#হৃদয়ে_লিখেছি_তোমারি_নাম
#Nusrat_Jahan_Bristy
#পর্ব_২০
“ভাই আপনার হাতে কি হয়েছে? আপনার হাতে কে এভাবে খামচি দিল?”
মাসুমের এমন কথা শুনে জাহিন হকচকিয়ে উঠে নিজের বা হাতের দিকে তাকাল। মনে পড়ে যায় গতকাল রাতের অপ্রত্যাশিত সেই ঘটনা। জাহিন ঢোক গিলে ঠোঁটে ঠোঁট চেপে ধরে স্তব্ধ হয়ে বসে রইল। জাহিনকে এভাবে বসে থাকতে দেখে মাসুম পুনরায় বলে।
“কি হল ভাই? কোথায় হারিয়ে গেলেন আপনি?”
জাহিন নিজেকে সামলিয়ে নিয়ে তপ্ত নিঃশ্বাস ছেড়ে গুটিয়ে রাখা শার্টের হাতা কব্জি পর্যন্ত ছেড়ে দিয়ে গম্ভীর গলায় বলে, “কিছু হয় নি? তুই খবর নিয়েছিস ফ্যাক্টরিতে?”
“হুমম ভাই নিয়েছি।”
“কত দিন লাগবে তিনশ কম্বল বানাতে?”
“হয়ে যাবে সপ্তাহ খানের ভেতরে।”
“আচ্ছা।”
মাসুম চলে যায়। মাসুম চলে যেতেই জাহিন চোখ বন্ধ করে মাথাটা হেলিয়ে দেয় চেয়ারের উপরে। আজকে সকালে না হয় পালিয়ে চলে এসেছে তা বলে কি সবসময় অয়ন্তির কাছ থেকে পালিয়ে বেড়াতে পারবে। একবার না একবার তো তার সামনে পড়তেই হবে তখন কি করে ফেইস করবে অয়ন্তিকে। মেয়েটা চোখের সামনে আসলেই তো ভেসে উঠবে তাদের সেই চুম্বনকৃত দৃশ্যটা। জাহিন যেটা চাইলেও নিজের মস্তিষ্ক থেকে মুছে ফেলতে পারছে না। জাহিন তড়াক করে সোজা হয়ে বসে বলে।
“না এভাবে বসে থাকলে চলবে না মাইন্ডটাকে ফ্রেশ করতে হবে।”
কথাটা বলেই জাহিন গাড়ির চাবি নিয়ে বের হয়ে পড়ে। নুহাশও সবে মাত্রই বাইক পার্ক করে পার্টি অফিসে এসেছে। জাহিন নুহাশকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই গাড়ি ড্রাইভ করে বেরিয়ে পড়ে পার্টি অফিস থেকে। নুহাশ জাহিনকে এভাবে চলে যেতে দেখে বারান্দায় বসে থাকা মাসুম আর রাসেলের কাছে এসে বলে।
“কিরে ভাই এভাবে চলে গেল কেন?”
রাসেল দু কাঁধ নাচিয়ে বলে, “আমি কি জানি! আসার পর থেকে দেখছি ভাইয়ের কিছু একটা হয়েছে? বার বার অন্যমনস্ক হয়ে আছে। তুমি কিছু জানো না নুহাশ ভাই। তুমি তো ভাইয়ের সাথেই থাকো।”
নুহাশ বিরস গলায় বলল, “আমি জানলে কি তোদের জিঙ্গেস করি।”
বলেই নুহাশ মিটিং রুমের ভেতরে চলে যায়। মাসুম রাসেলের দিকে ফিরে বলে, “জানিস ভাইয়ের বা হাতে খামচির দাগ দেখেছি আজকে। এক্কেবারে তাজা খামচি। মনে হচ্ছে গতকাল রাত্রে হয়েছে।”
রাসেল ভ্রু কুঁচকে বলে, “তো এখন কি হয়েছে?”
