#হিয়ার_মাঝে ২১.
#মেঘা_সুবাশ্রী ®️
বড় বড় অক্ষরে লিখা ম্যাথ ডিপার্টমেন্ট। তার নিচে অফিস রুমের সামনে দাঁড়াল নুবাহ। বেশ কিছুক্ষণ পায়চারী করল। ইস্ততঃবোধ করছে, কিভাবে জিজ্ঞেস করবে? একজন মধ্যবয়সী অফিস দপ্তরিকে পেয়ে তার কাছে গিয়ে দাঁড়াল। ধীর গলায় বলে উঠল,
‘আসসালামু আলাইকুম, চাচাজান। একটা সাহায্যে করতে পারবেন।’
দপ্তরি নুবাহর দিকে সরু চোখে তাকাল। কিঞ্চিৎ ভ্রুদ্বয় কুঁচকানো। ‘কি সাহায্যে দরকার তোমার?’
নুবাহ চটজলদি তার জবাব দিল।
‘আসলে ২০২৩ এর চতুর্থ বর্ষ থেকে ফাইনাল পরীক্ষা দিয়েছে। নাম ইমদাদ। তার কাগজপত্র উঠাতে চাই। দেয়া যাবে কি?’
দপ্তরি ভাবনায় পড়ে গেলেন। কপাল চুলকে বলল, ‘এখন তো দুপুরের খাবারের সময়। অফিস সহকারী যারা ছিল, তারা খাবার খেতে বাইরে গেছে। হেরা আসুক। তুমি কিছুক্ষণ অপেক্ষা কর। ঠিক আছে, মা।’
নুবাহ কিঞ্চিৎ মাথা নাড়ালো। আচ্ছা, বলে পাশে রাখা বেঞ্চিতে গিয়ে বসল। কিছুটা ভয়ে আছে। কোন ফাঁকে আবার নিরব এসে হাজির হয়ে যায়। অসহ্য একটা। সারাটা ক্লাস ওকে জ্বালিয়ে মেরেছে। এত বকবক করতে পারে। ছেলে মানুষ এত কথা বলে এই প্রথম দেখল। ভালোই ফ্যাসাদে পড়েছে সে। নিজের দৃষ্টি মেঝেতে নিবদ্ধ। হিজাবের আদলে মুখ আবৃত। তার মাঝ দিয়েই তপ্ত শ্বাস ছাড়ল। সহসাই চোখ পড়ল, মেঝের ধুলাবালিতে অবহেলায় পড়ে থাকা হাজিরা খাতার দিকে। তড়িৎ উঠল সে। স্পষ্ট অক্ষরে লিখা ম্যাথ চতুর্থ বর্ষ। দ্রুতই হাজিরা খাতা উঠিয়ে নিল। নিজের ব্যাগ থেকে একটা টিসু নিয়ে আগে হাজিরা খাতা পরিষ্কার করল। ধীরে ধীরে প্রতি পাতায় চোখ বুলালো। শত শত ছাত্র-ছাত্রীর ভিড়ে ইমদাদ নামটা খুঁজে যাচ্ছে একধ্যানে। পুরো ধ্যানমগ্ন সে।
ক্লান্তকিষ্ট আর ঘমার্ক্ত শরীর। শীতের মিষ্টি রোদ তার কাছে এই মুহূর্তে বেশ অসহনীয় লাগছে। মাত্রই কোচিং থেকে ফিরেছে সে। কোচিং-এর জন্য নিয়মিত ক্লাস করা হয় না মুবিনের। মধ্যবিত্ত ঘরের ছা-পোষা ছেলে। তাই তো পড়ালেখার পাশাপাশি নিজের খরচ আবার বোনদের খরচ সব বহন করতে হয়। মাথার উপর ছায়া হিসেবে বাবা নামক মানুষ’টা যে তার বেঁচে নেই। বন্ধুমহল আছে বলেই সে আজও এই যান্ত্রিক শহরে টিকে আছে। নয়তো কবে তার ইতি ঘটতো।
আসার সময় বন্ধুমহলের সবার সাথে তার দেখা হইনি। বাকি’রা আড্ডা দিচ্ছে মিলনায়তনের সামনে। সে ম্যাথ বিভাগে এসেছে তার স্টুডেন্ট এর ভর্তির জন্য কিছু কাগজপত্র জমা দিতে। আসার সময় সানিকে নিয়ে এসেছে। দু’জনেই অফিস রুমে প্রবেশ করবে মাত্র। অফিস রুমে তাকিয়ে দেখে অফিস রুম পুরো ফাঁকা। তাই দুজনেই বাইরে রাখা বেঞ্চিতে গিয়ে বসল। মুবিন বসতেই চোখ পড়ল তার থেকে কয়েক গজ দূরত্বে রাখা অফিসের ধুলাবালি মাখানো কাগজের স্তূপের দিকে। কিন্তু সহসাই চমকে উঠল একটা মেয়ের অবয়ব দেখে। মেয়েটা কিছু একটা দেখছে নিবিষ্ট ধ্যানে। একবার ভাবল জিজ্ঞেস করবে। আবার বাদ দিল। থাক, তার ব্যক্তিগত বিষয়। তার পাশে থাকা সানির আচম্বিত চোখ পড়ল নুবাহর দিকে। আচমকাই নুবাহকে দেখে চেঁচিয়ে উঠল,
‘তুমি নিশিরাত না। এখানে কি কর?’
