#হিয়ার_মাঝে ২৬.
#মেঘা_সুবাশ্রী ®️
তিরিক্ষি মেজাজে বসে আছে নুবাহ। ক্লাসে এসেছে প্রায় ত্রিশ মিনিশ। এখনো জিতুর বলা সেই বাক্যেই মাথায় ঘুরছে, গ্রিডি গার্ল। আনমনে জিতুকে শ’খানেক গালি ছুঁড়ল। নিজের অস্থির মনকে বুঝানোর জন্য। ক্লাসে টিচার আছে। তিনি লেকচার দিচ্ছেন। কিন্তু তার মনোযোগ নেই। তার থেকে কিঞ্চিৎ দূরে নিরব। তার দু’চোখে চরম অসহায়ত্ব। নুবাহকে আঁড়চোখে মাঝে মাঝে দেখছে। কিছুসময় এভাবেই অতিক্রান্ত হল। সহসাই একজন দপ্তরি আসলেন একটা পেপার হাতে। লেকচারার কাগজখানা হাতে নিলেন। সবার উদ্দেশ্য বলে উঠলেন,
‘তোমাদের দু’দিন পর নবীন বরণ অনুষ্ঠান হবে। সবাইকে আমন্ত্রণ উপস্থিত থাকার জন্য।’
দ্বিতীয় একটা নোটিশ ছিল দপ্তরিক হাতে। সেটা নিয়েও পড়ে শুনালেন।
‘যারা তিতুমীর কলেজের বিভিন্ন সংগঠনে যোগদান করতে চান, তারা দ্রুতই যোগাযোগ করে নিবেন। ইতিমধ্যে বিতর্ক ক্লাবে যারা যোগদান করেছেন, তাদের ডাকা হচ্ছে। আপনারা আমার ক্লাস শেষে বিতর্ক ক্লাবে যোগদানের জন্য অনুরোধ করা হল।’
নুবাহ ভাবনায় পড়ল। আজকে যদি সে ভালো করতে পারে তাহলেই সিলেক্ট হবে। নিজমনে প্রস্তুতি নিল। ক্লাস শেষে বেরুলো বিতর্ক ক্লাবের উদ্দেশ্যে। নিরব তার পাশাপাশি হাঁটছে। ভয়ে কথা বলছে না, নুবাহ আবার কি না কি বলে। দু’জনেই এক সাথে বিতর্ক ক্লাবে প্রবেশ করল। ছাত্র-ছাত্রীতে ভরপুর ক্লাসরুম। সিলেকশনের জন্য আজকে বিচারকের একটা প্যানেল বসেছে। বিতর্কে অংশগ্রহণ করা সকল শিক্ষার্থীকে একটা স্ক্রিপ্ট দেয়া হয়েছে আগেই। তার উপর ভিত্তি করেই প্রত্যেকে নিজ বক্তব্য পেশ করবে।
সামনের বেঞ্চিতে বসা সকল ছাত্র-ছাত্রী। একে একে সকলকে ডাকা হচ্ছে। প্রায় ত্রিশ মিনিট পর ডাকা হল।
‘নিশাত নুবাহ।’
সিলেকশন প্যানেলের একজন সদস্য জিতু। নামটাও সেই ডেকেছে। নিজমনে বার’কয়েক আওড়ালো। নিশাত নুবাহ। নুবাহর মাঝের ব’ বাদ দিয়ে হ’ দিলে হয়ে যায় নুহাহ। তার নুহাহ, তার বোকাপাখি। সহসাই সেই নামের ব্যক্তিকে দেখার জন্য ব্যাকুল হল তার মন। কিন্তু চোখের সামনে কালো হিজাবে আবৃত হলদেটে বর্ণের গোলগাল এক মুখশ্রী দেখে থমকাল। এই মেয়ে’টা কে? এক মুহুর্তের জন্য হা’ হয়ে ছিল। কিছুসময় তাকানোর পর বুঝল এটা অন্য আর কেউ নয়, এটা মিস কালরাত। মেয়েটার মুখ সে আজ প্রথমবার দেখল। মায়াময় এক শান্ত মুখশ্রী, যেন স্নিগ্ধ এক অবুঝ বালিকা। আচ্ছা, তার বোকা পাখিও দেখতে নুবাহর মত মায়াবী ছিল। তার দিকে তাকালেও কি এমন ভালো লাগা কাজ করে। কিন্তু কালরাত দেখতে যতটা মায়াময়, তার আচরণ তার চেয়েও বেশি ঔদ্ধত্যপূর্ণ। সে নিজের দৃষ্টি দ্রুতই নামিয়ে নিল। অথচ চোখ জোড়া আঁড়চোখে নুবাহকেই দেখছে।
নুবাহও মঞ্চে উঠে বেশ চমকালো। শেষে কি’না এই জিতুর ডিমের সামনে তাকে বক্তব্য পেশ করতে হবে। কিন্তু নিজমনে বেশ সাহস সঞ্চার করল। পারবি নুবাহ, তোকে পারতেই হবে। জিতুর ডিমকে পাত্তা না দিলেই হল। স্ক্রিপ্ট হাতে মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড়াল। বিচারপতির আসনে তাদের অধ্যাপক। সে শুরুতেই সালাম দিল।
‘আসসালামু আলাইকুম। শুরুতেই মাননীয় সভাপতি, বিচারক মন্ডলী ও উপস্থিত সকল দর্শক শ্রোতাদের জানায় অভিবাদন ও শুভেচ্ছা। আজকের বির্তকের বিষয়, একমাত্র মেধা ও শ্রম দ্বারাই একটা দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন সম্ভব। তার পক্ষের বক্তা হিসেবে আমি নিশাত নুবাহ আমার বক্তব্য পেশ করছি।’
বক্তব্য চলাকালীন জিতু বার বার আঁড়চোখে নুবাহকে দেখে যাচ্ছে। কেমন যেন অদ্ভুত এক শিহরণ হচ্ছে তার। কেন এভাবে দেখছে তার জানা নেই। অজান্তেই ভালো লাগা কাজ করছে। নুবাহর বক্তব্য শেষ কিন্তু জিতুর দৃষ্টি জোড়া তখনও তার দিকে।
তিন মিনিট ছয় সেকেন্ডের মধ্যে নুবাহ তার বক্তব্য শেষ করে নিজের সিটে গিয়ে পুনরায় বসে পড়ল। জিতুর চোখ জোড়া তখন ব্যাকুল হয়ে পড়ল নুবাহকে দেখার জন্য। খুঁজে খুঁজে শেষে দেখল দ্বিতীয় সারির একদম শেষ বেঞ্চে বসেছে। একটা মেয়ের সাথে কথা বলছে। কিছু একটা হয়েছে তাদের মধ্যে। সহসাই নুবাহ হেসে উঠল। জিতু অজান্তেই বলে উঠল, মেয়েটা এত সুন্দর করে হাসতে পারে। তার বোকা পাখিও কি এভাবেই হাসত। তার হাসি কি এমন মোহনীয় ছিল। আনমনে বক্ষস্থল জুড়ে চিনচিনে ব্যথা অনুভব করল সে। তার বোকা পাখির কথা খুব মনে পড়ল। কিছুসময় পর সবার ফলাফল শোনানো হবে। যাদের সিলেকশন করা হবে তাদের নিয়ে পরবর্তী বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। তাই জিতু উঠতেও পারছে না। অস্থিরতায় নিজের মাথা চেপে রেখেছে। ইচ্ছে করছে সব ফেলে ছুটে যেতে। তার বোকা পাখির মুখটা একবার দেখতে। খুব জানতে ইচ্ছে করছে, সে দেখতে কেমন ছিল?
নুবাহ বসে আছে অনেকক্ষণ। আজকে তার ক্লাসের নতুন এক মেয়ের সাথে পরিচয় হয়েছে। মেয়েটার নাম তাসনিহা। গায়ের রঙ উজ্জ্বল বাদামী। কিন্তু কথাগুলো বেশ মিষ্টি। দু’জন পাশাপাশি বসে দীর্ঘ আলাপ জুড়ে দিল। কথার এক পর্যায়ে তাসনিহা বলল,
‘আমি দোয়া পড়ছি, যেনো জিতু ভাইয়ের অধীনে তার নাম আসে। উনার মনিটরিং কিন্তু বেশ উপভোগ্য।’
নুবাহ কিঞ্চিৎ অবাক হল। জিতুর ডিমের অধীনে পড়তে হবে কেন। সে অন্য কারো অধীনে পড়ুক তাও যেনো তার অধীনে নাম না আসে। নিজমনে দোয়া পড়ল। এর কিছুসময় বাদেই ঘোষণা এল। যারা সিলেক্ট হয়েছে তাদেরকে দলগতভাবে ভাগ করা হবে। জিতু, জিমান, চিন্ময়, মুবিন এদের চারজনকে ভাগ করে দেয়া হয়েছে। সবার নাম কালকে লিষ্ট করে নোটিশ দেয়া হবে। এখন সবাইকে নিজেদের ক্লাসে যেতে বলল। নুবাহ আর তাসনিহা দু’জনেই কথা বলতে বলতে বের হল। জিতুর দৃষ্টি তখনও নুবাহতে নিবদ্ধ। মেয়েটা জাদু জানে নাকি? জিতু নিজেকে সংযত করল। বেহায়ার মত সে মেয়েটাকে দেখে যাচ্ছে।
পাশে থাকা চিন্ময় কিঞ্চিৎ অবাক হল। মুখের কোণে হাসি ঝুলছে,
‘কি’রে তোর ধ্যানজ্ঞান কোথায়? কাগজের মধ্যে নুবাহ নামটা এতবার কেন লিখলি? তুই ওকে পছন্দই করিস না। দেখলেই আক্রোশে ফেটে পড়িস। এখন সিলেকশনের আসনে বসে সব নাম্বার তাকেই দিয়ে দিলি। কাহিনী কি মাম্মা?’
চিন্ময়ের কথা শুনে জিমান, মুবিন দু’জনেই জিতুর কাগজে চোখ বুলালো। জিতু ধরা পরার ভয়ে দ্রুতই নিজের কাগজ মুড়িয়ে নিল। কপট রাগ দেখিয়ে বলল,
‘দেখ হিরো, মাথা খারাপ করিস না। ওর বক্তব্য আমার ভালো লেগেছে তাই তার নাম লিখেছি। এটা নিয়ে এত হাইপার হওয়ার কি আছে বল তো।’
জিমান টিপ্পনী মারল। দু’ঠোঁট উল্টিয়ে বলল,
‘তাই তো? দেখ হিরো, শুধু শুধু জিতুকে সন্দেহ করছিস। সে তার সব নাম্বার নুবাহকে দিয়েছে। সেটা কোন ব্যাপার না। আসলে হয়েছি কি, তার চোখ জোড়া শুধু নুবাহকে দেখেছে। বাকী প্রতিযোগিদের সে দেখেই নি। তো কি হয়েছে। এরকম হয়। ব্যাপার না।’
মুবিনের গম্ভীর কন্ঠস্বর।
‘জিতু হয়তো বুঝতে পারেনি। এমন ভুল হয়, এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। ছাড় দেয় তো।’
কিন্তু চিন্ময়ের দৃষ্টিতে সন্দেহের অবকাশ। জিতুর এমন ভুল, আদৌ স্বাভাবিক। কে জানে। নিছক হতাশার সুর তুলল। স্বাভাবিক ভঙ্গিতে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো। সবার উদ্দেশ্য বলে উঠল,
‘এবার তো ক্যান্টিনে চল, পেটের নাড়িভুঁড়ি’রে কিছু খাইতে দিই। বেচারার খিদা লাগছে।
জিমান, মুবিন চিন্ময়ের সাথে চেয়ার ছেড়ে উঠে বসল। ফাঁকা ক্লাস। তাই চেয়ার ছেড়ে উঠতেই শব্দ হল। জিতু এখনো ঠাঁই বসে আছে। নিজের উপর গালি ছুঁড়লো শ’খানেক। বেকুবের মত কি কাজ করে ফেললো। এখন উঠতে বসতে চিন্ময় তার মজা উড়াবে। বাকি তিনজন দরজার চৌকাঠে দন্ডায়মান। জিমান চেঁচিয়ে উঠল,
‘নুবাহকে নিয়ে ভাবনা শেষ হলে এবার আসতে পারিস। আমরা অপেক্ষা করছি, তোর জন্য।’
জিতু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল। আজ থেকে তাকে কি কি শুনতে হবে কে জানে। মুখশ্রী মূহুর্তে কঠিন করল।
‘দেখ জিম, বাড়াবাড়ি হচ্ছে কিন্তু।’
চিন্ময়ও টিপ্পনী মারল।
‘জিমান ছাড় না ভাই। ভুলে নুহাহ লিখতে গিয়ে নুবাহ লিখে ফেলছে হয়তো।’
চিন্ময় এই কথা বলে জিহ্বায় কামড় বসালো। ভয়ে শুকনো ঢোক গিলল। আঁড়চোখে একবার নজর বুলালো জিতুর উপর। নাহ জিতু শান্ত হয়ে বসে আছে। যাক বাবা, সে বেঁচে গেল। কিন্তু জিমান চোখ রাঙালো। ইশারায় বলল, ‘নুহার নাম কেন নিলি বে,য়াদব।’
জিতু কাগজটা নিজের পকেটে ঢুকালো। যাতে অন্যেদের হাতে না যেতে পারে। এরা সবকটা হাড় বজ্জাত। একটা কিছু পাইলে হইছে, সারাদিন সেটা নিয়ে পড়ে থাকবে। সে নিজেও চেয়ার ছেড়ে উঠল। পিছু পিছু আগালো ক্যান্টিনের উদ্দেশ্য। কিছুদূর আসতেই চোখ পড়ল বিজ্ঞান ভবনের সামনে জাকীর দিকে। ছেলে’টা হন্তদন্ত হয়ে কিছু খুঁজে যাচ্ছে। আনমনে জিতুর বক্ষস্থল কেঁপে উঠলো। নুবাহ সত্যি এই জাকীকে পছন্দ করে। কি দেখে পছন্দ করল এই ভেটকি মাছকে। চরিত্রেরও ঠিক নাই। আসলে বলতে হবে, মেয়েটার পছন্দ নিতান্তই বাজে। নিজমনে বিড়বিড় করল, গর্দভ একটা মেয়ে।
পুরো একটা টেবিল বুক করে বসেছে বন্ধুমহলের নয়জন। সিমি নিজের স্বামী আর জাপানের গল্প করছে।
‘বিয়ের আগে আমার প্রচন্ড রাগ হয়েছিল। যখন আব্বু বলেছিল, ছেলে ইঞ্জিনিয়ার, জাপান থাকে। তখন খুব কেঁদেছিলাম। কিন্তু এখন মনে হয়, আসলে বেষ্ট জিনিসটাই বাবা আমাকে উপহার দিয়েছে। নিজের স্বামী বলে বলছি না। সত্যিই ‘তাহাব’ স্বামী হিসেবে অনেক ভালো।’
ফের তার কন্ঠে আকুলতা। জুঁই আর লরিনের দিকে তাকালো,
‘তোরা দু’জন বিয়ে করছিস কবে?’
লরিন দ্রুতই জবাব দিল, ‘আরে আমি তো বিয়ে করতে চাই, এত পড়াশোনা কার করতে ইচ্ছে করে। ভাল্লাগে না এই জিন্দেগী। সিমির মত আয়েশ করতে চাই। জামাই রোজগার করবে, আর আমি পায়ের উপর পা তুলে খামু।’
লরিনের কথায় হাসির রোল পড়ে গেল তৎক্ষণাৎ।
অন্যদিকে জুঁইয়ের নির্বাক ধূসর দৃষ্টি। মন তার বিষন্ন। মেয়ে হয়েও নিজের পরিবারের ছায়া সে। এক বড়ভাই আছে। তাও ছন্নছাড়া। বিয়ে করে বউ নিয়ে আলাদা এখন। বাবাহীন পরিবারে সেই এখন শেষ ভরসা। মাথার উপর ছাদটুকু বাবা দিয়ে গেছেন। নয়ত এতদিনে রাস্তায় নামতে হত তাদের। মা, এক ছোটবোন নিয়ে তিনজনের টানাপোড়নের সংসার। ঢাকা শহরে সেই ছোটবেলা থেকেই আছে। কিন্তু তার বাবার চিরবিদায়ের পর শুরু হল জীবনের আসল সংগ্রাম। তবে আজ যদি তার পাশে বন্ধুমহল না থাকত, তাহলে কি হত তার অজানা। বন্ধুমহলের সবচেয়ে অসহায় গরীব সে আর মুবিন। চিন্ময়, জিতু, জিমান তারা একসাথে পড়াশোনা করেছে সেই স্কুলজীবন থেকে। জিতু বন্ধুমহলের সবচেয়ে ধনী ছেলে। জিমানের বাবা কর্ণেল। সে নিজেও আর্মি জয়েন করেছে। লেফটেন্যান্ট হিসেবে যোগদান করবে কয়দিন পর। চিন্ময়ের মামা ঢাকা সেন্টাল থানার ওসি। সানি রকি দুই কাজিন ভাই বন্ধু। তাদের যৌথ পরিবার। অভাব অনটন নেই তাদের, টাকা হাতের ময়লা। লরিন শিল্পপতি বাবার মেয়ে। তাই তো পরিবার তাকে আদরে মুড়িয়ে রাখে এখনও। অথচ সে একদিন রোজগার বন্ধ রাখলে তার মা, বোন না খেয়ে মরবে। নিশব্দে দীর্ঘশ্বাস বেরুলো তার।
চিন্ময়ের দু’আঁখি তখন জুঁইয়ের উপর। সে জানে মেয়েটার অনেক কষ্ট। সে যে জুঁইয়ের কষ্টগুলো অনুভব করে। ইচ্ছে করে মেয়ে’টাকে সব কষ্ট থেকে দূরে রাখতে। রানীর মত করে সাজিয়ে রাখতে। কিন্তু,,, তার দু’চোখ ছলছল। অনেক কিছু চাওয়ার থাকলেও পাওয়া যায় না। ভালোবাসা বড্ড অসহায়। সে যে অপরাগ। তাই তো কখনও মুখ ফুটে বলেনি,
‘জুঁই ফুল তোকে আমি রানী করে রাখব, ঐ দু’চোখে কখনো জল গড়াতে দেব না। এই হাদারামকে বিয়ে করবি, জুঁইফুল। আমাকে ভালোবাসার দরকার নেই তোর। আমি তোকে ভালোবেসে মুড়িয়ে রাখব। করবি তো আমাকে বিয়ে।’
বক্ষস্থল ভারী হল। এই শব্দগুলো মনগহীনে ঘুরে বেড়ায় তার সেই স্কুল জীবন থেকে। কিন্তু আজও বলা হয়ে উঠেনি তাকে। হয়তো কখনো বলা হবেও না তাকে।
চলবে,,,,
25 no porbo ta koi?