#অন্তর্লীন_প্রণয়
সাদিয়া মেহরুজ দোলা
পর্ব-১৭+১৮
চোখের পলকে আয়ুরেখা হতে বিয়োজন হয়েছে প্রায় দেড় মাস। শরৎকালের লাবণ্যময়ী রূপে সাজতে প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রকৃতি! শুভ্র সকালের আগমন ঘটতেই আয়ন্তিকা বিছানা ছেড়ে আড়মোড়া ভেঙে উঠে পড়ে। তার ডানপাশটা শূন্য পড়ে আছে। তা দেখে তপ্তশ্বাস ফেললো আয়ন্তিকা। এইত সপ্তাহ খানেক আগে তার ডান পাশটাতে ব্যবধান বজায় রেখে অহর্নিশ জায়গা দখল করে বেঘোরে ঘুমোতো। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ ধরে অহর্নিশের দেখাই নেই! নির্বাচনের কাজে এতটাই ব্যাস্ত সে আয়ন্তিকাকে এসে একবার দেখে যায় না। নির্বাচনের কাজ শুরু হতেই অহর্নিশ তাকে অহনার বাসায় দিয়ে গিয়েছে সেই যে.., আর আসেনি! এতে অভিমানীনি আয়ন্তিকা শুধু অভিমানে আঁখিপল্লব সিক্ত করে তোলে!
‘ আয়ু উঠেছিস? ‘
অহনার ভরাট কন্ঠস্বর। কল্প জগতে মগ্ন আয়ন্তিকা এবার দরজার দিকে পূর্ণ দৃষ্টি দেয়। নিজেকে ধাতস্থ করে সে আলত হেঁসে বলল,
‘ জি মামি! কিছু বলবা?’
‘ হ্যা। যা ফ্রেশ হয়ে আয় জলদি। তোর স্কুলের সময় পেড়িয়ে যাচ্ছে। নাহিদ এসে তোকে নিয়ে যাবে। ‘
‘ আসছি মামি। তুমি যাও। ‘
আয়ন্তিকা হাতে তোয়ালে নিয়ে ওয়াশরুমে প্রবেশ করে। হাতমুখ ধোঁয়ার এক পর্যায়ে তার সুক্ষ্ম দৃষ্টি আঁটকে যায় তার অধর কোণে! সেখানে কেটে গেছে একটু। লজ্জায় নুইয়ে যায় আয়ন্তিকা। সেই ঘটনার দেড় মাস কেটে গেলেও লজ্জার রেশ এখন পূর্ণ মতোন কাটেনি। সেদিন অহর্নিশ তার ঠোঁটে আদুরে স্পর্শ একে দেয়ার এক পর্যায়ে ছোট্ট করে কামড় দিয়ে বসেছিলো। ব্যাথায়, লজ্জায় সেদিন আয়ন্তিকা মনে মনে অহর্নিশ কে শ’খানেক গালি দিয়েছে নিভৃতে। ভাগ্যিস মামি বা আর্নিয়া আপু এই ঠোঁট কেটে যাওয়া নিয়ে কোনোরূপ প্রশ্ন তুলেনি। নয়তো সে লজ্জায় মারা পড়তো নিশ্চিত।
.
শুভ্র সকালের আবির্ভাব শেষে এখন চলছে দুপুরের রৌদ্দুরের পালা। তপ্তশ্বাস ফেলে ক্লাসরুম হতে বেড়িয়ে আয়ন্তিকা আগত হয় সামনে। নাহিদ গাড়ির সাথে ঠেস দিয়ে দাড়িয়ে আছে। তাকে দেখা মাত্রই সটান হয়ে দাঁড়িয়ে মিষ্টি হেঁসে সালাম দেয়। আয়ন্তিকা সালামের প্রতুত্তর করে গাড়িতে উঠে বসে। অহনার বাসায় আসার পর হতে নাহিদই তাকে সব জায়গায় নিয়ে যায়। অহর্নিশ কখনোই আসেনা। না কোনো ফোক করে তাকে! গাড়ি চলা শুরুর পর আয়ন্তিকার চোখ আঁটকে যায় হাস্যজ্বল অহর্নিশের দিকে। পোস্টারে অহর্নিশের ছবি। পুরো এলাকা নির্বাচনের পোস্টারে ছেয়ে গেছে। লম্বা শ্বাস ফেললো সে।
গাড়ি অহনার বাসার রাস্তা হতে অন্যদিকে যাওয়া শুরু করতেই আয়ন্তিকা চিন্তিত কন্ঠে বলল,
‘ নাহিদ ভাইয়া, ঐদিকে কোথায় যাচ্ছেন। বাসার রাস্তা তো এদিকে না?’
