#পারব না আমি ছাড়তে তোকে ❤❤
#লেখিকাঃ লামিয়া ইসলাম তন্নি ❤
#পর্বঃ ৩০❤
.
.
_________________
.
সন্ধ্যা ৭টা বেজে ২০ মিনিট। একটু ডক্টর আঙ্কেল এসে দেখে মেডিসিন দিয়ে গেছে। আমি এতো না করার পরেও বড় আম্মু শুনলেন না। ডক্টর আঙ্কেলকে ডেকে পাঠালেন। আঙ্কেল বলেছেন- “তেমন কিছু না! সামান্য আঘাত লেগেছে। দু’টো মেডিসিন দিয়েছে ৩দিন খেলে আর একটু গরম ছ্যাঁক দিলেই কমে যাবে।” তারপর তিনি যাওয়ার পরে বড় আম্মু গরম ছ্যাক দিলেন অনেকক্ষণ ধরে। একটু আগেই কফি আর নুডলস খাইয়ে রেখে গেলেন। সকালের ঐ ঘটনার পর থেকে সূর্যকে আর দেখতে পাইনি। একটিবারের জন্যও রুমে আসেনি উনি। না জানি কোথায় গেছে। মানুষটা খেয়েছে কিনা সেটাও জানিনা। কিচ্ছু ভালো লাগছে না। একটু নড়াচড়াও করতে পারছিনা। নড়াচড়া করতে গেলেই মনে হচ্ছে জীবন বেড়িয়ে যাচ্ছে। কে যে বলেছিল আম্মুর সাথে দুষ্টুমি করতে! আম্মু বলতেন- “বড়দের সাথে মজা করলে বিপদে পড়তেই হয়!” আজ তার প্রমাণ পেলাম। উফহ্ অসহ্য লাগছে আমার! ব্যথাটা না থাকলে সূর্যকে খুঁজতে যেতাম।বাট ব্যথাটাই তো আমাকে মেরে ফেলছে। কিযে করব বুঝতে পারছি না। আচ্ছা! সূর্য আমাকে ছেড়ে চলে গেলেন না তো! ভাবতেই আমার ভেতরটা দুমড়ে-মুচড়ে যাচ্ছে। নাহ্ এটা কি করে সম্ভব? উনি এটা কখনোই করবেন না। কথাগুলো ভাবতে ভাবতেই চোখ থেকে দু’ফোঁটা নোনা জল গড়িয়ে পড়ল। সাথে সাথেই কেমন যেন এক অদ্ভুত শূন্যতায় হারিয়ে গেলাম! যেখান থেকে শত চেষ্টার ফলেও বের হওয়া সম্ভব নয়! উনি ছাড়া কেউই পারবে না আমার এই শূণ্যতা থেকে বের করতে। উনাকে ছাড়া আমার এই শূন্যতা কখনও পূর্ণতায় বদলে যাবে না ।কখনো না!
.
🍂
.
রাত ২টা। হঠাৎ করেই একটা খারাপ স্বপ্নে ঘুম ভেঙে গেল আমার। লাফিয়ে উঠলাম শোয়া থেকে। ঘরের লাইট এখনো জ্বলছে। তার মানে উনি এখনো আসেনি। কোথায় গেল উনি? কোথায় চলে গেলেন আমায় ছেড়ে? আমি তো মরে যাব সূর্য! একদম মরে যাব। প্লিজ ফিরে আসুন না। আল্লাহ্! আল্লাহ্ প্লিজ আমার স্বপ্নটা তুমি সত্যি করো না আল্লাহ্! তাহলে আমি বেঁচে থেকেও মরে যাব আল্লাহ্। একদম শেষ হয়ে যাব। তুমি স্বপ্নটা পূরণ করার হলে আমায় দিয়ে করো প্লিজ! কিন্তু সূর্যের কোনো ক্ষতি হতে দিওনা! আমার সূর্যকে প্লিজ ফিরিয়ে দাও আমার কাছে। কোথায় আছেন উনি? আমি কেন তাকে খুঁজে পাচ্ছি না। কেন?
.
হঠাৎ করে কি ভেবে যেন চোখের পানিটা মুছে নিয়ে হেঁচকি তুলতে তুলতে ফোনটা খুঁজতে লাগলাম। বালিশের নিচে ফোনটা পেয়েই উনাকে ফোন লাগালাম। প্রথমবার রিং হতেই ওপর পাশ থেকে বলল…..
.
—- কে?
.
উনার কন্ঠটা শুনে কান্না আর আটকাতে পারলাম না। কান্নায় ভেঙে পড়লাম। ধরা গলায় বললাম….
.
—- কোথায় আপনি?
.
—- কে বলছেন?
.
—- আপনি এভাবে কথা বলছেন কেন? হ্যালো হ্যালো….
.
