বৃষ্টি_থামার_পরে পর্ব ৫: #বিশ্বাস

0
479

গল্পের নাম: #বৃষ্টি_থামার_পরে
পর্ব ৫: #বিশ্বাস

মিহি মাঝখানের একটা বেঞ্চে গুটিশুটি মেরে বসে আছে। আর তার থেকেই একটু দূরত্বে এরোন।
সে চুপচাপ মিহির দিকে তাকিয়ে আছে।
মিহি সোজা তাকিয়ে আছে আর মাঝে মাঝে জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে নিচ্ছে। কয়েকজন ওদের অবাক হয়ে দেখছে। আবার কয়েকজন ওদের দিকে দেখে ফিসফিস করছে। অনেকেই ধারণা করে নিয়েছে যে এদের মধ্যে কিছু চলছে।
মিহির ত লজ্জায় মাটিতে মিশে যেতে ইচ্ছে করছে। এতদিন নাহয় বিষয়টা বাহির পর্যন্ত ছিল। আজ ত ক্লাসে এসে ওর পাশে বসে গেছে। যদিও ক্লাস এখনো শুরু হয়নি৷ হলে স্যার কি মনে করবে সেটাই ভেবে অস্থির হচ্ছে মিহি।
এরোনের সে বিষয়ে মাথা ব্যথা নেই। সে মিহির দিকে একটা মাঝারি ধরনের শপিং ব্যাগ এগিয়ে দিয়ে বলল, “এটা তোমার।”
মিহি আড়চোখে কোনোমতে এরোনের দিকে তাকালো। তারপর সেই শপিং ব্যাগের দিকে তাকালো।
সবাই অবাক হয়ে দেখছে। ফিসফিসানি বেড়েই যাচ্ছে।
“What?” হালকা চড়া মেজাজে পুরো ক্লাসের সবার দিকে একপলক তাকিয়ে বলল এরোন।
এতেই সবাই ভরকে গিয়ে নিজেদের কাজে মনোযোগ দিল। মিহি নিজেও ভরকে গেল।
এরোন একটা নিঃশ্বাস ফেলে বিড়বিড় করে বলল, “স্টেডিয়ামই বেষ্ট।”
তারপর মিহির দিকে তাকালো।
মিহি এখনো হাত দিয়ে ওই জিনিসটা ধরে ত দেখেই নি বরং মাথা নিচু করে হাত কচলাচ্ছে।
এরোন একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে ব্যাগটা আরেকটু এগিয়ে দিয়ে বলল, “এটা খোলো।”
“এটা..?” মিহি প্রশ্নসূচক কন্ঠে বলে এরোনের দিকে তাকালো।
“খুললেই বুঝবা কি এটা।”
মিহি ইতস্তত করতে লাগল।
এরোন নিজের হাতের ঘড়িতে সময় দেখে তাড়া দিয়ে বলল,”ক্লাস শুরুর আগেই আমি বের হব। কুইক।”
ইচ্ছা না থাকলেও মিহি হাত বাড়িয়ে ব্যাগটা খোলার জন্য নিলো। কারণ নাহলে ক্লাসেও এই ছেলের পাশে বসে থাকতে হবে। স্যারও কি মনে করবে ঠিক নেই।
তবে ব্যাগ খুলতে গিয়ে মিহি পরে গেল ঝামেলায়। সে ব্যাগের মুখের পিনটা খুলতে চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না।
এরোন নিঃশব্দে হেসে দিলো। কারণ মিহি পারছেই না। তাই ব্যাগটা হাত বাড়িয়ে মিহির থেকে নিলো এরোন। মিহি হাত গুটিয়ে নিল। সে বরাবরই খালি হাতে পিন খুলতে পারেনা। কলম এর নিব দিয়ে গুতোগুতি করে তবেই পারে। নাহলে নখে ফুটে যায়। অতঃপর এরোনই পিনটা খুলে আবার ব্যাগটা এগিয়ে দিলো।
মিহি হাত বাড়িয়ে ব্যাগটা নিলো। তারপর ব্যাগের মুখ খুলে সন্দিহান চোখে ব্যাগের ভিতরে তাকালো।
আর তাকাতেই মুখ হা হয়ে গেল। কারণ ভিতরে একটা গোলাপি রঙের হ্যালো কিটি পুতুল। অনেক বেশিই সুন্দর সেটা।
মিহি পুতুলটা বের করে হাতে নিলো। আর নিজের অজান্তেই ওর মুখে হালকা খুশির ঝিলিক ফুটে উঠলো।
এরোন মুচকি হেসে ওর পাশ থেকে উঠে দাঁড়িয়ে চলে যেতে লাগল।
মিহি একবার এরোনের আরেকবার হাতের পুতুলটার দিকে তাকাতে লাগল।
দরজা দিয়ে বের হতে হতে এরোন মিহির দিকে ঘুরে তাকালো। সাথে সাথে মিহি চোখ নামিয়ে নিল।
এরোন বের হয়ে চলে যাবার পরেই আবার দরজার দিকে তাকালো। আর চিন্তা করতে লাগল, এই পুতুলটা নেওয়া ঠিক হলো কিনা!
তবে এই পুতুলটা ওর অনেক পছন্দ হয়েছে। তাই নিজেকে সান্ত্বনা দিতে লাগল এই বলে যে, ছেলেটা ওর দুইটা জিনিস নিয়েছে তার বদলে এটা ও রাখতেই পারে। এজন্যই রাখবে৷ ওসব ভালোবাসা বাসির জন্য না। তাছাড়া খুব শীঘ্রই বাসাতে ফিরবে মিহি। এই মাসটা শেষ হবার অপেক্ষা। আর মাত্র কিছুদিন।