‘ জি ভাবী। কিন্তু এখন আমরা বাসায় যাচ্ছি না।’
‘ তাহলে কোথায় যাচ্ছি? ‘
‘ ভাইয়ের কাছে! ‘
আয়ন্তিকা থতমত খায়। হতভম্ব হয়ে বলল,
‘ ভাই মানে?অহর্নিশ? ‘
‘ জি ভাবী। ভাই আপনার সাথে দেখা করতে চায়। তাই একটা ঠিকানা দিয়া বলসে আপনারে সেখানে নিয়া যাইতে। ‘
আয়ন্তিকা মৃদু স্বরে বলল, ‘ অহ! ‘
অদ্ভুত প্রশান্তির হাওয়া তার সর্বত্রে এসে বাড়ি খায়।অহর্নিশের সাথে এতদিন পর দেখা হচ্ছে তার, তা ভাবলে জরোতা কাজ করে আবার তারই মধ্যে জেগে ওঠে একরাশ অভিমান। পর্বতসম অভিমান!
অহর্নিশের এমপি পদে দাঁড়ানোয় কেও খুশি নয় বললেই চলে। খুশি হবে কিভাবে? এতকিছু যে ঘটে গেলো এটাকে নিয়ে। অহর্নিশের বিপরীত পন্থীলোক মাসুদ সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে অহর্নিশ কে এমপি পদ হতে সরে দাঁড়াতে। কারণ ও জানে অহর্নিশ এ পদে দাঁড়ালে তারই জয় নিশ্চিত। তাই তো মাসুদ বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করেছে। অহর্নিশের বাবা ইমান কে আঘাত করে একবার তার পা ভেঙে দিয়েছিলো। তার ব্যাবসায় লস ঘটিয়েছিলো। অহর্নিশকে মেরে ফেলার প্রয়াস চালিয়েছিলো। তবে মাসুদ ব্যার্থই! অহর্নিশ নিজ কর্মে অটল।
.
নির্জন এক খোলা মাঠে এসে থামে গাড়ি। নাহিদ ইশারায় নামতে বলল আয়ন্তিকা কে। অপেক্ষা করার জায়গাটি নাহিদ বলে দিয়ে গাড়ি নিয়ে কিছুটা দূরে চলে গেলো। অহর্নিশের নির্দেশ এটা। তাদের প্রাইভেসি চাই। তাই আয়ন্তিকা কে নির্দিষ্ট জায়গাতে পৌঁছে দিয়েই যেনো নাহিদ চলে যায় এমনটা বলেছে সে।
আয়ন্তিকা গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে যায় সামনের দিকটাতে। সেখানে একটা ছাউনি রয়েছে। ওপরে টিন বাঁধানো। মাঝখানটায় বাশ আর তার চতুর্দিকে বসার জন্য বিন্যাস মতোন কয়েকটা সিট বসানো। সিঁড়ি ডিঙিয়ে ছাউনিতে উঠে আয়ন্তিকা। দু-হাতের তালুতে দু’হাত দিয়ে উত্তাপ করার চেষ্টা করে। হাত কেমন হীম ভাব টেনে নিয়েছে নিজের মাঝে। যেনো বরফ! চার মিনিট বাদে আয়ন্তিকা শুনতে পায় বাইকের কর্কশ শব্দ! তৎক্ষনাৎ সে বাম দিকে তাকায় ঘাড় বাকিয়ে নিয়ে। আকাঙ্খিত মানুষটাকে নজরে পড়ে তার চটজলদি সেই ক্ষনটাতেই।
অহর্নিশ নেভি ব্লু রঙের শার্ট পড়ে আছে। শার্টটা ঘামে ভিজে চুপচুপ হয়ে তার শরীরের সাথে একদম এঁটে সেঁটে মিশে রয়েছে। এতে তার ফিটফাট সুদর্শন দেহটা স্পষ্টত রূপে বোঝা যাচ্ছে। তবে আয়ন্তিকা খেয়াল করল অহর্নিশ আগের থেকে কেমন রোগা রোগা হয়ে গিয়েছে। মাথা হতে কালো রঙের হেলমেট টা খুলতেই নজরে আসে তার নির্জিব এক চেহারা। অহর্নিশের চোখের চারদিকে কালচে ভাব, গোলাপি পুরু ঠোঁটদুটো শুষ্কতায় মগ্ন, বড়সড় চোখ দুটো ছোট্ট হয়ে আছে। সর্বমুখে ফ্যাকাশে রূপ ধারণ করেছে এক প্রকার। আয়ন্তিকা কেঁপে ওঠে। ১ মাসের ব্যাবধানে এ কি হাল হয়েছে অহর্নিশের? এ অবস্থা কেনো এই লোকটার?
