হিয়ার_মাঝে ২৭. #মেঘা_সুবাশ্রী ®️

0
625

#হিয়ার_মাঝে ২৭.
#মেঘা_সুবাশ্রী ®️

চায়ের আড্ডায় মজেছে বন্ধুমহলের আসর। সেই মহলে একটা চমকপ্রদ খবর নিয়ে হাজির চিন্ময়। চিন্ময়ের ধার করা খবরে বেশ উল্লাসিত সানি। আরসি-কোলার বোতল হাতের মাঝে মাইক্রোফোনের মত ধরে রাখা। উচ্ছ্বসিত হয়ে ছড়া কাটলো।

ভাইজান খবর এক্কান
ভালো কইরা শুনেন।
একটার সাথে দুইটা খুশি,
আমরা পোলাপাইন।
এক্কান হইলো জিতুর বিয়া,
আরেকখান জিমান।
ভাইসাব আরসি-কোলা খান।

বন্ধুমহল জুড়ে তখন হাসির পরিবর্তে বিস্ময় দেখা দিল। দুই খালাতো ভাই একসাথে বিয়ে করছে। লরিন, সিমি, জুঁই অবাক। তবে সবচেয়ে অবাক মুবিন। জিতু বিয়ে করবে, এটা যেনো সত্যিই হয়। কত কাছ থেকে দেখেছে সে। জিতুর কষ্টগুলোর কথা ভাবলে তার আজও নিজেকে পাগল পাগল মনে হয়। জিতু নির্বাক। বিয়ে নিয়ে তার মধ্যে কোন উন্মাদনা নেই। মন খারাপ হানা দিয়েছে তার মধ্যে। কিঞ্চিৎ চোখদুটো বন্ধ করেছিল। তারমধ্যে একটা মেয়ের অবয়ব ভাসছে। তার সাথে কি হচ্ছে বুঝতে পারছে না।

জিমানের মুখে লাজুক হাসি। তার কর্ণেল বাপ নিজের কলিগের মেয়ের সাথে বিয়ে ঠিক করেছে। মেয়েটাকে একপলক দেখেছে সে। তাতেই দিওয়ানা হয়ে আছে। কবে যে বিয়ে হবে তার, মেয়েটাকে বউ হিসেবে পাবে। আর কত রাত একা থাকবে সে। মন’তো আর মানে না।

সবার দৃষ্টি তখন সানির থেকে সরিয়ে জিতু জিমানের দিকে। রকি কিছুটা ভারাক্রান্ত। আহ, বলে মৃদু শব্দ তুললো মুখে। গলার স্বর হতাশা মাখানো। ‘বাপ-মা আমাদের চোখে দেখে না। বলে বেড়ায়, আমরা নাকি এখনো বাচ্চা। বাড়ি গেলে এখনো মা-চাচীরা হাতে তুলে নোকমা খাওয়ায়। কবে যে আমরা বিয়া করুম।’

রকির কথায় লরিন খিলখিল করে হেসে উঠল। টিপ্পনী মেরে বলল,
‘তুই তো বাচ্চায়, দেখতেই লাগে ছোডো মানুষ।’

রকি তেতে উঠল। দ্রুতই জবাব দিল, ‘আর তুই তো লিলিপুট। মাত্র পাঁচফুট।’

সিমি তার জবাব দিল, মেয়ে হিসেবে পাঁচফুট চলে। কিন্তু ছেলে হিসেবে তোরা দুইজনেই সর্টি। পাঁচফুট চার। ছেলে হিসেবে চলে না কিন্তু। জিমানকে দেখ, ছয়ফুট। চিন্ময়, জিতু পাঁচ ফুট নয়। মুবিন পাঁচফুট আট। কিন্তু তুই আর সানি দু’জনেই পাঁচফুট চার। এজন্য তোদের দু’জনকে বাচ্চা বাচ্চা লাগে। বন্ধুমহলের সবচেয়ে ছোট পোলাপাইন।’