মাসুম বাঁকা হেসে বলে, “বুঝিস না না কেন বেডা? মনে হয় ভাবি খামচি দিয়েছে ভাইকে? নতুন নতুন বিয়ে শাদী হলে এমনটাই হয়। কিন্তু ভাই যে এতটা ফাস্ট দৌঁড় দিবে এটা বুঝতে পারি নি।”
রাসেল বিরক্তকর ভাব নিয়ে বলে, “তোর মাথায় কি সবসময় এসব উদ্ভট চিন্তা আসে মাসুম? তোর নামটা মাসুম না রেখে মাসুদ রাখা দরকার ছিল। কারণ তোর মাথায় ওলয়েজ এসব মাসুদ মার্কা চিন্তা ভাবনা আসে।”
মাসুম রেগে বলে, “তোর নামও তাহলে রাসেল ভাইপার রাখা উচিত ছিল। কারণ তোর সারা অঙ্গ তো বিষে ভরা।”
রাসেল কিছু বলতে গিয়েও থেমে যায়। এই মাসুমের সাথে কথা বললেই কথা বাড়বে এটা সে জানে। তাই নিজেই চুপচাপ এখান থেকে কেটে পড়ে। মাসুম তা দেখে বলে।
“কি রে রাসেল ভাইপার চলে যাচ্ছিস কেন? তোর বিষ ঠালবি না আমার সর্বাঙ্গে।”
কথাটা বলে বিড়বিড় করে কিছু একটা বলল মাসুম।
_______
রিহান বসে আছে বড় একটা শিমুল গাছের নিচে। অপেক্ষায় আছে পাপড়ির জন্য। গতকাল রাত্রে রিহান পাপড়িকে ফোন দেওয়ার পর পাপড়ি নিজেই বলেছে সে রিহানের সাথে দেখা করতে চায়। রিহান তো যেন আকাশের চাঁদ পেয়ে গেছে পাপড়ি নিজে থেকে তার সাথে দেখা করতে চাইছে। রিহান ঘাড় ঘুরিয়ে পাশের দিকে তাকাতেই নজরে পড়ে পাপড়ির উপরে। পাপড়ি এগিয়ে আসছে তার দিকে এক পা এক পা করে। পাপড়ি নিজেকে আজকে পুরো কাল রঙে মুড়িয়ে দিয়েছে। গৌর বর্ণটা যেন কাল রঙের মাঝে আরো বেশি করে ফুটে উঠেছে। রিহান আনমনেই নিজের বা হাতটা নিজের বুকের বা পাশে এনে চেপে ধরে। বুকের কাঁচায় বন্দি থাকা ছোট পাখিটা যেন একটু বেশি লাফালাফি করছে। রিহান মন্ত্রমুগ্ধের ন্যায় তাকিয়ে রইল পাপড়ির দিকে। পাপড়ি সময়ের ব্যবধানে কখন যে রিহানের সামনে চলে এসেছে সেটা রিহান টের পায় নি। পাপড়ির ডাকে রিহানের ঘোর ভাঙ্গে।
“এই যে মিস্টার রিহান! আপনি আছেন নাকি অন্য কোনো দেশে পাড়ি জমিয়েছেন? যদি জমিয়ে থাকেন তাহলে প্লিজ ফিরে আসুন।”
রিহান চমকে পাপড়ি দিকে তাকায়। নিজেকে ধাতস্থ করে শুকনো ঢোক গিলে পাপড়ির দিক থেকে নজর সরিয়ে নিয়ে ঘাড়টা চুলকিয়ে বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে গলা খাকারি দিয়ে বলে।
“জি বলুন!”
পাপড়ি কিছু না বলে কাঁধে ঝুলিয়ে থাকা ব্যাগটা সামনে এনে চেইনটা খুলে আটশো টাকা বের করে রিহানের দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে, “নিন আপনার টাকা!”
রিহান একবার পাপড়ি হাতের দিকে তো একবার মুখের দিকে তাকায়। পাপড়ি তা দেখে বলে, “কি হল ধরুন আপনার আটশো টাকা।”
রিহান আমতা আমতা করে বলে, “না মানে আপনি টাকাটা দিয়ে দিবেন এত জলদি?”