এর পরে আবার কিছুদিন এরোনের দেখা পায়নি মিহি। তবে প্রতিদিন কয়েক মিনিটের জন্য হলেও ফোন সে করেছেই।
তবে এই কিছুদিনের মধ্যেই ঘটে গেল আরেক ঘটনা। একটা ছেলে মিহিকে বিরক্ত করতে লাগলো। অনেক বাজে ভাবেই। বিভিন্ন উল্টাপাল্টা কথা আর ইশারা ত আছেই।
প্রথমে কয়েকদিন এড়িয়ে গেল। তবে সেই কয়েকদিনের মাথায় সেই ছেলেকে আর আশেপাশে কোথাও দেখলো না মিহি। এতে মিহি বেশ অবাক হলো।
কারণ মিহিকে দেখে প্রতিদিন ফালতু আওয়াজে গান গাইত। যেসব গান শুনলে বমি আসে এমন গান।
তবে হঠাৎ ব্যাটার হলো টা কি?
সে উওর মিহি সেদিন রাতেই পেয়ে গেল। যখন এরোন ওকে ফোনে আধা ঘণ্টা ঝাড়ি মেরে কথা বলল।
প্রথমের দিকে বুঝতে না পারলেও পরে বুঝলো যে এরোনই কিছু করেছে। সেদিন ভালোমন্দ অনেক কথাই শুনলো। কিন্তু চুপচাপ হজম করে নিলো।
হল ছাড়তে বেশি দিন নেই। এর আগে একে রাগিয়ে লাভ নেই। রেগে গেলে এই ছেলে পুরোই অচেনা হয়ে যায়।
কিন্তু কৌতুহল বসত রিনরিনে গলায় একটাই প্রশ্ন করেছিলো, “আপনি ওর সাথে কি করেছেন?”
এরোনের শক্ত গলার উওর ছিল, “পগারপার চেনো? সেখানে দিয়ে এসেছি।”
শুনে মিহি ভয়ে আর কিছু বলেনি।