সানি ফুঁসে উঠলো, ‘একদমই বাচ্চা বলবি না, আজকে বিয়া করলে, কাল বাপ হয়ে দেখিয়ে দেব। বাচ্চা বলস কোন দুঃখে।’

মূহুর্তে বন্ধুমহলে হাসির রোল পড়ে গেল।

রকি হাসি থামিয়ে বলল, ‘মারিয়া এসব জানে। তুই পরেরদিন বাপ হয়ে যাবি।’

সানিও টিপ্পনী মারল, ‘তুই যে আজকাল ইডেন কলেজে যাস, এটা কিন্তু এখনো কাউকে বলি নি, বলব সবাইকে।’

রকি মুখ বাঁকালো। হাসি দিয়ে উড়ালো সানির কথা। ‘তুই যে মারিয়া, জোনাকি, লিপি, সিমলা সবার সাথে একলগে লাইন মারস, আমি কাউকে বলছি। বলি নাই তো, তুই বললেই আর কি হবে?’

মুবিন গম্ভীর গলায় বলল, ‘হইছে, আমরাও কিছু শুনি নাই।’

চিন্ময় কিছুটা রুক্ষস্বরে জবাব দিল রকির।
‘তোর জন্য আমাদের ভার্সিটিতে মেয়ের অভাব পড়ছে, শালা গেছে ইডেন কলেজ। তোরে বাইন্ধা রাখলেও যামু না আমরা। পরে টের পাইবা।’

রকি বিরক্ত হল এদের কথায়। নিজেই চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো। সবার উদ্দেশ্য গলা খাঁকারি দিয়ে বলল, ‘চুপ করবি সবাই, কথা হচ্ছিল জিমান জিতু নিয়া। আর তোরা কোথায় থেকে কোথায় চলে গেলি। দুই খালাতো ভাই সবার আগে মিঙ্গেল হয়ে যাচ্ছে। চিন্ময়ের বউ তো রেডি করাই আছে। ওর মামাতো বোন। খালি বাকি আছি আমি, মুবিন আর সানি। অবশ্য সানলাইটের কথা বইল্যা লাভ নাই। বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে যাইয়্যাও পাত্রীর খালাতো বোন’রে লাইন মারবো। শালা যারে পাইবো তারে লাইন মারবো। শালার মেশিনেই সমস্যা।’

মূহুর্তে ফের হাসির রোল পড়ে গেল। সানি চোখ পাকিয়ে তাকালো রকির দিকে। আসলেই মানুষ সত্যিই বলে, ঘরের শত্রু বিভীষণ। নিজের কাজিন যখন বন্ধু হয়, তখন তার এই অবস্থায় হয়। হলে গেলে আজ রকির বাচ্চারে ঠান্ডা পানিতে চুবায় রাখব। হাড়বজ্জাত একটা পোলা।

বন্ধুমহলের হাসি ঠাট্টা তখনও চলছে। সবার মুখে হাসি লেগে আছে। কিন্তু জিতুর মুখের হাসি উধাও। বিয়ে, কিন্তু তার মন অস্থিরতার ভুগছে। দু’হাত চিবুকে ঠেকিয়ে বসে আছে। আচমকাই আগমন হল নুবাহর। ক্যান্টিনে এসেছে সদ্য হওয়া বন্ধু তাসনিহাকে নিয়ে। জিতুর কি হল জানা নেই। অস্থির মন নিমেষেই শীতল হয়ে গেল। তার চোখ জোড়ায় শীতল পরশ ছুঁয়ে গেল যেন। জিতুর অপলক দৃষ্টি নুবাহতে নিবদ্ধ।

সানি নুবাহকে দেখে ডাক দিয়ে উঠল,

‘আরে নিশিরাত বাঁকা চাঁদ
ঘুমাওনি কাল রাতে।
চোখের নিচে কালো দাগ
পড়েছে কোন সাধে।’

নুবাহ সানির কথায় তব্দা খেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সত্যিই তার চোখের নিচে কালো দাগ পড়েছে। রাতে সত্যি সে ঘুমায় নাই। সান ভাই কি তবে বুঝে গেছে? সে চিন্তায় পড়ে গেল। আনমনে নিজের চোখের নিচে একটা হাত দিয়ে বলল,