পাপড়ি ভ্রু কুঁচকে বলে, “মানে আপনি তো এত দিন টাকার জন্য মরে যাচ্ছিলেন।”
“না মানে, তার জন্য আপনি এত জলদি জলদি টাকাটা ফিরিয়ে দিবেন।”
“আজব মানুষ তো আপনি এত দিন আমাকে টাকার জন্য জ্বালিয়ে মারছিলেন আর এখন বলছেন এত জলদি কেন টাকা ফিরিয়ে দিচ্ছেন? মানে ঠিক কি চাইছেন আমাকে একটু খোলসা করে বলবেন প্লিজ?”
রিহান ঘাড় চুলকিয়ে নজর নিচু করে অস্ফুটে বলে, “আপনাকে চাইছি সারা জীবনের জন্য।”
পাপড়ি ভ্রু কুঁচকে বলে, “কি চাইছেন সারা জীবনের জন্য? যা গে আপনি কি চান তা জেনে আমার কি? আপনি এই টাকাটা নিয়ে আমাকে উদ্ধার করুন।”
রিহান সাহসা গলায় বলে, “টাকার পরির্বতে আপনাকে দিলে হয় না মিস পাপড়ি?”
পাপড়ি হতবাক হয়ে তাকিয়ে রইল রিহানের মুখে পানে। রিহানের কথাটা বুঝতেই পাপড়ি উত্তেজিত গলায় বলে, “কিসব আবোল তাবোল বকছে আপনি রিহান?”
“আমি আপনার প্রেমে পড়ে গেছি পাপড়ি।”
পাপড়ির গলার স্বর কাপছে। কি বলবে এই মুহূর্তে সে রিহানকে? পাপড়িকে চুপ থাকতে দেখে রিহান বলে, “আপনি কিছু বলবেন না পাপড়ি এর প্রতিউত্তরে?”
পাপড়ি জোরে নিঃশ্বাস ছেড়ে নিজেকে স্বাভাবিক করে বলে, “হুমায়ূন আহমেদর একটা কথা আছে কি জানেন?”
রিহান নির্বাক হয়ে তাকিয়ে রইল পাপড়ির দিকে। এখানে এই মুহূর্তে হুমায়ূন আহমেদের কথা আসলো কোথা থেকে অদ্ভুদ? পাপড়ির পুনরায় বলল।
“হুমায়ূন আহমেদের কথাটা হল “চট করে কারও প্রেমে পড়ে যাওয়া কোনো কাজের কথা না” মিস্টার রিহান। আমাদের মাত্র দেখা হল কয়েকদিন হল আর এর মাঝে আপনি আমার প্রেমে পড়ে গেলন ব্যাপারটা কেমন হয়ে অদ্ভুদ হয়ে গেল না।”
রিহান মুচকি হেসে বলল, “তাহলে হুমায়ূন আহমেদের আরেকটা কথাও আছে সেটা হয়তো আপনি জানেন না!”
“তাই নাকি! তা সেটা কি শুনি!”
“সেটা হল “মেয়েদের তৃতীয় নয়ন থাকে। এই নয়নে সে প্রেমে পড়া বিষয়টি চট করে বুঝে ফেলে।” তাহলে আপনি কেন বুঝতে পারছেন না বিষয়টি?”
পাপড়ি নির্বিকার ভঙ্গিতে তাকিয়ে রইল রিহানের দিকে। রিহান দু কদম এগিয়ে আসে পাপড়ির দিকে। পাপড়িও দু কদম পিছিয়ে যায় আনমনে। রিহান পাপড়ির চোখের সামনে চুটকি বাজাতেই পাপড়ি হকচকিয়ে উঠে অন্য দিকে ফিরিয়ে নেয় মুখ। রিহান মৃদু হেসে প্যান্টের পকেটে দু হাত গুজে বলে।
“এভাবে তাকাবেন না পাপড়ি আমার যে তখন হৃদস্পন্দনের গতি অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যায়। তখন এর প্রতিকার করার জন্য আপনাকে নিবিড় ভাবে প্রয়োজন হতে পারে আমার।”
পাপড়ির গলার স্বর কাপছে। কিন্তু তারপরও নিজেকে সামলিয়ে বলে, “আপনার টাকাটা নিন আর আমাকে উদ্ধার করুন এই দায়ভার থেকে।”
রিহান স্বাভাবিক গলায় বলে, “ওই টাকাটা আপনার কাছে রেখে দিন পাপড়ি।”
পাপড়ি কপট রাগ দেখিয়ে বলে, “কেন আমি কেন আপনার টাকা রেখে দিব? আপনার টাকা আপনি রাখনু।”
বলেই রিহানের দিকে এগিয়ে দেয় টাকাটা। কিন্তু রিহান হাত বাড়িয়ে নেয় না। পাপড়ি চোখ রাঙিয়ে বলে, “কি হলো নিন?”