__________

বাসায় যেতে আর দুইদিন বাকি। চিন্তা করেই মিহির চোখে খুশির ঝিলিক ফুটে উঠছে। সবটা তমার জন্যই। ও এমন বুদ্ধি না দিলে জীবনেও এটা মাথায় আসতো না মিহির।
মিহি হাসিমুখে তমার দিকে তাকালো। তমা ওর পাশে বসে আপনমনে আইসক্রিম খাচ্ছে। মিহি ট্রিট দিয়েছে।
মিহি খুশিতে আচমকা জড়িয়ে ধরল তমাকে। ফলে তমার আইসক্রিম টুপুত করে মাটিতে পরলো। খেয়াল হতেই মিহি দাঁত দিয়ে জিভ কেটে ওকে ছেড়ে দিল।
তমা মুখ কালো করে মিহি দিকে তাকালো।
“সরি সরি। আরেকটা নিয়ে আয়। টাকা দিচ্ছ।” বলে পার্স খুলল মিহি। তখনি ফোনে মেসেজ ঢুকলো।
মিহি ফোনটা বের করে হাতে নিতেই কপাল কুচকে ফেলল।
“কি হলো?” বিরক্ত হয়ে বলল তমা।
মিহি ফোনটা তমার দিকে ধরলো।
তমা মেসেজ পড়ে নাক মুখ কুচকে বলল, ডাকছে যা। আর যাওয়ার আগে টাকা দিয়ে যা।
“যা মানে! তুইও চল না প্লিজ!” বায়না ধরল মিহি।
তমা মহাবিরক্ত হয়ে বলল,”উফ! প্রেম করতেও আমাকে লাগে?”
“প্রেম!” হা হয়ে গেল মিহি।
তমার টনক নড়ল। তবে কিছু একটা চিন্তা করে তমা স্বাভাবিক ভাবে মিহির দিকে তাকিয়ে বলল,”তোর মনে হয় না ছেলেটা খারাপ না বরং ভালো।”
“মানে?” ফোনটা ব্যাগে ঢুকাতে ঢুকাতে বলল মিহি।
“মানে…। যেমন তোকে কি কখন বাজেভাবে কিছু করার চেষ্টা করেছে?”
মিহি ভ্রুকুটি করে না সূচক মাথা নাড়ল।
“তোকে ত সেদিনের পর থেকে আর টাসও করেনি তাইনা? ভুলে তোর হাত ধরার পর থেকে।”
মিহি আবার মাথা নাড়ল। সে তমার এসব প্রশ্নের মানে বুঝতে পারছেনা।
“তার উপর ওই বখাটে ছেলেকেও পগারপার করে দিয়েছে!”
“তাতে কি?” না বুঝে প্রশ্ন করে ফেলল মিহি।
“আমার ত মনে হয় ছেলেটা তোকে ভালোবাসে।”
মিহির চোখ বড়সড় হয়ে গেল।
“তোর সুবিধার জন্য কম দেখা করে, তোকে ছোয় না, অন্য ছেলেরা তোর সাথে খারাপ কিছু করুক এটাও সহ্য করতে পারেনা, ডেলি কথা না বলে থাকতে পারেনা।”
“কি বলছিস এসব! তুই-ই না বললি এসব এরা করেই। পরে আসল চেহারা বোঝা যায়।” মিহি মহা বিপাকে পরে গেল।
তমা ফোস করে একটা নিঃশ্বাস ফেলে বলল,”কিজানি বাপু! ছেলেদের ভালোবাসা বড়ই অদ্ভুত। যাইহোক আমার টাকা দে তারপর বিদেয় হ। লাস্ট দেখা দেখে আয়। এতদিনে কিছু করেনি আজও করবে না। পরেরদিন শুক্রবার তারপর ত তুই-ই পগারপার।”