‘আসলে, বিতর্কের স্ক্রিপ্ট লিখার জন্য কালকে একটু জেগে ছিলাম।’

সানি হেসে উঠল। ‘আরে এমনিই মজা করছিলাম।’

চিন্ময়, জিমানের দৃষ্টি জিতুর দিকে। কিন্তু জিতু সামনে রাখা ষ্টীলের গ্লাসে নুবাহকে দেখে যাচ্ছে। অস্পষ্ট মুখ, তাও নিজের অস্থির মনকে শীতল করছে। হৃদকম্পন হচ্ছে তীব্রভাবে। কেন এমন হচ্ছে তার, শুধুমাত্র একটা নামের মিলের জন্য। দৃষ্টিতে তার অসহায়ত্ব। নিছকই মরিচিকা, এ তার নুহাহ নয়, না হতে পারবে। তার নুহাহ তো কবেই তার থেকে হারিয়ে গেছে। আনমনে দু’চোখে জল জমল। সে চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়ল। সতেজ বাতাস লাগবে, দমবন্ধ হয়ে আসছে তার। দ্রুতই সে ছুটল বাইরের দিকে।

বন্ধুমহলের সবাই হতবাক। জিতু এভাবে উঠে গেল কেন? হঠাৎই কি হল তার? নুবাহ হতবাক হল বেশ, মন তার সন্দিহান। জিতু তাকে এত ঘৃণা কেন করে। তাকে দেখেই হয়তো এভাবে উঠে গেছে। লোকটা কি তার সত্যিই জানে, সে আসলে কেমন? আনমনে তার বক্ষস্থল ভারী হল। দু’চোখ ছলছল। সেও আর কিছু না বলে ক্যান্টিন থেকে বেরিয়ে এল। কেন এত কষ্ট হচ্ছে, জানা নেই তার।
তাসনিহা অবাক হল নুবার আচরণে। বার বার জিজ্ঞেস করল, ‘কেনো বেরিয়ে যাচ্ছি আমরা? কিছু খাব না।’
নুবাহ একবাক্যে বলে উঠল, ‘নাহ, খেতে ইচ্ছে করছে না, বাসায় চলে যাব।’

কিছুদূর আসতেই একটা দৃশ্য দেখে থমকাল নুবাহ। দৃশ্য’টা নতুন নয়, এর আগেও দেখেছে। কিন্তু আজ তার মনে বেশ দাগ কেটেছে। জিতু ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে। মিউমি নিজের হাতে তাকে ফুলের তোড়া উপহার দিচ্ছে। সেই ফুল সাদরে গ্রহণ করছে জিতু। হাতে নিয়ে উল্টো পালটে দেখল কিছু সময়। তারপর মিউমির দিকে তাকিয়ে কিছু একটা বলছে। দু’জন হাঁটতে হাঁটতে কথা বলছে। তারপর কিছুদূর গিয়ে বেঞ্চিতে বসল। জিতু একধ্যানে মিউমির কথা শুনছে। মিউমি মাঝে মাঝে হেসে উঠছে।

নুবাহ আর দাঁড়ালো না। তাসনিহাকে বলল, ‘তুমি বাসে উঠবে। আমি চলে যাব বাসায়। আমার ভালো লাগছে না।’
তাসনিহা অবাক হল। ‘নুবাহ তোমার হঠাৎ করে কি হল বল তো? একটু আগেও তো ভালো ছিলে।’