নুবাহ বেশ চমকাল। এমন বাক্যে সহসাই আসবে কস্মিনকালেও ভাবে নি। ঘাড় ঘুরাতেই সানিকে দেখল। কিন্তু তার পাশে বসা মুবিনকে চিনল না। সে থতমত খেয়ে উঠে পড়ল। সানি নুবাহর সামনে এসে দাঁড়াল। কিঞ্চিৎ অবাক হয়ে বলল, ‘কি খুঁজো, জরুরি কিছু।’
দ্বিধান্বিত হল নুবাহ। ইমদাদের কথা বলবে। বললে হয়তো তাকে সাহায্যে করতে পারবে। কিন্তু তার বন্ধুমহলের সবাই যদি জেনে যায়। তাহলে তো সবাই তার মজা উড়াবে। একজন তো তার নাম কালরাত রেখে দিয়েছে। ভাবনায় মগ্ন হল সে। সানির জবাব দিল বেশ ধীর গলায়, ‘আসলে আমার বান্ধুবীর রোল নাম্বার খুঁজছিলাম।’
সানি পড়ে থাকা হাজিরা খাতার দিকে তাকালো। কিছুটা অবাক হল। পড়ে থাকা বইটা চতুর্থ বর্ষের হাজিরা খাতা। ব্যগ্রকন্ঠে বলল, ‘তোমার বান্ধুবী কি চতুর্থ বর্ষে পড়ে।’
নুবাহ আৎকে উঠল ধরা পড়ার ভয়ে। কিঞ্চিৎ হেসে উঠে বলল, ‘এজন্যই তো বলি, আমার বান্ধুবীর নাম কেন খুঁজে পাচ্ছি না। আমি ভুলে চতুর্থ বর্ষের হাজিরা খাতা দেখছিলাম। সর্যিই, আসলে খেয়াল করি নি।’
সানিও কিঞ্চিৎ হাসল। হুট করে বলে উঠল,
‘তোমার বান্ধুবীর রোল নাম্বার তারে জিগাইলে হয়। এত কষ্ট করতেছো ক্যান?’
‘না আসলে হয়েছি, ও আমার কাছে রোল নাম্বার গোপন করে রেখেছে। তাই আমি লুকিয়ে ওর রোল নাম্বার দেখছিলাম। আচ্ছা, ভাইয়া, আসছি এখন। দেরি হয়ে যাচ্ছে। আবার বাস মিস হয়ে যাবে।’
নুবাহ নিজের পায়ের গতি বাড়িয়ে বের হয়ে গেল। পিছনে সানি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মুবিন তার কাঁধে হাত রেখে বলল, ‘তুই মেয়েটাকে চিনিস?’
সানি নিজের মাথা নাড়াল। ‘হু, চিনি তো। আমাদের বিভাগের, ১ম বর্ষের।
মুবিন কিছু জিজ্ঞেস করল না আর। আবার আগের মত চুপচাপ গিয়ে বেঞ্চিতে বসল।
____
নুবাহ দ্রুত বেগে ছুটছে। কিন্তু কিছুদূর আসতে থমকে দাঁড়াল নিরবকে দেখে। এখন তাকে দেখলে পিছু নেবে। বকবক করে তার কানের পোকা খাবে। তাই গাছের আড়াল হয়ে দাঁড়াল।
নিরব বাসের সামনে দাঁড়ানো। বার বার ঘড়িতে সময় দেখছে। এদিক ওদিক কয়েকবার তাকালো। নিভৃতে নুবাহকে খুঁজে যাচ্ছে। এই মেয়ে আচমকাই কোথায় গায়েব হল। খুঁজে না পেয়ে অবশেষে বাসে উঠে বসল।
নিরব বাসে উঠতেই নুবাহ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল। গাছের আড়াল থেকে তড়িঘড়ি বের হল। কিন্তু বের হতেই চোখ পড়ল সামনের গাছের গুঁড়ির দিকে। সেখানে বসে আছে জিতু। তার ভাষ্যমতে, এই ছেলে প্রচুর অহংকারী। দেখতেই শুধু সুদর্শন। গৌরবর্ণের বেশ লম্বা চওড়া বলিষ্ঠ গড়ন, লম্বাটে মুখ। তবে মুখ ভর্তি খোঁচা খোঁচা দাড়ি, নির্ঘাত সেভ করে নি অনেকদিন। মাথার চুলও কেমন উষ্কখুষ্ক। চুলের যত্নও নেয় না। জেল-তেল ব্যবহার করলেই তো পারে। তাহলে