তারপরও রিহান নিলো না বরং ঠোঁটের কোণে হাসি রেখে পাপড়ির দিকে এক নজরে তাকিয়ে রইল। পাপড়ির মেজাজ গরম হয়ে আসছে। ঘাড় ঘুরিয়ে চারপাশটায় নজর বুলিয়ে নেয়। সবাই সবার মত করে কপোত কপোতিরা একে অন্যের হাত ধরে ঘুরাফিরে করছে তো কেউ বসে গল্প করছে। পাপড়ি আকস্মিক রিহানের দিকে এগিয়ে এসে রিহানের বুক পকেটে টাকাটা ঢুকিয়ে দিয়ে দ্রুত পায়ে চলে যায়। রিহান পকেট থেকে টাকা বের করে হতবাক হয়ে তাকিয়ে রইল পাপড়ির যাওয়ার পানে। কিন্তু পরক্ষণে মুচকি হেসে বলে।
“আমার প্রেমে তো আপনাকে পড়তেই হবে পাপড়ি। যদি না পড়েন তো তাহলে আপনার ঘাড় ধরে আমার প্রেমে মজিয়ে দিব আপনাকে।”
_______
সন্ধ্যা হয়ে গেছে। অয়ন্তিকে পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য তার চাচি শাশুড়ি আর শাশুড়ি মা রান্না ঘর থেকে জোর করে রুমে পাঠিয়ে দিয়েছে। কিন্তু তারপরও অয়ন্তি ঠুকঠাক কাজ করে রুমে এসেছে। রুমে এসে পড়ার টেবিলে বসে প্রথম বইটা হাত নিয়ে খুলতেই একটা চিরকুট নজরে পড়ে। অয়ন্তি ভ্রু কুঁচকে চিরকুটটা হাত নিয়ে পড়তে শুরু করে।
“সরি অয়ন্তি! গতকাল রাত্রের ওই অপ্রত্যাশিত ঘটনাটার জন্য সত্যি আমি সরি। আসলে কিভাবে কি হয়ে গেল আমি বুঝতে পারি নি। এর পরের বার এমনটা আর হবে না।”
অয়ন্তি চিরকুটটার এক কোণে জাহিন নামটা দেখে বুঝতে পারল এটা জাহিনের লেখে। কিন্তু জাহিন এটা রাখল কখন হয়ত সকাল বেলা রেখে গেছে। কিন্তু সে এখন পেয়েছে চরিকুটটা। অয়ন্তি এই প্রথম বারের মতো কারোর কাছ থেকে চিরকুট পেয়েছে তাও আবার সেটা স্বামী নামক পুরুষ মানুষটার থেকে। কোথায় প্রেম পত্র দিবে নতুন বউকে তা না করে দিল দুঃখিত পত্র! এত বেরসিক মানুষ এই সামান্য একটা কাজের জন্য এভাবে সরি বলতে হয়। কিন্তু মানুষটা এখন কোথায় আছে? সারাদিনে কি একবারও তার কথা মনে পড়ে নি। কিন্তু অয়ন্তির খুব জাহিনের কথা মনে পড়ছে। কখন আসবে জাহিন বাড়িতে? অয়ন্তি চিরকুটটা বইয়ের ভেতরে রেখে মাথাটা হেলিয়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করে মনে করার চেষ্টা করে তাদের দুজনের সেই সুন্দর মুহূর্তটা।
______
রাত নয়টার দিকে জাহিন বাড়িতে আসে। জোহরা বেগম এসে সদর দরজা খুলে দেয়। জাহিনের হাতে এক গুচ্ছ লাল গোলাপ ফুল আর চকলেট। ছেলেকে দেখে জোহরা বলেন।
“এসে গেচ্ছিস। নুহাশ কোথায়?”