মিহি তমাকে টাকা দিয়ে ফ্যাকাসে মুখে ভার্সিটির সামনের বিল্ডিং এর ছাদে উঠে গেল।
রোদ ঝলমল করছে চারিদিকে। শীতকাল হলেও শীতের ভাব নেই বললেই চলে।
আশেপাশে তাকাতেই এরোনকে দেখতে পেলো। সে রেলিং দুইহাতে ধরে সামনের দিকে তাকিয়ে আছে।
কারো উপস্থিতি টের পেয়ে পিছন ফিরে তাকালো সে। তারপর মিহিকে দেখে স্বভাব সুলভ হাসিটা দিলো।
“ক…কিছু বলবেন?”
“হু। এখানে আসো।” বলতে বলতে এরোন ওর দিকে ঘুরলো।
মিহি এদিক ওদিক তাকাতে তাকাতে ওর দিকে অল্প এগিয়ে গেল। আর বেশ দূরত্ব বজায় রেখেই দাঁড়ালো।
এরোন মুচকি হাসলো।
মিহি আড়চোখে এরোনকে দেখতে লাগলো। বলতে গেলে মিহি এরোনকে এখন আর আগের মত অত ভয় পায়না। অল্প ভয় পায় । তবে একটু দ্বিধা কাজ করে।
“তোমার বাসা কোথায়?”
এরোনের প্রশ্ন শুনে মিহি ভুত দেখার মত চমকে উঠলো। আর গোলগোল চোখে এরোনের দিকে তাকালো। ভয় ঢুকে গেল মিহির মধ্যে, জেনে গেল নাকি যে ও চলে যাবে বাসায়!
এরোন সংকুচিত চোখে তাকিয়ে বলল, “কি?”
“বাসা কেনো?”
“আমি বিয়ে করতে চাই তোমাকে, তাই।” সোজাসাপটা উওর দিল এরোন।
মিহির মুখ শুকিয়ে কাঠ কাঠ হয়ে গেল। মাথাও ভনভন করে ঘুরতে লাগলো।
“কি?” মিহির মুখো ভাব দেখে প্রশ্ন করলো এরোন।
মিহি দুই পা পিছিয়ে গিয়ে এক হাতে রেলিঙটা ধরলো। তারপর ঢোক গিলে বলল, “ন…না মানে, এত…এত…জ… জলদি…।”
মিহির শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা হয়ে গেল।
মিহির এই অবস্থা দেখে এরোন ফিক করে হেসে দিয়ে বলল, “মজা করছি।”
মিহি যেন প্রান ফিরে পেল। লুকিয়ে একটা বড় নিঃশ্বাস ফেলল সে।
“কিন্তু একদিন না একদিন ত করতেই হবে।” ভ্রু উঁচু করে বলল এরোন।
“তাইনা?” প্রশ্ন ছুড়ে দিলো মিহিকে।
মিহি মনে মনে নিজেরকে সামলে একটু হাসার চেষ্টা করলো।
ভিতরে ভিতরে তোলপাড় চলছে ওর। তাও আজ এসব শেষ হলে বড় বাঁচা বাঁচবে ও।
হঠাৎই সজোরে শব্দ করে ছাদের দরজাটা আটকে গেল।
দুইজনের চমকে গেল। তারপর দুজন দুজনের দিকে একপলক প্রশ্নসূচক দৃষ্টিতে তাকালো।
তেমন দমকা হাওয়া নেই যে এভাবে দরজা আটকে যাবে।
এরোন দেখার জন্য এগিয়ে গিয়ে দরজাটা খোলার জন্য টানলো। কিন্তু লাভ হলো না। কয়েকবার চেষ্টা করেও কিছু হলো না।
মিহি চিন্তায় পরে ঘাড় উঁচু করে বিষয়টা বুঝতে চেষ্টা করলো।
এরোন “তিক” করে মুখ দিয়ে একটা বিরক্ত সূচক শব্দ বের করে দরজাটায় হাত আঘাত করে বলল, “ড্যাম ইট।”
“কি হয়েছে?”
“কে যেন লক করে দিয়েছে।” বলতে বলতে ভ্রু কুচকে ফেলল এরোন।
এমন সাহস কার হবে সেটাই চিন্তা করতে লাগলো। আর চিন্তা করে পেয়েও গেলো।
এই সাহস ওর নিজের ফ্রেন্ডদের ছাড়া আর কার হবে! চিন্তা করেই হালকা হেসে ফেলল।
মিহি সেটা দেখে চমকে গেল। বলা বাহুল্য যে মিহি ভুল বুঝলো।
মুহুর্তেই আতংক প্রকাশ পেল মিহির চেহারায়।
এরোন মিহির দিকে তাকিয়ে কিছু বলার আগেই মিহি ভয়ার্ত গলায় বলল, “দ…দরজা কেনো আটকাতে বলেছেন আপনি?”
“কি?”
মিহি ঢোক গিলে কিছু বলতে গিয়েও বলতে পারল না।
এরোন মিহির অবস্থা দেখে কপাল কুচকে বলল, “রিল্যাক্স! আমি বলিনি। তুমি কি মনে করো আমাকে?”
এরোনের চোখ মুখ শক্ত হয়ে গেল।
মিহি একটু থতমত খেয়ে গেল।
“তুমি বিশ্বাস করো না আমাকে?” ভ্রু কুচকে বলল এরোন।
মিহি ওড়নার প্রান্তভাগ দুই হাতে ধরে নিজের আঙুলে মোড়াতে লাগল। মুখ দিয়ে কথা বের হলো না।
এরোন ওর দিকে আস্তে আস্তে এগিয়ে আসতে লাগলো। বুঝতে পেরেই মিহির মধ্যে শীতল শিহরণ বয়ে গেল। রীতিমতো ঘামতেও লাগলো।
হয়তো আবার রেগে গেছে। কিন্তু এটা ত ঠিক যে মিহি ওকে বিশ্বাস করেনা।
এরোন একদম মিহির সামনে এসে থামলো। মিহি ঠোঁটে ঠোঁট চিপে মাথা নিচু করে রইল। ওর চোখের চাহনি চঞ্চল যা নিচের দিকেই আবদ্ধ।
“আমি যেমন তোমাকে বিশ্বাস করি, তেমন তোমারো আমাকে বিশ্বাস করা উচিত।” গভীর ভাবে তাকিয়ে বলল এরোন।
মিহি বিস্ময়ে চোখ তুলে এরোনের দিকে তাকালো।
“বুঝেছ?” গভীর চাহনির সাথে বলল এরোন।
মিহি হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়তে নাড়তে মাথা নিচু করে ফেলল।
এরোন গম্ভীর চোখে তাকিয়ে ডান হাত মিহির মাথার বাম দিকে বাড়িয়ে দিতেই মিহি ঘাবড়ে গেলে। কিন্তু তাও ঠোঁটে ঠোঁট চিপে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইল। এরোন সন্তর্পণে মিহির চুলের মধ্যে থেকে একটা পাতা সরিয়ে আনলো। তারপর পাতাটা ওর সামনে ধরলো। হলুদ একটা পাতা। হয়তো কিছুক্ষণ আগেই গাছ থেকে ঝরে মিহির চুলে আটকে গিয়েছিল।