হয়তো একটু সুদর্শনের পাশাপাশি মানুষও লাগত। টাকা পয়সা নেই নাকি। কিন্তু দেখতে তো গরীব মনে হয় না। তবে সুদর্শন হলেও ঐ চিন্ময়ের চেয়ে অনেক কম। তার উপর চিন্ময় এই ছেলের মত অত অহংকারীও নয়। সে নিজমনে অজস্র ট্যাগ দিল জিতুকে। অথচ জিতু ভাবলেশহীন। পাশে মানুষ আছে না নেই তার জানা নেই। গাছের গুঁড়ির নিচে বসে আছে নিবিষ্ট মনে। মোবাইল ফোনে দৃষ্টি নিবদ্ধ তার। নুবাহ তাকে দেখে মনে মনে ভেংচি কাটল, ‘উড়নচণ্ডী।’
নুবাহ সামনের দিকে তার কদম বাড়াতেই জিতু তার মাথা তুলল। সন্দিহান দৃষ্টি দিল নুবাহর দিকে। কলেজ ভার্সিটিতে ছাত্র-ছাত্রী পড়তে আসে জানে। কিন্তু বনজঙ্গলে ঘুরে বেড়ানো গাছের পেছনে লুকিয়ে থাকা বনবিড়াল কোত্থেকে আসল। এই কালরাত আবার ভুত্নী নয়তো। ইয়া মাবূদ। সে চিন্ময়কে কল দিল। চিন্ময় রিসিভ করতেই জিতু বলে উঠল,
‘হিরো, একটা মজার ঘটনা শুনবি।’
চিন্ময়ের মধ্যে কোন উচ্ছ্বাস দেখা গেল না। তার গলার স্বর কাঁপছে। ভেজানো গলায় বলল, ‘একটু আসবি, তোর সাথে কিছু কথা আছে।’
জিতু যা বুঝার বুঝে নিল। দ্রুতই ছুটল তার বন্ধুর কাছে।
____
নুবাহ বাসে উঠে নিজ ভাবনায় নিমগ্ন। যে লক্ষ্য নিয়ে এসেছে, আদৌ তা পূরণ হবে তো তার। কি হবে তার, যদি ইমদাদকে খুঁজে না পায়। ফোৎ করে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে। রুবিকে কল দিল। কিন্তু কল রিসিভ হল না। মনটা বেশ খারাপ। বাসের সিটে হেলান দিয়ে শুয়ে আছে। মাঝে মাঝে দু’চোখ মুদে যায় আপনা আপনি। আবার মেলে তাকায় বাইরের দিকে। ঢাকা শহরের তীব্র যানজটে হাসফাস করছে সবাই। প্রতি মিনিটে বাস দাঁড়িয়ে পড়ে। এত যানজট, দশ মিনিটের রাস্তা যেতে সময় লাগে একঘন্টা। সময় যেনও ফুরায় না তার। বাস দাঁড়িয়ে আছে। সামনে বিশাল জ্যাম। সে নেমে পড়ল। বাকিটা পথ রিকশায় যাবে।
রিকশা খুঁজতে সে রাস্তার একপাশে দাঁড়াল। কিন্তু তার দু’চোখ আটকে গেল একটা দৃশ্য দেখে। মধ্যবয়সী এক সুদর্শন পুরুষ লোক, যার সাথে বিবাদে লিপ্ত চিন্ময়। তার থেকে কিঞ্চিৎ দূরে দাঁড়ানো জিতু, জিমান দু’জনেই।
নুবাহ অবাক হল। মধ্যবয়সী লোকের সাথে চিন্ময় এভাবে রুক্ষভাষায় কথা বলছে, অথচ পাশে বসা এরা কেমন বন্ধু? না নিষেধ করছে, না বাধা দিচ্ছে। সে এগিয়ে গেল। এমন আচরণ একদমই পছন্দ নয় তার। সে সামনে যেতেই বুঝল, লোকটা চিন্ময়ের বাবা। হয়তো ব্যক্তিগত কোন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। তাই আর এত ঘাঁটল না। পুনরায় ফিরে যেতে চাইল। কিন্তু হুট করে তার সামনে জিতু এসে দাঁড়ালো। রক্তিম অক্ষিযুগল। গলার স্বরও কেমন রুষ্ট।
‘এই যে মিস কালরাত, এখানে আপনার কি কাজ? গোয়েন্দাগিরি করছেন আমাদের পেছনে। তা উদ্দেশ্য’টা কি, জানতে পারি?’
