বৃষ্টি_থামার_পরে পর্ব ৩১: #সে লেখিকা: #Lucky_Nova

0
309

গল্পের নামঃ #বৃষ্টি_থামার_পরে
পর্ব ৩১: #সে
লেখিকা: #Lucky_Nova

ওর ছটফটানির মধ্যেই লোকটা ওকে জোর করে কাধে তুলে নিলো।
সাথে সাথে চেঁচিয়ে উঠলো মিহি।
“ছাড়ুন আমায়। নামান! কেউ আছেন!” লোকটার পিঠে জোরে জোরে আঘাত করতে করতে চিৎকার করতে লাগল মিহি।
কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না।
“কে আপনি? কোথায় নিচ্ছেন আমাকে? নামান আমাকে?” চেঁচিয়ে যেতে লাগল মিহি।
লোকটা কোথাও একটা নিয়ে এসে কাধ থেকে খড়কুটোর উপর ফেলল ওকে। পীলে চমকে উঠল মিহি।
ঘন অন্ধকারে আশেপাশে চোখ বুলাতে বুলাতে আতঙ্কিত হয়ে বলল, “আ..আ..আমায় এখানে কেনো এনেছেন! কে আপনি? যেতে দিন আমায়!”
পিছিয়ে যেতে লাগল মিহি।
লোকটা এগিয়ে এসে ওর পা ধরে হেঁচকা টান দিতেই আধশোয়া হয়ে পড়লো মিহি।
“না! ছাড়ুন আমায়! কাছে আসবেন না একদম!” লোকটাকে ধাক্কা দিতে চাওয়ার আগেই ওর দুহাত চেপে ধরে খুব কাছে আসলো সে।
ভয়ে ছটফটিয়ে উঠল মিহি। পুরো শরীর শিউরে কাঁটা দিয়ে উঠল।
মিহি ভয় দমিয়ে তীব্র রোষ আর ঘৃণার সাথে বলল, “জানোয়ার লোক! লজ্জা করে না তোর? আমার বর জানলে তোকে জীবনেও আস্ত রাখবে না। মেরেই ফেলবে তোকে! ভাল চাস ত ছাড় আমায়!”
কথার মাঝেই লোকটা ওর চুলের মধ্যে মুখ গুজে দিতেই মিহির অন্তরাত্মা কেঁপে উঠল।
নিজেকে ছাড়ানোর সম্পূর্ণ চেষ্টা করতে করতে কাঁপা গলায় তীব্র ঘৃণা নিয়ে বলল, “আমাকে ছুঁলে সত্যিই মরবি তুই। এরোন ছাড়বে না একদম!”

