পারবনা আমি ছাড়তে তোকে❤❤ #লেখিকাঃ লামিয়া ইসলাম তন্নি❤ #পর্বঃ ১❤

0
1303

বউ সেজে ফুলে সাজানো বাসরে একঘন্টা যাবৎ বসে আছি। ফুলের গন্ধে যেন চারদিকটা মৌ মৌ করছে। আমি আলিশা আহমেদ। পরিবারের ছোট মেয়ে। সবার আদরের তাই সবাই ভালোবেসে ” আলো” বলেই ডাকে। বড় আপু চাঁদনিশা আহমেদ। আর ভাইয়া এহসানুল আহমেদ সাজিদ। ভাইয়া আমাদের দুই বোনের মাঝে আমাকে সব থেকে বেশি ভালোবাসে। আজ আমার বিয়ে হয়েছে। গা ভর্তি ভারী গহনা আর ভারী শাড়ি পড়ে বসে আছি। চারদিকটা কতটা শান্তশিষ্ট। শুধু আমার মনেই যে কোনো শান্তি নেই।ভীষণ অস্বস্তি লাগছে। কিন্তু কিছুই করতে পারছিনা। কাল এই সময়ও যাকে ভাইয়া বলে ডাকতাম আজকে মাত্র কয়েকটি ঘন্টার ব্যবধানে একটা সাদা কাগজে সই করে তিনটি শব্দ বলে তারই বউ হয়ে গেলাম? কি আশ্চর্য! সত্যিই নিয়তির খেলা খবই অদ্ভুত! আজ আছি কাল থাকব নাকি তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। সূর্য আমার বড় আব্বুর ছেলে। আর আমি সূর্যকে আমি আজ থেকে নয় আরও ৩ বছর আগের থেকে ভালোবাসি। কিন্ত তা কখনো বলার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। আর এই যে আজকে আমাদের বিয়েটা হলো তাতেও আমাদের কোনো মত ছিল না।

ফ্লাশব্যক……

★★আজ সূর্য ভাইয়ার জন্মদিন। সেই সকাল থেকে সবাই নানা কাজে ব্যস্ত। আমরা আর সূর্য ভাইয়ারা একই বাড়িতে থাকি। বাড়িটা অনেকটা রাজপ্রাসাদের মতো। দাদু ভাইয়া নিজের হাতে বাড়িটা বানিয়েছিলেন। বড় আব্বুর যখন ১৩ বছর বয়স তখন দাদু ভাইয়া মারা যান। আর তখন বাবার বয়স মাত্র ৭ বছর। আর ফুপি তখন ১ বছর ২ মাসের। দাদু ভাইয়া এক্সিডেন্টে মারা যান। মারা যাওয়ার আগে বাবা, ফুপি ও দীদাকে বড় আব্বুর হাতে তুলে দিয়ে যান। তাদেকে দেখে রাখতে বলেন। আর বলেন যেন কখনো বাবা আর বড় আব্বু আলাদা না হন। সব পরিস্থিতিতে একসাথে থাকেন। বড় আব্বু দাদা ভাইয়াকে দেয়া সব রাখেন। এমনকি আমাকেও ভীষণ ভালোবাসে। আমি নাকি তার চোখের মনি। সত্যি বলতে ছোট থেকেই সবাইকে একসাথে মিলেমিশে থাকতে দেখছি। সাথে সবার অসম্ভব ভালোবাসা পাচ্ছি। মাঝে মাঝে নিজের প্রতি নিজেরই হিংসে হয়। এনিওয়ে গল্পে ফেরা যাক,,,

জানালার পর্দা ভেদ করে সকালের মিষ্টি রোদ এসে চোখে পড়তেই ঘুম ভেঙে যায়। ঘুমুঘুমু চোখে ফোনটা হাতে নিয়ে ঘড়িতে তাকাতেই চোখ যেন কপালে উঠে যায়। একি সকাল ১০ টা বাজে? অথচ কেউ আমাকে ডাকলো না? আশ্চর্য! শোয়া থেকে উঠে বসতেই মাথাটা কেমন যেন চিনচিনে ব্যথা অনুভব করতে পারছি। হঠাৎ কাল রাতের কথা মনে পড়ে….

