার অনেক কাজ।”

নিশো বেরিয়ে যেতে পা বাড়ালে ফালাক আবার বলে উঠল,“শুনুন, তখন আপনার কথায় ভুল ছিল। আমার বিয়ের বয়সের খুব বেশি দেরি নেই। মাত্র তেরো দিন।”

#চলবে……..

রিচেক দেওয়া হয়নি শুধু লিখেই গিয়েছি। জানি না কেমন হলো আজকের পর্ব। ভুলত্রুটি ধরিয়ে দেবেন। গঠনমূলক মন্তব্য আশা করছি।💜

😇

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here