“ওহ রিয়েলি! কি করবে তোমার এরোন?” কানের কাছে ফিসফিসিয়ে বলল সে।

মিহি চরমভাবে থমকালো। হাত পা ছোড়াছুড়ি বন্ধ হয়ে গেল নিমিষেই। থেমে থাকা নিঃশ্বাস মুখ দিয়ে সশব্দে আস্তে আস্তে বের হয়ে এলো। ঘুরিয়ে রাখা মুখটা ফিরালো মিহি। যদিও ঘন কালো অন্ধকারে কিছুই দৃশ্যমান না।
কিন্তু কন্ঠস্বর ত তার।
মিহি মৃদু কম্পিত গলায় অস্ফুটস্বরে বলল,”আ..পনি?!”
এতসময়ের ভয় আর আতঙ্কে চোখের পানিতে রূপান্তরিত হলো। ছলছল করে উঠল আঁখিদুটি।
“আমি ছাড়া আর কার সাহস হবে তোমায় এভাবে ছোঁয়ার! মেরেই ফেলবে না তাকে ‘তোমার এরোন’?” মৃদুস্বরে বলল এরোন।
মিহি ফুঁপিয়ে উঠল। সদ্য আলগা করা হাতের মুঠো থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে নিয়ে এরোনের বুকে আঘাত করতে করতে বলল,”অসভ্য লোক! আমি কতটা ভয় পেয়ে গেছিলাম ধারণা আছে আপনার? আমি মনে করেছিলাম..আমি আজ…!”
এরোন ওর দুইহাত পুনরায় মুঠোবন্দি করে নিল।
তপ্ত গলায় বলল,”আর আমি? আমি কতটা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম সেটা সমন্ধে তোমার বিন্দুমাত্র ধারণা আছে? কতবার ফোন করেছি? মেসেজ করেছি! চিন্তায় শেষ হয়ে গিয়ে সব জায়গায় খুঁজে এসেছি। আর পেয়ে দেখি সে কিনা শান্তিতে হেঁটে বেড়াচ্ছে! ফোনটাও ইগনোর করছে!”
“তাই বলে আপনি আমায় এভাবে করে…।খারাপ লোক!” ফুঁপিয়ে ওঠা কন্ঠে ঝাঁঝ মিশিয়ে বলল মিহি।
“শিক্ষা দেওয়া উচিত ছিল আমার। নাহলে বুঝবা কী করে কতটা ভয় আমি পাচ্ছিলাম তোমার জন্য? আমার জায়গায় আজ অন্য কেউ হলে! তখন? তখন কী হতো তোমার? তোমার সাহস দেখে আমি অবাক হচ্ছি! এমন একটা জায়গায় এই অন্ধকারে ঘুরে বেড়াচ্ছিলে? আজ অন্যকেউ হলে কী হতো, ড্যাম ইট?” ধমকে উঠলো এরোন।
ভয়ে চোখমুখ খিচে ফেলল মিহি।
“নিজেই দেখো! কেউ এসেছে? কেউ তোমার চিৎকার অব্দি শুনেছে কিনা সন্দেহ! কে বাঁচাতো তোমায়!”
ধমকানিতে চুপসে গেল মিহি। নাক টেনে টেনে ফোপাঁতে লাগল সে। বলতে চাইল যে সে ইচ্ছে করে রাত করে নি। কিন্তু বলতে পারল না। কারণ ঘুমিয়ে যাওয়ার কথা শুনলেও ধমকাবে এই লোক!
মিহিকে এভাবে ফোপাঁতে দেখে রাগ দমানোর চেষ্টা করল এরোন। ফোঁস করে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলল একটা। আধশোয়া অবস্থায়ই একহাতে ভর রেখে অন্যহাতে মিহির মাথা আগলে নিজের বুকের সাথে মিশালো সে৷ শান্ত গলায় বলল,”সরি, বেশি ভয় পেয়েছ?”
আশকারা পেয়ে ডুকরে কেঁদে উঠল মিহি। একহাতে খামচে ধরলো এরোনের পিঠ। পেয়েছে সে ভয়। অনেক ভয় পেয়েছে।
এরোন আলতো করে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগল। নিজের করা কাজের জন্য আক্ষেপ হচ্ছে এখন। এতটা ভয় না দিলেই হতো।
“আর কেঁদো না। শান্ত হও, প্লিজ।” আচ্ছন্ন কন্ঠে সান্ত্বনা দিয়ে বলল এরোন।
আস্তে আস্তে কান্নার রেশ কমলো মিহির। এরোন উঠে বসে মিহিকেও বসালো। ফোনের ফ্ল্যাসলাইট জ্বেলে মিহির পাশে রেখে তাকালো মিহির দিকে।
মিহিও আড়চোখে একবার তাকিয়ে হাঁটু ভাজ করে বসলো। নাক টেনে হাতের এপিঠ ওপিঠ দিয়ে চোখ মুখ মুছতে লাগল।
এরোন নিভৃতে দেখতে লাগল ওকে। কেঁদে নাক মুখ ফুলিয়ে ফেলেছে সে ইতিমধ্যে। যার ফলে লালচে ভাব চলে এসেছে সারা মুখে। ঠোঁটটা কাঁপছে মৃদুভাবে, চোখের পাপড়িগুলো ভিজে আছে অশ্রুতে।
এরোন মুচকি হাসলো। মেয়েটাকে কাঁদলেও সুন্দর লাগে।
নিঃশ্বাস ফেলে চোখ সরাতে গিয়েই দৃষ্টি আটকালো মিহির পায়ের কাছে। শাড়ি হাঁটু অব্দি উঠে এসেছে প্রায়। যার কারণে উন্মুক্ত হয়ে আছে গৌরবর্ণ পা দুটি।
চোখ সরাতে চেয়েও পারল না। চেয়েই রইল। মুহূর্তেই কিছু হয়ে গেল তার। অদ্ভুত ইচ্ছা জেগে উঠল ভিতরে ভিতরে।