— সারা রুম জুড়ে পাইচারি করছি। কিছুতেই ঘুম আসছে না। কালকে সূর্য ভাইয়ার জন্মদিন আর আমি কিছুই দিব না? এটা কেমন? উনি নির্ঘাত আমাকে কিপটে ভাববে। কি করব এখন? আমার কাছে তো টাকাও নেই এখন কি হবে? ভাবতেই কান্না পাচ্ছে আমার ইচ্ছে করছে নিজের চুল নিজে ছিঁড়ি। অসভ্য মেয়ে কে বলেছিল টাকাগুলো হারাতে। ইচ্ছে করছে নিজেই নিজেকে ঠাড়িয়ে লাগাই একটা। অনেক ভাবাভাবির পর ডিসাইড করলাম কালকে আম্মুর থেকে টাকা নিয়ে গিফ্ট কিনব। এখন আপাতত উইশটা করি। প্রতিবার তো আগে আমিই করি। সো এবারও আমিই করব। তাই আর কিছু না ভেবে দৌড়ে গেলাম উনার রুমে। কিন্তু রুমের সামনে গিয়েই আমি থমকে যাই। একি আপু? আপু উনার ঘরে এসময় কি করছে? উনাদের কথা শুনার জন্য দরজার দিকে আরেকটু এগিয়ে যাই। তারপর আমি যা শুনতে পাই কার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। কাল আপু আর উনার রিলেশনের ২ বছর হবে? কিভাবে সম্ভব? আপু তো আমাকে সব বলে তাহলে এটা? এটা কেন বলল না। দুটো বছর আগে বললেও তো হতো। কিন্তু এই দুটো বছরে যে অনেক কিছু পাল্টে গেছে। উনাকে আমি নিজের থেকে বেশি ভালোবেসে ফেলেছি। উনাকে ছাড়া তো আমি নিজের অস্তিত্ব কল্পনাও করতে পারিনা। কথাগুলো ভাবতে ভাবতেই চোখ থেকে কয়েক ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়ল। কানে ভেসে এলো সেই চিরচেনা মানুষটির কন্ঠ….

সূর্য : তা চাঁদ আমার গিফট কই? আমাকে তো তোর ডাবল গিফট দেওয়া উচিত।

আপু: হুম দিব। তবে আগে আমার গিফট দাও তারপর আমি দিব।

সূর্য : কাছে আয় তারপর তো তোকে গিফট দিব। দূর থেকে কি গিফট দেওয়া যায়? ( শয়তানি হাসি দিয়ে)

আপু: লাগবেনা তোমার গিফট অসভ্য ছেলে একটা। বিয়ের আগেই শুরু করেছে উনার লুচুগিরি। ( ভেঙচি কেটে)

উনাদের কথাগুলো সোজা গিয়ে আমার বুকে বিধল। আর এক সেকেন্ডও এখানে দাঁড়িয়ে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। সূর্য ভাইয়ার রুমের ডান পাশের রুমটা আমার হওয়া কেউ দেখার আগেই দৌড়ে রুমে চলে এলাম। খুব কষ্ট হচ্ছে। নিজের উপর খুব ঘৃণা হচ্ছে। বোনের বয়ফ্রেন্ডের দিকে তাকাচ্ছি? ছিঃহ, আমার কি এইটুকুও লজ্জাবোধ নেই। আমার বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই। ইচ্ছে তো করছে এই মুহূর্তে মরে যাই। নিজেকে এক্কেবারে শেষ করে দিই। কথাগুলো ভাবছিলাম আর কাঁদছিলাম। কখন ঘুমিয়ে পড়েছি জানিনা।