নুবাহ যেন আকাশ থেকে পড়ল। সে তো এমনেই এসেছে। এই ছেলের মুখে জন্মের সময় মধু দেয় নাই নির্ঘাত। নয়তো কথাগুলো এত ঝাঁঝালো হত না, একটু মিষ্টি হত। কেমন ত্যাড়া ত্যাড়া কথা বলে। সুন্দর করে কথা বলতে জানে না বোধহয়। নুবাহর নিশ্চুপতায় জিতুর রাগ থরথর করে বাড়ল। ফের বলে উঠল,
‘শোন কালরাত, মেয়ে বলে তোমায় ছেড়ে দেব, এটা স্বপ্নেও ভেবো না।’
নুবাহর চোয়ালদ্বয় শক্ত হয়ে গেল মুহূর্তে। সেও তিরিক্ষি গলায় জবাব দিল, ‘আজব তো, আমি করিছি টা কি? আগে এটা বলবেন তো।’
‘এখানে কেন এসেছো?’
নুবাহ চারপাশে চোখ বুলালো। ফের বলে উঠল, ‘এখানে কোথাও লেখা আছে, এই জায়গায় জনসাধারণের প্রবেশ নিষেধ। যদি লিখা থাকত, তাহলে কখনই আসতাম না।’
জিতু আবার উত্তপ্ত বাক্যে ছুঁড়ার আগে জিমান তাকে আটকালো। জিমান তাকে শান্ত হতে বলল। তারপর নুবাহকে উদ্দেশ্য করে বলল,
‘কালরাত, অহহ, সর্যিই আসলে মুখ থেকে বের হয়ে গেছে। নিশাত, এখন যেহেতু তুমি দেখেছো তাই তোমাকে কিছু সত্যি কথা বলি। মনোযোগ দিয়ে শোন। তবে কারো সাথে শেয়ার করো না এ ব্যাপারগুলো। তাহলে চিন্ময়ের সমস্যা হবে। যাকে দেখছো চিন্ময়ের সাথে, সে হচ্ছে তার বাবা। আসলে তার মা’ স্বাভাবিক নয়, মানসিক প্রতিবন্ধি। তাই চিন্ময়ের জন্মের কিছুদিন পর ওর বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে। তার মা’কে তখন নানাভাবে নির্যাতন করত তার বাবা। এই কথা তার মামা জানার পর তার মাকে একবারের জন্য নিজের বাড়ি নিয়ে আসে। সেই ছোট্ট থেকেই চিন্ময় মামাবাড়িতে থাকে। তার বাবা মায়ের আজও ডিভোর্স হইনি। কিন্তু তারা দীর্ঘবছর আলাদা একে অপর থেকে। তার বাবার দ্বিতীয় সংসারে কোনো ছেলে নেই, শুধু দু’মেয়ে। এত বছর তার বাবার কোনো খোঁজ ছিল না। কিন্তু এখন হুট করে এসে নিজের ছেলেকে নিয়ে যেতে চায়। চিন্ময়ের মামা ঢাকা সেন্টাল থানার ওসি। তিনি চিন্ময়ের সাথে নিজের মেয়ের বিয়ে ঠিক করে রেখেছেন।
বিয়ে হলে চিন্ময় পুরোপুরি তার মামার আয়ত্তে থাকবে। এজন্যই তার বাবা তাকে নিতে এত জোর জবরদস্তি করছে। কারণ তিনি চান না, চিন্ময় তার মামার মেয়েকে বিয়ে করুক। তিনি নিজের বন্ধুর মেয়ের সাথে বিয়ে দিবেন। প্রয়োজনে তার সমস্ত সম্পত্তি দিয়ে দিবেন। তবু চিন্ময়কে নিয়ে যেতে চান। কিন্তু চিন্ময় যেতে অপরাগ তার সাথে। কারণ তার শৈশব, কৈশোর কেটেছে বাবাহীন। যখন তার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল। অথচ সেই সময় ছিল তার দুঃস্বপ্নের মত। তার মামা যদি এসব বিষয় জানে অনেক ঝামেলা বেঁধে যাবে।
তাই বলছি কি নিশাত, তুমি কলেজে কিংবা আমাদের বন্ধুদের কারো সাথেও শেয়ার করো না, প্লিজ। আসলে চিন্ময়কে বাইরে থেকে দেখলে বোঝাই যাই না, তার ভেতরটা যে শূন্য বালুচর। ছেলেটা কষ্ট পুষে রাখে। কারো সাথে শেয়ার করে না। কারো সান্ত্বনাও সে নিতে পারে না। তাই আমরা চুপচাপ দেখি।’
নুবাহ নিস্তব্ধ। সত্যি তো, সব মানুষকে বাইরে থেকে কেমন সুখী মনে হয়। কিন্তু ভেতর’টা হয় অন্যরকম।
চলবে,,,,