মিহি চোখ মুছে চোখ বুলাতে লাগল আশেপাশে। একটা পুরানো টিন ঘেরা ছোট ছাউনি এটা।
আশেপাশে সব খড়কুটোর ছড়াছড়ি।
দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেখতে দেখতে হঠাৎ পায়ে উষ্ণ অধরের স্পর্শে কেঁপে উঠে চমকে তাকালো ও।
এরোন আরো কয়েকবার অধরের গভীর স্পর্শ ছুঁয়ে দিতেই শাড়ির আঁচল চেপে ধরে ঘনঘন নিঃশ্বাস ফেলতে লাগল মিহি।
এরোন অধর সরিয়ে গাঢ়তর চোখের চাহনিতে তাকালো মিহির দিকে।
মিহি তাকালো না। সে ঢোক গিলে কাঁপা হাতে জলদি করে নামিয়ে নিলো শাড়ি। এদিক ওদিক তাকাতে লাগলো সে। হৃদপিণ্ডটা সজোরে ধকধক করে যাচ্ছে যেন।
আচমকা এরোন একহাতে আঁকড়ে ধরলো ওকে।চমকে উঠল মিহি।
চোখ বড়বড় করে তাকালো এরোনের চোখের দিকে।
তবে তার চোখের তৃষ্ণার্ত চাহনি দেখে চোখ নামিয়ে নিলো সাথে সাথে। চোখ তোলার সাহস আর হলো না।
এরোন ওকে আগলে শুইয়ে দিতে দিতে অধর ছুয়ে দিল ওর গলায়। কেঁপে উঠল মিহি। দুইহাতে খামচে ধরলো এরোনের পিঠ।
এরোন স্পর্শের গভীরতা বাড়াতে বাড়াতে একহাতে বন্ধ করে দিলো ফ্ল্যাসলাইটটা।
ঘর পুনরায় ডুবে গেলো ঘোর অন্ধকারে।

🌸
রাস্তাঘাট সব অন্ধকারে মোড়ানো। চারিদিকে আলোর ছিটেফোঁটাও নেই। হয়তো অমাবস্যা আজ।
অন্ধকার ছাপিয়ে ফ্ল্যাস লাইটের আলোয় দেখা যাচ্ছে কিছুটা পথ।
মিহি নিজের দুইবাহু জড়িয়ে আড়ষ্ট হয়ে আগে আগে হাঁটছে। চেহারায় রক্তিম ভাব। ভিতরকার তোড়পাড় সেই কখন থেকেই চলছে। থামাথামির নাম নেই। শেষ পর্যন্ত লোকটা কিনা ওই ছাউনির মধ্যে..! চিন্তা করেই মিহি আরো কুঁকড়ে গেল।
এরোন মিহির থেকে সামান্য পিছনে। মিহির অতিরিক্ত লজ্জার কারণেই এই দূরত্ব রেখে হাঁটা। একহাত পকেটে গুজে অন্যহাতে ফ্ল্যাসলাইট ধরে তার লজ্জাবতীর এলোমেলো চালচলন দেখতে দেখতে হাঁটছে সে। মুখে চাপা হাসির রেশ।