তারপর আর কিছু শোনা গেল না। আমি ভেবেছিলাম ফোনটা কেটে দিয়েছে হয়তো। কিন্তু নাহ্! ফোন তো চলছে। তাহলে? সত্যিই উনার কিছু হলো না তো? নাহ্! কিছুতেই না!
.
আমি আর এক সেকেন্ডও দেরি না করে উনাকে লাইনে রেখেই তিথিকে অন্য ফোন থেকে কল করলাম। প্রথমবার রিং হতেই ওপর পাশ থেকে বলল…..
.
—- আসসালামু আলাইকুম! এটা কে আলীশা? সত্যিই তুই তো? কখনো তো নিজে থেকে ফোন করিস না। আজ করলি তাও আবার এতো রাতে? কাহিনী…..
.
এইটুকু বলতেই মাঝ রাস্তায় ওকে থামিয়ে বললাম…..
.
—- এতো কিছু বলার সময় নেই! তুই নাকি লোকেশন ট্যাগ করতে জানিস? আমি তোকে একটা নাম্বার মেসেজ করছি। আমাকে ইমিডিয়েটলি নাম্বারটা এখন কোথায় আছে জানা! (হেঁচকি তুলতে তুলতে)
.
—- আচ্ছা ঠিক আছে আমি বলছি। বাট তুই কাঁদছিস কেন এতো রাতে?
.
—- বললাম তো সব পরে বলব। যা বলেছি তাই কর!
.
—- ওকে!
.
তিথির ফোনটা কেটে দিয়ে ওকে নাম্বারটা মেসেজ করে দিয়ে মনে মনে আল্লাহ্কে ডাকছি। যাতে সূর্য যেখানেই থাকুক না কেন সেফ থাকুক। সাথে ফোনে সূর্যকে এটা ওটা বলে ডেকে যাচ্ছি। কিন্তু ওপর পাশ থেকে কোনো সাড়াশব্দ পাচ্ছি না। এখন মনের মধ্যে এক অজানা ভয়েরা বাসা বেধে বসছে।ধীরে ধীরে তারা গুরুতর হচ্ছে!
.
.
প্রায় ৩০ মিনিট পর তিথিয়া লোকেশনটা আমাকে জানালো। একি এটাতো আমাদের বাসার ছাঁদ! হাউ ইজ পসিবল? সূর্য বাসাতেই আছে অথচ কেউ জানে না? মানে কি? আশ্চর্য! আমি আর কিচ্ছু না ভেবে এক সেকেন্ডও ওখানে বসে না থেকে আস্তে আস্তে উঠে দাঁড়ালাম। সাথে সাথেই ব্যথারা তাদের অস্তিত্ব জানান দিতে লাগল। কিন্তু আমাকে তো থামলে চলবে না। কিছুতেই না! আমাকে যেতে হবে সূর্যর কাছে যেতে হবে! ফোনটা হাতে নিয়ে ছাঁদের দিকে হাঁটা দিলাম।
.
ছাঁদে এসে যা দেখলাম এর জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। সূর্য ছাঁদের পশ্চিম দিকে কার্ণিশ ঘেঁষে বসে আছে। আর ফোনটা পাশে পড়ে আছে। আমি দৌড়ে উনার কাছে গেলাম। কাছে গিয়ে উনার গায়ে হাত রাখতেই আমি চমকে উঠলাম। এমা উনার তো দেখছি জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছে। এখন কি করব? এজন্যই হয়তো উনি জ্ঞান হারিয়েছে। কিন্তু আমি একা এতো রাতে এই অন্ধকার ছাঁদেই বা কি করব? কিভাবে উনার গায়ের উত্তাপ কমাবো? কিভাবেই বা উনার জ্ঞান ফেরাবো? মাথা কাজ করছে না। কিচ্ছু কাজ করছেনা। উফহ্ রাগে নিজের চুল নিজের ছিঁড়তে ইচ্ছে করছে! অসহ্য!
.
চারপাশে কিচ্ছু দেখাও যাচ্ছে না। কি করব এখন? হঠাৎ মনে পড়ল আমি তো সাথে ফোন এনেছি। আর আশেপাশে দেখি পানির বোতল পাই কিনা? ফোনের ফ্লাশটা অন করে পশ্চিম দিকটা ভালোভাবে দেখতে গিয়েই ছাঁদের উপরের ঐঘরটার কথা মনে পড়ল। সাথে টিপ কলটা দেখতে পেলাম আমি তো এটার কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। বাবা এই কলটা লাগিয়েছিলেন। ছাঁদে গাছ-পালা আছে। নিচ থেকে উপরে পানি টেনে এনে তো গাছে দেওয়া সম্ভব নয়!
.
আমি সূর্যকে রেখে ছাঁদের ঘরটাতে দৌড়ে গেলাম। সেখানে আমার একটা ওড়না পেলাম। সেটা নিয়ে এলাম। সাথে টেবিলের ওপর থেকে একটা গ্লাস। গ্লাসে করে পানি নিলাম আর ওড়না একটা পাশ ছিঁড়ে ভিজিয়ে নিলাম। সূর্যের কাছে ফিরে এসে উনার মুখে পানি ছিটিয়ে জ্ঞান ফেরালাম। জ্ঞান ফেরার পর উনি আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলেন। আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। আমি মৃদুস্বরে বললাম…..
.
—- আমাকে ছাড়ুন! আর এখান থেকে উঠুন!
.
—- নাহ্! একদম ছাড়ব না। ছাড়লেই আম্মু তোকে নিয়ে যাবো।
.
—- কোথায় নিবে?
.
—- নাহ্ বলব না! আর ছাড়বও না। তুই শুধু আর শুধুই আমার। আমি তো তোকে ছাড়তে পারব না। পারব না আমি ছাড়তে তোকে।
.
—- আচ্ছা বাবা,ছাড়তে হবে না। দেখি উঠুন। আমার সাথে চলুন!
.
—- নাহ্ উঠবও না!
.
—- আমি এভাবে ব্যথা পাচ্ছি তো!
.
—- কোথায় ব্যথা পাচ্ছিস?
.
—- কোমড়ে! আমার কথা না শুনলে কাঁদব।
.
—- আচ্ছা চল! আমি যাব।
.
উনাকে নিয়ে ছাঁদের ঐ রুমটাতে গেলাম। এখানে প্রায়ই আমরা আড্ডা দিতাম আগে। এখন আড্ডা না দেওযা হলেও আসা যাওয়া হয়। এজন্য রুমটা পরিষ্কার করা হয় প্রতিদিন। তাই রাতটা এখানে কাটাতে আমাদের আপত্তিও হবেনা।
.
আমি উনাকে দাঁড় করিয়ে রেখে বিছানাটা গোছচ্ছিলাম উনি পেছন থেকে গিয়ে আমায় জড়িয়ে ধরলেন। উনার স্পর্শে আমার সাড়া শরীর জুড়ে অদ্ভুত এক শিহরণ বয়ে গেল! আমি কি বলব বুঝতে পারছি না। আমি কিছু বলার আগেই উনি আমার কাঁধে মুখ ডুবিয়ে দিলেন! সাথে সাথেই আমার হাত কাঁপা কাঁপি শুরু করে দিল।কাঁপা গলায় বললাম…..
.
—- কককি করছেন? ছাড়ুন!
.
—- যা করার তাই করছি!
.
—- দদদেখুন!
.
এইটুকু বলতেই উনি আমার ঠোঁটে হাত দিয়ে চুপ করিয়ে দিলেন! আমি কি করব ঠিক বুঝে উঠতে পারছিনা। আমার বুঝতে বাকী নেই উনি এসব জ্বরের ঘোরে পড়ে করছেন! তাই এসবে কোনো রকম প্রশয় না দিয়ে উনাকে ছেড়ে আসতে নিলেই উনি আমাকে এক টানে বুকের সাথে মিশিয়ে নেয়! আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরেই উনি ফুপিয়ে কেঁদে ওঠেন! ধরা গলায় বলেন…..
.
—- আমাকে ক্ষমা করে দে আলো! আমি অনেক ভুল করেছি তোর সাথে। প্লিজ আমায় ক্ষমা করে দে। কিন্তু ছেড়ে যাওয়ার কথা বলিস না। আমি তাহলে মরেই যাব রে! একদম মরে যাব! আমি চাঁদকে হারিয়ে বেঁচে থাকতে পেরেছি শুধুমাত্র তুই আছিস তাই। তোকে আমার খুব প্রয়োজনরে!ভীষণ প্রয়োজন। চাঁদকে ছাড়া বাঁচতে পেরেছি। তোকে ছাড়া তা সম্ভব না। আচ্ছা, চাঁদ তো তোরই বোন তাই না? ওর জন্য যদি আমার মনে একটা অংশ থাকে তাতে কি তুই আমায় মেনে নিবি না বল? আমি তোকে কথা দিচ্ছি চাঁদ আমার অতীত ছিল। ওকে কখনো আমার ভবিষ্যতে বা বর্তমানে টানবো না। ওকে নিয়ে তুই না চাইলে কখনো কোনো কথাও তুলব না। ও থাকবে শুধু মাত্র আমার কল্পনায়! আর তুই? তুই থাকবি আমার স্বপ্নে, আমার বাস্তবে, আমার প্রতিটা ভাবনা থাকবে তোকে ঘিরে! শুধুই তোকে ঘিরে! এককথায় আমার অস্তিত্ব বলতেই তুই থাকবি! প্লিজ এইটুকু কি দেওয়া যায় না? তুই বল কাউকে ভালো বাসলে কি মন থেকে ভুলা সম্ভব? প্লিজ ছেড়ে যাস না!
.
উনার কথাগুলো শুনে যেন কান্নারা সব আমার চোখে এসে জমা হলো। অঝোর ধারায় ঝাড়তে লাগলো তারা। শত চেষ্টা করেও থামাতে পারছিনা। আজ যেন তারা আমার কথা শুনতে কোনো মতেই রাজি নন! উনি আবার বলতে লাগলেন….
.
—- আমি আমার থেকেও বেশি তোকে ভালোবাসব । কোনোদিন তোর চোখে একফোঁটা পানি আসতে দিব না। সারাজীবন তোর সব স্বপ্ন পূরণের সঙ্গী হয়ে তোর পাশে থাকব। তুই কি আমাকে দিবি না সেই অধিকারটা? একটিবার দিয়েই দেখ। কখনো কাঁদাবো না। কখনো ছেড়ে যাব না প্রমিজ করছি। প্লিজ!
.
এবার আর আমি চুপ থাকতে পারলাম না। হেঁচকি তুলতে তুলতে বললাম……
.
—- আমি কি একবারও বলেছি আপুকে ভুলে যান? বলেছি?
.
—- আলো তুই আমাকে ভুল বুঝছিস! (আমাকে ছেড়ে দিয়ে)
.
—- বলেছি কিনা বলুন!
.
—- না বলিস নি!
.
—- তাহলে কেন? কেন আপু আপনার অতীতের একটি পাতা হবে? কেন সে আপনার মনে একটা কোণায় থাকবে। সে থাক না তার জায়গায়! আমি তো আপনার কাছে তার জায়গাটা চাইনি কখনো! তাহলে কেন আমাকে এভাবে সব দোষ চাপিয়ে স্বার্থপর বানিয়ে দিলেন বলুন?
.
—- আলো….
.
—- প্লিজ আমায় বলতে দিন! আমি তো কখনো বলিনি সূর্য আমার এটা চাই ওটা চাই। আমায় ভালোবাসুন! আপুর জায়গা চাই এসব কিচ্ছু বলিনি। তাহলে? আজকে আমার কি মনে হচ্ছে জানেন?
.
এইটুকু বলে থামলাম। সূর্য আমার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে। হয়তো বুঝতে পারছে না এখন আমি ঠিক কি বলব! বুঝারও কথা না। আমি আবার বললাম….
.
—- আজকে না নিজেকে পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি ভাগ্যবতী মনে হচ্ছে। কেন জানেন? আপনাকে পেয়ে। কখনো ভাবিনি আপনিও আমাকে চাইবেন। ভালোবাসবেন। কখনো ভাবিনি আপনি আমাকে বলবেন যেন আপনাকে ছেড়ে না যাই। কিন্তু আজ দেখুন! ক’জন পায় এমন ভাগ্য? ক’জনের ভাগ্যে আপনার মতো স্বামী জোটে? আজ না আপনাকে আমার বলতে ইচ্ছে করছে- “কখনো ছেড়ে যাবেন না প্লিজ! অনেক ভালোবাসি। অনেকটা বেশিই ভালোবাসি আপনাকে। আমাকে ছাড়া আপনি অর্থহীন কিনা জানিনা। তবে আপনাকে ছাড়া আমি অর্থহীন! পৃথিবীতে আপনাকে ছাড়া অসহায় আমি বড্ড বেশিই অসহায়!”
.
এইটুকু বলেই উনাকে জড়িয়ে ধরলাম। উনিও খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছেন আমায়! কপালে আলতো করে ঠোঁট ছুঁইয়ে বললেন…..
.
—- “তবুও তোমাকে ভালোবেসে,
মুহূর্তের মাঝে ফিরে এসে!
বুঝেছি অকূলে জেগে রয়,
ঘড়ির সময় আর মহাকালে যেখানেই রাখি এ হৃদয়! ”
.
কবি “জীবনানন্দ দাশের” এদু’টি চরণ যেন উনার কন্ঠে জীবন্ত রূপ নিয়েছেন। এতোটুকু বলে আবার আমায় জড়িয়ে নিলেন বাহুডোরে। আজ নিজেকে সত্যিই খুব ভাগ্যবতী মনে হচ্ছে। পৃথিবীতে সব থেতে সুখী হয়তো আমিই। আজ যে জীবনে আমি সব থেকে দামী কিছু পেয়েছি। চিৎকার করে সবাইকে বলতে ইচ্ছে করছে আমি সব থেকে সুখী। “পেয়েছি তাহাকে জীবনে, চেয়েছি যাহাকে শয়নেস্বপনে!”
#চলবে……..