জাহিন ভেতর ঢুকতে ঢুকতে বলে, “নুহাশ বাইকে আসছে হয়ত কোথায় আটকে গেছে।”
জোহরা বেগম সদর দরজা লাগাতে লাগাতে বলেন, “ও।”
“মা আহান কোথায়?”
“ঘরেই আছে।”
“ও।”
জাহিন চলে যেতে নিবে তখনই জোহরা বেগম বলেন, “আহানকে কেন খুজচ্ছিস?”
“ফুল আর চকলেট গুলা দেওয়ার জন্য।”
“হঠাৎ এগুলা আনলি যে?”
“অনাথ আশ্রমে গিয়েছিলাম বাচ্চারাই এগুলা দিয়েছে।”
“ও আচ্ছা। তাহলে একটা কাজ কর এগুলা আহানকে না দিয়ে অয়ন্তিকে দিস মেয়েটা খুশি হবে।”
জাহিন থমকে যায়। অয়ন্তির কথা তো তার মনেই ছিল না। জাহিন মাথা নাড়িয়ে উপরে চলে যায়। কিন্তু নিজের রুমে যাওয়ার আগে আহানের ঘরে ঢুকে আহানকে চকলেট গুলা দিয়ে এসে ফুলগুলা নিয়ে নিজের রুমে যায়। রুমে ঢুকতেই দেখে অয়ন্তি খুব মনযোগ দিয়ে পড়ছে জাহিন যে এসেছে সেই দিকে খেয়াল নেই। জাহিন ফুল গুলার দিকে এক পলক তাকিয়ে অয়ন্তির দিকে এগিয়ে গিয়ে অয়ন্তির সামনের ফুলের তোড়াটা এগিয়ে দেয়। হঠাৎ করে এমনটা হওয়াতে অয়ন্তি চমকে জাহিনের দিকে তাকায়। জাহিন শান্ত গলায় বলে।
“এটা আপনার।”
অয়ন্তি লাল গোলাপ দেখে মুচকি হেসে ফুলের তোড়াটা জাহিনের হাত থেকে নিয়ে নাকের কাছে এনে চোখ বন্ধ করে প্রাণ ভরে গোলাপ ফুলের সুঘ্রাণ নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। জাহিন মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে রইল অয়ন্তির দিকে। অয়ন্তির হাস্যজ্জল চেহারাটা দেখে জাহিনের বুকের মাঝে কেমন জানি শান্তি শান্তি অনুভব হচ্ছে। ভাগ্যিস মা তাকে বলেছে কথাটা বলেছে না হলে তো এমন মনোরম দৃশ্যটা মিস করে যেতো সে। অয়ন্তি চোখ খুলে জাহিনের দিকে তাকাতেই জাহিন নজর সরিয়ে নিয়ে চলে যেতে নিবে তখনই অয়ন্তি নিচু স্বরে বলে।
“থ্যাঙ্ক ইউ!”
জাহিন প্রতিউত্তরে মুচকি হেসে ওয়াশরুমে চলে যায়। অয়ন্তি ফুলের তোড়াটা বুকের মাঝে চেপে ধরে মিটিমিটি হাসছে। অয়ন্তির বুকের ভেতরে কেমন জানি সুখ সুখ অনুভব করছে। কিন্তু এই সুখ কি সইবে অয়ন্তির কপালে নাকি অশান্ত কোনো দমকা হাওয়া এসে সেই সুখ কেড়ে নিতে চাইবে।
#চলবে_______
গ্রামের বাড়িতে আসছি। আর জানেনেই তো গ্রামের বাড়িতে নেটের কি প্রবলেম।