বাড়ি পৌঁছে ভিতরে পা রাখতে না রাখতেই ধমকে উঠলেন দিপালি।
“তোর কি হুশজ্ঞান নেই! সবাই কত টেনশনে ছিল জানিস।”
রাহিও রাঙানো চোখে সুর মিলালো।
মিহি ইতস্তত ভঙ্গিতে একপলক তাকিয়ে মাথা নুয়ে নিলো। এসব ধমকের কোনো প্রভাব পড়ছে না ওর উপর। এলোমেলো দৃষ্টিতে মেঝের দিকে তাকিয়ে আছে সে। মুখে এখনো রক্তিম লাল। ঘেমে যাচ্ছে বার বার।
এরোন দূরুত্ব রেখেই দাঁড়িয়েছে। তবে সেই চাঁপা হাসির সাথেই মিহির দিকে তাকিয়ে আছে সে।
মিনিট কয়েক বকা ঝকা দেওয়ার পর ক্ষান্ত হলেন
দিপালি। মিহি তখনো চুপচাপ নুয়ে আছে মাথা। ধকধক করে যাচ্ছে ওর ভিতরটা। কোথাও পালিয়ে যেতে পারলে যেন বেঁচে যেতো ও।
“তোর শাড়ির এই অবস্থা কেন? কুচি টুচি কি হয়েছে এসব! এটা কেমন কুচি!” আচমকা রাহির বলা এই কথায় পীলে চমকে উঠল মিহি। আরো লাল হয়ে গেল সারা মুখ।
দিপালিও তাকালেন।
মিহি আড়ষ্ট হয়ে গেল নিমিষেই।
এত লজ্জায় এ জন্মে কোনোদিনো পড়ে নি ও। এমন পরিস্থিতিতে পরার আগে মরণ হলো না কেন?

“পরে গেছিলো উল্টে। এজন্যই।” রাহির দিকে তাকিয়ে স্বাভাবিক গলায় বলল এরোন।
মিহি ইতস্ততভাবে এদিক ওদিক তাকাতে লাগল।
“হায়রে মেয়ে! এ বয়সে এসেও উল্টে পড়িস!” উপহাস মূলক স্বরে বললেন রাহি।
দিপালি হাসলেন।
“উপরে গিয়ে ফ্রেস হও, চলো।” মিহিকে উদ্দেশ্য করে বলল এরোন।
মিহি একমুহূর্ত দেরি না করেই পা বাড়ালো। কোনোদিকে না তাকিয়ে গটগট করে উঠে গেল উপরে। এরোনও উঠে এলো ওর পিছনে পিছনে।
মিহি নিজের ঘরে ঢুকে হাঁপাতে লাগল। এত সময় দম বন্ধ হয়ে মরার মত অবস্থা হয়ে গিয়েছিল।

এরোন ঢুকলো ঘরটায়। একহাতে ঠেলে বন্ধ করে দিল দরজা।
দরজা বন্ধ হওয়ার আওয়াজে চমকে উঠে পিছনে তাকালো মিহি।
এরোনকে দেখে চোখ বড়সড় করে দ্রুত সামনে মাথা ঘুরালো ও। চোখমুখ চুপসে গেল তার।
এরোন নিঃশব্দে হাসলো। বলল, “শাওয়ার একা একাই নিবা নাকি আমি~~..?”
মিহি চমকে উঠল।
“নির্লজ্জ!” বিড়বিড়িয়ে বলেই অতি দ্রুত বাথরুমে ঢুকে সজোরে বন্ধ করে দিলো দরজা।
“কাপড় ত নিয়ে যাও!” হালকা স্বর উঁচিয়ে বলে হেসে দিলো এরোন।