মিহি পাতার দিকে তাকিয়ে তারপর হালকা চোখ তুলে এরোনের দিকে একপলক তাকালো।
সে এখনো গম্ভীর মুখে আছে।
হয়তো একটু আগের ঘটনার জন্য।

সে মিহির থেকে সরে গিয়ে নিজের ফোন বের করে কাউকে কল দিল।
এরোন সরে যেতেই মিহি যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলো। ওর মনে প্রশ্ন জাগতে লাগলো যে, ছেলেটা কি সত্যিই ভালো! নাকি সব নাটক!
মিহি জোরপূর্বক সব চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলল। এমনিও এসবের ইতি টানার সময় এসেই গেছে। ছেলে ভালো হোক আর খারাপ তাতে কিছু যায় আসে না।

কিছুক্ষণের মধ্যেই কেউ একজন এসে দরজার হুকটা খুলে দিল। সাথে সাথেই এরোন এগিয়ে গিয়ে দরজা টেনে খুলল, কে তা দেখার জন্য। কিন্তু ততক্ষণে সে সিঁড়ি বেয়ে পালিয়েছে।
এরোন সেদিকে কিছুক্ষণ তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে তারপর মিহিকে উদ্দেশ্য করে বলল, চলো।

(চলবে….)

লেখিকা : #Lucky_Nova

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here