নুবাহ জবাব দিল না। দ্রুতই বাসে উঠল। সে মাঝের এক সিটে বসল। তার পিছু পিছু জাকী এসে তার পাশের সিটে বসল। নুবাহ প্রথমে খেয়াল করে নি। পরে দেখল জাকী তার পাশের সিটে। ভয়ে আৎকে উঠলো। নিজমনে দোয়া পড়লো। খাল কেটে কুমির এনেছে সে। এই জাকীর পিছু ছাড়াবে কিভাবে সে? তার আশেপাশে পরিচিত কেউ নেই। তাসনিহাও অন্য বাসে যাবে, নয়তো এখন সে থাকতো তার পাশে। বাস ছাড়ার সময় হয়ে গেছে। আর কিছু ছাত্র-ছাত্রী উঠলেই বাস ছেড়ে দিবে। বাস ছাড়ার ঠিক আগ মুহূর্তে জুঁই উঠল বাসে। সে এসেই নুবাহর পাশে বসল। জুঁইয়ের পর হুড়মুড় করে পুরো বন্ধুমহলও হাজির। নুবাহ বিস্মিত হল। সবগুলো একসঙ্গে বাসে। এতগুলো সিট তো খালি নেই। সামনে তাকিয়ে দেখল জিতু, জিমান, চিন্ময়, সানি, রকি, মুবিন দাঁড়িয়ে আছে। জিতুর হাতে সেই ফুলের তোড়া, সাথে সুন্দরী মেয়েটাও দাঁড়ানো। নুবাহ আর সেদিকে তাকাল না। নিজের দৃষ্টি জানালার বাইরে রাখল। হঠাৎই এক দোকানের নামের উপর দৃষ্টি গেল। ‘ইমদাদ কনফেশনারী’। আজকাল সে ইমদাদ নামটা দেখতে পায় যেখানে সেখানে। শুধু নামের মালিককে খুঁজে পায় না। হয়তো আর কোনদিন খুঁজেও পাবে না আর। ইমদাদ হারিয়ে গেছে চিরদিনের জন্য তার থেকে। ধ্যানমগ্ন সে। আচমকাই তার চোখ পড়লো জিতুর দিকে। এক সেকেন্ড থেকেও কম সময় ছিল তার মাত্রা। কিন্তু সেই দৃষ্টিতে কি ছিল বুঝতে পারেনি সে। কেমন অদ্ভুত চাউনি। সে আর মাথা তুলে তাকালো না। নিচু করে রেখেছে। সময় কিভাবে কাটল বুঝলই না। সে নামতে চাইলে জুঁই নামতে দিল না। হাত মুষ্টিবদ্ধ করে রাখল। নুবাহ ফের অবাক হল। জিজ্ঞেস করার আগেই বলল,

‘আজকে বন্ধুমহলে দুই কাজিন ট্রিট দিবে। দু’জনের বিয়ের ট্রিট। চল আজ তুমিও আমাদের সাথে খাবে। নুবাহ আমতা আমতা করল,

‘আমি কেন আপু?’

জুঁই বলল, ‘তুমি আমার পক্ষ থেকে খাবে। আমার ছোট বোন হিসেবে।’

নুবাহ ফের না বললেও জুঁইয়ের কাছে হার মানতে বাধ্য হল। অবশেষে রাজি হল।

বিশাল সুপারমল। বন্ধুমহলের পুরো দল ভেতরে প্রবেশ করছে। নুবাহ জুঁইয়ের পিছু পিছু হাঁটছে। এত বড় সুপারমলে কেন আসল বুঝল না। তাই ক্ষীণস্বরে বলল, ‘আপু সুপার মলে কেন আসছেন?’

জুঁই নুবাহর হাত চেপে লিপটের ভেতর প্রবেশ করল। বন্ধুমহলের সবাই একসাথেই আছে। জিতু লিপটের গ্লাসে নুবাহকে দেখছে। মেয়েটা কেমন জড়সড় হয়ে আছে। ভয়ে নাকি অন্যকিছু কে জানে। বেশি ভাবলো না আর। একজন গ্লাসে মুখ করে দাঁড়ানো। অন্যজন মাথা নিচু করে রেখেছে।

চার তলার পুরো ভবন জুড়ে বিশাল রেস্তোরাঁ। বন্ধুমহলের পুরো দল গিয়ে বসল কর্ণারের এক টেবিল দখল করে। নুবাহ ধীর কদমে গিয়ে জুঁইয়ের পাশে বসল। তাকে যা খাবার দেয়া হল, লজ্জায় গিলতেও পারছে না। অথচ পেটের ভিতর খিদে তার। চোখ তুলে তাকানোর সাহস’টাও নেই। চিন্ময় খাবারের মাঝে হুট করে বলে উঠল,