অহর্নিশ হেলমেট রেখে দিয়ে তড়িৎ বেগে ছাউনিতে এসে উঠলো! হেলতে দুলতে এগিয়ে এসে সে এক প্রকার ঝাপটে ধরলো আয়ন্তিকা কে। এইতো! তার বুকের ব্যাথা তো মিটে গেলো। ভেতরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় একদম শান্ত রূপে রূপান্তর হলো। এতক্ষণ, এতদিন যাবৎ রুখে থাকা স্বাভাবিক শ্বাস এবার ঠিকঠাক ভাবে চলছে! ইশশ! এতো প্রশান্তি মিলল হৃদয়ে। এমন একটা মূর্হত যদি সে হৃদয়ের ক্যানভাসে একে নিতে পারতো। তাহলে বড্ড বেশি ভালো লাগত।
সেকেন্ড, মিনিট, আধা ঘন্টা পার হওয়ার পর অহর্নিশ আয়ন্তিকার হতে সরে দাঁড়ায়। আয়ন্তিকা এতক্ষণ চুপচাপ দাঁড়িয়ে থেকে তার কাঙ্ক্ষিত মানুষটার হৃদ স্পন্দন গুনছিলো। আহা..!এত মধুর শুনতে ছিলো আয়ন্তিকা তা বর্ণনা করার ভাষা খুঁজে পেলোনা।
অহর্নিশ সিটে বসে ইশারায় আয়ন্তিকা কে বসতে বলল। আয়ন্তিকা বিনাবাক্যে বসে পড়ে পাশে। অহর্নিশ এবার নম্র কন্ঠে বলল,
‘ কেমন আছো আয়ন্তিকা? ‘
আয়ন্তিকার এই মূর্হতে চিল্লিয়ে বলতে ইচ্ছে করল, ‘আমি ভালো নেই অহর্নিশ! একটুও ভালো নেই। আপনাকে ছাড়া আমার কেমন যেনো দম বন্ধ লাগে এমন কেনো হয় জানা নেই। তবে আপনি পাশে থাকলে আমি পৃথিবীর সবচেয়ে সুখি ব্যাক্তি হিসেবে নিজেকেই মনে করি। ‘
কিন্তু আয়ন্তিকা মুখে অভিমানী কন্ঠে বলল,
‘ ভালো আছি অবশ্যই। খুব বেশি ভালো আছি আমি বুঝলেন? ‘
অহর্নিশ হতাশার শ্বাস ফেললো। অতঃপর সে মলিন কন্ঠে বলল,
‘ অহ! তা আমায় জিজ্ঞেস করবেনা আমি কেমন আছি?’
‘ জিজ্ঞেস করার কি আছে?নিশ্চয়ই ভালো আছেন। ভালো থাকার জন্যই তো আমায় দূরে সরিয়ে রেখেছেন। ‘
আয়ন্তিকার ঝাঁঝ মেশানো কন্ঠস্বর শুনে অহর্নিশ বিহ্বল দৃষ্টিতে তাকালো। পরবর্তীতে সে মৃদু হাসি দিয়ে বলল,
‘ ভালো থাকার জন্য তোমায় আমি দূরে পাঠায়নি। পাঠিয়েছি তোমার নিজ নিরাপত্তার জন্য আয়ন্তিকা তুমি আমার সাথে থাকলে সেফ থাকবে না। এখানে তোমার সাথে দেখা করতে এসেছি অনেক ঝড় মিটিয়ে! আমি বিয়ে করেছি এটা সবাই জানলেও, কেও জানেনা কাকে বিয়ে করেছি। তোমাকে কেও সন্দেহও করতে পারবেনা। কারণ তোমায় বয়স অল্প! এখানটাতে অল্প বয়সী মেয়েদের বিয়ে হয়না তার ওপর আমি অল্প বয়সী কাওকে বিয়ে করবো এটাও কেও ভাবতে পারবে না। ‘
আয়ন্তিকা এবার কোমল কন্ঠে বলল,
‘ আপনি প্লিজ এসব থেকে দূরে সরে আসুন না। এমন কাজে যুক্ত হওয়ার মানে হয় যেখানে নিজের জীবনই সেফ না! না পরিবারের জীবনের কারো গ্যারান্টি আছে। ‘
‘ না থাকুক আমার জীবনের গ্যারান্টি। আমার প্রাণের বদলে যদি অন্য আর দশটা প্রাণ বাঁচে তাতেই চলবে। বর্তমান এমপি পদে থাকা কিছু মানুষ শুধু নিজের স্বার্থ দেখে। আর পাঁচটা মানুষ না খেয়ে মারা গেলে তাদের কিছু না। আল্লাহ যদি রহম করেন তাহলে আমি বিজয়ী হলে আলাদা কিছু করতে চাই। ‘
‘ কিন্তু.. ‘
অহর্নিশ আয়ন্তিকার ঠোঁটে নিজের আঙুল রাখে। নিজের ঠোঁটযুগল গোল গোল করে নিয়ে বলল,
‘ হুঁশশ!নো মোর ওয়ার্ড’স। এখন বাসায় যাও। ‘
আয়ন্তিকা বিচলিত দৃষ্টিতে তাকায়। হতবাক হয়ে বলল,
‘ মাত্রই তো আসলাম আরেকটু থাকি?’