★★মাথায় কারো চাটির আঘাতে ঘোর কাটলো আমার। সূর্য ভাইয়া? উনি এসময় কি করছেন আমার রুমে। মাশাল্লাহ কত্তো সুন্দর লাগছে উনাকে। ব্লাক টি-শার্ট, ব্লাক জিন্স। বা হাতে ব্রান্ডের ঘড়ি। সিল্কি চুলগুলো কপালে এসে পরেছে।ঠোঁটের ব্যলকুনিতে সেই পাগল করা হাসি। হাসলে আমার মতো উনারও ডান গালে টোল পড়ে। ফর্সা শরীরে মারাত্মক লাগছে কালো রঙটা। যেন আজ আবার উনার প্রেমে পড়লাম। কাল রাতের কথাগুলো মনে পড়তেই চোখ সরিয়ে নিলাম।

সূর্য : কি মহারানী, এতোক্ষণে ঘুম ভেঙেছে আপনার? শেষ হয়েছে আমাকে দেখা? আমি জানি আমি একটু বেশি কিউট। (ভাব নিয়ে) তাই বলে এভাবে তাকিয়ে থেকে আমার কিউটনেসের ১২ টা বাজিয়ে দিবি? একে তো দেরিতে ঘুম থেকে উঠেছিস। তারওপর এখন পর্যন্ত আমাকে উইশ করলি না। আবার আমি তোর রুমে এলাম এখন আমাকে চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছিস। আচ্ছা, কাল রাতে উইশ করলি না কেন? প্রতিবার তো তুই ফার্স্ট উইশ করিস তাইতো আমি কাল রাতেও ১ টা অবধি তোর জন্য ওয়েট করেছি।( একটু রেগে)

আমি: সরি ভাইয়া। একচুয়ালি শরীরটা তেমন ভালো না।

আমি কথাটা শেষ করার আগেই উনি লাফ দিয়ে আমার পাশে বসেই আমার কপালে,গালে হাত দিয়ে চেক করা শুরু করলেন।

সূর্য : জোর তো নেই। তাহলে কি হয়েছে? আর তোর চোখমুখ ফোলা কেন? কেন কেঁদেছিস? কেউ কি কিছু বলেছে?

আমি: না। কে কি বলবে? আর আমি কাঁদবই বা কেন? হয়তো বেশি ঘুমের জন্য এমন হয়েছে। আচ্ছা বাদ দিন। আমি ফ্রেস হবো।

কথাটা বলে উঠে যেতে নিলে উনি একটানে আমাকে উনার সামনে এনে বসায়।

আমি: ভাইয়া প্লিজ আমাকে ছাড়েন। আমার ভালো লাগছেনা।

সূর্য : অবশ্যই ছাড়ব। আগে বল কেন কেঁদেছিস? হুয়াই? চুপ করে থাকিস না আলো।

আমি: হ্যাঁ, আমি কেঁদেছি। ইচ্ছে হয়েছে তাই কেঁদেছি। আরো যতো ইচ্ছে কাঁদ…

সূর্য : আলো..( ধমকে উঠেন আমাকে থাপ্পড় দিতে যেয়েও থেমে যান।) কি লাগবে বল কি চায় তোর? সব পাবি। কিন্তু তোর কোনো কিছুর বিনিময়েই কাঁদা যাবে না। কেন তুই বুঝিস না তোর কান্না করা বারণ। এতো বড় হয়েছিস কখনো তোকে এক ফোঁটা চোখের পানি আমরা ঝরতে দিই নি। তাহলে আজ কি এমন হলো যে তোকে কাঁদতে হবে। আন্সার দে।( খুব রেগে)

আমি : আমি কি আপনাদের ইচ্ছে মতো বাঁচব নাকি? সব আপনাদের কথা মতো হবে? জীবনটা আপনাদের নয় আমার। সো নিজে নিজের ভালো বুঝি আপনাদের বুঝতে হবে না। আমি কোনো রোবট নই যে আপনাদের যরমন ইচ্ছে যেদিকে ইচ্ছে আমাকে ঘুরাবেন। আর আমিও ঘুরব। আমি রক্তে মাংসে গড়া মানুষ। আমারও স্বাধীনতা আছে। আমারও ইচ্ছে ইচ্ছে আছে। আমি কাঁদব হাসব যা ইচ্ছে করব।

সূর্য : তোর কোনো স্বাধীনতা কেড়ে নিব না। কিছুতেই বাঁধা দিব না। শুধু যা করিস জানিয়ে করবি। আর কিছুতেই কাঁদা যাবেনা।( আমার দুই বাহু শক্ত করে চেপে ধরে)

আমি: আপনাকে সব কেন বলতে হবে? কে হন আপনি আমার বড় নাকি বয়ফ্রেন্ড?

সূর্য ভাইয়ার হাতের বাঁধনটা ঢিলে হয়ে এলো। ছেড়ে দিলেন আমায়। হয়তো কখনো আসা করেন নি আমি এমন কিছু বলতে পারি। উনি হাটতা ছেড়ে দিতেই আমি দৌড়ে ওয়াশরুমে ঢুকে যাই। কিভাবে দাঁড়িয়ে থাকব উনার সামনে। এতটা স্ট্রং মেয়ে আমি নই।

বেশ কিছুক্ষন পর…

★★ওয়াশরুম থেকে বেড়িয়ে তৈরি হয়ে রুম থেকে বের হতেই উনার সামনে পরি। উনাকে দেখেও না দেখার মতো করে উনার পাশ কেটে চলে যেতে নিলে…..

সূর্য : দাঁড়া আলো। তুই কেন আমার সাথে এরম বিহেব করছিস? কি করেছি আমি? তুই তো এমন ছিলি না।

আমি: মানুষ সবসময় এক থাকেনা সূর্য ভাইয়া। আপনি কিছুই করেন নি। যা করার আমি করেছি। এখন আমার যেতে হবে।

সূর্য : কোথায় যাচ্ছি এটাও কি বলবি না?

আমি: তিথির বাসায়।

সূর্য : আজতো কলেজ ছুটি। তাহলে এসময় ওর বাসায় কি?

আমি: দরকার আছে।

সূর্য : খেয়েছিস?

আমি: ক্ষুধা নেই।

সূর্য : কাল রাতেও নাকি খাস নি শুনলাম? কি হয়েছে তোর?

আমি: ওয়াও আমার খবর রাখার ও টাইম আছে আপনার?

সূর্য : মানেহ? ( অবাক হয়ে)

আমি কোনো উত্তর না দিয়ে বেড়িয়ে আসি। উনার দিকে না তাকিয়েও উনার অবস্থা বুঝতে পারছি। হয়তো আমাকে এমন দেখে খু্বই অবাক হচ্ছে। গলা ধরে আসছে। কিছু বলতে গেলেই যে কেঁদে ফেলব। কিন্তু আমাকে যে কাঁদলে চলবে না। আমাকে স্ট্রং হতে হবে। উনি আপুর বর। ভাবতে ভাবতে চোখ থেকে কয়েক ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়ল।