‘তবে আমার ভাবতে অবাক লাগে, জিমান তুই বলেছিলি জিতুর বউয়ের বান্ধুবী বিয়ে করবি। দু’জন ছোটকালের বন্ধু, কাজিন, সহপাঠী ছিলি তাই বিয়ের সময় দুই বান্ধুবীকে বিয়ে করে ভায়রা ভাই হবি। তারপর আবার নিজেদের ছেলেমেয়ে বিয়ে দিয়ে ভায়রা থেকে বেয়াই হবি। এখন কি হল, দু’জনেই আলাদা আলাদা মেয়ে বিয়ে করছিস। কোথায় ভায়রা হলি, আর কোথায় বেয়াই।’

জিমান রগড় গলায় বলল, ‘ভায়রা না হলে কি হয়েছে, এখনো চান্স আছে। বেয়াই তো হওয়া যাবে। জিতুর মেয়েকে আমার ছেলের বউ বানামু। তাহলে তো হয়ে যাবে।’

সানি হুট করে বলল, ‘জিতুর যদি মেয়ে না হয়ে ছেলে হয়। আবার তোরও মেয়ে হল না, তখন।’

সবার মধ্যে হাসির রোল পড়ে গেল। কিন্তু জিতু নিশ্চুপ। নুবাহ খাবার খেতে গিয়ে বিষম খেল। কি সব বলছে এরা। সে লজ্জায় আড়ষ্ট হল।

রকি হতাশার সুর তুললো।
‘জিতু জিমান আজ সিঙ্গেল, পরের বছর দু’জনেই বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে আমাদের সামনে হাজির হবে, ভাবা যায়। এরাও একদিন বাপ হবে। আর আমরা শুধু দেখে যাবো। বউ তো আমাদের কপালে নাই।’

সানি সুযোগ পেয়ে টিপ্পনী মারল,
‘ইডেন আপুকে মেসেঞ্জারে কতবার কবুল বলে বিয়ে করলি, দেখলাম বাচ্চা কাচ্চার নামও রাখলি। সেই বাচ্চাগুলো কোথায় তোর রকষ্টার?

রকি তব্দা খেয়ে গেল। নিশ্চিত এই শয়তান তার মেসেঞ্জার চেক করছে। দাঁত কিড়মিড়িয়ে বলল, ‘তুই আমার মেসেঞ্জার চেক করসছ। তোরে আজকে খাইছি।’

মুবিন গম্ভীর স্বরে বলল,
‘তোরা দু’জন ভালো হবি না। দেখছিস আমাদের সাথে একজন অতিথি আছে। তোদের লজ্জা শরম একদমই নাই। বেয়াদব কতগুলো।’

সানি রকি একসাথে বলে উঠল, ‘কোন অতিথি?’

মুবিন ইশারায় নুবাহকে দেখালো। সানি পাত্তা দিল না। এটা তো তাদের নিজেদের পরিচিত। সবাই নিজেদের মত খেয়ে বাইরে গেল। নুবাহ তখনও বসে আছে। জুঁইয়ের সাথে বেরিয়ে এল। তৃতীয় তলায় আসতে জুঁই নুবাহকে নিয়ে লেডিস শো-রুম ঘুরে ঘুরে দেখাচ্ছিল। জুঁই কিছু কেনাকাটা করছিল। সহসাই তার চোখ পড়ল নেমপ্লেটে। বড় বড় অক্ষরে লিখা একটা রুমের দরজায়।

‘ইয়াফি ইমদাদ’
‘সিও অফ লেডিস ডিপার্টমেন্ট।’

নুবাহর চোখ জোড়া বিস্মিত। বার’কয়েক আওড়ালো। ইমদাদ, কে এই ইয়াফি ইমদাদ?

চলবে,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here