🌸
রাতের খাওয়া শেষ হয়েছে অনেক আগেই। দিপালি টিভি দেখতে দেখতে অর্নির একটা কামিজের ছিড়ে যাওয়া অংশ সেলাই করছেন।
তার আড়াআড়ি আরেকটা সোফায় কাঁচুমাচু হয়ে বসে আছে মিহি। একটু আগেই তাকে ডেকেছে এরোন। কিন্তু সে এখনো নড়ে নি। শুকনো মুখে বসে আছে।
দিপালি ভ্রুকুটি করে বললেন, “কিরে! বসে আছিস কেন? ডাকলো না?”
মিহি শুকনো মুখে মেকি হেসে তাকালো দিপালির দিকে।
“কী?” দিপালি ভ্রু উঁচু করে নামালেন।
“কিছুনা।” মিনমিনিয়ে বলল মিহি।
“কিছুনা তাহলে যা! টিভিও ত দেখছিস না। দেখে আয় কী বলে!”
ঢোক গিলল মিহি। ধড়ফড় করছে ভিতরটা।
এদিক ওদিক তাকাতে তাকাতে বলল,”ম..মা!”
“হু?” সেলাই করতে করতে উওর করলেন দিপালি।
“আমি আজ তোমার সাথে ঘুমাই?” মিনমিনে গলায় বলল মিহি।
মিহির দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসলেন দিপালি। মানা করলেন না। বললেন,”হ্যাঁ, ঘুমাস। কিন্তু আগে গিয়ে দেখে আয় এরোন ডাকছে কেনো! যা।”
মুখটা চুপসে গেল মিহির। ঠোঁটে ঠোঁট চিপে উঠে দাঁড়াল সে। কোনমতে গিয়ে হাজির হলো দরজার সামনে।
মাথা নুয়ে নিয়ে ঢুকলো ভিতরে।
এরোন বিছানায় পা ঝুলিয়ে সামনের দিকে হালকা ঝুঁকে বসে ছিল। মিহির জন্যই অপেক্ষা করছিলো সে।
মিহিকে ঢুকতে দেখে চোখ তুলে তাকালো ওর দিকে। এত সময়ে এসেছে সে! তবে তাকে বিব্রতকর অবস্থায় ওখানেই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সংকুচিত হয়ে এলো এরোনের চোখ।
সে বলল, “তুমি কি ওখানেই দাঁড়িয়ে থাকবা?”
মিহি চোখ তুললো না। এগিয়েও এলো না।
ইতস্তত করে কোনমতে বলল,”আম..আমি মায়ের কাছে ঘুমাবো আজ।”
এরোন ভ্রু কুচকে ফেলল।
“মানে? কেন?”
“এ..এমনিই। আ..আপনি বলুন কী বলবেন!” দৃষ্টি নামিয়ে রেখে বলল মিহি।
এরোন বুঝল মিহি কেন পালাই পালাই করছে। ভাই, এই মেয়ে এত লজ্জা পায় কেন?
“এখানে আসো।” দুই আঙুল দিয়ে ইশারা করে বলল এরোন।
মিহি ঢোক গিলল। ধকধক করে উঠলো ভেতরটা। সে এবারো এগিয়ে গেল না।
এজন্য দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে এরোনই উঠে এগিয়ে এল।
“বাহানা শুনব না৷ আমার কাছেই থাকবা তুমি।” একরোখা মনোভাব নিয়ে বলেই ওকে কোলে তুলল এরোন।
মিহি চমকে উঠে তাকাল এরোনের দিকে।
এরোন ওকে নিয়ে গিয়ে বিছানায় শোয়াতে শোয়াতে নমনীয় গলায় বলল,”জ্বালাবো না, সত্যি। প্লিজ থাকো।”
মিহি চোখ সরিয়ে নিল। টিপটিপ করতে লাগল বুকটা।
এরোন এগিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে লাইট অফ করতেই মিহি বিছানার কোনে পাশ ফিরে কাঁচুমাচু হয়ে গেল।

(চলবে…)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here