আয়ন্তিকার উত্তেজনা দেখে অহর্নিশ মৃদু হাসে ফের। পরিশেষে লম্বা শ্বাস ফেলে বলল,
‘ না! আমার কাজ আছে যেতে হবে। বাসায় যাও। ‘
অহর্নিশ ফোন বের করে নাহিদকে কল দিয়ে বলল আয়ন্তিকা কে নিয়ে যেতে। আয়ন্তিকার বিষন্ন চাহনি। তার ইচ্ছে করছে না যেতে। আয়ন্তির মন বলছে অহর্নিশ ভালো নেই। একটুও ভালো নেই সে। আয়ন্তিকার দরকার তাকে। কিন্তু…
______________
বাসায় বিষন্ন চেহারা নিয়ে প্রবেশ করে আয়ন্তিকা। অহনা তা দেখে কষ্টে নিজের কান্না লুকায়। এগিয়ে গিয়ে বলল,
‘ কিরে এমন মুখ করে আছিস কেন?অহর্নিশের সাথে দেখা করে এলি, এখন তো খুশি হওয়ার কথা।’
আয়ন্তিকা নিচু কন্ঠে বলল,
‘ মাত্র ৫ মিনিট ছিলাম তার কাছে মামি। তিনি খুব শুকিয়ে গিয়েছেন। ভালো নেই তিনি! আমাকে কেন নিচ্ছেন না তার সাথে। ‘
অহনা ধরা গলায় বলল,
‘ নিবে তো। মন খারাপ করিস না। যা এখন! ফ্রেশ হ জলদি। ‘
আয়ন্তিকা চলে যাওয়ার পর নিজের কান্না ধরে রাখতে পারল না অহনা। হু হু করে কেঁদে দেয় সে।
________
আয়ন্তিকার সাথে দেখার করে এসে অহর্নিশ ভেবেছিলে সে কাজে খুব জোর পাবে। কিন্তু না! হলো এর উল্টোটা। তার মন সে আয়ন্তিকার কাছে ফেলে এসেছে। চারিদিকে শুধু সে আয়ন্তিকা কে দেখে। বুকে জ্বালাপোড়া বেশি করে আজকাল। ইশ! আফসোস হচ্ছে তার। কেনো যে দেখা করতে গেলো মেয়েটার সাথে। ডিভানে শরীর এলিয়ে দেয় অহর্নিশ। ক্লান্ততা যাচ্ছেই না। যাবে না! আয়ন্তিকা কে সামনে না পেলে এই প্রেমের ক্লান্ততা কখনো যাবে না তার।
ফোন আসার শব্দে ধ্যান ভাঙে তার। অয়ন ফোন দিয়েছে। রিসিভ করতেই অপাশ হতে অয়ন চিন্তিত কন্ঠে বলল,
‘ তুই কি মাহিরকে তোর বাসায় যেতে বলেছিস?আজ দেখলাম আংকেল আন্টির বাসা হতে বের হচ্ছে মাহির! ‘
অহর্নিশ লাফ দিয়ে উঠে বসে বিস্মিত হয়ে বলল,
‘ স্ট্রেঞ্জ! আমি কেনো যেতে বলব মাহিরকে আমার বাসায়? তাও যেখানে আয়ন্তিকা আছে। ‘
‘ তাহলে মাহির গেলো কেনো দোস্ত? নিশ্চয়ই কোনো তালগোল পাকিয়েছে। ওর হাবভাব সুবিধার ছিলো না। ‘
‘ আচ্ছা রাখ আমি মা কে ফোন করে দেখছি। ‘
‘ ডান! আপডেট দিস। ‘
অহর্নিশ কল কাটতেই দেখে অহনার ১৪ টা কল এসেছে। অহর্নিশের মনে ভীতি জন্মালো। শুষ্ক ঢোক গিলে সে অহনার নাম্বারে ফোন দেয়। সঙ্গে সঙ্গে রিসিভ হয়ে যায় ফোন। ওপাশ হতে অহনা ক্রন্দনরত কন্ঠে বলল,
‘ অহর্নিশ তুই জলদি বাসায় আয়! আয়ন্তিকা..’
টুট টুট টুট! কল হুট করে কেটে যাওয়াতে অহর্নিশ আরেকদফা চমকে যায়। হাজারো চিন্তা এসে ভর করে নিউরনে। অহনা কাঁদছিলো কেন?আয়ন্তিকার ব্যাপারেই বা কি বলতে নিয়েছিলো সে?
চলবে…
#সাদিয়া_মেহরুজ_দোলা
(ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন)