#অলিখিত_অধ্যায়
#জান্নাতুল_ফারিয়া_প্রত্যাশা
৩২।
নীহাল তৈরি হয়ে বসার ঘরে এল। প্রিয়তাও এল তার সাথে। ভাই বোনকে এমন তৈরি দেখে দিলরুবা বেগম জিজ্ঞেস করলেন,
‘কোথায় যাচ্ছো তোমরা?’
‘আন্টি, থানায় যাওয়া দরকার একবার। এই কেইস কবে শেষ হবে জানা নেই, প্রিয়তার দেশে ফিরার একটা ব্যবস্থা তো করতে হবে।’
‘তা অবশ্য ঠিক বলেছ, ঐ ওয়াদি ধরা পড়া না অবধি এই কেসের কোনো সমাধান হবে না। কিন্তু, তোমরা একা যাবে? ফারজাদকে নিয়ে যাও সাথে।’
‘না না, আন্টি, আমরা যেতে পারব। উনাকে আর কষ্ট দিতে হবে না।’
‘না, কষ্ট কেন হবে? তোমরা দুজনেই নতুন। একা একা যাওয়াটা ঠিক হবে না। ফারজাদকে নিয়ে যাও সাথে। ফারজাদ! এদিকে এসো তো একবার।’
মায়ের ডাকে ঘর থেকে বেরিয়ে এল ফারজাদ। প্রিয়তার ভয় হলো যে, ফারজাদের মন মেজাজ এমনিতেই ভালো নেই, তার উপর এখন যদি আবার তাদের সাথে যাওয়ার কথা শুনে সে আরো বেশি ক্ষেপে যায়? দিলরুবা বেগম ফারজাদকে প্রিয়তাদের সাথে যাওয়ার কথা বললেন। প্রিয়তার ভাবনার বিপরীতে গিয়ে ফারজাদ রাজি হলো সহজেই। নীহালকে অপেক্ষা করতে বলে সে গেল তৈরি হতে।
ফারজাদ তৈরি হয়ে আসতেই তিন জনে একসাথে রওনা দেয়। মৌমি ছুটে দরজার কাছে আসে। জিজ্ঞেস করে,
‘তোমরা সবাই কোথায় যাচ্ছো?’
প্রিয়তা জবাব দিল,
‘থানায় যাচ্ছি।’
মৌমি শুকনো মুখে বলল,
‘ওহ।’
দিলরুবা বেগম বললেন,
‘দুপুরের আগে চলে আসবে কিন্তু।’
‘আচ্ছা, আন্টি।’
বেরিয়ে গেল তিন জন। মৌমি মন খারাপ করে বলল,
‘আমাকেও নিয়ে যেতে পারত।’
দিলরুবা বেগম কপাল কুঁচকে বললেন,
‘তুমি থানায় গিয়ে কী করতে?’
_______
থানার অফিসারের সাথে অনেকক্ষণ আলোচনা করল নীহাল আর ফারজাদ। এখন প্রিয়তা ভিসা পাসপোর্ট না পাওয়া অবধি দেশেও ফিরতে পারছে না সে। এই নিয়ে ভাই বোন দুজনেই দুশ্চিন্তায় আছে খুব। তবে অফিসার তাদের আশ্বস্ত করে বললেন,
‘তাদের একটা গোপন টিম ওয়াদির খোঁজ পেয়ে গিয়েছে, খুব শীঘ্রই তাকে তারা ধরে ফেলবেন। আর তারপরই প্রিয়তার দেশে ফেরার ব্যবস্থা হয়ে যাবে।’
এইটুকু শুনে কিছুটা হলেও মনে বল এল প্রিয়তার। থানা থেকে বেরিয়ে এল তিন জন। নীহাল ফারজাদকে বলল,
‘আপনি বাসায় যান, ফারজাদ। আমি আর প্রিয়তা একটু পর আসছি।’
ফারজাদ বলল,
‘কোনো কাজ আছে? এইদিকটা চিনবেন?’
‘জি জি, সমস্যা হবে না। আমরা ঠিক চিনে যেতে পারব। আর গুগল ম্যাপ তো আছেই।’
ফারজাদ স্মিত হেসে বলল,
‘ঠিক আছে, কাজ শেষে চলে আসবেন। মা খাবার নিয়ে অপেক্ষা করবেন কিন্তু।’
‘আচ্ছা।’
ফারজাদ সামনে দু কদম এগিয়ে গিয়েও ফিরে আসে আবার। প্রিয়তার কাছে এসে বলে,
‘আপনি মুখে মাক্স লাগিয়ে নিন। ওয়াদি এখনো ধরা পড়েনি, ওকে দিয়ে কোনো ভরসা নেই।’
প্রিয়তা ফারজাদের কথা মতো মাক্স লাগাল। ফারজাদ চলে গেল সেখান থেকে। প্রিয়তা ভাইয়ের দিকে চেয়ে জিজ্ঞেস করল,
‘কী কাজ, ভাইয়া?’
নীহাল তার দিকে চেয়ে বলল,
‘হোটেল খুঁজতে হবে। আর কতদিন উনাদের বাড়িতে থাকবি?’
প্রিয়তার খেয়াল এল, সত্যিই তো, এভাবে একটা মানুষের বাসায় কতদিন থাকবে। সে মাথা হেলিয়ে বলল,
‘এতদিন কেউ ছিল না বলে ঐ বাড়িই আমার একমাত্র আশ্রয় ছিল। এখন তো তুমি আছো, এখন হোটেলে থাকতে আর কোনো অসুবিধা হবে না।’
‘চল, আমি গুগল দেখে কয়েকটা হোটেল বের করেছি, ঐগুলো দেখে আসি।’
_______
তিনটার পর বাসায় ফিরল তারা। গিয়ে দেখল, সত্যিই সবাই না খেয়ে তাদের অপেক্ষায় বসা। প্রিয়তা আর নীহাল দুঃখ প্রকাশ করল তা দেখে। দিলরুবা বেগম প্রসন্ন হেসে বললেন,
‘সমস্যা নেই। ফ্রেশ হয়ে খেতে এসো।’
অতঃপর একসাথে খেতে বসল সকলে। খাবার খাওয়ার মাঝেই নীহাল বলল,
‘একটা কথা জানানোর ছিল, আন্টি।’
‘হ্যাঁ, বলো না, বাবা।’
‘আন্টি, আমরা একটা হোটেল রুম ভাড়া করেছি। আর যেই কয়দিন এখানে আছি, সেই হোটেলেই থাকব। আপনাদের অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলেছি, আজকাল তো এতটা কেউ নিজের কাছের মানুষের জন্যও করে না। আমরা তার জন্য আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।’
তাদের হোটেলে উঠার কথা শুনে দিলরুবা বেগমের মনঃক্ষুন্ন হলো। সবথেকে বেশি মন খারাপ হলো মৌমির। সে খাবার রেখে মুখ কালো করে চেয়ে রইল কেবল। দিলরুবা বেগম বললেন,
‘তোমরা হোটেলে কেন থাকতে যাবে, বাবা? আমাদের বাড়িতে কি কোনো অসুবিধা হচ্ছে?’
‘ছি ছি! তা কেন হতে যাবে, আন্টি? আপনি তো পুরো আমার মায়ের মতো আমার বোনকে আগলে রেখেছেন। আপনারা যদি আমার বোনের পাশে না থাকতেন, তবে আজ হয়তো আমি আমার বোনকে ফিরে পেতাম না। আপনারা আমাদের জন্য যা করেছেন, তা সচরাচর কেউ করে না, আন্টি। হোটেলে যাচ্ছি, নিজের আত্মসম্মান বোধ থেকে। আপনাদের বাড়িতে আর কতদিন থাকব? এবার তো একটা ব্যবস্থা করতেই হবে, তাই না?’
দিলরুবা বেগম বললেন,
‘তোমার বোন আমার কাছে মৌমির চেয়ে কোনো অংশে কম না। ও আমার আরেকটা মেয়ে। আমরা এই কয়দিনে ওকে নিজেদের বাড়ির মানুষ ভেবে ফেলেছি, ও চলে গেলে আমাদের কষ্ট হবে।’
মৌমিও বলল,
‘হ্যাঁ হ্যাঁ, আপু, যেও না প্লিজ। তুমি চলে গেলে আমি একদম একা হয়ে যাব।’
দিলরুবা বেগম আর মৌমির কথা শুনে প্রিয়তারও মন খারাপ হলো খুব। কিন্তু, এভাবে আর কতদিন একজনের বাড়িতে থাকা যায়। একদিন না একদিন তো যেতেই হতো। প্রিয়তা শুকনো মুখে হেসে বলল,
‘মন খারাপ করো না, এখানে যতদিন আছি মাঝে মাঝেই এসে দেখা করে যাব।’
‘তাও যেও না, প্লিজ।’
মৌমির ভেজা স্বর। প্রিয়তা সিক্ত চোখে চাইল। নীহাল বলল,
‘এই মেয়ে তো দেখছি ভীষণ আবেগী। এইটুকুতেই কেঁদে ফেলছ তুমি?’
দিলরুবা বেগম হাসলেন। বললেন,
‘ও বরাবর’ই এমন। অল্পতেই চোখে জল জমে।’
ফারজাদ মৌমির দিকে তাকাল। মেয়েটা সন্তোর্পনে মুছে নিল চোখটা। ফারজাদ অবাক হলো, এই সামান্য কয়দিনের পরিচয়ে তার বোন আজ এক অজ্ঞাত মেয়ের জন্য কাঁদছে! এত মায়া তার! ফারজাদ এবার তাকাল প্রিয়তার দিকে। তার চোখ মুখও ছলছলে। সে অবাক হলো। এই মেয়েটারও দেখছে খুব মায়া! সে ভাবে, মেয়ে জাতি এত মায়া পায় কোথায়?
কেউ নিজ থেকে চলে যেতে চাইলে তাকে কি আর আটকে রাখা যায়। দিলরুবা বেগম আর বাঁধা দেন না। প্রিয়তা তার ব্যাগ গুছিয়ে নেয়। সন্ধ্যায় বেরিয়ে যাবে তারা।
ব্যাগ সব গুছিয়ে বসার ঘরে এনে রাখে। মাগরিবের আজান হচ্ছে বাইরে। মৌমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নাক টানছে। দিলরুবা বেগম কীসের একটা ব্যাগ এনে যেন খুব জোরাজুরি করে প্রিয়তার ব্যাগে ঢুকিয়ে দিলেন। এটাতে কী আছে সেই ব্যাপারে প্রিয়তা অবগত নয়। সে ব্যাগের চেইন আটকিয়ে মৌমির কাছে যায়। তার দু হাত নিজের হাতের মাঝে আগলে ধরে বলে,
‘নাকটা তো টমেটো হয়ে গিয়েছে, রেঁধে খেয়ে ফেলা যাবে এবার।’
মৌমি জবাব দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে কেবল। প্রিয়তা ভ্রু উঁচিয়ে জিজ্ঞেস করে,
‘রেগে আছো?’
মৌমি চাইল এবার। ভগ্ন সুরে বলল,
‘যেও না, প্লিজ।’
প্রিয়তা তার গালে হাত রাখল। নরম সুরে বলল,
‘এভাবে বলো না, মেয়ে। আমি আসব তো। হোটেলটা অনেকটা কাছেই, যখন বলবে তখনই চলে আসব।’
‘না গেলে হয় না?’
‘না, এবার যেতেই হবে। আর কত থাকব?’
‘সারাজীবনের জন্য থেকে যাও না।’
প্রিয়তা হাসল। বলল,
‘সারাজীবন কি থাকা সম্ভব, বোকা মেয়ে?’
‘হ্যাঁ, সম্ভব। তুমি চাইলেই সম্ভব।’
প্রিয়তা আর সেটা নিয়ে কথা না বাড়িয়ে বলল,
‘ভালো ভাবে পড়াশোনা করবে, সামনে পরীক্ষা না তোমার।’
মৌমি কপাল কুঁচকে চেয়ে রইল। জবাব দিল না কোনো। প্রিয়তা এবার গেল দিলরুবা বেগমের কাছে। তাকে বিনয়ের স্বরে বলল,
‘আপনি আমার আরেক মা। আপনাকে আমি কখনোই ভুলব না। এতটা ভালোবাসা পাকিস্তানে না আসলে হয়তো আমি আর কোনোদিনও কারো কাছ থেকে পেতাম না। এই একটা কারণে পাকিস্তানে আসা নিয়ে আমার আর কোনো আফসোস রইল না। আমি আপনাকে ভালোবাসি, আন্টি। যদি কোনোদিন কোনো কাজে আমার প্রয়োজন বোধ করেন, তবে আপনার এই ছোট্ট মেয়েটাকে ডাকতে দুবার ভাববেন না। আমি ছুটে আসব আপনার কাছে। দোয়া করবেন আমার জন্য।’
দিলরুবা বেগমের চোখ জোড়াও সিক্ত। তিনি প্রিয়তার কপালে ভালোবাসার পরশ দিয়ে বললেন,
‘অনেক অনেক সুখী হও, মা। দুঃখ যেন তোমাকে কখনো স্পর্শ করতে না পেরে। সাহসী হও, সত্যবাদী হও, দোয়া রইল।’
প্রিয়তা সবশেষে দাঁড়াল ফারজাদের সামনে। নীহাল সবার সাথে কথা বলে বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে। তার পেছন পেছন গিয়েছে দিলরুবা বেগম আর মৌমি। ফারজাদও যাচ্ছিল, তবে প্রিয়তা ডেকে থামায় তাকে। সে ফারজাদের মূখোমুখি দাঁড়ায়। ঠোঁটের কোণে ম্লান হাসি। বলে,
‘পাকিস্তানে আসার পর যেই মানুষটা আমাকে সবথেকে বেশি সাহায্য করেছে, সেই মানুষটা আপনি। আপনি যদি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে না দিতেন তবে আমি হয়তো সেদিন রাতেই নিঃশেষ হয়ে যেতাম। আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে আমি শেষ করতে পারব না। একের পর এক প্রত্যেকটা বিপদে আমি আমার ঢাল হয়ে ছিলেন। একা এক দেশে প্রতিটা মুহূর্তে অসহায় বোধ করলেই আমি আপনাকে দেখতাম, সাহস পেতাম খুব। মনে হতো আপনি আছেন, আমার আর কোনো বিপদ নেই। সেদিন যখন ওয়াদি আমাকে নিয়ে যেতে এসেছিল, সেই মুহুর্তে কোনোরকমে বাইরে এসে আমি আপনাকেই খুঁজছিলাম। আপনাকে সেই মুহুর্তে না দেখে দম যেন আমার আটকে আসছিল, তারপর যখনই দেখলাম আপনাকে, শ্বাস প্রশ্বাস আমার স্বাভাবিক হলো। আপনাকে তখন দেখা মাত্রই মনে হলো, এবার আমি বেঁচে যাব। আর সত্যিই বেঁচে গেলাম। আমার জন্য আপনাকে অনেক কষ্ট পোহাতে হয়েছে। যদি এই এত এত ঋণ শোধ করার কোনো ব্যবস্থা থাকত, তবে আমি অবশ্যই শোধ করে দিতাম; কার্পণ্য করতাম না একটুও। কিন্তু, আপাতত ধন্যবাদ দেওয়া ছাড়া এই ঋণ শোধ করার আর কোনো ব্যবস্থা নেই। আমি কৃতজ্ঞ। আপনাকে আমি ভুলব না। আপনি আজীবন আমার স্মৃতিতে থাকবেন। হয়তো ভবিষ্যতেও কোনোদিন কোনো বিপদে পড়লে আল্লাহর পর আমার আপনার কথাই প্রথমে স্মরণে আসবে। ভালো থাকবেন, আর দোয়া করবেন আমার জন্য।’
ফারজাদ ছোট্ট নিশ্বাস ফেলল। বলল,
‘আপনাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করার জন্য আমি আল্লাহর পক্ষ থেকে একটা উছিলা ছিলাম মাত্র। তাও ধন্যবাদ গ্রহণ করলাম। আমার ব্যবহারের জন্য আমাকে ক্ষমা করবেন। আমি রেগে গেলে নিজেকে আয়ত্তে রাখতে পারি না। তার জন্য দুঃখিত। আর আপনিও ভালো থাকবেন। দোয়া করি, আপনার ভবিষ্যত সুন্দর হোক।’
প্রিয়তা প্রসন্ন হেসে বলল,
‘ওসব কথা আমি ভুলে গিয়েছি, আপনিও ভুলে যান। চলুন তবে, এবার যাওয়া যাক।’
ফারজাদ তার অফিসের গাড়িতে করে প্রিয়তা আর নীহালকে হোটেলে নামিয়ে এল। তাদের নামিয়ে বাড়িতে ফেরার পথেই আচমকা গাড়িটা খারাপ হয়ে গেল তার। এই মাঝ রাস্তায় এখন সে কারিগর কোথায় পাবে। সে নিজে অনেক চেষ্টা করে দেখল, পারল না। ফোন করল গাড়ির ড্রাইভারকে। সে এখন তার বাসায়। বলল, এক্ষুনি একটা কারিগর নিয়ে সেই জায়গায় আসার জন্য।
সে ফোন কেটে গাড়িতে হেলান দিয়ে দাঁড়াল। আকাশের দিকে তাকাল আনমনে। দেখল, আকাশ আজ নিরেট শূণ্য, একটা তারা অবধি নেই। এই আকাশের বুকে আজ কীসের এত শূণ্যতা, কার জন্য এত শূণ্যতা? প্রিয়তার জন্য। আচমকা প্রিয়তার নাম স্মরণে আসতেই অবাক হলো সে। আকাশ নিয়ে ভাবনার মাঝে হঠাৎ প্রিয়তার কথা কেন স্মরণে এল তার, আশ্চর্য!
‘গাড়িটা এক জায়গায় থেমে আছে, ভাই।’
‘আশেপাশের মানুষ দেখে গুলিটা করে দে। ধরা পড়ার আগে অন্তত এই শালাকে মেরে যাই।’
‘ঠিক আছে, ভাই, করছি।’
ওয়াদি জানলার পর্দা সরিয়ে দেখল, পুলিশ পুরো বাড়ি ঘেরাও করে ফেলেছে। আর বাঁচার উপায় নেই তার। তবে এইটুকু ভেবে ক্রোধ কিছুটা প্রশমিত হলো যে, প্রিয়তাকে পাওয়ার পথে তার সবথেকে বড়ো কাটা’টাকে আজ সে উপড়ে ফেলছে। এখন ধরা পড়লেও আর দুঃখ থাকবে না তার।
চলবে….
ছবি: রত্নাবু❤️