দুপুর ১২:৩০ তিথির বাসা থেকে বেড়িয়ে ফুটপাত ধরে হাটছি। একটু আগে ওর বোন কল করেছিল। ওর বোন একটু অসুস্থ তাই তিথিকে ডেকেছে উনার বাসায়। আমাকেও যেতে বলেছিল বাট ভালো লাগছেনা। তাই না করে দিয়েছি। প্রচুর রোদ শরীর খুব টায়ার্ড লাগছে। টাইমলি না খেলে আমার প্রেশার লো হয়ে যায়। সেখানে ২ টি বেলা না খেয়ে আছি। মাথা ঘুরছে। মনে হচ্ছে যেকোনো মুহূর্তে মাথা ঘুরে পরে যেতে পারি। শরীরটাকে টানার শক্তি পাচ্ছি না। কি করব কোথায় যাবো বুঝতে পারছি না। কিন্তু বাসায় যাবো না এখন। কিছুতেই না। ফোনটা হাতে নিয়ে ভাইয়ার নাম্বারে ডায়াল করলাম। হঠাৎ করেই চোখ যায় রাস্তার পাশে বসে থাকা একদল ছেলের দিকে আমার দিকে তাকিয়ে কি কুৎসিতভাবে হাসছে। হাসি দেখে রাগে আমার গা পিত্তি জলে যাচ্ছে। দেখে মনে হচ্ছে বখাটে। এদের কাজই মেয়ে দেখলেই টিচ করা। অসহ্য! আস্তে আস্তে সব কেমন জানি অন্ধকার হয়ে আসছে। ভাইয়া ফোন ধরতেই কিছু বলতে যাবো তার আগেই ছেলেগুলো এসে সামনে দাড়ায়। ভয়ে যেন আমার প্রান যায় যায় অবস্থা। একজন পাশ থেকে বলে ওঠে….

একটি ছেলে: বস মালটা কিন্তু জোস। কি সোনামণি একা একা এই নিঝুম রাস্তায় আমাদের সাথে দেখা করতে এসেছো বুঝি? ভালোই করেছ।

আমি: দে… দেখুন আমার রাস্তা ছাড়ুন বলছি।

ভাইয়া : আলো কই তুই? কি হয়েছে? কে কাকে এসব বাজে ভাষায় কথা বলছে?

আমি: দে… দে…দেখুন আ… আ.. আমাকে যে…যেতে দিন। ( তুঁতলে) ভাইয়া কই তুই? দেখ না ছেলেগুলো আমাকে কি বলছে।

এতোক্ষণ ছেলেগুলো বুঝতে পারেনি আমার হাতে ফোনছিল। এবার বুঝতে পেড়ে আরেকটি ছেলেকে দিয়ে আমার ফোনটা নিয়ে বন্ধ করে দেয়।

আমি: আপনারা আমর ফোন দিন বলছি।

আরেকটি ছেলে: অবশ্যই দিব সোনামনি। আগে আমাদের সাথে চলো তারপর।

আমি : কোথাও যাবো না আমি। আমি বাসায় যাবো। আমি কিন্তু চেঁচাবো বলে দিলাম। আমার দিকে এগোবেন।

★★সাজিদের ফোনটা কেটে দিয়ে ওরা আলোর ফোনটা অফ করে রাখে। সাজিদ আবার আলো নাম্বারে ডায়াল করে কিন্তু ফোন সুইচ অফ বলে। সাজিদ বুঝতে পারছে না কি করবে এখন? পরিবারের ছোট হওয়ায় সবার চোখের মনি আলো। বিশেষ করে আলোর বড় আব্বু, ওর বাবা,আর ভাইয়ের কাছে। সাজিদ সূর্যকে কল দেয়। কিন্তু সূর্য ফোনটা তুলে না। সাজিদের এই মুহূর্তে ইচ্ছে করছে সব কিছু শেষ করে দিতে। সাজিদ অফিস থেকে গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে।

ছেলেটি: কোনো লাভ হবেনা খুকুমনি। এটা আমাদের এলাকা। এখানে সবাই আমাদেরকে ভয় পায়। তাই কেউ তোমাকে বাঁচাতে আসবেনা। সো তুমি আমাদের সাথে যাবে।

কথাটা বলে আমার হাত টেনে নিয়ে যাচ্ছে।

— হঠাৎ আমাদের সামনে বড় একচা কালো গাড়ি এসে দাঁড়ায়। গাড়িটা আমার খুব চেনা। গাড়িটা দেখে যতটা না অবাক হয়েছি তার থেকেও বেশি অবাক গাড়ির ভেতরের মানুয়টাকে দেখে।

#পারবনা আমি ছাড়তে তোকে❤❤
#লেখিকাঃ লামিয়া ইসলাম তন্নি❤
#পর্বঃ ১❤

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here